প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান যেকোনো মূল্যে তাঁর পত্রিকার কাটতি বাড়াতে উন্মুখ। গুজব আছে, যুদ্ধাপরাধী রক্ষাকরণ লবিং গোষ্ঠীর কাছ থেকে আসা মোটা দাগের ফাইনান্স প্রথম আলোকে এই গোষ্ঠীর পক্ষে নানামুখী ভূমিকা পালন করতে এক অর্থে জোর খাটায়। রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতি প্রথম আলো আলোকিতভাবে মুগ্ধ। প্রথম আলোর স্পোর্টস ডেস্ক বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলার সময় নির্লজ্জ পাকি সাপোর্টার ডেস্ক হিসেবে রিপোর্ট করে গেছে। পাকিস্তানের জিয়ো নিউজের নির্বাহী সম্পাদক হামিদ মীরের লেখা প্রথম আলোর সম্পাদকীয় উপ-সম্পাদকীয় পাতায় নিয়মিত বিরতিতে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১১ সালের ছাব্বিশে মার্চ হামিদ মীর প্রথম আলোতে হাজির হলেন পুনর্মিত্রতার আহ্বান নিয়ে। একাত্তরের যুদ্ধকে শর্মিলা বসু কথিত "ভায়ে ভায়ে যুদ্ধ" বা সিভিল ওয়ারের ট্যাগে ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য প্রথম আলো হামিদ মীরদের আশ্রয়স্থল হয়।
৩০ মার্চ যখন আমাদের ক্রিকেট দল মোহালিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলবে, তখন আমরা বাংলাদেশি সমর্থকদের অনুভব করব। এখনই সময় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য করা। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে আমরা অনেক কিছু করতে প্রস্তুত। সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ কাশ্মীর বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবও ভুলে যেতে প্রস্তুত ছিলেন। আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের কাছে কেবল ক্ষমাসূচক কিছু শব্দ দাবি করা হয়েছে। যা এক ভাইয়ের কাছে আরেক ভাইয়ের ক্ষমা চাওয়ার মতো। তারা এখনো আমাদের ভালোবাসে। বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অবশ্যই একটি প্রস্তাব পাস করা উচিত। আজ ২৬ মার্চ যারা স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করছে, এ প্রস্তাব তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ় করবে। আমার বাংলাদেশি ভাইবোনদের প্রতি রইল স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
প্রথম আলোতে মতিউর রহমানের নির্দেশে স্তম্ভ-লেখকেরা একে অন্যের পিঠ চুলকায়। হামিদ মীরের এই ভাতৃত্ববোধের সাফাই গেয়ে একই জায়গায় লেখা প্রকাশ করেছেন স্তম্ভাকার সোহরাব হোসেন।
হামিদ মির যখন পাকিস্তানিদের অপকর্মের জন্য ক্রমাগত ক্ষমাপ্রার্থনার কথা বলে আসছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিচ্ছেন, তখন আমাদের সরকারি ও বিরোধী দলের বিজ্ঞ রাজনীতিকেরা কী করছেন? তাঁরা অতীত খুঁড়ে ময়লা-আবর্জনা বের করছেন, যা থেকে দুর্গন্ধ আসে। কেউ মুক্তিযুদ্ধের কোনো সেক্টর কমান্ডারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে আনন্দ পাচ্ছেন, কেউ বা স্বাধীনতার প্রধান নেতার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে আত্মপ্রসাদ লাভ করছেন। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে দুই দলই মৃত নেতাদের লাশ নিয়ে টানাটানি করছেন। ইতিহাসে যার যা প্রাপ্য, তা দিতে হবে। তাই বলে বড়কে ছোট করে কিংবা একজনকে বড় করতে গিয়ে অন্য সবার ভূমিকা বাতিল করে দেওয়ার নাম ইতিহাস নয়।
প্রথম আলোর স্তম্ভলেখকেরা কি আরামসে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে ‘অতীত খুঁড়ে ময়লা-আবর্জনা’ বলে ফেলেন দেখে অবাক হতে হয়।
প্রথম আলো একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে থাকে। মোবাইল কর্পোরেটগুলোর অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে প্রথম আলো সম্পূর্ণ নীরব। বাংলাদেশের গরীব লোকদের দারিদ্র্য অল্প প্রশমিত করে দীর্ঘমেয়াদী করার পেছনে ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর লোভ ও উচ্চ সুদের হার দায়ী। এগুলো নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রথম আলোতে আসে না। প্রথম আলো এই পক্ষের নবীপুরুষ মুহাম্মদ ইউনূসের মার্জিত আচরণ নোবেলাইট ডিক্রির ধারক ও বাহক। মতিউর রহমান মানীর ইজ্জত রক্ষা প্রকল্পে পাঠকপ্রিয় লেখকদের ভাড়া খাটান। পাঠকের চিন্তাকে যুক্তিনিষ্ঠভাবে বিকশিত হতে না দিয়ে আবেগের ইঞ্জেকশান পুশ করায়। প্যারোডি বা কার্টুনের অর্থ বুঝতে না পারা হুমায়ূন আহমেদ বস্তাপচা "মানীর মান রাখা থিয়োরি" কপচিয়ে আবেগ পাঠকের মধ্যে সঞ্চারিত করতে চান তাঁর একঘেয়ে গদ্যরীতিতে।
একটি দৈনিক পত্রিকা অধ্যাপক ইউনূসকে নিয়ে প্রথম পাতায় কার্টুন ছেপেছে। সেখানে তিনি হাসিমুখে রোগাভোগা একজন মানুষের পা চেপে শূন্যে ঝুলিয়েছেন। মানুষটার মুখ থেকে ডলার পড়ছে। অধ্যাপক ইউনূস বড় একটা পাত্রে ডলার সংগ্রহ করছেন। কার্টুন দেখে কেউ কেউ হয়তো আনন্দ পেয়েছেন। আমি হয়েছি ব্যথিত ও বিস্মিত। পৃথিবী-মান্য একজন মানুষকে এভাবে অপমান করা যায় না। ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনি—‘মানীকে মান্য করিবে।’
প্রথম আলো ব্যবসায়ে টিকে আছে টাইমিং-এর যথাযথ ব্যবহারে। রুবাইয়াত হোসেনের বিতর্কিত ছবি ‘মেহেরজান’ সিনেমার প্রচারের সাথে প্রথম আলোর একটা অঙ্গ-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জড়িত আছে বলে শোনা যায়। সিনেমাটি মুক্তির আগে এর খবরাখবর প্রথম আলোর আনন্দ, বিনোদন এসব বিভাগ বিস্তর কাভারেজ দিয়েছে। যুদ্ধ ও ভালোবাসার সিনেমা বলে এটা দর্শকের মাঝে চালানোর জোর চেষ্টা করানো হয়েছিল। মেহেরজান সিনেমা হলে আসামাত্র অল্পখ্যাত স্তম্ভলেখক ফাহমিদুল হক জার্গনে ভরিয়ে অন্য সিনেমা নিয়ে নিজের পুরানো একটা লেখা খানিক পালটে প্রথম আলোতে ছাপান। প্রথম আলোর সাহিত্য সম্পাদক রুবাইয়াত ও শর্মিলা বসুর মতো ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের কবিতার সাথে পাঠকের পুনর্মিত্রতার চেষ্টা করেন। জনরোষ থেকে বাঁচতে প্রথম আলো ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, কাবেরী গায়েনদের একটা লেখা আংশিক সম্পাদন করে ছাপায়। আর পত্রিকার ন্যূনতম এথিকস্ রক্ষা না করে একই দিনে রুবাইয়াত হোসেনের প্রতিক্রিয়া ছাপিয়ে দেয়।
মেহেরজান নিয়ে ব্লগে ঝড় ওঠে। সাধারণ দর্শকদের অনাগ্রহে ছবিটা ভালো ব্যবসা তো দূরের কথা ব্যবসা-ই করতে পারেনি। লোকসানের মুখে পড়ে সেটাকে সিনেমা হল থেকে তুলে নেয়া হয়। প্রথম আলো বিপদ টের পেয়ে চুপচাপ থাকে। রুবাইয়াত হোসেন একটু ধারণা দেন, তাঁর এই সিনেমা আন্তর্জাতিক বোদ্ধাদের প্রশংসা বয়ে আনবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ন্যারেটিভের বাইরে অশ্লীল ও পাকিসঙ্গমে বিভোর ফোক ফ্যান্টাসি দেশে সফলতা না পেলেও বাইরের পেইড বোদ্ধা লবিং গ্রুপ এই সিনেমার পক্ষে কথা বলতে শুরু করেছেন। ভালো গবেষক নয়নিকা মুখার্জি পর্যন্ত রুবাইয়াতের এই আবর্জনাকে প্রশংসা করতে দ্বিধা করেনি। তখনি বোঝা গিয়েছিল, এই সিনেমার গায়ে বাইরের সম্মানের রৌজ-পাউডার লাগিয়ে এনে আবার বাংলাদেশের মানুষদের আবারো হজম করানোর চেষ্টা চালানো হবে। প্রথম আলো আর যাই করুক, ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া কোনো প্রজেক্টের পেছনে সময় নষ্ট করতে রাজী নয়। বইয়ের ফ্ল্যাপ পড়ে জ্ঞান আহরণ করা স্তম্ভলেখক হাসান ফেরদৌস আজকে মেহেরজানের পক্ষে একটা কলাম নামিয়েছেন প্রথম আলোতে। নিলর্জ্জতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো সেই কলাম নিয়ে বিশ্লেষণের দরকার নেই। তাঁর গদ্যে তাঁর পাকিপ্রেম ছলকে ছলকে বেরিয়েছে জ্ঞান-অজ্ঞান সব দিক থেকে।
গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান আমেরিকান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মেহেরজান দেখলাম। একটাই শো ছিল, মিলনায়তনভর্তি মানুষ, কেউ কেউ দাঁড়িয়েও দেখেছে। আমার পাশে একটি বাঙালি অথবা ভারতীয় মেয়ে তার ছেলেবন্ধুর হাত ধরে বসে দেখছিল। পুরো সময়ই মনে হলো সে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। আমিও চোখ মুছছি দেখে সলজ্জে বার দুয়েক আমার দিকে তাকাল। ছবি দেখে কেমন লাগল? এককথায় যদি উত্তর দিই তো বলব, ‘স্পেলবাউন্ড’। ... আসলে এমন ছবির জন্য বাংলাদেশ এখনো তৈরি নয়। মুক্তিযুদ্ধ ব্যাপারটা আমাদের কাছে এখনো শুদ্ধ আবেগের ব্যাপার। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে তাকে বিচারে আমরা এখনো প্রস্তুত নই। ... মেহেরজান ছবির প্রধান ‘থিম’ দুটি। প্রথমত, একাত্তরে নারীর ভূমিকার যে পরিচিত ন্যারেটিভ, তাকে ঠোঙার মতো দলে-মুচড়ে ওয়েস্ট বাস্কেটে ছুড়ে ফেলা। দ্বিতীয়ত, ‘শত্রুকে’, যাকে এই ছবিতে বলা হয়েছে ‘দি আদার’, তাকে নতুন করে দেখা ও চেনা। এই দুটি ব্যাপারই আমাদের চিন্তাজগতে নতুন। তৃতীয় ‘থিম’, কিছুটা কৌতুকের সঙ্গে পরিবেশিত হলেও ভীষণ রকম নতুন, তা হলো নারীর ‘সেক্সুয়ালিটি’। এমনিতে মেয়েদের শরীর নিয়ে বাণিজ্য কম হয় না, কিন্তু নারীর চোখ দিয়ে তার কামজ প্রয়োজন আগে কখনো নিরীক্ষিত হয়েছে বলে অন্তত আমি জানি না। এই ছবিতে অত্যন্ত শিল্পীতভাবে সেই কাজটি অর্জিত হয়েছে। ... মেহের-ওয়াসিমের প্রেম মোটেই অবাস্তব নয়, এমনকি যে ঘটনাক্রমে তা প্রকাশিত হয়, তা সংহত, বিশ্বাসযোগ্য ও সম্পূর্ণ মানবিক। ... শত্রুর সঙ্গে, হানাদার সেনার প্রতি সে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে, কিন্তু এই কাজটি অন্যায়, এই চিন্তা মেহেরকে অহর্নিশ বিদ্ধ করে। মেহেরের নিজের মন বলে, এতে পাপ কোথায়? যে যুবক আমাকে নিশ্চিত নিগ্রহের হাত থেকে রক্ষা করেছে, সেই তো আমার সেই যুবরাজ, সাদা ঘোড়ায় চড়ে, হাতে তলোয়ার নিয়ে, ঘুমন্ত রাজকন্যাকে উদ্ধারে যে ছুটে এসেছে। আমার মন যাকে চায়, তার প্রতি আত্মসমর্পণ, তার চেয়ে মহৎ ও সুন্দর আর কী হতে পারে! ... আসলে মেহেরজান একটি ইচ্ছাপূরণের গল্প। মেহের নামের মেয়েটি এত সুন্দর, এত স্বতঃস্ফূর্ত যে তাকে বিশ্বাস করতে খুব ইচ্ছা হয়। এই ছবি আমাদের ভাবায়, আন্দোলিত করে, মনের ভেতরের অনেক অজ্ঞান জানালা ধরে টান দেয়। তার দু-একটি হঠাৎ করে খুলেও যায়।
টাইমিং-এ দক্ষ প্রথম আলো মেহেরজানের ক্ষতি পোষানোর যাবতীয় চেষ্টা করে যাবে সেটার আলামত বোঝা গেছে। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বাণিজ্যে ক্ষতি একেবারেই মেনে নিতে পারেন না। কার্টুনিস্ট আরিফ ইস্যু থেকে শুরু করে সেনাসমর্থিত সরকারের পক্ষ নিয়ে নানামুখী ভূমিকা দেখে এই অনুসিদ্ধান্ত পোক্ত হয়।
যুদ্ধাপরাধী-বান্ধব এই দালালি ভূমিকার জন্য প্রথম আলো যদি তার পাঠক হারিয়ে শূন্যে ঠেকে সেটার দায় মাননীয় সম্পাদক মতিউর রহমান কি একা নিতে পারবেন?
