এহানে বাসা বাড়ির মধ্যে প্রাইভেসি নাইকা। ঢাকার তন খারাপ, একটা বাড়ি আরেকটার লগে লগে উইঠ্যা গেছে। আমার লাগোয়া ঘরে এক মালু থাকে। তার এক মাইয়্যা আছে। কেলাস টেনে পড়ে। হের বাপে মাঝে মাঝে আমার এহানে ঢোকে কথা কওনের লাইগ্যা। ‘যে’ ‘যে’ কইয়্যা মাথা খারাপ কইরা ফ্যালে। আপন কি করতেছিলেন যে? আরে না, আপনার এইভাবে ভাবার দরকার নাই যে। খাঁটি চাটগাঁইয়াগো শুদ্ধ ভাষা কওনের চেষ্টা জটিল ফানি। বাপটারে খেদাই না কারণ মাইয়াটারে ভালা লাগে। একদিন কি একটা রাইন্ধা হের মা পাঠাইছিল। আমি হাত ধইরা উমারে সোফায় বসাইছিলাম। কাইপ্যা উঠছিল।
চিটাগাংয়ের রাস্তাঘাট চিপা। তয় পয় পরিষ্কার। ঢাকার লাহান ডাস্টবিন হইয়্যা যাই নাই। এগো তো আবার নিজেগো ভাষা। পরথম পরথম বুঝতাম না। অহন সব কথাই বুঝি। ঝগড়া লাগলেই ‘চোদানীর পোয়া’ গাইলটা পাড়ে একজন আরেকজনরে। আমার মজাই লাগে । মাঝে মাঝে বস ফোন দ্যায়। উনারে ফোন দেওন নিষেধ । কাইল কইলো, আরো মাস দুই মাস এহানে ঘাপটি মাইরা থাকন লাগবো। মাঝে মাঝে পুরা পৃথিবীটারে ঠাপ দিবার ইচ্ছা লাগে। বসরে পুংগা মারবার ভীষণ মন চায়। অইদিন বুঝলাম এহানের হালারা আমারে আড়ালে বইঙ্গা রইন্যা নাম দিছে। সব হারামীর ছাও। দাও গিয়া। রইন্যা আমার আসল নাম না।
রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকাটা ঢাকার গুলিস্তানের লাহান। পরশু ঘুরতাছিলাম ওই জায়গায়। অপর্ণাচরণ স্কুলের সামনে গিয়া একটা সিগারেট ধরাইলাম। পিলপিল কইরা মাইয়া বারাইতেছিল। কতক্ষণ দাঁড়ায় দাঁড়ায় দেখলাম অগো। তারপর ন্যুমার্কেটে ঢুইক্যা ফালুদা খাইলাম। কি জানি নাম দোকানটার। উমা কইছিল, ওইটার নাকি ফালুদা ভালা। দ্বিতীয় তলায় গেলে একটাই আইসক্রীমের দোকান। যে।
আমার বাপে সরকারি চাকরি করতো। এক বছর আমরা চিটাগাং আছিলাম। আসকারদীঘির পাড়ে বাসা ছিল আমাগো। আমি কোন ক্লাসে পড়তাম তহন? সিক্সে নাকি সেভেনে? পরের বছর বাপের অয় ঢাকায় পোস্টিং। আমরাও ঢাকায় চইল্যা যাই। বাপে মারা গ্যাছে তার এক বছর বাদ। মার মাথাটা সেই যে আওলাইছে অহনতরি ঠিক অয় নাই। মারে বড় খালা দ্যাখে। মাসে মাসে টাকা পাঠাই, মধ্যে মধ্যে খালারে ফোন দেই। আমার এক বড় বইন আছে , বাপের আগের ঘরে। আম্রিকা থাকে নাকি। হের লগে জীবনে দেহাও অয় নাই। যাউগ্গা।
