• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

তাইওয়ানী সিনেমার নয়া তরঙ্গ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ০৮/১১/২০০৯ - ১:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুভাশীষ দাশ

সব চলচ্চিত্রে একই চরিত্র একই ধরণের কাহিনীসাই মিং-লিয়ং ( ২৭ অক্টোবর ১৯৫৭-  )সাই মিং-লিয়ং ( ২৭ অক্টোবর ১৯৫৭- )

এডোয়ার্ড ইয়াং আর হউ শাও শিয়ান তাইওয়ানী সিনেমার নয়া তরঙ্গ ধারার পয়লা
কাতারের লোক। একদিকে হলিয়ুডি সিনেমা অন্যদিকে হংকংয়ের সিনেমা দুটার জাঁতায়
পড়ে তাদের নিজেদের সিনেমার বেহাল দশা আরম্ভ হয় ১৯৭০-৮০ সালের দিকে। হউ'র
‘আ সিটি অভ স্যাডনেস’ দিয়ে প্রথম নিজের দেশের লোককে কিছুটা হলমুখী করানো
সম্ভব হয়।এর পরের ধারার মানে ‘সেকেন্ড ন্যু ওয়েভ’ ধারার গুরু বর্তান সাই মিং লিয়ং।
নানান ফিল্ম ফেস্টিভলে লিয়ংয়ের সিনেমা পুরষ্কার পেতে থাকে। তাইওয়ানের লোক প্রথম
মুখ ফিরিয়ে ছিল এখন পরিস্থিতি কিছুটা লিয়ংয়ের দিকে , আস্তে আস্তে দর্শক কিছুটা ঝুঁকছে।
এং লি এই দ্বিতীয় ধারারই লোক।তাঁর বিখ্যাত সিনেমা ‘ক্রাউচিং টাইগার হিডেন ড্রাগন’।

আমার দেখা লিয়ংয়ের প্রথম সিনেমা ‘হোয়াট টাইম ইজ ইট দেয়ার’।এটা তাঁর নয়টা সিনেমার
মধ্যে পঞ্চম। লি কেং-সেংকে নিয়ে তাঁর প্রত্যেকটা ছবি। একটা সিনেমার সাথে আরেকটা
সিনেমার মাঝে যোগসূত্র ও থাকে অনেক সময় ।‘হোয়াট টাইম ইজ ইট দেয়ার’ আমি পরপর
আট নয় বার দেখে ফেলি। আমি একটা ছবি বানাবো- এটা আমার ও একটা খায়েশ।
দেখার পর বুঝলাম আমার গুরু হবেন এই ভদ্দরলোক। আমি যদি কখনো ছবি বানাই তবে
লিয়ংকে অনুসরণ করবো অন্ধভাবে, একদম অন্ধভাবে।বই পড়ার ক্ষেত্রে ছফার ‘পুষ্প বৃক্ষ
বিহঙ্গপুরাণ’ পড়ে আমার মধ্যে কি যেন হয়ে গেছিল।ছফা তাৎক্ষণিকভাবে গুরু হয়ে
মাথায় চড়ে উঠলেন।আর নামেন নি।নামার সম্ভবনা ও কম।

‘হোয়াট টাইম ইজ ইট দেয়ার’ য়ের পরবর্তী সিকোয়েল ‘দা ওয়ে ওয়ার্ড ক্লাউড’।
মাঝখানে বানিয়েছেন ‘দা স্কাই ওয়াক ইজ গোন’। দুইটা ছবির লিঙ্ক হিসাবে। একুশ মিনিটের
এই ছোটদৈর্ঘ্যের সিনেমার শেষ তিন মিনিট ক্যামেরা তাক করে ছিল আকাশের দিকে।
আর বাজছিল পুরানা চীনা গান- বনের মধ্যে ঢুকে পড়ে দেখি, সেখানে অনেক অনেক
গাছ………

‘দা স্কাই ওয়াক ইজ গোন’- প্রথম অংশ

‘দা স্কাই ওয়াক ইজ গোন’-দ্বিতীয় অংশ

তাইওয়ানী সিনেমার ‘সেকেন্ড ন্যু ওয়েভ’ বুঝতে হলে লিয়ংকে জানা জরুরী।‘দা ওয়ে ওয়ার্ড
ক্লাউড’ তাঁর সবচে বিতর্কিত সিনেমা।লিয়ং নিজে কিভাবে ব্যাখ্যা করেন তাঁর এই সিনেমাকে।

