বহিরঙ্গ ||| ৫ |||

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ১১/০৪/২০১০ - ৮:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রমোদিয়া অনন্ত তোয়ের ইন্দোনেশিয়ার লেখক। প্রথমে ডাচ ঔপনিবেশিকদের হাতে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়। পরে নিজের দেশের সামরিক শাসকদের কারণে বুরু দ্বীপে দীর্ঘ চৌদ্দ বছর জেল হাজতে থাকেন। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাবার পরেও ১৯৯২ সাল পর্যন্ত গৃহবন্দী থাকতে হয়। সামরিক জান্তা একচল্লিশ বছর বয়সে তাঁকে তাঁর বাসা থেকে অপহরণ করে। সেই সময় তাঁর করা সাড়ে সাতশ পাতার পাণ্ডুলিপি সহ বিশ বছর ধরে জমানো বইয়ের লাইব্রেরি সৈন্যরা জ্বালিয়ে দেয়। জেলে থাকার প্রথম চার বছর তাঁকে লেখালেখির অনুমতি দেয়া হয়নি। পরে কিছু মানবাধিকার সংস্থার সাহায্যে লেখালেখির সুযোগ পান। এর পরে তাঁর লেখা অজস্র পাণ্ডুলিপি কারণে অকারণে পোড়ানো হয়। বুরুদ্বীপে নির্বাসনে পাঠানোর কারণ প্রমোদিয়া নিজেই জানতেন না। নানাজনের কাছে এই প্রশ্ন করে উত্তর পান নি।

‘দা মিউট’স সোলিলাকুই’ প্রমোদিয়ার বুরুদ্বীপে কারাজীবনের কাহিনী। চিঠি, প্রবন্ধ, নোটের আকারে তাঁর লেখালেখির পুস্তকরূপ। কোন নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতায় লেখা নয়। এর মধ্যেই তাঁর চিন্তাশক্তির আর মানবিক বোধের পরিচয় পাওয়া যায়। ইমরে কারতেসের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা নির্মোহ উপন্যাসগুলোর সাথে তাঁর এই আত্মজীবনীর আংশিক মিল আছে। প্রমোদিয়া প্রধানত ঔপন্যাসিক। মুক্তির পরে ইন্দোনেশিয়ার পত্রিকাগুলোতে কলাম লিখতেন। ইন্দোনেশিয়ার সরকারের মন্দকাজের ব্যবচ্ছেদ করা হতো সেইসব কলামে। তাঁর বই ইন্দোনেশিয়ায় দীর্ঘকাল নিষিদ্ধ ছিল। সাহিত্যে নোবেল পাবার যোগ্যলোক হিসেবে শর্টলিস্টে তাঁর নাম বারবার এসেছে। প্রমোদিয়া অনন্ত মারা যান ২০০৬ সালের ৩০শে এপ্রিল।

jspramoedya-id-001
প্রমোদিয়া অনন্ত তোয়ের (৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫- ৩০ এপ্রিল ২০০৬)

‘বুরু কোয়ার্লেট’ তাঁর হাজতবাসের পূর্ণাঙ্গ সাহিত্যরূপ। চার খণ্ডে উপন্যাস হিসেবে প্রকাশিত। দা আর্থ অফ ম্যানকাইন্ড। চাইল্ড অফ আল ন্যাশনস্। ফুটস্টেপস্। হাউজ অফ গ্লাস। পর্যাপ্ত খাবারের অভাব, চরম নির্যাতন, নোংরা পরিবেশ, দিনভর কায়িক শ্রম- সব মিলিয়ে মানবেতর জীবনযাপন। প্রমোদিয়ার কথা তাঁর পাঠক শুনতে পায়নি দীর্ঘ চৌদ্দ বছর। নিজের স্বগতোক্তি পাঠক কখনো পড়ার সুযোগ পাবেন কিনা জানতেন না। সেই সময় প্রায় দেড় লক্ষ লোককে কারণে অকারণে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে জেলে চালান দেয়া হয়েছিল। এ, বি, সি –এই তিন গোত্রের কয়েদি ছিল। সবচেয়ে বিপদজনক এ শ্রেণীর। তাদের হয় মেরে ফেলা হত নাহলে কড়া নজরদারির জেলে পোরা হত। বি শ্রেণীর কয়েদিরা বেশিরভাগ-ই শিক্ষিত। এদের পাঠানো হত বুরু আইল্যান্ডে। সি শ্রেণীর লোকজন সাধারণ কয়েদি। সাধারণ হাজতে এদের রাখা হত।

