রাহেলাকে তুলে আনা হয় তার গ্রাম থেকে। পালাতে থাকা লোকজনের দিকে মশার ঝাঁকের মতো গুলি কাউকে না কাউকে হত না করে থামে না। বাবা-মা, ভাই গুলিতে মরেছে কি আগুনে পুড়ে মরেছে সেটার সঠিক কিনারা করার আগে তার জ্ঞান চলে যায়। জঘন্যতম গালাগালি, শরীরের ওপর বিশ্রীভাবে কচলানো হাত, গুলির শব্দ, আগুন আরো আরো কি কি যেন মিশে ভেসে ভেসে তার প্রবেশ ঘটে তেপান্তরের দোজখে। উলঙ্গতা একসময় স্বাভাবিক হয়ে আসে। ধর্ষণ হয়ে পড়ে বিরতিহীন। আর ক্রমাগত বীভৎসতর। ধর্ষণের সময় তাকে বলা হয় অনুগত কুত্তির মতো আচরণ করতে। রাহেলা বুঝে না বুঝে সেটাই করতে থাকে। এক আর্মি মেজর ধর্ষণ করতে করতে একদিন জানায়, এই সেক্স-স্লেইভারির অল্প কষ্ট সহ্য করে করে তার রক্তশুদ্ধি হয়ে যাচ্ছে।
রাহেলা প্রাণে বেঁচে যায়। দেশ একসময় স্বাধীন হয়। পরিশুদ্ধ রক্তের মানে বুঝতে গিয়ে রাহেলা কোনো এক দুপুরে নিজের দেহের রক্তপাত ঘটায়। লাল রক্ত ধীরেসুস্থে জমাট কালো হয়ে পড়ে।
মন্তব্য
গ্রে এরিয়াতে থাকতে পারে না আপনেরা? তাহলে সবকিছু কত সহজ হৈত
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এটা পিয়াস করিমের জন্য নতুন ভাবনার বিষয় হতে পারে। হয়তো দেখা যাবে এই সেক্স স্লেইভারিকেও তিনি রেইসের ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে রেখে এথনোসেন্ট্রিজম দিয়ে কোমল করে ফেলেছেন।
ভয়াবহ।
এই বাক্যটা "বুঝে না বুঝে..." হবে না?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
টাইপো। ঠিক্কর্লাম। থ্যাংকস্।
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ
গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো।
আমার এটাকে খুব দুর্বলভাবে সংগঠিত একটা লেখা বলে মনে হয়েছে,ওইভাবে দানা বাঁধে নি।হানাদারদের দ্বারাই প্রথম বাংলাদেশী নারীরা ধর্ষিতা হয়নি এবং এই কথাটা বলার মধ্যে কোন দোষের কিছু নেই।ধর্ষণ হাজার বছর ধরে হয়ে আসছে,হবেও পরর্বতীতে,হানাদাররাও কিছু করেছে,যদিও কাগজপত্রে,গবেষণায় সংখ্যাটা খুব বেশী নয়। কিন্তু মেইট স্ট্রীম পপ ন্যাশনালিজমের ন্যারেটিভে এটাকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে অন্ধ উগ্র একটা প্রজন্ম তৈরী করা হয়েছে।আর ব্লগ ডিসকোর্সে, ব্লগ ন্যারেটিভে ভালগার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে সত্যিকারের ইতিহাস খুড়ে আনা যোদ্ধারা,যেমন শর্মিলা বোস।আরে আমি একাত্তরে বেঁচে ছিলাম,আপনারা ছিলেন না।
পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কটা রেইসিস্ট ছিলো বলে অশিক্ষিতরা অপ-প্রচার চালাচ্ছে, তারা জানেনা রেইসকে কন্সট্রাক্ট করতে হয় সোশ্যালি, পলিটিক্যালি, রেইস তখনই রেলিভেন্স পায়। পশ্চিম পাকিস্তানিরা তো আমাদের সাথে
ওরকম করেনি, মেনে নিচ্ছি কিছু অনিয়ম হয়েছে, কিন্তু সেটা তো এখনো হচ্ছে । পড়াশুনা করুন ,আইয়ুব খানের ‘প্রভু নয় বন্ধু’ পড়ে দেখুন , রেইসিজম আর এথনোসেন্ট্রিজম একই ব্যাপার নয়,বুঝতে পারবেন। রেইসিজম একটা সিরিয়াস টার্ম,ভ্রাতৃপ্রতিম দুটো জাতির মধ্যে এই সিরিয়াস টার্মটা আলগাভাবে এনে মানুষে মানুষে ঘৃর্ণা ছড়াবেন না।
