উত্তম পুরুষেরা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ২২/১১/২০০৯ - ১০:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা লেখকসংঘের লোক। আমাদের নিয়ে কেউ তাফালিং করলে আমরা তাদের একত্রে সাইজ করি। সাকুল্যে আমরা আটজন। উঠি বসি খাই একসাথে। আর এক দুটা জৈবিক কাজ আলাদা আলাদা করি। স্বাভাবিক কারণে আমরা ছয়জন আলাদা আলাদা শুই। আমাদের স্ত্রীরাও সংখ্যায় ছয়। অরিন্দম আবির একসাথে শুতে যায়। এই নিয়ে আমাদের মাঝে মাঝে হাসি তামাশা হয়। মাগার অন্য কেউ কিছু বলতে গেলে আমরা একজোটে ঠেকাই। আমরা বেশ ভালো লিখি। একজনের লেখা কোথাও ছাপা হলে বাকীরা তার শিল্প আঙ্গিক নিয়ে চুলচেরা করি। প্রধান দৈনিকগুলোর সম্পাদকদের সাথে আমাদের বিস্তর ওঠাবসা। নানান সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, আন্তর্জাতিক, সাংস্কৃতিক ভাব জগৎ নিয়ে আমরা শীর্ষ কলামগুলো লিখি। আমাদের পাঠক আমাদের কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শোনেন। দেশপিতার যাবতীয় কর্ম কাম আমাদের লেখনীতে অঙ্কুরিত হয়, আহা, অপরূপ মাধুরী দিয়ে।

রাজ্যপিতার ভোজসভায় আমরা প্রতি শুক্রবার আমন্ত্রিত হই।থমাস আলম আবির আমাদের এই তিনজন ভোজনরসিক। ওদুদের ডায়াবেটিস, একদম মেপে খায়। বাকীরা মাঝাহারী। আলম সায়ীদ আমাদের কবি। দুজনের লেখা নতুন তুমুল এক দুটা কবিতা আমরা বৃন্দ আবৃত্তি করি। কাব্যপাঠ শেষে রাজ্যপিতা কাগজের খাম দেন। বাইরে এসে আমরা গুনে নিই কতো আসলো কবিতা পাঠ থেকে। একবার রাজ্যপিতার চেলাদের খুনোখুনিকে আলম অসাধারণ এক পদ্য লিখে জায়েজ করে দিয়েছিল। বাইরে এসে খামে দেখি দশ লাখ টাকার চেক।

লোক আড়ালে আমদের অষ্টবক্র কয়। শিমুল আমাদের নাট্যকার। ঔপন্যাসিক হলাম ওদুদ রিফাত অরিন্দম। রিফাত এবারের বইমেলায় অষ্টবক্র নামে এক উপন্যাস ছেড়েছিল। পুরো বইমেলার বেস্টসেলার। পরের সাতটি ছিল আমাদের সাতজনের বই। আসামী ছদ্মনামে এক লেখকের বই চলছিল প্রথম কয়দিন খুব। পরে আমরা মিলে সিস্টেম করে ফেললাম। বইটা ছিল উপন্যাস টাইপ। আমরা সবাই মিলে একটা লাইন চিহ্নিত করলাম সেই বই থেকে। আমিন তার আবাল বাপের কথায় থুথু ছিটায়। রাষ্ট্রপিতার সেন্সরবোর্ডকে দেখাই লেখকের আগডুম বাগডুম। আসামীকে সত্যি আসামী করা হয়। আর বই হয় বাজেয়াপ্ত। ওই ব্যাটাকে জেলে ঢুকানোর রাতে মনিকা চৌধুরীর বাড়ি যাই আমরা ছয়জন। আবির-অরিন্দম নিজেদের দোকা করে। ওরা দুজনে মনিকার ছায়াও মাড়াতে চায় না।