সিনেমায় পর্ণোগ্রাফি

আমার সিনেমায় এটা প্রথমবার না।‘রেবেলস অভ দা নিয়ন গড’ বানানোর পর থেকে
আমার সিনেমায় সেক্স নিয়ে নাড়াচাড়া হয়েছে। চীনা পরিচালকদের মধ্যে আমিই প্রথম স্বমেহন
সিন চিত্রায়িত করি। ‘ভিভা লামোর’ ছায়াছবিতে।যৌনতা আমার কাছে একদম স্বাভাবিক
একটা ব্যাপার। কিন্তু চীনা সমাজে এটা টাবু- জনসমক্ষে বলার জিনিষ না। সেখানে
সিনেমায় এটা আসে- সরাসরি না, একটু ঘুরিয়ে দেখানো হয়।আমার সিনেমায় আমি ঘুরিয়ে
দেখাতে চাই নি। যা দেখিয়েছি একদম সরাসরি।এজন্য আমি এতো বিতর্কে মুখিয়ে থাকি।
অনেকে বলেন আমি বিকৃতরুচির।পরে কেউ কেউ কথা ফিরিয়ে নিয়েছে। আরো একটা
বিষয়- সমকামিতা নিয়ে বলা।লোকজন একেবারে নড়েচড়ে বসে ।আমি এই বিষয় নিয়ে
আসতে কখনো অস্বস্থি বোধ করি না। আমি একদম সহজভাবে দেখিয়ে যাই। ‘দা রিভার’
সিনেমার বাবার চরিত্রটা সমকামি।সোয়ানায় অন্ধকারে নিজের ছেলের সাথে তার
সমকামের সিনটা নিয়ে লোকে আমাকে যা তা বলেছে। সমকাম অজাচারের ঝান্ডার বাহক
আমি না।আমার কথা হলো একাকীত্বে আমরা নানান খতরনাক কিছু করে ফেলি।আমার
কাজ হলো কেবল দেখানো। মানুষে মানুষে যে সম্পর্ক, যৌনতা হয়তো তাকে নতুনভাবে
ভাবতে শেখায়।‘দা ওয়ে ওয়ার্ড ক্লাউড’ বানানোর সময় আমার কেন জানি মনে হয়
আমাদের সমাজ সেক্সকে নিয়ে কথা বলায় খানিকটা ম্যাচুরড হয়েছে।কারণ নানান সহজলভ্য
ভিডিও, চ্যানেল আর ইন্টারনেট। আপনি চাইলেই সব আপনার হাতের কাছে।আগে তাইওয়ানে
সেক্স টয় অতো পাওয়া যেত না। এখন মোড়ে মোড়ে পাবেন।এডে দেখানো হয়। টিভি
শোর হোস্টরা নানান কিছু নিয়ে কথা বলে – সেক্স টয়, ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড,সমকামিতা।
যদিও মনে হয় পাবলিক এখনো একটু অস্বস্থিতে পড়ে সামনে কথা উঠলে।আমি ভাবলাম
আমার ছবির নায়ক লি কেং-সেংকে পর্ণোশিল্পে অভিনেতা করে ঢুকালে সে কেমন করে সব
সামলাবে।তার মধ্যে কি ভালবাসার মতো কোন বোধের অবশেষ থাকবে? সে কি আর
কাউকে ভালবাসতে পারবে? সিনেমাটা বানানোর পেছনে আমার এই কারণ মুখ্য ছিল।

সব চলচ্চিত্রে একই চরিত্র একই ধরণের কাহিনী

চেন সিয়াং চি আর লি কেং-সেংয়ের প্রথম দেখা হয় ‘দা রিভার’ ছবিতে। তখন ওই সিনেমায়
তাদের পরিচিতি ভিন্ন ছিল।তারা ছিল বন্ধু । চেন কাজ করতো ফিল্মের সেটে।একটা এডের
পরিচালকের সাথে লিকে সিয়াং পরিচয় করিয়ে দেয়।পরে হোটেলে তাদের মধ্যে ওইসব
ও হয়।তারপর চেনের আর কোন খোঁজ নাই পুরা সিনেমায়।ওই ছবিতে তাদের মধ্যে কোন
সম্পর্ক গড়ে উঠে নাই। তারপর তাদের মধ্যে দেখা হয় ‘হোয়াট টাইম ইজ ইট দেয়ার’
সিনেমায়।সেখানে চেন পথচারী আর লি ওভারব্রীজের উপর এক ঘড়ি বিক্রেতা।চেন প্যারিস
যাচ্ছিল। লি তার কাছে একটা ডুয়েল-টাইম ঘড়ি বেচে। এরপর আমার বানানো ছোটদৈর্ঘ্যের
ছবি ‘দা স্কাই ওয়াক ইজ গোন’ য়ে তারা আবার হাজির হয়।চেন ঘড়ি বিক্রেতা লিকে খুঁজে
বেড়াচ্ছিল।কিন্তু ওভারব্রীজটা সেখানে আর নেই।তাইপের সে স্কাই ওয়াকটা
ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। লিকে খুঁজে পাবার তার সব চেষ্টা বিফল হয়।সেখানে দেখা যায়
লি পর্ণোশিল্পে নাম লেখানোর ট্রায়াল দিচ্ছে।তাদের আবার ভালোমতোন দেখা হয় ‘দা
ওয়ে ওয়ার্ড ক্লাউড’ সিনেমায়।আমার সবগুলা সিনেমার নিজের গল্প আছে। আবার পুরা
ভাবলে একটার সাথে আরেকটার যোগ আছে কোন না কোন দিকে। বলা যেতে পারে
একটা ধারাবাহিক গল্পের নানান ঠুমরি।আমার সিনেমার প্রত্যেক চরিত্র নানান সময়ে নানান
পরিস্থিতিতে পড়ে একই চরিত্রের ভিন্ন পরিচয়কে সামলাচ্ছে।‘রেবেলস অভ
দা নিয়ন গড’ য়ে লি ছিল ছাত্র।‘দা রিভার’ ছবিতে সে একজন বেকার।ঘাড়ব্যথা অসুখে
কাহিল হয়ে কিছু সে করতে পারছে না।‘হোয়াট টাইম ইজ ইট দেয়ার’ য়ে সে রাস্তায়
ঘড়ি বেচে।তারপর তো এই সিনেমা। এমনকি তার নিজের পরিচালনায় করা ‘হেল্প মি
ইরোজ’ ছবিতে সে একজন শেয়ার বাজারের ধরা খাওয়া বিনিয়োগকারি।বলা যায় লি
আমার প্রত্যেক সিনেমায় আসছে লি হিসাবে তবে তার পরিচয় নানান রকম ছিল।
নানান পরিস্থিতিতে তার আচরণ কেমন হবে সেটা আমার দেখানোর প্রধান বিষয়।অন্যান্য
চরিত্রের সাথে সে কিভাবে মিশতে পারছে কি পারছে না।আমার সিনেমায় দর্শকরা দুইটা জিনিষ
পাবেন।একটা আমি কি দেখাচ্ছি আবার সাথে সাথে লি কি করছে ওই চরিত্রের বাটে পড়ে।
সেম লোক একটার পর একটা সিনেমায় কিভাবে পাল্টাচ্ছে।সময়ের সাথে সাথে সে বুড়োচ্ছে।
নানান ঝামেলায় ঢুকে তার আচরণ পাল্টে যাচ্ছে।ভাল করে দেখলে বুঝবেন তার অভিজ্ঞতা
খুবই সামান্য আর সাধারণ।আমার সিনেমায় কোন গল্প নাই- পাবেন সেখানে কেবল সিম্পল
লাইফ।জীবনের নানান গল্প প্লটের কোন বালাই আমি রাখি না –দেখানো হয় সব তুচ্ছ তুচ্ছ
ঘটনা।দেখতে গিয়ে লিয়ের মধ্যে দর্শক নিজেকে দেখতে পাবেন।আমরা সবাই বড় হই,
পাল্টে যাই , নানান ওঠানামার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়।আমার একটা চাওয়া-
আমার সিনেমা দেখে,লি কে দেখে দর্শক নিজেকে বের করে আনুক।

