৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে বাংলানিউজ২৪ সংবাদ ছাপিয়েছে ‘মেহেরজান’ সিনেমার পরিচালক রুবাইয়াত হোসেনের ওপরে।
বার বার কেন আমার থিসিসের বিষয়টি আসছে আমি বুঝতে পারছি না। আর আমি জার্নালিস্টদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।’মেহেরজান ছবির পরিচালক রুবাইয়াত হোসেনের সঙ্গে ছবিটির প্রসঙ্গে কথা হচ্ছিল। কিন্তু যখনই বলা হলো ‘মেহেরজান ছবিটি থিসিসের ভিত্তিতে নির্মিত’, সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন পরিচালক রুবাইয়াত। তিনি ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর তাকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এর আগে বিডিপ্রতিদিনে রুবাইয়াত হোসেনের একটা সাক্ষাৎকার ছাপানো হয়েছে। শিরোনাম ছিল- ‘থিসিস থেকেই 'মেহেরজান'র গল্প আবিষ্কার করি’। রুবাইয়াত সেখানে বলেছেন-
আমার থিসিসের উপসংহার যুদ্ধের শেষে আশাবাদ দিয়ে শেষ করতে চেয়েছি। কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে নান্দনিক রূপকে টেনে এনেছি।...... শিক্ষাজীবনে আমার থিসিসের বিষয় ছিল 'একাত্তরের বীরাঙ্গনাদের ইতিহাস কিভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।' এ গবেষণার কাজটি করতে গিয়ে 'নারী-৭১' বই থেকে জানতে পারি, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের মেজর পদবির এক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে বাঙালি মেয়ের পরিচয়ের কথা। এখানেই যুদ্ধের মানবিক দিকটি খুঁজে পাই। চলচ্চিত্রের গল্প আবিষ্কার করি। একই সঙ্গে রাজিয়া মজিদের 'যুদ্ধ ও ভালোবাসা' বইটি পড়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য গল্পটিকে শানিত করি। তবে সব মিলিয়ে 'মেহেরজান' চলচ্চিত্রের গল্প আমার কল্পনাপ্রসূত বলতে পারেন। ...
এদিকে এবাদুর রহমানের ‘গুলমোহর রিপাবলিক’ বইয়ের ৩০ থেকে ৯৩ পৃষ্ঠায় মেহেরজানের স্ক্রিপ্ট ছাপানো আছে। এই স্ক্রিপ্টের কিছু কিছু জায়গা ঘষেমেজে বা আরো শানিত করে ‘মেহেরজান’ সিনেমা বানানো। কিন্তু সেটা করলেই গল্প রুবাইয়াত হোসেনের কল্পনাপ্রসূত হয়ে যায় না। তবে একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে- রুবাইয়াত হোসেন তার কল্পনাপ্রসূত পাকিসঙ্গমের ফোক ফ্যান্টাসির গল্প হয়তো কখনো এবাদুরকে জানিয়েছেন। আর এবাদুর সেটা বইয়ে প্রবেশ করিয়ে দেন। এবাদুর রহমানের নিজের বহি'র অরিজিন্যালিটি নিয়ে কোনো বক্তব্য না আসা পর্যন্ত রুবাইয়াত কথিত এই সুসমাচারে আস্থা রাখি বরং।
একটা বিশেষ শ্রেণী একাত্তরে কতিপয় পাকিস্তানির মানবিক গুণের বিরামহীন প্রচারণায় নেমেছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ত্রিশ লক্ষ লোকের বর্বর হত্যাকাণ্ড, দুই থেকে চার লক্ষ নারীকে করাকে বীভৎস ও ইতিহাসের জঘন্যতম ধর্ষণের বিপরীতে অতি ক্ষুদ্র এই কল্পনাপ্রসূত ন্যারেটিভকে গ্র্যান্ড ন্যারেটিভে নিয়ে আসার জন্য ২০০৯-১১ সালের প্রণোদনা লক্ষ্য করার মতো। কিছু উদাহরণ। এবাদুর রহমানের ‘গুলমোহর রিপাবলিক’। সুনীলের ‘বসুধা আর তাঁর মেয়ে’। রুবাইয়াতের ‘মেহেরজান’। মশিউল আলমের গল্প ‘পাকিস্তান’।
বাংলানিউজ২৪ এর রিপোর্টের দিকে আবার তাকাই-
মেহেরজান ছবি নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে ছবিটির পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ ছবির বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। তাই দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিহাস নিয়ে যারা কাজ করেন, বীরাঙ্গনাদের জীবনী নিয়ে কাজ করেন, তাদের কাছে আমি ছবির সিডি পাঠিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, যারা এই ছবির বিরুদ্ধে কিছু না বুঝেই বিতর্ক করছেন তারা লজ্জা পাবেন ইতিহাসবিদদের কাছ থেকে জবাব আসার পর।’তিনি প্রশ্ন তুলেন, ‘এই ছবি নিয়ে তো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কিছু বলেনি। মফিদুল হক কি কিছু বলেছেন, আলী যাকের কিছু বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের কোনো শিক্ষক কি এর প্রতিবাদ করেছেন, মুনতাসীর মামুন কি কোনো আপত্তি উত্থাপন করেছেন? তারা তো কিছু বলেননি। বলছে কিছু ছেলে, যারা ব্লগে ‘আযাইরা’ লেখালেখি করে সময় কাটান। তাদের এই কর্মকাণ্ড পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক।’
রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘তারা কতটুকু জানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে? আর আমি আপনার মাধ্যমে তাদের বলে দিতে চাই, তাদের জন্য এক বিশাল লজ্জা অপেক্ষা করছে, যখন দক্ষিণ এশিয়ার খ্যাতনামা ইতিহাসবিদদের কাছ থেকে এই ছবির প্রশংসা আসবে।’
তিনটা প্যারা। এক এক প্যারা করে বুঝতে চেষ্টা করি।
প্রথম প্যারা। তিনি বীরাঙ্গনাদের ওপর গবেষণা যারা করেন তাদেরকে সিডি পাঠিয়েছেন। তার মতে- এনারা সার্টিফিকেট দিবেন- তাতেই নাকি কাজ হবে। শুরুর দিকে সংবাদগুলোতে তিনি কথা উঠলেই ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর প্রসঙ্গ আনতেন। কিন্তু প্রিয়ভাষিণী নিজেই রুবাইয়াতের ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে প্রথম আলোতে লিখেছেন। ফলে রুবাইয়াতের পরবর্তী কথাবার্তায় আর প্রিয়ভাষিণীর প্রসঙ্গ আসেনি। ‘মেহেরজান’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রুবাইয়াত হোসেন বিরচিত একটা পুস্তিকা দেয়া হয়। সেখানে লেখা- মেহেরজানের উদ্দেশ্য হলো জাতীয় ইতিহাসের বয়ানকে ভেঙে ফেলা এবং যুদ্ধকালের সম্ভাব্য একাধিক যৌক্তিক বয়ান তুলে ধরা। তার মানে, প্রকৃত ইতিহাসে লেখা পাকিস্তানিদের বর্বর হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এগুলোকে মিথ বানিয়ে রুবাইয়াত এবাদুরের যৌক্তিক বয়ানে লেখা পাকিসঙ্গমকে তুলে ধরাকে আমাদের সমর্থন জানিয়ে যেতে হবে। বাহ্!
দ্বিতীয় প্যারা। শোনা কথায় জেনেছি- প্রাথমিকভাবে ‘মেহেরজান’ সেন্সরে আটকেছিল। পরে বিশেষ তিন বা চারজনের রায়ে ‘মেহেরজান’ সেন্সর পেরোয়। এই তিন বা চারজনের পরিচয় কি? মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে রুবাইয়াত হোসেনের মিথ্যাচারে ঠাসা ও বিশেষ প্রোপাগান্ডার পেপার লটকানো দেখে মফিদুল হকের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হয়। রুবাইয়াত এনাদের নাম আনছেন প্রকাশ্যে। তার মানে কি দাঁড়ায়? একটু সমস্যা দাঁড়াচ্ছে মুনতাসীর মামুনকে নিয়ে। রুবাইয়াত তাঁর পনেরো পৃষ্ঠার পেপারে কয়েকজনের সাক্ষাৎকারের কথা এনেছেন। এঁদের একজন মুনতাসীর মামুন। পেপারে লেখা-
When I interviewed Dr. Muntasir Mamoon, a history professor at Dhaka University on December 16, 2005 he said, “there is no need to ‘dig out’ the narratives of rape from 1971 because the phrase, ‘two hundred thousand mothers and sisters lost their izzat’ has become a part of our diction” ... Muntasir Mamoon, one of the most well known historians of Bangladesh says, “if I were to given a choice, I would not go further into it.” (রুবাইয়াত, ২০০৯:২,১১)
মুনতাসীর মামুনের কথার বিপরীতে নারীবাদ, ইজ্জতের বিনিময়ে বলা মানেই ধর্ষণের কথাকে হালকা টোনে বলা, বীরাঙ্গনাদের ইতিহাস মুছে দেয়ার মাধ্যমে নারীকে দ্বিতীয়বার খাটো করা হয়েছে এসব ভারী ভারী শুনতে ভালো কথাবার্তা দিয়ে মুনতাসীর মামুনের সেকেলে অনারীবাদী কথাবার্তাকে নাকচ করার চেষ্টা করেছেন রুবাইয়াত। ফলে মুনতাসির মামুনের চুপ থেকে যাওয়াকে এক ধরনের মেনে নেয়া ভেবে রুবাইয়াত সাহস করে নামটি নিয়ে ফেলেছেন। আর রুবাইয়াত, ব্লগে ‘আজাইরা’ লেখালেখি নিয়ে বেশি খেদ করার দরকার নেই আপনার। আপনার পনের পৃষ্ঠার পেপারের তথ্য বিকৃতি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার নিয়ে পোস্ট এসেছে। আপনি মোকাবেলা করতে চাইলে সেই লেখার মধ্যে কোথায় ‘আযাইরা’ কথা আছে সেটা ব্যাখ্যা করেন। বাংলাদেশের অজস্র ছাগুবান্ধব পত্রিকা তো আপনার লেখা প্রকাশের জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তৃতীয় প্যারা। এটা পুরা প্রভুখণ্ড। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমরা জানি না। খালি জানেন রুবাইয়াত গং। অথচ তিনি মুক্তিযুদ্ধ বলতে খালি গোলাপি পাকিসঙ্গম বোঝেন। তার লাইনে না বুঝলে রায় দিয়ে দেন- ব্লগের লোকজন কিছুই জানে না।
রুবাইয়াত হোসেন গবেষণার নাম করে ছাগুবান্ধবতার টোন থেকে এক বর্ণ সরেন নাই । এক জায়গায় লিখেছেন-
The government even took initiatives to marry these women off by offering lucrative dowries, “the demands of the men have ranged from the latest model of Japanese car painted red, to the publication of unpublished poems” (Brownmiller 1975, 83).