যদি একজন মানুষ ত্রিমাত্রিক সময় – অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ- থেকে মুক্তি না পায় তাহলে কী হতে পারে? এটা ঈশ্বরের উপহার না অভিশাপ? … এখানের শিক্ষা অনেক বেশি বাস্তব, সংক্ষিপ্ত- একজন প্রধান ওয়ারেন্ট অফিসার জোরে জোরে বললেনঃ ‘শ্বাস নেয়া ছাড়া আর কোন অধিকার তোমাদের নেই।’বন্দী হবার পর থেকে কয়েদিদের জন্য প্রধান কষ্ট ছিল খাবারের অপর্যাপ্ততা। অনেক বন্দীর মৃত্যুর প্রধান কারণ ও ছিল অনাহার। বেশিরভাগ বন্দী তাদের বয়সের স্বাভাবিক ওজনের মানুষের চেয়ে অর্ধেক ওজনের হয়ে যেতেন। উপোস দেয়া হয়ে যেত প্রায়শ। … কোন উপায় না পেয়ে আমরা উপোস দিতাম। আর সেই সময়কালে একজন ধার্মিক অফিসার আমাকে সহ আমার কিছু বন্ধুকে নিয়ে যেতেন স্বল্পাহারের উপর বক্তৃতা দিতে। এসব মকারি সহ্য করার মত না। … মৃতরা কথা বলে। নিজেদের মত করে। নিজেদের কালে। পৃথিবীর সমস্ত মানব-কসাইখানা জোর চেষ্টা করেও মৃতদের চুপে রাখতে পারে না।

প্রমোদিয়ার জন্ম ১৯২৫ সালে, জাভাতে। তখন ইন্দোনেশিয়া ডাচ কলোনি ছিল। বাবা ছিলেন স্কুলের হেডমাস্টার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে, ১৯৪১ সালে, জাপানিরা ঐক্যজোট এবিসিডি (আমেরিকা, ব্রিটিশ, চাইনিজ, ডাচ) কে পরাস্ত করে। ডাচদের থেকে মুক্ত হতে প্রমোদিয়া অন্যদের সাথে জাপানিদের পক্ষে থাকেন। পরে দেখা যায় জাপানিরা ইন্দোনেশিয়ার লোকজনকে জোর করে শ্রমিক বানাচ্ছে। ফলে আন্দোলন আবার শুরু হয়। এর মধ্যে ১৯৪৫ সালে জাপানের হারে সুকর্ন ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ডাচরা পরে এসে আবার কলোনি করার জন্য যুদ্ধ আরম্ভ করে। প্রমোদিয়া এই সময় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন। চার বছর যুদ্ধ শেষে নেদারল্যান্ড রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।

প্রমোদিয়া বিভিন্ন লেখায় বলেছেন অন্য কোন দক্ষতা না থাকায় লেখালেখিকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার কথা। অথচ নির্বাসনে যাবার পর তাঁকে একটা বিশাল সময় কোন কিছু পড়তে বা লিখতে দেয়া হয়নি। একজন লেখকের জন্য এটা অনেক বড় শাস্তি। পরে লেখার অনুমতি যখন পেলেন, দীর্ঘ অনভ্যাসে জড়তা এসে ভর করে।

১৯৫০ সাল থেকে লেখালেখির উপার্জন দিয়ে আমি পরিবার চালাতাম। লেখালেখি ছাড়া অন্য কিছু পারতাম না। ১৯৬৫ সাল থেকে বন্দী হবার পর কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করা ছাড়া আমার কিছু লেখার সুযোগ ছিল না। ফলে লিখতে গিয়ে যেমন চিন্তা করতে হত- এর দরকার পড়ত না। ফলে কিছু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া মস্তিষ্ক অন্য কাজে আনকোরা থাকত। এখন আমার কাছে সাদা কাগজ, কলম, কালি আছে। লেখালেখি করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পর্যন্ত আছে। অথচ আমি কিছু লিখতে পারছি না।

