সাকা: আ জার্নি বাই বোট

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শনি, ০৮/০১/২০১১ - ৯:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাকা: আ জার্নি বাই বোট

সাকা কারাগারে ঢুকলে সাকাপ্রেমীরা মানবতাবাদী হয়ে পড়ে কিংবা নিদেনপক্ষে পশুপ্রেমী। সাকার স্ত্রীপুত্রকন্যারা সংবাদ সম্মেলন করতে থাকে, পাকি আব্বা-আম্মা কি ভাই বেরাদরদের ডাকে। আমরা তাদের মুখে নানা কথা শুনতে থাকি। সাকা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু সংবাদ শুনে ভেঙ্গে পড়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সাকার ওপর অত্যাচার সম্পর্কে অবগত নন। সাকা পরিবারের ই-মেইল মুছে দিচ্ছে সরকার। ফকার মতো সাকাকে বিষপ্রয়োগে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। সাকাকে রিমান্ডে নেয়া হলে তার অণ্ডকোষে বিদ্যুৎসঞ্চালনের আশু সম্ভাবনা দেখে সাকাপ্রেমীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না কইরা, দেশের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না কইরা প্রতিশোধমূলক এইসব অশ্লীল নির্যাতনের নিন্দা জানায়। আমরা সবাই নদীমধ্যে গুরুসঙ্গম দেখি।

মিলেনিয়াম ট্রিলজি

লারসেন তাঁর লেখা মিলেনিয়াম ট্রিলজির প্রকাশ বা সাফল্য দেখে যেতে পারেন না। বরং তিনি মারা যান। পাণ্ডুলিপি প্রথম প্রকাশকের কাছে দীর্ঘদিন পড়ে থাকে। পরের প্রকাশক আগ্রহী হন। এর মধ্যে একদিন অফিসের লিফট নষ্ট থাকায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান লারসেন। তাঁর দেয়া ‘ম্যান হু হেইট উইমেন্‌’ শিরোনামের সিরিজ পালটে ‘দা গার্ল উইথ দা ড্রাগন ট্যাটু’, ‘দা গার্ল হু প্লেইড্ উইথ ফায়ার’ আর ‘দা গার্ল হু কিকড্ দা হোনিট’স নেস্ট’ নাম নিয়ে মিলেনিয়াম ট্রিলজি প্রকাশিত হয়। বই বাজারে আসলে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। সিনেমা বানানো হয়। হলিউড রিমেকের সিদ্ধান্ত নেয়। লারসন এগুলো দেখে যেতে না পেরে মারা যান। লারসন চোখের সামনে দেখেছেন গণধর্ষণ। কোনো প্রতিকার করতে পারেননি বলে এই ঘটনা ভুলতে পারেননি। কাজ করেছেন নিও-নাজি ও বর্ণবাদীদের তৎপরতার বিরুদ্ধে। উপন্যাসের লিজবেথকে তিনি দাঁড় করিয়েছেন কামুক ধর্ষকামী বর্ণবাদী পুরুষদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। প্রকাশক সম্পাদক পরিচালকেরা ধর্ষণ ও উলঙ্গতাকে পুঁজি করে পুঁজি করেন। দক্ষ বাজারবিশেষজ্ঞ মাত্রেই জানেন- পুরুষের আদিম ফ্যান্টাসি ধর্ষণ। লারসেন এসব দেখার আগেই মারা যান।

গল্পদুপুর

ক্ষুধা যখন ব্যাপক লাগে আমি তখন পেসাব করি। মিশমিশে কালো চুলের জঙ্গল থেকে বের হওয়া শীর্ণকায় শিশ্ন অল্প কয়টা ফোঁটা ছেড়ে নেতিয়ে পড়ে। আমি ধারে কাছে পানি খুঁজি। কোনো হোটেলে বয়বেয়ারার অন্যমনস্কতায় টেবিলে রাখা পানি ঢক ঢক করে খাই। বয়বেয়ারারা তেড়ে আসে। ওদের কিছু গালাগাল দিয়ে বেরিয়ে যাই। খাওয়ায় ব্যস্ত লোকেরা আমাকে খেয়াল করে না তা নয়। কারো কারো চোখ আমার পোস্টাপিস খোলা প্যান্টের গহনতার দিকেও যায়। বাইরে চড়ারোদ। মেডিক্যালের পাশের ডাস্টবিনের কাছাকাছি এসে আকবরদের দেখি। ক্ষুধা তখন একেবারেই কমে আসে।


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

আপনার অবস্থা দেখা যায় করুণ খাইছে


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সকরুণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সাকা পইড়া মৌজ পাইলাম, নদীমধ্যে গুরুসঙ্গ পইড়া কারো কারো কথা মনে পইড়া গেলো চোখ টিপি
গল্পদুপুর বুঝি নাই মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুস্তাফিজ এর ছবি

গল্পদুপুর বুঝি নাই
আমিও না।

...........................
Every Picture Tells a Story

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

হে: হে:। ঐটাই আমি বালা পাইসি। খাইছে

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ডবল কমেন্ট ঘ্যাচাং।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হেরোইনচি

সুরঞ্জনা এর ছবি

মিলেনিয়াম ট্রিলজি বেস্ট লাগলো।

প্রকাশক সম্পাদক পরিচালকেরা ধর্ষণ ও উলঙ্গতাকে পুঁজি করে পুঁজি করেন।

সত্য।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ধন্যবাদ, স্যার।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তিনটার মধ্যে "মিলেনিয়াম ট্রিলোজি" ভালো লাগলো বেশি। হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কেন জানি গল্প দুপুরটা বেশি ভাল লেগেছে
-আদু ভাই

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঐটাই তো গল্প।

ফাহিম হাসান এর ছবি

সাকা কারাগারে ঢুকলে সাকাপ্রেমীরা মানবতাবাদী হয়ে পড়ে কিংবা নিদেনপক্ষে পশুপ্রেমী।

প্রথম লাইন পড়েই আমি কাত। ফাটায় দিসেন। অল্প টানে ছবি আঁকার ক্ষমতা ঈর্ষনীয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

নদীমধ্যে গুরুসঙ্গম না বুঝলে মজা মাটি।

দ্রোহী এর ছবি

চলুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মেম্বর, আপনার লগড্‌-ইন থাকার রেকর্ড ফিরিয়ে দেবার জোর দাবী জানাচ্ছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্বিতীয়টা বেশি ভাল লেগেছে

মোহনা'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

মাঝখানেরটা পরে পড়ব। শেষেরটা ভালো লাগসে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পইড়া জানায়েন।

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

তিনটাই ভালো লাগলো, দ্বিতীয়টা বেশি ভালো লেগেছে। তৃতীয়টা পড়ার সময় অবশ্য বুঝিনি, আপনার একটা কমেন্ট পড়ে বুঝলাম। -রু

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

স্বাধীন এর ছবি

চমৎকার। তিনটেই বেশ ভালো লেগেছে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

স্বাধীন ভাই, মন্তব্যের জন্য থ্যংকস।

রানা মেহের এর ছবি

সাকা কে নিয়ে একটা পুরো গল্প লিখুন

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অনেকদিন তো লেখেন নাই। এইবার একটা পোস্ট দেন।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সাকা ভাল পাইলাম।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ওডিন এর ছবি

দেশের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না কইরা, জিনিসপাতির দাম না কমায়া, সবাইরে চাকরি আর দশ টাকা কেজি চাল না খাওয়ায়া কি হাবিজাবি হইতাছে এইসব! এসব উচ্চবংশীয় উচ্চশিক্ষিত ধর্মপ্রাণ ভদ্রলোকদের নিয়ে কি অমানুষিক অত্যাচারটাই না করা হচ্ছে! রাতে ঘুম হয়না এইসব নির্যাতনের খবর পড়ে। এই জালিম সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে আমরা কেউই কিন্তু নিরাপদ না এইটা কিন্তু খুব খিয়াল কইরা।

রেগে টং

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ। খুপ খিয়াল কইরা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।