অনুবাদ: হারুকি মুরাকামির ছোটোগল্প। এক।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: সোম, ২১/০৬/২০১০ - ৫:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শার্পি কেকের উত্থান-পতন

আধো-ঘুমে সকালের পত্রিকা পড়ছিলাম। হঠাৎ নিচের দিকে একটা বিজ্ঞাপনে চোখ আটকায় -‘শার্পি কেকের বর্ষপূর্তি। কোম্পানির জন্য প্রয়োজন নতুন প্রোডাক্ট। জানতে চাইলে সেমিনারে আসুন।’ শার্পি কেকের নাম আগে কখনো শুনিনি। নিশ্চিত সস্তা দরের কোনো কেক হবে। নতুন কী খুঁজছে সেটা নিয়ে আগ্রহ জন্মায়। হাতে এখন অঢেল সময়। সেমিনারে যোগ দিব ঠিক করে ফেলি।

সেমিনারটা একটা হোটেলের বলরুমে। সেখানে চা আর কেকের যথেচ্চ সাপ্লাই। শার্পিকেক। একটা খাই। খুব একটা ভালো লেগেছে বলা যাবে না। বেশ স্টিকি আর মিষ্টি। উপরের ক্রাস্টটা অবশ্য অনেক খড়খড়ে। এখনকার ছেলেমেয়েরা এই কেক পছন্দ করবে বলে আমার মনে হয় না।

সেমিনারে যারা এসেছে তারা আমার বয়েসি বা আরো ছোটো। আমার টিকেট নাম্বার ৯৫২। আমার পরে নিশ্চিত করে আরো একশোর মতো লোক এসেছে। তার মানে এই সেমিনারে অংশ নিয়েছে হাজারখানেক লোক। বাপরে।

আমার পাশে এক মেয়ে বসে। চোখে মোটা চশমা। বয়স বিশ-টিশ হবে। দেখতে সুন্দর না। তবে চেহারায় ব্যক্তিত্ব আছে।

‘আগে এই শার্পি কেক খেয়েছেন কখনো?’ আমি জিজ্ঞেস করি।

‘হ্যাঁ। এগুলো খুবই বিখ্যাত।’ মেয়েটা জানায়।

‘ও। কিন্তু এগুলো খেতে এত …’ আমি বলতে যেতেই মেয়েটা আমার পায়ে ছোট্ট লাথি দেয়। আশেপাশের লোকজন আমার দিকে কড়া চোখে তাকাতে শুরু করে। আমি আমার নিরপরাধ চেহারাটা ধরে রাখার চেষ্টা করি।

‘তুমি কি পাগল?’ মেয়েটা পরে আমার কানে ফিসফিস করে। ‘এইরকম একটা জায়গায় এসে ওদের কেকের নামে বদনাম করে কেউ! শার্পি কাকেরা খবর পেলে জ্যান্ত তোমাকে বাড়ি ফিরে যেতে দেবে না।’

‘শার্পি কাক?’ আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি।‘ওগুলো …’

‘শ্‌শ্‌শ্’ মেয়েটা আমাকে থামায়। মিটিং শুরু হচ্ছে।

শার্পি কেকের প্রেসিডেন্ট অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন। শার্পি কেকের পেছনের ইতিহাস বিশদ করে জানান। সন্দেহপূর্ণ কিছু অতিপ্রাচীন তথ্য দেন। সেই অষ্টম শতকে কিভাবে কিছু উপকরণ দিয়ে প্রথম শার্পি তৈরির যাত্রা শুরুর কথা। ৯০৫ সালের কোকিনশু রাজত্বের সময়কালে শার্পি কেক নিয়ে কবিতা পর্যন্ত লেখা হয়েছিল বলে তিনি জানান। আমি এসব শুনে জোরে হাসতে যেতেই সবাই এতো মনোযোগ দিয়ে কথা হজম করছে দেখে থেমে যাই। তাছাড়া কাকগুলোর ব্যাপারে কিছুটা ভয়ে আছি।

