রিকশা ঢাকা টাওয়ারের সামনে আসলে ফারহানের কথা মাথায় আসে। ফারহানা। রাজিব আদর করে আ-কার বাদ দিয়ে ডাকত। দেহজ প্রেমে রাজিব মনোগ্যামি দূরে সরালে ফারহান একসময় কেটে পড়ে।আসে অন্যরা। ঢাকা টাওয়ারে ফারহানের ভাবি-দুলাভাইয়ের অনুপস্থিতিতে রাজিব একটানা দুই-তিন রাত ছিল। নিচের দারোয়ান দুটোকে ম্যানেজ করার কথা মনে পড়ায় রিকশা থেকেই গেটে উঁকি দেয়। কোন দারোয়ানকে দৃষ্টিসীমার মধ্যে আসতে না দিয়ে রিকশা একটানা দুই মিনিট চলে আবার থামে।
হঠাৎ ডাস্টবিনের দিকে চোখ পড়ে। একটা সাদা কাক। সাদা শরীরে লালচে ক্ষতগুলো বেশ স্পষ্ট। অন্যান্য কালো কাক ভাই বেরাদররা এর পিছু লেগে আছে। সাদা কাক একটা ঠোকর খায়। একটু পরে আরেকটা। চোখে ভয় রেখে সাদা ঢুকে পড়ে ডাস্টবিনের ময়লার মধ্যে। রিকশা আবার একটু এগোয়। একটু পরে থামে। আবার এগোয়। ল্যাব এইড এবার গোচরে আসে। নিয়ন সাইন সহ।
রিকশাওয়ালা পাঁচ টাকা বেশি দাবি করে। রাজিব কথা না বাড়িয়ে দিয়ে দেয়। রিপোর্টটার উপর সবকিছু নির্ভর করছে। গত দিন পাঁচেক এসব নিয়ে একা একা অনেক ভেবেছে। আজ এতসব প্রগাঢ় টেনশনে সকাল থেকে ভাবাগোনার রাস্তায় কোথাও বেশিক্ষণ থাকে নি। এইচআইভি পজিটিভ হলে মনের দিক থেকে পজিটিভ থাকা জরুরি। গত সপ্তাহে ডাক্তারের এসব কথা বলছিলেন। দেড় তলায় গিয়ে ভাউচার দেখালে নাম্বার সহ গোলমত কিছু একটা দেয়া হয়। লেখা তিনশ সাত।
মন্তব্য
আমার নাম ব্যবহার করে গল্প লিখছেন-- গল্প পড়ার আগে ভাবতেছিলাম আপনার নামে পাইরেসির মামলা করবো।
গল্প পড়ে মনে হলো --শুধু পাইরেসির মামলা করলে হইত ন-- অহন মানহানির মামলাও করণ লাগবো।
দেখি কাগুর সাথে যোগাযোগ করে।
হ। কাগুর লগে যোগাযোগ কর্তারেন।
------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
শর্ট ফিল্মের মতো লাগলো। অপূর্ব লুসিড ভিশুয়াল কোয়ালিটি। একটা ফিডব্যাক দি? এটা আমার প্রাথমিক ইম্পরেশন। মনে হল রাজীব ফেডআউট করে যাচ্ছে ক্রমশ আর স্ক্রীনে ফুটে উঠছে একটা, বাক্য, "One life. Use protection...always"
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
মন্তব্যের জন্য থ্যাংকস।
------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বর্ণনা ভালো হয়েছে। খুবই ভালো।
----------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
- খাইছে! খুব সাবধান থাকতে হবে দেখছি। কোনো বালিকা কথা বলতে আসলেই জিজ্ঞেস করে নিতে হবে, "তুমি শুভাশীষ নামে কাউকে চেনো?"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বালিকাদের সাথে কথা কন বা চ্যাটান- তাইলে সমস্যা নাই।
--------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
লেখার শিরোনামে টাইপো নেই তো?
না। টাইপো নাইকা।
-------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
১. সাদা কাকের প্রসঙ্গ যখন আসে পাঠক তখনই ল্যাব এইডগামী রাজীবের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আঁচ করতে পারেন। সাদা কাকের বদলে অন্য কোন কাক যার গায়ের রঙ কালো কিন্তু অন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আনলে কেমন হয়?
২. একেবারে শেষের দুইটি বাক্য একটু পরিবর্তণ করলে অথবা একেবারেই বাদ দিলে কেমন হয়?
৩. গ্রীনরোডের নিয়মিত-অনিয়মিত যাত্রীরা প্রথম অনুচ্ছেদ পুরো না পড়েই গ্রীনরোডের ট্রাফিকে আটকে পড়া মানুষের দুর্বিসহ সময়ের কথা বুঝতে পারবেন। কিন্তু যিনি গ্রীনরোডের নামই শোনেননি অমন পাঠকের জন্য আরেকটু বর্ণনার দরকার অনুভব করেছি। তাতে তাঁদের কাছে আরো অনেক কিছু স্পষ্ট হত। যেমন, "বছর তিনেক আগেও রিকশায় বসে কমফোর্ট ডায়গনস্টিকের সামনে থেকে ল্যাব এইডের নিয়ন সাইন দেখা যেত। এখন আর যায় না"। আগে কেন দেখা যেত, এখন কেন যায়না এই ব্যাপারগুলো আরো স্পষ্ট হত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
২। বাদ্দিলাম।
৩। আমি একটু ডিটেইলস্ করছিলাম প্রথম খসড়ায়। পরে বাদ্দিছি। একটু আন-কন্সাস থাকুক না। সব বুঝাতে চাই নাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, পাণ্ডবদা।
------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ভালো লেগেছে। সবটুকু বুঝলাম কি না জানি না। "হাতের আইসক্রিম গলে সাদা শার্টে একটু একটু করে লাগে। মা পাশের সিটে এবং ফোনে ব্যস্ত।" আর "সাদা কাক" ভালো লেগেছে।
"এইচআইভি পজিটিভ হলে মনের দিক থেকে পজিটিভ থাকা জরুরি।" আমার মতে গল্পের শেষ এখানেই।
|| শব্দালাপ ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গল্প আপনার মত করে বুঝতে পারলেই যথেষ্ট।
----------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ভাল লাগল...।
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
কমরেডের গল্পে অনেক ধরনের ইশারা-ইঙ্গিত থাকে, ধরতে গেলে মাথা খাটাইতে হয়। আজকাল মাথা কাজ করেনা তেমন। তাই সবগুলো ধরতে পারলাম না। তবে গল্পে একটা উন্নাসিক টোন আছে, মেসেজগুলো কেমন যেন ধরা দিয়েও দেয়না।
বর্ণনা বরাবরের মতোই মারাত্মক। আরেকটু খুলে লেখেন গুরু, আমার মতো আম পাঠকের জন্য।
খুব একটা ইশারা নাই।
অনেক আগে একটা গল্প লিখে সেটার এনালাইসিস করছিলাম। ফাইজলামি আর কি।
------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
শেষ লাইনটা পড়ে মনে হল, হঠাৎ করেই যেন কেটে গেল তাল।
তার আগ পর্যন্ত চলছিল ভালই।
শুভ হোক সব কিছু।
---মহাস্থবির---
হ।
আর ক্যাঁন আছন?
-------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
সাদা কাকা এখন আর কোথাও দেখিনা
জনসমুদ্র থেকে ইচ্ছা হলেও বের হতে পরিনা বলেই পজেটি ভাবনা গুলো
মনের কোনে কালো কাক হয়ে ঠোকর দেয়
ভালো লাগলো , বেশ ভালো লাগলো
বিশেষ করে "এইচআইভি পজিটিভ হলে মনের দিক থেকে পজিটিভ থাকা জরুরি।" শ্লোগানটা
খেয়ালীমন( অ তিথি )
শ্লোগান ভাইবা কিন্তু লেখি নাই।
-------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
গল্প ভালো হয়েছে।
শিরোনামের চন্দ্রবিন্দু প্রথমে চোখে পড়ে নাই।
ঠিকাছে।
--------------------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
একটু সম্লাচোনাই
বহুগামিতা আর পজিটিভ এইচআইভির সম্পর্ক নিয়ে প্লটগুলা কি এখনো গল্পের থিমের উপযোগী আছে? অনেক বেশি সোস্যাল ক্যাম্পেইনের কথা কি মনে করিয়ে দেয় না?
০২
বহুগামি হলেই এইচআইভি পজিটিভ হবে আর পজিটিভ হলেই বহুগামিতা প্রশ্নবিদ্ধ কিংবা অনুতাপবিদ্ধ হবে
জিনিসটা খুব এক রৈখিক হয়ে গেলো না?
০৩
পুরো গল্পের ভাষার সাথে এই বাক্যগুলো একেবারে ম্যাটমেটে হয়ে গেলো না? অতি প্রচলিত?
০৪
তাদের মধ্যে যে সেক্স হয়েছে সেটা বোঝানোর জন্য লাইনটা কি একেবারে প্রথম পাঠ টাইপের হয়ে গেলো না?