আমিনবাজারের চিপায় বাপে ঢাকায় বাসা লইছিল।মাঝে মাঝে মনে লয় বাপে হালায় অইখানে বাসা না লইলে আমি অয়তো ডেগার শরীফ হইবার পারতাম না। জায়গাটা ডাইল গাঞ্জার এক্কেরে সদরঘাট। বাপের মরণের পর কেমনে যে এই লাইনে আইয়া পড়লাম অহন ঠিকমতো মাথায় আহে না। রইছের লগে পরথম এই লাইনে আইছিলাম। পরে এক ক্যাঁচালে ওরে ও ফালায় দেয়া লাগছিল। ছুরি ঢুকানোর সময় অর চৌকে চৌক পড়ছিল। মাঝেমইধ্যে ঘুমের মইধ্যে অর চৌক দেহি। আমাগো লাইনে সিস্টেমই এইটা। আম্রিকান সিস্টেম। কামের সময় তোমারে চুমাইবো, কাম ফুরাইলে লাত্থি। আমারেও যে কেউ সাইজ কইরা ফেলতে পারে। আমি কাউরে বিশ্বাস করি না। মাথাটা ক্লিয়ার রাখি, আর চৌককান খুলা রাখি। তিন চাইর বছর আগে আমি একবার বিস্তর ভয় খাইছিলাম। অহন আর ভয় খাই না।
বইস্যা থাকতে থাকতে মাথায় চিনচিনা ব্যথা করে। বাথরুমে গিয়া ঘাড়ে মুখে পানি দেই। মনে লয় ছোট্ট ফোঁটার মতো কোন সূচ সূচ ব্যথা। একবার অই ব্যথা ভেতর থন বাইরে যায়, আবার ভিতরে ঘাপটি মাইরা ঢুকে। আর এক মুসিবত এখানে। গরমে টেকা যায় না। তার উপরে কারেন্ট এই যায়, ওই আসে। পানি থাহে না। উমার বাপে ঘরে টোকা দেয়। গরম যা পড়তেছে যে। বেটারে ইচ্ছে লাগে মনের সুখে চাবকাই। ঘরে ঢুইক্যা নানান কথা কয়। আমি উ আ করি। ওর মতলবটা কি? উমারে কি আমার ঘাড়ে গছাইবার চায়? যদি হে জানতো আমি বিশ বাইশটা মার্ডার করছি আর মোসলমানের পোলা তখন হালায় উস্টা খাইতে খাইতে মরতো। কারেন্ট আয়া পড়লে হে উইঠা চইলা যায়।
চিপা একটা বারান্দা আছে বাসাটায়। রাইতে আবার কারেন্ট যায়। শোয়ার থন উইঠ্যা চুপচাপ ওইখানে খাড়াইয়া বিড়ি টানি। পুরা মহল্লা থেকে নানান শব্দ মিলায়া এক অদ্ভুত জোড়াতালি আওয়াজ কানে লাগে।বাচ্চাগো পড়ার বিড়বিড়া আওয়াজ, নিচের দোকানদারের কি নিয়া ক্যাঁচাল, এই অদ্ভুত সময়ে হারমোনিয়াম নিয়া কার জানি ক্যাওম্যাও, মদখোর হাজারীলালের গরগর গলায় শোর ‘চোদানীর পোয়া, তরার ব্যাকগুনরে আঁই…’, দেয়ালে কে জানি বাড়ি মারে গদাম গদাম, উপরতলায় চেয়ার টেবিল সরায় লোকজন, কারো রান্নাঘর থাইক্যা তেলে পিঁয়াজ ছাড়নের ছ্যাৎছ্যাৎ, মালুগো সন্ধ্যাবাতির টুংটাং, এক শালার এই রাতে মাছ মাছ কইরা চিল্লানি, ওই বাড়ির পাগলা বাসুর বাথরুমের গিয়া উড়াধুড়া ঘোৎঘাৎ, আর মনে লয় কে য্যান কান্দে? উমায় নিহি? ধুরু।
ফিরেঃ গল্পের শিরোনাম জয় গোস্বামীর আলো কবিতা থেকে।
মন্তব্য
গল্পটি পড়ে লগইন না করে পারলাম না। দুর্দান্ত লিখেছেন, ঠাসবুনোটের আগাগোড়া নির্মেদ গল্প। আগে পোকা না হাতি ঘোড়া কী যেন লিখেছিলেন যে, ততটা ভালো লাগেনি। এটাতে এসে মুগ্ধ করেই ছাড়লেন ভাইজান
মামুন ভাই,
আপনার পড়ে ভালো লাগছে শুনে খুব খুশি হলাম।
অসাধারন। আরেকটু আগানো যায়?
