সাহিত্যে তথাকথিত শুচিবায়ুগিরি ইলিয়াস দূরে রেখেছেন সবসময়। চরিত্রগুলোর মুখ দিয়ে বেরোনো কথা এবং তাদের মধ্যকার চিন্তাধারা মার্জিত না করে সরাসরি নিয়ে এসেছেন। কোনো নীতিকথা ধার করে নিয়ে আগান নাই। মানুষ তার ভালোমন্দ মিলিয়ে একটা জীবন যাপন করে- এটুকুর ঠিকঠাক প্রকাশ তাঁর কাছে মুখ্য ছিল। সেখানে যৌনতা আসলে দূরে থাকার মানে নেই। এক বর্ণ সেক্স না ঢুকিয়ে অদ্ভুত যৌনতাহীন কৃত্রিম জীবনের গল্প করে বাংলাদেশের ভদ্র পাঠকদের ড্রয়িংরুমে ঢুকে পড়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। ইলিয়াস বোদ্ধা ছাড়া পাঠকদের কাছে যেতে পারেন নি তাঁর ডিটেইলসের গভীরতায়, সংলাপের অকথ্যতার কারণে। মার্জিত ভদ্রলোকেরা ইলিয়াস বেশি পড়তে আগ্রহী হন নি কখনো। ফলে জনপ্রিয় লেখকের কাতারে দাঁড়ানো তাঁর পক্ষে হয়ে ওঠে নাই। তবে মুখোশ মেকি সাহিত্য জনপ্রিয় হলেও কালোত্তীর্ণ হয় না।
‘খোঁয়ারি’ ইলিয়াসের অসাধারণ একটি গল্প। প্রকাশকাল ছিলো ১৯৭৫; পিতা অমৃতলালের ছেলে সমরজিতের বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। নবাবপুর এলাকায় তাদের বাস। শ্যাওলা আর প্রাচীর সংলগ্ন শূন্যতা দিয়ে পুরানো দোতলা বাড়ি। এলাকার কিছু লোক অমৃতলালের কাছে বাড়িটা চায়। তিনি পিতৃপুরুষের ভিটা অন্যকে দিতে অস্বীকার করেন। ঘটনার সময়কাল একাত্তর পরবর্তী কোন এক বছর। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তাঁর নিজস্ব গদ্যভঙ্গি আর স্ট্রাকচারে ‘খোঁয়ারি’ গল্প বলেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নেমে আসা নির্যাতন, নির্বাসনের ভীতি গল্পের মূলসূত্র।
সমরজিতের বাসায় তিনজন বন্ধু আসে । ফারুক নেতাগোছের লোক, সমরজিতের বন্ধু। জাফর ফারুকের সাগরেদ। ইফতিখার ফারুকের বন্ধু। সমরজিতেরও। একাত্তরে সে ব্যাংকের চাকুরি অব্যাহত রেখেছিল। বড় ভাইয়ের করা বাড়ি এখন অন্যের দখলে। ফারুকের মাধ্যমে বাড়িটা উদ্ধার করার চিন্তাভাবনা তার মাথায়।
ফারুক, জাফর, ইফতিখার এসে অনেকক্ষণ কড়া নাড়ার পর সমরজিৎ এসে দরজা খোলে। এর আগে ইলিয়াস বর্ণনা করেন বাড়ির আর আশেপাশের পরিবেশের ডিটেইলস্। তারা ভেতরে প্রবেশ করলে পুরানো বাড়ির রূপ আস্তে আস্তে ডানা মেলে। জাফরের পেচ্ছাব পেলে অব্যবহৃত এক রান্নাঘর দেখিয়ে সমরজিৎ সেখানে মেরে দিতে বলেন। পরে জানা যায় সেই রান্নাঘরে ঠাকুরের ভোগ রান্না হতো। ইলিয়াসের সূ্ক্ষ্ম মন্তাজে সমরজিতদের পারিবারিক ক্ষয় বোঝা যায়। গল্পে জানতে পারি, কাকার পরিবার, মা আর ঠাকুরমা এখনো কোলকাতায় রয়ে গেছেন। আসে নাই বোনটাও। একাত্তরে বাড়ির উপর যা যাওয়ার গেছে।
সমরজিৎ তাদের সুরাপানের ব্যবস্থা করে। জনি ওয়াকারের বোতল বের হয় তালাচাবি দেয়া আলমারি থেকে। গলার কামবোধে সে উতলা হয়।
