এবারের বিষয় ফাউস্ট। গ্যোতের অমর কাব্যনাটক। আহমদ ছফা গ্যোতের এই ক্লাসিক নিয়ে উচ্ছসিত ছিলেন। দীর্ঘসময় ধরে এর অনুবাদ করেন। বাংলা ভাষায় ফাউস্টের অনুবাদ প্রথম নয়। কানাইলাল গাঙ্গুলী, মহীউদ্দিন আর শুধাংশু চট্টোপাধ্যায়ের করা আলাদা আলাদা তিনটা অনুবাদ ছফার হাতে তখনই ছিল। কিন্তু মনঃপুত না হওয়ায় এগুলোকে রেখে একটা নতুন অনুবাদের হাত দিয়েছিলেন। কানাইলান গাঙ্গুলী মূল জার্মান ভাষা থেকে ফাউস্ট অনুবাদ করেছিলেন। অন্য দুইজন লুই ম্যাকনিসের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলা করেছিলেন। কানাইলালের অনুবাদকে ছফা গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু মহীউদ্দিন সাহেবের অনুবাদ নিয়ে বলেছেন- ভাষা অস্বচ্ছ আর দুর্বল। আর শুধাংশু সাহেবেরটা আক্ষরিক।
ছফা ফাউস্ট হাতে পান উনিশশো চৌষট্টিতে। ১৯৭০ সালের দিকে বেশ কিছুটা অনুবাদ করা ধরেন। কিন্তু কাজে ভাটা পড়ে। পরে আবার নতুন জোশে অনুবাদ করতে শুরু করেন ১৯৭৫-৭৬ সালে। সেইসময়ে মাসিক ‘সমকাল’-এ ধারাবাহিকভাবে লেখাটা প্রকাশিত হতে থাকে। ছফা সেইসময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা থিসিসের কাজ করছিলেন। গ্যোতের কাব্যশক্তির সুষমা দেখে নিজের কাজকে নিতান্ত অশ্লীল মনে করায় থিসিস করার কাজ বাদ দেন। ঠিক একই সাথে অনুবাদে আগ্রহ কমে যায়। ফলে আবার বিরতি। ১৯৮৬ সালে ছফা জার্মান ভাষা শেখার জন্য জার্মান কালচারাল সেন্টারে ভর্তি হন। অনুবাদে আবার আগ্রহ আসে। বাকিটুকু শেষ করে ফেলেন অল্পদিনেই। অনুবাদ করেছেন লুই ম্যাকনিসের ইংরেজি অনুবাদ থেকে। মানে দাঁড়াচ্ছে অনুবাদের অনুবাদ। ছফার অনুবাদের সাথে অন্যদের অনুবাদের পার্থক্য- ছফা চেষ্টা করেছেন ফাউস্টকে জার্মান পরিপ্রেক্ষিত থেকে সরিয়ে বাঙালি ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির মধ্যে নিয়ে আসতে। ছফার ফাউস্ট অনুবাদে প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক উৎসাহ দিতেন। লোকজনের সামনে ফাউস্ট অনুবাদ থেকে আবৃত্তি করতে বলতেন। অনুবাদ গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় মুক্তধারা থেকে। ছফা ফাউস্টের প্রথম অংশের অনুবাদ করেন। দ্বিতীয় অংশের অনুবাদের অগ্রগতি নিয়ে কোনো তথ্য জানা নাই। আহমদ ছফা তাঁর অনুবাদ গ্রন্থে সুদীর্ঘ একটি ভূমিকা লিখেন। ভুমিকার শেষের দিকে লিখেন-
... আক্ষরিক অনুবাদ আমি করিনি। ভাবানুবাদ করেছি, একথাও সঠিক নয়। ফাউস্টকে জার্মান পরিপ্রেক্ষিত থেকে তুলে এনে বাঙালি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মধ্যে যাতে প্রতিষ্ঠিত করা যায় সে রকমের একটা প্রচেষ্টা আমি করেছি। জার্মান ছন্দ অনুবাদ করার প্রশ্নই আসে না, কারণ সেই যোগ্যতা আমার হয়ত কোনোদিন জন্মাবে না। তাই বাংলা ছন্দ যেটা যখন স্বাভাবিক মনে হয়েছে, সেটাই ব্যবহার করেছি। কৃত্তিবাস, কাশীরাম, বৈষ্ণব কবিকূল, আলাওল, ভারতচন্দ্র, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, নবীনচন্দ্র সেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে আধুনিক কবিদের শব্দসম্ভার পর্যন্ত আমি অবলীলায় গ্রহণ করেছি। এই অনুবাদের কাব্যভাষার জন্য রবীন্দ্রনাথই যে আমাকে সর্বাধিক সাহায্য করেছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নাই। প্রাচীন ভাষারীতির সঙ্গে চলিত ভাষার মিশ্রণ ঘটিয়ে একটা ক্লাসিক আবহ তৈরি করা যদি কৃতিত্বের কাজ হয়ে থাকে, সেটুকু আমি দাবী করতে পারি। (ছফা ২০০৮: ৩৩৬)
পড়তে গিয়ে ছফার অনুবাদ বেশ কিছু জায়গায় আড়ষ্ট লেগেছে, কিছু জায়গায় খটোমটো, আবার অনেক জায়গায় বেশ খোলতাই। ছফার অনুবাদ পড়ার সময় ইংরেজিতে অনুবাদ করা বেশ কয়েকটি অনুবাদ সংগ্রহ করেছি। বেয়ার্ড টেইলর (১৮৭০), আনা সোয়ানুইক (১৮৮৩), আব্রাহাম হেইয়োর্ড (১৯০৮), ক্যালভিন থমাস (1922), ওয়াল্টার কফম্যান (1961) এই পাঁচটি ইংরেজি অনুবাদ উল্টেপাল্টে দেখেছি। ওয়াল্টার কফম্যানের অনুবাদ বেশ ছন্দময় আর পড়তে আরাম।
গ্যোতে ছিলেন একাধারে কবি, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, প্রশাসক, নাট্যকার, খনিজ-বিশেষজ্ঞ। জন্ম ১৭৪৯ সালের আটাশে আগস্ট জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে। ছোটোবেলা থেকেই কবিতা লেখার ঝোঁক ছিল। লাইপসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন। সেখানে দুই বছর পড়াশোনা করে স্ট্রাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান। ডক্টরেট ডিগ্রী না পেলেও আইন ব্যবসা করার সনদ লাভ করেন।
গ্যোতে কর্মপ্রাণ লোক ছিলেন। ১৭৭৬ সালে ভাইমারের ডিউক কার্ল আগুস্টের মন্ত্রীসভায় খনিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন। তামার কিছু পুরানো খনি নতুন করে চালু করেন। স্কুল নির্মাণ, রাস্তা বানানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। নানারকম কারখানা স্থাপনের ব্যবস্থা করেন। ভাইমারের বাজেট প্রণয়নের দায়িত্ব ছিল তাঁর উপরে। ভাইমার থিয়েটার পরিচালকের দায়িত্ব ও পালন করেন। বিজ্ঞানের নানা শাখায় আগ্রহ ছিল। পদার্থবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যায় তাঁর কিছু মৌলিক কাজ আছে। আকাশের মেঘের গঠন নিয়ে পড়াশোনা করতেন।শিলাবিদ্যা(Rock Science) নিয়েও তাঁর আগ্রহ ছিল। ১৭৮৮ সালে তিনি প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।
আঠার শতকের দিকে ইন্টারম্যাক্সিলারি হাড় নিয়ে অনেক তর্ক ছিল। স্তন্যপায়ীদের মধ্যে মানুষের মধ্যে এই হাড়ের অস্তিত্ব তখনো পাওয়া যায়নি। বানর বা অন্যান্য উন্নত স্তন্যপায়ী থেকে বিবর্তিত হয়ে মানুষ আসে নি- এর পক্ষে এই তথ্য কাজ করত। ১৭৮৩ সালে গ্যোটে আবিষ্কার করেন- এই হাড় মানুষের মধ্যে বহাল তবিয়তে আছে কিন্তু এটাকে ম্যাক্সিলারি হাড়ের মধ্যে মিশিয়ে ফেলা হয়।(Huizing 2003: 43)
গ্যোতে উদ্ভিদের অঙ্গসংস্থানবিদ্যা নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেন। এছাড়া পদার্থবিদ্যার চর্চা হিসেবে থিয়োরি অব কালার প্রকাশ করেন ১৮১০ সালে।
১৭৭২ সালে গ্যোতে লোটে বাফ নামের এক মহিলার প্রেমে পড়েন। মহিলার অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় তিনি ভেঙে পড়ে আত্মহত্যার চিন্তা করেন। দুঃখ ভোলার জন্য ‘ভের্থরের দুঃখ’ নামে একটা বিয়োগান্তক পত্র-উপন্যাস রচনা করেন। বইটি তাঁকে বিখ্যাত করে। আর জার্মান তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার হিড়িক পড়ে। আঠার বছরের সম্পর্কের পর গ্যোতে ১৮০৬ সালে প্রণয়িনী ক্রিস্টিনকে বিয়ে করেন। উল্লেখ্য, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গ্যোতে আরো অনেকবার প্রেমে পড়েন।
১৭৯৪ সালে গ্যোতের সাথে মহাকবি শিলারের বন্ধুত্ব হয়। তাঁরা মিলে সাময়িকপত্র ‘স্কেনিয়ন’ প্রকাশ করেন। এই সময়ে গ্যোতে প্রকাশ করেন নাটক ‘হারম্যান অ্যান্ড ডরোথিয়া’। ১৮০৩ সালে প্রকাশিত হয় ‘দা ন্যাচারেল ডটার’। গ্যোতে ফাউস্ট লেখার চিন্তা ভাবনা শুরু করেন ১৭৭৩ সালে। বইটির প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৮০৭ সালে। এর দীর্ঘদিন পর প্রকাশিত হয় ফাউস্টের দ্বিতীয় খণ্ড, ১৮৩২ সালে। তাঁর মৃত্যুর পরে। গ্যোতে মারা যান ১৮৩২ সালের বাইশে মার্চ। আহমদ ছফা তাঁর গ্রন্থে গ্যোতের মৃত্যুর তারিখ লিখেছেন ১৮৩১ সালের ছাব্বিশে মার্চ। এটা তথ্যগত প্রমাদ।
ফাউস্ট জার্মান লোককাহিনীর একটি চরিত্র। খ্যাতনামা পণ্ডিত হয়েও সাফল্য ও ক্ষমতার একচ্ছত্র মালিক হওয়ার জন্য তিনি শয়তান মেফিস্টোফিলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
ক্রিস্টোফার মারলো ১৬০৪ সালে The Tragic History of the Life and Death of Doctor Faustus প্রকাশ করেন। মারলো প্রচলিত লোককাহিনী থেকে কিছু কাটছাট করেন। তবে ফস্টাসের আত্মিক স্বরূপ সন্ধানের দিকে তিনি বেশি মনোযোগ দেননি।
ছফা লিখেছেন-
‘ফাউস্ট’ নাটকের মধ্যে গ্যোতে একটা ক্ষুদে ব্রহ্মাণ্ড তৈরি করেছেন। ব্রহ্মাণ্ডে যা কিছু আছে, যা কিছু থাকতে পারে, ‘ফাউস্ট’ ভাণ্ডে তা অবশ্যই আছে। এটা এমন সমুন্নত মহিমার অধিকারী, এমন আশ্চর্য একটা গ্রন্থ, যে গ্রন্থের ছত্রে-ছত্রে পবিত্র অগ্নি বিকিরিত হয়েছে, যুগে যুগে পতঙ্গের মত ভাবুকচিত্ত তার প্রতি অমোঘ আকর্ষণ অবহেলা করতে পারেনি। ‘ফাউস্ট’ চিরন্তন মানবিক সমস্যাসমূহের এমন আশ্চর্য উদ্ভাসন ঘটেছে, যে অপার কাব্য-কুশলতা যে উদার আকাশবিহারী কল্পনার শব্দময় পক্ষধ্বনি গুঞ্জরিত হয়ে উঠেছে, পৃথিবীর সাহিত্যে তার তুলনা কোথায়?
