ইয়েলের এমি হাঙ্গারফোর্ডের ছাব্বিশটা লেকচার য়্যুটুবে পাওয়া যায় যার বিষয় – ‘১৯৪৫ সালের পরবর্তীকালের আমেরিকান উপন্যাস’। কেরুয়াকের ‘অন দা রোড’ য়ের উপর ছিল সেখানে দুটা লেকচার। বীট জেনারেশনের লেখকদের চেনানোর জন্য উনি গিন্সবার্গের ‘হাওল’ দিয়ে ক্লাস আরম্ভ করেছেন। কবিতা লেখার ক্ষেত্রে ফুটনোট চালু করেন মর্ডানিস্ট কবি এলিয়ট তাঁর ‘দা ওয়েস্ট ল্যান্ড’ কবিতায়। অন্যদিকে ‘হাওল’ কবিতায় চওড়া একটা গৌরচন্দ্রিকা আছে।
হোলি! হোলি! হোলি! হোলি! হোলি! হোলি! হোলি! হোলি! হোলি! হোলি! হোলি! হোলি! হোলি!
পৃথিবী হোলি! আত্মা হোলি! চামড়া হোলি! নাক হোলি! জিহবা বা* হাত গু* সব, সব হোলি!
বাংলার হাংরি জেনারেশন এংরি জেনারেশন বীট প্রভাবিত বললে ভুল বলা হবে না। বারোজগিরির আগের পর্বে ‘নেকেড লাঞ্চ’ য়ের কথা বলেছিলাম। শুরুতে বারোজ কয়েক পাতার শুরুয়াত বুঝিয়েছেন। একটু বাংলা করি সেখানে থেকে-
‘নেকেড লাঞ্চ আমার শারীরিক গোলযোগ কিছুটা সামলেছে। বাজে বিরক্তিকর আর নৃশংস তরিকায়। যেমন খালি পেটে থাকলে অসুস্থতা কিছুটা পিছু হটে।লেখাটার কয়েকটা প্যারাকে লোকে চটি বলে ফেলে ।আসলে আমি ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের জেহাদে এসব লিখতে গেছিলাম – সুইফ্টের ‘মডেস্ট প্রপোজাল’ য়ের মত………………’।
নেশা, সমকামিতা, বাউন্ডুলে জীবনযাপন সবকিছু থেকে ওরা জীবনের ভাষা শিখতে চেয়েছিল। বলতে চেয়েছিল - মর্ডানিজম দিয়ে হবে না সাহিত্যে লিখে যেতে হবে জীবনের গান।
ক্রিয়েটিভ লেখালেখির মধ্যে মানুষ হয়ে আমরা হয় খারাপ আছি নয়তো ভালো আছি আর তাও না হলে কেমন আছি বুঝতে পারছি না – এর বেশি কথা কারো নাই। মাঝে মাঝে মনে হয় সব অসার কাজ। হাজার কবিতা, ছায়াছবি, চিত্রকলা, গান, গদ্য ইত্যাদি দিয়ে মানুষকে তার অমানবিক দিকগুলা থেকে ফিরানো যাবে না। মানুষ যুদ্ধ নোংরামি বাহাস এসব থেকে কখনো বেরিয়ে আসতে পারবে না। মানুষ হয়ে মনষ্যত্ব নিয়ে আমাদের আজীবন টানাহেঁচড়া করে যেতে হবে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নামের য়ুফোরিয়ার দেখা মিলবে না সেটা নিশ্চিত।
কিছু বলার পর কি সেটা ফিরিয়ে নেয়া যায়? আমরা যা লিখি বা পোস্ট করি। ফেসবুকে বা ব্লগে। মনুষ্যত্ব নিয়ে আমাদের ফাটকাবাজিকে কি করে থিয়োরাইজ করা যায় ?
লেখা হালকা এডিট করা হলো। শিরোনাম পাল্টে দিলাম।
মন্তব্য
ভাইরে এগুলো কি শিরোনাম দেন?
বদ্দা
নামে কি আসে যায়......
