ই-ন্টা-রে-স্টিং

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ০৭/০২/২০১০ - ৪:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভাবতাম আমার কাছে আহমদ ছফার বেশিরভাগ বই আছে । প্রায় মাসখানেক আগে বাংলাদেশ থেকে আট খন্ডের ছফা রচনাবলি আমার কাছে এসে পৌঁছাল। উল্টিয়ে দেখি অনেক কিছুই পড়া নেই। ‘সেইসব লেখা’ র মত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধসংকলন আমি পড়িনি। অথচ ছফাগিরি লেখা শুরু করেছি। একটা প্রবন্ধের শিরোনাম ভাল লাগল। ‘আমার নাম আহমদ ছফা, পিতার নাম মরহুম হেদায়েত আলী’।

একদিন এক মাস্টার বুড়ো
দুপুরবেলা ইস্‌কুলে
মনের ভেতর জমে থাকা
পিত্তথলির বিষ তুলে

দাঁত খিচিয়ে বেত উঁচিয়ে
করতে গিয়ে গালমন্দ
গরু ডাকেন গাধা ডাকেন
যখন যেমন পছন্দ!

ছাত্র সবাই সুবোধ বালক
বড় রকম হা করে-
যা শোনে তা গিলে ফেলে
বুদ্ধি এমন খড়খড়ে। …… (গো-হাকিম)

পি. লিডভের ‘তানিয়া’ অনুবাদ করেছিলেন ছফা। আমার মাঝে একবার অনুবাদ করার নেশা পেয়েছিল। ছফাকে গুরু মানতাম। উনি কিভাবে অনুবাদ করেন সেটা বোঝার জন্য ‘তানিয়া’ খুঁজলাম অনেক জায়গায়। সেটা না পেয়ে পেলাম ছফার করা রাসেলের বইয়ের অনুবাদ। সংশয়ী রচনা। সমগ্র কিনলে কত কিছু সহজে পেয়ে যাই।

আমার খবর হাওয়ার কাছে নিয়ো
বিশদ যহি জানতে চাহ শিশিরে শুধায়ো।
যদি বোঝ পাখির ভাষা সূর্য ওঠার কালে
আমার লেখন পাঠ করিয়ো রক্ত ঊষার ভালে
যদি কিছু কওয়ার থাকে ও-বন্ধু ও-ভাই
কুঞ্জবনে কূজনরত বুলবুলরে কইয়ো।
..... (আহিতাগ্নি)

আহমদ ছফা রচনাবলির সপ্তম খণ্ডের প্রাককথনের আগে লেখাটা পেলাম। গ্রীক দেশের শহীদদের উদ্দেশ্যে লেখা একটা কবিতার কথার সাথে ছফার আকুতির অনেক সাদৃশ্য আছে।

… If our comrades ask you any question about me,
Don’t say I stopped a bullet, don’t say I was unlucky,
Just tell them I’ve got married
In the sad lands overseas …
With a big flat stone for a mother-in-law
New pebble brothers and the black earth for my bride.

এই কবিতার অসাধারণ অনুবাদ করেছেন সলিমুল্লাহ খান।

… আমাদের সঙ্গীসাথীরা যদি আমার খবর জানবার চায়
কইও না আমার বুকের ফুটোয় গুলি, দোহাই দিও না কপালের
কইও আমার বিয়া হইছে
দরিয়াপারে ঐ দুঃখের দেশে …
শাশুরি মা আমার চওড়া পাথররাণী
নবীন নুড়ি শালাশালি আর পাথরকালো মাটি বঁধুয়া আমার।

ছফার যেকোন কিছুর মুখবন্ধ লেখার বাতিক ছিল। নিজের লেখার (সেটা কবিতা ,প্রবন্ধ, উপন্যাস, অনুবাদ যাই হোক না কেন) মুখবন্ধ দিতেন ঠিক আছে, অন্যের লেখার মুখবন্ধ দেয়ার ব্যবস্থা করতেন। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম বই ‘নন্দিত নরকে’-র প্রাককথন লিখিয়েছিলেন আহমদ শরীফকে দিয়ে। ফাউস্ট অনুবাদের ভূমিকায় যা লিখেছিলেন আমি সেটা কয়েকশো বার পড়েছি। তাও পড়তে ভাল লাগে। শাহাদুজ্জামানের ‘কথা পরম্পরা’য় আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সাক্ষাৎকার যতবার পড়ি ক্লান্তি লাগে না। দুঃখের ব্যাপার ‘কথা পরম্পরা’ এখন আমার কাছে নাই। হারমান হেসের ‘সিদ্ধার্থ’ ও অনেক ক'বার পড়েছি।