… তীক্ষ্ণ মেধা এবং মননশক্তিসম্পন্ন সমালোচকবৃন্দ কত মানদণ্ড এবং দৃষ্টিকোণ প্রয়োগ করে এই গ্রন্থের আলোচনা সমালোচনায় প্রবৃত্ত হয়েছেন তা বলে শেষ করার নয়। তথাপি এই গ্রন্থ অদ্যাবধি পুঞ্জীভূত রহস্যের আঁধারই রয়ে গেছে। এই গ্রন্থ সম্পর্কে চূড়ান্ত কথা কেউ বলতে পারেননি। ধর্মতাত্ত্বিকদের দৃষ্টিতে এই গ্রন্থ ধর্মপুস্তকের মর্যাদা বহন করে, সংশয়বাদী এই গ্রন্থে তাঁর মতামতের মর্মরিত প্রতিধ্বনি শুনতে পান, নাস্তিক্যবাদী তাঁর বিশ্বাসের রক্ষাকবচ হিসেবে এবং বিজ্ঞানী তাঁর সন্ধানপ্রক্রিয়ার যুক্তিনিষ্ঠ শৃঙ্খলার প্রতীক হিসেবে এই গ্রন্থকে চিবার করে থাকেন। এই গ্রন্থের অন্তরে এমন কিছু রয়েছে যার ফলে সকলে আপনাপন অভীষ্টের সন্ধান পেয়ে যান। (ছফা ২০০৮: ৩২৭-৩২৮)
গ্যোতের ফাউস্ট জার্মান রূপকথার কাহিনীটি অবিকৃত রেখেছেন। প্রথম খণ্ডটি গ্রেচেন নামের বালিকার প্রেমের মর্মান্তিক কাহিনী বলে গ্রেচেন ট্র্যাজেডি নামেও পরিচিত। ফাউস্ট সংশয়ী পণ্ডিত। একদিকে জ্ঞানার্জন আর ক্ষমতার প্রতি আসক্তি, অন্যদিকে নৈতিকতা নিয়ে মানসিক ঝড়। মেফিস্টোফিলিস শয়তান। তাত্ত্বিকেরা মেফিস্টোফিলিসকে যন্ত্রসভ্যতা ও বুর্জোয়াগিরির প্রতীক হিসেবে দেখেন। অনেকের মতে ফাউস্টের ভেতরের লোভী মানুষটিই মেফিস্টোফিলিস। সে ফাউস্টকে নৈতিকতার পথ থেকে সরাতে চায়।
গ্যোতের শক্তির আন্দাজে কাবু ছিলেন অনেকেই। কান্ট, মার্ক্স, হেগেল, শোপেনাওয়ার, নীৎসে, কার্ল জং, উইটগেটস্টাইন, রবীন্দ্রনাথ অনেকেই গ্যোতের মুগ্ধ পাঠক। মার্ক্স গ্যোতেকে অনেক বড় মাপের কবি ভাবতেন। নিজেও প্রচুর কবিতা লিখতেন। তিন ভল্যুমের বিশাল সব কবিতা মার্ক্সের মেয়ের কাছে সংরক্ষিত ছিল। পরে সেগুলোর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। Oulanen নামের একটা বিয়োগান্তক কাব্যনাট্য লিখেন মার্ক্স। তাঁর ধারণা ছিল এটা তাঁর সময়কালের ফাউস্ট হিসেবে চিহ্নিত হবে। তবে সেটা হয়নি। (Johnson 1988: 54) মার্ক্স, কান্ট, ফ্রয়েড তাঁদের লেখায় গ্যোতের ফাউস্ট থেকে উদ্ধৃতি ব্যবহার করতেন। (উদাহরণ: মার্ক্সের ‘দা এইটিনথ ব্রুমেয়ার অব লুই বোনাপার্ট প্রবন্ধে আছে - Universal suffrage seems to have survived only for a moment, to the end that, before the eyes of the whole world, it should make its own testament with its own hands, and, in the name of the people, declare: “All that exists deserves to perish.” - কোটেশন চিহ্নের মধ্যে All that exists deserves to perish ফাউস্ট থেকে উদ্ধৃত। ফ্রয়েডের Analysis Terminable and Interminable প্রবন্ধে গ্যোতের ফাউস্ট থেকে উদ্ধৃতি তুলে দেয়া: “We can only say, ‘So after all we must bring in the witch’—the witch Meta psychology.” )
ফ্রয়েড বাইবেলের বাণীর বিপরীতে কথা বলছেন। In the beginning was the Word এর বিপক্ষে বলেন- In the beginning was the deed-
And incidentally let us not despise the word. After all it is a powerful instrument; it is the means by which we convey our feelings to one another, our method of influencing other people. Words can do unspeakable good and cause terrible wounds. No doubt in the beginning was the deed and the word came later; in some circumstances it meant an advance in civilization when deeds were softened into words. ( Freud 1926: 186-187)
গ্যোতের ফাউস্টে ফাউস্ট তার লাইব্রেরিতে বসে বাইবেলের শুদ্ধ অনুবাদের চেষ্টা করছিলেন। ফ্রয়েডের শব্দ আগে না কর্ম আগের ব্যাখ্যা সেখানে আছে।
Gay, Peter, Freud: a life for our time, W. W. Norton & Company, 1998
ফাউস্ট তার স্টাডিতে ঢোকে। কুকুরসহ। এই সারমেয়শাবক আস্তে আস্তে তার রূপ পরিবর্তন করতে থাকে। একাকী ফাউস্ট এই রূপান্তর দেখে ভয়ে উল্টোপালা বকতে থাকে।
..