… জনি ওয়াকার রেড লেবেল হুইস্কির টিম্বার রঙের স্বচ্ছ রক্তে কম ভোল্টেজের আলো গাঢ় ও ঘন সেডিমেন্ট ফ্যালে। … (পৃষ্ঠা ৯৮) … সমরজিতের কপালের নিচে তখন রক্তের প্যারেড, লেফট রাইট লেফট রাইট লেফট! তার লম্বা চুমুকে প্রায় দেড় আউন্স পরিমাণ হুইস্কি গলায় গিয়ে ফের ওপরে উঠে করোটির ময়লা সাফ করে। … (পৃষ্ঠা ৯৯)
গল্পগুজবে জাফরের ফ্রন্টে থাকার গালগল্প শুনে ফারুক বিরক্ত বোধ করে। দুজনের ভেতরে মানসিক লড়াইয়ের মধ্যে ফারুকের নাকে ফুলের সুগন্ধ নাকে আসলে বাড়ির এই দুদর্শায় ফুলের আতিশয্যে বিরক্ত হয়। ইলিয়াস ‘পোষে’ শব্দে সেটা পরিষ্কার করেন।
… ঘরের বাইরে দক্ষিণ দিকের বারান্দা থেকে আসছে গোলাপের ছেঁড়া-ছেঁড়া গন্ধ অবশ্য খুবই মৃদু, পাওয়া যায় কি যায় না। বারান্দার টবে ফুলগাছ পোষে কে? অমৃতলাল, না সমরজিৎ।… (পৃষ্ঠা ১০০)
অমৃতলালের বাড়িতে পার্টি অফিস করতে পারলে কাগজীটোলা, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার, ওদিকে ফরাশগঞ্জ, শ্যামবাজার পুরা এলাকার কন্ট্রোল নিয়ে আসা সম্ভব। অমৃতলালের জেদে জাফর তেরিয়া হয়। ফলে মদ গলায় ঢেলে শরীর ভুলে থাকা সমরজিতের কপালে জোটে না। অন্তত এই আসরে।
… বাংলা মদ গিলে গিলে জিভের ওপর শ্যাওলা জমে গেছে। স্কটল্যাণ্ডের তরল রোদ একেক বার গড়িয়ে যেতেই জিভ শুকিয়ে খটখটে হয়ে যাচ্ছে। পোড়া পোড়া গন্ধের সঙ্গে তেতো কষাটে স্বাদ ঠিক পৌঁছে যায় গলার খাঁজে। … এই সময় শরীরকে তার ভুলে যাওয়ার কথা, সমরজিৎ কিন্তু ভোলে না। …(পৃষ্ঠা ১০০)
জাফরের কথার পারফরমেন্সে ফারুক গুটিয়ে থেকে পরে পার্টির পরিচয় দিতে গিয়ে নিজের ওজন বোঝায়। পার্টির কেউ মন্ত্রিত্ব চায় না।সাভ ভারসিভ এলিমেন্টস বিপ্লবের নাম করে বা সরকারের দুর্বলতার নাম করে দেশকে যাতে ধ্বংস করতে না পারে পার্টি কেবল সেটা খেয়াল রাখবে।
ইফতেখারের উপস্থিতি জাফরের কাছে অপ্রয়োজনীয়। সেন্ট পার্সেন্ট বেঙ্গলীজ না বলে জাফরের পরিশুদ্ধ-বাঙালি-দৃষ্টিকোণে ইফতিখার অর্বাচীন। কেবল ফারুক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে সে সরাসরি কিছুতে যেতে পারে না। চারিদিকে ঘুরঘুর করা শত্রুকে চিনে নেয়ার কথা জোর গলায় বলে। অথচ পার্টির জন্য জোর করে একজনকে বাস্তুচ্যুত করার হীন কাজ তাদের কাছে জায়েজ মনে হয়। জাফর-ফারুক সুবিধাভোগী মাস্তান সেজে সমরজিতের শত্রু বনে যায় চোখের সামনে। অথচ কাল্পনিক শত্রু নিয়ে ভাবিত হয়।
… চারদিকে এনিমি। এই যে যেখানে সেখানে গাড়ি থামানো, হুট করে নেমে পড়া, যখন তখন গলিতে তস্যগলিতে ঢুকে পড়া-এসবের কোনো মানে হয়? চারদিকে এনিমি। দেশ কি আর এতো সহজে শত্রুমুক্ত হয়? এতো সোজা? টার্মিনালে, ফুটপাথে, স্টেডিয়েমে, রেলস্টেশনে এতো লোক গিজগিজ করে, লজ্জা শরমের বালাই নেই, কাপড়চোপড়ের ধার ধারে না, এমন কি শালাদের গায়ের চামড়াও কি সিনথেটিক ফাইবারে তৈরি।- কি ট্রান্সপেরেন্ট –শরীরের ভেতরের হাড়হাড্ডিও সব দ্যাখা যাচ্ছে।…(পৃষ্ঠা ১০১)
ফারুক সমরজিৎকে নানাভাবে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার কথা বলে। রাজনীতির ডিপ্লোমেসি তার কথায় বেশ অটুট। অকুপেশনের সময় হিন্দুদের সাফারিং নিয়ে দুঃখ করার প্রয়োজন সে ব্যবহার করে। বাংলাদেশের রাজনীতির ছানাপোনারা ঠিক এই তরিকায় কথা গড়ায়। মূল উদ্দেশ্য হাসিলে প্রতিপক্ষের প্রতি কিছুটা সহমর্মিতা দেখানোর মৌখিক রাজনীতি শুনে বুঝেও সমরজিতের মাথায় পুরানো স্মৃতি ভেসে ওঠে।
… ফারুকের কথা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই সমরজিতের শরীরের রক্ত উজান উঠে বসে তার করোটির ছাদে, ছাদের বীমে এবং মেঘ হয়ে কিছুক্ষণ থমকে থেকে অবশেষে বৃষ্টিপাত শুরু করে। এই বৃষ্টির উৎস করোটির মেঘ, করোটির মেঘের উৎস তার শরীরের রক্ত। সুতরাং বর্ষণের রঙও লাল, অবিরাম লাল বৃষ্টিপাত চোখের সামনে একটা সীমাহীন জলপর্দা টাঙিয়ে দেয়। পর্দায় দ্যাখা যায়, হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে সমরজিৎও পালিয়ে যাচ্ছে। … (পৃষ্ঠা ১০৬)
ইলিয়াসের গল্পে ‘করোটি’ শব্দের অজস্রবার ব্যবহার ক্লিশের পর্যায়ে চলে গেছে। তবে গল্প বলার ঢঙে ভালো করে খেয়াল না করলে বোঝা যায় না। কারণ ইলিয়াসীয় বর্ণনার ফ্লো। স্যামুয়েল বেকেটের ‘ওয়েটিং ফর গডো’ নাটকে লাকি’র মনোলগে ‘দা স্কাল’ শব্দ একনাগাড়ে অনেকবার আওড়ানো হয়।
… I resume but not so fast I resume the skull to shrink and waste and concurrently simultaneously what is more for reasons unknown in spite of the tennis on on the beard the flames the tears the stones so blue so calm alas alas on on the skull the skull the skull the skull in Connemara in spite of the tennis the labours abandoned left unfinished graver still abode of stones in a word I resume alas alas abandoned unfinished the skull the skull in Connemara in spite of the tennis the skull alas the stones Cunard tennis... the stones... so calm... Cunard... unfinished...
জানা যায়, বেকেট তাঁর জটিল সব প্রবন্ধ লেখার হাত থেকে বাঁচতে এই নাটক লিখে আরাম পেয়েছিলেন। এবসার্ড থিয়েটারের এই মাস্টারপিসে গডো, অনেকের মতে, ভগবানের প্রতিরূপ। বারবার এই ‘স্কাল’ শব্দটার প্রয়োগে ডিনায়ালের প্রচেষ্টা দেখা যায়। And when they were come unto a place called Golgotha, that is to say, a place of a skull, [ম্যাথু ২৭:৩৩] … ইলিয়াস ও একই ধারায় ডিনায়াল করতে চেয়েছেন সমরজিতের ভাবনা প্রচেষ্টায়। করোটি সেখানে নির্জীব মগজের আস্তানা।
ঢাকা থেকে সপরিবারে পালানোর ঘটনা ইলিয়াস দীর্ঘ একটি বাক্য দিয়ে শুরু করছেন। মাত্র দুই পৃষ্ঠায় সেই তুমুল বৃষ্টির মধ্যে পাকিস্তানিদের অস্ত্রের মুখে একান্নবর্তী পরিবারের সব সদস্য মিলে দেশ ছাড়ার বর্ণনা করেছেন। গল্পের এই অংশটুকু বেশ কন্ডেন্সড্।
