জামি একা একা কখনো এই দোকানে যায় নি। একটু ইতস্তত করে, পরে ঢুকে পড়ে যাত্রায়। রিকশা পেইন্ট দিয়ে দোকানের ইন্টেরিয়র। পুরানো পত্রিকা রিসাইক্লিং করে ঠোঙা বানানোর ব্যাপারটা ছাড়া যাত্রার অন্য কিছু জামির খুব একটা ভাল লাগে না। দোকানের ভেতরে কেউ নেই। ক্যাশিয়ার বা অন্য কাউকেও দেখা যাচ্ছে না। জিনিসের পর জিনিস সাজানো। চুড়ি, মালা, ব্রেসলেট, মানিব্যাগ, অ্যাশ-ট্রে, চাবির রিং, বাঁশের ঝুড়ি যার যার চেহারায় বসে আছে। নানা জাতের মোম একসাথে মৌন মিটিংয়ে কি যেন করছে। টেবিলক্লথ, ন্যাপকিন, বেতের তৈরি ডাইনিং ম্যাট, মাটির তৈজসপত্র দাঁড়িয়ে আছে, বসে আছে, শুয়ে আছে। ঢাকাইয়া সিনেমার পেইন্টে করা হারিকেন। সেখানে জসিমের কোন ছবির পোস্টার। কাঠের তৈরি, মাটির তৈরি বাটি, কাপের মধ্যে চা নেই, খাবার নেই। খালি। আরো ভেতরে গেলে ব্যাগের সেকশন। আর সেখানে আনুশেহ দাঁড়িয়ে। জামি একটু ভড়কে যায়।
আপনাকে কোন হেল্প করতে পারি?
আনুশেহ’র প্রশ্নে জামি বেশ প্যাঁচে পড়ে।
না এমনি … হ্যাঁ, আমার … আমার বোনের জন্য একটা …
একটা কি?
না ইয়ে … মানে ব্যাগ
স্কুলব্যাগ?
না, ওই যে ব্যাগ। কাঁধে নেয়।
স্কুলব্যাগ ও তো কাঁধে নেয়? হ্যাণ্ডব্যাগের কথা বলছেন, না?
হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাণ্ডব্যাগ …
জামি, এটা দেখতে পারেন। আপনার বোনের পছন্দ হবে।
আপনি আমাকে …
এইটার দাম পাঁচশো টাকা। কাউন্টারে নিয়া যান।
টাকার কথায় আর গলার উচ্চ স্বরে জামি ভাল করে তাকিয়ে দেখে একজন সেলসগার্ল তাকে লাল বদখত একটা ব্যাগ দিচ্ছে। এদিক ওদিক ঘুরেও আর আনুশেহকে আর দেখা যায় না। কাউন্টারে গিয়ে ব্যাগটা দিয়ে অপেক্ষা করে। টাকা দেবার সময় জামি ক্যাশিয়ার লোকটাকে জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা- আনুশেহ ম্যাডাম কি একটু আগে এখানে এসেছিলেন?
না, স্যার। ম্যাডাম তো খুব ব্যস্ত থাকেন। বছরখানেক হইয়া গেল উনি এই ব্রাঞ্চে আসেন না।
মন্তব্য
পরমানু গল্প বেশ ভাল হয়েছে। ভৌতিক ব্যাপার-স্যাপারে আরো মজা। এ ধরনের আরও পরমানু গল্প চাই।
=====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
ভূত পাইলেন কই?
হাহাহা......দুঃখিত! আমি ভুল ভেবেছিলাম।
কিন্তু এখন আরো বেশী মজা পেলাম। ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
=====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
শুভাশীষদা, গল্পটা আগে লেখা মনে হচ্ছে! নর্থসাউথতো ঠিকানা বদল করেছে। বনানী থেকে বসুন্ধরায় উড়াল পারছে।
পরমাণু গল্প ভালো লাগ্লো। আরো ভালো হয় যদি পরমাণু গল্পের একটা সংজ্ঞা দিয়ে দিতেন তবে। রচয়ীতার কাছ থেকে রচনা সম্পর্কে শুনতে ভালু পাই।
শুভাশীষ জানবেন।
---- মনজুর এলাহী ----
হুম
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মানে কী?
হুম=পড়লাম। কী বুঝলাম নিজেও জানি না। ভাব ধরলাম সব বুঝে ফেলসি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভেলো!
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ভেলু ...
ভালো লাগলো।
আপনার আগের গল্পটি বেশ লেগেছিলো, কিন্তু নেট স্পিড খারাপ থাকায় লগ-ইন করে মন্তব্য করা হয় নি।
*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
ধন্যবাদ।
যাত্রা'র থিমটা চমৎকার। আর, আনুশেহ আছে বলেই হয়তো আরো বেশি জনপ্রিয়।
গল্পটা ভাল্লাগ্লো। মাঝে মাঝে এইরকম ভুল হয় বলেই তো দোকানগুলার বিক্রি-বাট্টা বাইড়া যায়!!! :)
- মুক্ত বয়ান
ধন্যবাদ।
- ধরতে পারি নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আম্মো না...
_________________________________________
সেরিওজা
হুম ...
প্রথমে পইড়া ভয় পাইছিলাম।
এখন আবার জানি অন্যরকম লাগে। গল্প ভালৈছে
যাক, ভয় কাটছে।
আনুশেহ'রে ভাল্লাগ্লো.....
- গায়েবী চশমা দিয়া?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠিকাসে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নতুন মন্তব্য করুন