থমাস আমাদের চেকভ। ছোট করে সব লিখে।বিস্তর ওজনদার লেখা। আমরা মোহিত হই। গল্প ছোট কিন্তু শিরোনাম ম্যালা লম্বা। এবার সাহিত্য পুরস্কার পেল থমাসের গল্পগ্রন্থ। নাম
কাকতারকালোপাখায়সাদাইয়েলাগিয়েআকাশেইতস্ততবিচরণশেষেমল্লিকাদিরজানালায়ফুচিমারে। পুরষ্কার বিতরণীতে থমাসের নাম ঘোষণার পর আমরা আটজন একসাথে স্টেজে উঠেছিলাম। দর্শকরা একটু হেসে উঠেছিল। আমরা একটু কেশে উঠেছিলাম।

আবির আমাদের মধ্যে সবজান্তা শমসের। কবিতা, নাটক, ছোটগল্প, উপন্যাস আরো ছাতানাতা অনেক কিছু লিখে চলে। আমাদের মধ্যে সবচে মিতভাষী কিন্তু সবচে বেশি লিখে। এই পর্যন্ত প্রকাশিত বই সংখ্যা নয়শো তের। এক হাজার পুরালে ওইদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা হবে। রাজ্যপিতা এক ভোজসভায় জানিয়েছেন। আমরা বাকিরা ওকে বাংলার ক্যারোল ওটস বলে খেপাই। তখন মিটিমিটি হাসে।

গতকাল মাইক্রো করে যাচ্ছিলাম সবাই। একটা সেমিনারে। রিফাতের মোবাইলে রাষ্ট্রপ্রধানের ফোন এলো। রিফাত স্পিকারে দিয়ে দিলো যাতে সবাই শুনতে পারি। তিনি বললেন লেখকসংঘকে দেশব্যাপী চালু করে দেয়ার জন্য। আটজন দশজন কি বিশজনের দল নিয়ে একেকটা আঞ্চলিক লেখকসংঘ গড়ে উঠবে। প্রত্যেক লেখক কোন না কোন ব্যানারের তলে থাকবেন। একা কেউ থাকতে চাইলে তাকে লেখক বলা যাবে না। এটা নিয়ে সংসদে সংশোধনী পাস হবে আজ। আর সার্বিক দেখভাল করতে হবে আমদের আটজনকে। শোনার পর আমরা বেশ উৎফুল্ল হয়ে পড়ি। ক্ষমতা! আহা! আমাদের আর শত্রুপক্ষ থাকার সুযোগ থাকবে না। আমরা প্ল্যান করি প্রথমে যাবো চট্টগ্রামে। আগ্রাবাদ হোটেলে বেশ মাস্তি করা যায়। গিয়েই চার পাঁচ দিনের মধ্যে একটা সংঘ খাড়া করে ফেলবো। বলা হবে, নতুন সংবিধান অনুসারে সংঘের ছাদনাতলায় যে নাই সে লেখক না। সুতরাং অলেখকদের বই কেউ ছাপাতে পারবে না। এই সম্ভাব্য ভাবনায় আমরা এতো উদ্বেলিত হই , সেমিনারে গিয়ে যা ইচ্ছা বাকবাকুম করে আসি। শিমুল কয়- নাটক মানেই ঘাস নদী ফুল আর যৌবন। ওদুদ বলে- এরাম সেরাম লিখলেই ঔপন্যাসিক, এটা বলা যাবে না। মাল থাকতে হবে, যা আমাদের আছে। আবির বলে- ব। সায়ীদ কয়- এইবারে এইবারে ক্ষান্তিব ওগো তোমার শিরস্ত্রাণে। অরিন্দম কয়ে উঠে- উপন্যাস সাহিত্যের পিতৃস্বরূপ। থমাস বলে- আমাদের ছোটগল্প সুমনাবাসনারটানেছিন্নবস্ত্রেঘরছেড়েগোকুলেযায় আপনারা নিশ্চয় পড়েছেন। রিফাত কয়- অষ্টবক্র বেষ্টসেলার করেছেন, আমরা তাই খুশি। আলম বলে – সায়ীদ যে লাইনটা পড়ে শোনালো ওটা আমাদের দুজনের লেখা। ফেরার সময় গাড়িতে দেখি সেমিনারের বিষয় ছিল- ঔপন্যাসিক জেমস জয়েসের লেখায় লাঁকা-দর্শন।