আর হ্যা,এটা কোনো 'উটকো মন্তব্য' নয়।
বিভিন্ন পোস্টে একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির ভেক ধরে আপনাকে সক-পাপেটিং করতে দেখা যাচ্ছে। অনুগ্রহ করে এটি বন্ধ করুন। নইলে আপনার আইপি সহ ব্যান করে দেয়া হবে।
সাধারণ মানুষ সাদা-কালোর বাইরে গ্রে এরিয়াটা ধরতে পারে না বলে পিচাশ করিমদের সাধারণ মানুষের প্রতি করুণা হয়। উল্টোদিকে পিচাশ করিমরা যখন সযত্নে সাদা-কালো এড়িয়ে শুধু গ্রে এরিয়ায় অবস্থান করতে বেশী আগ্রহী হন তখন ভুরু কুঁচকে ওঠে। এরা গায়ের জোরে মানতে চান না যে কিছু কিছু বিষয় গ্রে এরিয়া নয়। স্রেফ সাদা কালো।
ধর্ষন যুগে যুগে চলে এসেছে এবং সব ধর্ষনই ধর্ষন। কিন্তু যে ধর্ষন হয়েছে একটা যুদ্ধের পিঠে ভর করে, যার উদ্দেশ্য ছিলো বাঙ্গালীকে দমিয়ে দেয়া, ইনফিল্টারেট করা তার সাথে সাধারণ ধর্ষনকে মিলিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরী করেন যে তার প্রতি ঘৃণা ছাড়া আর কিছু জন্মায় না।
লাল রক্ত ধীরে ধীরে জমাট সবুজ হয়...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সন্দেশ @ উদ্দেশ্য ছিলো ব্যঙ্গ করা, গা জ্বলে যাচ্ছিলো ওই ঢ়ইষূর বির্তকে জ্ঞানপাপীটার কথা শুনে,যাই হোক এই সমস্ত নিয়ম জানতাম না,ধন্যবাদ আপনাকে।
এই'উটকো মন্তব্য'টি করেই পিচাশ মরবে..!
.................
কোন একটা লেখায় পড়েছিলাম, মৃত্যুও ছিলো তখন চরম আরাধ্য। এইটা কত বড় ব্যাপার, সেটা বুঝলে কেউ আর থিউরি কপচাতো না
উলঙ্গ করে রাখার কারণ, যেন কেউ শাড়ি বা পরনের কাপড়কে দড়ি বানিয়ে গলায় ফাঁস দিতে না পারে। অমন ভেবে অনেকের লম্বা চুল মুড়িয়ে মাথা ন্যাড়া করেও ফেলা হতো। রক্তশুদ্ধিতে অনিচ্ছুক মুর্খ মেয়েদের কাউকে কাউকে উঁচু ভবনের (তখন চারতলাই উঁচু ভবন) ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলা হতো। কাউকে কাউকে এমন সব উপায়ে দৈহিক নির্যাতন করা হয়েছে যেটা লিখতে গেলে হাত সরে না।
এতো গেলো মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী জানোয়ারগুলোর আচরণ। ডিসেম্বরের পরে কী হলো? "কোনো এক দুপুরে নিজের দেহের রক্তপাত ঘটায়" -এমন ঘটনাগুলোর হিসাবও কি আমরা রেখেছি?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চোখের আড়ালে ঘটা রক্তপাতগুলো..................নীরবতার মধ্যেই হারিয়ে গেছে।
যারা একাত্তরের সময় পাঁচ সাত বছরের ছিলেন তাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, সত্তর দশকের প্রথমভাগে রাস্তাঘাটে পাগলীর উৎপাত বেড়ে গিয়েছিল।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পাকিস্তানি হানাদারদের ধীক্কার জানাই।
labin rahman
খুব ভালো লাগলো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
পড়া ও মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন