বারে বন্ধুরা একটা ট্যাবলেট খেতে দেয়। অল্প আলোয় নিরীহ চেহারার ট্যাবলেট গিলতে গিয়ে প্রাথমিক দোনামনা ভাব অন্যদের জোরে টেকে না। খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে এক অদ্ভুত শূন্যতায় পালক হয়ে উড়ে যেতে থাকে ফারাহ। একটু একটু বুঝতে পারে শরীরের নানা অংশ যুবক বন্ধুদের বেদখলে চলে গেছে। পরে ইতস্তত না করে নেমে পড়ে একজন নর্তকী হয়ে।
রিকশা, ধরিত্রী
চাকা ঘোরে। ঘুরতে থাকে। প্যাডেল মারতে মারতে একসময় আরো জোরে মারতে গেলে রিকশাওয়ালার পা ফসকায়। ঠিক একই সময়ে রিকশার চেইন পড়ে। মাদারচোদ প্যাসেঞ্জার খিস্তি আরম্ভ করলে একবার কড়াচোখে তাকায়। পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে চামড়া গলে বেরিয়ে আসা রক্তের ওপর সূর্যালোকের নষ্টামি। মাটিতে বসতে গেলে নিকষ কালো বিচিতে পিচের গরম লাগে। ও আল্লাহ বলে ফাল দিয়ে সিধা হয় আক্কাস। এই গল্পের রিকশাওয়ালা।
রহিম, কবিতা
রহিম প্রথম কবিতা লেখে রাম নিক নিয়ে। সবুজ পাতার আর্তি শীর্ষক কবিতা ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। নানা পত্রিকায় রহিমের কবিতার চাহিদা বাড়ে। রামধারী রহিম কবি পরিচয়ে ঘুরে ঘুরে কিছু শরীর ও পেয়ে যায় মুফতে। দেদারসে ব্যবহার শেষে অভিজ্ঞতা ছড়ায় ইন্দ্র নিকে লেখা সব কবিতায়। আমাদের কালের তরুণেরা শরীর নিয়ে বিষন্ন থেকে থেকে কবিতাগুলো হজম করে।
আমরা আমরা
আমরা আমাদের মতো থাকি। সুখী এবং অল্প দুঃখী। দাম্পত্য জীবনে অন্য নারীর সান্নিধ্যে আসার পর ও কিভাবে যেন টের পায়। মিথ্যা বলতে বলতে একটা সময় সত্য কবুল করি। একটা বোঝাপড়ার দরকার হয়। কিছুদিন আগে ওর জীবনে অন্যজনের সান্নিধ্য ঘটে। আর কোনো মিথ্যার আশ্রয় নি্তে হয় না। আমরা আমরাই তো।
আমি
প্রতিদিনের একটু একটু করে ক্ষয় আর অশ্লীলতায় কাবু হই। পরে দিনশেষে ফিরে যাই নিজের কাছে। অকথ্যতা সহজপাচ্য করে ওম নিতে থাকি। একাকী-আয়নায় নিজের ফরসা পরিচ্ছন্নতা দেখে বিস্মিত হই। আরো ধুয়ে সাদা করি। শেষে ঘুমাতে যাই। পরেরদিন জেগে উঠে নিজের নিম্নবর্গীয়পনা আবারো আবৃত্তি করি। উঁচু গলায়। শোর করে।
মন্তব্য
নিজের নিম্নবর্গীয়পনা নিয়ে ভাবিত হলাম......
নবীন পাঠক
shahriarsajib@gmail.com
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
কয়েকটা গল্প বেশ ভালো লাগলো।
একটা প্রশ্ন, এই নামের রহস্য কী ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
---------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
গল্পগুলোকে কবিতার মতো সুখপাঠ্য লাগলো। রিকশা ও ধরিত্রী তো আগা গোড়াই অনুভবী গদ্য কবিতা বলে চালিয়ে দেয়া যায়।
তবে আপনের গল্প লেখায় অস্থিরতার মাত্রা কমতেছেনা একটুও কমরেড।
হ। একটু গদ্য কবিতার ঢঙ্গে লেখা।
ফ্ল্যাশ ফিকশন পইড়া পইড়া এখন আর গল্পের গায়ে মেদ চড়াতে ইচ্ছা হয় না, কত্তা।
---------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
অদ্ভুত বিষন্ন টুকরো ঘটনাগুলো, কেমন নির্লিপ্ত অথচ বিবশ বেদনাখচিত বিবরণ। খুব ভাল লাগল। একটা প্রশ্ন- গল্পগুলো কি পরস্পর সম্পর্কিত নাকি বিচ্ছিন্ন?
সব গল্প নিচে নামার প্রবণতার গল্প। সেই হিসেবে সম্পর্কিত। ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন।
---------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বিচির ব্যাপারটা যে অভিজ্ঞতা প্রসূত তা বেশ বোঝা যায়!!!
গল্পগুলো ভালো লেগেছে। চার নাম্বারটা পড়ে একটা দুষ্টানু গল্পের প্লট পেলাম।
তুমার প্রফেনিটি আমারে বিমুগ্ধ করেছে, মেম্বর।
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
প্রফেনিটি হইছে নাকি!! কী বিপদ!!!
সংশোধনী প্রস্তাবনা- "নিকষ কালো বিচিতে পিচের গরম লাগে" বাক্যে নিকষ কালো বিচির বদলে নিকষ কালো পিচ হলে ভালো হতো না? নিকষ কালো বিচির কথা চিন্তা করেই কেমন জানি লাগছে!!!!!!!
উপমার উৎস ফোঁড়া বাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।
কিয়ের প্রফেনিটি, মেম্বর। ওইটা এমনেই লিখছি। আপ্নের যাবতীয় মন্তব্যের আমি বিমুগ্ধ পাঠক।
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ভালো লাগলো...
-------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ভালো লেগেছে। কেন জানি না। আমার বুদ্ধি কম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মন্তব্যটা উট্ট্রাঢুনিক।
--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
সবগুলোই কেমন অন্যরকম। অল্প কথা কিন্তু ব্যপ্তি বিশাল। আরো আশার অপেক্ষায়।
------------------------------------
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
মন্তব্যের জন্য থ্যাংকস।
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
উত্তরাধুনিক!
--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
শিরোনাম যুতসই লাগেনি, এমনকি তার ব্যাখ্যাও।
প্লটগুলো ভালো, আরো বড় করার সুযোগও আছে।
হাত মক্শো করার জন্য মাঝে মাঝে এমন টুকরো লেখা ঠিক আছে, কিন্তু আখেরে ছোট গল্প, বড় গল্প বা উপন্যাসই লিখতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপাতত অন্য শিরোনাম মাথায় আসছে না।
মন্তব্যের জন্য থ্যাংকস।
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
- গল্পগুলো ভালো লাগলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
কিছু ক্ষেত্রে মনে হল বড় বেশি সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। প্লটগুলো আকর্ষক। মোটের উপর ভালই লাগল।
কৌস্তুভ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
লেখাগুলো পড়ে গল্প দ্যা স্টরির বদলা কবিতা দ্যা উত্তরাধুনিকই মনে হলো বেশি
০২
চমৎকার
এগুলা কবিতা দা উট্ট্রাঢুনিক !!!!!
--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
নিম্নবর্গীয় নাম দেখে তত্ত্বের কচকচানি আশা করছিলাম। পড়ে দেখি অণুর মাঝে বিপুল গল্প!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
হ।
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আপনাকে বুড়া আঙুল দেখাতে দেখাতে আমার আঙুলে ব্যথা হয়ে গেল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আহারে।
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আন্দালুসি তাপা'র এর মত লাগলো। মুখরোচক ছোট ছোট পুরিয়া।
'আমি' পড়ে তো কাইত হয়ে রইলাম।
মারহাবা।
---
রামধারী রহিম কবি পরিচয়ে ঘুরে ঘুরে কিছু শরীর ও পেয়ে যায় মুফতে।
এর পরেও রহিমের পরিচয় গোপন থাকে কি করে? রামের তো ফুলহাতা থাকার কথা। যারা শরীর দিল, তারা কি হাফহাতা দেখেও রহিমকে রাম ঠাওরাবে?
বাত্তি
----------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
শ্রদ্ধেয় বাউলশিল্পী,
পেন্নাম।
--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
নতুন মন্তব্য করুন