১৯৭৬-৭৭ সালের দিকে যখন অনুবাদটি সমকালে প্রকাশ পাচ্ছিল, তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা থিসিস তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু গ্যোতের চিন্তার গভীরতা এবং কল্পনার অনুপম সৌন্দর্য আমাকে এমনভাবে তন্ময় করে রাখে যে ঐ গবেষণার কাজটিকেই আমার নিতান্ত অশ্লীল বলে মনে হতে থাকে। এই ধারণা মনে জন্ম নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে গবেষণার কাজটি আমি ছেড়ে দেই। .... ( ফাউস্ট অনুবাদের ভূমিকা)

এবার ই-ন্টা-রে-স্টিং।

পরের দিন সকা্লবেলা আমি গিয়ে দেখি অনেক হোমরাচোমরা ব্যক্তি হাজির হয়েছেন।সৈয়দ আলি আহসান, মোস্তফা নূরউল ইসলাম, ড. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, সরদার ফজলুল করিম- আরও কে কে ছিলেন নাম মনে পড়ছে না। স্যার আমাকে অর্থনীতিবিদ ড. মুশাররফ হোসেনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে জানালেন, মৌলবি আহমদ ছফা ফাউস্ট অনুবাদ করছে এবং অনুবাদ খুব ভালো হচ্ছে ইত্যাদি। ড. মুশাররফ বড় বড় চোখ পাকিয়ে এমনভাবে ই-ন্টা-রে-স্টিং শব্দটা উচ্চারণ করলেন শুনে, আমার পিত্তি জ্বলে গেলো। এই ধরণের বিলেত আমেরিকা-ফেরত ভদ্রলোকেরা নাসিক্যধ্বনিতে এমনভাবে বাংলা উচ্চারণ করেন, শুনে আপনার মনে হবে তিনি বাংলা বলতে একেবারে অভ্যস্ত নন, যেহেতু ইংরিজি বললে আপনি বুঝবেন না, তাই দয়া করে আপনার সঙ্গে মাতৃজবানে কথা বলছেন। আমি মনেমনে ঠিক করে নিলাম, এই মুহূর্তে একটা ফয়সালা করে নেয়া উচিত, টেবিলে স্তূপীকৃত খাদ্যবস্তু গলাধঃকরণ হওয়ার পরে স্যার অবশ্যি আমাকে অনুবাদ পাঠ করে শোনাবার নির্দেশ দেবেন। যে ভঙ্গিতে ডক্টর সাহেব ইন্টারেস্টিং শব্দটা উচ্চারণ করলেন, সেরকম প্রশংসাবাক্য যদি আমাকে হাজেরান মজলিশের কাছ থেকেও শুনতে হয়, সেরকম গুরুপাচ্য জিনিস আমার পক্ষে হজম করা সহজসাধ্য হবে না। তাই ভাবলাম ভোজনপর্ব সমাধা হওয়ার পূর্বে এমন-কিছু করে ফেলা উচিত যাতে করে রচনাপাঠ আপনা থেকে স্থগিত হয়ে যায়। আমি ড. মুশাররফকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি আমার দিকে একটু তাকান। তিনি আমার দিকে তাকালে আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি জীবনে কবি গ্যোতে কিংবা তাঁর কাব্য ফাউস্টের নাম শুনেছেন?
ড. মুশাররফ ঘাড় চুলকে আমতা-আমতা করে বললেন, হ্যাঁ শুনে থাকবো।
আমি বললাম, আর কিছু জানেন?
তিনি বললেন, মানে মানে কিছু-কিছু তো-
আমি তাঁর মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বললাম, আপনি ইন্টারেস্টিং শব্দটা যেভাবে প্যাট্রোনাইজিং টোনে উচ্চারণ করলেন আমি নিশ্চিত যে এ ব্যাপারে আপনি কিছুই জানেন না।
....(যদ্যপি আমার গুরু)

বহি

আহমদ ছফা রচনাবলি
সম্পাদনা নূরুল আনোয়ার
খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি
প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৮


মন্তব্য

জুলিয়ান সিদ্দিকী [অতিথি] এর ছবি

এইবার আশা করি বিস্তারিত কিছু পাবো। সংবাদ জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

বর্ষা এর ছবি

বস আরেকটু লিখতেন। এমনি চলুক

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গুরু হইলে এরকমই হওয়া উচিত! খুব মজা পাইলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