শুভাশীষ
ভাল লাগলো।
ফোর্ট হুডের ঘটনাটা পড়তে গিয়ে খালি মনে পড়ছে - দুনিয়া আসলেই আয়না। ষড়যন্ত্র আর বিশ্ব-দখলের দুয়া তুলে মুসলিম বিশ্বের এখন কি সেই দশাই না? এই শালার জন্য আমেরিকান মুসলিমদের আরো কয় লাখ গালি খেতে হবে কে জানে; আর এই গালির জন্য 'দোষ' কাকে দিবেন, আমেরিকানদের না মুসলিমদের?!
হাহ!
কেরুয়াকের লেখা আমি একবারে দেখছি - দাঁড়ি-কমা ছাড়া টানা লিখা, আমার ব্লগিং-এর সাথে হালকা মিল আছে।
সত্যি কথা হল, একটা পয়েন্ট পর্যন্ত এ কাজ করা যায়। ১১০ পোস্টের পর নিজের মধ্যের ট্রুথ অনেকাংশেই ফুরায় যায়, ভাল-মন্দ একটা কমিউনিটিতে নির্ধারিত হয়ে যায়, তারপরও সাপোর্ট থাকলে চলতে পারে, নাহলে আবার গুঁটিশুটি মারাই ভাল। বরং ক্রুসেডার কিংস গেমের এএআর পড়া যেতে পারে। ওবামার ওই কথা আমার খুব একটা ভাল লাগে নাই আরকি; তুমি প্রেসিডেন্ট হইতে চাও, ওই কাজ করো, আমি এক্সপেরিয়েন্সার হইতে চাই, আমারে আমার মত বকতে দাও।
কেরুয়াকের মধ্যে মনে হয় আরো ট্রুথ বাকি ছিল, স্যাচুরেশানে পৌঁছান নাই। দেখি, সামনে পড়বো নে। জিন্সবার্গ কেরুয়াক দুইটাই ইন্টারেস্টিং লোক। সুনীল পড়ে ক্ষিদা পুরা মিটে নাই।
সিরাত ভায়া,
ওবামার ঠুমরিটা আসলে অন্য প্রসঙ্গে দিলাম। মুখবহিতে ইদানীং মেয়েদের নামে নানান ফালতু একাউন্ট করে নাজেহাল করার প্রবণতা বেড়ে গেছে।বাংলাদেশে একটু বেশিই এসব হচ্ছে। সে কারণে।
আমার লেখা তো স্ট্রিম অভ কনসাসনেস ধারায় জাস্ট লিখে ফেলা। কুল কিনারা করা একটু টাফ।কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য দিচ্ছেন দেখলেই ভাল লাগে।
সুনীল দিয়ে তো ওসব বোঝা যাবে না। তাও কৃতজ্ঞ। নামগুলা তো আমার কানে উনিই প্রথম দিছেন।
আমরা যা পোস্টাই- সব যে মনের কথা তা কিন্তু না। এটা খসড়ার মতো।
নতুন জিনিষ জেনে ভোল যে পাল্টাবো না সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় কি? ভুল হবে পরে শুদ্ধ হবে। ঠিক বলছেন- নিরীক্ষাই তো।
ভাল থাকেন।
শুভাশীষ দাশ
শিরোনামের সাথে বিষয়ের কোন মিল খুঁজতে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট হলো।
তুমি পারবে শুভাশীষ, ইন্টারনেট দিয়ে, এর গতির ব্যবহার দিয়ে নিজের এবং অন্যদের (সবার নয়, অনেকের---ইট টেকস্ অল সর্টস টু মেক আ ওয়ার্ল্ড) জীবনকেও ইন্টারেস্টিং করে তুলতে। আমার নেটে শুধু গতিটার অভাব, সে কারণে তোমার ভিডিও ক্লিপগুলো দেখার লোভ থাকলেও ধৈর্য থাকছে না। নতুন নতুন ক্লিপ দেখানোর জন্য অনুরোধও জানাতে পারছি না। কিন্তু লেখার মধ্যেও অনেকের কথা নিয়ে আসতে পারছ, সেখানে যতই থাকুক না কেন চেতনাপ্রবাহ, কৌতূহলোদ্দীপক হয়ে উঠছে তো। আমার তো সচলায়তনের ওপর আগ্রহ এনে দিলে তুমি। ওঁরা আমার নামের