ব্রাউনমিলার থেকে রেফারেন্স টেনেছেন। তার স্বভাবগত আকাশ থেকে কথাবার্তা বা সংখ্যা নিয়ে অন্যের মুখে বসিয়ে দেয়ার কাজ এখানে হয়নি। তবে উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য রেফারেন্সকে নিজের মতো করে কেটে ছেঁটে ব্যবহার করেছেন।
(ব্রাউনমিলার, ১৯৭৫:৮৩)
পাকিস্তানিদের বীভৎস ধর্ষণে জেরবার হয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা তখন পুরুষ জাতিটাকেই সহ্য করতে পারছিল না। সেটা তিনি উল্লেখ করেননি। কারণ এটা করলে তার বৃহত্তর প্রজেক্টকে (পাকিস্তানিদের মানবিক দিক নিয়ে ছাগুপনা) খাটো করা হতো। পাকিস্তানিরা অমানবিক কিছু করবে এটা তিনি বিশ্বাস করতেই চান না। ফলে তিনি করেন তথ্য লোপাট, তথ্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন, মিথ্যাচার থেকে শুরু করে পাকিসঙ্গমকে বৃহত্তর পরিসরে মানবিক করে তোলার জন্য সিনেমা নির্মাণ।
রুবাইয়াত তার মতো করে রুবাইয়াত কথিত সুসমাচার জারি রাখুন। আমরাও এর জবাব দেয়ার ‘আজাইরা’ কাজ চালু রাখি।
ফিরে: রুবাইয়াত হোসেনের পরের প্রজেক্ট বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এটা আশা করছিলাম। হিন্দু কবি রবীন্দ্রনাথের কবিতা কেন জাতীয় সঙ্গীত হবে এটা নিয়ে সাম্প্রদায়িক ফরহাদ বাবুদের অনেক গোস্বা। আগাগোড়া অসাম্প্রদায়িক কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সাম্প্রদায়িক কবি হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হবে এটা নিশ্চিত। অন্তত রুবাইয়াত তাই করবেন বলে ধারণা করা যায়। রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা’ গান নিয়ে রুবাইয়াতের নারীবাদী আবর্জনা অপব্যাখ্যারও একটা জবাব দেয়া প্রয়োজন। আর দরকার এবাদুর রহমানের ‘গুলমোহর রিপাবলিক’ নিয়ে টপসি টারভি আলোচনা।
সূত্র:
১। রুবাইয়াত হোসেনের পেপার।
২। সুসান ব্রাউনমিলারের বইয়ের বাংলাদেশ অংশ।
--
মন্তব্য
আমরা লজ্জায় রাঙাবউ হতে চাই। তবে মাদাম রুবায়েত যদি মেহেরবানী করে যারা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস ও বীরঙ্গনাদের জীবনী নিয়ে কাজ করা দু'একজনের নাম একটু উচ্চারণ করতেন তো বড়োই কৃতার্থ হতেম।
আমরা 'আযাইরা' লেখালেখি করি আর উনি আমাদের উল্টোটা 'যাইরা' লেখালেখি করেন। কুমিল্লায় না কোথায় জানি 'যাইরা' মানে বলে জাউরা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মেহেরজান প্রসঙ্গে মুনতাসীর মামুন, ড: সৈয়দ আনোয়ার হোসেন সহ আরো কিছু খ্যাতিমান ইতিহাসবিদের, বিশেষ করে যারা ৭১-এর উপর গবেষনা করেছেন বা লিখেছেন, তাঁদের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার নেয়া যায় না ? তাছাড়া কিছু নারী কথাসাহিত্যিকের সাক্ষাৎকারও হয়তো নেয়া যায়, যারা ৭১ নিয়ে লিখেছেন বা এ-বিষয়ে সোচ্চার। যেমন, সেলিনা হোসেন।
মনমাঝি
বোধ করি চলতি বিশ্ব সম্পর্কে উনার কোন ধারণা নাই । ব্লগাররা যে কত বড় শক্তি সেটা তার ( সম্মানসূচক চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করলাম না ) কল্পনাতীত । বেশি দূরে না যায় ; মিশরের ব্লগারদের সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়ে বিবিসি আর জাজিরার দুটো প্রতিবেদন আছে । ওগুলো দেখলেই বোঝা যায় । অবশ্য রুবাইয়াত হোসেনের মস্তিষ্কের সুস্থতা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে । আমার কেন জানি মনে হয় ওর পরিচয় ভ্রিমাটের সমস্যা আছে ; বির্তকিত হয়ে সে প্রথম পাতায় আসতে চায় ।