প্রেসিডেন্ট এক ঘন্টা বকবক করলেন। চরম বিরক্তিকর। শার্পির পেছনে অনেক বড় একটা ইতিহাস আছে। এত কথা বলে তিনি সেটাই প্রমাণ করতে চাইলেন।

এরপর আসলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নয়া শার্পি কেক নিয়ে তিনি বলা ধরলেন। এই কোম্পানির পেছনে একটা বিশাল ধারাবাহিকতার গর্বিত ইতিহাস আছে। শার্পির কেকের দারুণ জনপ্রিয়তা। তবে কোম্পানির প্রোডাক্টকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উপযোগী করতে হবে। এসব কথা কানে সাধু শোনায়। আসলে তাঁর বক্তব্যের বিষয় হচ্ছে শার্পিগুলোর স্বাদ পুরানো আর একঘেঁয়ে হয়ে গেছে, মার্কেট পড়ে গেছে, তাই তরুণদের রুচির জন্য নয়া স্বাদের কেক তৈরি প্রয়োজন। নানা কথার জালে এই আসল কথাটাই তিনি বলতে চান।

কেক জমা দেয়ার নীতিমালার একটা কাগজ আমার হাতে আসে। শার্পির কনফেকশন নীতি মেনে কেক বানাতে হবে। জমা দিতে হবে এক মাস পর। পুরস্কার: দুই মিলিয়ন ইয়েন। যদি আমি এই দুই মিলিয়ন পাই তবে বান্ধবীকে বিয়ে করে নতুন ফ্ল্যাটে উঠতে পারবো। সব ভেবে নতুন শার্পি কেক বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।

কনফেকশনের নীতি নিয়ে কিছুটা ভাবছিলাম। আমি যেকোনো কিছু দিয়ে যেকোনো ধরণের
কেক বানাতে পারি: বিন জ্যাম, ক্রিম ফিলিংস, পাই ক্রাস্ট। এক মাসের মধ্যে শার্পি টাইপের কেক বানানো খুব একটা কঠিন কাজ নয়। জমা দেয়ার দিন আমি দুই ডজন নয়া শার্পি কেক বানিয়ে কোম্পানির অভ্যর্থনা ডেস্কে জমা দেই।

‘কেকগুলো দেখতে খুব সুন্দর।’ কাউন্টারের মেয়েটা জানায়।

‘হ্যাঁ।’ আমিও মাথা নাড়ি।

-----

এক মাস পর শার্পি কোম্পানি থেকে আমার কাছে একটা ফোন আসে। পরের দিন তাদের অফিসে যেতে বলে। সেদিন আমি গলায় একটা টাই চড়াই। অভ্যর্থনা কক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপেক্ষা করছিলেন।

‘আপনার কেকগুলো আমাদের স্টাফরা খুব পছন্দ করেছে। বিশেষত তরুণ স্টাফেরা।’

‘শুনে খুব খুশি হলাম।’

‘অন্যদিকে আমাদের পুরানো কর্মচারীরা –কিভাবে বলি কথাটা- বলছে আপনার বানানো কেকটা ঠিক শার্পি কেক নয়। সবমিলিয়ে বেশ একটা বিতর্ক চলছে।’

‘ও আচ্ছা।’ আমি একটু অবাক হওয়ার ভান করি।

‘শেষ পর্যন্ত আমাদের পরিচালকদের বোর্ড ফলাফলের ভার ছেড়ে দিয়েছেন পবিত্র শার্পি কাকদের ওপরে।’

‘মানে?’ আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি, ‘এই শার্পি কাকের মানে কী?’

পরিচালক আমার দিকে অবাক হয়ে তাকান। ‘আপনি বলতে চাইছেন শার্পি কাকদের সম্পর্কে না জেনে আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন?’