চরিত্রের মৌন আচরণ

যখন আমি একা থাকি আমি কথা বলি না।আমার যাবতীয় খেলা একাকীত্ব নিয়ে।এ ব্যাপারে
আমার নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাই।আমার দাদু আমাকে মানুষ করেছেন।আমার জীবনের
বেশির ভাগ সময় কেটেছে একা একা।তবে আমি মজা পেতাম একা থাকতে।টাফুর ‘চারশো ব্লো’
আমি দেখি বিশ বছর বয়েসে।ওই ছেলেটার সাথে নিজের অনেক মিল পেয়ে যাই।এন্থনি
চরিত্রটা স্কুল পালিয়ে প্যারিসের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে।সে বাসায় ফিরতে চায় না।দেখে মনে
হলো – আরে সব তো আমার কথা।ছবিটা এতো ভালো লেগেছে অথচ কার সাথে কথা বলি
এসব নিয়ে।নিজের সাথে নিজের চুপচাপ কথা সেরে নেয়ার খেলাটা তখন আমি খেলতে শুরু
করি।পুরা শহরে ঘটে যাওয়া নানান কিছু নিয়ে নিজের মধ্যে আমার মৌন আড্ডাটা জমে
ওঠে।একাকী থাকলে মানুষ মেকি আচরণ কম করে।আমার সিনেমায় কোন জায়গায় পুরা
বাস্তব কিছু ফুটানোর প্রয়োজন পড়লে আমি চরিত্রকে একাকী করে দেই।দেখি ওই সময়ে ওই
জায়গার তার চেহারা কি দাঁড়ায়।আমার চরিত্রের দুটা দিক আছে।বাস্তবে আমি কি সেখান
থেকে বোঝা যাবে। বাজারে গেলে লোকজনের সাথে আমি যথেষ্ট বাচাল হয়ে পড়ি।আমি
একদিকে খুব দিলখোলা মানুষ।অন্যদিকে একদম মৌনী মাঝে সাঝে।একা থাকার সময় কি
ছবি বানানোর সময় আমার চুপে থাকার বাতিক কাজ করে।আমার সিনেমায় আমার
ভিতরের মানুষটা বের হয়ে আসে।

