ভূতের গলি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শনি, ১৩/০২/২০১০ - ১১:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভূতের গলি নিয়ে যা বলার শহীদুল জহির বলে ফেলেছেন। আমি নিজে ভূতের গলিতে থাকি। মহল্লার দোকানে ডালপুরি কি আলুপুরিতে কামড় দিতে গেলে আব্দুল আজিজ ব্যাপারি কি আব্দুল করিমের কথা মনে পড়ে। খাটে শুলে ভূতের গলির অদেখা বান্দরগুলো আমার জানালায় ফুচি মারে ভেবে নিই। আমি পড়ি। শহীদুল জহিররে বারবার পড়ি। পড়ে আমার নিজের কথা কি ভাষা প্যাঁচগোচ খেয়ে উনার পথ ধরে।

আমার সাথে লীনার কথা, লীনারে নিয়ে আমার ভূতের গলির কথা আমি টুকটাক ভেবে নিই। ভেবে নিয়ে আমি দিনের কথা ভাবি। রাতের কথা ভাবি। লিখতে গিয়ে আবারো সেই একই ভাষা আমার শরীরে খাউজায়, চুলকায়। ডলু নদীর হাওয়া ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করি। চারতলার বাসার ছাদ থেকে পাতাগুলো নিচে উড়ায়ে দিই। নিচে পড়তে বেশি সময় লাগে না। রিকশার আরোহীর মাথায় পড়ামাত্র ‘কুন খানকির পোলারে’ বলে উপরে তাকাতে গেলেই আমি অকস্মাৎ মাথা সরিয়ে নেই। স্মিত হাসি।

তারপর কয়েকদিন কিছু পড়ি না। ডালপুরি খেতে গেলে শহীদুল জহিররে মনে পড়বে ভেবে সমুচা চালাই সারাক্ষণ। লীনার কথা ভাবি। লীনারে নিয়ে আমার ভালবাসার কথা কিছু লিখতে গেলে ভাষার দিকে তাকিয়ে দেখি –আবে হালায় …


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটা।

কিন্তু আজকাল বেশ ফাঁকি দিচ্ছেন আপনি। লেখা ছোটো ছোটো হচ্ছে। আপনার ব্লগে ক্লিক করার আগে একটা প্রস্তুতি থাকে বড়সড় কিছু পড়ার। সেই রকম লেখা চাই আরো। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সময় পাই না।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনে কি পাঠক সমাজের উপরে কোন স্টাডি চালাইতেছেন নাকি? কে কি রকম রেসপন্ড করে সেটা নিয়া? লেখা এত ছুডু কেন? পেট চেপে হাসতে শুরু করতেই লেখা শেষ, মিয়া, আরেকটু ছাড়েন। ভূতের গলির ভূতে ধইরা থাকলে কন, দলছুটরে ডাক দেই, ওঝা হইয়া ভূত নামায়া দিবনে গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি, আমাদের অন্যতম প্রিয় ব্যাক্তিত্ব চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

না , সাইফভাই।

বইখাতা এর ছবি

শেষ লাইনটা পড়ে হাসি পেয়ে গেল....হাসি

সুমন চৌধুরী এর ছবি
হাসিব এর ছবি

আমিও সেইটাই বলি ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

স্পর্শের সাথে একমত।

স্বপ্নদ্রোহ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঠিকাছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বদ্দা কি কন?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

গোস্তাকী মাফ করবেন, শহীদুল জহির কে? এনার নাম সেদিন পড়লাম সুহানের ব্লগে। ইনি কি এখনকার সেনসেশন নাকি?

আপনার নামের সাথে এই লেখাটা কেমনে যায় সেটাই ভাবছি। এটা কী ধরনের লেখা (যদিও ট্যাগে লেখা আছে) তাও বুঝতে পারলামনা। সবুজ বাঘের কবিতার মতো আপনিও এখন এর ব্যাখ্যা দেন। নাইলে ১ দিয়ে দিব। হো হো হো

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বস, ঐ গল্পের আলোচনায় ১৯ নম্বর কমেন্টে শুভাশীষদা উত্তর দিসিলেন। আপনার মনে হয় চোখ এড়ায় গেসে...

_________________________________________

সেরিওজা

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ সুহান। জানার আগেই উনি চলে গিয়েছেন জেনে খারাপ লাগছে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

যাক। চিনছেন তাইলে?

