দস্তয়েভ্স্কি আটাশ বছর বয়সে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি পেয়েছিলেন। ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড়িয়ে গুলি খাওয়ার আগে আগেই তার মৃত্যুদণ্ড মাফ হয়। এরপরে তিনি আরো একত্রিশ বছর বাঁচেন। আজমের কথাগুলো শেষ হওয়া মাত্র আমরা দস্তয়েভ্স্কিকে দেখতে পাই। বিশ্রী রকমের চেহারা আর গায়ে সেই একই ওভারকোট। রবি বলে- চল গিয়ে কথা বলি। আমি একদমই আগ্রহী হই না। আজম আমাকে পাত্তা না দিয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে। আমরা তার পিছনে পিছনে চলতে শুরু করলে দস্তয়েভ্স্কি তার হাঁটার গতি বাড়িয়ে দেয়। আমরাও বাড়াই। আমি একটু পিছিয়ে থেকে হাঁটার গতি বাড়াই। গলি ও তস্য গলির মধ্যে হঠাৎ করেই আমরা তাকে হারিয়ে ফেলি। রবি চুপ থাকলেও আজম রেগে ওঠে। গালাগালি শুরু করে। আমি আরো কিছুটা হেঁটে ওদের দলে ভিড়ি।
আড্ডায় ফিরে গেলে রবি বলে- সামনের সপ্তাহে আমাদের পাঠচক্রে রেইমন্ড কারভারকে ঢোকাবো ভাবছি।
মন্তব্য
গোগল এবং দস্তয়ভস্কি। আর লাগে কি।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
হ। আর কিছু লাগে না।
সাওয়ারিয়া
১৮ শতকের পর unreason হারায়া গেছে। ফুকো প্রভৃতি ইতিহাসবিদ madness নিয়া চিন্তিত। তাদের কৃত অর্থে পাগলেরা সামাজিক প্রাণী। শিল্পীরা অসামাজিক। ফুকোকে ওভারকোট কর্লাম।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমার বোঝার ভুল হৈতে পারে। ফ্রয়েডের সাইকো-অ্যানালাইসিসে unreason কিছুটা পাই।
দস্তয়েভ্স্কির গায়ে গোগলের ওভারকোট হয় কীভাবে? একবার তিনি সম্মান করে সে কথা বলেছিলেন তাই? গোগলের একটা ওভারকোট আছে বটে তবে সেটা দস্তয়েভ্স্কির গায়ে লাগার কথা না।
অটঃ শিরোনামে "লগে" শব্দটা দেখলে পৌণেপাৎলুন দাদার কথা মনে পড়ে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পৌনে পাৎলুন আর মোস্তফা ফাচুকির লাইগা কি স্বভাষা পরিত্যাগ কর্তে হৈবো?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
স্বভাষা পরিত্যাগ করতে বলিনি। পৌণেপাৎলুনের কোবতের বইয়ের শিরোনামে "লগে" ছিল বলে এই শিরোনামটা পড়ার সময় সেকথা মনে হয়েছিল। ক্রিয়াপদ তো বটেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ্য বা সর্বনাম লেখার সময় মুখের ভাষাটাকে লাগসই মনে হলে সেটা লেখাকে আমি দুষনীয় মনে করি না। তবে সেখানে জোরাজুরি করলে আপত্তি আছে। মুখের ভাষার বানানের রূপটি প্রমিত নয় বলে ("হের লাইগা" নাকি "হ্যার লেইগা") লেখার ক্ষেত্রে লেখকভেদে তার রূপটা পালটে যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিও আসতে পারে। তবে ভাষা তো বহতা নদীর মতো সেখানে ছড়ার পানি বা ঝর্ণার পানি যোগ হলে ধারা সমৃদ্ধ হবে; আর কচুরীপানা যোগ হলে তা ভেসে চলে যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হ। দস্তয়েভ্স্কির ঐ কথা থেকেই।
লেখার আকার ছোট বাট্, আনন্দটা পেলাম বড়
পড়ার জন্য
রিফ্লেক্ট পাবলিকেশন কর্তক প্রকাশিত 'দস্তয়েভ্স্কি রচনাবলী'র কাঞ্চন বসু লিখিত ভূমিকায় বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে এভাবে,
আমারও একখানা পুরনো মলাটের 'দস্তয়েভ্স্কি রচনাবলী' আছে। ওটার দিকে তাকালে সত্যই মনে হয় গোগলের রঙওঠা ওভারকোট গায়ে ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণীর কামরায় বসে আছেন মিশকিনরূপী দস্তয়েভ্স্কি। এই হয়ত মূর্ছা যাবেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন