আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। পত্রিকা আর মিডিয়ার দৌলতে আর তার কথা বলার কুদরতির জন্য বুদ্ধিজীবী নিদেনপক্ষে ছদ্মবুদ্ধিজীবী হিসেবে ইদানীং প্রতিষ্ঠিত। প্রথম আলোতে উপসম্পাদকীয় বা খোলা কলামে তিনি কলাম লিখেন নিয়মিত। সমকালে ও লেখালেখি করেন। তিনি আওয়ামীপন্থী বা বিএনপিপন্থী কোনটাই নন - সেটার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে দৈনিক সমকালে [২ ফেব্রুয়ারি ২০১০] একটি ...
আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। পত্রিকা আর মিডিয়ার দৌলতে আর তার কথা বলার কুদরতির জন্য বুদ্ধিজীবী নিদেনপক্ষে ছদ্মবুদ্ধিজীবী হিসেবে ইদানীং প্রতিষ্ঠিত। প্রথম আলোতে উপসম্পাদকীয় বা খোলা কলামে তিনি কলাম লিখেন নিয়মিত। সমকালে ও লেখালেখি করেন। তিনি আওয়ামীপন্থী বা বিএনপিপন্থী কোনটাই নন - সেটার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে দৈনিক সমকালে [২ ফেব্রুয়ারি ২০১০] একটি কলাম লিখেন।
কিছু পাঠকের বদ্ধমূল ধারণা, আমি আওয়ামী লীগপন্থি নই, কাজেই অবশ্যই বিএনপিপন্থি। এটি যেন অবধারিত। হয় আওয়ামী লীগ, না হলে বিএনপি। মাঝামাঝি বা নিরপেক্ষ থাকার জো নেই কারও। জর্জ বুশের মানসিকতা এত সুদৃঢ়ভাবে আমাদের অনেকের চিন্তাচেতনাকে গ্রাস করেছে যে, অবাক হতে হয় মাঝে মাঝে। ... ১
আসিফ নজরুল হয়ত ইশারায় বলতে চেয়েছেন - জামায়াতে ইসলামী বলে একটা দল আছে। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। কেন লোকে তাঁকে সেই দলের লোক মনে করে না? একই কলামে তিনি বাংলা ব্লগকে আক্রমণ করেন।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় নতুন যুক্ত হয়েছে ব্লগ। ... একদিন একজন নিয়মিত পাঠক কিছু ব্লগের ঠিকানা দিয়ে পাঠান। সেখানে গিয়ে দেখি ভয়াবহ সব ব্যাপার। প্রধান দৈনিকগুলোর কিছু ব্লগের লেখা শালীন, যুক্তিপূর্ণ এবং সুচিন্তিত। কিন্তু অন্য অনেক ব্লগ আক্ষরিক অর্থেই বিকৃত মানুষের আখড়া। সেখানে এত জঘন্য ও ঘৃণ্য মন্তব্য লেখা হয় যে, তা পড়লে বুকের রক্ত হিম হয়ে যাবে যে কোনো সুস্থ মানুষের।
... আমার এই লেখা আসলে এসব ব্লগ নয়, বরং রুচিশীল ব্লগগুলো নিয়ে। এমন একটি ব্লগে আমার প্রতিটি লেখাই রাখা হয়। ... ২
রুচিশীল সেই ব্লগের নাম সোনার বাংলাদেশ। এই নিয়ে আর কথা না বাড়াই।
আসিফ নজরুল প্রথম আলোতে কলাম লিখেন ‘সময়চিত্র’ নামে। ‘অনেক কিছু বলতে মানা' [১২ মার্চ ২০১০] শিরোনামের কলামে প্রতিক্রিয়াশীল, পশ্চাত্পদ গোষ্ঠী সাথে অতি প্রগতিশীলদের নিয়ে লিখেছেন। তারা কখন নীরব থাকেন কখন সরব থাকেন এইসব নিয়ে কথা বাড়ানো হয়েছে। সাথে নিজের অফুরন্ত ক্রিটিক্যাল মানবতাবাদীর চেহারার রূপ ফুটিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবরের দুর্ভোগ দেখে।
আগের দিন টিভিতে দেখেছি, বিএনপি আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবরের দুর্ভোগ। পুলিশের সাহায্য নিয়ে বিধ্বস্ত শরীরে হাঁফাতে হাঁফাতে চলছেন তিনি আদালতে। আদালত তবুও বারবার রিমান্ডে দিয়ে চলেছেন তাঁকে। বাবরের যা অবস্থা, তাঁর আর টেকার কথা নয় বেশি দিন। আমি সম্পাদককে বলি, বাবরের রিমান্ড নিয়ে লিখব। আঁতকে ওঠেন তিনি— এটা লিখবেন! লোকজন কী ভাববে? বোঝানোর চেষ্টা করি তাঁকে। বাবর অপরাধী হলে তাঁর অবশ্যই সমুচিত শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু প্রায় মুমূর্ষু একজন মানুষকে এতবার রিমান্ডে নেওয়া সংবিধানের লঙ্ঘন। তা ছাড়া রিমান্ডের বিষয়ে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা আছে, সেটা পালন করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখাও আদালতের কর্তব্য। তিনি আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু অন্যরা কী ভাববে এ নিয়ে বিব্রত তিনি। ‘অন্যদের’ চটানোর সাহস নেই তাঁর। আমাকে আর লিখতে অনুরোধ করাও বন্ধ করে দেন এরপর। সেই পত্রিকায় আমার আর লেখা হয়নি।... ৩
