বারান্দার পাশে ঘর। বিছানা। তাতে শুয়ে আমি। সব দেখি। আমার কল্পনায়। ভেবে নেই। এটা। ওটা। নয়নতারার কনিষ্ঠতমের ঝরে পড়ার মতন। আকাশে রোদ উকি দিচ্ছে। বুঝতে পারছি। ঘড়ির কাঁটা। তার ঘুরে চলা। দেখছি। পর্দা সরে গেলে বারান্দায় রাখা এক দুটা গাছ। তাও দেখছি। দেয়াল। দেয়ালের রঙ। কোনায় মাকড়সার জাল। টাঙানো অনেক পুরানো মানচিত্র। টেবিল। তার ওপর রাজ্যের ধুলাবালির নিচে চাপা পড়ে থাকার জিনিসপত্র। দেখছি। ফুলের গায়ে রোদ লেগে ফুটে ওঠা দম্ভ দেখি না অনেক দিন। আমি শুয়ে থাকি। দিন রাত। ক্লান্ত হলে শূন্যে ভেসে পড়ি। ভুলে যাই আমার রোগ। বিভৎস সেই কোয়াড্রিপ্লেজিয়া। কেবল মুখ ছাড়া আমার আর কোথাও কোন সাড় নেই। উড়ে উড়ে আমি মৌতাতে মাতি। মা রুমে এসে ঢোকে।
মার দিকে আমি আর তাকাই না। মার চোখ দেখলে আমার সব মনে পড়ে যায়। আমার অকথ্য কিছু ব্যথা ফিরে আসে। মা-ই সব করে। কিছুদিন নার্স রাখা হয়েছিল। নার্সরা সাফ সুফা করতে করতে গাল মন্দ করত। মা একদিন শুনে ফেলেছে। সেই থেকে মা-ই সব করেন। করুক। মাকে দেখলে ভাল লাগে না। বাবাকে না। বড়দাকে একদমই না। চোখে ইদানীং কিছু দেখতে ইচ্ছে করে না। এই রোগের হাজার জারিজুরি। আমাকে অন্ধ করে দেয় না কেন?
বাবাকে সেদিন বললাম। আর ভাল লাগে না। যেতে দাও। বাবা কাঁদে। বড়দাকে খুব করে বললাম। বড়দা বলে- দূর পাগলি। এক রাতে স্বপ্ন দেখলাম মা আমার মুখে বালিশ চেপে ধরেছে। ট্রমার বিপরীতে যে উইশ ফুলফিলমেন্ট। তার কি অপার শান্তি। মাকে কিছু বলি না। বলতে ইচ্ছা হয় না।
নয়নতারা ফুল ঝরে পড়ে। কনিষ্ঠতম। আমি ঝরে যেতে চাই।
মন্তব্য
বাহ্ চমতকার (এই মুহুর্তে খন্ড ত লিখতে পারছি না Chrome এ )!!
জহির রায়হানের লেখার কথা মনে পড়ল। এই লাইনে উনি এতোটাই অসাধারণ, কি আর বলব!
ধন্যবাদ।
জহির রায়হান গুরু লোক।
অসাধারণ। মুগ্ধ করে দিলেন।
অল্প কেরুয়াক?
না। কেরুয়াকের কোন প্রভাব এখানে নাই।
জাস্ট স্লাইস অব লাইফ। আর কিছু না।
অসাধারণ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আপনে পাশ কাটায়ে গল্পে ঢুকে পড়েছেন।
বুঝি নাই, কী পাশ কাটাইলাম?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আরে না। আমি গল্পে কিছু বেরিয়ার দিছিলাম যাতে পাঠক গল্পের সাথে রিলেট করতে না পারেন। সেটা পাশ কাটালেন বোঝাতে চেয়েছি।
দারুণ!
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো।
-----------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
শুনে ভাল লাগল।
উহুহু, শুভাশীষদা ভালো লাগে নাই। এই রকম বাক্য গঠনের পুনারাবৃত্তি একটু বেশিই একঘেঁয়ে লাগসে। ... আপনি আরো ভালো পারতেন।
অফটপিকঃ ছফাগিরি ১-৫ প্রিন্ট করে নামায় রাক্সি। সময়াভাবে পড়া হইতেসে না।
_________________________________________
সেরিওজা
অফটপিক শুনে বেশ ভাল লাগল। কিস্তি ছয় পর্যন্ত বe করে দিছি।
গল্পটা 'মিলিয়ন ডলার বেবি' আর 'দা সী ইনসাইড' দেখার ফল। পরেরটা দেখেছি বেশ আগে। প্রথমটা সম্প্রতি।
আমি লেখাকে নির্মোহ নির্লিপ্ত রাখতে চাই। ছোট বাক্য ফিরে ফিরে এসে (প্রায় একই স্ট্রাকচারে) আপনাকে ঘটনার মধ্যে ঢুকতে দেয় না। আপনি গল্পের সাথে নিজেকে রিলেট করতে পারেন না। আমি এটাই চাইছি। কেন জানি না। এটা একটা চেষ্টা। বা অপচেষ্টা।
আর তুমি গল্প নামাও না ক্যান?
সী ইন্সাইড- রেমন সেম্পার্দোর ছবিটা না ?? ২০০৬ এর দিকে বাইরাইসিলো ?? ... দেক্সিলাম তো...
চেষ্টা ঠিকই আছে। ঠিক জুত হইতেসে না- আমার সমস্যাও হইতারে। আমি অপেক্ষাকৃত বড় বাক্যগঠনে স্বাচ্ছন্দ্য পাই।
আপাততঃ সেমিস্টার শেষের দৌড়ানিতে কিছু মাথায় নাই। খুব ঝাপসা ভাবে কিছু একটা আছে, ঐটারে টাইম দেয়া লাগবো...
_________________________________________
সেরিওজা
জেভিয়ার -> হাভিয়ার
আলেজান্দ্রো -> আলেহান্দ্রো
থ্যাংকস্। দাদা।
এইসব কেমনে বানান? আমারগুলা কেবলই বড় হইয়া যায়।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আমি ক্রিয়েটিভ লেখায় দুই বা তিন পৃষ্ঠার বেশি কথা আগাতে পারি না। আটকে যাই। এটা আমার সীমাবদ্ধতা।
খুব ভাল লাগল।
ধন্যবাদ
চেষ্টা ঠিকাছে। ছোট ছোট বাক্য। একশব্দে। বাঁধের মতো।
তবে আপনার কাছ থেকে বানান ভুলটা প্রত্যাশার মাপে খাটে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার প্রচুর টাইপো হয়। আমার একজন খুবই ভাল প্রুফ-রিডার আছেন। উনি এখন অন্য শহরে। তাই।
প্রুফ রিডারকে না পড়ালে এমনই হয়। খুব খুশি হইসি বানান ভুল হইসে,
প্রুফ রিডার সাহেব নিজের নামের বানানে হালকা গিয়ানজাম করছেন। আরে, ব্যাপার না।
গ্রেট!
--
ইমতিয়াজ মির্জা ।
এই গল্প ভালো লাগলো না।
খুব সিনেম্যাটিক মনে হলো।
বাক্যগঠন সুন্দর। ছো্ট্ট ছোট্ট তিন চার শব্দে।
কিন্তু একজন অসুস্থ্য মানুষের বিষন্নতা বড় বাক্যে ধরা পড়ে বেশী।
ছোট বাক্যে বিষন্নতা কেমন চটুল হয়ে গেছে।
আর রোগের নামটা এভাবে সরাসরি না বললে ভালো লাগতো।
(একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
কেন এইরকম ভাবে লিখেছি তার কিছুটা সুহানের কথার উত্তরে বলেছি। আর রানা মেহেরের মতামত অনেক দামি।
- আমার কাছে ছোট ছোট বাক্যের গঠনে তৈরী কথামালাই ভালো লাগে। কিন্তু সেটা হতে হয় ঠাস। আমি নিজেও পারি না, চেষ্টা করি সবসময়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জায়গাটাতে কিছুটা ছন্দপতন আছে। আপনি বলার পর এখন তাই মনে হচ্ছে।
ফুলকে কে কেমন দেখবে সে তো কল্পনার ব্যাপার, তা মানি। তাও নয়নতারার সাথে দম্ভ মেলানো একটু কঠিন হয়, হাটেমাঠেঘাটে বাড়ির ফাটলে ফুটে থাকে গরীবগুর্বো ফুল ওরা। খুব বেশি ঝরেটরেও যায় না, কনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ নির্বিশেষে। গরীবের কি আর সৌখিনতা পোষায়।
গল্পটা ভালো লাগলো, যদিও পাঠককে নিরাসক্ত রাখার প্রচেষ্টাটা টের পাওয়া যাচ্ছে দিব্বি। সেইটার ঊর্দ্ধে উঠতে হবে যে?
গল্প লেখার হাজার তরিকা। আমি নানান এক্সপেরিমেণ্ট করছি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত একটা কোথাও গিয়ে ঠেকব।
ভালো লাগল। শীর্ষেন্দুর 'মানবজমিন'-এর প্রীতমের কথা মনে পড়ল।
'মানবজমিন ' পড়ছি অনেক কাল আগে। একদম ভুলে গেছি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
শুভাশীষ'দা
ভাল লাগল।
আমি ছোট ছোট বাক্যের প্রেমে পড়ে আছি অনেককাল(নিজে লিখতে পারি না বলেই হয়ত, দেখুন না, এইটাও কেমন লম্বা একটা বাক্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে---)।
যারা অনায়াসে কাজটা করতে পারেন, তাঁদের আমার ভিনগ্রহের লোক মনে হয়।
শুভেচ্ছা জানবেন।
আরে বড় বাক্য খারাপ হবে কেন? স্বাদু গদ্য হওয়া নিয়ে কথা।
অনেক ধন্যবাদ।
শুভাশীষস্কি দাশভ্
বোধিবৃক্ষ
প্যানডোরা
হা হা হা ---
শুভাশীষস্কি
হা হা হা
ভাল নাম হইসে
সাবজেক্টের কাছ হতে বিভিন্ন অব্জার্ভেশনাল ইম্প্রেশান বের হয়ে আসলো, (ফুলে দম্ভ) আর, অসমাপিকা ক্রিয়াপদের যে অবস্থান অনেকগুলো বাক্যে (শুয়ে আমি), বেশ ভোগালো। কোনো গল্প কখন ম্যাচুর হয়, বা কখনোই হয় কিনা জানা নেই, এই গল্প ইনফ্যান্সিতে আছে, এটাই আমার ইম্প্রশান।
আপনার ইম্প্রেশান জানলাম। ঠিকাছে।
ভাল লাগল।
ভালো লাগলো। পুরো বিবরন ছবির মতন দেখতে পাচ্ছি
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক ধন্যবাদ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এমন হয়।
পুরোটাই দৌড়ের উপর। সচলে ঢুকি না কতোদিন !
কতো লেখা আসে ! মিস হয়ে যায়। এটা হলো না, সেই রক্ষা।
অতোটা ভালো লাগলো না__ কেন জানি । বিবরণে উত্তম পুরুষ লাগসই হয় না মনে হয় । ( আমি নিজে তাই ভাবি আর কি শুভাশীষস্কি__ মাইন্ড খাইয়েন না ! ) আর আখ্যানটা খুব চর্চিত ! কিন্তু আপনি উতরিয়ে দিয়েছেন ।
অফটপিকঃ ছফাগিরি পড়া হচ্ছে নিয়মিতই ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আপনে পুরাই হাপিস। একটু দম নেন। এত দৌঁড়াইলে চলে?
অফটপিক পইড়া দিল খুশ।
উত্তম পুরুষে বর্ণনাতে আপত্তি নেই, তবে সংলাপবিহীন গল্পে নৈর্ব্যক্তিক বর্ণনাই লাগসই।
বড় যৌগিক/জটিল বাক্য লেখার চেয়ে ছোট সরল বাক্য লেখাই কঠিন।
কেন্দ্রিয় চরিত্রের কনটেক্সটে বাক্য দীর্ঘ ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসমাপ্ত হলে মনে হয় লাগসই হত। অনেকটা পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ সব উৎসাহ হারিয়ে বসে পড়ার মত।
শয্যাশায়ী মানুষের চোখে পৃথিবী কি Single Point Perspective View? অমন ভাবে দেখলে কেমন দেখায় দুনিয়াটা? এই এক্সপেরিমেন্টটা বোধহয় করা যেত।
গল্পের এক্সপেরিমেন্ট ভালো লেগেছে তবে জিফরানের ভাষ্য অনুযায়ী গল্পের Infancy-র সাথে অনেকটাই একমত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
যাক। আপনার মন্তব্যের আশায় ছিলাম।
দেখি এই গল্পটা আবার একটু এডিট্ করে মন্তব্যে পোস্টাবো। একটু মরদপোলা করা যায় কিনা দেখি।
যাক। আপনার মন্তব্যের আশায় ছিলাম।
দেখি এই গল্পটা আবার একটু এডিট্ করে মন্তব্যে পোস্টাবো। একটু মরদপোলা করা যায় কিনা দেখি।
নতুন মন্তব্য করুন