১৯৫৮ সালে চীনের চেয়ারম্যান মাও জেদং কৃষকদের কথা ভেবে চারটা ক্ষতিকারক প্রাণীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন। চালু করা হয় চার বছরব্যাপী ফোর পেস্ট ক্যাম্পেইন। ইঁদুর, মাছি, মশা আর চড়ুই চীন থেকে তাড়াতে শুরু হয় ব্যাপক প্রচারণা। চড়ুই খারাপ কারণ তারা বীজ খায়। ঢোল, বাসনপত্র বাজিয়ে বাজিয়ে চীনের লোকজন চড়ুইদের ওড়াতে ওড়াতে ক্লান্ত করে। বাচ্চারা বুড়োরা তখন কানটা গুলতি দিয়ে থরে থরে চড়ুই মারে। আঞ্চলিক সুমারি অফিসগুলো মরা মশা মাছি ওজন করে আর গুনতে থাকে ইঁদুর আর চড়ুইদের মৃতদেহ। সাংহাই ১৯৬২ সালে তাদের অঞ্চলের সুমারি ফলাফল জানায়। ৪৮,৬৯৫.৪৯ কেজি মরা মাছি, ৯৩০,৪৮৬ টি মৃত ইঁদুর, ১,২১৩.০৫ কেজি মরে যাওয়া মশা, ১,৩৬৭,৪৪০ টি মৃত চড়ুই। ১৯৬০ সালে চীনের ন্যাশানাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স জানায়- চড়ুই বীজ যা খায় তার চেয়ে বেশি খায় পঙ্গপাল। মাও এদের কথা কানে তোলেন না। প্রচারণা অব্যাহত রাখতে বলেন। চড়ুই না থাকায় পঙ্গপাল বাড়তে থাকে। শুরু হয় দুর্ভিক্ষ। মারা যায়, সরকারি হিসাবমতে, তিন কোটি আমজনতা। বেসরকারি হিসেবে, সাড়ে চার কোটি মানুষ। এতো এতো মৃত্যুতে চেয়ারম্যান গা না করে নিজের আয়ু বাড়ানোর বটিকা হিসেবে কুমারী গমনে ব্যস্ত হন।
চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান
চীনের পথ আমাদের পথ। চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান।– নকশাল আন্দোলনের নেতা চারু মজুমদারের কথাগুলো এপাড় বাংলাতেও শোনা যেত। কৃষি বিপ্লব, শ্রেণীশত্রু খতম এসব কথা শুনতে শুনতেই একটা আস্ত যুদ্ধ সামনাসামনি এসে পড়ে মাওবাদী, পিকিংপন্থী কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্যদের সামনে। চীন আমেরিকার দোসর হয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিলে সমস্যা আরো গুরুতর হয়। শ্রেণীশত্রু নির্বাচনে তাদের চোখের চশমা আরো ঘোলাটে হয়ে পড়ে। এদের কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণীশত্রু ভেবে নেয়। কেউ কেউ নিষ্ক্রিয় থাকে। তবে বিপ্লবী কিছু সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে নেয়- চীনের চেয়ারম্যান কোনো কারণেই আমাদের চেয়ারম্যান হতে পারে না। ফলে দেরি না করে রাজাকার আর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়ে। এদের কয়েকজন শহীদ ও হন।
চেয়ার বিষয়ক শূন্যতা
মন্তব্য
চড়ুই বিষয়ক গঠনাটা জানতাম না। মানুষ এতো বেকুব হয় কেম্নে? যতই সমাজতান্ত্রিক বলা হোকনা কেন, চী্নের শাসন এখন একটি সিন্ডিকেটেড গ্রুপের হাতে ন্যস্ত। এটা কোনো স্ট্যাবল সিস্টেম না। যে কোনো সিস্টেমই স্ট্যাবিলিটির দিকে যায়। তাই আমার মনে হয় চীনের এই সিস্টেমও একদিন কলাপ্স করবে। তবে এই কলাপ্স হয়ত, আমরা যেভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রে দেখে এসেছি সেভাবে হবে না। এটা খুব স্মুথও হতে পারে।
অনন্ত
সব ism / dogma -র সীমাবদ্ধতা আছে। সেটা তাত্ত্বিকভবে তো বটেই, আবার প্রায়োগিকও। মানুষের ব্যক্তিগত লোভের কাছে তাই বারবার হেরে যাতে থাকে সুষম বন্টনের স্বপ্ন।
তবে চীনে তো এখন বাজার অর্থনীতিরই জয়কার। দেং জ়িয়াওপিং এর মত কেউ একজন হয়ত তথ্য প্রকাশের কট্টর নীতি থেকে সরে আসার উদ্যোগ নিবে।
ফাহিম হাসান
মাও একনায়কের মতো চীন শাসন করেছেন টানা সাতাশ বছর। কৃষক নেতা হয়েছেন, অথচ কৃষিকাজের কিছু জানতেন না। চড়ুই নিধনের মতো বেআক্কেলে কাজ শুরু করেও একগুঁয়েমি করে সেটা বন্ধ করেন নাই। মধ্যে মারা গেল সাড়ে চার কোটি লোক।
খুব ভালো লাগলো। নামে গরীবের ভালো চাওয়া সকল তত্ত্ব আর তন্ত্রের মত সমাজতন্ত্রও হচ্ছে মধ্যবিত্তের কর্তৃত্ব-অভিলাষপূর্ণ। এটাতো বুর্জোয়ারই তত্ত্ব। এর তাত্ত্বিকরাও বুর্জোয়া, এর বিপ্লবীরাও বুর্জোয়া। সমাজতন্ত্র মোটেও গরীবের তন্ত্র না। এর চেয়ে ধর্মও অনেক ভালো।
ভাই, আপনার ক্ষোভ বুঝতে পারছি। শ্রদ্ধ রেখেই বলছি -
কথাটা ঠিক নয়। তাত্ত্বিকরা বুর্জোয়া ছিলেন না। যে সব রাষ্ট্রকর্তা এর এর প্রয়োগ করেছেন তারা ছিলেন বৈকি!
তাত্ত্বিকরা কেউ তো তা দাবী করেনি ভাই। এটা শুধু সম্পদের (endowment) বন্টন (allocation) নিয়ে তত্ত্ব। বাজার অর্থনীতির মত এই থিওরীরও কিছু assumption আছে। বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে গেলে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। আর সব রাষ্ট্রের অবকাঠামো তো এক নয় - তাই প্রয়োগটা ভিন্ন ভাবে হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
যেসব যেসব জায়গায় বুর্জোয়া শব্দটা ব্যবহার করেছি, তার উপযুক্ত ক্ষেত্রে পেটি বুর্জোয়া শব্দটা ব্যবহার করে কি টেকনিক্যালি আরেকটু সঠিক হওয়া যায়? আর একটা পুঁজিবাদী তন্ত্রে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীরা তো সরাসরি সমাজতন্ত্র কায়েমের আশা করছে না। প্রলিতারিয়েতের তন্ত্রের মধ্য দিয়েই যেতে চাচ্ছে। উত্পাদনের প্রাচুর্য্যের সময়ে সাম্যবাদই কায়েম হবে, এমন প্রকল্প কি সঠিক না বেঠিক, সেটা নিয়ে আমার এখনের তর্ক না। ফলে আমি সমাজতান্ত্রিক ইমান আর সেইটা কায়েমের জন্যে আমলগুলোকে সতর্কভাবে আলাদা না করলেও, এই মিশ্রণ-সঞ্জাত সম্ভাব্য টেকনিক্যাল ভুল বক্তব্যে খোঁজার চেয়ে আমার বক্তব্যকে বিদ্যমান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের চেতনা ও উপায়ের সমালোচনা হিসেবেই নেওয়া উচিত।