সমগ্র কেনার ব্যপক আগ্রহ তৈয়ার হইসে। ধন্যবাদ বিস্তারিতের জন্য।

আবেদ এর ছবি

আপনি ইন্টারেস্টিং শব্দটা যেভাবে প্যাট্রোনাইজিং টোনে উচ্চারণ করলেন আমি নিশ্চিত যে এ ব্যাপারে আপনি কিছুই জানেন না।

আহমদ ছফা পারেন।

ফরিদুর এর ছবি

আপনার লেখা আয়তনে অনেক ছোট হয়ে গেল।

ফরিদুর এর ছবি

আহমদ ছফার রচনাবলি কেনালাম বইমেলা থেকে। ডিএইচেল করে এখন আমার কাছে আসবে।

ছফার ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এটা কি আহমদ ছফা রচনাবলির সমালোচনা? ক্যাটেগরী দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। কিন্তু তা কী করে হয়?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ছফার রচনাবলির তথ্য দিলাম মাত্র।

সাবিহ ওমর এর ছবি

ই-ন্টা-রে-স্টিং!!!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনার প্যাট্রোনাইজিং টোন বুঝলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভাশীষদা লেখা ভালো লাগল। আহমেদ ছফার কিছু বই আমার কাছেও আছে। তাঁর লেখা আমারও ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোষ্টা দেয়ার জন্য। শুভাশীষ দা আমার লেখায়তো অনেক বানান ভুল হয়, এই নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ বিদ্রুপও আপনার মুখ থেকে আমাকে হজম করতে হয়েছে। আমার পাঁচশো যদি আপনার কাছে দৃষ্টকুটু হয় তাহলে আপনার লেখায় "কয়েকশো" কি মানায়?

ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

ভাই আপনে তো ডিকশনারি বা ব্যাকরণ বই বা মহাশুদ্ধ মহাভারত লেখতে বসেন নাই - এইসব নিয়া এত চিন্তা না কইরা হাত পা ঝাইরা লেখেন। লেখতে লেখতেই একদিন দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। আর দুই একটা কটু মন্তব্য হজম করতে পারা ভালো অভ্যাস - এগুলি মনে না রাইখা পজিটিভলি নেন - ফিডব্যাকের জন্যই তো ব্লগ: চেষ্টাটা থাকাই বড় কথা - অনেকটা গন্তব্যের চেয়ে পথ বেশি ই-ন্টা-রে-স্টিং হওয়ার মতন তত্ব দিলাম আর কি দেঁতো হাসি
ভালো থাকুন হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

@ ওয়াইল্ড-স্কোপ,

একটু নাসিকা গলাই।

দলছুট এর মধ্যে উনার আমারব্লগে ১৩৭ খানা হাত পা ঝাড়া লেখা পোস্ট করে ফেলেছেন। কাইণ্ডলি ওখানে গিয়ে পড়ুন।

সচলে উনি যে কয়টা লেখা পোস্ট করেছেন সেগুলো পড়ে আমাদের অনেক সচল হাচল টুকুনচল চেয়ার থেকে ঝরে পড়ে আহত হয়েছেন। কেন খামোখা ইনজুরি বাড়াতে চাইছেন?

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

কে কোন ব্লগে কি নিয়া লেখবে তা লেখক আর মডুর ব্যাপার - নীতিমালায় না আটকালে তাতে বোধহয় আমার আপনার লেখার কোয়ালিটি ছাড়া আর কিছু নিয়ে বলার নাই। কাউকে কোথাও লিখতে নিরুর্ত্সাহিত করার পক্ষে নই - আমার ধারণা বিভিন্ন আইডিয়ার মিশ্রনই ব্লগকে অন্যান্য মিডিয়া থেকে আলাদা করে: সেটাকে কেন নিজের মত করে রাস টেনে ধরি? শুধুই আমার মতামত জানালাম, পজিটিভ ভাবেই নেবেন আশা করি হাসি ভালো থাকুন

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সচলে উনার যে পোস্টগুলো আসছে, সেগুলো কি পড়েছেন? অথবা উনার আমারব্লগের কিছু লেখা ? পড়ার পর মন্তব্য করলে এক কথা আর না পড়ে মন্তব্য করলে আরেক কথা।

দলছুটের ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে আমি ও ইনজুরিতে পড়লাম। দেঁতো হাসি

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

নাহ - ইনজুরিতে পড়ি নাই - ইন জেনারেল বললাম আর কি। আপনার কি ধারণা মডারেশনের ধাঁচ কি কমে গেছে? জাস্ট আপনার মতামত জানতে চাইলাম আর কি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনি কিছুটা ভাল লিখলে সচল কিন্তু ফিডব্যাক দেয়। যেমন- আমার জানা নেই, আপনাদের আছে? কিংবা একটা হৃদয়ছোঁয়া জন্মদিনের কথা...। (আমরা কি পারি না এমনটা করতে?)