চার-পাঁচ মাসের মধ্যে আঞ্চলিক লেখকসংঘগুলো আমরা দাঁড় করিয়ে ফেলি। শক্তিশালী কারো লেখার হাত পেলে তাকে অলেখক বানানোর কাজটা বেশ ভালো করে সমাধা করি। দেশজুড়ে অলেখকদের নিয়ে সংঘ বানিয়ে অবশেষে আমরা রাজধানীতে ফিরি। ব্যাগ বয়ে আনা টাকার স্তুপ ব্যাংকে জমা দিয়ে যার যার বাসায় ফিরি।

এভাবে দিন কেটে যায়। রাষ্ট্রআব্বার বিভিন্ন দাওয়াতে, হরেক সেমিনারে, পুরষ্কার বিতরণীতে, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে, টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে, সম্পাদকদের উপবৃত্তটেবিলে, মানববন্ধনে, পিঠাপুলি উৎসবে সময় দিতে গিয়ে আমাদের সময় কেটে যায়। তবে মনিকা চৌধুরীর বাড়ি যাই নি সে অনেক দিন।


মন্তব্য

আরিফুল  এর ছবি

কি বলব ভাই, এতো ভালো গল্প অনেকদিন পড়ি নাই। স্যাটায়ার মারাত্মক জোস হয়ছে।

ঐশী এর ছবি

আপনার পাঁচটা গল্পের মধ্যে সবচেয়ে ভালো। প্লাস মজার।

কাক তার কালো পাখায় সাদা ইয়ে লাগিয়ে আকাশে ইতস্তত বিচরণ শেষে মল্লিকাদির জানালায় ফুচি মারে

অথবা

সুমনা বাসনার টানে ছিন্নবস্ত্রে ঘর ছেড়ে গোকুলে যায়

কি বলবো... এরাম সেটায়ার আসে ক্যামনে????????

নয়ন [অতিথি] এর ছবি

সেরাম ভালু পাইলাম।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দূর্দান্ত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অন্বেষা এর ছবি

এই ধরণের মারাত্মক ভালো লেখা আরো চাই।

মনিরুল এর ছবি

অসাধারণ হইছে ভাই। দেশ বা প্রথম আলোর পালিত লেখকদের মতিগতি ঠিকরায়ে বাইর হইয়্যা আসছে এক্কেরে।

মনিরুল ইসলাম এর ছবি

তথাকথিত প্রতিষ্ঠান কনসেপ্টকে আপনি ভয়ানকভাবে সাইজ করলেন , ভাই। আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। এক বন্ধুর ফেসবুকের লিংক থেকে লেখাটা পড়ার সুযোগ হল।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মন্তব্য করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

সচল জাহিদ এর ছবি

দারুণ দেখা শুভাশীষ, তোমার স্যাটায়ার লেখার হাত ভাল, আগেরটাও এবং এটাও।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমি ভাবছিলাম লেখা পরে দেখি লিখছো দেখা। ভালো মন্তব্য। থ্যাংকস।

সচল জাহিদ এর ছবি

এটা টাইপো ভুল, 'লেখা' হবে। যেহেতু তুমি প্রতি মন্তব্য করে ফেলেছ তাই ঠিক করার উপায় নেই।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আরে জাহিদ, টাইপে ভুল হলেও ওই মন্তব্য আমার ভালো লাগছে বেশি। লেখতে তো সবাই পারে, দেখতে পারে কয়জনা?

