সিনেকাব্যঃ এবং ঋতুপর্ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১২/২০০৯ - ৯:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি নানান ফরেন মুভিতে আসক্ত। সে অনেক কাল। বাংলা ছবিতে আমার আগ্রহ কেন জানি কম। বছর সাতেক আগের কথা। আমার এক বন্ধু আমাকে প্রথম পরিচিত করান ঋতুপর্ণ ঘোষের সাথে। ছবির নাম উনিশে এপ্রিল। দেখে ভালোই লেগেছিল। ঋত্বিক ঘটক বাংলা সিনেমা-বানিয়েদের মধ্যে আমার সবচে পছন্দের। অযান্ত্রিক। উফ, কি অসাধারণ! সুবোধ ঘোষের গল্পটা খুব ভালো। কিন্তু সাহিত্যের অনেক উৎকৃষ্ট ফল সিনেমায় নামলে টকে যায়। ঋত্বিকের হাতে সেটা হয় নি। অসহ্য রকমের ভালো সিনেমায় নামালেন সুবোধ ঘোষের গল্পকে। প্রথম শোতে আস্ত গাড়িটাকে সিনেমা হলের উপর প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন ঋত্বিক। বললেন, এমনভাবে আলোক নির্দেশনা করতে হবে যাতে গাড়ির আত্মিক কষ্ট ফুটে ওঠে। চিন্তা করেন আলোক বাবুর কী অবস্থা। ঋত্বিক ঘটকের সব সিনেমাই মাস্টারপিস। এভারেজ কোন সিনেমা নাই। সত্যজিৎ বাবুর সব সিনেমা আমার এখনো দেখা হয়ে ওঠে নি। আগন্তুক দেখে অনেক কাল মুগ্ধ ছিলাম। অপুর সংসার ,জলসাঘর , শতরঞ্জ কি খিলারি দেখলাম সস্প্রতি।ভালো। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের উত্তরা আর মৃণাল সেনের ভুবনসোম তাঁদের করা সিনেমার মধ্যে সবচে ভালো। আমার কাছে মনে হয়।

সব চরিত্র কাল্পনিকসব চরিত্র কাল্পনিক

কিছুদিন আগে রেপিডশেয়ার দিয়ে নামালাম ঋতুপর্ণ ঘোষের নতুন সিনেমা সব চরিত্র কাল্পনিক। দেখলাম। দেখার পর নেটে ঘেঁটে ঘেঁটে অনেক কিছু বের হলো। গুরুচন্ডালি নামের এক বাংলা eজিনে আই নামের এক ব্লগার সব চরিত্র কাল্পনিক সিনেমার যা যা সুলুকসন্ধান করা যায় করে ফেলেছেন। বাড়তি কোন বাক্য ব্যবহারের সুযোগ রাখেন নি। ছবিটা কবিতা নিয়ে। কবিকে নিয়ে।

ইল পোস্তিনো নামের এক ইতালীয় সিনেমা দেখেছিলাম অনেকদিন আগে। মাইকেল রেডফোর্ডের ছবি। চিলির কবি পাবলো নেরুদাকে নিয়ে।সাথে এক পোস্টম্যানের জীবনের গল্প। ডেড পোয়েটস সোসাইটি তো অনেকের প্রিয় সিনেমা। স্কুলের নয়া ইংরাজির মাস্টার চরিত্রে রবিন উইলিয়ামস ছাত্রদের কবিতার প্রতি ভালোবাসা প্রগাঢ় করার চেষ্টা নিয়ে সিনেমার গল্প। পৃথিবীর বহু সিনেমায় নানান কবিতার দেদার ব্যবহার হয়েছে। পোয়েটস্ ডট অর্গের এই পাতা মাড়ালে যাবতীয় বৃত্তান্ত জেনে ফেলবেন। কবিদের জীবন নিয়ে সিনেমা ও হয়েছে। শেক্সপীয়ারকে নিয়ে শেক্সপীয়ার ইন লভ কিংবা সিলভিয়া প্লাথকে নিয়ে সিলভিয়া সাম্প্রতিক উদাহরণ। আরো আছে।