যায়... তবে লেখা আরম্ভ করলেই আমি শেষ কখন হবে খালি সেই ধান্ধায় থাকি
আইলস্যাগো যা অয় আর কি
গল্প ভালো লেগেছে- বেশ ভালো...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
সুহান সাহেব,
আপনি আমার লেখা পড়তেছেন দেখে ভালো লাগতেছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তাড়াতাড়ি শেষ করে দিয়েছ, আরেকটু নিয়ে যেতে পারতে।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কমেন্ট করছো দেখে শান্তি পাইলাম। বুঝতেছি একটু তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেল।
ভাল লাগল।
স্বপ্নদ্রোহ
ধন্যবাদ স্বপ্নদ্রোহ।
ভালো লাগলো।
কয়েকটা শব্দ বেশি সুশীল রয়ে গেছে, বাকি লেখার ভাষার সাথে যায় না। বিশেষ করে, কণ্ট্রৌল, প্রাইভেসি জাতীয় বিদেশি শব্দগুলো। কিন্তু এগুলো তেমন বড় কোন সমস্যা না।
ইন ব্রুজ মুভিটা দেখে নিয়েন এখনো না দেখে থাকলে।
আমার সুশীলগিরির জন্যে বোধ করি। ওই লোকের মাথায় কতোবার হান্দানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু বারবার বিরবিরা (পিছলা ) খাইয়া বের হয়ে গেছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ,ধর্মপুত্র।
নতুন হলিয়ুডি সিনেমার খবর কম রাখি। আপনি বলছেন, সো ইন ব্রুজ দেখে নেবো।
এইটা ঠিক হলিউডি মুভি না।
ধর্মপুত্র,
কারেকশনের জন্য থ্যাংকস। একাশিতম একাডেমি পুরষ্কার দেখছিলাম তিন/চার দিন আগে। মিল্ক সিনেমাটা দেখার পর একাডেমি পুরষ্কার অনুষ্ঠানটা দেখার হাউস( ইচ্ছা) হলো। অরিজিনাল স্ক্রিনপ্লে ক্যাটাগরিতে ইন ব্রুজ ছিল। তাই ভাবছিলাম হলিয়ুডি । এটার ডিস্ট্রিবিউটার ও দেখি মার্কিন কোম্পানি ফোকাস ফীচারস। বড় বাজেটের ছবিগুলো স্বত্ত কিনে মার্কিনিরা এই ধান্ধা করে। স্লামডগ মিলিওনিয়ারের ও একই হাল হয়ছিল।
আপনি ঠিকই বলেছেন , ঠিক হলিউডি মুভি না।
- বেশ লাগলো তো!
পরের পর্ব আসবে নাকি? শেষ তো হলো না মনেহয়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগোদা,
আমি ভাবছিলাম আমার লেখা আপনি পড়াই ছেড়ে দিছেন। কথা হলো বীয়িং ডেগার শরীফ ছবি এখানেই শেষ।
আপনার কমেন্ট পেয়ে অনেক খুশি হলাম।
খুবই ভালো লাগলো গল্প! ২২ খুনের আসামীর হৃদয়েও প্রেম ভালোবাসা উঁকি দেয়! সুন্দর সমাপ্তি।
!