পানির স্বল্পতা,দূষণ,রোগবালাই- পৃথিবীর এন্ডাগান্ডা সমস্যা

আমি মনে করি আমাদের জীবনে ঝামেলা লেগেই থাকে ।নানান প্রবলেমের মধ্যে নিজেদের
আবিষ্কার করি।কিছু ক্ষেত্রে আমরা দায়ী থাকি, অন্যগুলো আপনাআপনি আসে।ঝামেলাকে
কেমনে মোকাবেলা করা যায় এটা নিয়েই জীবন।প্রেম এসবে মুখ্য নাও হতে পারে।হঠাৎ দেখা
যাবে কোন জায়গায় লিক কিংবা পানি নেই কলে।আমাদের ভেতরের জগতের মতো বাইরের
জগৎ ও নানান ঝামেলায় হাবুডুবু খাচ্ছে।আমি দর্শকদের সেগুলা দেখাতে চাই।আমার নিজের
জীবনে পানির অনেক বড় রোল আছে।তাইওয়ানে আমি যখন ছাত্র হিসেবে যাই আমি ডর্মে
কিংবা স্বস্তা ফ্ল্যাটে থাকতাম।যত জায়গায় ছিলাম প্লাম্বিং সমস্যা লেগেই ছিল।একবার
বাথরুমের পানি উপচে পুরা ঘর ভেসে গেল।এগুলা সবার কমন সমস্যা।তবে আমার এসব
সামলাতে বেশ কষ্ট পেতে হয়।একদিন একজন এসে আমার দরজায় নক করলো।বললো
সে নিচতলায় থাকে আর তার বাসার ছাদ চুপসে পানি পড়ছে। সে আমার মেঝেতে গর্ত
করতে চায়।আর সেটা সে করে একমাসের জন্য লাপাত্তা।একমাস গর্তটা সেখানে ছিল।
আমি আমার নিচের খালি ফ্ল্যাট দেখতে পেতাম সে ছিদ্র দিয়ে।কেন জানি না আমার ক্ষেত্রে
নানান ঝামেলা থেকে কখনো মুক্তি মিলে নাই।অন্যরা ও আমার মতো এসব গাড্ডায় পড়েন
আমি জানি।লোকে প্রেম চায় কিন্তু সঠিক সময়ে কি আদৌ আসে? যাকে আমি ভালবাসি
সে হয়তো অন্যকে চায়। উল্টাটা ও ঘটে।কারো সাথে মিলনের তীব্র ইচ্ছাটা
মিলনের পর বেমালুম গায়েব হয়ে যায়।আমার সিনেমায় তাই আমার জীবনের সমস্যার
প্রাধান্য থাকে।যেমন রোগবালাই।আমাদের শরীরে নানান রোগের ঘরবসতি।রোগে পড়লে
সেটাকে অস্বীকার করা যায় না।তোমার পেট আপসেট কিন্তু খাওয়া একদম বন্ধ করা
যায় না।ছোট ছোট সমস্যা জীবনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখায়।রোগ আর বেঁচে
থাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।লির নয় মাস মারাত্মক ঘাড়ব্যথা ছিল।কিছুতেই সারছিল
না। ডাক্তার তো বলেই দিল- এটা সারবে না। কিন্তু পরে একদিন দুম করে কমে গেল।
সে সময়ে আমার মাথায় ভালোমতোন এলো রোগে পড়ে থাকার চে খারাপ আর কিছু হতে পারে
না। এ কারণেই আমার সিনেমায় এতো যাপিত জীবনের প্রবলেম। আমি এগুলা থেকে বেরোতে
পারি না।যেমন মৃত্যু।আমার বাবার মৃত্যু – এরচে বেশি গুরুত্বের কি হতে পারে?আমার
সব সিনেমায় আমার জীবনের অভিজ্ঞতা ফুটে আসে। আমার কাছে আমার বাবার মৃত্যুর মানে
কি তা আমি জানতে চাই।অসুস্থতা মানে কি? পানির লিকেজ কেন হয়? আমি এসব দেখাই
কারণ আমার নিজের অনুভূতি নষ্ট হয়ে যায় নি তার প্রমাণ হিসেবে।নানান কিছু আমাদের
মনোজগৎকে প্রভাবিত করে। এসবকে পাত্তা না দিয়ে কিছু করা মানে মেকি। এসবকে সামলে
এগোনোই হলো জীবন।আমি অন্ততঃ এভাবেই বুঝি।

একটু আমার কথা বলি। নিজের সিনেমা নিয়ে সাইয়ের কথাবার্তার দুটা ভিডিও আমি নামাতে পেরেছিলাম।তখনো তার সব সিনেমা দেখা হয়নি। ‘দা ওয়ে ওয়ার্ড ক্লাউড’ তখনো দেখি নাই। আগে এই কথাবার্তার ভিডিওটা দেখেছিলাম।তারপর সিনেমাটা।পর্ণোগ্রাফিকে নিয়ে সিনেমা বানিয়ে পর্ণোগ্রাফিকে আস্তাকুড়ে ফেলার হাত সবার থাকে না- সাই সেটা পারেন তা প্রমাণ করেছেন। কথাবার্তার ভিডিওটায় সাবটাইটেল ভিডিওর সাথে এমবেডেড।আলাদা এসআরটি নাই।পস করে করে লেখাগুলা পড়ে তারপর বাংলা করছি।বেশ ঝামেলার কাজ ।সত্যজিৎ রায়ের আগন্তুক প্রথমবার দেখার কথা মনে পড়ছে। আমি তখন চট্টগ্রাম কলেজিয়েটে ক্লাস নাইনে পড়তাম।সে সময় ভিসিপির যুগ । সিনেমায় দাদু যখন নাতিকে নিজের সম্পত্তির ভাগ দিয়ে যান- যাবার সময় যা বলেছিলেন ভিসিপিতে নানান কসরৎ করে টুকে খাতায় লিখেছিলাম যাতে পরদিন বন্ধুদের কাছে গিয়ে বলতে পারি। ফ্লকসিনোসিনাহিলিপিলিফিকেইশান।অর্থঃ আপাতদৃশ্যে কোন কিছুকে অর্থহীন ভাবা।

মিউজিকাল

আমার খুব অল্প জিনিষ ভালো লাগে।কিন্তু যেটা ভালো লাগে আমি মনেপ্রাণেই ভালো লাগাই।
‘দা হোল’ সিনেমায় আমি প্রথম ক্লাসিকাল চীনা গান ঢুকাই।১৯৩০ সালের দিকে
সাংহাইয়ের জাও জিয়ান , লি জাংলাং, বাই গোয়াং এদের করা গানগুলা আমার খুব পছন্দের।
আর ভালো লাগতো স ভাইদের সাউন্ডট্রেকগুলো – আমি ছোটবেলা থেকে এ ধরণের গান
শুনে আসছি।সে সময়ের তাইওয়ানী গানগুলা আমার অনেক পছন্দের।আমি আসলে বুড়া
লোক, আধুনিক পপ গান আমি বুঝি না।একটা বয়েসের পর তো আমরা থেমে যাই , না?
ভার্সিটিতে পড়ার সময় গানগুলো আমাকে ঘিরে ছিল। ছোটবেলা থেকে শুনতাম কিন্তু ওভাবে
তখন মাথায় গাঁথে নাই।মালয়েশিয়া ছেড়ে যখন তাইওয়ানে আসলাম দেখা গেল
আমার পছন্দের গান কেউ শোনে না।আমার সাথে পুরানা ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল।আমার মনে
অদ্ভুত অনুভূতি হল। এরা কেন এখনকার দিনে অচল হয়ে গেলেন।১৯৭০ সালের আগের গান
আমরা আর শুনতে চাইছি না।পৃথিবী বোধ করি এক ধাপ এগিয়েছে।আমার ও প্রবেশ ঘটেছে
সেই নতুন জগতে। কিন্তু সেখানকার সবার পছন্দের সাথে আমার মিলমিশ হচ্ছে না- নিজেকে
এলিয়েন বলে মনে হচ্ছে।সবাই পারে কিন্তু কেন আমি পপ গান শুনতে পারি না? আমি
আমার মতো গানগুলো শুনে যেতে লাগলাম।আমি পুরানা চীনা ক্লাসিকাল শুনি সবসময়
অরিজিন্যালগুলো ,রিপ্রডোকশান শুনতে ভালো লাগে না।তাইওয়ানের সাই-চিন চীনা পুরানা
সব গান গেয়ে এলবাম করেছে।আমার ভাল লাগে না শুনতে।আমার ভালো লাগে গ্রেস চেং
কি বাই গোয়াং এদের গলায় শুনতে ।নকল গলায় এদের কথা ফোটে না।ওই সময়ের গান ওদের
গলায় কিংবা গায়কিতে যেভাবে আসে একটা যুগের প্রতিনিধিত্ব পুরা ফুটে ওঠে। আমি ভাবলাম
গ্রেস চেংয়ের গান আমার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।এখন যে পৃথিবীতে আমি আছি
আমার সেটা ভালো লাগছে না।আমার অপছন্দ আমি জানাতে পারি এসব গান দিয়ে।আমার
সামনের পৃথিবী আমার কাছে ঠান্ডা মেরে গেছে- আমার ভালোবাসার গান দিয়ে আমার
জগৎ আমি বানাই- আমার সিনেমার জগৎ।দর্শক জানুক পুরানা গান শুনতে কেমন লাগে।
ভবিষ্যতের লোকদের দেখানো দরকার আমাদের পুরানো ভালো কি কি ছিল।তাই গান
এখানে অনেক গুরুত্বের।সুর ব্যবহার করার সময় আমি অনেক সতর্ক থাকি।আমাদের
এখনকার জীবনে পুরানো জিনিষের প্রবেশ নাই বললেই চলে।নাই যে একেবারে তা কিন্তু না ,
আমরা খেয়াল করতে পারি না।আমরা ভালোবাসতে চাই ভালোবাসা পেতে চাই- সৃষ্টির
শুরু থেকে এর চল শুরু।নতুন কি কোন কথা কারো আছে , কারো গানে ? মজার কথা
নতুন ছেলেপিলেদের কাছে এসব গান নয়া গান। ভাবছে আরে হেভি কুল গান। তার মানে
এখনকার পৃথিবীর সাথে বেমানান নয় একেবারে।‘দা ওয়ে ওয়ার্ড ক্লাউড’ য়ে আমি অনেক
কয়টা গান ব্যবহার করেছি।কিছু গান সময়কালের মধ্যে বেঁধে রাখা যায় না। আবার ধরেন
ষাটের দশকের মার্কিন কিছু গান কি জার্মানির আটশুলের গান।একটা কালকে ওসব গান
প্রতিনিধিত্ব করেছে।কিন্তু আজকের দিনে কি আমরা এসব গান শুনি? কেবল গান নয়,
যুগের সাথে সাথে অনেক কিছু হারিয়ে যায়।গান কি ভীষণ কাজ করে।সে তার শরীরে একটা
যুগকে বেঁধে ফেলে।আমরা পরে খুঁটিয়ে বুঝে নিতে পারি।

