নোলানের ইন্‌সেপ্‌সান

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৭/২০১০ - ৭:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্রিস্টোফার নোলানের ‘মেমেন্টো’ দেখেছি অনেকদিন আগে। তাঁর ভাই জোনাথনের একটা ছোটোগল্প থেকে এই সিনেমার স্ক্রিপ্ট তৈরি হয়। বলিউড এটার রিমেক করে ‘গাজনি’ নাম দিয়ে। নোলানের ‘দা ডার্ক নাইট’ দেখেও ভালো লেগেছিল। হিথ লেজারের মৃত্যু হওয়ায় সিনেমাটা দেখার সময় একটা অন্য মাত্রা যোগ হয়।

নোলানের সাম্প্রতিক সিনেমা ‘ইন্‌সেপ্‌সান’। এই সিনেমা হলে গিয়ে দেখার আগের দিন দেখলাম তাঁর ‘দা প্রেস্টিজ’। আগের রাতে প্রেস্টিজ দেখার ফল কীনা কে জানে, সিনেমাটা আগাগোড়া আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে নি। এখন সিনেমা দেখার আগে মানুষ রোটেন টমেটো বা অন্যান্য রিভিয়্যু দেখে রেটিং বুঝে নেন। ক্রিটিকদের রেটিং-র একটা পরোক্ষ প্রভাব তখন অচেতনে কাজ করে। নাইট শ্যামালানের সিনেমাগুলো ক্রিটিকদের তোপে পড়ে মার্কেট করতে পারছে না বেশ কিছু বছর। চল্লিশ মিলিয়ন ডলার খরচ করে আরেক ভারতীয় নির্মাতা মীরা নায়ার বানিয়েছেন ‘এমেলিয়া'। খরচের অর্ধেক টাকা এখনো পর্যন্ত উঠে আসেনি। এসব ঘাঁটতে গিয়ে একটা কমেন্ট চোখে পড়েছিল। স্মেলি ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো কাজ আশা করা যায় না। হায় রেসিজম!

auto

সিনেমায় যাই। লুসিড স্বপ্নবাজদের নিয়ে সিনেমার কাহিনী। ডমিনিক কব(ডিক্যাপ্রিও) একজন এক্সট্র্যাকটর। সে অন্যদের স্বপ্নে ঢুকে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এনে দেয়। এই স্বপ্নের জগতে ঢোকার জন্য তার প্রয়োজন হয় একজন আর্কিটেক্টের। অন্যদের স্বপ্নে ঢুকে পড়ে সেটার পুরো নির্মাণ করার মূল কাজটা কব আর তার দলের। পুরানো আর্কিটেক্ট একটা ঝামেলা পাকানোয় নতুন একজন আর্কিটেক্ট নেয়া হয়। সে জেনে ফেলে কবের সাবকনশাস জগতে একটা অতি গোপন কুঠুরি আছে যেটার কথা দলের লোকেরা জানে না। সিনেমা এগোলে এসব দর্শকের কাছে পরিষ্কার হয়। নোলান কিছু একটা হরর টাইপ সিনেমা বানানোর জন্য স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট অতো বুঝি না। তবে যা দেখেছি যথেষ্ট ভালো। মাইক্রোবাস পড়ার দীর্ঘ সময়টা জি মানছিল না। যদিও ব্যাখ্যা সারা হয়েছে রিয়েল টাইম অনেক ধীরে যায়- স্বপ্নের চেয়ে। বারবার সোনালি চুলের বাচ্চা দুটোর পিছনের দিক দেখানো হয়েছে। গোনা শুরু করেছিলাম। ছয়বার পর্যন্ত গুণে আর গুণি নাই। স্বপ্নে পুনরাবৃত্তি থাকে। সেটার প্রতিফলন। ফ্রয়েডকে আরো একটু সাথে নিতে পারতেন নোলান। নেন নাই। ক্রিয়েটিভ লোকজন দর্শনে বেশিক্ষণ মজে না। স্বপ্নে এক লেয়ার থেকে অন্য লেয়ারে যাওয়া আর কিক এই দুইটা ব্যাপার বেশ আকর্ষক। সিনেমার মিউজিক্যাল স্কোর খুবই ভালো। করেছেন হ্যানস জিমার। নোলানের একটা ব্যাপার হলিয়ুডের ভালো নির্মাতাদের সাথে যায়। একই অভিনেতাকে পরপর অনেক ছবিতে নেয়া। মাইকেল কেইনকে এই নিয়ে চারটি সিনেমায় নিয়েছেন। ব্যাটম্যানের পরের সিক্যুয়েলে ও তাঁকে নিচ্ছেন। তাইওয়ানি নির্মাতা সাই মিং লিয়াং অবশ্য এইক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যতিক্রমী। তাঁর সব চলচ্চিত্রের প্রোট্যাগনিস্ট চরিত্রে থাকেন লিং ক্যাং-সেং।