ক্রমশ জড়তা কাটিয়ে প্রমোদিয়া অনন্ত লেখার কাজে আত্মনিবেশ করেন। হাজতবাসের অভিজ্ঞতা, সাথের লোকজনের মৃত্যু, ক্ষুধার তীব্রতা, মানবেতর কষ্ট- সবকিছু তাঁর কাব্যিক গদ্যে স্বচ্ছ হয়ে ওঠে। মনের ভেতর জমে থাকা কথা সাথে সাথে তথ্য সন্নিবেশ তাঁর গবেষক-লেখক সত্ত্বার পরিচয় দেয়।

অপুষ্টি থেকে বাঁচতে আমি টিকটিকির ডিম আর ইঁদুর খাওয়া ধরলাম। … ১৯৪৯ সালে
আমি এক শরণার্থীকে নিয়ে একটা গল্প লিখেছিলাম। লোকটা নিজের ছেলেমেয়েদের জীবন বাঁচাতে রাস্তার বিড়াল ধরে কেটে খাওয়ানো শুরু করে। আমি এখন নিজে সেটা করছি। মারতে পারলেই সাপ খাই। কেউ কেউ গাছের মথ খাওয়া ধরেছে। মাথা গুঁড়িয়ে পেছনের থলথলে অংশ খেয়ে নিচ্ছে। মাঝেমধ্যে কাঁচাই খাচ্ছে। পেটের মধ্যে কুকুরের মাংস পর্যন্ত চালান করে দিয়েছি।

বইতে প্রমোদিয়ার কিছু চিঠি আছে। তাঁর ছেলেমেয়েকে লেখা। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার সঠিক ইতিহাস জানানোর চেষ্টা দেখা যায়। ছেলেমেয়ের প্রতি ভালবাসা, নিজের রাগ কখনোবা বিনয়, হতাশা কিছুই লুকান নি। চিঠি আদৌ তাঁর ছেলেমেয়ের কাছে পৌঁছাবে কিনা জানতেন না। তাও লিখে যেতেন।

বুরু দ্বীপে কিছু অধিবাসীদের, রাজনৈতিক বন্দীদের জন্য স্থান সংকুলান করতে, জায়গাজমি নিয়ে নেয়া হয়। জঙ্গল কেটে সেখানে ফসলি জমি, রাস্তা , বাড়ি বানানোর কাজ শুরু হয়। শ্রম দিতে হত বুরুতে আটকে থাকা শিক্ষিত কয়েদিদের। দশটি বিশাল ব্যারাক সেখানে অবস্থান নেয়ায় স্থানীয় লোকেরা নিজেদের এলাকাকে ‘ইউনিক ১০’ নামে ঠিসারা করত। ওই এলাকার নেটিভরা সামরিক বাহিনীদের দ্বারা নিজেরা শোষিত ছিলেন, আবার কয়েদিরা ছিলেন সারাক্ষণ নির্যাতনের শিকার। ফলে ভাষা, বর্ণ, ধর্ম, সংস্কৃতির ভিন্নতা সত্ত্বেও এই দুই গোত্রের মধ্যে এক ধরণের সম্প্রীতি বজায় ছিল। প্রমোদিয়া বইতে সংক্ষেপে নানা ঘটনাক্রম বর্ণনা করেছেন।

বইটি চারটি অধ্যায়ে লেখা। প্রথম অধ্যায় নির্বাসনের রহস্যভেদ। দ্বিতীয় অধ্যায়ে প্রমোদিয়ার জেলজীবনের বাইরের স্মৃতি। তৃতীয় অধ্যায়ের নাম 'ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে নেয়া শিক্ষা'। চতুর্থ অধ্যায়ে্ আছে মুক্তির পরের কথা।

