নাস্তার টেবিলে আম্মা বসে আছেন। যেমন সবদিন বসে থাকেন। চেয়ার টেনে বসতেই বছরের পর বছর চলতে থাকা পাউরুটি-জেলির প্লেট চোখের ফোকাসে স্পষ্ট হয়। অভ্যস্ত মুখে স্বাদহীন জিহ্বার অংশগ্রহণে দুই স্লাইস গেলা হয়ে যায়। সাথে পানসে চা। আম্মা অনেক বাচ্চা-কাচ্চার মা হওয়ায় অপত্য স্নেহের সংকটে ভোগেন। হারিসের অবশ্য এটাই ভাল লাগে। বড় বোন রাহেলার মাস দুয়েক আগে বাচ্চা হয়েছে। অতি আদিখ্যেতা আর বেইবি বেইবি ডাকার সোল্লাস প্রবণতায় হারিসের বিবমিষা হয়। রাহেলাকে চড় দেয়ার ইচ্ছা কেলেংকারি বেঁধে যাওয়ার ভয়ে দমন করে। বদলে আড়ষ্ট হাসি দেয়। আব্বা ছেলেমেয়েদের সাথে মিষ্টি গলায় কথা বলতেন না কখনো। ঝাড়ি দিতেন, না হলে উপদেশ। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় আব্বার গালি শুনতে শুনতে হারিসের নিজের ওপর বিশ্বাস অনেক কমে গিয়েছিল। অন্যান্য ভাই-বোনদের অবশ্য তেমন কিছু হয় নি। আব্বার এসব আচরণ থেকে রসদ নিয়ে সবাই ভাল ভাল অবস্থানে চলে গেছে। আব্বা মুখ খারাপের সাথে পিটাতেন ও অনেক। তবে ক্লাস টেনে উঠলেই নিয়ম করে পিটানো ছেড়ে দিতেন। অকথ্যতার স্রোতে অবশ্য ভাটা পড়ত না।
মারে, আঁরে বিশ্শোয়া ট্যাঁইয়া দেঅ।
তর বাবার থুন লইত না পারোস। আঁই কি চঁরি গরি না?
চঁরি ন গরো ক্যায়া? তঁরে কঁনে ধরি রাইক্খিল না?
আম্মার সাথে আর কথা না বাড়িয়ে হারিস চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ে। ঘরে ঢুকে বাইরে যাবার শার্ট প্যান্ট পড়ে নেয়। বাসা থেকে বেরোনোর সময় বাইরের দরজাটা অনেক জোরে বন্ধ করে। সিঁড়ির মধ্যে সেই শব্দ গমগম করে। ধ্বনি প্রতিধ্বনি ঠেলে নিচে নেমে দেখে প্রাগৈতিহাসিক আকাশ তীব্র রোদে পিচ গলাচ্ছে। টেরিবাজারের মোড়ে গিয়ে দেখা যায় দেয়ালে সাঁটানো দৈনিক নয়া দিগন্ত গ্রোগ্রাসে গিলছে উৎসুক অনেক মুখ।
আব্বা একবার হারিসকে বাথরুমে আটকে রেখেছিলেন। সারারাত। তেলাপোকা প্রজাতির সংঘবদ্ধ সাহস দেখে দশ কি এগারো বছরের হারিস সেদিন বেজায় ভয় পেয়েছিল। নিজামি মুজাহিদ শুয়োরের বাচ্চারা দল করে স্মৃতি ভোলার মহরতে নেমেছে। আর নিজের এইসব অপ্রয়োজনীয় স্মৃতিকাতরতার সিফিলিস এই গনগনে রোদে ফিরে এসেছে দেখে তার মাথা টনটন করে। বেজায় রাগে ছোঁড়া একদলা থুথু বাতাসে পোচ দিয়ে বালিতে গিয়ে দলা হয়।
মন্তব্য
কুনো কমেন্ট করমু না - কিছু বললেই উত্তর দেন আমি নাকি চেতা পাবলিক
আরে না। দিল খুলে কমেন্টান।
-মা আমাকে বিশটা টাকা দিন।
তোর বাবা থেকে নে, আমি কি চাকরি করি?
চাকরি করেন না কেন? আপনাকে কেউ মানা করেছে?
