ইন্দুর আর বিলাই
আমাদের মহল্লায় শহীদুল জহির থাকতেন। মহল্লায় যুদ্ধ বা অযুদ্ধ থাকাকালীন সময়ে কিছু মানুষ বিলাই সাজে আর কিছু মানুষ ইন্দুর হয়। শহীদুল জহির এসব খেয়াল করেন। বিলাই আর ইন্দুরের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত ভালো মতো গল্পে লিখে দেন। আমাদের মহল্লার ইন্দুর বিলাই খেলা অন্যান্য মহল্লা খেয়াল করে। সেখানেও এই খেলা চালু হয়। এরপর মহল্লার পর মহল্লা মেতে উঠে ইন্দুর বিলাই খেলায়। একসময় দেখা যায় কিছু মানুষ ইন্দুর সাজে আর কিছু মানুষ বিলাই হয়।
রেঙ্গুন শহর
রেঙ্গুন শহরের গল্প অনেকের মুখে শোনার পর আমি শহরটিতে যাই। মুগ্ধ হই। রেঙ্গুন শহরের মেয়েদের কথা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানে শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবের গলায় অনেকবার শুনেছি। শহরে ঢুকে আমি মনে মনে মেয়েদের খুঁজি। কিন্তু যে কয়েকজনকে দেখি তাঁরা বৃদ্ধা। শহর চষেও আমি একজন তরুণী দেখি না। ফলে রেঙ্গুন শহর আমাকে দ্রুত হতাশ করে। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করি। তারা জানায় এই শহরের মেয়েদের একটা রোগে ধরেছে। প্রোজেরিয়া। রেঙ্গুন শহর থেকে নিজের শহরে ফিরে আসি। খাওয়ার টেবিলে মা জানায় আমাকে কেমন জানি বুড়ো বুড়ো দেখাচ্ছে। একদম চমকে উঠি।
মাই নেম ইজ ফরেস্ট গাম্প
মাই নেম ইজ ফরেস্ট গাম্প। পীপল কল মি ফরেস্ট গাম্প। - পত্থমবার ফরেস্ট গাম্প যখন দেহি নইড়াচইড়া উঠি। হালার এই বুকা লুক খালি দৌড়াইয়া সবাইরে পেছনে ফালায়া দিতেছি আর আমি কি করতেছি। এইসব নানা কিছু ভাইবা টাইবা পরদিন সকালে আমিও দৌড়ানো ধরি। ঘটনা হইতেছে একটু দৌড়াইয়া হাঁফাইয়া পড়ি তারপর বাসায় ফিরা গিয়া এক জগ পানি আর গ্লাস নিয়া বসি। পানি খাইতে খাইতে গাম্পরে গাইলাই। ফ্রিজের পাশে লাগানো সিনেমাটার ছোটো পোস্টার আগে দেখি নাই। নিশ্চয় বড়ভাই লাগাইছে। ভিজা হাতে গাম্পের পোস্টারটা চুপসায়ে দিয়ে বিছানায় শুইয়া পড়ি।
মন্তব্য
মুলবই এর সহায়ক নোটবই এর মতো এই পোস্ট এর একটা নোটপোস্ট দেয়া যায়না?
আরে না। এগুলা আব্জাব্ হিসেবে পড়লেই হয়। সিরিয়াস কিছু না।
মন্তব্যের জন্য
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বয়স হইতেছে, আমিও টের পাই!!!!
আমি মেঘের দলে আছি, আমি ঘাসের দলে আছি
অলস সময়
আহারে।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
সবই তো বুঝলাম, কিন্তু বিষয়টা কি ?