‘দুঃখিত। আমি আসলে একটু নিজের জগতে থাকি।’

‘ভয়ঙ্কর কথা। আপনি শার্পি কাকদের কথা না জানলে …’ উনি থেমে বলেন, ‘যাই হোক। আমার সাথে আসেন।’

আমি পরিচালক মহোদয়কে অনুসরণ করি। হল থেকে বেরিয়ে লিফটে ছয় তলা, তারপর অন্য একটা হল পেরিয়ে শেষে একটা বিশাল লোহার দরজা। পরিচালক একটা বাটন পুশ করতে গার্ড হাজির হয়ে যায়। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পরিচয় জানানো শেষে দরজা খোলা হয়। চারদিকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।

‘এখানেই আমাদের পবিত্র শার্পি কাকেরা থাকে। এরা একটা বিশেষ প্রজাতির কাক। কয়েকশ বছর ধরে কেবল শার্পি কেক খেয়েই এরা বেঁচে আছে।’

আর কোন বর্ণনার দরকার ছিল না। গুহার মতো কক্ষে প্রায় শ’খানেক কাক। পনের ফিটের মতো সিলিং। দেয়ালের এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত লম্বা লম্বা পোল। সেখানে কাকগুলো বসে আছে। সাধারণ কাকের চেয়ে এরা আকারে বেশ বড়। লম্বায় প্রায় তিন ফুট। কমবয়সিগুলো লম্বায় দুই ফুটের মতো। আমি খেয়াল করলাম- এদের চোখ নেই। চোখের জায়গায় সাদা চর্বির দলা। শরীর ফুলে বেঢপ হয়ে ফেটে পড়তে চাইছে।

আমাদের ঢোকার আওয়াজ পেয়ে কাকগুলো পাখা নাড়িয়ে শব্দ করতে আরম্ভ করে। প্রথমে মনে হচ্ছিল অর্থহীন কোন আওয়াজ। পরে ভালো করে খেয়াল করে দেখি এরা ‘শার্পি, শার্পি’ করে শব্দ করছে। এসব দেখে আমার আতংক বেড়ে যায়।

পরিচালক একটা বাক্স থেকে কিছু শার্পি কেক সেখানকার মেঝেতে ছড়িয়ে দেন। শ খানেক পাখি হুড়াহুড়ি করে একসাথে মেঝেতে নামতে যায়। কেকের কাছে পৌঁছানোর জন্য তারা একে অন্যের চোখে পায়ে ঠোকর দিতে থাকে। চোখ যে কারো নেই সেটা খেয়ালের দরকার মনে করে না।

পরিচালক এবার শার্পি কেকের মতো দেখতে কিছু কেকের বাক্স খুললেন। বললেন, ‘ভালো করে খেয়াল করুন। এই কেক প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে।’ সেই কেকগুলো এবার মেঝেতে ছড়িয়ে দেন।

আগের মতোই সব কাক একসাথে হুড়াহুড়ি করতে যায়। একটু পড়ে তারা বুঝতে পারে এগুলো শার্পি কেক নয়। মুখ থেকে উগরে দিয়ে তারা জোরে আতর্নাদ শুরু করে।

শার্পি!
শার্পি!
শার্পি!

ধ্বনি প্রতিধ্বনি করে এইসব আওয়াজ আমার কানে আঘাত করে।

‘দেখলেন। এরা কেবল খাঁটি শার্পি খাবে। দেখতে একই হলেও এসব নকল কেক খাবে না।’ বলতে গিয়ে পরিচালকের মুখ উজ্জ্বল হয়।

শার্পি!
শার্পি!
শার্পি!

‘এবার আপনারগুলো দেই। যদি এরা খায় তবে আপনি জিতবেন। নাহলে হার।’