হয়েছে কি
হ। ঠিকাছে।
গল্পের প্লটটা ভাল লেগেছে, তবে বর্ননায় একটি অসংগতি চোখে পড়েছেঃ
আয়না দেখে যেহেতু চুল ঠিক করছিল সভাবতই আয়না দেখেই তার দাঁত ব্রাশ করার কথা। দেশীয় প্রেক্ষেপটে বর্নিত এইসব বাথরুমের জানালাগুলো হয় খুব ছোট আর বসানো হয় অনেক উপরে, সেক্ষেত্রে জানালার শিক দিয়ে পাশের বাসার ভাবীর স্নানদৃশ্য দেখতে পারার কথা নয়।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দোস্ত মন দিয়া পড়ছ দেইখা খুশি হইলাম। এখানে একটা ব্যাপার- চট্টগ্রামে কিছু কিছু বাড়ির কোন ব্যাকরণ নাই।
চট্টগ্রাম যাইতে মঞ্চায় !!!!!!!!
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
হ, হোমস্। দেশে গেলে আপ্নেরে পাইলে নিয়া যামুনে।
- গ্রীষ্মের খরতাপের সময় চট্টগ্রামে উঁচুতলায় বাসা ভাড়া নিতে মঞ্চায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শালি নিয়া আছেন। থাকেন। ভাবিগো দিকে নজর দিয়েন না কইলাম।
ভাল।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আপ্নের প্রোফাইল পিকচার বদলাইলো কখন?
সচল জাহিদ এর পর্যবেক্ষণটা দারুণ,পুরা শার্লক
গল্পটা ভালো লাগলো।তবে হারিস নামটা কেমন জানি দেশী মনে হইলো না।কেমন একটা হ্যারিস হ্যারিস ভাব। হারিছ হইলে ভালো হইতো,(ম্যাডামের কথা মনে পড়লো ).
একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন (গল্পের লোকেশন চট্টগ্রাম দেখে মনে জানতে আগ্রহ হলো):
আপনি কি কলেজিয়েট স্কুলের ৯৬/৯৭ ব্যাচ এর শুভাশীষ দাশ, চট্টগ্রাম বোর্ডের এস.এস.সি ১ম স্থানাধারী ?
হ। আঁই হেই শুভাশীষ। আর আঁর ব্যাচ হইল যে চুরানব্বই। বোর্ড কুমিল্লা।
আপনার বিশাল বিশাল দারুণ সব বাংলা রচনার কথা মনে পড়তেছে।আমি ছিলাম শাহীন স্কুলে,চট্টগ্রামের মূল শহর হতে বেশ দূরে।বন্ধুদের হাত ঘুরে আপনার রচনার নোট এর সাথে পরিচয়। আজ ১২ বছর পরে সেই উপকারের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি
খাইছে। কন কি।
@শুভাশীষঃ তোমার চোথাবাজীর অভ্যাস যে গ্যাদা কাল থেকেই ছিল হেইডাত জানতামনা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
হ, অভ্যাসটা গ্যাদাকালেই ছিল। বুয়েটে আইসা সব তুমাগো উপ্রে ছাইড়া আমি নীলক্ষেত চষা ধরছিলাম।
@জাহিদ,
অটঃ
এই ওয়েবসাইট থেকে বই ডাউনলোড করার সিস্টেমটা কি? আমি ওদের এডমিন বরাবর মেইলালাম কিছুক্ষণ আগে। সদস্য হবার জন্য।
আমিও তাই করছিলাম। জরুরী হইলে জানাও, ডাওনলোড কইরা পাঠাই।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
থ্যাংকস।
হে হে। চোথাবাজি শব্দটা একটু কিরাম জানি! উনার গুলা home and hand made মানে চোথাবাজি শব্দটা প্রযোজ্য শুধুমাত্র আমাদের ক্ষেত্রে
পুরা বাংলা সিনেমা!! লা-জওয়াব!
========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
নিজেরে নিয়া জটিল প্যারাউড ফিল করতাছি !!!
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শেষ প্যারাটা হুড়মুড়িয়ে এলো আর গেলো মনে হলো।
তার আগ পর্যন্ত সব ঠিক।
প্রথম প্যারার চতুর্থ লাইনে চুলগুলো ঠিক করে দিন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বানানাপা- চুল ঠিক্কর্লাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
খ্রাপ মানুষ, খ্রাপ কথা কই একটু, কুন মাথা?