আগে কলকাতার ইটিভি বাংলায় ঋতুপর্ণের একটা সাক্ষাৎকার ভিত্তিক অনুষ্ঠান দেখাতো। ‘এবং ঋতুপর্ণ’। কিছু কিছু পর্ব দেখা হয়েছিল। লেখালেখিতে এডিটের সুযোগ থাকে। কথা বলায় সে সুযোগ নেই। অচেতনের অনেক কথা মুখ ফসকে বেরিয়ে আসে। তাই বুদ্ধিবৃত্তিক কথাবার্তা শুনতে আমার ভালো লাগে। সম্প্রতি ‘ঘোষ এন্ড কম্পানি’ নামে স্টার জলসা চ্যানেলে ঋতুপর্ণ ঘোষের এই ধরণের নতুন অনুষ্ঠান সম্প্রচার হচ্ছে। য়্যুট্যুবে যে কয়টা পাওয়া যায় দেখেছি।ভালোই। ঋতুপর্ণ ঘোষ এফেমিনেট পুরুষ। নিজেই স্বীকার করেন এই কথা। কলকাতার নামকরা টেলি-উপস্থাপক মীর নানান জায়গায় ঋতুপর্ণের চলাফেরা কি কথাবার্তার মিমিক্রি করে দেখান। ঘোষ এন্ড কম্পানিতে ডেকে এনে মীরকে আস্ত ধোলাই দিয়েছেন ঋতুপর্ণ। একজন কানা, খোঁড়া, ঘটোৎকচ কিংবা অটিস্টিক কাউকে নিয়ে দিনের পর দিন কেউ মস্করা করলে আমাদের ভালো লাগতো না। কিন্তু না-পুরুষ-না-মেয়েদের প্রতি আমাদের ভেতরে কোন অশ্লীল সুড়সুড়ি কাজ করে। বরাবরই। আমরা তাই হাসি, মজা পাই। হিজরাদের প্রতি সমাজের ভঙ্গি কি আমরা সবাই ভালো করে জানি। আমাদের হাসি-তামাশা তাদের কেমন লাগে আমরা কখনো ভেবে দেখি না। সমকামকে ও স্বাভাবিকভাবে দেখতে আমরা নারাজ। পাশ্চাত্যে আস্তে আস্তে বিষয়টার প্রতি সমাজের দৃষ্টি পাল্টাচ্ছে। আমাদের দেশের মাদ্রাসা বা হোস্টেলে বিপরীত লিঙ্গের অভাবে সমকামে জড়ানো নোংরামি। কিন্তু যারা স্বাভাবিক সমকামী, তাদেরকে তাচ্ছিল্য করার কারণ আছে বলে মনে করি না। এটা যার যার ব্যক্তিগত বাসনা। ঋতুপর্ণ এভাবে ডেকে এনে মীরকে নাস্তানাবুদ করতে গিয়ে কিছুটা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন। সেখানে ঋতুপর্ণের এরোগেনস্‌ খুব চোখে লাগে। যাই হোক।

সব চরিত্র কাল্পনিক সিনেমায় কবি চরিত্রে ছিলেন প্রসেনজিৎ। ছবিতে জয় গোস্বামীর অনেক কয়টা কবিতা ব্যবহার করে হয়েছে।বিপাশা বসু প্রায় লাবণ্য দাশের রোলে কাজ করেছেন। মৃত্যু একটা ঘেরাটোপ। মৃত হলে কি কারো জন্যে ভালোবাসা উপচে পড়ে? তখন কি আরো ভালো করে চেনা যায় নিজেকে, নিজের অপরকে, নিজের প্রিয়জনকে? মন্তাজের কাজ সিনেমায় ব্যবহার অনেক কমে গেছে। ঋতুপর্ণ জাক্সটেপোজিশনের ব্যবহার নিয়ে কাজ করতে চান বোঝা যায়।এই সিনেমায় আছে কিছু মন্তাজ স্বপ্ন দৃশ্য। ভালো। যথেষ্ট ভালো।

আমার কাছে ঋতুপর্ণ ঘোষের সবচে ভালো সিনেমা - বাড়িওয়ালী। বনলতা (কিরণ খের) অবিবাহিতা মধ্যবয়স্কা নারী। তাঁর হবু-বরকে বিয়ের আগের দিন সাপে কাটে। পরে আর বিয়ে করা হয়ে ওঠে নি। বুড়ো কাজের লোক প্রসন্ন আর কাজের মেয়ে মালতীকে নিয়ে একঘেঁয়ে জীবন। পুরানো দিনের বিশাল বাড়িতে এভাবেই কাটছিল। ফিল্মের লোকজন এসে ওই বাড়িতে শুটিং করতে চাইল। প্রথমে আপত্তি করেও পরে অনুমতি দিলেন বনলতা। তাঁর আটপৌরে জীবনে কিছুটা চঞ্চলতা আর বৈচিত্র আসলো। পরিচালক দীপঙ্করের (চিরঞ্জিৎ) সাথে মেলামেশার সুযোগ হলো। বাকিটা আর না বলি। ঋতুপর্ণের স্বপ্ন নিয়ে কাজকারবার আমি পছন্দ করি। বাড়িওয়ালীর সব কয়টি স্বপ্নদৃশ্য খুব ভালো করে বানানো। একটা স্বপ্নদৃশ্যে বইয়ের পাতা স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে ছিঁড়ে দীপঙ্কর। আর রক্ত ছিটকে লাগে বনলতার মুখে।

ঋতুপর্ণ এক জায়গায় বলেছেন- ‘আমরা নিজেদের আর্টিস্ট বলে এস্টাব্লিশ করতে এতো বেশি এনসাস। আর্টিস্ট আমাদের মধ্যে খুব কম লোক-ই। আমরা বড়োজোর টেকনিশিয়ান। মাঝে মাঝে হয়তো ক্রাফটস্‌ম্যানের মতো দু চারটা ভালো কাজ করে ফেলি। তাই আমাদেরকে লোকে ফিল্ম-মেকার বলে ভুল করে। টেকনিশিয়ান হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে আমার ভালো লাগে’। বাংলা সিনেমা পরিচালকদের মধ্যে চিন্তাশক্তির যে আকাল দেখা যাচ্ছে, ঋতুপর্ণ সে ঘাটতি কিছুটা মেটান।

ফিরেঃ লেখাটা বেশ কিছুদিন আগে লিখেছিলাম। পোস্টাতে গিয়ে মনে হলো লেখাটা কোন জাতের হয়নি। ধুরু। পরে হিমুর লেখায় কমেন্ট হিসাবে দিলাম। দেখলাম অন্যান্য কমেন্টের সাথে আমার কমেন্ট যায় না। মনে হলো- ধুরু। মুছে দিলাম সেখান থেকে। যা লিখেছিলাম সেটা খানিক বদলালাম। এখন মনে হচ্ছে- আপ করে দেই। ধুরু।

আবার ফিরেঃ আমার এক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার হিসেবে ঋতুপর্ণের অসুখ সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখে দিয়েছিলাম। বাংলায়। পস করে করে। শুনে শুনে। জীবনের প্রথম স্ক্রিপ লেখা!!


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

কাকতাল, মাত্রই লিখছিলাম "সব চরিত্র কাল্পনিক" নিয়ে। আপনার পোস্ট এবং তার সূত্র ধরে গুরুচণ্ডালির ইন্দ্রনীলের লেখা পড়ে সেটা ড্রাফট করে রাখলাম। এখন দিলে প্রথম পাতাটাই ঋতুপর্ণ দিয়ে মাখামাখি হয়ে যাবে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হিমুর লেখাটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ। আমু অ ......

দময়ন্তী এর ছবি

কাল ইন্ডোকে বলছিলাম আজ আপনার লেখাটার লিঙ্ক দিয়ে দিই ওখানে৷ তবে আমি ঠিক করেছি সিনেমাটা সম্ভবত: দেখবো না৷ মানে ঐটা পড়ার পরে যাই দেখি হতাশ হব নির্ঘাত্৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ .........

ঐশী এর ছবি

বাংলা সিনেমায় ঋতুপর্ণ উঁচু মানের ডাইরেক্টর। আপনার লেখা ভালো লেগেছে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

হাসিব এর ছবি

কথাটা লিখবো না লিখবো না করেও লিখে ফেললাম । মনে যা আসে তা বলে ফেলাই ভালো । যাই হোক ..

আমি ঋতুপর্ণের কোন সিনেমা দেখিনি । কোন এক কারনে উনি খুব তালেবর লোক এটা জানলাম পোস্ট পড়ে । কিন্তু পোস্টে কি কারনে ঋতুপর্ণ দেখা দরকার সে বিষয়ে কিছু পেলাম না । ফলাফলে পোস্টের সাথে নিজেকে সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হলাম । আরো একটু ঋতুপর্ণ বিশ্লেষণ পাবার আশা করাটা বোধহয় অন্যায় হবে না ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঋতুপর্ণের সব সিনেমা জাতের নয়। এগুলো দেখতে পারেন। বাড়িওয়ালি। অন্দরমহল। রেইনকোট। অসুখ। তাঁকে পুরা তালেবর বলা যাবে কিনা এ নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

নামটা আবারো জানলেন। শুনলেন। ধরে নেন এটাই পোস্টের উদ্দেশ্য।

আমার সিনেমা নিয়ে লেখার ধরণটা একেবারেই নিজের মতো। আমার লেখা পড়ে নির্দিষ্ট কোন সিনেমার দেখার প্রতি আপনার আগ্রহ জন্মাবে না।আমি চাই পরিচালকের সাথে হালকা পরিচয় করিয়ে দিতে, সাথে দেই তাঁর কাজ কারবারের এবড়ো থেবড়ো পরিচিতি। মন্তাজ ভাষা চোখ টিপি

জানতে চাইলে এই দুটা লিঙ্ক দেখতে পারেন।

ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমা।

ঋতুপর্ণ ঘোষের সাক্ষাৎকার।

মানব সন্তান এর ছবি

ঋতুপর্ণ ভাল সিনেমা বানান। উনার সবচেয়ে ভালো সিনেমা লেগেছে উৎসব।

মাহফুজ [অতিথি] এর ছবি

দহন যারপরনেই ভাল লেগেছে।

মাহফুজ [অতিথি] এর ছবি

আরো ভাল লেগেছে রেনকোট, চোখের বালি আর তিতলি। সব ছবি ভাল লেগেছে এমন বলব না। তবে তাঁর প্রতিভা আছে।

ভারতবর্ষে প্রতিভাবানদের জন্য সবচাইতে দুর্ভাগ্য হল প্রতিযোগিতার অভাব। তাঁর মত বেশকিছু প্রতিভাবান ছবি বানাতে শুরু করলে তিনি হয়ত আরো বেশি ঝলসে উঠতে পারতেন। আমরা সাধারণ দর্শকেরা একটা যুগ পেয়ে যেতাম, যেখানে বাঙলা ছবি তার বহুকালের খরা আর অজীর্ণ রোগ থেকে মুক্তি পেত।

সংসপ্তক এর ছবি

আমি এনার একটা সিনেমাও দেখে শেষ করতে পারি নাই......তিন চার বার ট্রাই দিসি। মহা বোরিং।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বাড়িওয়ালি দিয়ে আরেক বার ট্রাই করা যায়।

কোন একজন এর ছবি

আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে উৎসব। এরপর উনিশে এপ্রিল, বাড়িওয়ালি, রেনকোট, চোখের বালি। শুভ মহরতটা মোটামুটি, একটু ভিন্ন ধাচের।

শিক্ষানবিস এর ছবি

ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমা ভাল লাগে। একালের বাঙালি পরিচালকদের মধ্যে একমাত্র ঋতুপর্ণ আর অপর্ণা সেনই মনে হয় কিছুটা ভাবাতে পারে আমাকে। বাড়িওয়ালি খুবই ভাল লেগেছিল। তবে কি কারণে যেন উনিশে এপ্রিল এর রেশ যায় নি। এখনও আমার প্রিয় ঋতুপর্ণ ফিল্ম উনিশে এপ্রিল।
বাঙালি পরিচালকদের মধ্যে আমার প্রিয় সত্যজিৎ রায়। আপনি দেখলাম ঋত্বিক ঘটকের অনেক প্রশংসা করেছেন। আসলে ঋত্বিক ঘটকের সাথে খুব একটা পরিচয় হয় নি। তবে ইচ্ছা আছে।

ঋতুপর্ণ ঘোষের একটা সাক্ষাৎকার বাংলায় অনুবাদ করেছিলাম অনেক দিন আগে। সবার জ্ঞাতার্থে লিংকটা দিলাম এখানে:

ঋতুপর্ণ ঘোষের সাক্ষাৎকার

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

জলদি জলদি ঋত্বিক দেখতে শুরু করেন। লিংকটার জন্য ধন্যবাদ।

মূলত পাঠক এর ছবি

রাম রাম শুভাশীষভায়া, এত্তোসব প্রথাভাঙা সিনেমার কথা টথা বলে শেষমেশ পোসেনজিতের সিনেমার গল্প শোনালেন! হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মজা লন না! এতোগুলান জঁর কথা পাড়লাম। একটাও দেখলেন না। তাই পোসেনজিতের কথাই কইলাম। চোখ টিপি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।