জোনাথন ফোয়ারের ইটিং অ্যানিমেলস্ বইটা পড়ে কিছুটা ভাবনায় পড়ি। এই ভাবনায় আগেও অনেকবার পড়েছি। গান্ধীর আত্মজীবনী পড়ার সময়। প্রাণিক্লেশ নিবারণী সংস্থার নানা পামফ্লিট হাতে আসলে সেখানে মুরগীর ছানার অপার্থিব সুন্দর ছবি দেখে কাতর হয়েছি অনেকবার। কিছুদিন মাংস খাওয়া বাদ দেয়ার চেষ্টার পরে জিভের টানে আবার ফিরে গেছি ইটিং অ্যানিমেলস্ স্বভাবে। আমার নিজের দেশে পশুহত্যা উৎসবের মধ্যে পড়ে। হিন্দুদের বলি। মুসলমানদের কোরবানি। রূপালি ইলিশের ভাবালুতা, রূপচাঁদা ফ্রাই। ঢাকের উদ্দামতার সাথে সাথে খড়গের এক কোপে পাঁঠার মাথা উড়ে যায়। ছোটোবেলায় এসব অবলীলায় দেখতাম। ফিনকি দিয়ে ছুটে আসা রক্ত একবার প্যান্টে লেগেছিল। বাসায় আসার পর মা দেখতেই এক চড়। বলেছিল- কোনোদিন এসব দেখতে না যেতে। তারপরেও দেখেছি। কোরবানি হত আমাদের পাশের বাসায়। আগের রাত থেকে গরুগুলোর ডাক আর্দ্র শোনাতো। জবাইয়ের পর প্রাণীটার আপ্রাণ ছটফটানি দেখে খারাপ লাগার পর ক্লাস সিক্স বা সেভেন থেকে এসব আর কখনো দেখি নি। বাবা আগে বাসায় মুরগি এনে গলা কেটে ছিলতো। আমি একবার মারাত্মক রাগ দেখাই। মুরগির মাংস খাওয়া ছেড়ে দেই। বাসায় এসব করা যাবে না বলে বাবাকে রেগে রেগে বলি। বাবা এরপরে আরো কিছুদিন এই কাজ করেন। পরে আর করেন না। এর কিছুদিন পরেই আবার মুরগি খাওয়া ধরি। তবে প্রাণিহত্যার কথা ভাবলেই কিছুটা ভাবনায় পড়ি। ভাবি হত্যাকাণ্ড উৎসব করে করা হয় কেন? উত্তর আছে। যেকোনো দেশেই উৎসব মানেই ভালো খাওয়া-দাওয়া। মানে সেখানেও থরেথরে প্রাণিহত্যা। উৎসব করে হত্যা না করে পর্দার পেছনে করে উৎসব করে খাওয়া দাওয়া সারা হয়- এইটুকুই পার্থক্য। ফলাফল একই। কোরিয়ানদের মেন্যুতে কুকুরমাংস জনপ্রিয়। আমেরিকার কুকুরপ্রেমিকেরা এই নিয়ে তড়পালে কোরিয়ানরা বলে- কুকুর যেমন প্রাণী, শুয়োরও তেমনি। বুক ফুলিয়ে শুয়োর খাওয়া গেলে কুকুর খেতে অসুবিধা কী? পক্ষে বিপক্ষের নানা গ্যাঁড়াকলে আমি একটা সমাধান পাই। প্রোটিন হজম করার এনজাইম হরমোন এই জাতীয় কিছু একটা না থাকলে মানুষ হয়ে আমরা গাছ পাতা ঘাস ফুল ফল খেতাম। পরশুরামের ক্ষত্রিয়শূন্য করার প্যারালেলে এত মানুষের এত এত চাহিদায় পৃথিবী বৃক্ষশূন্য হবার চিন্তা মাথায় আসায় আবারো ভাবনায় পড়ি।
কিছু মানুষ ইটিং অ্যানিমেলস্ স্বভাব ছাড়বে না। অন্যরা যুক্তি দেখালে হাসবে। প্রাণীর ক্লেশ নিয়ে কথা বললেই উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে। কিছু মানুষ শাকসবজি খাবে। খেতে থাকবে। পশু ক্লেশ নিয়ে ভাববে, মাংসাষীরা তখন উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে এই কথাটা তাদের স্মরণ করিয়ে দিবে।