আপনার লেখার হাত চমৎকার, স্লাইস অফ লাইফ ভালো ফুটেছে। তবে এইখানেই শেষ হয়ে গেলো সেইটাতে মন ভরলো না। যাক, আরো লিখুন।
মান্যবর দেবনাথ দাদা,
মনে হচ্ছে গল্পটা আরো এগুবে। তাই না?
না। এটা এখানেই শেষ।
আপনার প্রশ্নের জন্য মোবারকবাদ।
এই পোস্ট পড়ে সবাই ভালো কমেন্ট করারই কথা, আমি নাহয় একটু মন্দ বল্লাম।
এই নিয়ে আপনার দুটো গল্প পড়লাম। দুটোতেই দেখা যাচ্ছে খানাপুকুরে বালি ফেলে, মাটি ফেলে প্লট তৈরি করতে আপনি ওস্তাদ। জমিতে বাউণ্ডারী দেয়ালও দিচ্ছেন। কিন্তু প্লিন্থ পর্যন্ত বাড়ি তুলেই আপনি চা খেতে চলে যাচ্ছেন অথবা বলছে "ধুর! আর বাড়ি বানামুনা"। অণুগল্প হোক আর ছোটগল্পই হোক কাহিনী বা চরিত্র বা চরিত্রসমূহের নূন্যতম পরিণতি না থাকলে গল্প আর গল্প হয়ে ওঠেনা। ক্ল্যাইমেক্স নেই অথবা শেষে ট্যুইস্ট নেই এমন হলেও গল্প খসড়া গদ্যের উপরে ওঠেনা। আমি এ'কথা বলছিনা যে গল্পে ক্ল্যাইমেক্স বা ট্যুইস্ট থাকতেই হবে, তবে এগুলো গল্পকে একটা পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
ঢাকাই চলচিত্র নির্মাতাদের ঈমানী দ্বায়িত্ব হচ্ছে নায়ক-নায়িকাকে বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দেয়া। গল্প লেখক হিসেবে আপনার ওপর অমন কোন ঈমানী দ্বায়িত্ব নেই সত্য, কিন্তু গল্পকে হঠাৎ করে ছেড়ে না যাওয়ার দ্বায়িত্বটা আছে। আপনার গদ্য শক্তিশালী তাই একে যত্ন করুন। ভাষার নূন্যতম ত্রুটিটুকু নিয়মিত চর্চায় দূর হয়ে যাবে, কিন্তু চিন্তাকে অবহেলা করবেন না। তাকে স্বচ্ছন্দে বইতে দিন, যতদূর যেতে চায়। যখন রাশ টানবার দরকার হবে তখন রাশ টানবেন ঠিকই তবে গল্পের দমবন্ধ করে না।
নিয়মিত গল্প লিখে যান। একসময় এগুলোই টিকে থাকবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার কিন্তু অন্য রোগ। গফ ছাড়া গফের রোগ। দেখি রোগ কবে ছাড়ে
লজ্জায় ফেলে দিলেন দেখছি। আমি অল্প পড়া, স্বল্প জানা অধম পাণ্ডব। আমার পক্ষে এমন কিছুই বলা বা লেখা সম্ভব না যার জন্য আপনাকে আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করতে হবে, যে মন্তব্য আপনার লেখক জীবনে মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারে। হ্যাঁ, তবে এই পরিবারে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা সে যোগ্যতা রাখেন। একটু চোখ-কান খোলা রাখুন, তাঁদের ঠিকই চিনে নিতে পারবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার মধ্যে আমি বড় মানুষের ছায়া পাই। বড় লেখক পৃথিবীতে ভুরি ভুরি।
ভালো থাকবেন।
গল্পটা হইলো না... তৈরি হইলো না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই,
আমি আসলে বলতে চাই গল্পহীনতার গল্প। আমার কুনু গফ নাই রে ভাই।
আপনি এতো আলসেমির মধ্যে ও আমার না-গল্প পড়েছেন দেখে আমি কৃতার্থ।
সাহস করে বলেই ফেলি ! আমার তেমন ভালো লাগেনি - মানে ভালো হয়েছে তবে আরো ভালো আশা করেছিলাম। বোধহয় আপনার আগের গল্পটা পড়ার প্রভাব এটা। কোথাও কোথাও শুদ্ধ ও আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণ চোখে লেগেছে। লেখাটা আরো বাড়লে ভালো হতো - অপূর্ণতাবোধটুকু থাকতো না তাহলে।
আপনার এর আগের গল্পটা আমার এটার চেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
আপনার কমেন্টে
ব্লগে মন্তব্য অনেক শক্তিশালী হওয়া দরকার। শুধু ভাল লেগেছে কি লাগে নি টাইপ মন্তব্যের কোন মানে নেই। আপনি ভাল করে গল্পটা পড়েছেন , আগ্রহ নিয়ে পড়েছেন এটাই অনেক। অনেক ধন্যবাদ।
গল্প কি শেষ হইলো?