সিরিকাস কিছু লিখতে পারছি না অনেকদিন ধরে, তাই এইসব আব্জাব্।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
পয়লা দুইটা বুঝছি
তিন নম্বরটা বুঝি নাই
(জংলি গাম্পের ছবি দেখছি। তাও বুঝি নাই)
তৃতীয়টার সহজ সমীকরণ: উত্তম পুরুষের বয়ানকারীকে গাম্প কাতারের লুক ভাইবা লন।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
১। প্রথমটা বুঝিনাই।
২। রেঙ্গুনের গল্পটা একটা চুটকি মনে পড়িয়ে দিল। আগেই শুনে থাকবেন। পাহাড়ী উপজাতীয় এক গোত্রের লোকেরা নাকি শ' বছর বাঁচে। এক গবেষক সেখানে গিয়ে প্রথম যে বুড়োকে সামনে পেল, তাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনারা এত বছর কিভাবে বাঁচেন? বুড়ো বলল প্রতিসকালে এক ভাড় চমরি গাইয়ের তাজা দুধ খাই। আরেক বুড়োকে গবেষক একই প্রশ্ন সুধালে উত্তর পান, পাহাড়ী নদীতে প্রতিদিন সাতটা ডুব দেই। সামনে দিয়ে যাচ্ছিল এক অশীতিপর, হাত মুখের চামড়া কুঁচকে কিশমিশ। গবেষকের একই প্রশ্ন তার প্রতি। উত্তর এল....ইত্যাদি ইত্যাদি।
৩। গাম্প একটাই। ওয়ান পিস মেড, তারবাদে কারিগর ডেড।
১। প্রথমটার দ্বিতীয় আর অষ্টম লাইনেই সব কথা বলা আছে। ইন্দুর যদি শোষিত ধরে নেই, বিলাই তাইলে শাসক। এভাবেও বলা যায় প্রলেতারিয়েত আর বুর্জোয়া। নতুন কিছু বুর্জোয়া কন্সপির্যাসি থিয়োরি চালু হয়েছে। গরীবরা তাদের দারিদ্র্য নিজেদের ইচ্ছায় নিয়েছে নাকী তাদের ওপর এটা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কন্সপির্যাসি থিয়োরি অনুসারে- গরীবেরা এটা নিজেরাই বেছে নিয়েছে। উন্নত বিশ্বের মানুষের সাথে তৃতীয় বিশ্বের মানুষকে এর সমান্তরালে চিন্তা করতে পারেন। ব্লু ব্লাড কনসেপ্ট বা সুপারম্যান ইগো ইদ (Ego Id) গুলে খাওয়ানো হচ্ছে মানুষকে। ঠিক মনে করতে পারছি না- বোধ হয় হ্যারি পটার সিরিজের কোথাও লেখা ছিল - উইজাড না হওয়ার ব্যাপারটা কিছু লোক নিজেরাই বেছে নিয়েছে।
ফলে এইসব হয় আর সাজে।
২। শুনেছি বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু মনে নেই। পুরোটা বলেন।
৩। হ।
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
১। খুব সম্ভবত কচি খন্দকারের কোন এক নাটকে এই শহীদুল জহির ছিল।আর ব্যাপারটা সেখানেই দেখা।
২। রেঙ্গুনের গল্প।
৩। আপনাকে ঐভাবে দৌড়ানোর জন্য অটিস্টিক হতে হবে। আপনি তো তা না।
এই হল আমার সাধারণ চিন্তার ফলাফল।কিন্তু তিনটার যোগসূত্র ঠিক বুঝতে পারলাম না।হতে পারে আপনি বিশেষ কোন বা কিছু ব্যক্তিকে কোন বার্তা জানানোর চেষ্টা করছেন যা আমার বোঝার কথা না।
~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)
১। কচি খন্দকারের নাটকটা দেখি নাই। শহীদুল জহিরের গল্প নিয়ে নূরুল আলম আতিকের একটা নাটক দেখেছি। চতুর্থ মাত্রা। আতিকের কাজ খুব ভালো লেগেছিল।
৩। বয়ানকারীকে অটিস্টিক ধরে নেন।
সম্পর্ক আছে। সবই হতাশার গল্প। সবকিছু বিষাদময়। সবাই বিষাদগ্রস্থ। আমার প্রায় সব টুকুন গল্পেই একই অবস্থা।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বুঝছি নাকি বুঝি নাই তাই তো বুঝতেছি না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরে অভিনন্দন। আপনাকে নিয়ে কিছু অপপ্রচার কানে আস্তেছে।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
টুকুন গল্পের সৌন্দর্য্যটা আমি এখন ধরতে পারি। ...
সিরিয়াসলি, চালিয়ে যান। এই ফরম্যাটটা এখন আমার কাছে অনেক আকর্ষণীয় লাগছে এখন।
_________________________________________
সেরিওজা
বুঝছি। তুমি হাল ছাইড়া দিসো।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
তারা দিলাম।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
হুমম
অনন্ত
আইচ্ছা।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
৩। এটা মৌলিক হয়েছে। তবে এমন আইডিয়া নিয়ে ছোট ছোট আরো কাজ আছে।
২। এই আইডিয়ার গল্প আরো আছে। এমনকি আমাদের প্রচলিত উপকথা বা লোককথাতেও।
১। এটা শহীদুল জহিরের ছায়ার ভেতর না তার বাড়ির ভেতর বসে থাকা গল্প হয়েছে। বড় লেখকের ছায়া বা বাড়ির ভেতর বসে থাকাটা বিপদজনক।
এই টুকুনগল্প তিনটা আগেরগুলোর তুলনায় দুর্বল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
স্যার, আরো ভালো করনের চেষ্টা করতেছি স্যার।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
নতুন মন্তব্য করুন