ডাইনিং টেবিলে বসে মুরগীর মাংসের বাটি থেকে এক টুকরা মাংস নিতে গিয়ে আমি এরকম আব্জাব্ ভাবি। একটা রান প্লেটে নিই। পরে কী ভেবে আবার বাটিতে তুলে রাখি। কল্পনা করি আগামীকাল ক্লাস শেষে বাসায় ফিরে ব্যাপক খিদায় কোনো ভাবনা ছাড়াই এই রানে কামড় বসাব।
-------
আপানোর পরে কিছু বানান ঠিক করে দিয়েছেন বুনোহাঁস। এই কাজ তিনি প্রায়শ করেন। প্রতি লেখায় কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে আজকে একসাথে সেরদরে সব কৃতজ্ঞতা স্বীকার গেলাম।
মন্তব্য
ফুড চেইনের উপরের দিকে আছি। তাই সব খাব। সবাইকে খাব।
যতদিন খেতে পাব ততদিন বাঁচব।
কাকস্য পরিবেদনা
দ্রোহী ভাইয়ের মন্তব্য পছন্দ।
আমারও মাঝে মাঝে একই অনুভূতি হয়। জিভের টানে ইটিং অ্যানিমেলস্ স্বভাবটা আমিও ছাড়তে পারি না - অথচ খারাপও লাগে মাঝে মাঝে। অদ্ভুত দ্বৈততা। অনেক সময় খাওয়ার মাঝখানেই প্রবল বিবমিষায় খাওয়া থামিয়ে দেই - অর্ধভুক্ত উঠে যাই। অথচ পরে অন্যদিন ঠিকই একই জিনিষ খাই। ছোটবেলায় তো হতই, এখনও এমন হয়। আর কোরবানীর মাংস বহুকাল খাই না। এক রত্তিও না। এত উৎসব করে যে প্রাণীটাকে প্রকাশ্যে ব্যপক হারে সর্বসমক্ষে হত্যা করা হয় সেটা ভক্ষন করা সত্যি কঠিন। অথচ অন্য সময় গোমাংস ঠিকই চলে আমার। নিজের আচরনটা নিজের কাছেই ভন্ডামীসুলভ মনে হয়, অথচ যে কোন একদিকে স্থিত হতে পারি না।
লক্ষ কোটি ঈষ্ট শহীদ হয় প্রতিদিন। ওদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে রাত্রিটা কাটে চমৎকার!
love the life you live. live the life you love.
যাই বলেন ভাই, গরুর মাংসের চাইতে মজাদার খাবার খুব কমই আছে।
কথা সত্য।
কাকস্য পরিবেদনা
ইয়ে মানে হালকা দ্বিমত, পোর্ক সসেজ(স্পাইসি) এর সমকক্ষ কোনো খাবার এই সৌরজগতে নেই(ঝাল গুরুর ভুনা ২য় স্থানে আছে
love the life you live. live the life you love.
আমি আপনার সাথে কঠিন দ্বিমত। সসেজ তা বরাহের হোক আর কুক্কুটের হোক তা অতিশয় অখাদ্য। মাংস যদি খেতেই হয় তবে তার স্বাদ নিতে হবে মূলের কাছাকাছি থেকে। এত হ্যানো-ত্যানো করে যে সসেজ বানানো হয় তাতে মূলটা কি আর অবশিষ্ট থাকে? আমার চোখে মেশিন-মেড-মিট।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চিন্তায় পড়ে গেলাম! আমি তো ভাবছি ২০১১ সালে বাংলাদেশে সজেজ তৈরী এবং বিক্রির ব্যবসা শুরু করবো। একটা বৃটিশ ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশীপের কথাবার্তাও শুরু করেছি।
রাতঃস্মরণীয়
কোনো চিন্তা নেই ব্রাদার। সসেজ বিদেশী খাবার, এটা সাহেবরা সকাল-বিকাল খায় এই সত্যটা এখানকার লোকে জানে। আর তার উপর যদি খোদ বিলেতী ব্রান্ডের হয় তাহলে তো কথাই নেই। লোকে হামলে পড়ে আপনার সসেজ কিনবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
যত যাই কন পাণ্ডবদা, তালগাছ কিন্তু আমার
love the life you live. live the life you love.