অফ টপিকঃ আমার এক দুস্ত আছিল, রামপুরায় থাকত, রোজ সকালে গার্মেন্টস কর্মীদের গোসল দেখার জন্যে ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠত, আপনার লেখা পড়ে সেটা মনে পড়ে গেল ;)। আর আপনে স্ট্যান্ডুশ, ডরাইছি, স্ট্যান্ডুল পুলাপাইন থিকা আমি বরাবরই একটু দূরে থাকি কিনা।
থুতু দলাপাকানিএর বর্ননাটা যেন চউক্ষে দেখলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মগজের পেছনে যে মাথা।
১. প্রথম অনুচ্ছেদে "স্নানদৃশ্য" আর "গোসলদৃশ্য" দুটো শব্দই এসেছে। যে কোন একটা হলে মনে হয় ভালো হয়।
২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের বর্ণনা এই ধরণের কাঠামোর গল্পের বড় বৈশিষ্ট্য। এই অংশে শব্দ চয়নে "গুরু-চণ্ডালী" এড়াতে পারলে মনে হয় ভালো হয় (যেমন, "বালের" বা "চটকানা")।
৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদে মাতা-পুত্রের সংলাপটা গোটা গল্পের কাঠামোর সাথে একটু খাপছাড়া লাগছে। সংলাপের বদলে কথাগুলো অন্যভাবে কি বলা যায়?
৪. চতুর্থ অনুচ্ছেদে গল্পের ভাষা পালটে যাচ্ছে, পরিণতিটাও টের পাওয়া যাচ্ছে। গোটা গল্পের ভাষা এমন হলে কেমন হত? "নয়া দিগন্ত" হলে ঠিক হয়।
৫. পঞ্চম অনুচ্ছেদে গল্পের ভাষা আগের অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। শেষের দুটি বাক্যকে হয়ত পাঞ্চ লাইন বা ট্যুইস্ট বলা যায় না, তবে এই মানের বাক্য গোটা গল্পে নেই। পাঠকের প্রাপ্তিটাও এখানেই।
৬. শেষের লাইন দুটো যদি মাথায় আগে এসে থাকে আর তাতে যদি এই গল্প লেখা হয়ে থাকে তাহলে বলতে হচ্ছে, "সঙ্গদোষে লোহা ভাসে"।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১। ঠিক্কর্লাম।
২। পাল্টালাম।
৩। একটু খাপছাড়া। তাও রেখে দিলাম।
৪। ঠিক্কর্লাম।
৫। ...
৬। আমার টুকুন গল্প লেখার সময়কাল টাইপ করা সহ দশ মিনিট। বেশি হলে পনের মিনিট। ফলে কোন আগে পরে ভাবাভাবি নাই। টাইপাতে থাকি। একটা কিছু হয় মনে হলে আপ করি। নাহলে ওয়ার্ড ফাইল পুরাটা ডিলিট করি।
সঙ্গগুণের সম্ভাবনা তাই শূন্য।
একেবারে খন্ডচিত্র গল্প। কিন্তু যেন তার মধ্যেও পূর্নতা আছে। সচল জাহিদের ক্যাচ ঠিক ছিল আজকালকার বাড়ী হলে। কিন্তু পুরোনো আমলের বাড়ীতে ওই ব্যাকরন নাই।
কিছু কিছু বাক্য অনবদ্য। যেমন - "বেজায় রাগে ছোঁড়া একদলা থুথু বাতাসে পোচ দিয়ে বালিতে গিয়ে দলা হয়।"
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গল্পগুলারে আরেকটু গুছিয়ে লেখেন স্যার
জার্নাল আর গপ্প দুটো মিলেমিশে কোনোটাই বোধহয় দাঁড়াচ্ছে না শেষ পর্যন্ত
হয়ে যাচ্ছে সিরিজ অব স্নেপশটস
হ, বস্। কিন্তু বেশি কথা কইলে ক্লান্ত লাগে। সময় নিয়ে গুছিয়ে লেখা আসলেই দরকার।
শুভাশীষ, আপনি রাগিবদের সাথেই তো, না?
কলেজিয়েটের বার্ষিকীতে ইংরেজি কোবতে দিয়েই কি আপনার প্রকাশিত লেখার হাতেখড়ি?
আপনার জীবনটাই তো একটা উপন্যাস, লিখে ফেলুন না টুকরোটাকরা গল্পের মতো করে?
আপনার ব্যাপারে আমার একটু কৌতূহল ছিলো সবসময়....জীবনটা কী আজব! কাকে যে কই পাওয়া যায়!!
গল্পটা শেষ দিকে এসে যেন একটু মার খেয়ে গেল।
মারে, আঁরে বিশ্শোয়া ট্যাঁইয়া দেঅ।
তর বাবার থুন লইত না পারোস। আঁই কি চঁরি গরি না?
চঁরি ন গরো ক্যায়া? তঁরে কঁনে ধরি রাইক্খিল না?
-মা আমাকে বিশটা টাকা দাও।
তোর বাবা থেকে নিতে পারিস না, আমি কি চাকরি করি?
চাকরি কর নি কেন? তোমায় কেউ ধরে রেখেছিল?
এটাই শুদ্ধ অনুবাদ।
আর 'চরি' হওয়া উচিত, 'চঁরি' নয়। @ শুভাশীষ।
ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন