ছোটন। আমার ছোট্ট ছোটন। তোর বাবার সাথে তোর কি সেখানেও ঝগড়া লাগে? বাপে ছেলে হাঙ্গামা লাগিয়ে রাখতি সারাদিন। তুই কি বাপের ভয়ে এভাবে ফাঁস দিয়েছিলি? বাবাকে কি বলবি ? বাবার সামনে কিভাবে দাঁড়াবি ? তুই মরে যাবার তিনদিন পর ও চলে গেল। তোর কাছে। তুই সবাইকে বলতিস- মা খুব ভালবাসে, বাবা একদম না। মা তো রয়ে গেছে রে তোর।
কেন এমন করলি? তুই সবসময় অনেক পড়তি। পড়ার বইয়ের চেয়ে বাইরের বই বেশি পড়ায় মন ছিল। আমি কিছু বলতাম না। তোর বাবা রাগ করত। বাবা ঘরের বাইরে গেলে আর দেখে কে? পড়ার বই ছুঁড়ে গল্পের বই নিয়ে বসতি। রেজাল্ট ভাল করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তে গেলি। সেখানে বেশি ভাল করলি না। তাও খারাপ করতি না। তারপর।
আচ্ছা। তোকে ওঁরা শাস্তি দিল। দুই বছরের জন্য বহিষ্কার। তুই নাকি ব্যাপক ভাঙ্গচুর করেছিলি। সেখানকার টিচারেরা তোকে নিয়ে চারজনকে শাস্তি দিয়েছিল। ঝিকে মেরে বৌকে শিখানোর শাস্তি। তুই নাকি হালকা রাজনীতি ও করতি। তোর বন্ধুরা বলেছে। তোকে কিভাবে দোষী বানাল সেটা তুই জানতি না। অমন ভাংচুরের মধ্যে কত বোকাসোকা ছেলে জোশের চোটে এসব করে। সবাই এগুলো জানে। তোর জ্বর ছিল বলে তুই যাস নি। জ্বর না থাকলে তো যেতিস। কিন্তু তোর নাম এসে গেল। তারপর আর কী। দুই বছর।
আচ্ছা। তোর বিপদে তুই বাবার বুকে মার বুকে আসতে ভয় পেলি কেন রে? আমরা বকতাম। বুকেও টেনে নিতাম। তুই একটা চিঠি লিখে গিয়েছিলি। তোর বন্ধুরা আমাকে এনে দিয়েছে। লেমিনেটিং করে রেখেছি। কিন্তু বাবা, এক লাইনের বেশি পড়তে গেলে আমার মধ্যের সবকিছু ভেসে যায়।
চিঠিটা আমি তোর স্যারদের দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাঁরা আমাকে খুব সম্মান করেছেন। আমি ওঁদের বলেছিলাম, এই সম্মানের একটা ফোঁটা পেলে আমার ছেলেটা বেঁচে যেত। আমার স্বামী বেঁচে যেতেন।
মন্তব্য
.
...........................
Every Picture Tells a Story
কিভাবে লিখেন এই সব?
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনে আমার লেখা পড়েন -এতেই খুশি।
আরো একটা গুল্লি।
--
চার নম্বর প্যারার পুরোটার দরকার আছে কি?
চার নম্বর প্যারা থেকে কিছু কথা ছাটা যেত।
ভীষণ মন ছুঁয়ে গেল। ভার্সিটিগুলোতে বড় ক্রাইম করে অনেকের কিছুই হয় না। আবার কোন অজুহাত ছাড়াই অনেকরে মুরগি বানানো হয়।
হ
কিভাবে এত মেপে এত ভাল লিখেন?
কন কি !!!
.........
...................................................
গভীর...
......
দারুণ!!!!!!!!
কার্য-কারণের সূত্রটা গোল পাকিয়ে গেল। এখানেই তো ভাবনার অবকাশ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
........
তারা দেওয়ার খেমতা নাই... আপসুস!!
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লিখতে থাকুন।
এটা কি সত্য ঘটনা নিয়ে গল্প? আউল্লায় তন্ময় ছিল না? ওদের সাথে মাঝে মাঝে ক্রিকেট খেলতাম। হঠাৎশুনলাম রুমে ফাঁস দিয়েছে। তবে তার সাথে ভাংচুরের সম্পর্ক ছিল কিনা জানি না। CSE-র ছেলেরাও আত্মহত্যা করে- এটাই আমার কাছে তখন তাজ্জব ঘটনা ছিল।
লেখাটা খুব বেশী ভাবালো। যাদবপুরে আমার প্রথম বর্ষে মেকানিক্যাল চতুর্থ বর্ষের সীমা দি লেডিজ হস্টেলের তিন তলায় নিজের ঘরে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলেছিলেন। সামান্যই চিনতাম তাকে। পর পর দুই সেমিস্টারে ফেল করে আর স্ট্রেস নিতে পারেনি বেচারী! মাঝে মাঝে মনে পড়ে আজ এই লেখাটা পড়ে আবার মনে পড়ে গেল।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
.........
কবি কি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার? তাহলে চিমটি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি যদিও পুরা মেকানিক্যাল না- তবুও চিমটি...
_________________________________________
সেরিওজা
....................................
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
.........................................................
পরে শুনি ...
উদ্ধৃতি
তার সাথে ভাংচুরের সম্পর্ক ছিল কিনা জানি না।
না উনার সাথে এসবের কোন যোগাযোগ ছিল না।
ভালো লেগেছে লেখাটা।
ধন্যবাদ।
তোর বাবার সাথে তোর কি সেখানেও ঝগড়া লাগে?
তুই মরে যাবার তিনদিন পর ও চলে গেল। তোর কাছে। তুই সবাইকে বলতিস- মা খুব ভালবাসে, বাবা একদম না। মা তো রয়ে গেছে রে তোর।
মন খারাপ হয়ে গেল। অসাধারন গল্প।
শুভ কামনা।
শেখ আমিনুল ইসলাম
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আন্ডারগ্রেডে এমন অযথা শাস্তি দেবার ঘটনা অনেক দেখেছি। অনেকের জীবন তছনছ হয়ে যেতে দেখেছি। আত্মহত্যার ঘটনাও দেখেছি - যদিও এমন কারণে না। তবু সেগুলোকে প্রকারান্তরে একরকম হত্যা বলেই মনে হয়েছে। এগুলোর দায় কেউ নেয় না। প্রশাসন তো চির ইনডেমনিটি পাওয়া এক সত্ত্বা।
গল্প ভালো লেগেছে। এমন ছোট ছোট সরল বাক্যের গল্পই সুন্দর।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
উদ্ধৃতি
তবু সেগুলোকে প্রকারান্তরে একরকম হত্যা বলেই মনে হয়েছে। এগুলোর দায় কেউ নেয় না। প্রশাসন তো চির ইনডেমনিটি পাওয়া এক সত্ত্বা।
একদম মনের কথাই বললেন পাণ্ডবদা।
আল পেচিনোর 'সেন্ট অভ আ উইম্যান' দেখতে পারেন।
দেখেছি। আমি দেখেছি একবার, দিশা মনে হয় দেখেছে দশবার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দিশা'দিকে লাল সেলাম।
আহা... !
বাবা-ছেলের সম্পর্কের যে চমৎকার ছায়াটা পড়েছে লেখাটায়, তার জন্য লেখককে উত্তম-জাঝা।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
সাঈদ ভাই,
অনেক থ্যাংকস।
অসম্ভবরকম ভালো লেখা। শুভেচ্ছা জানবেন।
মধুবন্তী মেঘ
ধন্যবাদ
সম্প্রতি 'থ্রী ইডিয়েটস' দেখে লেক্লেন নাকি গল্পটা ?? ...গল্প ভালো লাগলো। আপনার একটা বড় গল্পের আশায় রইলাম- অণুগল্প শুরু না হতেই শেষ হয়ে যায়-মজাও ফুরিয়ে যায়।
_________________________________________
সেরিওজা
'থ্রী ইডিয়েটস' দেখছিলাম। খারাপ প্রিন্ট। দেখে ভাল লাগে নাই।
বাহ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চমত্কার
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দারুন।
নতুন মন্তব্য করুন