মূলত পাঠক, স্নিগ্ধা, হিমু - ইঁনারা আপনাকে নিয়ে আর কমেন্টান না। আমি তাই আপনার সাথে একটু আলাপ করতে যাই। কেনু যে মাইণ্ড খান?

ফাউস্ট (ছফার অনুবাদ) কিনছিলাম ২০০০ সালে। প্রায় তিন হাজার দিনের মধ্যে কয়েকশো বার পড়া ফিজিবল মনে হয়। মানে আপনি যদি গুণতে ধরেন তখন আর কী।

আর আপনি তো কয়েকশো (খাইছে আবার গুণতে ধরবেন নাকি) নিকে লেখেন। কামরুজ্জামান স্বাধীন ওরফে ডি এম কামরুজ্জামান স্বাধীন ওরফে দলছুট ওরফে জামানস্বাধীন ওরফে আনাড়ীলেখক ওরফে ইরাম জামান। আরো মনে হয় আছে।

আর ভাই ও. স্কো. ,

স্বাধীন সাহেবের বানানের চেয়ে রুচি নিয়া আমার আপত্তি। সচলে আজব পেরেমকা গজব কাহিনী পড়বার মঞ্চায় না।

স্বাধীন এর ছবি

এই আমার নাম নাও নি তো হো হো হো.

দুর্ভাগ্য ক্রমে উনার কোন লেখাই আমার পড়া হয়নি। আজ সবই পড়লাম দেঁতো হাসি.

তোমার এই লেখাটি ফাঁকিবাজির লেখা হয়েছে। আরো বিশ্লেষন ধর্মী লেখা চাই।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সময় নাই বস্‌। দৌড়ের উপর আছি। মাঝেমাঝে হাবিজাবি গল্প পোস্টাই।

ফারাবী [অতিথি] এর ছবি

ছফা সম্বন্ধে একটা লেখা কিছুদিন আগে একটা লিটল ম্যাগে পড়েছিলাম। সেটা তার লেখা পড়ায় আমার মধ্যে নতুন করে আগ্রহ সৃষ্টি করতে খুব একটা সফলকাম হয়নি বলা যায়। আপনার এই লেখা পড়ে মনে হচ্ছে এবার ছফার লেখা পড়া জরুরি হয়ে গেল। অনেক আগে থেকেই যদিও তাগিদটা অনুভব করছিলাম, সেটাকে একটু খোচা দিয়ে দেয়ার জন্য একটা ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।

স্নিগ্ধা এর ছবি

মুশাররফ স্যার কিছুদিন আমাদের পড়িয়েছিলেন - ওনার স্বভাব/চরিত্র যতটুকু বুঝেছিলাম ঠিক ওরকম প্যাট্রোনাইজিং মনে হয় নি। তবে, একই মানুষ তো বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন আচরণ করেই থাকে - তাছাড়া ছফা বলছেন যখন, তখন নিশ্চয়ই উনি বলেছিলেন ওরকম করে।

ব্যাপারটা ই-ন্টা-রে-স্টিং হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ছফার চেহারা আর পোশাক দেখে বলতে পারেন। এই চেহারার অদ্ভুত নামের একজন লোক ফাউস্ট নামের একটা বইয়ের অনুবাদ করছেন দেখে হয়ত গলা প্যাট্রোনাইজিং হয়ে গেছিল।

ছফার নাম আর পোশাক নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলেছেন। আর তিনি তাঁর মত চলেছেন।

স্নিগ্ধা এর ছবি

হ্যাঁ, সেটা খুবই সম্ভব। সবখানেই হয়, তবে আমাদের উপমহাদেশে 'পোশাক' জিনিষটা অদ্ভুত রকমের গুরুত্ব পায়!

বাউলিয়ানা এর ছবি

আপনার ছফাগিরী পড়তে গিয়েই "যদ্যপি আমার গুরু" পড়ে শেষ করেছি।
ই-ন্টা-রে-স্টিং এর জায়গাটাতে আমিও একটা ধাক্কা মত খেয়েছিলাম। একজন তরুনের পক্ষে এতগুলো বিদগ্ধ শিক্ষাবিদের সামনে এরকম প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা আমি ভাবতেই পারিনি।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এটা একটা ঘটনা। আরো অনেক ঘটনা আছে।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

দুর্দান্ত এর ছবি

ছফা লুকটা অনেক কিছু শিখাইলো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।