০৫
লাল-শার্ট পড়া>এই বানাটা পরা (পরিধান) আর পড়া হলো ধপাস
একটু পড়ে আরেকটা> এইটাও হবে পরে (সময় ব্যবধান)
০৬
লেখার স্টাইলটা ভালো লাগলো বলে সরাসরি বলে ফেললাম কথাগুলো
তবে স্যার আপনের বোধহয় একটু সাবধান হওয়া দরকার
লাইনের ফাঁক দিয়ে কেন যেন মনে হয় ছফা উঁকি দেন
নিচের দারোয়ান দুটোকে ম্যানেজ করার কথা মনে পড়ায় রিকশা থেকেই গেটে উঁকি দেয়।
বিষয়টা বহু চর্চিত। আর এই গল্পের দরকার আছে। তবে আমার গল্পে বিষয়টা ঠিকমত হ্যান্ডল করা হয় নাই। কিছু জায়গা বেশ ক্লিশে।
০২
এটা একটা সম্ভাবনা। আর সরলরৈখিক হয়ে গেছে কথা বাড়াতে না দিয়ে। জায়গাটা নিয়ে সেকেন্ড থট দিব।
০৩
হালকা চেঞ্জাইলাম।
০৪
উঁকি দেয়া আনতে এটা না এনে উপায় ছিল না।
০৫
এটা আমার মুদ্রা-টাইপো।
০৬
নামটা আপ্নেই দিছেন। ছফাশীষ।
------------------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
তীব্র দুঃশ্চিন্তায় আমি সাধারণত সাররিয়েল স্টেটে থেকে চিন্তাভাবনা করে আরাম পাই। রাজীবের চিন্তামালা সে তুলনায় একটু বেশি প্র্যাক্টিক্যাল মনে হলো। এখানেই চিন্তার বিভিন্নতা হয়তো।
আপনার দৃশ্যকল্পগুলো ভালো লেগেছে।
____________________________________
বিধিবদ্ধ পঙ্কিলতা।
জীবন বাবু,তাঁর কবিতা।
তৃপ্তিদায়ী আত্মশ্লাঘা।
এবং এ রাতজাগা।
************************************
হ্যাঁ বেশ ইম্প্র্যাক্টিক্যালি প্র্যাক্টিক্যাল।
----------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
গল্পটার প্লটটা সুন্দর। রাজিবের মনোভঙ্গি অস্তিত্ববাদী। যেন কিছুতেই কিছু যায় আসে না।
তবে এতটা elusiveনা করে , সহজ এবং স্পষ্ট করে বললে , আমার মত প্রায় মূর্খ পাঠকদের মাথাটা একটু রেস্টে থাকে। বর্ণনা অত্যন্ত সুন্দর।সুন্দর সিনেমেটোগ্রাফীর মত।
কৃষ্ণ কানহাইয়া
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বরাবরের মতোই চমৎকার লাগলো!
আর গ্রিন রোডের বর্ণনা তো পুরা সেইরকম-
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
-----------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
গল্প ভালো লাগেনি শুভাশীষদা
বহুগামি যুবকের এইডস সুনিশ্চিত ধরনের শ্লোগান মনে হলো।
তবে আপনার বর্ণনা সবসময়ই সুন্দর
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আমি নানা চেষ্টা করেও শ্লোগান লুকাতে পারি নি। প্রোটাগনিষ্টের ভাবাগোনা ইম্প্র্যাকটিক্যালি প্র্যাকটিক্যাল করেও লাভ হয়নি। বহুগামিতা একটা করুণ পরিণতি এনে দেয়-এই ক্লিশে কথার বিপরীতে নিউট্রালাইজেশনের জন্য কিছু জায়গায় চেষ্টা হলেও কনটেক্সট মূলবিন্দু থেকে সরে নাই। ফলে মনোযোগী পাঠক লেখকের চিন্তার নাভি ধরে ফেলেন।
গল্পে একজন বহুগামী প্রত্যক্ষ হলেও অন্যান্যরাও আছেন। ফোনে ব্যস্ত মা, লাল-জামা ড্রাইভার তাদের কাজে কিছুটা আন্দাজ দেন। সমাজে এত এত পলিগ্যামিতার মধ্যে একজন চিহ্নিত হয়ে গেলে কি হয় তাই আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ডাঁহা ফেল মারলাম।
আপনি ভাল গল্পকার। এই ক্লিশে জিনিস নিয়ে একবার টেরাই দেন। আপনাকে তো রিকোয়েস্ট করলে লেখেন না। তাই এসাইনমেন্ট দিলাম।
-----------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
নতুন মন্তব্য করুন