‘জীবনকে ঘুড়ির মতো ভেবে নিতে পারলে ভাল। কম কিংবা জোর বাতাসে নাটাইয়ের সুতোয় ঠিকঠাক টান দিতে হবে। কমবেশি হলে মরা ছাড়া উপায় নেই।’- জেল ভিজিটে আসা এক সরকারি কর্মকর্তার এই কথা প্রমোদিয়া মাথায় রেখেছিলেন। প্রতিটা মানুষের জন্য পৃথিবীর কোথাও না কোথাও একটা সুখের জায়গা থাকবে। ভবিষ্যতের জন্য এই আশা জিইয়ে রেখেছিলেন প্রমোদিয়া। চরম বিপর্যয়ে ও ভেঙ্গে পড়েননি। সব মিলিয়ে এই একটি বই পড়ার পরে প্রমোদিয়া আমার প্রিয় লেখকদের কাতারে সামিল হন।

বহি
The Mute’s Soliloquy: A Memoir
Promoedya Ananta Toer
Translated by Willem Samuels
Hyperion East, New York
1999

বহিরঙ্গ ||| ৪ |||


মন্তব্য

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রমোদিয়া সম্পর্কে আগে অল্প পড়েছিলাম কোথাও। আপনার লেখায় বিস্তারিত পেয়ে ভালো লাগলো।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রমোদিয়া অনন্ত তোয়েরের এই পরিচিতিমূলক লেখাটা খুব দরকার ছিল। বাংলায় উনার বই অনুবাদ হয়েছে বলে জানা নেই। না হয়ে থাকলে এই কাজটা করা দরকার। এমন আরেক জন ইন্দোনেশীয় সাহিত্যিক হচ্ছেন মুখতার লুবিস। তাঁর লেখার অনুবাদও জরুরী।

দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসনে থাকা একটা দেশের মুক্তি সংগ্রাম, তৎপরবর্তী দেশ গঠনের চেষ্টা, আশা-স্বপ্ন-স্বপ্নভঙ্গ-নতুন প্রচেষ্টা, গণতন্ত্রে উত্তরণের চেষ্টা ইন্দোনেশীয়দের এই ব্যাপারগুলো জানার জন্য বোঝার জন্য প্রমোদিয়া বা মুখতারদের মত সাহিত্যিকদের লেখা পড়া আবশ্যক। এসব পড়তে গিয়ে আমাদের নিজেদের ইতিহাসের সাথে অবাক মিল লক্ষ্য করা যায়। এই সবের পর দীর্ঘ সামরিক শাসনে ইন্দোনেশিয়ার যে দুরবস্থা হয় এবং আজকের ইন্দোনেশিয়ার যে অবস্থা তা বোঝার জন্যও প্রমোদিয়া পাঠ প্রয়োজনীয়।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বই পাঠের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখালেখি আমার খুব পছন্দের একটা বিষয়। আগে কলকাতার দেশের বই সংখ্যার জন্য বছর জুড়ে অপেক্ষা করতাম। বইয়ের দেশ-এর প্রথম কয়েক সংখ্যা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। চিত্তরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'দূরের বই' আমার খুবই পছন্দের বই।

পরিচিতির কাজে আমাকে ধন্যবাদ দিলেই কেবল চলবে না। মুখতার লুবিস বা ইসাবেল আয়েন্দে -এঁদের লেখার সাথে পরিচিতি আপনার হাতেই হোক। সময় কম বলে এড়িয়ে যাবেন না।

পথেপথিক এর ছবি

… অপুষ্টি থেকে বাঁচতে আমি টিকটিকির ডিম আর ইঁদুর খাওয়া ধরলাম। … ১৯৪৯ সালে আমি এক শরণার্থীকে নিয়ে একটা গল্প লিখেছিলাম। লোকটা নিজের ছেলেমেয়েদের জীবন বাঁচাতে রাস্তার বিড়াল ধরে কেটে খাওয়ানো শুরু করে। আমি এখন নিজে সেটা করছি। মারতে পারলেই সাপ খাই। কেউ কেউ গাছের মথ খাওয়া ধরেছে। মাথা গুঁড়িয়ে পেছনের থলথলে অংশ খেয়ে নিচ্ছে। মাঝেমধ্যে কাঁচাই খাচ্ছে। পেটের মধ্যে কুকুরের মাংস পর্যন্ত চালান করে দিয়েছি। …

প্রমোদিয়া অনন্ত তোয়ের একটা সাধারণ স্মৃতিচারণ অথচ -
অসহায় মানুষ ও পুষ্টি নিয়ে গবেষণা করার মত বিষয়বস্তু,
ধন্যবাদ শুভাশীষ দাশ দা-
প্রমোদিয়া অনন্ত তোয়েরকে পরিচিত করানোর জন্য।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ভাইজান,

আপ্নের কমেন্ট আর ফরহাদ মজহারের প্রবন্ধ -এই দুটো জিনিস আমি পড়ি। পড়ার পর বুঝি কিছুই বুঝি নাই। আবার পড়তে গেলেও ফল আগের মতই হতে থাকে।

বোধহয় আমার আইকিউ শূন্য। নেগেটিভ ও হইবার পারে। দেঁতো হাসি

নাশতারান এর ছবি

অর্ডার! অর্ডার! অর্ডার!
নেগেটিভ আইকিউএর স্বত্ব আমার! Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপ্নের কপিরাইট লিখবার গেছিলাম। পরে ভাবলাম ক্যাঠা না ক্যাঠায় আবার রাগ করে। চোখ টিপি

সচল জাহিদ এর ছবি

প্রমোদিয়াকে নিয়ে খুব বেশি জানা ছিলনা। খুব সংক্ষেপে চমৎকার ভাবে এই লেখকের সম্পর্কে তুলে ধরার জন্য শুভাশীষকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ধন্যবাদ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রমোদিয়া অনন্ত তোয়ের সম্পর্কে কিছুই জানা ছিলো না। অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু এখন অনুবাদ পাই কোথায়?

বহিরঙ্গ অনেকদিন পর পর আসিতেছে। আর ইলিয়াস কই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

নজু ভাই,

এইসব লেখার অনেক খাটুনি। খাটতে ভালু লাগে না। দেঁতো হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনেও আমার মতো ফাঁকীবাজ হয়ে গেলে হবে? আপনার খাটনি দেখে উল্টো আমি গা ঝাড়া দিয়ে উঠলাম। ইলিয়াস বিষয়ে ব্যাপক আয়োজন নিয়ে লেখার প্রস্তুতি নিতেছি... আপাতত পড়া চলতেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

খোয়াবনামা নিয়া ধারাবাহিক লেখা আপান।

নাশতারান এর ছবি

বন্দিজীবনের টুকরো টুকরো বর্ণনা পড়েই ভীষণ কষ্ট হচ্ছিলো। এত যন্ত্রণার পরেও প্রমোদিয়া জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন নি দেখে নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হয়। কত তুচ্ছ কষ্টে মুষড়ে পড়ি আমরা!

প্রমোদিয়ার লেখা পড়ার সুযোগ হয়নি এখনো। (কতকিছু যে পড়া বাকি!)
তবে চারিত্রিক ঋজুতার জন্য অবশ্যই তিনি নমস্য।

"মৃতরা কথা বলে। নিজেদের মত করে। নিজেদের কালে। পৃথিবীর সমস্ত মানব-কসাইখানা জোর চেষ্টা করেও মৃতদের চুপে রাখতে পারে না। …"
পড়ামাত্র মনে হলো মুনীর চৌধুরীর কবর নাটকের কথা।



* বাংলা একাডেমী দেখছি সব ঈ-কার উঠিয়ে দিচ্ছেঃ বন্দী > বন্দি, শ্রেণী > শ্রেণি
* চাইল্ড অফ আল(অল) ন্যাশনস
* "ঠিসারা" মানে কী?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

বন্দী আর শ্রেণী ই-কারে কেমুন কেমুন লাগে , তাই দেই নাই। আর এখন এতগুলো ই-কার বদলাইতে গেলে আমি শ্যাষ। সামনের পোস্ট থেকে ই-কার দিয়ে লিখব। হাসি

ঠিসারা

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিয় চয়ন, এমন একজন লেখকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। যে বইটা পড়ে আপনি এতটা উৎসাহিত হয়েছেন, সেটা ধারাবাহিক ভাবে অনুবাদ করা শুরু করলে নিশ্চয়ই আরও অনেকে উৎসাহিত হবে। গুরুদায়িত্বটা কাঁধে নিয়েই নিন না......... হাসি

শাহরিয়ার সজীব

shahriarsajib@gmail.com

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চয়নকে চিনতে পার্লাম না। চিন্তিত

------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।