আমার মনে হতে থাকে এসব কোনো কাজে দিবে না। এইসব গাধা কাকদের দিয়ে প্রতিযোগিতার ফলাফল তৈরি করা কখনোই উচিত নয়। আমার মনের মধ্যের এসব কথাবার্তা পরিচালক কিছু বুঝতে পারেন না। তিনি আমার তৈরি করা কেকগুলো ছড়াতে থাকেন খুব দ্রুতগতিতে। কাকগুলো আগের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে।কিছু কিছু কাক একটু করে কামড় দিয়ে খায়। অন্য কিছু কাক উগরে দিয়ে ‘শার্পি,শার্পি’ করে চেঁচাতে থাকে। অন্যগুলো কেকের কাছে পৌঁছাতে না পেরে যারা খাচ্ছে তাদের আক্রমণ করে। একটা কাক কেক খেলে অন্যটা মুখ থেকে বের করে ফেলে দেয়। অপর কোন কাক ‘শার্পি শার্পি’ বলতে বলতে প্রথম কাকের পাকস্থলিতে জোরে ঠোকর দেয়। রক্তের বদলে রক্ত, উন্মত্ততার পরিবর্তে ক্রোধান্ধতা। কিছু মিষ্টি খাবারের জন্য এসব চলতে থাকে, অথচ পাখিগুলোর জন্য এই কেক মাত্রেই সবকিছু। শার্পি নাকি শার্পি নয় এটার ওপরেই তাদের জীবন মৃত্যু নির্ভর করে।

‘দেখেন আপনি কি করেছেন। হঠাৎ করে একসাথে সব কেক এদের সামনে ফেলে কি ভয়ংকর ঘটনা আপনি করলেন!’ আমি পরিচালককে বলে ফেলি।

আমি নিজে থেকেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। লিফট করে নিচে নামি। শার্পি কেকের বিল্ডিং থেকে বের হয়ে আসি। দুই মিলিয়ন ইয়েন হারানোর জন্য কষ্ট হচ্ছে, তবে এই ভয়ানক কাকের সান্নিধ্যে বাকি জীবন কাটানোর কোনো ইচ্ছা আমার নেই।

এখন থেকে আমার মনে যা চাই সেই ধরণের খাবার আমি রান্না করব, খাব। আর গর্দভ শার্পি কাকেরা নিজেদের ঠুকরে ঠুকরে মারুক গে।

সূত্র

Blind Willow, Sleeping Woman
Twenty-Four Stories
Haruki Murakami
Alfred A. Knolf
New York
2006


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ওরে দারুন গল্প রে!

একটানে পড়লাম শুভাশীষ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তুলিরেখা এর ছবি

দারুণ গল্প।
খুব বাঁচা বেঁচে গেছেন ভদ্রলোক, কাকের মুখে পড়তে পড়তে বেঁচে গেছে রে। হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চমৎকার ...

হারুকি মুরাকামি'র আরেকটা সুন্দর গল্প পড়েছিলাম শাহাদুজ্জামানের অনুবাদে। "অন্ধ উইলো এবং ঘুমিয়ে পড়া মেয়ে"...

তবে এইটা বেশি ভালো লাগলো...

_________________________________________

সেরিওজা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

শাহাদুজ্জামানের অনুবাদ পড়া হয় নাই।

হারাকু মুরাকামির গল্পের দিলওয়ারের করা দুইটা অনুবাদ আর শিবব্রত বর্মনের একটা অনুবাদ অনলাইনে পাওয়া যায়। ঐগুলো পড়েছি।

মুরাকামির এক গাদা বই সংগ্রহ করলাম। এক নাগাড়ে পড়ছি। হাসি

-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দারুণ

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

C'est genial!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

ওডিন এর ছবি

ওহ!

দারুণ!
দারুণ!!

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

কৌস্তুভ এর ছবি

জটিল গল্প। অনুবাদ চমৎকার হয়েছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশ মজার।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মন্তব্যকারীদের সবাইকে ধন্যবাদ।

আজকে মুরাকামির আরেকটা গল্পের অনুবাদ ধর্লাম। দা কিডনি-সেপড্‌ স্টোন দ্যাট মুভস্‌ এভরি ডে।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

বইখাতা এর ছবি

খুবই চমৎকার একটা গল্প অনুবাদের জন্য ধন্যবাদ। অনুবাদ চমৎকার হয়েছে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সুরঞ্জনা এর ছবি

আজকে মূল লেখাটা [মানে ইংরেজি অনুবাদটা] পড়ে চেনা চেনা ঠেকলো। খুঁজে দেখলাম আপনার অনুবাদ আগে পড়েছি। হাসি
অনুবাদ ভাল হয়েছে স্যার। দেঁতো হাসি
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।