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
হ
হুমম-
তারপর?
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
............ অতঃপর তাহারা সুখে কি অসুখে বসবাস করিতে লাগিল তাহার কোন খবর আমার নিকট আসিয়া পৌঁছায় নাই........
আমি অপেক্ষায় রইলাম... একটা প্লট আপনি তৈরি করেছেন .... খুব চমৎকার.... কিন্তু শেষটা কোথায়....
নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
শুভাশীষ, আপনি তো মাথার ভেতর তুফান তুলে দিলেন ভাইটি ! উত্তম পুরুষে লেখা গল্পগুলোর গাঁথুনি ঠিক না থাকলে কেমন কেচ্ছা কেচ্ছা লাগে, আবেগের প্যানপানানি মনে হয় আমার কাছে !
কিন্তু আপনি এমন ভাষা নিলেন, এমন যুত্ করে বাঁধলেন পাঠকদের, শ্বাস ফেলতে পারছিলাম না ...
আমি মনে হয় সেই ফালতু কিসিমের পাঠক, যারা গল্পের ভেতর আখ্যান, কাহিনীর চেয়ে এর নির্মাণ আর বাক-ভঙ্গিকে বেশী মুল্য দেয় । তাই এই গল্প আরো দীর্ঘ হলো না কেন, কিংবা এই গল্পে কেন কোন `গল্প`(!?) নেই বলে কোন অতৃপ্তির বদলে ঈর্ষায়িত হয়েছি বেশী ।
আপনি আমার অভিনন্দন জানবেন । আরো গল্প লিখুন প্লিজ ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
ভাল থাকবেন।
আমার লেখায় হাজারটা সমস্যা রয়েছে, যা আমি ধরতে পারিনা। আপনার লেখার সমস্যা-ও তাই আমি ধরতে পারলাম না
গল্প নিজেকে যেভাবে গড়ে তুলছিলো, এমন ভাবে শেষ করে দেয়ায় সার্থক গল্প হওয়া হলো না। গল্পটার মৃত্যু ঘটলো। এটুকুই আমার মনে হয়েছে। _________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভালো বলছেন।
এত তাড়াহুড়ো করে শেষ করে দিলেন?
আরেক পর্ব লিখেন। আপনার লেখার হাত আছে, শব্দের আওয়াজ আছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনার মন্তব্যের জন্য সাধুবাদ।
'আমি আসলে বলতে চাই গল্পহীনতার গল্প। আমার কুনু গফ নাই রে ভাই।' ভেবেছিলাম আর দশজনেরই মতো বলব, আইলস্যামি ছাড়ো, কিন্তু তোমার এ কথার পরে আর কথা চলে না। গল্প বলতে চাওয়াটা এক অদম্য বাসনা, শোনাটা (বা, পড়াটা) যেমন। দেখ যদি লোভ ছাড়তে পারো।
আপনার এই পিচ্চি গল্পগুলো পড়তেই সচলে আসি।
ধন্যবাদ সুন্দর গল্পের জন্য।পিচ্চি গল্প পিচ্চি ই থাক।
নতুন মন্তব্য করুন