যখন সৈনিক ছিলাম
ব্রায়ান ই টার্নার
-পা।
-সিগারেট?
সে পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে একটা নিজে নিল, একটা দিল আমাকে। নীল সিগারেট। দুজন চুপচাপ থেকে ধোঁয়ায় নিজেদের আচ্ছন্ন করতে থাকি।
-ওয়াইফ।
সে পকেট থেকে দুমড়ানো একটা ছবি নিয়ে আমার হাতে দেয়। বাচ্চা নিয়ে ঢিলেঢালা পোশাক পরা কঠোর চেহারার কালো একজন মহিলা। আমি ওকে রৌদ্রোজ্জ্বল ব্লন্ড আমার মিৎজির ছবিটা দিই। সে হেসে ছবিটা তার বুকে ঠেকায়, তারপর আমাকে ফিরিয়ে দেয়।
আবারো চুপ করে বসে থাকি।
যুদ্ধক্ষেত্রের শোরগোল আস্তে আস্তে কমে আসে। চারদিক সুনসান হয়ে গেলে আমি রাইফেলটা তুলে নেই। গুলি চালাই ওর বুক বরাবর।
সে ছিল আমার শত্রুপক্ষের লোক।
সূত্র
Vestal Review
April 2000
----
মন্তব্য
আহ, অসাধারণ গল্প! খুব ভালো লাগলো।
সব সময়ে যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত এক!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মারাত্মক!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কেন যেন অল কোয়াইয়েট এট দা ওয়েস্টার্ণ ফ্রন্টের কথা মনে পড়ে গেল। আমার খুব প্রিয় একটা বই।
আমি বাক হারা (স্পিচ লেস)!
--------------------------------------------------------------------------------
হুমম। কেউ শান্তিতে থেকে যুদ্ধের শিক্ষা নেয়, কেউ যুদ্ধেতে থেকে শান্তির।
হমম এটাই হয়ত স্বাভাবিক ছিল।
জবরদস্ত লেখা
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
মাথায় কখন কোন বোধ (মানুষ/যোদ্ধা) চাড়া দিয়ে উঠে ঠিক নাই ....
এমন গল্প নিজের জীবনে অহরহ ঘটে। ভিক্ষুকের কোলের বাচ্চার দিকে তাকিয়ে হাসি, নিজের সন্তানের মুখটা দেখি সেখানে, তারপর বলি - ভিক্ষা নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এ জন্যই এটা যুদ্ধ।
অনুবাদ ভালো লেগেছে।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
কেন জানি গল্পের শুরু থেকে এ পরিণতিটাই জানান দিচ্ছিল। অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট কিংবা 'প্যাসিফিক' সিরিজের কোনো এক পর্বে এরকমই দেখেছিলাম। অনুবাদ ভাল লাগল।
****************************************
কোন একটা যুদ্ধের সিনেমায় এরকম দৃশ্য দেখেছি। ভালো লেগেছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এই গল্পটা কবেকার লেখা ??
২০০১ সালের একাডেমী পুরষ্কার পাওয়া ছবি "নো ম্যানস ল্যান্ড" ছবিটার পুরো কাহিনী এরকম... গল্পটাকে মনে হচ্ছে ছবির একটা অসাধারণ খুদে সংস্করণ।
নো ম্যান্স ল্যান্ড এর শেষটা একটু আলাদা ছিলো না?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
"নো ম্যানস ল্যান্ড" এর একদম শেষে কি ছিলো, সেটা ভুলে বসে আছি। কিন্তু পা-সিগারেট ভাগাভাগি-বান্ধবীদের এমনকি একই স্কুলে পড়বার ঘটনা; সবই ওই ছবিটাকে মনে করিয়ে দিচ্ছিলো।
গল্পটি অসাধারণ, অনুবাদেও যত্নের ছাপ পরিস্ফুট। অভিনন্দন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
চমৎকার
খাসা অনুবাদ! দারুণ লাগলো!
যুদ্ধ একটা বাস্তবতা। যুদ্ধে হয় গুলি করতে হবে, নয়তো গুলি খেতে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গল্প চমৎকার। অনুবাদও। তবে মাই ব্লন্ড বলতে প্রেমিকা বুঝায় এইরকম কে জানি বলছিল। ঘুরায়া লেখা যাইতে পারে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মন্তব্যের জন্য সব্বাইকে বিশাল
আপনার সব লেখা আমার পড়া হয়নি। এ পর্যন্ত যতগুলো পড়েছি, একটা টুকুন গল্প মনে ভীষণ দাগ কেটে ছিল 'একটা গাছ, মেঘ আর পাথর' এমন নামের অনুবাদ(নামটা ঠিক মনে নেই, কিন্তু গল্প পুরোটাই খুব মনে আছে) আমার পড়া দ্বিতীয় টুকুন গল্প যেটা ভীষণ রকম ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার অনুবাদটির জন্য
ঐটা কিন্তু অনুবাদও ছিল না, এমনকি টুকুন গল্পও না। ছিল নির্ভেজাল ফালতু আব্জাব্ ব্লগরব্লগর।
.......
শেষের লাইন পড়া হলে প্রথম থেকে আবার পড়লাম। এবার দারুণ লাগলো।
দুর্ধর্ষ!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভালোতো। নীল উর্দি-সবুজ উর্দি দেখে আঁচ করতে পারছিলাম এরকমই করবে শেষে।
খাইছে। সব সিরিয়াল ধরে পড়া ধর্ছেন দ্যাখি।
নতুন মন্তব্য করুন