--
মন্তব্য
প্রথম আলোর এই পাকিপনা কারন নিয়ে আমার একটা Hypothesis আছে
খবরটা CIA এবং ISI সম্পর্কিত হলেও দেখা যাচ্ছে মিডিয়ার মধ্যে পয়সা কড়ি দিয়ে নিজেদের লোক রাখা এবং ফরমায়েশী লেখা লেখানতে পাকিস্থানী গুপ্তচর সংস্থা ISI মুন্সীয়ানার পরিচয় দিয়েছে। আমার কেন জানি মনে হয় প্রথম আলোতেও এভাবে পয়সা কড়ি দিয়ে নিজেদের লোক তারা infiltrate করিয়েছে যেহেতু সংগ্রাম নয়া দিগন্তের মতো প্রথম আলো পত্রিকার গায়ে প্রতিক্রিয়াশীলতার ট্যাগ সরাসরি নেই এই কারণে এর মাধ্যমে নিজেদের কিছু প্রচারণা চালাতে পারলে মধ্যবিত্ত বাংলাদেশের আম জনতাকে সরাসরি প্রভাবিত করা যাবে
শুভাশীষদা, লেখার প্রথম প্যারাটা আরেকটু বিশ্লেষণ করলে ভালো হত বোধহয়। আর লিংকটা শেষে না দিয়ে আলাদা করে প্রত্যেক স্তম্ভাকারকে নিয়ে আপনার লেখার লিঙ্ক দেওয়ার পরামর্শ দিলাম। হাসান ফেরদৌসের লেখার লিংকটাও দিয়ে দেন।
লেখাটার সাথে অনেকংশে একমত। কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকে যায় - আসিফ নজরুল, হাসান ফেরদৌস তো op-ed কলামিস্ট। সাধারণভাবে op-ed এর দায় তো পত্রিকা নেয় না। প্রথম আলোতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে জাফর ইকবালও তো লিখছেন। তাছাড়া প্রথম আলোর নানা কর্মকান্ডেও তিনি জড়িত। তাহলে স্ট্যান্ড পয়েন্টটা কিভাবে আসল, কোন কার্য-কারণের ভিত্তিতে এইটা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাচ্ছি, পরিষ্কার হওয়ার জন্য আরকি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
প্রথম আলো এই লেখকদের এই ধরনের লেখার জায়গা দিচ্ছে। op-ed এর মুলো ঝুলিয়ে রেখে দায় অস্বীকার করতে পারা যায়, উদ্দেশ্য লুকানো তো যায় না। আরো একটা ব্যাপার, যুদ্ধাপরাধী-বান্ধব (রীতিমতো আলো-মেইড সেলিব্রেটি) এতো কলামলেখকদের একযোগে অন্য পত্রিকায় কলাম ফাঁদতে দেখা যাচ্ছে না।
এতো লেখকদের পুনর্মিত্রতার জোর দাবীর মুখে এক জাফর ইকবালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী চাপা পড়ে যায়। আর এসব গিয়ানজামের মধ্যে আলো একটা সিউডো-নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে ফেলে।
সাথে আরও একটা বিষয় জড়িত। একজন জাফর ইকবালের জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতার ক্ষীণ ভাগও প্রথম আলোর ইমেজ রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। জাফর ইকবালের বিখ্যাত মুখটিকে কাজে লাগিয়ে, তারপর যদি তাঁর মতামতটুকুর বিরোধিতা আবাদ করা যায়, তাহলে প্রথম আলোর উদ্দেশ্যসিদ্ধি ঘটে।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ফাহিম, একটা জিনিস আমাকে বলেন তো, কেন মেহেরজান সম্পর্কে জাফর ইকবাল স্যার কিছু লিখলেন না? উনি তো পত্রিকা পড়ে অনেক কিছু লেখেন, ইউনূসের স্তুতি থেকে শুরু করে টাইম জোন ফিক্সিং, সব কিছু নিয়েই লিখেছেন। ওনারই একটা লেখায় পড়েছি, তিনি একাত্তরে মিলিশিয়া কর্তৃক নারী ধর্ষণের প্রত্যক্ষ সাক্ষী। মেহেরজান প্রসঙ্গে তিনি একেবারে নিশ্চুপ কেন? যদি বলেন, উনি সিনেমাটা হয়তো দেখেন নাই, তাহলে আমার পর্যবেক্ষণ, উনি তো ইউনূসের বহিষ্কারাদেশও নিজের চোখে দেখেন নাই, খবরের কাগজ পড়ে জেনেছেন। বাংলাদেশের কোথাও মহা ধুমধাম করে সরকারী মন্ত্রীর মেয়ে মেহেরজান টাইপ সিনেমা বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিতা নারীর জীবনের কষ্টের প্যারোডি করে বেড়াচ্ছে, আর জাফর ইকবালের মতো অগ্রগণ্য মানুষ, যিনি অতীতে অসংখ্যা ইস্যুতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আমাদের সচকিত করতে এগিয়ে এসেছেন, এখন একেবারে চুপ করে আছেন, কোনো সাড়াশব্দ নাই, এর কারণটা কী? তাহলে কি প্রথম আলোর স্বার্থের বিপরীতে যায়, এমন সব ইস্যুতে তিনি চুপ থাকবেন?
একই প্রশ্ন আমারও। জাফর ইকবাল স্যার "মেহেরজান" ইস্যুতে কেন কলম ধরলেন না তা উনিই জানেন- আমরা কেবল অনুমান করতে পারি মাত্র। সেই অনু্মানগুলোর একটি অবশ্যই
মুশকিল হল তাঁর অন্যান্য কর্মকান্ডের সাথে এই ব্যাপারটা ঠিক মেলানো যায় না। তাঁর নিজের লেখায় তো তিনি সরাসরিই নিজের অনভূতিগুলোর কথা লিখেন। যতদূর মনে পড়ে তিনি পাকিস্তানী পণ্য বর্জনের কথাও লিখেছেন (তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতিকথা ও উপন্যাসের চরিত্রের মাধ্যমে)। উনিই সেই লোক যিনি সরাসরি আদিবাসী নির্যাতন নিয়ে কলাম ধরেছেন (আলফ্রেড সরেন, চলেশ রিছিল)। তাঁর থেকে "মেহেরজান" বিষয়ক একটি লেখা প্রত্যাশিত ছিল তো বটেই।
-----------------------------
আর ইউনূস প্রসঙ্গে এই প্রথম তিনি কলম ধরেন নি কিন্তু। "দেশের বাইরে দেশ" বইয়ে তিনি ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রশংসা করেছেন। হয়ত ব্যক্তিগত ভাবে তিনি ইউনূসকে পছন্দ করেন।
ওনার এই দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে আমার দৃষ্টিভঙ্গীর মিল হয় নাই - সত্যি
অন্যান্য অনেক ইস্যুতে ওনার সাথে সহমত - এটাও সত্যি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
জাফর ইকবাল স্যারকে অনেক বছর সামনা-সামনি দেখার কারণে এবং তাঁকে খুব ভালোভাবে চেনার কারণে আপনার এই মন্তব্য অংশটুকুতে আপত্তি জানানোটা জরুরি মনে হলো । সরকারের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, মতিউর রহমান নিজামীদের বিরুদ্ধে, সেনাবাহিনী(এমনকি যখন তারা ক্ষমতায় ছিল)র বিরুদ্ধে কথা বললে নানা রকম সমস্যা হতে পারে বলে উনি কি কখনো চুপ থেকেছেন ? সে তুলনায় প্রথম আলো তো অনেক সহজ প্রতিপক্ষ-- তাই না ?
মেহেরজানের বিষয়ে প্রথম আলোর ভূমিকা আমি পুরোপুরি নেতিবাচক মনে করি এবং স্যার এটার বিরুদ্ধে এখনও কেন লিখেননি এটা আমি আসলে জানি না, তবে তাঁকে কি পরিমাণ ব্যস্ত থাকতে হয় তার একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করতে পারি । আপনারা জানেন কিনা জানি না শাবিপ্রবি'র কম্পুতে কিছুদিন আগে থেকে প্রথমবারের মত মাস্টার্সের ক্লাস শুরু হয়েছে এবং মাস্টার্সের ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই যেহেতু চাকরি-বাকরি করে তাই সেই ক্লাস হয় সাপ্তাহিক ছুটির দুইদিনে । এ কারণে স্যারকে এখন সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও ক্লাস নিতে ব্যস্ত থাকতে হয় । তার উপর কিছুদিন আগে শাবিতে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলা হয়েছে এবং সদ্যোজাত সেই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে স্যারকে নতুন ওই ডিপার্টমেন্টকে দাঁড়া করানোর সংগ্রামটুকুও করতে হচ্ছে এখন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এখন অসাধারণ সব কাজ করছেন (সৃজনশীল শিক্ষা-পদ্ধতি সফলতার সাথে চালু করা কত অসাধারণ একটি কাজ যে হয়েছে-- এখনকার ছাত্র-ছাত্রীদের আর পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য (আমাদের সময়ের মত) স্যারদের নোট/নোটবই মুখস্থ করতে হবে না-- এটা আমার কাছে অসাধারণ মনে হয় ) -- আমি জানি স্যার ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক, অনেক কাজ করছেন --- শিক্ষানীতি করার জন্য স্যারের ঢাকা-সিলেট দৌঁড়াদৌঁড়ি আর অপরিসীম পরিশ্রম তো নিজের চোখে দেখেছি ! সময় বের করা হয়ত এখন অনেক বড় সমস্যা -- তার উপর আপনাদের লেখালেখিতে কাজ হয়ে যাওয়াতে হয়ত স্যার আর তাগিদ বোধ করেননি !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
প্রথম আলো হাসান ফেরদৌসের মেহেরজান-বন্দনা যতো অপূর্বভাবে প্রচার করছে, সেটা দেখে নয়া দিগন্ত কিংবা দৈনিক সংগ্রামের সাথে প্রথম আলোর মোটাদাগের কোনো পার্থক্য দেখতে পাই না।
প্রথম আলোর যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের দালালি পর্যবেক্ষণ করে জাফর স্যার কি প্রথম আলো বয়কট করতে পারবেন? এই প্রশ্ন আপনাকে সরাসরি করছি।
