২০১০ সালের মৃত্যু ঘটলে ২০১১ সালের জন্ম হয়। ২০১১ সাল শুরু হলে মানুষজন উল্লাস করে। অতি উৎসাহীরা টাইম স্কোয়ারে জড়ো হয়। পুরানো বা নতুন প্রেমিকা কিংবা বউদের চুম্বন করে। আবার কেউ কেউ পুরানো বছরের মৃত্যু ঘটেছে দেখে কিছুটা দুঃখ পায়। ২০১০ সালে কি কি উল্লেখযোগ্য ঘটেছে চিন্তা করতে গেলে মাথায় সবকিছু ঠিকমতো না আসায় গড় হিসেবে বছরটাকে মোটামুটি ধরে নিয়ে নতুন বছরে আরো ভালো আরো দুর্দান্ত কিছু ঘটার ভাবাগোণা করে। অন্যান্য বছরের মতোই ২০১১ সালে কারো কারো বাবা বা মা বা স্ত্রী বা স্বামী বা পুত্র বা কন্যা মারা যায়। কেউ কেউ নিজেই মারা যায়। কারো কারো ঘরে নতুন কেউ আসে। অন্যদের বিশেষ কিছু হয় না। ২০১০ সালের মতোই নিরুত্তাপে ২০১১ কেটে যায়।
রিইউস্
দেশটির ছিল দুটি পরিত্যক্ত কনডম। ছিদ্র থাকার কারণ কনডম দুটি প্রজনন ঠেকাতে পারেনি। দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঐ দুটি পরিত্যক্ত কনডমের উপর ভর করে চলতে থাকে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পানিপড়া বিশেষজ্ঞ সর্পরাজ সম্প্রতি ঘোষণা করেন- ঐ পরিত্যক্ত কনডম দুটি তিনিই সরবরাহ করেছিলেন। ব্যবহার শেষে ধুয়ে সেফটিপিন দিয়ে হালকা ছিদ্র করে প্যাকেটে মুড়ে পরিবার দুটিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। দুটি রাজনৈতিক দলের প্রধানেরা তৎক্ষণাৎ সর্পরাজের মুরিদে পরিণত হন।
রিডিউস্
অমর্ত্য সেন দারিদ্র্য আর দুর্ভিক্ষ নিয়ে নানারকম কাজ করেছেন। তাঁর মতে- জোর করে দুর্ভিক্ষ চাপানো না হলে সহজেই তা ঠেকানো যায়। ব্রিটিশ রাজের অধীনের বাংলায় ঘটেছিল ১৯৪৩ সালের মন্বন্তর। খেতে না পেয়ে তিরিশ লক্ষ লোকের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৪২ সালে জাপান বার্মা দখল করলে বার্মা থেকে চাল আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ঘুর্ণিঝড়ে উপকূলীয় অঞ্চলে শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। চোরাবাজারিরা এই সুযোগে খাদ্য মজুত কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ফেলে। তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন চার্চিল। চার্চিল সেইসময় অখণ্ড ভারতবাসী সাথে মহাত্মাকে দেখতেন ঘৃণার চোখে। দুর্ভিক্ষ ঠেকানোর জন্য আশি হাজার টন গমের জাহাজের চালান তিনি নিজেই ঠেকিয়ে দেন। অন্যান্য দেশ সাহায্য করতে চাইলেও ব্রিটেনের অসহযোগিতায় তারা আর এগোয়নি। খরগোশের মতো জন্মদানপিয়াসী ভারতবাসীর (চার্চিলের মতে) সংখ্যা কমানোর সুযোগ ছাড়েনি ব্রিটিশরাজ।
---
ফিরে: রিডিউস্ গল্পের জন্য সাম্প্রতিক পাঠ মধুশ্রী মুখার্জির Churchill’s Secret War: The British Empire and the Ravaging of India During World War II;
মন্তব্য
২ সবচেয়ে। ৩ কি গল্প?