… অনেকদূরে চলছে গুলিবর্ষণের সঙ্গত, আর এখানে বাতাস ও জলের সম্মিলিত ধ্বনির পেছনে ‘ও মা’, ‘ও সমর’, ‘ও সমইরা’, ‘মাগো’, ‘রাধেশ্যাম’, ‘ভগবান’, ‘ভগবান গো’, ‘সুভাষ’, ‘সুভাষরে’, ‘চিত্ত’, ‘অমৃত’, ‘অমৃতরে’, ‘কাকা’- এইসব আহ্বানকে একনাগাড়ে গুলিবর্ষণের সঙ্গে ঘর-বাড়ি পোড়াবার আওয়াজ ও আলুথালু মানুষের বিলাপ বলে ভুল হয়। এখন সন্ধ্যাকাল না গভীর রাত্রি? এটা কি নগরীর রাজপথ না নিভৃত বাঙালি গ্রাম? বৃষ্টি না মর্টার? উত্তর দক্ষিণে কি গাছপালা না সেনাবাহিনী? মাঠ না ক্যান্টনমেন্ট? মগজে এইসব ঘাপলা, কোলে ঠাকুরমা। যতো হালকাই হোক না কেন, ঠাকুরমাকে নিয়ে আর দৌড়ানো যাচ্ছে না। বৃষ্টির তোড়ে কেউ কাউকে দেখতে পায় না। প্রত্যেকে ভাবছি, আর সবাই আছে একসঙ্গে, হায়রে দলছুট হয়ে পড়েছি কেবল আমিই। এদিকে এতো শোঁশোঁস্রাৎস্রাৎছলছলআঁআঁ বিক্ষোভ ও কাৎরানির মধ্যে ঠাকুরমা অবিরাম ঘ্যানঘ্যান করে, ‘রাধেশ্যামের বিগ্রহ ফালাইয়া আইলি? অষ্টধাতুর বিগ্রহ-হ্যার অমর্যাদা করলি, এঁ? তরা তগো বাড়ির স্বত্ব হারাইলিরে সমর, অহন বাস করবি কৈ? ঠাকুরে-তর বাপের ঠাকুরদায়-সম্পত্তি লেইখা দিছে রাধেশ্যামের বিগ্রহরে, তরা তারে ডাকাইতের হাতে সমর্পণ করলি? অহন কি হইবো রে সমইরা? অহন কি হয়?’ বৃষ্টির তোড়ে তার একটানা বাক্যপ্রয়াস ধুয়ে যায়। … (পৃষ্ঠা ১১১)
জাফর-ফারুক নানা কিছু বুঝিয়ে সমরজিৎকে লাইনে আনতে পারে না। জাফর কিছুটা জোর প্রয়োগ করে। মানিক ভাই যে ইডিওলজির জন্য অপ্রিয় কাজ করে ফেলেন ফারুক এক সুযোগে সেটা পরিষ্কার করে। কো-অপারেট না করলে সমরজিতের পরিবার ঝামেলায় পড়লে কিছু করার থাকবে না। ইলিয়াসের গল্পে চরিত্রের মুখে এসব কথায় নগরে স্বাধীনতা ঢোকার মজা টের পাওয়া যায়। পাকিস্তানিদের অত্যাচারে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল অমৃতলালের পরিবার। স্বাধীন দেশে এসে সংখ্যালঘু হওয়ার ভূত তাও তাড়া করে। এবার শুনতে হয় বাস্তুভিটা ছেড়ে দেয়ার হুমকি ধামকি। পুনরায় নির্বাসনের এইসব অনিবার্য আশংকা একাকী থাকার সময় ভুলে যেতে মরিয়া হয় সমরজিৎ।
… কলকে ধরার ভঙ্গিতে গাঁজা-পোরা সিগ্রেট জাপটে ধরে আরেকবার খুব জোরে টান দিলে সমরজিতের করোটির দেওয়ালে জোরে জোরে টোকা পড়ে। এইবার আশা করা যায়। এইবার নেশা হবে। এইতো মগজে তোলপাড়, পাঁজরায় তোলপাড়। এইবার হবে! আশায় উত্তেজনায় সমরজিৎ রেলিং ধরে দাঁড়ায়। চোখের সামনে সানগ্লাসের মতো পাতলা মেঘ ভেদ করে সে দ্যাখে, নিচে কে যেন চাঁদের ভগ্নাংশ খুঁজে বেড়াচ্ছে খুব মনোযোগ দিয়ে। কে সে? কিন্তু বড়োজোর এক মিনিট, এই মেঘ ছিঁড়ে উড়ে চলে যায় এবং সমরজিৎ দ্যাখে, গেটের মাধবীলতার ঝাড় ও বারান্দার হৃষ্টপুষ্ট থাম পর্যন্ত স্থলকেলি করে বেড়েচ্ছে অমৃতলাল। … সমরজিতের পাশে গাঁজা গাছের ঝাঁঝরা পাতা থেকে গড়িয়ে পড়ে নেশাগ্রস্থ পোকামাকড় হেঁটে বেড়াচ্ছে পা টিপে টিপে। তাদের টলোমলো পদক্ষেপ ও এলোমেলো পদধ্বনির ভেতর দিয়ে উঁকি-দেওয়া ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী’ কি ‘যদি দিতে এলে ফুল হে প্রিয়’ তার কানের পর্দায় পাঁচড়ার মতো চুলকাতে শুরু করলে ইজি চেয়ারে ধপাস করে বসে পড়া ছাড়া সমরজিৎ আর কি করতে পারে? (পৃষ্ঠা ১১৬)
এক্সাইল সাহিত্যে ইলিয়াসের ‘খোঁয়ারি’ গল্প একটা ভালো যোগ। এই গল্প পড়ে চেকভের ‘ইন এক্সাইল’ গল্পের কথা মাথায় আসে। আন্তর্জাতিক সাহিত্যে নির্বাসন, বিষয় হিসেবে, সাহিত্যরীতির একটা বড়ো অংশ জুড়ে আছে। জোসেফ কনরাডের লেখালেখির বেশিরভাগ জুড়ে নির্বাসন। এই গোত্রের অন্যান্য লেখকদের মধ্যে আছেন থমাস হবস্, নবোকভ, পাবলো নেরুদা, স্যামুয়েল বেকেট। এডোয়ার্ড সায়ীদ ফিলিস্তিন থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন। ‘আউট অফ প্লেসঃ আ মেমোয়ার’ এরই বয়ান। সায়ীদের ‘রিফ্লেকশন অন এক্সাইল এন্ড আদার এসেইজ’ বইতে নির্বাসন-সাহিত্যের প্রচুর উপাত্ত পাওয়া যায়।
'লেবিয়াথান'-এর লেখক থমাস হবসের ‘ভারস্ ভিটা’ কবিতায় সমরজিতের দেখা মিলে।
Th’ill Times, and Ills born with me, I bemoan:
For Fame had rumour’d, that a Fleet at Sea,
Wou’d cause our Nations Catastrophe;
And hereupon it was my Mother Dear
Did bring forth Twins at once, both Me, and Fear.
For this, My Countries Foes I e’r did hate,
With calm Peace and my Muse associate. ...(দাদারিও: ৭৪)
বহি
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচনাসমগ্র ১, মাওলা ব্রাদার্স, জুন ২০০১;
মন্তব্য
শুভাশীষ- 'খোঁয়াড়ি'র রিভিউ অসাধারণ লাগল!
কিন্তু, 'তারাবিবির মরদপোলা' বেশি সংক্ষেপ হয়ে গেছে।
এই 'তথাকথিত' মানে কী? আধুনিক এবং উত্তরাধুনিক সাহিত্যের ক্ষেত্রে কি এই কথাটা খাটে? যে কথাটা আপনি ইলিয়াসের ক্ষেত্রে বলছেন, এবং বেকেটের প্রসঙ্গেও - যে নৈর্ব্যক্তিক, নিষ্পৃহ বর্ণনা যেটা আসলে ইমোশনের তীব্রতাকেই একটা ফ্রেমের মতো ধারণ করছে (আমি এভাবেই পড়েছি), সেই স্টাইলের সাথে শুচিবায়ুগ্রস্ততা তো আসবেই না। আর, অন্য যাদের কথা বলছেন - যেমন, হুমায়ুন আহমেদ - তাদের লেখার ধরনটাই তো আলাদা। এবং সেক্সের অবস্থান নেই বলেই আমি কোন লেখাকে "যৌনতাহীন কৃত্রিম জীবনের গল্প" বলবো না। যদি গল্পের প্রয়োজনে না আসে, বা না আসানো হয়, এবং তাতে পাঠকের যদি গল্পের সাথে রিলেট করতে অসুবিধা না হয় - সেরকম লেখায় আমার আপত্তি নেই। যেমন, যৌনতাবহুল হলেও নেই। অর্থাৎ, জীবনের কোন একটা উপদান, সেটা যত বাস্তব বা অপরিহার্যই হোক না কেন, গল্পে যে থাকতেই হবে সেটা মনে করি না।
তবে,
সহমত।
কুটুমবাড়ি
দিদিভাই,
'তথাকথিত শুচিবায়ুগিরি' বলতে লেখার ফ্লোতে জোর করে প্রাচীর রাখাকে বোঝাতে চাইছিলাম। উত্তরাধুনিক বা আধুনিক সাহিত্যের প্রসঙ্গে বলতে চাই নি। হুমায়ূন আহমেদের সাথে ইলিয়াসের মানের তুলনা চলে না। ইলিয়াস বাঙালির ড্রয়িংরুমে বেশি ঢুকতে পারেন নাই- বোঝাতে তুলনাটা আনতে হয়েছে।
উত্তরাধুনিক সাহিত্য নিয়ে একটা সিরিয়াস বিশ্লেষণ দরকার। কিছু মাকাল লেখক-কবির কারণে, এদেশে, উত্তরাধুনিকতা একটা স্ল্যাং হয়ে গেছে।
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
অনেক আগে হুমায়ুন আহমেদকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে তাঁর গল্পে যৌনতা আসেনা কেন। তিনি অনেকটা এমন উত্তর করেছিলেন যে, তাঁর তিনটি মেয়ে আছে, তারা বড় হচ্ছে, তারা তাদের বাবার বই পড়ে ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ব্যাপারটা হুমায়ুন আহমেদের সংলাপ দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায় যে, "সাহিত্যে যৌনতা হৈল একটা শরমের ব্যাপার, তয় এরও প্রয়োজন আছে"। হুমায়ুন আহমেদ এই প্রয়োজনীয়তাটিকে কখনো অস্বীকার করে আবার কখনো বাজারী কৌশলে ব্যবহার করেছেন। তাতে হাততালি পাওয়া গেছে তবে তাতে সাহিত্য মারা পড়েছে।
হুমায়ুন আহমেদ সংক্রান্ত এইটুকু ছাড়া আপনার বাকি বক্তব্যর সাথে আমি একমত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি শুধু 'জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল' পড়েছি। অন্যগুলো পড়তে চাইলে আমার বাবা বলেছিলেন, ইলিয়াস পড়ার বয়স তোমার এখনো হয় নাই, তবে আপনার লেখা পড়ে পড়বার জন্য মন আনচান লাগছে।
----------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
বাকিগুলো পড়ে ফেলুন।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
সত্যকথাটুকু বলেছেন ভাই।
আপনার প্রতিটি লেখা পাঠ হয়,
কিছু বলা হয় না, এই আর কি...
ভালো থাকুন।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আপনার ছফাগিরি পড়ে ছফাসমগ্র আনিয়ে তাতে মজে আছি। এখন আবার ইলিয়াসের পুরানা নেশা চাগিয়ে দিলেন। নাহ্ ঢাকা থেকে ইলিয়াস সমগ্র না আনিয়ে আর থাকা যাচ্ছে না।
আনান।
--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বদ্দা, একটা কথা ভাবতেসিলাম। অফটপিক মনে হয়। গল্পলেখক পরিশীলিত পরিমণ্ডলের ** মারেনা। কিন্তু প্রবন্ধ (অ-গল্প) লেখকের এই দায় নিতে হয় কেন? গল্পে ** মারা চললে, প্রবন্ধে কেন নয়? প্রশ্নটা ভাবাইতেসে ...
সিরিজটা ভালো হইতেসে, বলার অপেক্ষা নাই, বাই দা ওয়ে ...
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ক্রিয়েটিভ লেখায় পরিশীলিত পরিমণ্ডলের ** মারা যায় সহজে কারণ সেখানে চরিত্রের মুখ দিয়ে কথা বেরোয়।
ক্রিটিক লেখায় বা প্রবন্ধে লেখক সশরীরে হাজির। ফলে জড়তা আসে।
অবশ্য Slang Essay চর্চা একেবারে বিরল নয়।
--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
০১. এই পর্বটিকে আমরা কী বলতে পারি? ইলিয়াসকর্তৃক সাহিত্যে ছুঁৎমার্গের ভণ্ডামীকে নাকচ করা? নাকি "খোঁয়ারী"র রিভিউ?
উত্তরটি প্রথমটি হলে বলতে হয় সেক্ষেত্রে লেখাটি যথেষ্ট নয়। আরো বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন - ইলিয়াসের অন্য গল্প আর উপন্যাস থেকে প্রসঙ্গ উল্লেখসহ। কিন্তু উত্তর যদি দ্বিতীয়টি হয় তাহলে বলব এখানে "তারাবিবির মরদ পোলা"র প্রসঙ্গ আনা ঠিক হয়নি। "তারাবিবির মরদ পোলা" নিজেই একটি বিস্তৃত আলোচনার দাবী রাখে।
০২. সত্যজিত রায় একবার এমনটা বলেছিলেন যে, শিল্পমানসম্পন্ন চলচিত্র বুঝতে হলে দর্শকের শিল্পজ্ঞান থাকা চাই। নির্মাতা বছরের পর বছর ধরে অর্জিত শিক্ষা, অভিজ্ঞতা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে যে চলচিত্র বানান সেটি শিল্পজ্ঞানহীন দর্শক একবার বসে দেখেই আদ্যন্ত বুঝে ফেলবেন সেটা দুরাশা। একই কথা অন্য যে কোন প্রকার সৃষ্টিকর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইলিয়াসের গল্প বোঝার জন্য, তার রস নেবার জন্য তাই পাঠকের নূন্যতম প্রস্তুতি দরকার।
একজন সাহিত্যিক ভূঁইফোড় কেউ নন্। তিনি তাঁর পূর্বসূরীদের পথ অনুসরণ করেন সাথে নিজের আবিষ্কারটিকেও জুড়ে দেন। এমনকি নতুন পথ যাঁরা আবিষ্কার করেন তাঁরাও পূর্বসূরীদের পথকে নাকচ করে যাননা। তাই ইলিয়াসের লেখায় বিশ্বসাহিত্যে তাঁর পূর্বসূরীদের সৃষ্টির ধারাবাহিকতা থাকাটা স্বাভাবিক। এটি চিন্তা ও ভাবের ধারাবাহিকতাও বটে।
০৩. "খোঁয়ারী"র সমরজিৎ পুরোপুরি নির্বাসিতের চরিত্র অর্জন করতে পারেনি। সে তার শিকড় থেকে উচ্ছেদ হবার অনিবার্যতা, উদ্বাস্তুর হাহাকার, সব হারানোর বেদনা সবে অনুভব করতে শুরু করেছে। একই ফ্রেমে আসন্ন উদ্বাস্তু আর উচ্ছেদকারীর এমন অবস্থান দেখানোর মুন্সিয়ানা ইলিয়াস দেখাতে পারেন।
বাস্তুচ্যুতি, উদ্বাস্তু হওয়া বা নির্বাসন যাই বলি এই বিষয়ে উপমহাদেশে সবচে' সমৃদ্ধ মনে হয় উর্দু সাহিত্য। বাংলা দ্বিখণ্ডিত হবার পরও এই বিষয়ে পূর্ববঙ্গে সাহিত্যকর্ম আশ্চর্য রকম কম। পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে গমনকারীদের জীবন নিয়ে কিছু সাহিত্য বাংলায় দেখা মিললেও পশ্চিম থেকে পূর্বে আগতদের জীবন নিয়ে সাহিত্য বাংলায় বিরল (এক শওকত আলী ছাড়া)।
০৪. নির্বাসিত লেখকের কথা বললে যার নাম নেয়া আবশ্যক তিনি হুয়ান ম্যানুয়েল পুইগ। একজন মানুষ তাঁর জীবনের বড় অংশ কেবল নির্বাসনেই কাটাননি, সাথে সাথে পরবাসের ঐ দেশের ভাষা শিখে সেই ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন। এমন ঘটনা তাঁর জীবনে একবার নয়, তিন তিনবার ঘটেছে। পুইগকে "পপ্ আর্ট" বলে যারা উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন তারা শরণার্থীর অনুভূতিকে বোঝেননি, পুইগের চিন্তার গভীরতাকে বোঝেননি। তেমনই অশ্লীলতা, প্রথাবিরোধীতা বা দুর্বোধ্যতার তকমা এঁটে যারা ইলিয়াসকে সরিয়ে রাখতে চেয়েছেন তারা না বুঝেছেন ইলিয়াসের ভাষার তীক্ষ্মতা, না বুঝেছেন ইলিয়াসের জীবনবোধ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
২। একমত।
৩। 'খোঁয়ারি'তে বাস্তুচ্যুতরা দেশ স্বাধীন হবার পর ফিরে এসে আবার ঝামেলার শিকার হয়। এক নতুন নির্বাসনের মুখে দাঁড়ালে কি হয় ইলিয়াসের লেখায় সেটা এসেছে।
৪। পুইগের কিছু পড়ি নাই। আজকে লাইব্রেরিতে গিয়ে আনবো। উনার উপন্যাস থেকে নির্মিত ছবি 'কিস অফ দা স্পাইডার উইম্যান' দেখেছি অনেক আগে। টরেন্ট দিয়ে নামালাম। এখন আবার দেখব।
নির্বাসিত লেখক আরো অনেকে আছেন। ম্যালা। মিলান কুন্ডেরা চেকোশ্লাভাকিয়া থেকে নির্বাসিত হয়ে ফ্রান্সে বসত গাড়েন। আগে চেক ভাষায় লিখলেও এখন ফরাসি ভাষায় উপন্যাস লিখেন। এছাড়া আছেন পোল্যান্ডের বাশেভিস সিঙ্গার। এখন আম্রিকায় থাকেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, পাণ্ডবদা।
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
১.