শ্রেণীমুক্ত সমাজের যে প্রয়োজনীয়তা, সেটা প্রলিতারিয়েতের মননে উদ্ভূত হয় নাই, সে এইটার জন্যে সংগ্রামও করে নাই। অ-প্রলিতারিয়েত তাত্ত্বিক আর বিপ্লবীর যে প্রলিতারিয়েতের তন্ত্র প্রতিষ্ঠার এবং তার মাধ্যমে শ্রেণীহীন রাষ্ট্রে ধাবনের সংগ্রাম, এইটা যেহেতু প্রলিতারিয়েতের মননে উদ্ভূত আদর্শ না, এটাকে ওই অ-প্রলিতারিয়েত তাত্ত্বিক বিপ্লবীদের কর্তৃত্ব অভিলাষ হিসেবে না দেখার উপায় নাই। শ্রেণীহীন সমাজ কোনো শ্রেণীর মানুষেরই গণ-চাওয়া হিসেবে যেহেতু আবির্ভূত হয় নাই, আমি অ-প্রলিতারিয়েত কিভাবে প্রলিতারিয়েতের হয়ে তন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি, আর কিভাবেই বা আমার শ্রেণী লোপাটের ইমানকে আমার কর্তৃত্বপূর্ণ অভিলাষ হিসাবে না দেখি? বিপ্লবে জিতে গেলে ঐটা আমারই তন্ত্র হবে নাকি, প্রলিতারিয়েতের তন্ত্র তো না।
এটা মানতে পার্লাম না।
শুধু মার্ক্স নিয়েই কিছু কথা বলি। তিনি ফাঁনো বা গ্রামসিদের মতো মাঠ পর্যায়ের কর্মী ছিলেন না। লাইব্রেরিতে বসে বসে গবেষণা করেছেন। অ-প্রলিতারিয়েত তাত্ত্বিক বিপ্লবীদের কর্তৃত্ব অভিলাষ হিসেবে তাঁর কাজকে বিবেচনা করা যায় না। ফাঁনোরা কিন্তু মার্ক্সের কথাবার্তা মাঠ পর্যায়ে ফলানো যায় কিনা চেষ্টাচরিত করেছেন। এখানে তাত্ত্বিককে প্রলেতারিয়েত না বুর্জোয়া নাকি তাকে পেটি-বুর্জোয়া কোন কাতারে দাঁড় করানো যায় সেটা মূল আলোচনা হতে পারেনা।
পল জনসনের ইন্টেলেকচুয়ালস পড়ে দেখতে পারেন। মজা পাবেন। বইটাতে কম্যুনিস্ট মেনিফেস্টোর লেখক মার্ক্সকে গালি দিতে দিতে এক জায়গায় বলেছেন-
He led a peculiarly unhealthy life, took very little exercise, ate highly spiced food, often in large quantities, smoked heavily, drank a lot, especially strong ale, and as a result had constant trouble with his liver. He rarely took baths or washed much at all. This, plus his unsuitable diet, may explain the veritable plague of boils from which he suffered for a quarter of a century. They increased his natural irritability and seem to have been at their worst while he was writing Capital. ‘Whatever happens’ he wrote grimly to Engels, ‘I hope the bourgeoisie as long as they exist will have cause to remember my carbuncles.' The boils varied in numbers, size and intensity but at one time or another they appeared on all parts of his body, including his cheeks, the bridge of his nose, his bottom, which meant he could not write, and his penis.
[Johnson, Paul, Intellectuals, Herper & Row Publishers, New York, 1988, pp 73]
ধনতন্ত্রে মানুষকে শোষণ করে মানুষ, সমাজতন্ত্রে ঘটে এর উল্টোটা।
(সূত্র: সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ)
সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ ভালু পাই
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
রিগ্যানও বইটা ব্যাপক লাইকাতেন।
এটার মত বাংলা কৌতুক/প্রবাদ আছে- "লাউ মানে কদু, আর কদু মানে লাউ।"
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
এই টুকুন গল্প ব্যাপ্তিতে বিশাল। লাইনের ফাঁকে ফাঁকে আস্ত উপন্যাস গুঁজে দিয়েছেন দেখি !
ফাহিম হাসান
যদিও টুকুন গল্প ট্যাগ দিয়েছি এগুলো আসলে ঐতিহাসিক টুকুন ব্লগরব্লগর।
যে মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য কোটি হিসাবে মানুষ মারতে হয়, পরিবেশ ধ্বংস করতে হয় (একাধিক উদাহরণ আছে) সেই মতবাদ যে লাগসই নয়, এবং সঠিকভাবে প্রযুক্ত নয় সেটা বোঝার জন্য গবেষক হওয়া লাগেনা। যে মতবাদ এমন নিষ্ঠুরভাবে প্রয়োগ করতে হয়, আবার প্রয়োগকারী একনায়কের প্রয়াণের সাথে সাথে গোকুলে বাড়া দুষ্টের দল ক্ষমতায় বসে যেতে পারে সেটা টেকসইও নয়।
পৌত্তলিকতা বড় কঠিন জিনিষ। এটা যে শুধু ধর্মবিশ্বাসীদের মগজ গ্রাস করে তা নয়, ধর্মকে যারা গুরুত্ব দেন না কিন্তু অন্য কিছুকে ধর্ম বানিয়ে ফেলেন তাদের মগজও গ্রাস করে। এজন্য বেশিরভাগ মানুষের কাছে প্রশ্নাতীত ঊর্ধ্বে বাস করেন এমন অবতার/সন্ত/ইমাম/পীর/সাধু/নেতা/তাত্ত্বিক দরকার হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একবার জনৈক 'আজিজের আঁতেল' গুরু হয়ে আমার ঘাড়ে চড়ে বসার ভীষণ চেষ্টা করেছিল। পরে জানা গেল তারও একটা মতবাদ আছে।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আজিজের এক কড়া বাম সিনিয়র ভাই (১ বছরের বড়, যার নাম বলবো না, সচলের প্রায় সবাই তাকে চিনবেন বলেই আমার ধারণা) বলেছিলেন,
আমি বললাম যে ভাই মোহাম্মদ তো আমার মহানবী, আপনার না? তিনি বললেন, লেটস টক ইন এ্যাকাডেমিক ফোকাসড। উনি উত্তরটা এড়িয়ে গেলেন।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হ।
আমি চিন্তা করছি, ওরা মারছে ভালো কথা, সেগুলো আবার ওজনও করছে, গুনছেও! সত্যিই চীনা জাতি জিনিস একখান।
কিভাবে মশা আর মাছিগুলা ওজন করছে সেটা চিন্তা করে হাসি পাচ্ছে। শুভাশীষদা একটু বলবেন কিভাবে এটা সম্ভব হল? প্লীজ।।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
মনে হয় এটাও প্রচারণায় ছিল- কে কয়টা মারছস সব এক জায়গায় রাইখা দিবি।
এটাই চীন। ওদের পক্ষেই এইসব সম্ভব। আমাদের দেশনেত্রী গেছেন তাদের বুদ্ধি নিতে।
____________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
চীন থেকে বাণিজ্য বুদ্ধি আনলে খ্রাপ হবে না।
কিন্তু আনবেন রাজনৈতিক দুর্বুদ্ধি। আর এটাই আমাদের বর্তমান রাজনীতিবিদদের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য।
______________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
চীন থেকে কোনও বুদ্ধি আনাই সমিচীন হবেনা। বুদ্ধি চাইলে ওরা হয়তো বলে বসবে কাজী জাফর আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানালে তবেই ওরা বুদ্ধি দেবে। চিনিতে চিনিতে দেশ ছয়লাব হয়ে যাবে।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দুর্দান্ত!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ব্যাপক!!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এইটা কি হৈলো ?? !!!
... প্রথম প্যারার ঘটনাটুকু আমিও কোথাও পড়সিলাম বলে মনে হচ্ছে আবছাআবছা। শেষের চেয়ার বিষয়ক ঐটা পড়ি নাই অবশ্য।
_________________________________________
সেরিওজা
প্রথম গল্পের চড়ুই মারার ঘটনা আমি জানতাম না। Mao's Great Famine এ পেলাম।
মুক্তিযুদ্ধে অনেক বামপন্থী তরুণ অংশগ্রহন করতে পারে নি,ট্রেনিং এর পূর্বে সবারই রাজনৈতিক আদর্শ বিবেচনা করা হত,বামপন্থী হলে তাকে সাথে সাথে বাদ দেয়া হত কারন মুজিবনগর সরকারের ভয় ছিল এতে মুক্তিযুদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের হাত থেকে বামপন্থীদের কাছে চলে যাবে। আবার সিরাজ শিকদারের মত অনেকে ভারতের সাহায্য ছাড়াই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে।
মুক্তিযুদ্ধের ঐ জরুরী সময়ে- হানাদার বাহিনীর গোলাগুলির নিচে বসে- নেতৃত্ব কার হাতে যাবে টাইপের চিন্তা করার সুযোগ কিভাবে থাকে জানি না।
থিয়েটার রোডের বাংলাদেশের সরকারের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনেক কিছুই ঘটেছে যা আমরা জানি না। পশ্চিমবঙ্গের নকশাল আন্দোলনের কথা চিন্তা করে আওয়ামীলীগ চায়নি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীরা অংশগ্রহন করুক ,তাছাড়া আওয়ামীলীগের নিজের ভিতরই তো অনেক বিভাজন ছিল ।চীন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়ে হঠকারী সিধান্ত নিয়েছিল, আর এর প্রভাব এসে পড়েছিল এদেশের বামপন্থী রাজনীতির উপর ,আগে থেকেই মস্কো পিকিং প্রশ্নে বিভাজিত এদেশের বামপন্থী রাজনীতি এক গভীর সংকটে উপনীত হয়। একদল চীনের চামচামি করতে গিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করে ,আর এক পক্ষ ভারতের আগ্রাসনের প্রশ্নে জাতীয়তাবাদীদের সাথে মতবিরোধে জড়িয়ে পরে। যদিও এই বিপ্লবীরা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহন করেছে তারপরেও ইতিহাসে তাদের কথা উহ্যই রয়ে গেছে।
আমার গল্পটাতে আপনার কথাগুলোই একটু নির্লিপ্তভাবে লেখা।
প্রত্যেকটার জন্য
চীনা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অপর পিঠের মিশে থাকা ভয়াবহতা নিয়ে একটি বই পড়েছিলাম, তখন থেকেই এই ধারণা মনে বদ্ধমূল হয়, 'পাওয়ার করাপ্টস, এবসলিউট পাওয়ার করাপ্টস এবসলিউটলি'!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
চীনের এইসব কাজ দেখে খুব অচিন মনে হয়।
চীনের চেয়ারম্যান কোনো কারণেই আমাদের চেয়ারম্যান হতে পারে না।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হ।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
চীন লইয়া পড়ছেন দেখি, পরথমটা পইড়া বুকে চিনচিন ব্যথা করল
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সেটাই
ভাল লাগলো!!!!
আপনার গল্পগুলোর ভেতরের মেসেজটা খুব পাওয়ারফুল হয়|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ, দময়ন্তীদি।
আম্মার কাছে শুনেছি যে তারা (মস্কোপন্থি বামেরা) ছাত্রজীবনে মিছিলে স্লোগান দিতেন-
হো-হো মাও-মাও
দুর হও নিপাত যাও।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হো চি মিনকে গালি দিয়ে মার্চ করতো আম্রিকান সৈন্যরা। ফুল মেটাল জ্যাকেটে দেখসি।
মনের মুকুরের কল্যানে একটা দারুণ লেখা আরেকবার পড়লাম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নতুন মন্তব্য করুন