আমি এককালে পড়তাম। সাথে ভাবতাম একদিন আমিও কিছু লিখব। কে যেন কানে পোকা দেয়, আরে বেশি পড়িস না অন্তত ভাল লেখকদের কিছু। তাহলে দেখবি তার ভূত তোর ঘাড়ে সওয়ার হয়েছে। প্লাজিয়ারিজমের ভূত পেত্নীর ভয়ে সেই থেকে পড়ি না। রাস্তার বিলবোর্ড, ভেষজ কিংবা যৌনরোগের বিজ্ঞাপনবার্তা, দৈনিক পত্রিকা এসব অবশ্য পড়া হয়। মজার ব্যাপার এক ভেষজ বার্তা একবার আমাকে প্রভাবিত করেছিল। ভেষজ এক চিকিৎসালয়ে গিয়েছিলাম পাম্পলেটের গালগল্প পড়ে। যা বলছিলাম, পত্রিকা পড়ি তবে সাহিত্য পাতা এড়িয়ে চলি। সম্পাদকীয় উপসম্পাদকীয় কলাম পড়া হয়। কলামলেখকেরা টাকার জন্য উপর্যুপরি কলাম লিখে অনেকটা বীর্যস্খলনের বিরতিতে। ফলে ঘাড়ে চাপায় আশংকা থাকে না। এইসব পড়া না পড়ায় আমার মধ্যের লেখক একটা কিছু মৌলিক লেখা আবিষ্কারের জন্য মাঝেমধ্যে হু হা করে। শুধু হু হা-ই।
মানুষ কিছু পড়লে অন্যের অনুকরণে ভাবে। ভালো লেখক তাঁর ভেতরের ভালোমানুষি মন্দমানুষি অন্যকে গিলিয়ে এক ধরণের মজা নেয়। পাঠকদের একটা গাড্ডার মধ্যে ফেলে দিয়ে নিজে সড়ুৎ করে ঢুকে পড়ে অন্য ভাবনায়, অন্য লেখায়। ভিন্ন জীবনে, জীবনযাত্রায়। তবে এটা বিশ্বাস করতে ভালোবাসি, সাদা কাগজের ওপর গুটি গুটি করে আঁকা শব্দপুঞ্জ আর্তনাদের বেশি কিছু করতে পারে না। আমি এভাবে ভাবি। ভাবতে ভালোবাসি।
আর শুয়ে থাকি।
ফিরে: গঞ্চারভের ওবলোমভ উপন্যাসের নায়ক ওবলোমভ খালি শুয়ে থাকতেন।
মন্তব্য
যদি ওবলোমভ হওয়া যেতো !!
ভালৈতো।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বাহ , বেশ লাগলো পড়তে।
-------------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এই প্রশ্নটা আজকাল প্রায়শই খুব পীড়িত করে। এই যে বুশের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন নিয়ে নোয়াম চমস্কি লিখলেন, অরূন্ধতী রায় লিখলেন। মাইকেল মুর লিখলেন, কী লাভ হলো তাতে? কোন কিছুই কি থেমে থাকলো! কোনো যৌক্তিকতা ছাড়াই ইরাকে ঢুকে যা খুশি করলেন তিনি, আবার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রিয় ভোটে দ্বিতীয়বার বসে পড়লেন ওয়াশিংটনের মসনদে। প্রতিদিন এত কলাম এত প্রতিবেদন, তাতে কার কী আসে যায়!
মার্কিন গণতন্ত্রের বরপুত্র বুশ একবার খুলেও দেখেননি এসব কলাম কিংবা নিবন্ধ। সেখানে শিশু গণতন্ত্রের দেশ বাংলাদেশের রাজনীতিকদের বয়েই গেছে এসব ট্র্যাশ লেখা পড়তে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
বালছাল লেইখা কোনো ফায়দা নাই সেটা বুঝতেছি।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ভাল লাগল।
মিল খোঁজে পেলাম আমার সাথে, বিশেষ করে শেষ লাইনটায়।
খুব খ্রাপ
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
শুয়ে থাকি। ঐটাই পারি।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এইটা আরেকটু বড় হইলে ক্ষতি ছিলো না...
_________________________________________
সেরিওজা
হুম্
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
সবাই শুয়ে থাকার অভ্যাস করলে ভালো হতো.......
কাজ করবো ক্যাঠায়?
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
নতুন মন্তব্য করুন