নীল পিপড়া  এর ছবি

শুভাশীস দা কিছু একটা লিখলে আমি টুক করে পরে ফেলি তারপর অপেক্ষায় থাকি কামরুজ্জামান স্বাধীন ভাই কি মন্তব্য করে! আমার আবার মন্তব্য পড়তে বেশী ভালো লাগে...:শয়তানী হাসি

নীল পিপড়া
বেলজিয়াম

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

উনি নাম খুঁজতেছেন। আসবেন শিগগির। দেঁতো হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

হা হা হা হা - দারণ, শুভাশীষ! এবার আপনি আর সুহান মিলে একটা এন্টিডোট বের করে ফ্যালেন হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

খেল্বো না কিন্তু... আপ্নেরা পাইসেন কী ?? গরররর......

@ শুভাশীষদাঃ গল্প ভালৈসে। কিন্তু আপনি আজকাল জমাইতেসেন্না ক্যান ?? এতো অল্পে শেষাইতেসে ক্যান ??

_________________________________________

সেরিওজা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এগুলা টুকুন গল্প। বড় গল্প লেখার শক্তি নাই।

নৈষাদ এর ছবি

গল্প পড়ে লীনাকে মনে পড়ল আনেক দিন পর।
লেখা ভাল লাগল।
সচলায়তনের পাঠক হওয়ার আগে নিজেকে শুধু কবিতা-প্রতিবন্ধী (বিশেষণ ধুসর গোধূলির লেখা থেকে ধার করা) হিসাবেই জানতাম। সচলায়তনে এসে মাঝে মাঝে নিজেকে গল্প-প্রতিবন্ধী মনে হয়। আত্ম-বিশ্বাস নিয়ে ব্যাপক টানাটানি অবস্থা...।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আরে না। এগুলা ঠিক গল্প না। প্রতিবন্ধী-গল্প কওয়া যায়।

মনামী এর ছবি

আমার আবার ছুড লেহাই পসন্দ :)। ভালো হইসে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বুইজ্‌ঝি ......

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লীনা নাকি শেপালী? নাম কোনটা হলে ভালো হয়?
------------------------------------------
গল্পটাতো তৈরি হচ্ছিল, অনেকটা চতুর্থ মাত্রার মত, যদিও ভাষা কোথায় পাবো তারেকে ভর করে করা। এখানেই থামিয়ে দেয়াটা কি ঠিক হল?
------------------------------------------
ইদানিং গল্পগুলোতে মনোযোগ এত কম কেন? খুব চাপ যাচ্ছে, নাকি ডিপ্রেশন?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কাজের চাপ যাচ্ছে। তবে টুকুন গল্পগুলো বেশি টানার ইচ্ছা নাই।

দময়ন্তী এর ছবি

কেমন যেন জমতে জমতেই ফুসসস হয়ে গেল৷ মন খারাপ
এমন ফাঁকি মারা মোট্টে ভাল না৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হুমম

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

পড়তে পড়তে ভাল্লাগলো...
ভাল্লাগতে লাগতেই শেষ হয়ে গেলো... হাসি

------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হুমম

নাশতারান এর ছবি

শুভাসীষদা, আপনি কি ইচ্ছে করে পাঠকদের অতৃপ্ত রাখছেন?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

না।

সবজান্তা এর ছবি

আমারও কিন্তু মনে হলো, ঠিকাছে হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

এতগুলো মন্তব্য না থাকলে লেখক সহ লেখাটা আরও ছোট হয়ে যেতো। - ছাড়পত্র...

ফকির লালন এর ছবি

ভালো লাগলো। বেশ ইন্টারএক্টিভ। জহীর আপনাকে ভাবাচ্ছে, করাচ্ছেও বলতে পারি, আপনি ও আমাদের ভাবচ্ছেন, যেখানে শেষ করছেন, সেখানে যেন আমরাই শুরু করতে পারি, অনেকটা এরকম।

লেখক কখনো কখনো কি ট্যুরগাইডের মতো গল্পটা না বলে গল্পের রাস্তাটা বলে দিতে পারেনা, কবিতায় জিনিসটা ভাবি, কিন্তু আপনার গল্পে সেটা যেমন অনায়াসে এসেছে, তেমন পারিনা।

ইন্টারএক্টিভিটি নিয়ে গিয়ে বলতে গিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়ঃ ব্লগের এ সম্ভাবনাটা কি নান্দনিক ভাবে এক্সপ্লয়েট করা সম্ভব? আপনি গল্প শুরু করলেন, বাকী দশজনে শেষ করলে ব্যাপারটা কি নান্দনিক থাকবে না হ-জ-ব-র-ল হয়ে যাবে?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি গল্পগুলোকে আয়তনে বাড়ানোর চেষ্টা করব। হয়ত ভবিষ্যতে।

ইন্টারএক্টিভিটি নান্দনিক পর্যায়ে আনা যায়। আমার টুকুন গল্পে কেউ চেষ্টা করলে আমি তাঁকে সাধুবাদ জানাব।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।