একটা ব্যাপার লক্ষণীয় যে, এখন মুক্তিযুদ্ধের তথ্য বিকৃতি করার জন্য যে আক্রমণ আসছে তা আর পুরানো জামাত মনস্ক গ্রুপ থেকে আসছে না। আসছে কিছু বাম ধারি আর আওয়ামি মনস্ক অংশ থেকে। এটাকে আমার কাছে মনে হয়েছে আক্রমণের নতুন ধারা। কারণ আগের আক্রমণ গুলা সফল হয়নি। তাই এই নতুন চেহারা নিয়ে আসা। এই নতুন পদ্ধতিতে প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল মানুষকে কনফিউজড করা এবং এভাবে অনবরত করতে করতে এক সময় ব্রেইন ওয়াশ করা যাবে।
তাদের আক্ষেপ হল, তাদের প্রথম কো-ওর্ডিনেইটেড অ্যাটাক এই সব "আজাইরা"দের কারণে সফল হয় নাই। বোঝাই যাচ্ছে যে তারা এত সহজে হাল ছাড়বেনা। পরিচালক যেহেতু মুনতাসির মামুন আর মফিদুল হককে লাইন অব ফায়ারের সামনে নিয়ে এসেছে তাই তাদের কাছ থেকে তাদের মন্তব্য জানা এখন দরকার।
যাইহোক আজাইরারা যে বসে থাকবে না এটা তারা বুঝে গেছে। দেখা যাক তাদের পরবর্তি আক্রমণ কিভাবে আসে। আর আজাইরাদের পক্ষ থেকে আপনাকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ এই মহামান্যের ভুল গুলা রেফারেন্স দিয়ে ধরিয়ে দেয়ায়। তাই এই প্রসংগ আসলেই এখন ফোন কেটে দেয়।
অনন্ত
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বস বুঝতে পারেন নাই বলে হল। বেশি এলাবোরেশনে যাই নাই। বলতে চাইছি আগে জামাত সামনে থেকে এই আক্রমণ গুলো করত কিন্তু সেগুলা শেষ পর্যন্ত সফল হয় নাই। তাই এবার তারা আড়ালে থেকে সামনে বসিয়েছে বাম আর আওয়ামি ট্যাগ ধারি লোককে। এতে তাদের মুল লক্ষ হল, সাধারণ মানুষ সামনের এই সব ট্যাগওয়ালা মানুষ দেখে একটু কনফিউজড হবে। কিন্তু তাদের মুল সমস্যা লেজ শেষ পর্যন্ত বের হয়ে যায় আর এবারেও তাই ঘটল। এখন আমাদের বরং সতর্ক থাকতে হবে কারণ লেজ ওয়ালা মানুষ অনেক ভিতরে ঢুকে গেছে।
অনন্ত
না বস, বুঝতে পেরেছি বলেই বেশি চিন্তিত।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সংবাদটা আগেই পড়েছি। রুবাইয়াতের বক্তব্য পড়ে ভাবলাম ব্লগে 'আজাইরা' না লিখে চুরিচামারি (পড়ুন, রুবাইয়াত স্টাইলে) করে একটা মাস্টার্স থিসিস লিখে ফেলব
শুভাশীষদা, এরা ব্লগের বৈপরিত্যেই থেমে যাবে ভাবাটা দিবাস্বপ্ন হয়ে যাবে। আপনি আমি সবাই জানি, ছাগুদের উৎসাহ, ধরন এবং সংখ্যা সহজে কমার নয়!
রুবাইয়াত আর তার সঙ্গীসাথি-চেলাচামুণ্ডা বিরোধী লেখার জন্য একটা "আযাইরা" ট্যাগের আবেদন জানায়ে গেলাম মডুদের কাছে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এবার দেখেন-
ছবিটির পরিবেশক আর্শীবাদ চলচ্চিত্রের কর্ণধার হাবিবুর রহমান খানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, তার উপরে কোনো ধরনের চাপই ছিল না।
সূত্র
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে রাখার জন্যে দলিলাদি যাচাই বাছাই করার দায়িত্ব কার? মফিদুল হক, ঘুম থেকে উঠুন। রুবাইয়াতের এই মলমূত্রমার্কা পেপার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইট থেকে অনুগ্রহ করে সরান।
মগবাজারের কিছু বেশ্যা আছে শুনছি...মার্কেটিংযের ট্রিক্স হিসেবে সিটি কলেজ/ঢাকা ইউনিভার্সিটির নাম বেঁইচ্যা রেট বাড়ায়। আশ্চর্য হওনের কিছু নাই যে, চাইলে নীলক্ষেত মেইড চুরি করা সার্টিফিকেটও দেখাইতে পারব। তবে আমি বেশ্যাগরে বাজারেই থাকতে বলি যেইখানে ট্যাকা আছে। আমরা কিন্তু ব্লগে ট্যাকা ছাড়া আযাইরা লেইখ্যা বেড়াই, ২০ট্যাকার বেশি দিতে অপারগ!