বাবরের কারণে অজস্র মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে আসিফ নজরুল যতোটা না পীড়িত, বাবরের প্রতি সংবিধান লঙ্ঘন নিয়ে তাঁর চিন্তা আরো বেশি। তাঁর বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার অভ্যাস আছে বলে নানা সূত্রে জানা যায়। হয়তো যাদের পক্ষে তিনি কলাম ধরেন, কোনো না কোনো ভাবে ঋণশোধের একটা দায় থেকে যায়।
‘দমননীতি: প্রতিবাদ থেমে থাকে না’ [১২ জুলাই ২০১০] শিরোনামের কলামে তাঁর বক্তব্য ছিল- যুদ্ধাপরাধীর বিচার করলেই সরকারের অন্য সব ব্যর্থতা উবে যাবে না। বাংলাদেশের সব সরকার যতোটা সফল তার চেয়ে বেশি ব্যর্থ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার সাথে অন্যসব জিনিসের যোগসূত্র রচনা করা এক ধরণের ছাগুপণা। বাংলদেশে সরকার যাঁরা গঠন করেন তাঁদের মধ্যে রাষ্ট্রের কথা ভাবেন কতিপয় লোক। দেশের নানা সমস্যা চলছে, চলবে, সরকার সুরাহা করার চেষ্টা করবে অথবা করবে না। এগুলোর সাথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার কোনরকম সম্পর্ক নেই। নিচের প্যারায় লেখা কথাবার্তা পড়লেই আসিফ নজরুলের বক্তব্য বুঝে নিতে সময় লাগে না।
মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছিল জামায়াতও। জামায়াতের মানববন্ধনের দাবি ছিল তাদের দলের তিন নেতার (নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদী) মুক্তির দাবিতে। তাঁদের সরকার যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করেনি। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ১৯৭৩ সালের আইন অনুসারে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং তখন জামায়াত এর প্রতিবাদে কোনো কর্মসূচি দিলে তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা অবশ্যই সরকার করতে পারে। তার আগ পর্যন্ত তিন নেতার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার রোধ করার কর্মসূচি হিসেবে আখ্যায়িত করার কোনো সুযোগ নেই। ১৯৯৫-৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। অপশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অধিকার তখন জামায়াতের থাকলে এখনো তা আছে। তবে এই আন্দোলনকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করার দিকে ধাবিত করার অধিকার জামায়াত, বিএনপি বা অন্য কারও নেই। দেশের একটি প্রচলিত আইনে এই বিচার করা হচ্ছে। এই বিচারের বিরোধিতা শুধু নৈতিকভাবে নয়, আইনগতভাবেও তাই অবৈধ। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে বলে এই সরকারের দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা বা দমননীতির বিরুদ্ধে কোনো কর্মসূচি দেওয়া যাবে না, এটা বলাও অনুচিত ও অযৌক্তিক।... ৪
এবার জুজুবুড়ি। তাঁর গুরু মকসুদকে তিনি অনুসরণ করবেন- এটা খুব স্বাভাবিক।