আইচ্ছা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বনফুলের একটা কবিতা মনে পড়ে গেল। সেখানে একজন ভগবানের দেখা পেয়েছে, ভগবান জিগালেন, কি চাও। সে বলে, খেতে চাই। কি খাবে? তার উত্তরটা এরকম ছিল - "খাব খাব সব খাব / গাছ খাব ফুল খাব / ছাগলের ন্যাজ খাব / ..." অনেকগুলো লাইন। শুনে ভগবান বললেন, এই নাও। হাতে ধরা জিনিসটা দেখে সে জিজ্ঞেস করল, এইটা কি? "কুপন" বলে ভগবান ভ্যানিশ হয়ে গেলেন।
ফ্রিজ গরুর মাংস, মুরগীর মাংসে বোঝাই। এঅবস্থায় এরকম লেখা পড়লে ভালোই লাগে।
পাগল মন
তাই নাকি! দাঁড়াও, কালকেই আসা লাগে তোমার বাসার দিকে!
আমি মাংস খুব একটা খাইনা।কোথায় যেন পড়েছিলাম মাংস বিশেষত লাল মাংস না খাওয়া আধুনিক নীতিকথার অংশ।মাছএর প্রতিও খুব একটা প্রেম(ভোজনাসক্তি) নেই আমার।বৌদ্ধনীতিতে আপ্লুত হয়ে একসময় প্রায়ই অন্যদের শোনাতাম, প্রাণিহত্যা মহাপাপ।একবার এক খাইস্ঠা ধরে বসলো আমাকে।গাছের জীবন আছে, অনুভূতি আছে সে তো পুরোনো ঘটনা।তার কথা হচ্ছে, বিশ্বজীবহিতের তরে আমার নাকি পটল তোলা উচিত।জিজ্ঞেস করলাম, কেন? বলে, মাইক্রোবস!
আমি বুঝে গেলাম সে কী বলতে চাইছে।তবুও সে শুনিয়ে দিলো আমার বেচে থাকার তরে প্রতি পলে প্রতি নিশ্বাসে মারা পড়া শত-সহস্র অণুজীবদের কথা!সেই থেকে আমি চুপ।
ব্যাপারটার সাথে খুনাখুনির চেয়ে sentienceটাই মনে হয় বেশি সম্পর্কিত। অণুজীব তো নয়ই, উদ্ভিদ ব্যথা অনুভব করতে পারে কিনা সন্দেহ আছে।
তবে যে যতই ব্যথা পাক, দিন শেষে আমি ঠিকই কামড়াকামড়ি করব।
ভাই, অণুজীবদের থেকে ডিএনএ সংগ্রহ বা অন্য কোনো কারনে আমরা যখন তাদের কোষপ্রাচীর ভাঙ্গি বা নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ছিন্ন করি, ক্রোমোজোমটা তুলে নিয়ে আসি তখন তাদের কষ্ট হয়ই না- তা ক্যামনে বলছেন?
আমরা আমাদের মস্তিস্কের কারণেই ব্যাথা অনুভব করি। অনেক সময় ব্যাথা পাওয়ার কোন কারণ না থাকলেও আমরা ব্যাথা অনুভব করতে পারি কারণ আমাদের স্নায়ু কোষগুলো মস্তিস্কে false alert পাঠাতে পারে। Phantom limb
হল এমন একটা কেইস যখন একজন মানুষের কোন অঙ্গ না থাকা সত্ত্বেও সে সেই অঙ্গকে অনুভব করতে পারে।
দেখাই যাচ্ছে যে বেদনার জন্য আসলে মস্তিস্কই দায়ী। দেহে কোন ধ্বংসাত্মক ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরই কেবল মস্তিস্ক ব্যথার অনুভূতির সূত্রপাত করে। আপনি কোষপ্রাচীর ভাঙ্গবেন, ভাল কথা, কিন্তু এই ভাঙ্গনের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার মত যদি কোন মস্তিস্কই না থাকে তাহলে কোষটির মালিক ব্যথা অনুভব করবে কেমনে?
লেখা ভালো লেগেছে। কোরবানি স্পেশাল হিসেবে পড়তে দেয়া যায় লোকজন ডেকে।
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সময়োপযোগী, উপাদেয় লেখা। কিন্তু জিভের টান থেকে পাগল মন আটকানো বড় কঠিন রে ভাই। অতন্দ্র প্রহরী পাহারা দিলেও কাজ হবে না।
খিদাটা আবার চাগিয়ে দিলেন দাদা। এতো কিছু ভেবে কি খাওয়া যায়? খাওয়ার সময়ে মাথা পুরা খালি রাখতে হয়। তারপর সব চেটে পুটে খাবেন। এরপর ভুড়িকে তার মত করে ইচ্ছেমত বাড়তে দিন। তা্রোপরে যদি আর জায়গা না থাকে তখন বড়সড় এক ঢেকুড় তুলে সোফাতে দুই ঠ্যাং ছড়িয়ে রিমোট নিয়ে বসুন। আহ!!
অনন্ত
ভাই, বাঘ যদি একই চিন্তা করে মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেয় কি হবে একবার ভাবেন। এক প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য অন্য প্রাণী গলাদঃকরন এটাই সম্ভবত স্বাভাবিক। হরিণের অপার্থিব সৌন্দর্যে বাঘের মুগ্ধ হওয়া চলে না।
"ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে" গানটা একদিন খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম। ওই একদিনই প্রাণী হত্যা মহাপাপ ধরনের চিন্তুা মাথায় ঢুকেছিল। তারপর আর মনে নেই।
সবাইকে আসন্ন (এ্যানথ্রাক্সাক্রান্ত) গরুনিধনযজ্ঞের আগাম শুভেচ্ছা... নীল সিয়া আসমান লালে লাল দুনিয়া ...
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
মানুষ একটি অতি ভাবুক প্রাণী। সবই করিবে কিন্তু ভাবিয়া করিবে। ভালু ভালু...
শুধু পশু-পাখির কথা না বলে যদি সব জীবের কথা বলি তাহলে সার হচ্ছে একজন আরেকজনকে খাবে এটাই নির্বন্ধ। আগামীকালের বিজ্ঞান যখন গাছেদের, জীবাণুদের চিৎকার-হাহাকার আমাদের শোনাবে তখন vegetarian আর vegan-রা কোথায় যাবেন? জৈন মতবাদের জীবহত্যা সংক্রান্ত অণুশাসনের এই অংশগুলো কিন্তু কালের বিচারে ফিকে হয়ে গেছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
নাহ, টুকুন গল্পের লোভে পড়ে যাচ্ছি...
_________________________________________
সেরিওজা
গরু ছাগল তো আর বড় হয়ে মানুষ হবে না? ওদের জীবনের স্বার্থকতাই হলো মানুষের পেটে যাওয়া!
আমরা সকলেই নরভূক ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
মন্তব্যের নানামুখী দৌড় দেখে
বাঁচতে হলে খেতে হবে, কিন্তু বেহেস্তের লোভে উৎসব করে প্রাণী হত্যায় সমর্থন নাই। বিভৎস
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বেহেস্তের লোভ নাকি বাহানা?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বেচারা বাঘ হরিণচরার মাঠের পাশের ঝোপে বসে গান গাইতো
"থাক থাক নিজমনে চরিতে
আমি শুধু পেটখানি ভরিতে
পরশ করিবো ওর প্রাণমন "
আরে খাদ্য যাহা তাহা তো খাইতেই হইবে, বিবর্তন আমাদের শ্বদন্ত দিয়াছে, তাহা কেন? ভাবুন একবার। মাংস ছিঁড়িয়া খাইবার জন্য। আমাদের দুইখানা চোখ পাশাপাশি, মুখমন্ডলের সমুখ দিকে। শিকারকে জীরো ইন করার জন্য। যদি নিরামিষই খাইবো তাইলে চোখ তো দুইপাশে থাকতো খরগোশ ছাগল গরু ভেড়ার মত।
আরে মাছখাওয়া ছেড়ে দিলে নদীতে নৌকা চলতে পারবে না, এত মাছে মাছে গিজগিজ করবে! মাংস খাওয়া ছেড়ে দিলে গরুছাগলভেড়াশুয়োরে দুনিয়া ছেয়ে গিয়ে গাছপালা সাফ হয়ে যাবে। এইসব চেক করে রাখতে হবে না?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইয়ে, এই জীবনে মনে হয় না কোনদিন অ-মাংসভোজী হতে পারবো ....
খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে আর কিছুতেই সংবেদনশীল হতে পার্ত্তেসি না
আমিও...
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার এক কোরিয়ান বন্ধু আমাকে বলেছিলো যে জিনিস আকাশে উরে কিন্তু উড়োজাহাজ না খেয়ে ফেলতে, আবার যে জিনিসের চারটা পা আছে অথচ টেবিল কিংবা চেয়ার না খেয়ে ফেলতে। আমি শুধু শুনছিলাম বলার কিছু পাচ্ছিলাম না।
ভালো লাগ্লো আপনার লেখা পড়ে।
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বেগুন ছাড়া দুনিয়ার সব প্রাণী মানুষের খাদ্য। আমারও
জিব আহা লকলকে... খাওয়া মিস করতে চাইনা।
দ্রোহী র ভাষায় "ফুড চেইনের উপরের দিকে আছি। তাই সব খাব। সবাইকে খাব।"
নতুন মন্তব্য করুন