- দিগন্ত
দিগন্ত ভাই, পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই আপনার শব্দের ব্যবহারে একটু দ্বিমত করছি। মগবাজারে যারা থাকে তারা 'যৌনকর্মী', এটা ওদের মিনস অব সারভাইভাল বলা যায়। আর আধুনিক কনসেপ্টে বেশ্য হচ্ছে চরিত্রহীন। যারা 'খাউজ' নিবারন করার জন্যে যারে তারে দিয়ে চো*য়। এরা পয়সা নিতেও পারে, না ও নিতে পারে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
গতকাল খবরটা পড়ে প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হইছিল। দক্ষিণ এশিয়ার খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ বলতে কি উর্দুভাষী ঐতিহাসিকদের কে বুঝিয়েছেন উনি? হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট (পুরোটা না, স্রেফ যেখানে গণহত্যার সংখ্যা হাজার পচিশেক বলা হয়েছে, সে অংশটা) এবং এই ঘরানার ঐতিহাসিকদের রেফারেন্স টেনে ইনি অচিরেই প্রমাণ করে ছাড়বেন বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্রে একটা গৃহযুদ্ধ থেকে টুপ করে স্বাধীনতা পেয়ে গিয়েছে। রাইফেল দিয়ে খোঁচানোর আগে বেয়নেটের বদলে গোলাপ ফুল বেঁধে নিয়েছিল, আর গোলাপের কাটায় ইনফেকশন হয়ে হয়ত কয়েক হাজার লোক মারা গিয়েছিল। আর বাকিরা গোলাপী ফ্যান্টাসিতে আক্রান্ত হয়েছে (কয়েকজন যে হয়েছে তাতো ইতিহাস না জানা আজাইরা সময় কাটানো আমরাই বুঝতে পারছি)।
রূবাইয়াতকে বলতে চাই, ইতিহাসটা আমাদের, রক্ত আমাদের ঝরেছে, ধর্ষণের অবমাননা আমাদের বইতে হয়েছে। আমাদের ইতিহাসের বয়ান আমাদেরকেই বলতে দিন, ভাড়াটে বয়ানকারী দিয়ে আমাদের নসিহত দিতে আসবেন না দয়া করে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কিছু মানুষ কেন " ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়" সেই স্পিরিট বোঝার ক্ষমতা আপনার নাই। কিছুদিন হল ভাবছিলাম, ব্লগ লিখে কী হবে, ব্লগ লিখে আদৌ কি কোন পরিবর্তন সম্ভব। আপনার এই "উক্তি" যাবতীয় দ্বিধা দূর করল। বুঝলাম, হয়, কিছু একটা হয়। ধন্যবাদ রুবাইয়াত আপনাকে, এই অনুপ্রেরণাটুকুর জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঠিক।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
দক্ষিন এশিয়ার ইতিহাসবিদরা যে রুবাইয়াতের পক্ষে কথা বলবে তা তিনি আগেভাগে জানলেন ক্যামনে? ধারনা করা যায় নেগোশিয়েশন শেষ, সিডি'র সাথে ট্রানসেকশন স্লিপ ও পাঠাইছেন। ভালই কেনাকাটা করছেন রুবাইয়াত। আমাদের সুবিধা হলো,খরিদকৃত মালামাল দেখে নিচ্ছি।
রুবাইয়াতের ব্যাপক ক্ষমতাঃ দুই নম্বুরি টাকা-পয়সার অভাব নাই, পীর নানার মুরিদের অভাব নাই, বাপের সুবাদে লীগের পোষা বুদ্ধিজীবির দল, পাকিপ্রেমের সুবাদে অসংখ্য রাজাকারের বাচ্চা, সাহিত্যবেশ্যা কলাম লেখকের দল, প্রেমালাপের সুবাদে ছেলি-ব্রিটিগুচ্ছ...লিস্ট গোওস অন। আমার কাছে মেহেরজান বিশাল পরিকল্পনার ফসল মনে হচ্ছে...অনেক টাকা ছিটানো হয়েছে, পাকিস্তানি হিজড়া একটা ভাড়া করে আনা হয়েছে, জয়াবচ্চন-ভিক্টর ব্যানার্জি যেখানে নিজের দেশেই মুভি করেন না তাদের আনা হয়েছে (টাকার অঙ্কটা কত?- উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক এক্সপোজার), দেশের নির্মাতা-বুদ্ধিজীবি-অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সাথে নানা সুবাদে ভাল রকম খাতির করা হয়েছে-তাদের জড়িত করা হয়েছে (যাতে ময়রা নিজের মিষ্টি খারাপ না বলে), আছে ডিজুস মাথামোটা জেনারেশন, মন্ত্রিকন্যা হিসেবে ক্ষমতার পুরো ব্যবহার করেছেন (শুনেছি উনার এইচ-এস-সির রেজাল্টে ব্যাপক ঘাপলা ছিল, যে মেয়ে স্কুল-কলেজে গন্ডায়-গন্ডায় সাবজেক্টে ফেল করে তার দশম স্থান অধিকার নিয়ে তার সহপাঠিনীরা ব্যাপক আমোদিত হয়েছিল...৯৭এ ও উনি মন্ত্রিকন্যা ছিলেন!)...আর সর্বোপরি "যা কিছু কালো, তার সাথে প্রথম আলো" ত আছেই...
তার এবং তার সাথে সঙ্গত করা সবাইকে চিনে রাখতে হবে...যেখানে তাদের দেখা যাবে- (অহিংসভাবে) দুয়োধ্বনি প্রাপ্য...এতবড় নির্লজ্জ মিথ্যুক বাটপার বাংলাদেশের ইতিহাসে দুর্লভ...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এই মহিলা তো দেখি ব্যাপক হারে টাকাপয়সা খরচ করে যাচ্ছে। এর নাহয় বিন্দুমাত্র লজ্জাশরম, বিবেকবুদ্ধি নাই বুঝলাম, কিন্তু মফিদুল হক, মুনতাসির মামুনদের ব্যাপারটা কি? এদের নিজ নিজ পক্ষ থেকে বক্তব্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করার সময় হয়েছে মনে হয়। টাকার বিনিময়ে মাথা, মুখ ও কলম বিক্রি করনেওয়ালাদের লিস্ট আরও লম্বা হোক, চাইনা।
আমিও সালাম ভাই এর সাথে একমত।রুবাইয়াত হোসেনের মত মাতব্বর আর দেখি নাই।
-------------------------
Lover of Sadness
এক.
কালোকে কালো বলিও না।
বালকে চুল বলিতে হইবে।।
মফিদুল হক আর আলী যাকেরের কাহিনীটা শোনেন--
এক সূত্রে জানা যায়--বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সরবোর্ডে মেহেরজান ছিঃনেমাটি জমা পড়লে সদস্য সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ছবিটি ছাড়পত্র প্রদানে আপত্তি তোলেন। তখন সেন্সর বোর্ডে বিশেষজ্ঞ হিসাবে মফিদুল হককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মফিদুল হক মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি।
মফিদুল হক এক সময় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পার্টির প্রকাশনা সংস্থা জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনীর দায়িত্বে ছিলেন। কামিউনিস্ট পার্টি ভেঙে গেলে মফিদুল হক জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী নিজে দখল করে নেন। তিনি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানে নিকট আত্মীয়। কমিউনিস্ট পার্টির প্রেস, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী এবং বুক স্টোর মেরে দেওয়ার কাছে তৎকালীন পার্টির সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা মতিউর রহমান তাকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেন।
সেন্সর বোর্ডে উপস্থিত হয়ে মফিদুল হক সোজা সাফটা বলে দেন—এটা একটা আন্তর্জাতিক মানের ছবি। ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী কিছু নেই। সুতরাং সেন্সর বোর্ডে আটকে না রেখে ছেড়ে দিন।
তখন জাহাঙ্গীর হোসেন আলী যাকেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলী যাকের মতিউর রহমানের ব্যক্তিগত বন্ধু এবং তার ছেলে মাহমুদুর রহমান শাশার বিজ্ঞাপনী সংস্থার একজন পরামর্শকও বটে। সুতরাং তিনি সোজা বলে দেন মফিদুল যা বলেছেন –তাই শিরোধার্য।
সুতরাং সেন্সর বোর্ডের দরোজা গলিয়ে মেহেরজান ছবিটি ছিঃনেমা হলে চলে আসার সুযোগ পায়।
মফিদুল হক আরও একটা কাম করেছেন--সেটা শোনেন--
বর্তমান আওয়ামী সরকার মুত্তিযুদ্ধ যাদুঘরের জন্য ২৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদানের অনুষ্ঠান করে। সে অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্ধকোটি টাকার চেক প্রদান করে। দেখুন--মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরকে টাকা দিচ্ছে জামাতী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান---যাদের বিরুদ্ধে জঙ্গীদের অর্থায়নের অভিযোগ আছে এবং তার জন্য তারা মাপও চেয়েছিল। জামাতি টাকা কি করে এলো এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আসল সত্য বেরিয়ে আসে--মফিদুল হক ওদেরকে যোগাড় করেছেন। তিনি ধরা খেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। সে টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন কিনা তার ফিরতিবার্তা আজও জানা যায় নি।
তাহলে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের জন্য জামাতের অর্থসংযোগটা মফিদুল কিভাবে এবং কি উদ্দেশ্যে করল? সেই ফারুক ওয়াসিফ কথিত রিকনসিলেশন তত্ত্বের বস্তুগত প্রয়োগ? সোজা সাফটা কথা-- এখানে টাকাই আসল--কত টাকা চাই আপনার মফিদুল হক? আপনাকে ব্লাক চেক দেওয়া হল। আর আলী যাকেরকে বিজ্ঞাপন ইত্যাদি জাতীয় অঢেল প্রজেক্টের প্রলোভন। এদের কাছে আদর্শ বড় নয়। টাকাটাই সব। এরা জীবনে কোনো কিছুই স্বার্থ ছাড়া করেন নি। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর এদের উদ্যোগ। সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগ হলেও এটা বিষয়অনুসারে জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিক পর্যায়ে নেওয়াটা একটা প্রতারণা মাত্র। সুতরাং এই আলী জাকের, মফিদুল হক এটা ভুলে গেছেন। এখনো মনে করছেন--এটা তাদের একটা বিনিয়োগ।
কাল বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবাসী জালাল ভাই--মফিদুল হকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন--মেহেরজান শিল্পমানে উন্নত ছবি। এর মধ্যে কোনো ভুল তিনি দেখেন নাই। বিতর্ক হতে পারে। বিতর্ক হলে তার কোনো আপত্তি নাই। এই ছবিটির পিছনে ফরহাদ মজহার কতটুকু জড়িত সে ব্যাপারে তিনি নিরুত্তর থাকেন।
কি বোঝেন? বাকী কথা--কাল। আজ তবে এইটুকু থাক।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
হতাশাজনক।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
বাহ! (তালিয়া)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আজ এক সান্ধ্য আড্ডায় এক পাকিস্তানী মেয়েকে একটা ধাঁধা জিজ্ঞেস করলাম-
বলোতো কি এমন একটা জিনিস যা পাকিস্তানীর মাথায় থাকে আর বাঙালীর নুনুতে থাকে?
সে মাথা চুলকে বললো যে আমাদের সবার মাথায় তো বাল আছে। আমি তৎক্ষনাৎ বললাম যে ওটাই বাঙালীর নুনুতে থাকে। তারপর একটু ভাষাগত ব্যাখ্যা দিলাম যে আমাদের মাথায় যেটা থাকে সেটাকে চুল বলে আর নুনুরটাকে বাল বলে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মফিদুল হকের এহেন বুদ্ধিজিগোলোমার্কা আচরণের পেছনে কারণটা একটু আঁচ করা যায় দৈনিক সমকালের ২৫ ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে। সেখানে বলা হয়েছে,
তো এই গবেষণা কি রুবাইয়াতের গবেষণার মতোই মিথ্যাচারে ভরা হবে? এই গবেষণা কারা করবে, কাদের তত্ত্বাবধানে? মুক্তিযুদ্ধকে আর মুক্তিযোদ্ধাদের এইভাবে পচিয়ে বানানো সিনেমার টিকিটের টাকার ১৫% দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে গবেষণা করাবেন মফিদুল হক?
মফিদুল সাহেব, আপনি একটা রেনকোট কিনে রাখেন ভালো দেখে। আমরা হয়তো নানা কারণে চুপ করে থাকবো, কিছু বলবো না আপনাকে, ফজলুল করিম সাহেবের প্রেস গাপ করে সাহিত্যপ্রকাশ খোলা নিয়েও চুপচাপ থাকবো, কিন্তু উত্তরপ্রজন্ম আমাদের মতো নরমসরম নাও হতে পারে। তারা যদি ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দেয় আপনাদের ওপর? রেনকোট কিনে রাখেন, কাজে দেবে।
কী একখান শানিত গল্প রে!
রুবাইয়াত নিশ্চিত যে "খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ"দের কাছ থেকে গ্রিন সিগন্যাল তিনি পাবেনই। বেশ বোঝা যাচ্ছে তিনি আঁটঘাঁট বেঁধে থলে হাতেই নেমেছেন। কে কে বিক্রি হলেন সেটাই দেখার পালা...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
রুবাইয়াত তার মতো করে রুবাইয়াত কথিত সুসমাচার জারি রাখুন। আমরাও এর জবাব দেয়ার ‘আজাইরা’ কাজ চালু রাখি।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
লজ্জাহীন, মেধাহীন, বোধ-বুদ্ধিহীন একজন মানুষ কত বড় বড় কথা বলেই যাচ্ছে বলেই যাচ্ছে।
লজ্জা এখনই পাচ্ছি। আপনাকে দেখে।
আপনার নির্লজ্জ কথোপকথন পড়ে।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা পড়া করে এই শিখেছেন? সেই চেতনার কণামাত্র তো অনুধাবন করতে পারেননি। ভুল ভাল তথ্য উদ্বৃত করে দিতে পারলেই মুক্তিযুদ্ধ বিশারদ হয়ে যাওয়া যায়?
আপনাকে এতটা মনোযোগ দেয়া হচ্ছে, এই লজ্জাই বা কোথায় রাখি।
আপনি যদি এর কিয়দংশেরো যোগ্য হোতেন, তো নিজেকে ক্ষমা করতে পারতাম।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আজাইরা রুবাইয়াতের নিউজ প্রতিদিন প্রত্রিকাগুলো তাদের বিনোদন পাতার লিড স্টোরি করুক সেইটাই চাই। নিখাঁদ বিনোদনের অভাব আছে বাংলাদেশে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
রুবাইয়াত যত দিন যাচ্ছে তত একজন হাস্যকর ব্যাক্তিতে পরিনত হচ্ছেন।
এই 'খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ' কারা সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ইতিহাস কখনো খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ' বা তাদের সনদের উপর নির্ভর করে না । সাধারণভাবে কোনো ঘটনা বা ইতিহাস নিয়ে দ্বিমত দেখা দেয় তখনই যখন বাস্তবে যা ঘটেছে তা’ অস্বীকার করে যা আসলে ঘটেনি তাকেই ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীস্বার্থে ঘটনা বা ইতিহাস বলে চাপানো হয়। বাস্তব ঘটনা হলো তাই যেটি বাস্তবিকই ঘটেছে, যেটির সমর্থনে উপযুক্ত দলিল প্রমাণ বলবৎ আছে, যেটির পেছনে লজিক আছে, ঘটনা পরস্পরার যোগসূত্র আছে। এরূপ বস্তুগত সত্য ঘটনাবলির ওপর দলিল প্রমাণহীন, লজিকবর্জিত ঘটনাবলিকে চাপিয়ে দিতে গেলে সমস্যার সৃষ্টি হওয়া অবশ্যম্ভাবী।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সেদিন বেশি দূরে নাই যেদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে জামায়াত-রাজাকাররা বলবে- 'আমাদের নিয়ে তো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কিছু বলেনি। মফিদুল হক কি কিছু বলেছেন, আলী যাকের কিছু বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের কোনো শিক্ষক কি এর প্রতিবাদ করেছেন, মুনতাসীর মামুন কি কোনো আপত্তি উত্থাপন করেছেন? তারা তো কিছু বলেননি। বলছে কিছু ছেলে, যারা ব্লগে ‘আযাইরা’ লেখালেখি করে সময় কাটান। তাদের এই কর্মকাণ্ড পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক।’
সেন্সর বোর্ডের মতো মফিদুল গংরা আদালতে গিয়ে সার্টিফিকেট দেবে- 'এরা নির্দোষ, এদের ছেড়ে দেয়া হোক।'
এসব আজাইরা সিনেমার জন্য হুদাকামে সময়টা নষ্ট হইতেছে। গাধাগুলারে সিনেমা বানাইতে কয় কে? ঘাস খাইলেই পারে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমরা কি ঐ তিনজন--আলী যাকের, মফিদুল হক ও মুনতাসীর মামুনকে মুক্তিযুদ্ধের দানপত্র দস্তখত করে দিয়েছি যে, ওনারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যাই বলবেন সেটাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ফাইনাল কথা? তাদের কাছ থেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় তথ্যের সার্টিফিকেট নিতে হবে?
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
জালাল ভাইয়ের সহায়তায় নীলিমা ইব্রাহীমের ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ থেকে ‘আমি মেহেরজান বলছি’ অংশের পিডিএফ।
একাত্তরের ঘাতক দালালদের চিনে নিতে এই তিনটা বই দেখতে পারেন।
ডাউনলোড করলাম। তবে বিবরনের যেখানে মেয়েটাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে আর মা বোনদের মেরে ফেলেছে - তার পর আর এগোতে পারলাম না। অসুস্থ বোধ করছি। জানিতো কি আছে এর পরে। পরে পড়বো।
শুধু ঐ পরিচারিকা আর তার জিগোলো-জানোয়ার সাপোর্টার ও এ্যাপোলজিস্টদের প্রতি অপরিসীম, অক্ষমনীয় ঘৃণা অনুভব করছি - যারা এমন দানবীয় ট্র্যাজেডি নিয়ে এমন কুৎসিত, বীভৎস, নৃশংস বিদ্রূপ করতে পারে। এরা মানুষ না।
মনমাঝি
মনমাঝি
কারো ডাউনলোডাতে সমস্যা হলে নিচের লিঙ্ক থেকে পড়তে পারেন।
http://www.scribd.com/doc/48540870/আমি-মেহেরজান-বলছি
মহিলা রে (রুবািয়াত) রে সামনে পাইলে চুলের মুঠি ধইরা ছ্যাচা দিতাম,
দুঃখ লাগে রে ভাই।।।আজ পর্যন্ত রুমীরে নিয়ে কেউ সিনেমা বানালোনা। অথচ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসাধারণ সিনেমা হতে পারতো!
পুত্তলিকা পুতুল
শিমুল ভাইয়ের একটা লেখা পড়লাম
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
"আমরা যুদ্ধ করছি সময়ের প্রয়োজনে"। 'বরফ গলা নদী'তে ছিলো মনে হয়। এই 'সময়ের প্রয়োজন' কখনো ফুরায় না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটএ ওর লেখার লিংকটা কেউ দিবেন? বিশ্বাস হইতেছে না...এতদূর!
মেহেরজানঃ উইকি এন্ট্রি
মেহেরজানের আইএমডিবি এন্ট্রিতে ক্রিটিকস রিভিউ কারা আপ করে? একটা দুইটা বাদে সবই তো পজিটিভ লেখা
এইটা পড়ে চরম মজা পেয়েছি
বিডি নিউজ২৪ এর আর্টস পাতায় ব্রাত্য রাইসুর (রাজাকার সন্তানদের প্রতি তার অসীম ভালবাসা সর্বজনবিদিত) পরিচালনায় "মেহেরজান বিতর্ক" নামে একটি আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেটার লিখিত ভার্সন আর্টস পাতায় ছেপেছে। এইখানে দেখুন। ভিডিও আপলোডও করা হয়েছে।
--সাদাচোখ
নতুন মন্তব্য করুন