সরকারকে আরেকটি জিনিস বুঝতে হবে। জামায়াত-শিবির অপবাদে চাকরি হারানোর ভয়ে পুলিশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয় থাকতে পারে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধাদানের অপবাদ পেতে হতে পারে এই ভয়ে দেশের বিরোধী দলগুলো সরকারের কোনো ব্যর্থতার প্রতিবাদ করবে না, কর্মসূচি দেবে না, এটা আশা করা ঠিক নয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে প্রকৃতই কোনো বাধা থাকলে বা এলে তার উপযুক্ত প্রতিকার অবশ্যই সরকারকে করতে হবে। কিন্তু সবকিছুকে যুদ্ধাপরাধী বিচারের বাধা হিসেবে দেখালে আসল বাধাকে বরং দূর করা সরকারের জন্য দুঃসাধ্য হয়ে উঠবে। সরকারকে বুঝতে হবে, একটি ভালো কাজ করলে সাত খুন মাফ হয়ে যায় না। তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করলেই সরকারের অন্য নানা ব্যর্থতা ঘুচে যাবে না। এর প্রতিবাদও থেমে থাকবে না।... ৫
আসিফ নজরুল সংবিধান নিয়ে কলাম লিখতে পছন্দ করেন। সাম্প্রতিক কলামের শিরোনাম ‘সংবিধান সংশোধন: কিছু প্রশ্ন, কিছু ভিন্নমত' [৮ আগস্ট ২০১০]। সংবিধান সংশোধনের মাশুল সম্পর্কে আমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। উদাহরণ টানতে চেয়েছেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন তখনো পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে ধর্মনিরপেক্ষতা কোনো সংবিধানে আসেনি। অথচ বাংলাদেশে এসে গেছে। এর কারণ ছিল পাক বাহিনীর ধর্ম নিয়ে করা অত্যাচার। ফলে কেউ এই ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কথা তোলেনি। আসিফ সাহেব এটাও উল্লেখ করতে ভুলেননি- ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন সংবিধান প্রণয়ন কমিটি এ বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক কোনো মতবিনিময় করেনি তখন।... ৬
ধর্মনিরপেক্ষতা মানেই যে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া নয় সেটা কথা বলে পরিষ্কার করেছেন।
সংবিধান নিয়ে সবচেয়ে তুঘলকি ব্যাখ্যা চলছে ধর্মনিরপেক্ষতা ইস্যুতে। আদালতের রায়ে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে এমন কথা বলা হচ্ছে। কেউ কেউ এমনও বলছেন যে, এ কারণে নাকি ইতিমধ্যে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ হয়ে গেছে! তাঁদের বক্তব্য, সরকার বা নির্বাচন কমিশন এ রকম একটি ঘোষণা দিয়ে দিলেই হলো এখন। ... ৭
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা চলবে না- এই যুক্তির পিছনে আসিফ সাহেব ভালো উদাহরণ টানতে পারেননি। রাজনীতিতে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সেই গ্রীক সভ্যতা থেকে। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদেরা নিজেদের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করছেন, আগামীতেও করবেন। আর সেটা কখনো সুস্থ ধারাতে নয়। আসিফ নজরুলের এইসব ঐশীবাণী সরকারকে সতর্ক করে দেয়ার জন্য নয়। তাঁর এসব যুক্তি আমজনতাকে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির পক্ষে দাঁড়াতে প্ররোচণা দেয়।
ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানে থাকলেও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাতিল হয়ে যায় না। ধর্মনিরপেক্ষতার সূতিকাগার বলে পরিচিত ইউরোপের অধিকাংশ দেশে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক (বা সোশ্যালিস্ট) পার্টি, লিগ বা ইউনিয়ন ধরনের বহু রাজনৈতিক দল রয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে রয়েছে আরএসএসের মতো ধর্মভিত্তিক সংগঠন এবং একই সঙ্গে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল, মুসলিম লীগ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল।
ধর্মভিত্তিক সুস্থ ধারার রাজনৈতিক দল আর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার তাই বলে এক নয়। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগবিরোধী অনেক রাজনৈতিক মহল, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ধর্মের অপব্যবহার করেছে এ ধরনের বহু নজির রয়েছে। অমুককে ভোট দিলে কাফের হয়ে যাবেন বা অমুক দল ক্ষমতায় গেলে দেশে ইসলাম থাকবে না—এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধের জন্য কঠোর আইন সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদের আলোকে অবশ্যই করা উচিত। দেশে দণ্ডবিধির ২৯৫ থেকে ২৯৮ ধারায় অন্য ধর্মের প্রতি যেকোনো আক্রমণাত্মক বা অবমাননাকর তৎপরতার জন্য শাস্তির বিধানও ইতিমধ্যে রয়েছে। এই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করেও দেশে সব ধর্মীয় সমপ্রদায়ের স্বার্থ তথা ধর্মনিরপেক্ষতাকে রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা বাস্তবায়নের জন্য ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ঢালাওভাবে নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন নেই, উন্নত বিশ্বে ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহে এর কোনো নজির নেই, আমাদের ’৭২ সালের সংবিধানেও তা চাওয়া হয়নি।... ৮
মকসুদীয় জুজুবুড়ি ছাড়া হয়েছে এই কলামেও।
সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা পুনঃস্থাপন জরুরি। কিন্তু এর চেয়ে বেশি জরুরি গণতন্ত্র ও সুশাসনের সম্ভাবনা সুশক্তকরণ। সরকার যদি এসব লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধন করতে চায়, তাহলে কী করতে হবে তা নিয়ে বহু আলোচনা ইতিমধ্যে দেশে হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনয়ন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শক্তিশালীকরণ, ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদের আলোকে সরকারের দায়দায়িত্ব নির্দিষ্টকরণ—এ ধরনের বিষয়ে সমাজে ব্যাপকভিত্তিক মতৈক্যও রয়েছে। ১৯৭২ সালের মূল চেতনাকে সরকার অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে পারে সংবিধানে। তবে সংশোধনীর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত এসব মতৈক্যের ভিত্তিতে আরও গণতান্ত্রিক ও জনকল্যাণমূলক একটি ভবিষ্যৎমুখী সংবিধান প্রণয়ন।... ৯
সুশক্তকরণ। আসলেই!
আসিফ নজরুলের ভিডিও আগের কিস্তিতে এমবেড করেছি। যুদ্ধাপরাধী খুনি নিজামীর তথাকথিত কাল্পনিক সততার পক্ষে তাঁর সাফাই গাওয়া শুনে অবাক হইনি। একদিকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ভাঙ্গিয়ে খাওয়া অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধী নিজামী গংদের পক্ষে কথা বলা, ধর্ম নিয়ে রাজনীতিকে সমর্থন করা- ছদ্মবুদ্ধিজীবি আসিফ নজরুলের পক্ষে সম্ভব। জামাত দুর্নীতি করে না; যুদ্ধপরাধের বিচার করা মানেই দুর্নীতি উবে যাবে না; দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি রোধ করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা নয়- এসব ছাগু যুক্তি এখনো মানুষের কাছে পুরানো হচ্ছে না। অদ্ভূত!
আরেকজন বুদ্ধিজীবী নিয়ে আগামী কিস্তি। বদরুদ্দীন উমর।
---
মন্তব্য
জটিল দিয়েছেন শুভাশীষদা, আরো দিন। পরের পর্বে দেখি আমাদের 'বউ' কি বলেন!
রাতঃস্মরণীয়
দেয়াদেয়ির কিছু নাই। জাস্ট আমার পর্যবেক্ষণ। বদরুদ্দীন উমরকে নিয়ে পোস্ট দিতে কিছুটা দেরি হবে। আর হয়তো একটা পোস্টে কুলাবে না।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
শুভাশীষ,
১.
একটা কাজ করেন।
২.
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
১। করে লিঙ্ক দিয়ে দিব।
২। বাবরের ব্যাপারে উনি ক্রিটিক্যাল মানবতাবাদী।
উনার মাথায় তো আসে। লেখায় আসে না।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
পড়লাম দাঁত চাইপা হাসলাম!
কঠিন!! হাসিব ভাই!
কাজী মামুন
দাদা, চমৎকার লিখেছেন। আমি হাসিব ভাই এর সাথে একমত।
ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এই মহান বুদ্ধিজীবীর লেখা থেকে কোট করা কয়েকটা বাক্য পড়ার সময় এমন তীব্র ম্যাৎকার ধ্বনি আসলো যে বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও সেটা শুনতে পেলাম।
অনেকে কিন্তু উনার ফ্যান।
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
সোয়াইন
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ফ্লু
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আলুপত্রিকায় আসিফ নজরুলের একটা লেখা পড়েছিলাম, সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুকে খাটো না করে জিয়াকে সম্মান দেওয়ার সাফাই গেয়েছিলেন। (স্মৃতি প্রতারণা করছে,তাই রেফারেন্স দিতে পারলামনা বলে দুঃখিত)। এই কথার মাজেজা তখন ঠাহর করতে পারিনি,এখন পারছি। আর টিভির টকশোগুলোর খানদুয়েক দেখে মনে হয়েছে তার মধ্যে আত্মস্বীকৃত সবজান্তা বুদ্ধিজীবি ভাব প্রকট।
অদ্রোহ।
লেখাটা কী এই বছরের? আর প্রথম আলোতে?
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আসিফ নজরুলের লেখা আর মোজাম্মেল খানের প্রতিক্রিয়া।
ধন্যবাদ হিম্ভাই
অদ্রোহ।
আসিফ নজরুল কি রকম ফাঁপা মাল সেটা বুঝতে বেশী গবেষনা লাগেনা- বঙ্গবন্ধু আর জিয়াকে এক পাল্লায় তুলে দেয়ার এই ছাগলামী প্রবন্ধই যথেষ্ট।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
যে লোকটা সব নৌকাতে পা রাখতে চায় এ ছাড়া তো তার আর কিছু করার থাকে না মোরশেদ ভাই। চাটুকারেরা নিজের স্বার্থের জন্য ইতিহাস পাল্টালে তাতে তার কি যায় আসে, সে তো চাটুকার, জামাত অথবা বিম্পির পা চাটা...তবে আসিফ নজরুলের মুখোশ এখন খুলে গেছে। বুদ্ধিজীবি না বলে এখন অনেকেই তাকে ছদ্ম বুদ্ধিজীবি বলছে। আমার এক বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে সম্প্রতি যোগ দিয়েছে। তারাও ( সে এবং তার কয়েকজন বন্ধু ) আপনার লেখাটা পড়ে অবাক হয়েছে। ওদের কাছ থেকে জেনেছি, আসিফ নজরুল নাকি ক্লাসেও কথাচ্ছলে অনেক সময় দেশের ইতিহাস নিয়ে তার নিজের মতো টানাটানি করেন, নিজের মতো ব্যাখ্যা দেন !
লেখার লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ হিমু ভাই। আপনার একটা গল্পের বই কিনেছি বর্ষার মেলা থেকে, এখন পড়তেছি।
হিমু,
লিংকানোর জন্য ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
মোজাম্মেল হক খান ভালো জবাবই দিয়েছেন। আর নজ্রুলের লেখাটা পুরাপুরি একপেশে বলে মনে হয়েছে।
_________________________________________
সেরিওজা
লেখাটা পড়ে আমিও ভুলে গেসিলাম। সাপোর্ট দিয়ে ফেসবুকে শেয়ারও দিসিলাম। এমন বুদ্ধি! অনেকগুলা যুক্তি-যুক্তি কথার মধ্যে সুন্দর করে একটা মেসেজ দিয়ে দিল, "স্বাধীনতার ঘোষণা যেই করুক না কেন" টাইপের কি জানি একটা কথা। পরে টিউলিপ ধরে দেখানোর পরে সরাসরি ডিলিট!
বুঝতেসি, আমার মত আরও অনেক লোক আছে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
এত ম্যৎকারের পরও বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো তার ব্যপারে এতখানি নিরব কেন তাই আমাকে ভাবায়!!! তবে কী সব শর্ষের মধ্যেই ভুতের বসবাস?!?!
---- মনজুর এলাহী ----
কী জানি!
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বক্তব্য কই?
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ভাল সংকলন।
ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ভাল পর্যবেক্ষণ। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আসিফ নজরুল লন্ডন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে আন্তর্জাতিক নদী আইনে পিএইচডি করা লোক।
উনার নদী বিষয়ক লেখাগুলোর একটা ব্যাখ্যা দিয়ে পোস্ট করার চিন্তা করে দেখতে পারিস।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
শুভাশীষ ভাই, আসিফ নজরুলের quoteগুলা কি একটু কোটেশন মার্কসের মধ্যে দেয়া যায়? তার কথার সাথে আপনার কথা মিলিয়ে ফেলছিলাম মাঝে মাঝেই।
লেখাটা খোমাখাতায় শেয়ার দিলাম।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আসিফ নজরুলের কোট ইটালিকসে করে দেয়া আছে। ব্রাউজারের কারণে হয়তো ঠিকঠাক আসছে না।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
গুরু,
এই ছাগল গুলোকে কাঁঠাল পাতা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ব্লগার পুতুল?
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
অনন্ত
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বরবাদ মাজহারের উপর কিছু লেখা যায় ? এই ভদ্র(?)লোককে আমার দুর্দান্ত ইন্টারেস্টিং আর মজাদার লাগে !
আব্দুল গাফফার চৌধুরির সাথে পত্রিকার পাতায় (আজকের কাগজ?) তার সেই বিখ্যাত কলামযুদ্ধের কথা মনে আছে কারো ? ৯০-এর দশকের কথা। উফ্, এক্কেবারে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। ফাটাফাটি!
অনেক বিশালকায় পন্ডিতি কলাম আছে উনার যা পড়লে মনে হয় এইসব কলাম পড়েই বোধহয় "পর্বতের মুষিক-প্রসব" (আমার মতে আন্ডা-প্রসব) কথাটার সৃষ্টি করেছে কেউ। প্রচুর চালবাজি আর ধানাইপানাই থাকে, কিন্তু শেষমেশ - ঐ আন্ডা। তবে পড়তে দারুন মজা লাগে !
তার সর্বশেষ স্টান্ট ছিল - ঢাকা ক্লাবের বিরুদ্ধে উপনিবেশবাদ-বিরোধী মহান জাতীয়তাবাদি মুক্তিসংগ্রামের ডাক। না, মূল কারন তেমন কিছুই না আসলে - উনাকে লুঙ্গি পরে ঢুকতে দেয় নাই এই হলো ব্যাপার। কিংবা হয়তো যেই ঝুলন্ত-উপরের আশায় গিয়েছিলেন সেটা পুরন করতে দেয় নাই তাই। কিন্তু তাই নিয়ে পত্রিকার পাতা থেকে শুরু করে রাজপথ পর্যন্ত সেকি জ্বালাময়ী ভাষন-বিবৃতি-মানববন্ধন-নর্তনকুর্দন-কলামবাজি। যেন নতুন এক মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কের আবির্ভাব হলো ! ঢাকার বিনোদনহীন জীবনে, এই সার্কাসটায় দারুন মজা পেয়েছি।
লিখবেন কমরেড বরবাদকে নিয়ে ?
বরবাদ মগবাজারের আলোচনায় গাফফার চৌধুরি নামের বিনোদনমূলক ভাড়কে আনার দরকার নেই।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ফরহাদ সাহেবকে নিয়ে লিখতে সময় লাগবে।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
গাফফার চৌধুরি নামের বিনোদনমূলক ভাড়? একটু explain করেন ত কি মিন করছেন।
আমাদের এইসব দুই ফুট বুদ্ধিজীবী পণ্ডিতদের নিয়ে একটা কথাই বলা যায়।
"ছিঁড়তে পারে না চ্যাটের বাল
নাম রাখছে শেখ জামাল।"
কি মাঝি, ডরাইলা?
আপনার তো শব্দ দখল খুব ভালো।
চ্যাট শব্দের ব্যুৎপত্তি কী জানেন?
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
হ জানি। কিন্তু এখানে বলা যাবে না
বললে মডুরা ধরে মারবে। গোপনে জিগাইয়েন বস, বলে দেবো।
আপ্নে পারেনও।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বরবাদ মজহারের পুরনো লেখাগুলোর সংগ্রহ আছে। শুভাশিষদা চাইলে দেয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
ফেসবুকে মেসেজ দিয়েছি।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
- এইগুলার মুখোশ উন্মোচন করেন। টক-শো নামক ম্যাৎকার শোতে গিয়া খালি ব্যা ব্যা করে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পাব্লিক খায় বা পাব্লিকরে খাওয়ানো হয়। ব্লগ পড়ে কয়জন?
