ওবাসুদ নামে জাপানে একটা প্রথা চালু ছিল ছোট ছোট কয়েকটা গোত্রের মধ্যে।বয়স সত্তর পেরোলে তাদের কোন নির্জন পাহাড়ের উপর নিয়ে রেখে আসা হয়।আস্তে আস্তে তারা ক্ষুধায়, পানিশূন্যতায় মারা পড়ে। মৃত্যু নিয়ে কতরকম প্রথা চালু আছে বা ছিল তার ইয়ত্তা নাই। ভাবেন সহমরণের ব্যাপারটা, আমাদের উপমহাদেশেই চালু ছিল। কি ভয়ানক!
সেপালকার শব্দটা শুনলে কেন জানি পারসিদের কথা মনে পড়ে। অথচ ওরা মৃতদের দাহ বা কবর দেয় না। নিয়ে রেখে দেয় শুনশান কলামে আকা টাওয়ারস অব সায়লেন্সে। শকুন এসে মৃতদের শরীর খুবলে খায়।‘এক্সট্রা অরডিনারি গ্রুপস’ নামে একটা বইয়ে আটটা প্রায় লুপ্ত গোত্রের কথা আছে। ওবাসুদ রীতি নিয়ে জাপানে বেশ কিছু হাইকু চালু আছে। একটা দেই এখানে-
"My lover
is at Mount Sarashina!"
the goose flies north
ইমামুরা ‘দা বেটল অব নারায়েমা’ বানিয়েছেন ওবাসুদ রীতি নিয়ে।
‘ভেনজেনস অফ মাইন’ ইমামুরার আরেকটা মাস্টারপিস। ইয়াও এনোকিযু নামের এক সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে গল্প।
১৯৬৬ সালে বানানো ‘দা পর্ণোগ্রাফারস’ সিনেমা দিয়ে ইমামুরা প্রথম জাপানের বাইরে পরিচিতি পান। কেন তা বোঝাই যাচ্ছে। নামের কারণে।
‘আ ম্যান ভেনিসেস’ ইমামুরার ডকুমেন্টারি।ডকুমেন্টারি সহ্য করা খুব কঠিন। কিন্তু কুস্তুরিকা, কিয়ারোস্তামি, ইমামুরা – এঁনারা নমস্য। এদের হাতে যে কোন কিছু জাতে উঠে যায়। দুইটা কমদামী হ্যান্ডিক্যাম দিয়ে ‘এবিসি আফ্রিকা’ নামে কি অদ্ভুত সুন্দর ডকুমেন্টারি বানিয়েছেন কিয়ারোস্তামি । জাপানে প্রতি বছর কিছু লোক কারণ ছাড়া হারিয়ে যায়। তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না।এটা নিয়া করা ছবি ‘আ ম্যান ভ্যানিসেস’ । এটা টিভির জন্য করার কথা ছিল।চব্বিশ জন হারিয়ে যাওয়া লোক নিয়ে। চব্বিশ পর্বে। পরে সেসব আর কিছু করেন নাই। একজন লোকের কাহিনী নিয়েই ছবি বানিয়ে ফেলেন।
মন্তব্য
ইমামুরাদের মেধা আছে তো------------------তাই অমন ভাল কিছু হয়।
এস হোসাইন
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"
লেখা ভালো লাগলো। নানা ফুলে নেচে বেড়ানোর জন্য ভোমরাকে না দুষলে আপনার এই ছটফটানিই বা খারাপ লাগবে কেন? তবে কিনা আগে যেটা লিখেছেন একবার, লোকে ভালো সিনেমা দেখুক এই যদি আপনি চান তো এমন ইতস্তত ভাবনায় কোনো একটি বিশেষ সিনেমায় দর্শকের আগ্রহ হবে কি না সে নিয়ে প্রশ্ন জাগে। যাক, সব মিলিয়ে সচেতনতা বাড়তেই পারে আমাদের, সেটাও কম লাভ নয়।
When-কে য়োয়েন লেখার ব্যাপারটা আপনার ব্যাখ্যা সত্ত্বেও মানা গেলো না। কোন দেশের অ্যাকসেন্টে ঐ রকম উচ্চারণ হয়?
আপনি যদি কথ্য ভাষায় লিখতে আরাম পান, সেভাবেই লিখতে পারেন। আবার চলচিত্রের কথা লিখছেন বলে যদি শুদ্ধ বাংলায় লিখেন, তাও হয়। কিন্তু দু'টোকে মেশানো উচিৎ না, অন্তত এ ধরনের লেখায়।
আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো ...
তাই জাপানীজ উচ্চারণ নিয়ে ভুল ধরিয়ে আসরের মজা নষ্ট করাটা আঁতলামী হয় কিনা ভাবছি ... তাও করছি ... অবশ্য আপনার কোন দোষ নেই, জাপানীজ শব্দগুলোকে উচ্চারণ করতে ইংরেজী ভাষাভাষীরা প্রায়ই ব্যাড়াছ্যাড়া করে ফেলে ... আপনি সম্ভবতঃ যে সোর্স থেকে পড়েছেন সেটাও ইংরেজীতে লেখা
কয়েকটা জায়গায় ভুল আছে:
যেমন প্রথমতঃ ছবির নাম ব্যাটল অভ নারাইয়ামা নয়, ব্যালাড অভ নারাইয়ামা (ইয়ামা মানে পাহাড়, উচ্চারণটা আসলে Yamaর কাছাকাছি)
আর "ওবাসুদ" বলে কোন শব্দ নেই (জাপানী ভাষায় শুধু 'ন'(ম হিসেবে কখনও) উচ্চারণটাই থামতে পারে, বাকী সবার সাথে একটা ভাওয়েল জুড়ে থাকেই)
শব্দটারও আসল উচ্চারণ হলো, উবাসুতে (উবা মানে বুড়ো/বুড়ি, সুতে মানে ফেলে দেয়া)
তবে উবাসুতে বলে কিছু আসলে জাপানী সমাজে বা গোত্রগুলোতে ছিলো কিনা এপ্রশ্নে পন্ডিতদের দাবী যে ওটা আসলে রূপকথাই .... উবাসুতেইয়ামা (এর অর্থ হলো যেসব পাহাড়ে ওরকম বুড়োবুড়িদের ফেলে আসা হতো বলে গল্প চালু আছে) টাইপের কোন পাহাড়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেই তারা দাবী করেন
এনিওয়ে এসব ছোটখাটো ভুল লেখার স্বাদ নষ্ট করেনি, ইমামুরাতে আপনার উৎসাহ দেখেই ভাবলাম উচ্চারণগুলোও ঠিকমতো হোক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সাধু। সাধু।
ব্যালাড কে কেমনে বেটল লিখলাম। সরি সরি সরি। ইমামুরার উত্তেজনায় বোধ করি।
"ওবাসুদ" উচ্চারণ আমি জানি না। আপনি সঠিক উচ্চারণ লিখে দেয়াতে আমি খুশি। এটাই তো ব্লগে মজা। আমরা কত অজানা জিনিষ জানি। ভুল করি। পরে শুদ্ধ জেনে প্রীত হই।
আপনার মুখবহির বন্ধু হতে চাই। আমাকে Subasish Das দিয়ে সার্চ করলে পাবেন। ( Baton Rouge )
শুভাশীষ দাশ
আমার সৌভাগ্য ... আপনাকে মুখবহিতে ইনভাইটেশন জানালাম
আমার নাম মুকিত
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন