একদিন খেয়াল করি, পাশের বাড়ির ভদ্রলোক বিকেলে উঠোনে বসে গোল গোল মাটির ডেলা বানান। বানিয়ে উঠোনেই রেখে দেন। আমি অফিস থেকে ফিরে বারান্দায় চা নিয়ে বসে বসে দেখি। একবার ভাবি উনার সাথে পরিচিত হবো। কিন্তু আগ বাড়িয়ে কারো সাথে মিশতে ভালো লাগে না। ভদ্রলোক কাজটা করেন নিবিষ্ট মনে। এই যে আমি দোতালায় বসে বসে তাকে দেখি সেদিকে তার খেয়াল নেই। চা শেষ হয়ে গেলে আমি বরং আরেক কাপ চা নিয়ে বসি। ভদ্রলোকের যত্ম করে মাটির ডেলা গোল করার কারণ জানতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে হজম করে পরদিন আবার চায়ের কাপ নিয়ে বারান্দায় বসি। গোল গোল নিপাট অনাকর্ষণীয় এই মাটির ডেলাগুলো একদিন প্রবল বৃষ্টিতে তালতাল পিণ্ডে পরিণত হয়। পরদিনও তাকে একই কাজে মগ্ন দেখি।
শূন্য
আর্ট স্কুলে আমরা সবাই নানা কিছু আঁকার চেষ্টা করি। কিছু কিছু তত্ত্ব ও শিখি। কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং এঁকে তার মধ্যে উত্তরাধুনিকতা খুঁজতে মগ্ন হই। আমাদের বন্ধুমহলের মধ্যে অরণ্য এসেছে গহীন কোনো গ্রাম থেকে। এইরকম আধুনিক নামের সাথে ছেঁড়া চপ্পল পায়ে বদখত চেহারার ছেলেটাকে মানায় না। ওর মাথাও বেজায় ধীরে চলে। তত্ত্বের কথা বোমা মেরেও গেলানো সম্ভব হয় না। তবে হাতটা আঁকার জন্য খুব ভালো। কিউবিজমের ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্টে একটা ঐরাবত আঁকে অরণ্য। শূন্যের দিকে তাকিয়ে থাকা ঐরাবতের নান্দনিক জীবন্ত সেই শারীরিকতায় সমস্ত কিউব ভেঙে দূরে ছিটকে গড়াগড়ি খায়।
অঙ্ক
ডাইনিং টেবিলের ওপর রাখা তরমুজ দেখে রাহুলের পুর্ণেন্দু পত্রীর কথা মনে পড়ে। তরমুজের সবুজ বনাম লালের সমান্তরালে দাঁড়িয়ে থাকা সবুজ ডুরে শাড়ি আর নারীশরীর কল্পনা করে। জড়িয়ে ধরার মতো কেউ পাশে না থাকায় মাথার বালিশকে চেপে ধরে। আর কোনোপ্রকার সডোমি ছাড়াই চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ে।
মন্তব্য
"শূন্য" মাথার উপরে দিয়ে গেল। প্রথমটাও বুঝিনি (নামকরণের সার্থকতা)।
শেষেরটা ভাল্লাগছে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
সিস্টেমের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না এরকম একজনের গল্প শূন্য।
প্রথমটা তো সহজ মানুষের গল্প।
আপনার এই লেখা তো কিউবিস্ট মনে হচ্ছে না। এগুলি কি তবে দাদা-ইস্ট লেখা ?
মনমাঝি
দাদায়িস্ট
ভাল্লাগছে...
বড় গল্প আর লেখবেন না? অনেকদিন পড়ি না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লিখবো তো অবশ্যই।
শূন্যটা সবচেয়ে ভালো লাগছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভালো লেগেছে
...........................
Every Picture Tells a Story
প্রথমটা ভালৈছে, সেকেন্ডটা খ্রাপৈছে টাইপের মন্তব্য আর কত করব। কিন্তু আসলেও প্রথমটা ভালৈছে, সেকেন্ডটাও।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনি কই?
সব বুঝলাম কি না জানি না, তবে পড়তে ভালো লাগলো। বিশেষ করে প্রথম দুইটা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শূন্যটা জটিল লাগলো।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হুঁ, শূন্যটা জটিলই লাগল বটে!
চমৎকার। আপাতত পাঁচতারা দেয়া গেলেও ভীড় করে থাকে সাতটি তারার তিমির।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আরে রোমেল ভাই, এগুলা সব আব্জাব্ লেখা।
জিবরানের "বালি ও ফেনা" বা আরো কয়েকটা গ্রন্থে ছোট ছোট গল্প বা দৃশ্যাংশের মাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার চেষ্টা লক্ষ করা যায়। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে জিবরানের ঐসব প্রচেষ্টার বক্তব্যকে হয়তো সমালোচনা করা যায়, তবে সেই ফরমাটটাকে অস্বীকার করা যায় না। মানুষের সময় কমে আসছে, ধৈর্য আরো কম। মুক্তদৈর্ঘ্য গল্প নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষাটা তাই দরকারী। লেখক যা বলতে চাইলেন সেটা যে দৈর্ঘ্যে বলা যাবে সেটাই ঠিক। তবে দৈর্ঘ্যের স্বল্পতা যদি বক্তব্যে দুর্বোধ্যতা আনে তাহলে চলবে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খাইছে, আপনি মেসেজ না বুঝলে ক্যামনে কি?
আমি বলিনি যে আমি মেসেজ বুঝিনি। আমি শুধু হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করলাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মাঝেরটা বেশি ভালো লাগলো!
নতুন মন্তব্য করুন