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ব্লগ নামের আখড়াগুলোতে(আসিফ নজরুলের মতে) ব্লগাররা তাদের জঘন্য, ঘৃণ্য মন্তব্যে আসিফ নজরুলের বুকের রক্ত হিম করে দিলেও দেশের ক্ষতি করছে বলে মনে করিনা। যা একজন পাপীষ্ঠ আসিফ নজরুল দিনের পর দিন বিভিন্ন 'ঠগশো' আর পত্রিকা কলামের বাকচাতুর্যের মাধ্যমে করে যাচ্ছেন। এধরণের লোকগুলোকে প্রতিহতের উপায় কী? ব্লগ আর কয়জন পড়েন। হামুখো আমজনতা বসে বসে এসব জ্ঞানপাপীদের কথা শুনে...ক্ষেত্রবিশেষে বিশ্বাসও করে থাকে। দেশ একদিন রাজাকার মুক্ত হবেই...কিন্তু এইসব রক্তচোষারা তো দিব্বি বেঁচে বর্তে থাকবে। কী করা যায় এদের বলেন তো!
ব্যক্তি আক্রমণ ব্লগগুলোতে একটি নৈমেত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। যখন কেউ নিজেকে ডিফেন্ড করতে পারেনা অথবা তার পক্ষে ডিফেন্ড করার মত কেউ থাকে না তখন সে ব্যক্তি সম্পর্কে যাই বলা হোক না কেন, বক্তব্যটা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যায়। আশা করি লেখক/মন্তব্যকারীরা এ বিষয়টা মনে রাখবেন।
প্রশ্ন জাগতে পারে মনে কেন আসিফ নজরুল সংক্রান্ত লেখায় এ কথা গুলো লিখছি। আসলে অনেক দিন ধরেই এটা বলবো বলে ভাবছিলাম। আজ মনে হল লিখেই ফেলি। এর আগে মুসা ইব্রাহীম সংক্রান্ত নেভারেস্ট সিরিজটা নিয়ে মনে অনেক প্রশ্ন জেগেছিল। ভেবেছিলাম লেখক হয়তো আমাদের সত্য জানাতে চান। আফসোস, প্রথম পর্বের নিচে মন্তব্য করার সুযোগ বন্ধ করার মাধ্যমে মুসা ইব্রাহীম পর্বের ইতি ঘটেছে। সেক্ষেত্রে মুসা সংক্রান্ত ব্যাপারে কেউ যদি লেখকের সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন তাকে দোষ দেয়া যাবে না।
আসিফ নজরুল এর সঙ্গে আমার পরিচয় তার লেখার মাধ্যমে, যেমনভাবে সচলায়তনের অনেকের সঙ্গে পরিচয়। দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি সচলায়তনের হেভীওয়েট লেখকদের চেয়ে তার লেখায় আমি যুক্তি/দেশপ্রেমের পরিমাণ বেশি খুঁজে পাই।
লেখাটা শুরুর আগে নিজেকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম। আসলে ব্লগ পড়ে কি হয়? গত ছয়মাস ধরে আমি নিয়মিত ব্লগ পড়ছি। তার আগে তেমন পড়ি নাই। খুব বেশি ইতরভেদ কি হয়েছে? একটা ব্যাপার সত্য ব্লগে অনেক নতুন জিনিস জানতে পেরেছি, অনেক কিছুই ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শিখেছি। কিন্তু শেষ বিচারে ব্লগগুলি তেমন কিছুই দিতে পারে নাই আমাকে কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ারিং বাদে।
সরি সচলায়তন।
১। ব্লগ মাধ্যম একটু কম বিনয়ী। ব্যক্তি আক্রমণ কারণ ছাড়া হয় না। অন্তত আমি করি নাই। সৈয়দ মকসুদ ও আসিফ নজরুলের কলাম থেকে লেখা তুলে এনে এখানে ব্যাখ্যা করেছি। ডিফেন্ড করার সুযোগ থাকবে না কেন? আসিফ নজরুল কিংবা সৈয়দ মকসুদ নিজে এসেও পড়ে যেতে পারেন। আমার যুক্তি খণ্ডন করতে পারেন। বাধা তো নেই। তাঁদের গুণমুগ্ধরা ও পারেন।
২। নেভারেস্টের পরের পর্ব আসবে। পর্ব ১ পেজ লোডের সমস্যার কারণে কমেন্ট নেয়া বন্ধ করা হয়েছে।
৩। উনার লেখায় দেশপ্রেম খুঁজে পান- ভালো কথা। নিজামীর পক্ষে বা ধর্ম নিয়ে রাজনীতির পক্ষে উনার যুক্তির অবস্থা দেখে দেশপ্রেম খুঁজে পেলে কিছু বলার নেই।
৪। ব্লগ পড়ে কিছু হয় না। ঠিক তেমনি পেপার পড়েও কিছু হয় না। কিছু হলে অন্তত আসিফ নজরুলের শিবির প্রীতির মধ্যে দেশপ্রেম খুঁজে পেতেন না।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
--------------------------------------------