(আমার মন্তব্যটাও টুকুন স্টাইল হয়ে গেল দেখছি )
৩ টুকুন ব্লগরব্লগর বলতে পারেন। আর গল্প একটা ভ্রান্তধারমা।
রিসাইকেলটাকে প্রতিবছর রিসাইকেল করা যাবে
আর সংখ্যাগুলো বাদ দিলে রিপিট করলেই চলবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ।
বাংলা ১১৭৬ সনে (১৭৭০ সাল) সংগঠিত দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে অমর্ত্য সেনের বক্তব্য জানতে ইচ্ছে করে। সেবার নাকি ৭৫ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। ক্রয়ক্ষমতা না থাকা, অসম বন্টন, খরা-বন্যা, অ্যাকসেস না থাকা কোন্ থিয়োরী দিয়ে এটা ব্যাখ্যা করা যাবে? আমি জানতে চাই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অমর্ত্য সেনের বক্তব্য কি ছিল ঠিক জানি না। বইপত্র পড়ে জানাবো।
চার্লস ম্যাকমিনের একটা সম্পূর্ণ বই পেলাম গুগলবুকসে। এই বইয়ে ১৭৭০ এর দুর্ভিক্ষ নিয়ে অনেক তথ্য আছে।
অমর্ত্য সেনের বক্তব্য বলতে আমি তাঁর তত্ত্বের আলোকে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হবার কারণ ব্যাখ্যা বুঝিয়েছি। কেউ কি তাঁর তত্ত্বের আলোকে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর সংঘটিত হবার কারণ ব্যাখ্যা করে দিতে পারেন?
অটঃ বইটা ডাউনলোড করার উপায় কী?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অট: লিঙ্কটাতে গেলে বইয়ের কাভারের উপ্রে ডানদিকে কোনায় PDF বাটন ক্লিকালেই হবে।
--
আর আপনাকে বইটা ইমেইলে পাঠিয়ে দিয়েছি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা
love the life you live. live the life you love.
...
নামকরণ এবং গল্প তিনটা ভাল লাগল। আবার মধুশ্রী মুখার্জির বইটা পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে।
বইটা পড়তে পারেন। বেশ খেটেখুটে গবেষণা করে লেখা।
শিরোনাম দেখে যা ভাবছিলাম, পড়তে গিয়ে দেখি একেবারে ভিন্ন বিষয়, ভালো লাগলো পড়ে, তবে স্বর্পরাজরে পাইলে ওর খবর করে ছাড়তাম, শালা আর কোন কাম ছিল না???
রিইউজ!
মানুষ কতোদিন বাঁচবে? হাঙ্গর তো বেঁচে আছে কয়েক শ মিলিয়ন বছর! মানুষ খুবই বোকা। নাকি দুর্ভিক্ষে মৃত সংখ্যাগুলোই সভ্যতাকে সামনে ঠেলে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে একটা দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আর এখন পরিবর্তিত বিশ্বে দুর্ভিক্ষ ব্যাপারটা "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ" কনসেপ্টের মতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পরের দিন থেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে গেছে। পার্থক্য হচ্ছে এই যুদ্ধটা সারা দুনিয়ায় বিচ্ছিন্ন ভাবে ছড়ানো ছিটানো, তবে তার ভয়াবহতা আগের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। বৃহত্তর রংপুরে প্রতি কার্তিকেই মঙ্গা নামের দুর্ভিক্ষ হয়, ভারতে কালাহাণ্ডি নামটাতো দুর্ভিক্ষের সমার্থক হয়ে গেছে। তবে দুর্ভিক্ষে আজ কাল কেউ মারা যায়না, অফিসিয়ালী তারা ডায়রিয়া বা অন্য কিছুতে মারা যায়। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গিয়ে আমার উপলদ্ধি হচ্ছে "দেশে কোন দুর্ভিক্ষ নেই" বা "অনাহারে কেউ মারা যায়নি" কথাগুলো নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়...
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
প্রথম দুইটা বেশি ভাল লাগসে।
আমি কোথায় যেন চার্চিল এর এহেন চিন্তাধারা এবং পরাধীন ভারত এ দুর্ভিক্ষ কে বাচিয়ে রাখার পেছনের আক্রোশ নিয়ে পরেছিলাম, ঠিক মনে করতে পারছি না । যদি আমি ঠিক হই , তাহলে রিডিউস গল্প হয় কি করে??
নতুন মন্তব্য করুন