ভদ্রলোক
এর্সি সোটিরোপুলোস
তারা নিজেদেরকে একটা ঘরে আধ-ঘন্টার জন্য আলাদা রাখে। আমি আন্দাজ করি মা-ই কেবল বকবক করে। ভদ্রলোক চুপচাপ শুনে যান। করিডোরে একটা চেয়ার নিয়ে বসে আড়ি পাতি। শুনতে চেষ্টা করলে থেমে থেমে মা’র গলায় ‘ছেলেটা… ছেলেটা…’ জাতীয় কিছু শুনতে পাই। মায়ের গলার স্বর দুঃখী। আর কিছুটা চড়া।
মা আমাকে ভয় পায়। মাঝে মাঝে আমার দিকে এমনভাবে তাকায় যেন জীবনে প্রথমবার দেখতে পেলো। শুরুতে একটু অন্যমনস্ক ভাব করে, পরের দিকে তার চেহারায় ভয় লুকিয়ে থাকে না। আর আজকাল লুকাতে চেষ্টাও করে না। মাঝে মাঝে খেয়াল করি, মা একদৃষ্টিতে আমার পিঠের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি হঠাৎ করে পেছনে ফিরে মাকে দেখি ঘরের মাঝে দাঁড়ানো অবস্থায়। আতঙ্কে যেন নিস্তেজ, অচল। চোখের মণি বড় হয়ে মাছের মত হয়ে গেছে, সেখানে মাতৃস্নেহের ছিটেফোঁটা নেই। আমি এগোতে গেলেই মা দৌড়ে নিজের ঘরে চলে যায়। দরজা বন্ধ করে কাঁদতে থাকে।
আমি তখন সেখান থেকে সরে নিজের ঘরে ঢুকি। রাতের জন্য অপেক্ষা করি। সময় গড়ায়, রাস্তায় ভিড় কমে। বাতি নিভিয়ে ঘরের অন্ধকারে ঢুকে পড়া বাইরের আলোর দিকে মনোযোগ দিই। প্রতিবিম্বিত আলোকে সিলিং বেয়ে ঘরের কোনায় অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখি।
সেদিন স্বপ্ন দেখলাম ভদ্রলোক আমাকে অনেক ভালোবাসেন, আর আমাকে সাথে করে নিয়ে যান। তাঁর বাড়ি ফুলে ভরা। ঘরের মেঝের ওপর গোলাপের ঝাড়। ক্রিসেন্থেমাম আর বাগানবিলাসের মোটা কাণ্ড আশেপাশে। নানা শেকড়ে ভরা প্যাসেজ দিয়ে হেঁটে তাঁর ঘরে ঢুকি। সেখানে বিছানা উপচে পড়ছে হলুদ সব টিউলিপে।
খুব ক্লান্ত লাগে। তাই শুয়ে পড়ি। ফুলগুলো আমার ভারে সরে যায়। আস্তে আস্তে ডুবতে থাকি। চারদিক অন্ধকার হয়। গাছের লতা আমাকে পেঁচাতে থাকে। তাও ভয় পাই না। সদ্য সেঁকা রুটির মত মাটির গন্ধ নাকে লাগে। আমি আরো গভীরে ডুবে যেতে থাকি। এর মধ্যে খেয়াল করি মা ভায়োলেট ফুলের বিছানাতে ডুবে যাচ্ছে। মুখে ঈষৎ হাসি।
(ঈ. প.)
সূত্রঃ
গল্পটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন স্ত্রাতিস হাবিরাস। গল্পের নাম ‘মি. নিকোস নিকো’।
লেখক পরিচিতিঃ
এর্সি সোটিরোপুলোস গ্রীক লেখক। জন্ম ১৯৫৩ সালে। প্রথম উপন্যাস ‘তামাশা’। প্রকাশকাল ১৯৮২;
মন্তব্য
durdanto laglo... ekhane Bangla-e lekha jabe na tao Comment korchhi. Sorry sei babod.
গল্পটা অনুবাদ করার পর লু স্যুনের 'আ ম্যাডম্যান'স ডায়েরি'র কথা খুব মনে পড়ছে। গোগলের একটা গল্প আছে। একই নামে। ডায়েরি অফ আ ম্যাডম্যান।
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বর্ণনা বেশ শুকনা মনে হল। বিদেশী গল্পগুলোর অনুবাদ সামান্য যা পড়েছি সবগুলোর একই ধারা। আসলে আমাদের দেশের গল্পগুলোর বর্ণনার ধরন এবং কাহিনীর ধরন অন্যরকম হয়। গল্প-পড়ালেখা আমার অনেক কম, তাই মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে না নিলেও হবে
হ্যাঁ, একটু নির্লিপ্ত।
--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এইটাবেশিভাল্লাগ্লোনা।
একটুমনেহয়বেশিশুকনা
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বেশিশুক্নাব্লেইবেশিভাল্লাগ্লো।
বেশিশুক্নাব্লেইবেশিভাল্লাগ্লোশুনেকিবল্বোবুঝেউঠতেপারছিনা
----------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এইভাবেআমরাএকবারসচলায়তনেরদেয়ালভেঙ্গেবেরিয়েগিয়েছিলামঅজানারপথে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একটু বেশি টুকুন। সেরিওজার কথা মনে হলো।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হ
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আমি মনে হয় কিসু মিস কর্লাম... বুঝি নাই...
_________________________________________
সেরিওজা
মিস না মিসেস!!
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
কেউ কি আমারে একটু বুঝায়ে দিবে গল্পটায় কি হইল? ছেলেটাকে মা এরকম ভয় পায় কেন? কিছুই বুঝলাম না।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
অফটপিক: আপনি আশাহত নিকে লিখতেন?
----------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
নতুন মন্তব্য করুন