ড্রেনের পাশের চিপায় ঢুকতে গিয়ে বস্তির পিচ্চি সুলেমানের তাড়া খায়। চিপার মধ্যে দৌঁড়ে ঢুকে পেছন ফিরে দেখে সুলেমান অন্য কাজে মন দিয়েছে। আস্তে আস্তে আরো ভিতরে ঢুকে পায়ে আলতো চাপ দিয়ে বসে। ঘা-তে হালকা টান পড়ায় ব্যথায় কুঁই করে শব্দ করে। মুখের মধ্যে রাখা হাড্ডি গড়িয়ে গড়িয়ে ড্রেনের কাল পানিতে হারিয়ে যায়। ভোলা স্থির চোখে কাল চিকচিক পানির দিকে তাকিয়ে থাকে। ঘা চেটে জিহ্বার স্বাদ পাল্টায়। পরে শুয়ে পড়ে।
বস্তি থেকে অনর্গল শব্দ এসে ভোলাকে ঘুম পাড়ায়। বিকাল সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামে। পেটে ক্ষুধার টানে উঠে বসতে গিয়ে আবার ব্যথায় আওয়াজ করে। ড্রেনের পাশের ঝোপে সামান্য দূরে মানুষের ধস্তাধস্তি শুনতে পায় হঠাৎ। ভয় পেয়ে অন্যদিকে যায়। একজন মানুষের মারাত্মক গোঙ্গানি দীর্ঘ নাদ সেরে ঝিম মারে। লোকজন সরে পড়ে। আরো খানিক বাদে ভোলা এগোয়। রক্তের ধারা গড়িয়ে এসে পায়ে লাগে। জিহ্বা রক্তের লালে আবারো স্বাদ বদলায়।
মন্তব্য
ভালু। আরো আসুক।
ধন্যবাদ
অনেক ভাল লাগল।
===অনন্ত===
ধন্যবাদ
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী-ধুর !!!
(রাগ কইরেন্না, তাড়াহুড়ায় দুইবার মাউস চেপে আপনি নিশ্চয় পরে 'ধুর' বলেন- তাই দিলাম )
_________________________________________
সেরিওজা
ষষ্ঠ পান্ডব
শুভাশীষ দাশ:
মাউস নির্দোষ... আমিই হুদাই ডাবলকপি পাঠাই!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কোন পোস্টের মন্তব্যর ঘরে জয়নুলের চিত্রকর্মটির মাথাটি দেখা গেলে আমি মোটামুটি নিশ্চিত থাকি যে চিত্রকর্মটি ঠিক নিচেই আরো একবার আছে। ব্যাপারটা আমার অভ্যস্ততায় চলে এসেছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আহারে, মাইয়াডা।
এই গল্পটির কনসেপ্ট এককথায় অসাধারণ। তবে আমার মনে হচ্ছে আপনি ভাষার দিকে কম গুরুত্ব দিচ্ছেন। মহাত্না আহমদ ছফার ভাবশিষ্য হচ্ছেন সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে। কনটেন্ট নিয়ে আপনার ব্যাপক চিন্তার হদিশ পাচ্ছি আপনার লেখা টুকুন গল্পগুলোতে। এই গল্পগুলো কিন্তু দীর্ঘজীবন লাভ করার আশা আছে।
-- অরুণ
আপনার মন্তব্য+ বিশ্লেষণ দেখে ভাল লাগল।
নির্মম একটা গল্প । আর কিছু কমুনা।
হ। ব্রুটাল।
*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
পড়লাম...
ঠিকাছে।
এই গল্পটা পরিপূর্ণতা পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে এটাকেও বড় করা যায় - টুকুন/অণু থেকে ছোট গল্প বা বড় গল্প, ফকির লালন যেমনটা বলেছিলেন। জানিনা কেউ এই উদ্যোগটা নিতে আগ্রহী হবেন কিনা। অনেকটা ছাত্রজীবনে করা "ধারাবাহিক গল্পবলা"র মত করে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কেউ আগ্রহী হচ্ছে না। আপনাকে যদি গল্পটা টানতে বলি।
বনফুলের একটা এরকম গল্প ছিলো মনে হয়- নামটা কি ছিলো ?? 'কসাই' ?? মনে পর্তেসে না...
এইটা অনেকদিন পর একটা দারুণ দারুণ টুকুন গল্প হৈসে বলে মনে হলো।
_________________________________________
সেরিওজা
বনফুলের সেই গল্প পড়ি নাই। পারলে সংগ্রহ করে একটু পাঠাও। তুমি একটু কষ্ট করে স্ক্যান সেক্টরের কিছু কাজ করতে পার।
স্ক্যানা নাই যে বস। আর- সময় দিতে হবে প্রচুর, সেটারও অভাব...।
বনফুলের পুরা কালেকশন আমার কাছে আছে। গল্পটা ছোট অনেক, কিন্তু নামটা মনে নাই। যদি খুঁজে পাই- তাইলে আপনারে লিখেই পাঠায়া দেয়া যাবে...
_________________________________________
সেরিওজা
ঠিকাছে। অগ্রিম ধন্যবাদ।
এইটুকুন?? আইডিয়াটা চমৎকার।
- মুক্ত বয়ান
হ। এইটুকুনই।
পুরো গল্পটা সুন্দর। লেখনিতে ভাবালুতার চেয়ে কনসেপ্টের বৈচিত্রে জোর বেশি। শিখে নিলাম।
---- মনজুর এলাহী ----
ধন্যবাদ।
খুব ভালো লাগল। এতো ছোট পরিসরে এমন একটা বিষয় সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা আসলেই কঠিন কাজ, কিন্তু শুভাশীষ দা সেটা সফল ভাবে করেছেন।
ধন্যবাদ।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
ধন্যবাদ। অনেকদিন বাদে আপনাকে দেখলাম।
খুব ভালো লাগলো... কন্সেপ্ট চমৎকার, ভাষার আরেকটু তীবরতা থাকলে খুব ভাল্লাগতো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বাশার তীরবতা করি নাই। কোমল করার চেস্তা করসি।
দারুন।
ভিন্ন ধাঁচের গল্প পড়ার শখ আজকের মত মিটে গেল
---------------
আলোর ছটা
---------------
হুমম ...
এই গল্পটা আমার কাছে সাদামাটা মনে হল না।
তাই !
একদম কিছু কওয়ার কোন জাগাই রাখেন নাই।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
কন কী গুরু?
কসাই -> জিপি
সুলেমান -> পরথম আলু
মৃত ব্যক্তি -> শহীদ মিনার
ভোলা -> ভুদাই আমজনতা
আপনে তো জটিল লোক। আপনার নাম কি ভাই?
আমার নাম পীযুষ।
শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে এলো বন্ধু।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কি যে কও দোস্ত?
অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ।
এতো
শুভদা, আপনের লেখার গুণমুগ্ধ আমি।
আপনার এরকম এক্সপেরিমেন্ট ভালোলাগছে।
তবে, কেন জানি, টুকুন গল্পগুলোর এর মাঝে কিছুটা লয় কেটে যাওয়াও পাচ্ছি।
(বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে পারছি না, আমি নিজেই ধরতে পারছি না বলে।)
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আমি নিজেই তাল পাই না। আপ্নে লয় পাইবেন কই?
নতুন মন্তব্য করুন