তোমাকে ফ্রয়েডের ভুলচুক বইটা পড়াতে হবে। হেভি জিনিস। দাঁড়াও , তোমার ইমেইলে বইটা পাঠাচ্ছি।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই গল্পে তো কেউ কেউ আক্রান্ত হবার কথা। কেউ কেউ হাসি

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

...........................

এটা জ়াস্ট একটা ছোটগল্প, মোরশেদ ভাই।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সে তো বটেই হাসি । বাস্তব, অবাস্তব,পরাবাস্তব,অপরবাস্তব- সবই তো গল্পমাত্র।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চোখ টিপি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

চমৎকার!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি !

দ্রোহী এর ছবি

দুর্দান্ত.........................

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

আহসান [অতিথি] এর ছবি

আপনার সব গল্পই উত্তম পুরুষে। এই গল্পে চরিত্র নয় রয়েছে চরিত্রমন্ডলী। নামকরণ সেই জন্যে বোধকরি করেছেন উত্তম পুরুষেরা। আপনি নিঃসন্দেহে একজন শক্তিশালী গদ্যশিল্পী এবং খুব বেশী স্বতন্ত্র ও প্রভাবমুক্ত। আপনার লেখা আরো ক্ষুরধার হোক এই কামনা করি। আমাদের সমৃদ্ধ করতে থাকুন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অনেক জটিল জটিল বিশেষণ দিয়ে ফেলেছেন, ভাই। আমি এই টুকটাক লিখি আর কী।

মণিকা রশিদ এর ছবি

অসাধারণ! মুগ্ধতা প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!

____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

অসাধারণ!

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নিবিড় এর ছবি

খুব ভাল লাগল লেখাটা


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

চমৎকার লিখেছেন !! চলুক
---------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মণিকা রশিদ, নুরুজ্জামান মানিক, নিবিড় , জুয়েইরিযাহ মউ,

মন্তব্যের জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

বইখাতা এর ছবি

গল্প ভালো লাগলো।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

রানা মেহের এর ছবি

খুব ভালো লিখেছেন
অনেক ভালো লাগলো পড়ে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনি তিনটা লেখা দিছেন সচলে। তিনটাই মাস্টারপিস। আপনার মন্তব্য পেলে ভালো লাগে। আর এতো কম লেখেন কেন? পাবলিক এতো চিল্লাফাল্লা করে, তাও দেখি লেখেন না।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি প্রথমে দশ লাখ টাকার চেক দেইখ্যা একটু টাশকি খাইসিলাম।
নীল ভুত।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হুমম

তারেক [অতিথি] এর ছবি

আপনার কাছ থেকে আরো সুতীক্ষ্ণ সুতীব্র গল্পের প্রত্যাশায়। লেখেন ভাই, লিখতে থাকেন।

রিফাত [অতিথি] এর ছবি

অসাধারণ ।

Mustafiz এর ছবি

আপনার লেখা প্রতিটা গল্প এক কথায় অসাধারণ। এটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভাল লাগল।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

তারেক, রিফাত, মুস্তাফিজ ভাই,

আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

যুবায়ের এর ছবি

আপনার গল্পহীন গল্প বলার প্রচেষ্টা খুবই ভালো। সব গল্পই ভালো লেগেছে। তবে এই গল্পটা একেবারে অসাধারণ লাগলো।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি তোমার পিঠ চাপড়াই, তুমি আমার পিঠ চাপড়াও তাতে তুমি আমি দু'জনেই বিখ্যাত হয়ে যাব। এই ট্রিক্স মনে হয় হাজার হাজার বছরের পুরোনো। এভাবে প্রথম যুগে ব্রাক্ষ্মণদের এক এক জন মহা মুনি হয়েছেন, দ্বিতীয় যুগে ক্ষত্রিয়দের এক এক জন মহা বীর হয়েছেন। যদিও আদতে তাদের কেউ দানব অথবা রক্তপিপাসু ছিলেন। এই বৈশ্যযুগে সবই বানিজ্যের অংশ। বুদ্ধিজীবি বা সৃজনশীলতার কর্মীরাও তাই বানিজ্যচক্রের অন্তর্গত। চক্রের বাইরের জন যত প্রতিভাবান - সে তত বিপদজনক শত্রু। আর শত্রুর তো শেষ রাখতে নেই। তাই তাকে প্রতি নিয়ত পিষে ফেলার যজ্ঞ চলে। শূদ্রদের যুগেও কি এই অন্যায়চক্র একইভাবে সচল থাকবে?

এই গল্পটাকে কাঠামো, কাহিনীর বিস্তার, ভাষা, বর্ণনা, টার্মের ব্যবহার, পরিমিতিবোধ সবদিক বিচারে সার্থক মনে হয়েছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমার লেখার লিঙ্ক আমি ফেসবুকে দিই। আমার পরিচিত কয়েকজন আমার লেখায় এসে মন্তব্য করে যান। এঁদের কিছু বলাও যায় না। তবে ভালো, অসাধারণ , দুর্দান্ত এসব মন্তব্য আসার চেয়ে না আসাই ভালো। মন্তব্য হতে হবে পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন। সচলে কিছু ব্লগার বেশ ভালো মন্তব্য করেন।

বলে রাখি, আমি নিজেও ভালো মন্তব্যবাজ না।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গল্পটা ভালো নিঃসন্দেহে। প্রশ্ন হচ্ছে, গল্পকারের তাড়াহুড়ো ছিলো কি ?? পটটা আরেকটু বড় করলে মনে হয় আরো বেশি জমতো...তবে এই পরিসরে একটা ভালো স্যাটায়ার লেখাও লেখকের শক্তির পরিচয়টাই দেয়...

যাকগে, নাদান মানুষ আমি- বুঝি কম, তাই ভুলও হয়ে থাকতে পারে। গল্পটা চমৎকার লেগেছে- এটাই বড় কথা।

_________________________________________

সেরিওজা

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গল্পটা ভালো নিঃসন্দেহে। প্রশ্ন হচ্ছে, গল্পকারের তাড়াহুড়ো ছিলো কি ?? পটটা আরেকটু বড় করলে মনে হয় আরো বেশি জমতো...তবে এই পরিসরে একটা ভালো স্যাটায়ার লেখাও লেখকের শক্তির পরিচয়টাই দেয়...

যাকগে, নাদান মানুষ আমি- বুঝি কম, তাই ভুলও হয়ে থাকতে পারে। গল্পটা চমৎকার লেগেছে- এটাই বড় কথা।

_________________________________________

সেরিওজা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আরে, বড় কিছু লেখার ধৈর্য হয় না। গল্পটা তোমাকে ঠেলে ঠেলে পড়ালাম। শব্দশিল্পী না কমেন্টালে কেমনে চলে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভুটায়া গেলাম, লেখাতেই মেসেজ পরিষ্কার ছিল যে প্রশংসা শুনতাম চান না, তাই সেইটা করলাম না, হাসি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপ্নে এদ্দিনে দেখলেন।

শাফক্বাত এর ছবি

এই পোস্ট টা আমার খুঊব ভালো লেগেছে। আমি আবার পড়বো...
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

শাফক্বাত এর ছবি

আবার পড়লাম এবং প্রিয় পোস্টে নিলাম। সাইফকে ধন্যবাদ, তোমার মন্তব্যের সুতো ধরে ঘুরে গেলাম নাহয় এমন কঠীন লেখা মিস্‌ করতাম !!
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

করছেন কী।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই গল্পটা মিস করে গিয়েছিলাম। পাণ্ডবদার কল্যাণে পড়া হলো এতদিন পর। কিন্তু নয় বছর পরেও গল্পটার প্রাসঙ্গিকতা একটুও কমেনি।

** সচলে আপনার লেখা পড়ি নাই অনেককাল।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।