ঠিক এটি নিয়েই সম্ভবত সুশীল লেখকদের মতভেদ আছে- সাহিত্যিক একটা বাস্তব চরিত্রের একটি রূঢ় বক্তব্যকে কীভাবে প্রকাশ করবেন? কারো মতে, ভাষার সরাসরি প্রকাশটাই বক্তব্যের মূল ভাবের প্রকৃত প্রকাশ ঘটায়। আবার, কারো মতে, ভাবপ্রকাশ করাটাই জরুরী, ভাষা নয়।
আমার মনে হয় এটা লেখকের দক্ষতার উপর নির্ভর করে। ইলিয়াস যেমন ভাষার রূঢ়তা ব্যবহার করে ভাবের রূঢ়তার সঠিক প্রকাশ ঘটাতে পেরেছেন, অনেকেই তা পারেন না। কারো কারো লেখায় ভাষার রূঢ়তাই থেকে যায়, ভাব আর প্রকাশিত হয় না... আবার কেউ কেউ ভাষা সংযত করতে গিয়ে ভাবটাই হারিয়ে ফেলেন।
২.
অনেক সময় এমন হয়, একটা গান হয়তো কোন সিডিতে পড়ে আছে, কিন্তু অনেকদিন শোনা হয় না। হঠাৎ একদিন দূরে অন্য কোথাও বাজতে থাকা সুর শুনে মনে হয়, সিডিটা বের করে শুনি।
আপনার এই লেখাগুলো ঠিক এভাবেই বারবার বুক শেলফের কাছে নিয়ে যায় আমাকে।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
১। ভাষার রূঢ়তা থেকে ভাষার স্বতঃস্ফূর্ততা বললে ভালো। ফ্লো-টা যেন না আটকায়। ইলিয়াস সেটাই পারেন। অবলীলায়।
২।
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আপনার লেখা পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি, কিন্তু মন্তব্য করার যোগ্যতা অর্জন করি নাই। সুতরাং 'চলুক' বলা ছাড়া আর কিছু বলার নাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কি যে বলেন!
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
'খোঁয়াড়ি' গল্পটা আমার বেশ প্রিয় একটা গল্প। আপনি ওটা নিয়ে সমালোচনা লিখছেন দেখে বেশ নড়েচড়ে বসেছিলাম। কিন্তু, সঙ্কোচের সাথে বলি, হতাশ হলাম।
প্রথমত, নামটাই কিন্তু নির্দেশক। ওটা নিয়ে কোন আলোচনায় যান নি।
দ্বিতীয়ত, গল্পের প্রথম অংশ জুড়েই মোটামুটি আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিলো এবং নায়কের নির্বাসিত হওয়ার আশঙ্কার কথাই এবং এসংক্রান্ত সমাজবাস্তবতার কথাই আপনি সবিশেষ ব্যাখ্যায় এনেছেন। কিন্তু, খোঁয়াড়ি না কাটার কথাটুকু আনলেন না কেন?
আশা করি, ভবিষ্যতে আবারো দেখা হবে আপনার আরো ভালো লেখার সাথে।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
গরীবগুর্বোর আলোচনা হতাশা বাড়ায়। কি করবাম!
'খোঁয়ারি' নিয়ে একটা আলোচনা পড়েছিলাম অনেক দিন আগে। কোনো এক লিটল ম্যাগাজিনে। খোঁয়ারি না কাটার কথা সেখানে বিশদে এসেছিল। সেদিকে আর যাই নাই, এই কারণে।
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বলতে দ্বিধা নেই, হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় লেখকদের একজন।
তারপরও উনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো অস্বীকার করার কোন উপায় নেই
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
নতুন মন্তব্য করুন