‘দা ওয়ে ওয়ার্ড ক্লাউড’ কাহিনীর শুরুয়াত

আমার প্রত্যেক সিনেমার সাথে আমার জীবনের নানান কিছুর মিল খুঁজে পাওয়া যাবে।আমি ১৯৯৮ সালে তাইপে ছাড়ি , চলে যাই মালয়েশিয়ায় ‘আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু স্লিপ এলোন’ বানাতে।আমার প্রচুর খালি সময় ছিল। মালয়েশিয়ার ফ্ল্যাটটাতে কোন টিভি ছিল না।একটু একটু স্ক্রিপ্ট লিখছিলাম আর নানান কিছু মাথায় আসছিল।এক সময় আমি বুঝে গেলাম আমার

পরের ছবিতে লি করবে পর্ণো অভিনেতার চরিত্র। পর্ণো কথাটা মাথায় আসলে যেভাবে
যৌনতা সামনে চলে আসে অন্য কিছুতে সেভাবে আসে না।আন হুইয়ের কথা ভাবছিলাম।
সে আন্টির রোল করবে।লি হবে তার বোনের ছেলে।তখনি আনকে ফোন করলাম।
জানালাম –‘তোমার বোনের ছেলে এরকম রোল করবে।আর তুমি তাকে সব জমানো টাকা
দিয়ে দিবে’।আন জানাল তার মার্কেট আর নাই।জোসেফাইনকে ফোন করতে
বললো।সব শুনে জোসেফাইন আগ্রহী হল না।আমি মোটামুটি খসড়া করলাম।চীনা
ক্লাসিকাল গানের নাম নিয়ে ‘দা ওয়ে ওয়ার্ড ক্লাউড’ সিনেমার নাম দিলাম। বাই গোয়াংয়ের
গান। এই নামে মার্কিন দেশে একটা কান্ট্রি সং ও আছে।একটা কাউবয় সিনেমার মতো বানাতে
চাচ্ছিলাম।চেনের কাজ ছিল লিকে সেখান থেকে বের করে আনা।আনের ও কাজ ছিল
লিকে সেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে ফিরিয়ে আনা। মনে হবে যেন অনেকটা জন ফোর্ডের সিনেমা।এগুলো
সব ছিল আমার প্রাথমিক চিন্তাভাবনা।সিনেমাটা আর বানানো হয় নি তখন। ‘আই ডোন্ট
ওয়ান্ট টু স্লিপ এলোন’ বানানো শেষ করলাম। ছোটদৈর্ঘ্যটা বানালাম।‘দা স্কাই ওয়াক
ইজ গোন’ ।সে সময় আবার ভাবনা মাথায় আসলো। ওভারব্রীজ ওখানে নেই- টাকার
জন্য লি তো ওরকম ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকতেই পারে।এভাবেই মূল ধারণা তৈরি হল।আনের বদলে
সিয়াংকে নিলাম।কাহিনী এদিক ওদিক পাল্টালো ।আমি মূল ঠিক রেখে অনেক কিছু বদলাই
সেটে গিয়ে। আমার চিন্তা ছিল লি এই কাজে ঢুকলে সে কি আর কাউকে ভালবাসতে পারবে।
সে কিভাবে নিজেকে সামলাবে?একটা কথা আমার মনে হয় - প্রেম জীবনে এমন সময়ে আসে যখন বোঝাই যায় না কিভাবে এসে গেছে।

সম্পর্ক

সম্প্রতি এক জ্যোতিষী্র কাছে গেছিলাম।সে আমাকে কিছুক্ষণ ভাল করে দেখে বললো-‘সাই তোমার মাথায় সেক্স বিনা কোন গীত নাই, পুরা মাথা জুড়ে খালি ওইসব’।চোখ খাটলে তো নানান কিছু মাথায় আসে। আমার যে আসে না তা কিন্তু না। হয়তো একটু বেশিই আসে। আমার সিনেমাগুলোয় যৌনতা এসে যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভালোবাসার পরিণতি হিসাবে না কোন প্লেজার নাই, নানান বাজে জায়গায় অনর্থকভাবে সব ঘটে গেছে।যেমন ‘দা রিভার’ য়ে মিয়াও টিনের সাথে লির যে সম্পর্ক কিংবা ‘ভিভা লামোর’ য়ে সেই ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড, ‘হোয়াট টাইম ইজ ইট দেয়ার’ সিনেমায় লির সাথে গাড়িতে যেটা হলো কিংবা বালিশ নিয়ে তার মায়ের সিনটা। সাদা কথায় যা হয়ছে তা প্রেমের ফসল না।আমার তো মনে হয় মানুষের জীবনে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অনেক কিছু ঘটে।প্রেম থেকে যেগুলার পয়দা না।এদিক দিয়ে আমাদের সিনেমা হলিয়ুড থেকে ভিন্ন।প্রেমের পর কারো সাথে প্রথম প্রথম কিছুদিন সবকিছুতে আগ্রহ থাকে।তারপর কি আর কোন ভালোবাসার অবশেষ থাকে?কিছুটা হয়তো থাকে কিন্তু আগের সেই টান আর পাওয়া যায় না।মানুষ কিছু আদিম আচরণ থেকে বেরোতে পারে নি- তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ।সেই কারণে বোধহয় এই খারাপ ছবির শিল্প এখনো বহাল তবিয়তে আছে।আমরা যারা দেখছি সবার একই ঘটনা- আমাদের হাতে একটা রিমোট থাকে। আমরা অপছন্দের জায়গাগুলা টেনে টেনে দেখে ফেলি।পৃথিবীতে পর্ণো ছবিতে নতুন কিছু নাই। কেবল মুখ পরিবর্তন হয়।কিন্তু লোকে কেন দেখছে? শুধুমাত্র নতুন মুখ দেখবে বলে। একদম যেন কনস্যুমার প্রোডাক্ট।ব্যবহার করছি আমাদের কাম নিয়ন্ত্রণের জন্য।এক হিসাবে ভয়ানক অস্বস্থিকর ব্যাপার।এসব সিনেমা যখন বানানো হয় তখন সব দেখে মনে হয় সেক্স একটা কাজ ছাড়া আর কি।এখান থেকে যে উৎপাদনটা হবে তা লোকে নির্জনে অন্ধকারে রিমোট হাতে নিয়ে দেখবে।পুরা ব্যাপারটাই নোংরা।‘দা ওয়ে ওয়ার্ড ক্লাউড’ য়ের দর্শকদের জন্য সেটা আরো ভয়ানক। পর্ণো দেখতে এসে তারা দেখবে এসব কিভাবে বানানো হয়।সবকিছু তারা দেখবে কিন্তু ক্রু সহ – কিভাবে বানানো হচ্ছে এ ধরণের ছবি। আর স্বাভাবিকের চে অনেক দীর্ঘক্ষণ।হাতে রিমোট নেই যে টেনে দিবে। উঠে চলে যদি না যায় তাদের বসে থেকে দেখে যেতে হবে। সুতরাং ভালো করে বিচার করলে আমার ছবি এন্টিপর্ণো একটি ছবি।অনেকে আমার ছবির পোস্টার দেখে দেখতে এসে উঠে চলে গেছে। আমার ছবি নামলে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়। এটা এক দিক দিয়ে ভাল।এই সময়ে আমি যে বিষয়ের উপর ছবি বানালাম তার প্রভাব কতোটুকু তা আমি দেখতে চাই।আমার সিনেমার চরিত্ররা অতৃপ্ত। লি এতো কিছুর পর ও চেনকে পেতে চায়। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে এটা হল।এক হিসাবে নৃশংস ভাবে।জাপানী যে মেয়েটাকে নিয়ে আমি সিন করালাম দেখা গেল সে অনেকটা লাশের মতো। মৃত না লেকিন অচেতন।তারপরে ও চিত্রায়ণ চলছে।আমি বোঝাতে চাইছি- এরকম ছবি বানানোর সময় শরীরের কোন জায়গা মৃত হলে ও কোন সমস্যা নেই , ঠিক একইভাবে আমরা যারা দেখছি তারা ও শরীরের কোন না কোন জায়গা মৃত রেখেই দেখছি।ছবিটা বানানোর সময় কি পরে ও আমি বেশ অস্বস্থিতে ছিলাম।আমাদের চারপাশে ফাটকাবাজি দেখে আমি ছবিটা বানিয়েছি।রাগের চোটে।

তরমুজ

তাইওয়ানে তরমুজ বেশ জনপ্রিয় ফল।আমাদের ওখানে বিক্রির ব্যাপারটা ও বেশ মজার। অর্ধেক কেটে সাজিয়ে রাখা হয়।জুলাই মাসে প্রচুর পাওয়া যায়।কাটা অবস্থায় লাল টুকটুকে লাগে। দোকানদাররা লাল বাতি জ্বালিয়ে রেখে লোকজনকে আকর্ষণ করে। দেখলেই আপনার খেতে মন চাইবে।এশিয়ার লোকজনের কাছে তরমুজ নিয়ে বেশ টান আছে। মালয়েশিয়ায় আমাদের ফ্রিজ ছিল না। আমরা পানিতে চুবিয়ে রাখতাম যাতে ঠান্ডা থাকে। গরমকালে খেতে ভারী মজা , বিচি বের করে থুক থুক করে ফেলা- সব মিলিয়ে।‘ভিভা লামোর’ ছবিতে ও তরমুজের সিন আছে। বাজার থেকে কেনার পর লি যখন তরমুজ নাড়িয়ে ভেতরে কোন শব্দ আছে কিনা দেখে – সিনেমার এই জায়গাটা আমার খুব পছন্দের।পরে তরমুজ নিয়ে সে খেলে।লি একা , তার কোন সাথীর দরকার ছিল। তরমুজকে সে মানুষ হিসেবে দেখেছে। বিশেষতঃ এমন কেউ- যে শুনে যাবে কিন্তু কোন কথা বলবে না।‘দা ওয়ে
ওয়ার্ড ক্লাউড’ সিনেমার শুরুর সিনে তরমুজ। আমাকে একটা পর্ণো সিন দেখাতে হবে। মেয়েদের শরীর ক্যামেরায় দেখানো পীড়াদায়ক।আমার একটা বাধা দরকার ছিল।তরমুজ সেই কাজটা করেছে। আমি আরো নিজেকে জানলাম- চোখের সামনে নারীদের এভাবে আমি দেখতে পারি না। অথচ টিভিতে দেখতে কোন সমস্যা হয় না। তাই সিনেমা বানানো আমার জন্য অসাধারণ এক যাত্রার মতো।নানান ভাবে নিজেকে জানছি। অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হচ্ছি।


মন্তব্য

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

সুপার। রোমানিয়ান আর ইরানী নিউ ওয়েভ নিয়েও কিছু লিখেন।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মুস্তফীদা,

ধন্যবাদ।

আলতাফ হোসেন এর ছবি

দারুণ! নতুন অভিজ্ঞতা। একবার চোখ বুলিয়ে যতটা সম্ভব জানা হলো। ভালো করে পড়ে মনে হচ্ছে কিছু লেখার ইচ্ছা হতে পারে। শুভাশীষ-আনন্দী দম্পতির মতো না হলেও আমারও ছবির নেশা যথেষ্ট। শুভাশীষকে পরে বলব গোদার সম্পর্কে, পোলানস্কি, ত্রুফো, শাব্রল সম্পর্কে তার কী বলার?
শুভাশীষ যদি ভেবে থাকে সে আমার পরিচিত বলে তাকে খুশি করার জন্য মন্তব্য লিখি, ভাবতেও পারে, তবে ভুল ভাববে। এরকম লেখা অন্য কেউ লিখলে হয়তো আরও উৎসাহ দেখাতাম, অপরিচিত হলে। অপরিচিত বলে। অবশ্য আমার লেখায় আর কী আসে যায়। কতটুই বুঝি ছবির আমি।

শুভাশীষের উৎসাহ বেঁচে থাকুক।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

মুস্তাফিজ এর ছবি

টাইটেল দেখে আমার কাছে প্রথমে ফ্লকসিনোসিনাহিলিপিলিফিকেইশান মনে হইছিলো।
আচ্ছা এইধরণের লোকজন জ্যোতিষীর কাছে যায় কেন?

.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.

...........................
Every Picture Tells a Story

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মনে হয় মজা নিতে যায়।

মামুন হক এর ছবি

যেহেতু আমি তাইওয়ানেই থাকি ২০০২ থেকে, এবং সাই মিং লিয়াং, অ্যাং লি এদের কাজের সাথে পরিচিত আগে থেকেই, আপনার এই লেখাটা পড়ে বিশাল একটা রিপ্লাই লিখতেছিলাম। কিন্তু বেতমিজ কম্পুর ভুলে সেটা কীভাবে যেন হাওয়া হয়ে গেল।

এখন সংক্ষেপে লিখি। স্কাই ওয়ক ইজ গন ছবিটা যেখানে চিত্রায়িত সেই এলাকাটা হাতের তালুর মতো চিনি। তাইপে সেন্ট্রাল স্টেশনের আশপাশ। আমার নিজেরও অনেক স্মৃতি আছে ওখানে। আমি মিং লিয়াং হলে হয়তো সেগুলো নিয়েই একটা সিনেমা বানিয়ে ফেলতাম। মিং লিয়াং এর ছবিগুলো আমার মোটামুটি লাগে। কাঠখোট্টা , চারপাশে ঘটে যাওয়া-ঘটতে থাকা দৃশ্যাবলীর চমৎকার এডিটেড সংস্করণ। ব্যক্তি হিসাবে তারে আমার বেশ আত্মমুখী মনে হয়, সিনেমাগুলোও উনি নিজের তৃপ্তির জন্যই বানান। মহৎ চিত্রপরিচালক হবার বা সিনেমার মাধ্যমে সমাজ বদলাবার কোন ধান্ধা ওনার মধ্যে দেখিনা। তাইওয়ানে ওনার সমালোচনাই বেশি হয়-- সিনেমা দর্শকদের মহলে। এর চেয়ে অ্যাং লি অনেক বেশি জনপ্রিয়।

আর জ্যোতিষীর ব্যাপারটা এখানকার কালচারের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। কুসংস্কার সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জাঁকিয়ে বসে আছে । কিছু কাণ্ডকীর্তি দেখলে মনে হয় এদের তুলনায় বাংলার গ্রামীন জীবনের কুসংস্কারও শিশু।

লিখবো কোন একদিন সময় সুযোগ পেলে। আপনি এই সিরিজটা চালিয়ে যান। বেশ ভালো লাগছে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনার বিশাল মন্তব্য হাতছাড়া হলো- কি আর করা। যেটুকু করেছেন তাও কম কি।পরে সময় করে আবার বড়ো করে লিখেন।

সাই অন্তর্মুখী। একদম ঠিক। সিনেমা কি আসলেই সমাজ বদলাতে পারে?
চারদিকে কতো ভালো ভালো সিনেমা- অথচ কি পরিমাণ হানাহানি আর বাহাস !!!

ধন্যবাদ।

শিক্ষানবিস এর ছবি

আমারও মনে হয়, সিনেমা কখনও সমাজ বদলাতে পারে না। তবে প্রগতির দিকে যাচ্ছে এমন একটা সমাজে প্রগতির পক্ষে ভাল ভূমিকা রাখতে পারে।
সিনেমা বিপ্লবের জন্ম দেয় না বরং চলমান বিপ্লবে সিনেমা একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। যেমন, আইজেনস্টাইন সিনেমাকে বিপ্লবের পক্ষের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।

সমাজ পরিবর্তনে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের একটা বড় ভূমিকা আছে, তবে এছাড়াও আরও অণেক কিছু লাগে। আর সিনেমা তো সাংস্কৃতিক বিপ্লবেরও একটা ছোট অংশ মাত্র।

নাশতারান এর ছবি

সাইয়ের সততায় মুগ্ধ হলাম।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

উনার সিনেমা দেখা ধরেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।