পাশে লিখছেন -যাচাই করা হয়নি। কী যাচাই করা হয়নি, অতিথি লেখক কি না? আমিও জানি না। ক'টি সংখ্যায় আমার মন্তব্য তো ওঁরা প্রকাশ করেছেন, এভাবে লিখতে দিলেই হলো, নিয়মিত লেখক না-ই করলেন। অত লিখেই বা কী হবে, তুমিও যেমন বললে, এমন হতাশাও জাগবেই মনে, স্পর্শকাতর যারা, জাগবেই। এই তো স্ট্রিম অব কনশাসনেস। এই মনে এল একটি কথা, এর পরেই হয়তো এল বিপরীত কথাটি, কিংবা ঠিক বিরুদ্ধ কথাও নয়, অন্য কোনো ভাবনা। এটাই তো স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিকতাকে এড়াতে চায় বেশিরভাগ লোক, ভয় পায়। ভাবে এ কি অনাসৃষ্টি, জগৎ ভরে তো শুধুই নিয়ম, শুধুই নিয়ম, এই পাগলামি কেন আসে এর মধ্যে? তুমিও জানো, অনেক অনেক মানুষও জানে, তবু বলতে ভালো লাগে এইসব কথা ফিরে ফিরে। হ্যারল্ড পিন্টার-এর কথা কত জায়গায় কত বার যে লিখেছি। ভালো লেগেছিল খুব। স্বাভাবিক কোনটা? ভেবেছিলেন তিনি, একটা টেপ রেকর্ডার নিয়ে বাইরে ভিড়ের মধ্যে বেরিয়ে যদি লোকের কথা শুনি এবং পরে তা শুনতে বসি তবে কী শুনব? এক বক্তার কথার সঙ্গে অন্য বক্তার কথা মিলেমিশে কেমন জগাখিচুড়িই না হবে তখন! কেমন যে chaotic. তবে বানানো, সাজানো কথাই কি অর্থময়, না, প্রকৃত বাস্তবতাটা অন্যত্র, ওই আবোলতাবোল শব্দে ও ভাষায়? ইত্যাদি। ইয়েনেস্কোর নাটকে এসেছে, বেকেটেরও, এইসব ব্যাপার। তা-ও বহুকাল হয়ে গেল। তারপর এসবেরই প্রভাবে কত হাজার, লক্ষ নাটক লেখা হলো, গল্প, উপন্যাস, কবিতা লেখার জোয়ার বইল। তারপরও এখনও অনেক অনেক মানুষ এসব দেখে-পড়ে চোখ ওল্টায়, জঙ্গি লেলিয়ে দিতে চায়। সে ব্যাপারেও বলে রেখেছেন আলবের কামু বাবাজি, বলেছেন, ইফ য়্যু হ্যাভ এনি এক্সপেরিয়েন্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড, নাথিং উইল সারপ্রাইজ য়্যু। হা হা হা।
সদস্য পরিচয়- guest_writer
পাস ওয়ার্ড - guest
লিখে ঢুকলে 'যাচাই করা হয় নি' লেখাটা আসেবে না।সেক্ষেত্রে নিজের নাম দিতে হবে নিচে।
সবাই সহজ জিনিষ চায়। নিয়মের জিনিস চায়। তাছাড়া এবসার্ড ঘরানা ফিকশনে থাকলে ও নন-ফিকশনে বেশ কম।নন-ফিকশন মানেই যেন প্রচুর ধারাবাহিক কথা , তথ্যের পর তথ্য , সাজানো গুছানো আলমারি।অচেতন সেখানে ঢুকে গেলে বিপদ।
ছবি নিয়ে কথা বলা , বই নিয়ে কি লেখালিখির ঘরানা নিয়ে বাৎচিতে নিয়ম মানতে হবে কেন? আর শিরোনামের সাথে বিষয়বস্তুর মিল !!!!!!!!!!!! হাআ...............
দেখেন এখানে পাঠককে কোন বিশেষ সিনেমার প্রতি আগ্রহী করার প্রচলিত নজির ।
আপনার মন্তব্য পড়লে জোর পাই। সরাসরি ঠুমরিগুলা দেখা না গেলে
ডাউনলোড করে দেখতে পারেন। তখন আর কেটে কেটে আসবে না।
শুভাশীষ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন