এই পত্রিকার যে কয়টা সংখ্যা পেরেছি সংগ্রহ করেছি। তাও অনেক সংখ্যা পাই নি। কয়েক বছর আগে একদিন কি মনে করে পত্রিকায় লেখা ঠিকানা দেখে তাঁর বাসার দিকে রওয়ানা হলাম। ধানমণ্ডির ষ্টার কাবাবের পাশের গলি। ভেবেছিলাম একতলা বাড়ি হবে। পরে দেখলাম ঠিকানা অনুযায়ী একটা এপার্টমেন্ট খাড়িয়ে আছে। সেখানেই তাঁর বাস। কি কাজে বাইরে যাচ্ছিলেন। বেশি কথা বলতে পারেন নি। পরে এক সময় ফোন করে আসতে বললেন। কেন যেন আর যাওয়া হয় নি। এর কিছুদিন পর পেপারে দেখলাম মীজানুর রহমান মারা গেছেন।
মীজানুর রহমান সম্পাদকীয় লিখতেন তাঁর প্রতিটা সংখ্যায়। স্বাদু গদ্য বলাই বাহুল্য। এগুলোর একটা সংকলন হলে খুবই ভাল হত। বই লিখেছেন দুইটা। একটার নাম মনে আছে। কৃষ্ণ ষোলই। কলকাতার দাঙ্গা নিয়ে লেখা বই। সম্পাদকদের নিজেদের অনুভূতি নিয়ে লেখা বই বাংলা সাহিত্যে কম। সাগরময় ঘোষ একটা লিখেছেন। সম্পাদকের বৈঠক। মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা দিয়ে অনেক লেখক লেখা শুরু করেছেন। তিনি জানতেন কার থেকে কি লেখা বের করে আনতে হবে। ফরহাদ মজহারকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন ‘তিমির জন্য লজিকবিদ্যা’। হুমায়ূন আজাদ তাঁর পক্ষী সংখ্যার জন্য লিখেছিলেন ‘আমার পাখি’। শেষ বয়েসে বাংলা এনসাইক্লোপিডিয়া টাইপ কিছু একটা তৈরির কাজ করছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর এই কাজের কোন খবর জানি না।
নিজের নাম দিয়ে পত্রিকা বের করার সাহস অন্যান্য ভাষায় অনেকে করেছেন। বাংলা ভাষায় একজন এরকম সাহস করেছিলেন। মীজানুর রহমান।
মীজানুর রহমান সম্পর্কে তথ্য আমার কাছে বেশি নেই। অন্যান্য সচল বা সচল পাঠক এই অভাব পূরণ করবেন।
মন্তব্য
আমি নিজে এই লিটল ম্যাগাজিনের একজন গুণগ্রাহী পাঠক ছিলাম। স্ল্যাং নিয়ে একটা সিরিজ ছিল। উনার সম্পাদকীয় কড়চা আসলেই অসাধারণ ছিল।
বাংলা লিটল ম্যাগাজিনের প্রাণপুরুষ ও অজস্র লেখকের স্রষ্টা মীজানুর রহমানকে নিয়ে ব্লগ পোস্ট করায় আপনাকে ধন্যবাদ।
কড়চা যে কত সুখপাঠ্য হতে পারে, উনার লেখা না পড়লে এটা বোঝা যাবে না।
আপনাকে ধন্যবাদ।
দাদা, শুভেচ্ছা নিবেন। মীজানুর রহমান এর বই ও সাহিত্য পত্রিকা নিয়ে আপনার সাথে অল্প কিছু কথা ছিলো। যদি সামান্য একটু সময় দিতেন বড় উপকার হতো।
ধন্যবাদ।
শিমুল
মীজানুর রহমান পূজা করতেন বই, ক্রিকেট এবং চকোলেটের।
বিলেত থেকে প্রথমবার গিয়েছি দেশে, কাউকে কিছু না বলে, একেবারেই হঠাত করে।
মীজান মামার সামনে দাড়ানো মাত্রই বললেন, "আমার চকোলেট কোথায়?" আমি বললাম ফ্রিজে রেখেছি মামা।
রিতিমত রাগ করে ফেললেন, কেন আমার চকোলেট ফ্রিজে কেন? জানিস না ফ্রিজে থাকলে বাচ্চারা খেয়ে ফেলতে পারে? দৌড়ে গিয়ে নিয়ে আসলাম গরমে প্রায় গলে যাওয়া চকোলেটগুলো। একটা চকোলেট মুখে পুরে জানতে চাইলেন, আচ্ছা তুই না বাইর থাকিস? কবে আসলি?
- - - - - - -
সদর ঘাটের এক প্রিন্টিং প্রেস থেকে ফিরবেন ধানমন্ডি, পকেটে যা টাকা আছে তা দিয়ে বড়জোর ঝিকাতলা পযন্ত যেতে পারবেন কিন্তু এরই মধ্যে ফুটপাথে দেখে ফেলেছেন একটা বই।
ফলাফল- বই পড়তে-পড়তে শাহ্বাগ থেকে হেটে-হেটে বাসায় ফেরা!!
- - - - - -
বাংলা এনসাক্লোপিডিয়ার কাজ করছেন তখন পাগলের মত, খুবই গোমড়ামুখ করে ডাক্তার বললেন লেখা বন্ধ না করলে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যাবেন আপনি মীজান সাহেব, তখন বই পড়বেন কিভাবে?
এতটুকু বিষন্ন হননি মামা, শুধু জানতে চেয়েছিলেন এভাবে লেখা চালিয়ে গেলে কতদিন সময় পাবেন পুরোপুরি অন্ধ হওয়ার আগে? থতমত ডাক্তারের আরো ভয়াভ্য় উত্তর শুনে বেশ চিন্তিত হয়ে বললেন, তবেতো আরো দ্রুত লিখতে হবে দেখছি, এভাবে সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না!!!
এনসাইক্লো পিডিয়ার কাজ এখনো চলছে, স্বপ্ন দেখার সত সাহ্স থাকলে এত সহজে কি তাকে দমানো যায়?
আপনি উনাকে চিনেন। এত কম তথ্য দিলে চলবে না। অনেক তথ্য দরকার। উনার লেখা অন্য বইটার নাম দরকার। বিশেষ সংখ্যাগুলোর নাম দেন পুরাপুরি।
উনি কিছু বই সম্পাদনা করেছিলেন। সেগুলো কি কি?
মীজানুর রহমান কলকাতা থেকে একটা সম্মাননা পেয়েছিলেন। সেই ব্যাপারে কিছু জানান।
সব তথ্যতো এই মহুর্তে মনে নেই, একটু সময় দিন, জানাচ্ছি।
অন্য বইটির নাম 'কমলালয় কলিকাতা'
ঠিকাছে।
নদীসংখ্যাটা পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। অনেক শ্রদ্ধা তাঁকে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
বাংলাদেশে গণিত অলিম্পিয়াড নিয়ে মাঝে খুব হৈচৈ চলছিল। তখন আজিজে গিয়ে দেখতাম, এই দুটা বইয়ের কয়েক কপির ওপর ধুলোর চড়া বাড়ছে তো বাড়ছেই।
আপনাকে ধন্যবাদ।
বাড়ীর কাছের এত গুনি মানুষকে জানা হল না।
মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা কি অনলাইনে পাওয়া যায়?
বোধহয় না।
পত্রিকাটা মনে হয় এখনো কেউ চালাচ্ছেন।
আমার মনে আছে- প্রথম প্রথম ভাবতাম কেমন লোক যে নিজের নামে পত্রিকা বের করে- কিন্তু পক্ষী সংখ্যাটা পড়ার পরে স্বীকার করেছিলাম এই ভদ্রলোকের সবরকম অধিকার আছে নিজের নামে পত্রিকা বের করার।
তাঁর বইদুটোর ব্যপারে কেউ কি আরো কোন তথ্য দিতে পারবেন?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমি চেষ্টা করতে পারি, কি জানতে চাইছেন বলুন
বিদ্যাসাগর সংখ্যা আর গণিত সংখ্যা দুটোও অতুলনীয়
'কৃষ্ণ ষোলই' ছাড়া উনার লেখা অন্য বইটার নাম বোধহয় ওডিন সাহেব জানতে চেয়েছেন।
ষোলই না ষোলোই এই ব্যাপারে আমার কিছুটা দ্বন্দ্ব আছে।
'মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক' পত্রিকার প্রকাশনার শুরু ১৯৮৩র মার্চে। বিশেষ সংখ্যার মধ্যে যেগুলোর নাম বাদ গেছে সেগুলো - 'কবি কৃষ্ণদয়াল বসু সংখ্যা', 'কবি আহসান হাবীব সংখ্যা', 'বৃক্ষ সংখ্যা', 'কামরুল হাসান সংখ্যা', 'শিল্পী রশিদ চৌধুরী সংখ্যা', 'বৃক্ষ ও পরিবেশ সংখ্যা' এবং সবশেষ বিশেষ সংখ্যা 'মীজানুর রহমান সংখ্যা' (সম্পাদক - মশিউল আলম, ২০০৮)।
উনার অন্য দুটো বই - 'কমলালয়া কলকাতা' এবং 'কাকাতুয়া' (এটা মলিয়েরের নাটকের অনুবাদ)
আর 'ষোলোই' টা ঠিক....
যতদূর জানি উনার স্ত্রী এখন প্রত্রিকাটা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা বের করার কথা জামাল নজরুল ইসলামের ওপরে।
অনুপম,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি আরো অনেক তথ্য দিতে পারবেন বলে আমার ধারণা।
আমার সংগ্রহের সব 'মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা' ঢাকায় পড়ে আছে।
এই পক্ষী সংখ্যার শেষের দিকে পাখির নাব্য ক্ষমতা নিয়ে আমার একটা লেখা আছে, জীবনের প্রথম (এবং শেষ প্রকাশিত) লেখা!
লেখাটা পড়ি নাই।সচলে আপ করেন।
প্রথমত বইদুটোর নাম আর এখনো পাওয়া যায় কি না। আমি জানতাম না যে তার লেখার সঙ্কলন আছে।
আমার কাছে গণিত সংখ্যা আছে কিন্তু বিদ্যাসাগর সংখ্যাটা নেই। খুঁজে দেখতে হবে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
স্যালুট এই ভদ্রলোককে
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
হ্যাঁ।
নানার বাসায় পেয়ে মুগ্ধ হয়ে পড়েছিলাম কিছু। মনে হলো আজকে বহুদিন পর এই লেখা দেখে। এগুলোর একটা সংকলন চাই। যদি কেউ সমগ্র রচনাবলির ঠিকানা জানেন তো আমাকে জানিয়েন মেইল/মেসেজ-এ। যোগাড় করার ইচ্ছা আছে।
মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকার আর্কাইভ দরকার। খুব জরুরি।
পত্রিকাটা প্রথম কবে বের হয় বলবেন কি?
আমি সম্ভবত নাম শুনে থাকলেও পত্রিকাটা কখনো পড়িনি, তবে আপনার লেখা পড়ে পড়তে ইচ্ছা করছে। দু একটা সংখ্যা কি পিডিএফ করে দেওয়া যায়?
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার কাছে কোন কপি নেই। মার্কিন দেশে এসে অনেক প্রিয় বইয়ের অভাব এত টের পাই, মাঝে মাঝে মনে হয় সব ছেড়ে দেশে ফিরে যাই- বইগুলোকে একটু ছুঁয়ে আসি।
বড় কিছু দেখার এবং করার মানুষ আমাদের মাঝে ক্রমেই কমে আসছেন।
মীজানুর রহমান ছিলেন বড় কিছু করার মানুষ।
গনিত যে কোন লিটিল ম্যাগাজিনের বিষয় হতে পারে, পাখির এনসাইক্লোপিডিয়া যে এক সংখ্যা লিটিল ম্যাগ হয়, কিংবা বিদ্যাসাগরকে নিয়ে যে এত তথ্য থাকতে পারে, সেটি মীজানুর রহমান করে দেখিয়েছেন।
নামে লিটিল ম্যাগ হলেও, তার সবগুলোর সাইজই ভোমা বিশ্বকোষের কাছাকাছি। যতদূর জানি এই ত্রৈমাসিক পত্রিকাকেই তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
-
মীজানুর রহমান আমাদের সচল মির্জার আপন মামা। মীজানুর রহমানকে নিয়ে একটি বিশদ লেখা যদি মির্জা লিখে, তাহলে আগ্রহী পাঠকের তৃষ্ঞা মেটে।
ধানমন্ডির বাসাটি তখনো এপার্টমেন্টের খোপ খোপ হয়নি, বিশাল বাড়ির একটা ঘরে তার সহস্র বইয়ের মাঝে মীজানুর রহমানকে দেখে আমার কেমন যেন বিষ্ময় লাগছিল প্রথম দেখায়। স্মৃতিটুকু মনে আছে শুধু।
-
মীজানুর রহমানের মৃত্যুর পরে তার ত্রৈমাসিকটি সম্ভবত সাজ্জাদ শরীফ কিংবা মশিউল আলমের মাধ্যমে চালু রাখার একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
কতটুকু সফল হবে/হয়েছে সেই উদ্যোগ সেটা আর খোঁজ নেইনি। আজকালকার নেটিজেন সমাজে হয়তো বিশ্বকোষ ছাপিয়ে ফেলা অনেক সহজ, কিন্তু সেই পত্রিকায় মীজানুর রহমানকে কতটুকু খুঁজে পাওয়া যাবে আমার সন্দেহ থেকে যায়। কামরুল হাসানকে বসিয়ে দিয়ে কাঠের খোদাই করা টাইপে যে প্রচ্ছদ ছাপা হয়েছে, তার চাইতে সহজেই এখন পিসিতে নিখুঁত প্রচ্ছদ করা যায়। কিন্তু সেই কাঠের খোদাইটাকে সত্যিই মিস করব।
-
মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকাটিকে অনলাইনে আর্কাইভ করার কোন উদ্যোগ যদি নেয়া যেত, চমৎকার হতো বিষয়টা।
সচলায়তন কর্তৃপক্ষ এবং মীজানুর রহমানের পরিবার ভেবে দেখতে পারেন বিষয়টি।
সহমত।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মির্জা ভাইয়ের কাছে একটা লেখা আশা করছি। বিশদ।
অনলাইন আর্কাইভের ব্যাপারে আমি ও একমত।
মীজানুর রহমানের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার উপায় কী?
আরিফঃ আমার পক্ষে বোধ হয় লেখাটা খুব সহজ হবে না, ইমোশন, স্মৃতি আর লেখার অক্ষমতার কারনে। আমি জানি তাঁর বিষয়ে লেখার জন্যে অনেক ভাল লেখক সচলে লেখা দিয়ে দেবেন, আমি বরং তাঁর আড়ালের কিছু বিষয় নিয়ে লখার চেষ্টা করব। সেই সাথে ছবি সহ বিস্তারিত কিছু তথ্য।
আমার পরের কথাটা হয়ত বেখাপ্পা কিংবা কারো-কারো কাছে বেমানান লাগতে পারে, তা-ও বলছি- এই লেখা এবং মন্তব্য গুলোর জন্যে সবার কাছে কৃ্তজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই পত্রিকাটা আমাদের পুরো পরিবারকে অনেক ভাল এবং অ-ভাল দিক থেকে প্রচন্ডভাবে প্রভাবিত করেছে। শেষ পযর্ন্ত কি হবে জানি না, তবে পত্রিকাটি যে এ’যাত্রা যে টিকে গেল সেটা ভাবতেই ভাল লাগছে।
হিমুঃ কি করতে হবে বলুন, আমি সাধ্যমত চেষ্টা করছি।
আমি মেইলে যোগাযোগ করবো আপনার সাথে। প্রকাশায়তনের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতির ব্যাপার আছে।
নদী সংখ্যাটা সংগ্রহে আছে। ব্যাপ্তি আর বৈচিত্র্য কি ব্যাপক!
স ম্পাদকের কড়চা সব লেখার শেষে ছাপার মত উদারতাও খুব কম সম্পাদকের কাছ থেকে আশা করা যায়।
ভাল পয়েন্ট বলছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
অনবদ্য একটি সাহিত্য পত্রিকা ছিল মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা,মশিউল আলম দায়িত্ব নেয়ার পর একটি সংখ্যা দেখেছিলাম,পত্রিকার পূর্বের সে মেজাজ পাইনি। আমিও একমত যে সবগুলো সংখ্যা আর্কাইভে আনা হোক।
----রঙপেন্সিল
মশিউল সাহেব সেই আমেজ আনতে পারবেন না। তাও পত্রিকাটা চলুক।
মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকার অনেকগুলো সংখ্যা পড়েছি। সম্ভবত বিটিভিতে
একটা ইনটারভিউ দেখেছিলাম। মীজানুর রহমান সাহেব এবং তাঁর স্ত্রী উভয়েই কথা বলছিলেন। শুনেছিলাম তিনি স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন। লক্ষ্মীকে স্বরস্বতীর কাছে সমর্পণের এমন দৃষ্টান্ত আর দেখিনি।
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
মীজানুর রহমান সাহেবের ব্যক্তিগত তথ্য জানা দরকার। উনার নামে উইকিতে কোন এন্ট্রি নেই। তথ্য জেনে কেউ কি করে দেবেন?
মীর্জা ভাইয়ের কাছ থেকে আলাদা পোস্ট আশা করছি।
পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণ করতে পারলে খুবই ভালো হবে। আমি যদি কোনো সাহায্যে আসতে পারি তাহলে জানাবেন।
আমার মতে এটা এখন না বের হওয়াই উচিত। নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় আছে।
অনেক ধন্যবাদ শুভাশীষ দাশকে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই,
আর্কাইভ হলে নষ্ট কেন হবে বুঝলাম না।
উইকিতে উনার নামে এন্ট্রি দরকার। এই ব্যাপারে আপনি হেল্প করতে পারেন।
পোস্ট এবং মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। ২০০৬ সালে তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে গণিত ইশকুলে তাঁকে স্মরণ করেছিলাম। সেটি আমার ব্লগে (http://www.somewhereinblog.net/blog/Munirhasan/29233740) দিয়ে দিয়েছি। মশিউল ভাই-এর কাছ থেকে ওনার একটি জীবনপঞ্জি, যা উনি নিজে তৈরি করেছিলেন সেটি পেয়েছি। উইকির ভুক্তিটা তাই শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি ওনার পারিবারিক এলবামের কিছু ছবি ওনার পরিবারের সদস্যরা উইকির জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। তখন সেগুলোও আমরা তাঁর ভুক্তিতে যুক্ত করতে পারবো। মীজানুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের সঙ্গে আমাদের অনেক সাহিত্যিক, শিল্পী, কলাকুশলীর যোগ ছিল। মীজানুর রহমানের ভুক্তিটিটাকে ঠিক করে তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ভুক্তিগুলো ঠিক করতে পারলে আমাদের শিল্প সাহিত্যের একটি বড় অংম আমরা উইকিতে যোগ করে ফেলতে পারতাম।
শুরু করার জন্য ধন্যবাদ।
একবছর পার হয়ে গেলো।মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক সংক্রান্ত উদ্যোগের কী হলো?
রব
এই লেখাটি প্রকাশের বছরখানেক পর মীজানুর রহমানের 'ঢাকা পুরাণ' বইটি প্রকাশিত হয়। অসাধারণ একটি বই। ঢাকার উপর লিখিত অন্যতম উল্লেখযোগ্য বই হিসেবে এর নাম করা যাবে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নতুন মন্তব্য করুন