এই প্রশ্নের উত্তর কি আমার দিতে পারার কথা ? আর আপনার অনেক বিশ্লেষণের সাথে তো স্যার একমত পোষণ নাও করতে পারেন ।প্রয়োজন মনে করলে আপনি এক কাজ করতে পারেন-- আপনার এ বিষয়ক লেখাগুলোর লিংকসহ আপনার প্রশ্ন স্যারকে ইমেইল করতে পারেন (ইমেইল এ্যাড্রেস পেতে আমি সাহায্য করতে পারি আপনার দরকার হলে ) !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
ইমেইল ঠিকানার ব্যাপারে আপনার কষ্ট করতে হবে না। এটা এখানেই পাওয়া যায়।
আপনি বরং লেখার লিঙ্ক উনাকে পাঠিয়ে প্রতিক্রিয়াটা জানান। একাত্তরের মূল চেতনাকে ঠোঙার মতো দলে-মুচড়ে ওয়েস্ট বাস্কেটে ছুড়ে ফেলা এই সিনেমা নিয়ে আমার বিশ্লেষণ উনার বিশ্লেষণের সাথে মিলে যাওয়ার আশা রাখি।
জাফর ইকবাল স্যার যে অনেক ব্যস্ত, তা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। এবং তিনি মেহেরজান রিলিজ পাওয়ার পর থেকে ব্যস্ত নন, বহু বছর ধরেই ব্যস্ত। ব্যস্ততার ফাঁকেই তিনি মাঝেমধ্যে লেখেন। যেমন ইঊনূসকে নিয়ে লিখেছিলেন। আপনার দেয়া তথ্য থেকে ধরে নিতে পারি, ঐ লেখাটাও এই ব্যস্ততার চক্রে আটক থেকেই লেখা।
আর প্রথম আলো সহজ প্রতিদ্বন্দ্বী কি না, সেটা বোঝা যাবে, যদি প্রথম আলোতে মেহেরজানের বিরুদ্ধে জাফর ইকবাল স্যার একটা শক্ত চটকানা-টাইপ আর্টিকেল লিখতে পারেন। যদি না পারেন, তাহলে আমি আমার অনুসিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কারণ দেখি না।
বোঝা যাচ্ছে ড: ইউনূসকে সবার আপনার চশমা চোখে দিয়েই দেখতে হবে-- না হলে আপনার বাক্যবাণ থেকে মুক্তি নেই ।
তা আপনি থাকুন না আপনি আপনার অনুসিদ্ধান্ত নিয়ে -- পৃথিবী তো আর থেমে থাকছে না
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
"ইউনূসকে নিয়ে লিখেছিলেন", এই বাক্যে তো কোনো বাণ নেই। মৃদু পর্যবেক্ষণমাত্র। জাফর ইকবাল স্যারের সিলেকটিভ নীরবতা, প্রথম আলোর স্বার্থের অক্ষের সাথে সমরেখ কাকতালীয় শিডিউল, যে শিডিউল তাঁকে ইউনূসবন্দনার সময় দেয়, কিন্তু মেহেরজান-তিরস্কারের অবকাশ দেয় না, এ নিয়ে কথা বললে পৃথিবীর আহ্নিক গতি না কমলেও, আপনি রীতিমতো গোস্বা করেন মনে হচ্ছে। ব্যাপার না। জাফর ইকবাল মেহেরজান নিয়ে চুপ করে থাকলেও দুনিয়া থেমে থাকবে না, এই ব্যাপারে আপনার সাথে আমি একমত।
ইয়ে, আপনি বোধহয় পত্রিকা আর ব্লগের মাঝে গুলিয়ে ফেলেছেন। পত্রিকায় এমনকি প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের দায়ও সম্পাদককে নিতে হবে, লেখাগুলোর তো নিতে হয়ই।
আরেকটা কথা-
বিডি আর্টস এর আড্ডায় সলিমুল্লাহ খান এই প্রসঙ্গে চমৎকার যুক্তি দিয়েছেন। (লিঙ্ক)
সলিমুল্লাহ খান: আচ্ছা, একটা উদাহরণ দেই; নিতে পারেন কিভাবে—সিনেমার ভিতরে আমি উদাহরণ দেই, সিনেমার ভিতরে যখন, লক্ষ্য করেন, জঙ্গলের মধ্যে ওয়াসিম যখন মেহেরের মুখ চেপে ধরল, মেহের শুয়ে পড়ল, লক্ষ্যণীয় দু’বার দেখাইছে কিন্তু এইটা, প্রথমে একবার অল্প করে দেখাইছে পরে আবার—দুইবার দেখাইছে, তখন মেয়েটা তার হাত দিয়ে তাকে আঘাত করে। চুড়ি দিয়ে। চুড়ি দিয়ে—তার কপালের মধ্যে রক্ত আসে। পরে দেখা গেল কী যে, না, সে মনে করছিল, ‘এই ছেলে তাকে রেইপ করতে আসছে’। (মোহাম্মদ আজম: ডেফিনিটলি।) তখন সে—পরে যখন সে টের পেল, না না না, সে তো আসলে আমাকে রক্ষা করতেছে তখন ধীরে ধীরে সে তার প্রেমে পড়ে, তার কাহিনীটা জানে। তার মানে কি? এটা যে—একদম অ্যালেগরিক্যাল রিপ্রেজেন্টেশন অব দি রিলেশনশিপ বিটউইন ওয়েস্ট পাকিস্তান এন্ড ইস্ট পাকিস্তান । কেন? মানে ‘পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের আক্রমণ করতে আসছিল’—আমি ভুল করে তারে আঘাত করেছি। কিন্তু আসলে পশ্চিম পাকিস্তান আমাকে রক্ষা করতে আসছিলো।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অন্যের ফরমায়েশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী একটা সিনেমাকে নির্লজ্জ সমর্থন দেয়া হাসান ফেরদৌসের লেখাটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে ইচ্ছে করছে না। শুধু একটা জায়গা-
এই চাহিদার তথ্য হাসান ফেরদৌস কোন জায়গা থেকে পেলেন?