Behind the stove it swells
As an elephant under my spells;
It fills the whole room and quakes,
It would turn into mist and fleet.
Stop now before the ceiling breaks!
Lie down at your master's feet!
(Faust 1961: 157)
সারমেয় পুত্র ওহে, এই গৃহে যদি তুমি কর অবস্থান
শোন তবে বন্ধ কর পদ ছোড়াছুড়ি
থামাও থামাও বলি বিকট গর্জন।
নিঝুম যামিনী বেলা অনাবিল শান্তিনাশা
এরকম বন্ধুজনে সন্নিকটে নেই প্রয়োজন
অবশ্যই মেনে নিবে সাক্ষাৎ প্রস্থান।
যেহেতু আমি হই গৃহস্বামী
তাই নগদ বিদায় বন্ধু আমারে সাজে না
তুমি মুক্তি পেতে পার কুকুরশাবক।
কি আশ্চর্য, কি আশ্চর্য, এ কি আমি দেখি
প্রকৃতি করেছে মূর্ত বিদঘুটে প্রহেলী
কুকুর ধরেছে দেখি মূর্তি ভয়ঙ্কর
একি স্বপ্ন নাকি সত্য?
দৃঢ় বলে দাঁড়ায় সে- জন্ম জন্ম ভর
দেখিনি কুকুর কোন এত উঁচু এমন আকার।
(ছফা ২০০৮: ৪০৯)
..
তবুও নরক পশু দু্রন্ত ঝঞ্জার বেগে
প্রবল বিক্রমে জাগে
যেন অন্ধকার কালো কালো ছায়ার প্রসারে।
দুরন্ত মোষের মত হানা দিয়ে
গৃহের লালিত শান্তি খণ্ড খণ্ড করে
ছাদেতে ঠেকায় মাথা
কৃষ্ণকান্তি মেঘমালা অতি ভয়ঙ্কর।
শেষটিবার বলছি তোরে
নরকলোকের ঘৃণ্যজীব
পদতলে শির ঠেকাবি
নইলে মরণ উপস্থিত।
(ছফা ২০০৮: ৪১১-১২)
ফ্রয়েড তার হিস্টিরিয়া আর হিপ্নোসিস নিয়ে বিশ্লেষণে ফাউস্ট থেকে দেদার জিনিসপত্র ব্যবহার করেছেন-
In accordance with the tendency to a dissociation of consciousness in hysteria, the distressing antithetic idea, which seems to be inhibited, is removed from association with the intention and continues to exist as a disconnected idea, often unconsciously to the patient himself. . . . It is supremely characteristic of hysteria that, when it comes to the carrying out of the intention, the inhibited antithetic idea can put itself into effect by innervations of the body just as easily as does a volitional idea in normal circumstances. The antithetic idea establishes itself, so to speak, as a "counterwill," while the patient is aware with astonishment of having a will which is resolute but powerless. (Freud 1893: 122)
এই কাউন্টারউইল হিস্টিরিয়া রোগীদের বিপন্ন করে। ইগো আর কাউন্টারউইলের মধ্যে যেসব ধাপ সেগুলো ফাউস্ট আর মেফিস্টোফিলিসের ক্রম রূপান্তরের মধ্যেই বর্ণিত আছে। সাবিন প্রকোরিসের ‘The Witch's Kitchen: Freud, Faust and The Transference' গ্রন্থে এই জাতীয় আরো অজস্র উদাহরণ বর্ণনা করা আছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্যোতেভক্ত ছিলেন। সতের বছর বয়সে ভারতী পত্রিকায় তিনি লিখেছিলেন ‘গেটে ও তাঁহার প্রণয়িনীগণ’ ; জার্মান ভাষায় ফাউস্ট পড়ার চেষ্টা করেছিলেন ১৮৯০ সালে ।
ছফা লিখেছেন-
রবীন্দ্রনাথের ‘প্রতিবেশী’ গল্পে ‘টাসসো’ নাটকের উল্লেখ দেখতে পাই। গল্পের নায়ক একটি নাটক লিখেছিলেন। কলেজের অধ্যাপক এই প্রবল যশাকাঙ্ক্ষী ছাত্রের লিখিত নাটকের মূল ভাববস্তু যে টাসসো নাটক থেকে চুরি করা সেটা ধরিয়ে দিয়েছিলেন। খুব খুঁটিয়ে না পড়লে এরকমভাবে ‘টাসসো’ নাটককে টেনে নিয়ে আসা সম্ভব নয়।
বাংলা সাহিত্যের কোন কবির ওপর গ্যোতের যদি প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে থাকে, তখন অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের নামোল্লেখ করতে হয়। তাঁর কবিতায় গ্যোতের প্রভাব কখনো সরাসরি, কখনো বা একটু ঘুরতি পথে এসে পড়েছে, প্রমাণ করার জন্য দীর্ঘ অনুসন্ধানের প্রয়োজন হবে না। রবীন্দ্রনাথের ‘মানসী’ কাব্যের ‘আমি’ কবিতাটির প্রথম স্তবকটি ফাউস্ট দ্বিতীয় খণ্ডের একেবারে আক্ষরিক অনুবাদ বললে অত্যুক্তি হবে না। মনে হয়েছে গ্যোতের কাছ থেকে মূলভাবটি গ্রহণ করেও রবীন্দ্রনাথ কোন কোন কবিতা রচনা করেছেন। যেমন ‘ভাষা ও ছন্দ’ কবিতাটি; মূলভাব ফাউস্টের প্রথম খণ্ডের গৌরচন্দ্রিকায় কবির উক্তি:
‘মানুষের মহিমাকে দেবত্বের স্তরে
নিয়ে যেতে একমাত্র কবিকৃতি পারে।’
পাঠ করে যে কেউ অতি সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন ‘ভাষা ও ছন্দ’ কবিতাটির ‘শানে নজুল’ কোথায়। আবার ‘বৈষ্ণব কবিতা’টির চরণ দুটি-
‘আর পাবো কোথা
দেবতারে প্রিয় করি প্রিয়রে দেবতা।’
এই অংশটিও মনে হয় ফাউস্ট প্রথম খণ্ডের মার্গারিটার কাছে ফাউস্টের ঈশ্বরের স্বরূপ বর্ণনা অংশ থেকে নেয়া। তাছাড়া ‘কথা’ এবং ‘কথা ও কাহিনী’র
--------------------------------------------------------------------
নোট:
Then let it fill your heart entirely,
And when your rapture in this feeling is complete,
Call it then as you will,
Call it bliss! heart! Love! God!
I do not have a name
For this. Feeling is all;
Names are but sound and smoke
Befogging heaven's blazes. (Faust 1961: 327)
যখন তোমার প্রাণ শান্তি সুধা রসে, পূর্ণ হয়ে
দিগ্বিদিক করে আলিঙ্গন
যে নামে ডাক না তুমি সেই সত্য সর্বনাম সর্বত্র বিরাজে।
প্রেম বল, বল তারে আনন্দ স্বরূপ
কিংবা অনুরাগ ভরে ডাক আল্লা-রহমান
আমি তো জানি না নাম, নামে ঘটে সংকোচন
নাম মানে শব্দ মাত্র, নাম মানে ধোঁয়ার কুণ্ডলী
স্বর্গের আলোক জাল করে আবরণ। (ছফা ২০০৮: ৪৯৪)
--------------------------------------------------------------------
অনেকগুলো কবিতায় সরাসরি গ্যোতের প্রভাব যে এসে পড়েছে বলার অপেক্ষা রাখে না। এতে রবীন্দ্রনাথের কোন অপরাধ হয়েছে বা তিনি গ্যোতের কবিতা অনুবাদ করে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, সেকথা বলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। রবীন্দ্রনাথের পঠন পাঠন এবং অনুসন্ধানের কতদূর বিস্তৃত এবং প্রসারিত ছিল, সে বিষয়ে একটা ইঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। (ছফা ২০০৮: ৩৩১-৩৩২)
আহমদ ছফা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একদিকে সমালোচনা করতেন, অন্যদিকে তাঁর প্রজ্ঞা ও শক্তির কীর্তনও করতেন। ‘একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা’ কবিতার শুরুর স্তবকেই রবীন্দ্রনাথ।
প্রবীণ বয়সী বট
তরুণ সমাজে তুমি
অতিকায় জটাধারী
রবীন্দ্রঠাকুর;
(ছফা ২০০৮: ৪৯১)
শেষের স্তবকে লেখা:
পিতামহ বনস্পতি;
বিনীত সন্তানে তুমি দাও এই বর
সূক্ষ্ণ শরীর ধরে এই মাঠে-
যেন আমি বেঁচে থাকি অনেক বছর।
(ছফা ২০০৮: ৫১১)
তারকানাথ সেন তাঁর Western influence on the poetry of Tagore প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের লেখালেখির উপর পশ্চিমা লেখকদের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। তাঁর ওপর গ্যোতের প্রভাব কেমন পড়েছিল সেটা তারকানাথ বর্ণনা করেছেন।
Dr. S. Radhakrishnan ,Rabindranath Tagore A Centenary Volume 1861-1961, Sahitya Akademi Publications, 1992
গ্যোতের ফাউস্ট থেকে উপাত্ত নিয়ে অনেকেই লেখালেখি করেছেন। এদিকে স্বয়ং গ্যোতে কালিদাসের ‘শকুন্তলা’ থেকে তাঁর কাব্যনাটকের পুরো থিম নিয়েছেন বলে গবেষণা আছে। এ বিষয়ে ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের একবার্ট ফাস তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ ‘Faust and Sacontalá’ তে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। পরের কিস্তিতে শকুন্তলা, ফাউস্ট ও অন্যান্য আলোচনা।
সূত্র:
১। Huizing, E. H. , Groot, J. A. M. de , Functional reconstructive nasal surgery, Thieme, 2003
২। Johnson, P., Intellectuals, HaprerPerennial, 1988
৩। Freud, S., The Question of Lay Analysis, 1926
৪। Freud, S., A Case of Successful Treatment by Hypnotism, 1893
৫। Kaufmann, W., Translated by, Goethe's Faust, Anchor Books, 1961
৬। ছফা, আহমদ, রচনাবলি, খণ্ড ২, খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি, ২০০৮
৭। ছফা, আহমদ, রচনাবলি, খণ্ড ১, খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি, ২০০৮
মন্তব্য
পুরনো বন্ধুর সাথে অনেকদিন পর দেখা হলে যমন লাগে, ছফাগিরির এই কিস্তিটা পড়ে তেমনই একটা অনুভূতি হচ্ছে। এই পর্বটার জন্য বহুদিন ধরেই ওয়েট করতেসিলাম।
---আশফাক আহমেদ
মন্তব্যের জন্য
বহুদিন পরে ছফাগিরি দেখে লগাইলাম
চলুক
হ। ম্যালাদিন পর।
মার্লোর ডক্টর ফস্টাস আমার খুব পছন্দের নাটক। ওই নাটকটার চরিত্র কিন্তু রাজনৈতিক। এবং রেনেসান্স মানবের সংকট এর কেন্দ্রীয় সংকট হইলেও সংকটটা বহির্গামী এবং বাস্তব। সুতরাং 'আত্মিক স্বরূপ' সন্ধানের সুযোগটা কম ছিল। আপনি ঠিকই বলসেন। ছফার অনুবাদের ফাউস্ট কিছুদূর পড়া ছিল। ডক্টর ফস্টাসের সহপাঠ হিসাবে পড়সিলাম। খালি হাতে পাথরের মুর্তি বানানোর মতো কঠিন একটা কাজ করসেন ছফা। সেইটাকে নিয়া এইরকম একটা লেখা আরও একটা কঠিন কাজ।
ছফার ফাউস্টের অনুবাদগ্রন্থের ভূমিকা লেখা নিয়া কী জানি একটা ঘটনা ছিল, মনে করতে পারতেসি না।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ছফা এই কাজের জন্য জান লড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভালবেসে কাজটা করেছিলেন। চট্টগ্রামের গাছবাড়িয়ার গাঁও গেরামের মানুষ ছফার সাহস দেখে সেইসময় অনেকেই ঠিসারা করতো।
পাঁচ দিলাম।
এটার নাম হওয়া উচিৎ আছিলো 'গ্যোতেগিরি'।
'মারলোয়ি'? না 'মারলো'?
ঠিক্কর্লাম।
কফম্যান বরাবরই দারুণ। কফম্যানের নিটশা ছাড়া অন্যান্য নিটশা অখাদ্য লাগে।
কফম্যানের দা পোর্টেবল নিটশা আমিও পড়ছি। লোকটা আসলেই মাল।
কঠিন! দাঁতে ব্যথা লাগে, মাঝামাঝির পর কিঞ্চিত হারায় গেছিলাম, দারুণ রিসার্চ! পরের পর্ব আসুক! তয় ছফার অন্যান্য বই এর নরম কপি থাকলে একটু লিংকাইয়েন!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপাতত অন্য বইয়ের সফটকপি নাই। পেলে লিঙ্কাব।
বস, উইকিতে দেখলাম ছফার পাতা, ইংরেজি বানান লিখছে sofa! বানানটাকি ঠিক আছে? উনার কাগজে কলমে ইংরেজি বানান যদি এটাই হয়ে থাকে তাহলে ঠিকাছে, নাহলে ঐটা ঠিক করা আমাদের দায়িত্ব!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হুমম, ঘাড় ত্যাড়া আর কয় কারে! যাক তাও এখন নিশ্চিত হইলাম যে ভুল বানানে ছফার নাম লিখতেছি না। ধন্যবাদ তথ্যটা ভেরিফাই করার জন্যে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
যদিও নাম ছফাগিরি, কিন্তু মুলত গ্যাতেগিরি। অনেক কিছু জানলাম। বেশ ভালো লেগেছে লেখাটা।
ছফা গ্যোতেকে নিয়ে ব্যাখ্যার দিকে যাননি। অনুবাদ করে গেছেন। ফলে ছফার অনুবাদে গ্যোতেকে ধরতে গিয়ে এটা গ্যোতেগিরির দিকেই চলে গেছে।
লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো
রুদ্র
ধন্যবাদ।
পড়লাম। ভালো লিখতে হলে নাকি ভালো লেখা পড়তে হয়--- ছফা পড়তেন গ্যোতে, আপনি পড়েন ছফা, আর আমি পড়ি আপনার লেখা
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
ওরে বাপ্রে। এইটা কি কইলেন।
--
গ্যোতে পড়তেন কালিদাস- বাদ পড়ছে।
কঠিন অবস্থা।
হাজিরা দিয়ে গেলাম ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপনার তো ফ্রয়েডে আগ্রহ আছে। The Witch's Kitchen বইটা পড়তে পারেন। মজা পাবেন।
সফটকপি লাগ্লে আওয়াজ দিয়েন।
কপি দেন ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ঠিকাছে।
"১৭৯৪ সালে গ্যোতের সাথে মহাকবি শিলারের বন্ধুত্ব হয়"
এটা সাহিত্যের ইতিহাসের একটা বিরাট ঘটনা। এই বন্ধুত্বের ফল হিসাবে সাহিত্যের ভাইমার/উইমার ধ্রুপদী ধারার সূচনা হয়েছে। দুজনের যৌথ রচনাও আছে - মার্শালের Die Xenien নিয়ে। তবু শিলার বাংলা ভাষায় প্রায় অনুচ্চারিত নাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শিলারের মৃত্যুতে গ্যোতে অনেক ভেঙে পড়েছিলেন।
গ্যোতে শিলারের সম্পর্ক নিয়ে একটা লেখা আপান, বস্।
এই কাজ আমাকে দিয়ে হবেনা। বরং সচলের কোন কবিকে জোরপূর্বপক শিলার অনুবাদে নামানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ছফা নিয়ে পূর্বে তেমন পড়াশোনা ছিলো না। সম্প্রতি পাঠের কারণেই এই পর্বটা একটু কঠিন হলেও হলেও আগ্রহ নিয়েই পড়লাম।
'যদ্যপি আমার গুরু'তে তার ফাউস্টের অনুবাদ বিষয়ে অদীর্ঘ কিছু বর্ণনা ছিলো।
_________________________________________
সেরিওজা
ই-ন্টা-রে-স্টিং শিরোনামের একটা ব্লগে কিছুটা লিখেছিলাম।
শুভাশীষ দা'কে "ছফাগিরি " সিরিজের জন্য হাজার হাজার সালাম।
--শাহেদ সেলিম
ধন্যবাদ।
অনেক শ্রম ও যত্নসাধ্য লেখা। ধন্যবাদার্হ! রবীন্দ্রনাথের 'প্রতিবেশিনী' পড়েছি 'প্রতিবেশী' পড়িনি, পড়তে মন চায়, কোন গ্রন্থে পাব? যদ্দুর মনে পড়ে, চেতনার রঙে পান্না-চুনীর রাঙিয়ে উঠার ব্যাপারটা ঘটেছিল 'শ্যামলী'-এর "আমি"-তে 'মানসী'-তে নয়!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন