।১।
বস্তির ব্লন্ড ছেলেটা ব্রুনাট মেয়েটাকে দেখে।
।২।
বাচ্চাদের অপরিহিত একজোড়া জুতা বিক্রয় হইবে।
।৩।
মাননীয় অর্থনীতিকে বিদায় জানান মহামান্য প্রেসিডেন্ট।
।৪।
দেয়ালে গুলি সেঁটে, রক্ত মুছে গেছে।
।৫।
গাড়ি অযান্ত্রিক হলে নির্মাতা হন ঋত্বিক।
।৬।
ঘোষিত হয় মার্জিত আচরণ নোবেলাইট ডিক্রি।
।৭।
মানুষ অমানুষ হয়ে গেলে স্বজাতি ছাড়ি।
।৮।
পাগলা সোলেমান প্রতিবার পুকুরে ডুবে মরে।
।৯।
ক্লাসে শুরু হয় বড়দের জন্য নামতা।
।১০।
টিস্যুপেপারে মৃত হতে থাকে একালের অর্গাজম।
ফিরে: হ্যামিংওয়ের ছয় শব্দে লেখা ‘For sale: baby shoes, never worn’ গল্প থেকে অনুপ্রাণিত। দুই নম্বর গল্পে সেটারই অনুবাদ। এই ছয় শব্দের আরো নানারকম অনুবাদ পাওয়া যায়।
মন্তব্য
বুজা গেলো না। তবে শব্দ কিন্তু ১০ গুন ৬, ৬০টা হইছে।
এক থেকে দশ আলাদা আলাদা গল্প। তিন নম্বরটা মাথায় আসছে দেয়ালে ওবামার একটা চিকা দেখে। লেখা ছিল- গুডবাই ইকোনমি।
পাঁচ তো সহজ। কারণ অযান্ত্রিকের নির্মাতা ঋত্বিক ঘটক।
আমিও কিছু বুঝিনি
উপ্রে হালকা ব্যাখ্যা কর্সি। এরপরেও না বুঝলে একটা বঙ্গানুবাদ দিব।
বুঝছি বস...
১, ৩, ৭, ৯ বেশি ভাল্লাগছে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চমৎকার ! এক শব্দে হয় না ?
সেটা করা যায়। অবশ্য মাইর খাবার সম্ভাবনাও থাকে।
এ কী অবস্থা! আপনি হাঁচি দিলেও দু'একটা গল্প বেরোয় নাকি!
পাঁচ নম্বর পড়ে যে আনন্দ পেলাম তা বোঝানো শক্ত। আপনার টুকুন গল্পগুলো বিশ্লেষণের না, উপলব্ধির। আমি হলে এক পোস্টে একটার বেশি দিতাম না। তাতে অবশ্য পোস্ট মাইক্রো-মিনি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আরেকটা কথা- ছয়টা শব্দ পাশাপাশি সাজায় একটা চরিত্র আঁকেন তো দেখি। যে কোন চরিত্র। চাইলে ছয়টাই বিশেষণ/বিশেষ্য হতে পারে।
যেমন: নারী, ক্যাপস্টান, হুইস্কি, যৌনতা, ফুলার-রোড, বাক্যতত্ত্ব > হুমায়ুন আজাদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লন একটা।
১ ৯ ৭ ১৪ ১৬ ৩৬
এইটা কী লিখলেন? বুঝি নাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আশুর শেষ ছয় ODI স্কোর।
এইটা মহাকাব্যিক হইসে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
স্যরি। এটাতে একটু কারেকশান আছে। এই লিঙ্ক অনুসরণ কর্লে ষড়ল অঙ্কটা চ্যাঞ্জায়।
১ ৬ ১৩ ১৪ ৯ ২০
আহা এই গল্প যেন আশু আর উৎপাদ গং এর জীবন আলেখ্য
গল্প পাল্টাইছে।
১১ ১ ৬ ১৩ ১৪ ৯
হেমিংওয়েরটা আগে পড়ছিলাম।
৬, ৮, ১০ নাম্বারে ।
আপ্নের পোস্টের অপেক্ষায় নাজির।
আমার পোস্টের অপেক্ষায়!!!!!!!!!!!!
কনফিউজড
'শব্দ' কম হয়ে গেল না?
হেমিংওয়েকে অনুসরণ করতে গিয়ে।
শুভাশীষ দা,
ছয় শব্দের গল্পের কোন নাম আছে কি? হাইকুর মতো?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এইরকম কোনো নাম নেই মনে হয়। হেমিংওয়ের কারণে এই চেষ্টা অনেকেই করেছেন।
ষড়ল গল্প বলা যায়।
আমারে নাম ধরে ডাকবেন। আপনি সিনিয়র। আর আমি বুয়েটের '৯৬ ব্যাচের।
দাদা, বলাটা রোমেল ভাইয়ের মজ্জাগত মনে হয়। উনি আমার তিন ব্যাচ আগের, নানা ভাবে উনাকে অনুরোধ করেছি আমাকে নাম ধরে ডাকতে তবু আমাকে "পাণ্ডবদা" বলেন। বড্ড অস্বস্তিকর।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এক শব্দে কাম সারি, (গুড়)
"বাচ্চাদের অপরিহিত একজোড়া জুতা বিক্রয় হইবে" - এই লাইনটা পড়ে আমি মাথা চুলকে ভাবতে লাগলাম, "তো হইসেটা কি?"
‘For sale: baby shoes, never worn’ কথাটা অত সহজেই ভুলে যেতে পারলাম না। বুকের ভেতর কোথায় যেন বাজলো !
-----------------
সাত্যকি
------------------
এটার অনুবাদের নানা চেষ্টা আছে। কোনোটাতেই ঠিকমতো ফোটে না।
আমার মনে হয় 'baby'-র বাংলা অনুবাদটা বহুবচনের বদলে একবচনে হলে আরো অন্তরঙ্গ হত বা দাগ কাটতো। নেহাৎই আমার অনুমান অবশ্য। যেমন ধরুনঃ
"বাচ্চার একজোড়া জুতা বিক্রি হবে : কোনদিন পরা হয়নি।"
বা,
"বাচ্চার অপরিহিত একজোড়া জুতা বিক্রয় হইবে।"
মনমাঝি
একবচন কর্লে কিছুটা ভালো শোনায়।
শুভাশীষদা, আমি একটু দুঃসাহস দেখাই?
for sale: baby shoes, never worn >> আর ওই যে এত্তোটুকুন জুতোজোড়া, ওটা আমার বাবুর, একদম নূতন! তোমরা কেউ নেবে গো?
[মহাকাব্য হয়ে গেল দেখি, ]
---------------
সাত্যকি
---------------
ঠিকাছে।
‘For sale: baby shoes, never worn’
একসময় সচলে অণুগল্পের ঢল নামছিলো, তখন হেমিংওয়ের গল্পটার অনুবাদ করেছিলেন ফারুক ওয়াসিফ, এখানে । সেটা অবশ্য দশ শব্দের ছিলো। মন্তব্যের ঘরে পাবেন পাঁচ শব্দে করা মুজিব মেহদীর অনুবাদ
।১। বুঝি নাই
।২। অপরিহিত শব্দটায় গোলমাল লেগে যায়
।৩। ভাল্লাগছে
।৪। দারুণ
।৫। বেশি জোশ
।৬। কনফিউজড
।৭। হ
।৮। বুঝি নাই
।৯। বুঝি নাই
।১০।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বুঝি নাই চোথা
।১।
চট্টগ্রামের বস্তি। পোর্ট সিটি, তাই বিদেশি ব্লন্ড নাবিক। সেক্স ক্রমে আসিতেছে। বন্ড বাচ্চা।
।৮।
সমাজে সোলেমান বা পাগলদের নামে কিছু আসে যায় না। কিভাবে মরে সেটাতেও না।
।৯।
চাকরি ও সিক্স ফিগার।
এইবার বুঝছি...
নোটবই ছাড়া পইড়া অভ্যাস নাই তো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনি দেখি 'সংক্ষেপণ' শব্দটার নতুন ব্যাখ্যা দেয়াবেন কিছুদিনের মাঝেই!
চার! চার মারাত্মক লেগেছে সেটা বলতেই লগ ইন করা আসলে। দারুণ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অভিনব লাগলো খুব! তেমন একটা পড়া হয়নি এমন সল্প শব্দের গল্প। টুকুন থেকে এত্তোটুকুনেও আপনি লা-জবাব
- আয়নামতি
এত্তোটুকুন গল্প- ভালো বলছেন।
জানতাম মন্তব্যে বাংলা তর্জমা পাওয়া যাবে। নকল না করে নিজে বোঝার চেষ্টা করলাম অনেকক্ষণ। তারপর নিজেই একটা টুকুনস্য টুকুন গল্প লিখে ফেললাম, "অনেক পরে বুঝলাম যে বুঝবো না।"
-রু
তর্জমা পইড়া ন্যান।
আপনার ছোট গল্প অসাধারণ লাগে।
অটঃ কারো লেখা ভালো লাগতে শুরু করলেই দেখা যায়, সেও ইঞ্জিনিয়ার! তার উপর নিজের ইউনির~
জেগে দেখি, ডাইনোসরটা তখনো সেখানেই আছে।
(মূলঃ Augusto Monterroso’র El Dinosaurio: “Cuando despertó, el dinosaurio todavía estaba allí.”)
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাংলা করা ভালৈছে।
আইডিয়াটা দারুণ। ২ নং গল্পের অর্থটা ধরতে পেরেছি কিনা জানি না, হৃৎপিন্ড মনে হয় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গেল।
হ
(এক শব্দে দিলাম। )
আইডিয়াটা চমৎকার। চার-পাঁচ-নয় বেশি ভালো লেগেছে। পারফেকশন আনতে পারলে শব্দষষ্ঠক একটা তুমুল জিনিস হবে।
ছয় শব্দে পারফেকশন আনা ম্যালা কঠিন।
মুগ্ধ মুগ্ধ, লা জওয়াব!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি একটা ল্যাখতে চাই-
মানুষ কি তার নিজেরো পিতা
হইছে?
-রাখাল বালক
ভালু।
সবচেয়ে যে ছোট্ট পিঁড়িখানি
সেইখানি আর কেউ রাখে না পেতে
ছোট থালায় হয় নাকো ভাত বাড়া
জল ভরে না ছোট্ট গেলাসেতে;
বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে যে ছোট
খাবার বেলায় কেউ ডাকে না তাকে,
সবচেয়ে যে শেষে এসেছিল
তারি খাওয়া ঘুচেছে সব-আগে।
সবচেয়ে যে অল্পে ছিল খুশি
খুশি ছিল ঘেঁষাঘেঁষির ঘরে,
সেই গেছে, হায়, হাওয়ার সঙ্গে মিশে,
দিয়ে গেছে জায়গা খালি করে।
ছেড়ে গেছে পুতুল, পুঁতির মালা,
ছেড়ে গেছে মায়ের কোলের দাবি;
ভয়-তরাসে ছিলো যে সবচেয়ে
সেই খুলেছে আঁধার ঘরের চাবি।...
ছিন্নমুকুল
সত্যন্দ্রনাথ দত্ত
২ নং গল্পের অর্থটা ধরতে পেরেছি কিনা জানি না, হৃৎপিন্ড মনে হয় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গেল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১০ নংটা অষইভ্য লাগলো, আরাম পাইলাম। একটু কাগজায়িত কষ্টও পাইলাম!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আমি তো জানতাম, টিস্যুপেপার ষইভ্যতার দান।
নতুন মন্তব্য করুন