আলম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বেরিয়ে মাস ছয়ের মধ্যে একটা চাকরি যোগাড় করে। এর এক বছর পরে তার বিয়ে হয় সোমার সাথে। সোমা বাড়ির পাশের একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়ানো শুরু করে। সপ্তাহে এক কী দুইবার উপগত হবার সুযোগে সোমার পেটে এক পুত্রসন্তান আসে। পুত্রসন্তানকে সময় দেয়ার জন্য সোমা পড়ানো ছেড়ে দেয়। স্কুল কলেজ ডিঙিয়ে ছেলে একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকে। সেশন জট। ফলে একটু দেরিতে তার পড়া শেষ হয়। প্রেমিকাকে বিয়ে, তারপর চাকরি নিয়ে অন্য শহরে। এর প্রায় বছর চারেক বাদে আলম অবসর নেয় তার দীর্ঘদিনের চাকরি থেকে। আস্তে আস্তে তারা আরো বুড়ো আরো বুড়ি হয়। অতঃপর তারা মারা যায়। প্রথমে আলম। দুই বছর পরে সোমা। আলমের উল্লম্ব মৃতদেহ আরো গভীরে ঢুকিয়ে তার ওপর রাখা হয় মৃত সোমার মৃতদেহ; সেও উল্লম্ব করে। পরে মাটি দেয়া হয়।
মন্তব্য
বাহ্! কী সুন্দর ছড়া
কন কী!
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
কি জানি... ঠিক যেন জমল না...
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
পড়ে কেন জানি মন খারাপ হয়ে যায়।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
হ্যাঁ।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আরে, চিন্তার কিছু নাই।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বিনয় মজুমদারকে মনে পড়ল ...
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
উনি নমস্য লোক।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আমাদের লীলেনদা কিন্তু সিঙ্গেল লাইন স্টোরি লেখার সাধনায় দীর্ঘদিন নিয়োজিত... আপনেও সেদিকে মন্দিচ্ছেন নাকি ??
_________________________________________
সেরিওজা
প্রায় ঐদিকেই যাচ্ছি।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
চট্টগ্রামের war cemetery'র কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। এক, এটা সম্ভবতঃ বাংলাদেশের একমাত্র কবরস্থান যেখানে সব ধর্মের মানুষের সমাধি আছে। দুই, এটা এমন একটা কবরস্থান যেখানে যুদ্ধমান দুই প্রতিপক্ষের সৈনিকদের সমাধি আছে। তিন, এই কবরস্থানের এপিটাফগুলো একরকম (পিতলের চৌকোনা) আর তাতে চমৎকার সব উদ্ধৃতি আছে। এই এপিটাফগুলোর লেখা সংকলন করার ইচ্ছে ছিল - তা জীবনে কয়টা কাজই বা ঠিকমত করতে পেরেছি। চার, এই কবরস্থানের কবরগুলোকে দেখলে মনে হয় মৃতদেহগুলো আনুভূমিক নয়, উল্লম্ব করে কবরে ঢোকানো হয়েছে। জানিনা সত্যি সত্যি অমনটা করা হয়েছে কিনা। করা হলে কেন অমনটা করা হয়েছে তা জানিনা। এটাও জানিনা দুনিয়াতে কোন ধর্মে আসলেই উল্লম্বভাবে কবর দেবার বিধান আছে কিনা।
শেষের দুটি বাক্যকে বাদ দিলে গল্পটাতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মত এক নিঃশ্বাসে বড় গল্প বলার ব্যাপার আছে। শেষের আগের বাক্যটাই গোটা গল্পটাকে নির্মাণ করেছে। চমৎকার!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমিও জানি না।
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বুঝলাম না।
নতুন মন্তব্য করুন