অঙ্কে মাথা ভালো ছেলেটার। ইন্টার পাস করে ভালো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়। সিজিপিএ ভালো রাখার জন্য খেটে পড়তে থাকে। শেষের দিকে সিজিপিএ আর হেলে না পড়ার সম্ভাবনা দেখে ইংলিশ মিডিয়ামের এক ছাত্রী পড়ানো ধরে। ছাত্রী তার স্যারকে খুব পছন্দ করে। ছাত্রীর মা একটা কলেজে ইংরেজির শিক্ষক। বাবার একটা গার্মেন্টস্ আছে। পড়াচ্ছে প্রায় মাস ছয়েক হয়ে গেছে অথচ ভদ্রলোকের সাথে কখনো দেখা হয়নি, এতো ব্যস্ত থাকেন। ছাত্রীর মায়ের সাথে প্রাইভেট টিউটরের দেহজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে কীভাবে যেন। এভাবেই চলছিল। একদিন সেই টিউটর মেয়েকে পড়ানোর সময় মেয়ের মা কেন যেন হঠাৎ করে ঘরে ঢুকে দেখেন নিজের মেয়ের ঠোঁট তার স্যারের ঠোঁটে সেঁটে আছে। অঙ্কে মাথা ভালো ছেলেটার টিউশনি যায়। ছাত্রীর মা উপযুক্ত শাস্তি দেয়ার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যোগাযোগ করে জানতে পারেন সেই ছেলে দেশ ছেড়ে উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডার উদ্দেশ্যে প্লেন ধরেছে দিন দুই আগে। = [নাদিন গর্ডিমারের Some are born to Sweet Delight নামের ছোটোগল্পের সংক্ষেপ] এক মধ্যবিত্ত ব্রিটিশ দম্পতির একজন মধ্যপ্রাচ্যের যুবককে সাবলেট দেয়। যুবক শান্ত, পড়ুয়া। সে তাদের মেয়ের সাথে ঘনিষ্ট হয়, তাকে গর্ভবতী করে, শেষে বিয়ে করতে চায়। তবে একটা শর্ত। বিয়ের আগে মেয়েটিকে একাকী ছেলেটার দেশে গিয়ে ঐ ছেলের বাবা-মার সাথে মোলাকাত করে আসতে হবে। মেয়েটাকে বিদেয় দেবার সময় ছেলেটা একটা ব্যাগে এয়ারপোর্টে যন্ত্রে ধরা পড়বে না এমন একটা প্লাস্টিকের শক্তিশালী বোমা দিয়ে দেয়। মধ্য আকাশে বিমান বিস্ফোরিত হয়। সবাই মারা যায়। মেয়েটাও। সাথে তার গর্ভের বাচ্চা। = [জন ম্যাক্সয়েল কূতসির Disgrace উপন্যাসের সংক্ষেপ] প্রফেসর লুরি ভার্সিটির এক ছাত্রীর সাথে শারীরিক সংসর্গ গড়ে তোলে। পরে সেটা জানাজানি হয়ে যায়। ফলে উনার চাকরি যায়। প্রফেসর দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর মেয়ের কাছে ফিরে আসেন। একদিন কিছু কালো যুবক লুরি ও তাঁর মেয়েকে তাঁদের বাসায় আক্রমণ করে বসে। মেয়েটাকে ধর্ষণ করা হয়। ওরা লুরির মেয়ের পোষা কুকুরগুলোকে একে একে গুলি করে মারে। লুরির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। কোনোমতে প্রফেসর প্রাণে বাঁচেন। পরে দেখা যায় তাঁর মেয়ের কালো প্রতিবেশীর এক আত্নীয় সেই ধর্ষণকারীদের মধ্যে একজন। প্রফেসর পুলিশের কাছে যেতে চাইলে মেয়ে রাজি হয় না। বাবাকে বাধা দেয়। কারণ তাকে সেখানে বসবাস করতে হবে। আপোশ করতে তার বাঁধে না। প্রফেসর বলে, লাইক আ ডগ। মেয়ে বলে,হ্যাঁ, লাইক আ ডগ।
মন্তব্য
=! +?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
তিনটার মধ্যেই একটা ট্রমাটিক ফেজ আছে।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
...তারপরেও
এরা সকলেই মানুষ...
মানুষ বলেই...
মানুষ বলেই অমানুষ হয়ে যেতে বাধে না।
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ডিসটার্বিং, বড়ই ডিসটার্বিং।
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
হরিবল!
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বল হরি!
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
জোশ তো!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্যাটার্ন!!
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
গল্পগুলোর মধ্যে শুধু নয়, প্রতিটা গল্পের মধ্যেই অনেক সমান চিহ্ন আছে।
০=০, এর মাঝে আরো অনেক হিসেবনিকেশ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
প্রথমে ভেবেছিলাম । ব্যবহার না করে = চিহ্ন দিয়ে গল্পটা লিখবো। এখানের প্রতিটা টুকরা লাইনই এক একটা গল্প। ০=০;
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
কি মাঝি, ডরাইলা?
ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ভাই আপনিতো রগরগে সব উপন্যাস পড়েন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নাদিন গর্ডিমারেরটা উপন্যাস না, ছোটোগল্প।
নাদিন গর্ডিমার ও কূতসির লেখা দুটোতে বর্ণবাদ চোখে পড়ে। মধ্যপ্রাচ্যের যুবক বোমাবাজ আর কৃষাঙ্গ ধর্ষণকারী। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে লেখাটায় বর্ণবাদ চোখে পড়ে না। সেটার কারণ অন্য।
লেখাগুলোয় পুরুষালি শৌভিনিজাম প্রকট। যা খোলাচোখে রগরগে।
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আমিও তাই ভাবতেসিলাম ... আর বর্ণের প্রশ্নের সাথে জেন্ডারটাও জড়িত ... ফানোর ব্ল্যাক স্কিন হোয়াইট মাস্কে বিস্তারিত আসে ...
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ফাঁনোরে নিয়ে সিরিজ করতে পারেন। যা যা বোঝেন।
-------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
গল্পগুলো ভয়াবহ, ভয়ংকর, দুর্বিষহ, এক কথায় ডিস্টার্বিং……কিন্তু বাস্তব ।
আপনার বর্নণা ভয়ংকর, দূর্দান্ত ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
এক্সট্রিমিস্ট।
-------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
নতুন মন্তব্য করুন