পৃথিবীতে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল তাদের কাজে অকাজে ধর্মকে ব্যবহার করে। এর ব্যতিক্রমী উদাহরণ কী আসিফ নজরুল দিতে পেরেছেন? ভারতের ক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ টেনেছেন আরএসএস, হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল, মুসলিম লীগ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের।
আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ): এই সংগঠন ছিল বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার প্রধান আর্কিটেক্ট।
হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল: আসিফ নজরুল মনে হয় বিজেপির (ভারতীয় জনতা পার্টি) কথা বলতে চেয়েছেন। ২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থামানোর জন্য তৎকালীন বিজেপি সরকার কিছু করেনি, বরং দাঙ্গাকারীদের সহায়তা করেছে।
মুসলিম লীগ: ভারতে এই দলের কর্মকাণ্ড এখন সীমিত।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম: এদের সাথে তালিবান সংযোগ নিয়ে পত্রিকায় উল্লেখ আছে।
---
আ. ন. : ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানে থাকলেও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাতিল হয়ে যায় না।
এটা এতো উদাহরণ টেনে ব্যাখ্যা করার দরকার নেই।
আমার বক্তব্য ছিল:
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা চলবে না- এই যুক্তির পিছনে আসিফ সাহেব ভালো উদাহরণ টানতে পারেননি।
উনার শেষ কলামটা লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল-ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা চলবে না। যেসব রাজনৈতিক দলের উদাহরণ টেনেছেন সেগুলো তো ফ্যানাটিকে ভরা। তিনি বাংলাদেশেও আরএসএস, বিজেপির মতো রাজনৈতিক দল চান। বাহ্!
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল আছে। তাই বাংলাদেশেও থাকতে হবে। হুমমম।
আচ্ছা, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কি সেকেণ্ড ক্লাস থার্টি সিক্সথ হয়ে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে পারে?
ভাল লিখেছেন। লেখায় উদ্ধ্বৃতির ফর্ম্যাটিংটা ভাল করে দিলে তা আরও সুপাঠ্য হয়ে উঠত। কোনটা আসিফ নজরুলের উদ্ধ্বৃতি, আর কোনটা আপনার লেখা, তা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে।
====
সাদাচোখ
sad_1971এটymailডটcom
ঢাকা মহানগরীর জামায়াতের আমির ইহুদি-নাছারা চক্রান্তে 'জনাব'ঘরে ('শ্রী' মালাউনগো লব্জ) প্রেরিত হওয়ার পর আওয়ামি বাকশালি ষড়যন্ত্রে চালিত পুলিশ যেসব কাগজাত উদ্ধার করেছে, তার মধ্যে দেখা গেল জামাতের যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত বিচার মোকাবেলার পরিকল্পনার একটি গাইডলাইন। সেখানে যেসব মান্যবরদের তাঁদের পক্ষে থেকে আদর্শিক বা তথ্যগত সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে তালিকা করা হয়, তাঁদের মধ্যে কাদের সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ প্রমুখের পাশাপাশি জনাব আসিফ নজরুলের মহান নামখানিও দেখলাম। সব শ্লা জায়ন-নাসারা-ব্রাহ্মণ্যবাদী ষড়যন্ত্র।
হুমমম, ল্যাঞ্জা ইজ এ্যা ভেরি টাফ থিঙ টু হাইড (কপি: ড: আইজু)। আমি কৈ যাইতাম????
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ভারতের আর এস এস কোনো রাজনৈতিক দল নয়।গঠনতান্ত্রিক দিক দিয়ে বি জে পি ও ধর্মনিরপেক্ষ দল(যদিও দলটির কিছু কাজ বিতর্কিত)।
সাঈদী যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ননঃ ড.আসিফ নজরুল
ছুপা ছাগু আসিফ নজরুল অবশেষে তার পুরো ল্যান্জাটাই দেখায়া দিলেন
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে ফোনের অপর প্রান্তে জেল থেকে স্বয়ং সাঈদী কথা বলছিল
নতুন মন্তব্য করুন