ভালো নির্মাতারা মানুষ সাব-কনসাস আর আনকনসাস মানে স্বপ্ন নিয়ে অনেক নাড়াচাড়া করেন। ফ্রয়েডের তত্ত্ব সিনেমা নির্মাতাদের কাছে দীর্ঘসময় ধরে আগ্রহের বিষয়। বুনুয়েল, তারকোভস্কি, আইজেনস্টাইন, ব্রেঁসো, ফেলিনি এইসব গুরুস্থানীয়রা ছাড়াও অজস্র নির্মাতা স্বপ্নের স্যুরলিয়ালিজমকে ক্যামেরায় আনতে চেয়েছেন। ফ্রয়েড আর লাঁকা এদের সাথে স্যুসুরের দর্শনে আগ্রহ থাকলে লাঁকা দিয়ে শুরু করতে ভালো। লাঁকা পড়তে গেলে কিছুটা বোঝা যায়, পরে গাণিতিক সমীকরণ আর রেটোরিক্যাল প্রাচুর্যে দিশাহারা হওয়া প্রায় বাধ্যতামূলক। ডেভিড লিঞ্চ সেখানে সাহায্যের হাত বাড়ান। নোলানকে সেই জায়গায় পাওয়া যায় না। স্বপ্নের এনাটমি ফ্রয়েডের এলাকা। ‘ইন্‌সেপ্‌সান’ তো আগাগোড়াই স্বপ্ন নিয়ে। সেই সিনেমার একটা দৃশ্যের ব্যবচ্ছেদ (নোলানের কণ্ঠে) শোনা যায় নিয়্যুর্ক টাইমসে।

শেষে এটা বলি, হলিয়ুডের নির্মাতাদের মধ্যে নোলানের কাজ ভালো। বেশ ভালো।

----

ক্যামেরনের অবতার


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

সিনেমাটা খারাপ লাগে নি। অনেক মন্তব্য শুনেছিলাম যে বোঝা দুষ্কর, তাই আগে থেকে আইএমডিবির সিনপসিস পড়ে গেছিলাম। যেটুকু দেখানো হল সেটুকু বুঝতে তাই তেমন সমস্যা হয় নি, ব্যাখ্যাটা নোলান আপ রুচি খানার উপর ছেড়ে দিয়েছেন।

একটা প্রশ্ন করি - এই রিভিউটা 'র‌্যাম্বলিং' এর মত মনে হল, কেমন টুকরো টুকরো, সেটা কি এমন জটিল একটা সিনেমা দেখার ফল? হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

না। সিনেমা নিয়ে আমার লেখাগুলো এই টাইপের হয়ে যায়। মন খারাপ

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

রাজনীতি নিয়ে লেখাটা কোথায় শুভাদা? কী কী যেন ভেবে রাখছিলাম। ফেইসবুকে লেখা হয়নি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

লেখাটা আরো এডিট করে পরে পোস্টাবো।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আশি টাকা দিয়ে "অ্যামেলিয়া"র ডিভিডি কিনেছিলাম। দেখতে গিয়ে বহু কষ্টে চোখ খোলা রাখতে হয়েছে। এটাকে আমার কোন ফিল্ম বলে মনে হয়নি, ডকু-ফিকশ্‌ন বা ডকুমেন্টারি না, এক্সপেরিমেন্টাল মুভিও না। আমার সময় যা নষ্ট হয়েছে সেতো অমূল্য তার সাথে আশি টাকাও জলে গেছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঐ সিনেমা এখনো দেখি নাই।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

না দেখলে কোন ক্ষতি হবে বলে মন এ হয়না। বরং সময় বেঁচে যেতে পারে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

আপনি কি এইটারhttp://www.imdb.com/title/tt0211915/ কথা বলতেছেন? এইটা আমার সবচেয়ে প্রিয় ছবি গুলার একটা! অনেকেরেই এই ছবি প্রিয়! নিশ্চয় আপনার সাথে মতে মিল না হলে সেইটা ফিল্ম না বলে গণ্য হবে না!
---------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

দ্রোহী এর ছবি

উহু, ওইটা ক্লাসিক। উনি মীরা নায়ারের অ্যামেলিয়ার কথা বলতেছেন।


কি মাঝি, ডরাইলা?

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

ওহ!! ভুল হয়ে গেলো! অ্যামেলিয়া দেখি নাই! অবশ্য রেটিং দেখে দেখার ইচ্ছাও নাই!
---------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

Adnan এর ছবি

লেখক এর এই আলগা বুদ্ধিজীবি ভাব তি ভাল লাগ্ ল না !

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ভালো বলছেন। আমার সিনেমা রিভিয়্যুগুলোতে আলগা বুদ্ধিজীবী ভাব প্রবল। তার ওপর স্বপ্ন নিয়ে নানান বুদ্ধিজীবী আর দার্শনিকেরা কথার পর কথা ফেঁদেছেন। ফলে অন্য কথা এদিক ওদিক দিয়ে ঢুকে পড়ে। চিন্তিত

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পলিটিকাল কারণে ডার্ক নাইট আমার ভাল্লাগে নাই। নোলান নমস্য মেকার। সন্দেহ নাই।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

পলিটিকাল কারন বলতে? স্রেফ কৌতুহল, কিছু মনে করবেন না হাসি

হাম্মাদ আলি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অনিন্দ্য,

একটু ব্যাখ্যা করতে পারেন।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ডার্ক নাইট, যখন দেখসিলাম তখন একটা কিছু মনে হইসিল। তাই তখন তখনই ভালো লাগে নাই। নোট রাখার অভ্যাস ছিল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছি না। তবে স্পাইডারম্যান নিয়া আমার ৩ বছর পুরান একটা লেখা (ইংরেজি লেখায় হাত মকশো করতেসিলাম তখন, সিরিয়াসলি কিছু না) দেখতে পারেন। কিছুটা প্রাসঙ্গিক হয়ত মনে হবে।

হাইপার লিঙ্ক কালা হয়া আছে .. খুঁইজা নিয়েন মন খারাপ
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সুপারহিরো কথাটাই তো গিয়াঞ্জামে ভরা।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

দ্রোহী এর ছবি

হ! প্যান্টের উপরে জাঙিয়া!


কি মাঝি, ডরাইলা?

কনফুসিয়াস এর ছবি

সিনেমাটা আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। অনেকগুলো কারণ আছে হয়তো, যেমন, মুভি দেখতে গেলে আমি তার আগে কোন রিভিউ পড়ি না, এমনকি সিনপসিসও না। শুধু ট্রেলার দেখি। নোলানের এমনিতেই ব্যাপক পাংখা আমি, এই ছবিটাও, যতক্ষণ দেখছিলাম, এবং দেখার পরেও অনেক্ষণ সাংঘাতিক টেনশানে রাখতে পেরেছে।
আপনার লেখা থেকে একটা লাইন,

মাইক্রোবাস পড়ার দীর্ঘ সময়টা জি মানছিল না।

জি- তো মানছিলো অবশ্যই, এ জন্যেই ওটা নিচের দিকে পড়ছিলো। আর স্লোমোশানে দেখানোর কারণ তো স্বপ্নের অন্য লেভেলগুলোর রেফারেন্স হিসেবে, তাই না?
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অন্য লেয়ারগুলোর সাথে তাল রেখে ঐভাবে দেখানো ছাড়া উপায় ছিল না। সেটা ঠিক। হলিয়ুড যেহেতু, আনকন্সাস নিয়ে ডিটেইলে যাবে না। চারটা লেয়ার (ঠিকঠাক গুণেছি কীনা কে জানে) একসাথে দেখানো ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

কিন্তু শুরুতেই কিন্তু ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, বাস্তবের এক মুহূর্ত স্বপ্নে দীর্ঘ সময়... স্বপ্নের লেয়ারে তা আরো দীর্ঘ।
বাসটা পড়ছিল ঠিক বেগেই... কিন্তু ওইটুকু সময়তো স্বপ্নের ৩/৪ লেয়ারে অনেক সময়। ওই লেয়ারের কাহিনী ক্যামেরার সাধারন বেগে দেখালে তো দ্বিতীয় লেয়ার স্লো-মো হবারই কথা।
-----------
চর্যাপদ

-----------
চর্যাপদ

দ্রোহী এর ছবি

আগামী মঙ্গল/বুধবারে দেখতে যাব। আইম্যাক্সে। হাসি


কি মাঝি, ডরাইলা?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ্যাঁ। দেখতে যান।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

রেজওয়ান এর ছবি

মাইক্রোবাস পড়ার দীর্ঘ সময়টা জি মানছিল না।

জি- তো মানছিলো অবশ্যই, এ জন্যেই ওটা নিচের দিকে পড়ছিলো। আর স্লোমোশানে দেখানোর কারণ তো স্বপ্নের অন্য লেভেলগুলোর রেফারেন্স হিসেবে, তাই না?

স্বপ্নের স্তরগুলোতে সময়গুলোর ধারণা এরকম ছিল (আন্দাজে বলছি) - বাস্তবে ১০ মিনিট হলে প্রথম স্তরে ১০ ঘন্টা, দ্বিতীয় স্তরে ১ সপ্তাহ, তৃতীয় স্তরে ১ বছর, চতুর্থ স্তরে ১০ বছর এরকম কিছু একটা। কাজেই মাইক্রোবাসটি পড়ার সময় অন্যান্য স্তরে এই আন্দাজে সময় ব্যয় হতে থাকে। বিভিন্ন স্তর একসাথে দেখানোর ফলে মাঝে মধ্যে সময় জ্ঞান আউলিয়ে যায় দর্শকদের - এটি পরিচালকের ইচ্ছাকৃত কিনা ভেবে দেখার বিষয়।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বিভিন্ন স্তর একসাথে দেখানোর ফলে মাঝে মধ্যে সময় জ্ঞান আউলিয়ে যায় দর্শকদের - এটি পরিচালকের ইচ্ছাকৃত কিনা ভেবে দেখার বিষয়।

লেয়ারগুলোর মধ্যে সময়ের আন্তঃসম্পর্ক বোঝানোর জন্য এটা না করে তাঁর উপায় ছিল না। মাইক্রোবাস পড়ছিল আমরা জানি। লেয়ার টপকে টপকে চতুর্থ লেয়ারে পৌঁছানো হয়েছে। প্রথম স্তরে সময় অনেক বেশি মনে হবে। পড়ার স্লোমোশান দেখানো না হলেও দর্শকের মাথায় জিনিসটা থাকার কথা। এই আনকন্সাস হলিইয়ুডি সিনেমায় কম আসে।

এখন আবার বলবেন, স্লোমোশানে দেখিয়েছে, তাও বোঝেন নাই। ঝপাৎ করে পড়লে কি যে বলতেন!

যাই হোক। সিনেমা দেখার পর এটা আমার নিজের কথা শেয়ার করা। আর কিছু না।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

রানা মেহের এর ছবি

পরপর দুটো শো র টিকেট পাইনি।
তিন নাম্বারটা পেয়েছি একদম শেষ মুহুর্তে।
সিনেমাটা চরম না লাগলে কী কষ্ট যে লাগতো।

তবে আমার কাছে মনে হয়েছে চরিত্র বেশি। আর সব চরিত্রকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে কাহিনী একটু মার খেয়ে গেছে।

ডি ক্যাপ্রিওর ব্উ (নাম ভুলে গেছি) কে এরকম আশির দশকের মদিরাময়ী টাইপ কেন দেখানো তাও হলো বুঝতে পারিনি। তবে তার অভিনয় ভালো লেগেছে।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ভালো বলছেন। উনারে আশির দশকের মদিরাময়ী টাইপ করছে ক্যান সেটা জানি না।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

রানা মেহের এর ছবি

শাটার আইল্যান্ড দেখেছিলেন?
কোন মিল হয়তো নেই তবু ইনসেপশন দেখতে গিয়ে এর কথা মনে হচ্ছিলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

দুর্দান্ত একটা সিনামা ....
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঐটা ও হলে গিয়ে দেখছি।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

স্পর্শ এর ছবি

জাস্ট হাটতে হাটতে সিনেপ্লেক্সের কাছে চলে যাওয়ার পরে। সাইন্সফিখশন টাইপ পোস্টার দেখে ভাবলাম সময় কাটানো যেতে পারে হয়তো এই মুভিটা দেখে। অন্যগুলো সব ছিলো চাইনিজ মুভি। আর আনিমেশন, যেগুলো দেখা। তখনও ইনসেপশনের ট্রেলারও দেখিনি, নামও শুনএছি ঐ তখনই। কার যে বানানো সেটাও জানতাম না।

কিন্তু মুভি দেখে পুরা 'ডাম্বস্টাক' হয়ে বসে ছিলাম। অনেক সময় লেগেছে ঘোর কাটতে। তখন দেখি এইটা নোলান মিয়ার বানানো!!!
তাই আমার রিয়াকশনটা হচ্ছে সব ধরণের 'নোলান ফ্যাক্টর' এবং 'রিভিউ ফ্যাক্টর' মুক্ত। দেঁতো হাসি

মুভিটা সফল। উত্তম জাঝা!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

তাইলে তো বিশাল আবিষ্কার। হাসি

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমাদের দেখতে নূন্যতম দেড়মাস এখনো...

নোলানের সেরা ছবি আমার মতে 'দা প্রেস্টিজ'। "ডার্ক নাইট" আর "মেমেন্টো"ও মন্দ লাগেনি। "ফলোয়িং" নামে একটা ছবি আছে নোলানের, কম বাজেটের- স্বল্প দৈর্ঘ্যের; কিন্তু নোলানের আধুনিক হিচককগিরি'র একটা নমুনা ঐ ছবিতে পাওয়া যায়।...

_________________________________________

সেরিওজা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ফলোয়িং দেখি নাই।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি মুভিটা দেখতে গেছি শুধুমাত্র ডি ক্যাপ্রিও এর জন্য (ওরে আমার বিশেষ পছন্দ), নোলানের কিনা জানতাম না, যদিও নোলানের মেমেন্টো আর ডার্ক নাইট দেখেছি এবং ভালোও লেগেছে। ছবিটা দেখার পরেও অনেকক্ষন লেগেছে কি হইছে সেটা বুঝতে। আর অভিনয়ও ফাটাফাটি হইছে। ছবিটার ভিজুয়ালাইজেশনও চমৎকার।
আপনার রিভিউটা ভালো লেগেছে, যদিও একটু খাপছাড়া মনে হইছে।

পাগল মন

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অমিত এর ছবি

" নোলান কিছু একটা হরর টাইপ সিনেমা বানানোর জন্য স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। "

ইনসেপশন কি করে আপনার হরর মুভি টাইপ মনে হল ?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমার হরর সিনেমা মনে হইছে বলি নাই তো। একটা ইন্টারভিউতে নোলান সাহেব বলছেন। এখানে ছয় নম্বর প্যারায় পাবেন।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

তাসনীম এর ছবি

দেখি নাই কিন্তু অচিরেই দেখার ইচ্ছে আছে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ্যাঁ। দেখে ফেলেন তাড়াতাড়ি।

-------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

১. ম্যাট্রিক্স ছবিটা দেখার পর অনেকেই বুঝে নাই। ঢিসুম ঢিসুম দেখেই মজা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। এই ছবিতেও অনেকের তাই হচ্ছে। কিন্তু ছবি নিয়ে যারা লিখে, তাদের তো অন্তত বোঝা উচিত। কেন যে হলিউডি লেখকরা "ব্যাখ্যা করা সম্ভব না" বলে ধুয়া তুললো, বুঝলাম না! আপনি ছবি পর্যালোচনার সিরিজটা চালিয়ে যান। অনেক ভালো হচ্ছে।

২. সিম্পসন কার্টুনের একটি চমৎকার সমাধান আছে। এর একটা কাহিনী আছে, যেটা যে কেউ দেখেই বুঝবে। কিন্তু যে আমেরিকার ইতিহাস-রাজনীতি বেশি জানে, সে আরো অনেক বেশি মজা পাবে, কারন পুরো সিম্পসন জুড়ে তাদের কৌতুককর রেফরেন্স থাকে। বুঝলে অতি মজা, না বুঝলেও চলে। ইন্সেপশন ঠিক এমন। ফ্রয়েড বা অন্যান্য স্বপ্ন-বিশ্লেষণ জানলে মহা আনন্দ, না জানলেও চলে। তবে টাকা দিয়ে ছবি দেখলে পুরো আনন্দই নেয়া উচিত।

৩. ছবির কিছু কিছু কনসেপ্ট অনেক ভালো... যেমন- পড়ে যাবার কিকটা। শেষ দৃশ্যের সাসপেন্সটা অনবদ্য।
-----------
চর্যাপদ

-----------
চর্যাপদ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

১। সিনেমা বহিরঙ্গে বুঝতে চাইলে কী আর করবেন।

২। একটা সিনেমা এক একজন এক একভাবে বুঝে নিলে অসুবিধা নাই। দা ইন্‌ক্রেডিবলস্‌ সাদা চোখে দেখতে ভালোই লাগে। কিন্তু অন্তরঙ্গে এর কাহিনী অন্য। আপনার মধ্যে পরিশ্রম, তাগিদ এইসব থাকলেই আপনি সুপারহিরো হতে পারবেন না। সুপার হিরো হয়ে আপনাকে জন্মাতে হবে। সিনেমাটার মূল পাঠ সেখানেই। প্রতিভা বা আভিজাত্য নিয়ে গলাবাজি যাঁরা করেন তেনারা সুপার হিরোর পূজা সারেন।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

স্পর্শ এর ছবি

একই ঘটনা 'কুংফু পান্ডা' আনিমেশন মুভিটাতেও। এমনিতেই চলচ্চিত্রের সামাজিক প্রভাব বেশি। তার উপর আনিমেশন হিট করে সরাসরি সমাজের কঁচি অংশে। তাই এই ব্যাপারগুলো হতাশ করে মাঝে মাঝে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ফেসবুকে আগে পড়ছিলাম। ছবি দেইখা লই, তারপর মন্তব্য
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আইচ্ছা।

-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই উইকএন্ডে দেখার ইচ্ছা আছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অক্কে।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

দুর্দান্ত এর ছবি

গ্রীষ্মে বেবীসিটারের অভাব। কোন উইকেন্ডে একটারে সাইজ করতে পারলেই দেখে ফেলবো।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

তবে দেইখা আইসা আমার রিভিয়্যুরে একটু সাইজ কইরেন।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ফাহিম এর ছবি

সিনেমা হলে গিয়ে জার্মান ভাষায় দেখে পোষায় না। দেখি, ব্লু রে তে রিলিজ হোক। অ্যামাজনে দেখলাম নভেম্বরে রিলিজ দেবে। তখনই দেখবো না হয়।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঠিকাছে। হাসি

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

দ্রোহী এর ছবি

আরেকটা আইতাছে! নাম The Expendables। ১২ আগস্ট মুক্তি পাইতেছে!

অভিনয় শিল্পীদের তালিকা দ্যাখেন একবার। নির্ঘাত ডরাইবেন!

অতি সন্ন্যাসীতে সবসময়ই গাঁজন নষ্ট হয়। দেখা যাক The Expendables এর ক্ষেত্রেও এই প্রবচন সত্য হয় কি না।


কি মাঝি, ডরাইলা?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

" এ টিম " দেকছেন নাকি বস ?? পচুর বিনোদন...

_________________________________________

সেরিওজা

স্পর্শ এর ছবি

এ টিম দেখিনাই। মজা নাকি? ঠিক কইরা কঊ তাইলে দেইখা ফালাই।

এক্সপেন্ডেবল এর ট্রেলার দেখে মনে হলো, সবাই তার 'চাইল্ডহুড হিরো' র‌্যাম্বোর সাথে অভিনয় করার চান্স পেয়ে এক কথায় রাজি হয়ে গেছে চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হেহে, এই ছবির আগামাথা নাই... আপাদমস্তক খালি একশন আর একশন...

হাফটাইম মুভি(উভয়ার্থেই)। ছোটবেলার এ টিমের সাথে মিলাইতে গেলে বিশাল হতাশ হবেন...

_________________________________________

সেরিওজা

দ্রোহী এর ছবি

"এ টিম" দেক্সি। জনপ্রতি সাড়ে সতেরো টাকা নগদে লস।

১০ এর মধ্যে ২.৫ দিসি।


কি মাঝি, ডরাইলা?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এখনো দেখি নাই। ছোটকালে দা এটিমের ফ্যান আছিলাম।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

দ্রোহী এর ছবি

তাইলে আর দেখে ছোটবেলার ভালোবাসাটুকু নষ্ট কইরেন না।


কি মাঝি, ডরাইলা?

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

auto

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পোস্টারটা দেখি মারাত্মক। সব ফকফকা।

আপনাকে ধন্যবাদ।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খালি আপনের ব্লগটা পড়লাম। আজকে ইনসেপশন দেখতে যাওয়ার আগে ধারণা কেবল এইটুকুই। সিনোপ্সিস পড়ার কথা থাকলেও পড়বো না। একেবারে খালি মাথা নিয়ে গিয়ে নোলানের নোলক নাচানি দেখে আসি। তারপর বুঝামু নি মজা! খালি মাথায় প্যাচঘোচ লাগলেই হৈছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দেইখা আইয়া কইয়েন কেমুন লাগছে।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।