উ: চাহিদা ১০১ বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
যুদ্ধাপরাধী-বান্ধব এই দালালি ভূমিকার জন্য প্রথম আলো যদি তার পাঠক হারিয়ে শূন্যে ঠেকে সেটার দায় মাননীয় সম্পাদক মতিউর রহমান কি একা নিতে পারবেন?????
প্রথম আলো কেনা বাদ দিয়েছি সে অনেক আগেই । কেবল আবেগ নিয়ে খেলা করা খেলো এক জাল মাত্র আর কিছু নয় । এই অনুভবের পরে মাঝে মাঝে বমিও পায়
আর কিছুদিন পর মতিকন্ঠের সাথে পাল্লা দিতে পারবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাসান ফেরদৌসের এই ল্যাদানো দেখে মেজাজ পুরা বিলা হয়ে গেলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের বাইরেও প্রথম আলোর কিছু কর্মকাণ্ড ব্যাখ্যার দাবি রাখে। সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে পণ্ডিতি করতে আসা স্টিফেন জে র্যাপকে একটি গোলটেবিলে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো প্রথম আলো। সেই গোলটেবিলে আরো আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো জামাতের প্রধান আইন পরামর্শক টোবি ক্যাডম্যানকেও। আমন্ত্রিত অতিথিরা মতিউর রহমানকে ক্যাডম্যানের সামনেই প্রশ্ন করেছিলেন, এই লোক এইখানে কিভাবে আসে। মতি কোনো সদুত্তর দিতে পারে নাই। ক্যাডম্যান সেই গোলটেবিলে বায়না ধরেছে, ট্রাইবুন্যাল আইনের যে ধারায় মুক্তিযোদ্ধাদের ইমিউনিটি দেয়া হয়েছে, সেটা বাতিল করতে হবে। আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিরা র্যাপ এবং ক্যাডম্যানের অযাচিত এইসব উপদেশের তীব্র সমালোচনা করলেও, প্রথম আলোতে সেসব প্রতিবাদের কথা ছাপা হয়নি। র্যাপের গোল গোল মিষ্টি কথা ছাপা হয়েছে কেবল।
লিঙ্কগুলো যোগ করি
১
২
৩
৪
৫
৬
হাসান ফেরদৌসতো কোথাকার ছার!!
"প্রথম আলোকে না বলুন" এই শ্লোগান প্রতিষ্ঠিত হতে সময় লাগবে না!!!
"আসিফ নজরুল, আবুল মকসুদ ও হাসান ফেরদৌস এই পত্রিকায় নিয়মিত নানা ইস্যুতে কলাম প্রসব করে পাঠক সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক ধারণাগুলোকে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে নিয়ে আসার জন্য জোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। " --- সৈয়দ আবুল মকসুদ এর কোন পোস্টটা এই যুক্তিকে সমর্থন করে জানতে চাই ।
...
দুটো ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ সর্বান্তকরণে এক হতে চাচ্ছে। আপনার হুড়া না দিলে হয় না?
মেজাজটা চিড়বিড় করছিলো লেখাটা দেখে
"মেহেরজান ছবির প্রধান ‘থিম’ দুটি। প্রথমত, একাত্তরে নারীর ভূমিকার যে পরিচিত ন্যারেটিভ, তাকে ঠোঙার মতো দলে-মুচড়ে ওয়েস্ট বাস্কেটে ছুড়ে ফেলা। দ্বিতীয়ত, ‘শত্রুকে’, যাকে এই ছবিতে বলা হয়েছে ‘দি আদার’, তাকে নতুন করে দেখা ও চেনা। এই দুটি ব্যাপারই আমাদের চিন্তাজগতে নতুন।"
শত্রুকে নতুন করে দেখতে হবে এখন আমাদের
" আসলে এমন ছবির জন্য বাংলাদেশ এখনো তৈরি নয়।"
হুম্ম কারণ আমরা শত্রুকে নতুন করে দেখতে রাজী না, শত্রুকে শত্রু হিসেবে দেখতেই ইচ্ছুক।
একাত্তর সালে পাকিবাহিনীর হাতে ধর্ষিতা ও নিপীড়িতা বাঙালি নারীর "সেক্সুয়ালিটি" এবং তার "কামজ প্রয়োজন" সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা নিয়ে হাসান ফেরদৌসের এই বুদ্ধিবেশ্যামোর নমুনা পড়ে বমি পাচ্ছে। হাসান ফেরদৌসের মাকে পাকিস্তানী বাহিনী ধর্ষণ করে গেলেও কি হাসান ফেরদৌস নিজের ধর্ষিতা মায়ের সেক্সুয়ালিটি আর কামজ প্রয়োজন নিয়ে আর্টিকেল চোদাতো? মনে হয়। সে ঐ কিসিমেরই লোক।
ধর্ষিতা বাঙালি নারীর কামজ প্রয়োজনকে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তাতে হাসান ফেরদৌস পাকিসোনাদের এই সার্ভিসের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিল পেশ করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রথম আলো পাঠকশূন্য হয়ে পড়বে, এটি কষ্টকল্পিত একটি অনুমান। আমার মনে হয় আরো অনেক অনেকদিনই প্রথম আলো তাঁর বর্তমান অবস্থান ধরে রাখবে, কারণ পত্রিকা ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিকতা একসময়ের ইত্তেফাকের পরে এখন প্রথম আলোতেই চালু আছে। এ ধরণের পেশাদারী প্রতিষ্ঠানের বিকল্প হিসেব গড়ে উঠার জন্য এখনও বিকল্প কোনো পত্রিকা উঠে আসতে পারেনি।
আর এখানেই আশঙ্কার জায়গাটি তৈরি হয়। প্রথম আলো কিন্তু নয়াদিগন্ত কিংবা ইনকিলাব কিংবা সংগ্রাম নয়। প্রথম আলোর অবস্থান ও পরিচিতি অনেক সুশীল, তাঁর যাতায়াত মধ্যবিত্তের অন্দর মহলে। চিহ্নিত শত্রুর তুলনায় এসব নিরপেক্ষতার লেবাস লাগানো মিডিয়া মধ্যবিত্তকে অনেক বেশি প্রভাবিত করতে পারে।
একজন তরুণ নয়াদিগন্তকে বিশ্বাস করবে না, কিন্তু প্রথম আলোকে বিশ্বাস করবে।
এই জায়গায় প্রথম আলোর বিভিন্ন ধরণের পাকিপ্রেমের যে উদারহরণ এই পোস্টলেখক দিয়েছেন, সেটি দেখে ভয় পেতে হয়। মেহেরজান ইস্যুতে প্রথম আলো এবং বিডিনিউজের প্রাণপন চেষ্টা দেখে মনে সন্দেহ জাগে, এটি কোনো দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার এসিড টেস্ট নয়তো?
সময়োপযোগী এই লেখাটির জন্য শুভাশীষকে ধন্যবাদ।
সহমত। তবে আমার মতে ব্লগগুলো এখন আগেরকার যে কোন সময়ের তুলনায় এগিয়ে যাচ্ছে। ব্লগের লেখকেরা হতে পারে এইসব পত্রিকার লেখকদের সবচেয়ে ভালো বিকল্প। ব্লগ কখনোই মুল্ধারার পত্রিকা হবে না, কিন্তু পত্রিকার কলাম লেখকদের স্থানটুকু অন্তত নিতে পারবে। প্রয়োজন সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে নিয়মিত ব্লগে লেখা আসা।
কদিন ধরেই প্রথম আলো আনন্দবাজারের পেওয়ালের ধুমধাম করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে
বিষয়টি কতখানি আইনগত ও নীতিগতভাবে গ্রহণযোগ্য দেখার বিষয়
ইত্তেফাককে যেমন এদেশের মানুষকে সহ্য করতে হয়েছে ৩৫ বছরের মতো, প্রথম আলোকে তেমন সহ্য করতে হবে হয়তো আরো বিশ বছর। তবে আরো বিশ বছর পর ছাপানো পত্রিকার অবস্থান নিঃসন্দেহে আজকার জায়গায় থাকবেনা। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত ব্লগ ততদিনে বাজারে চলে আসবে। সামনের দিকে লড়াইটা আরো জটিল হবে। সোনার বাংলাদেশের মতো চরম ছাগু বা আনহার্ড ভয়েসের মতো সুশীল ছাগু ব্লগগুলো অলরেডি বাজারে আছে। তখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত চরম ও সুশীল ছাগু ব্লগ থাকবে। আশংকার বিষয় হচ্ছে প্রথম আলোকে প্রতিস্থাপন করার মতো টাকা বা ক্ষমতার জোর যাদের আছে তাদের বড় অংশই প্রথম আলোর দর্শনে বিশ্বাস করেন। বাকি অল্প কিছু অর্থবান-ক্ষমতাবান আছেন যারা এই দর্শনে বিশ্বাস না রাখলেও পালটা লড়াই শুরু করার ব্যাপারে অনীহ। আমাদের কপালে ভোগান্তি চলছে, সামনে আরো যথেষ্ট ভোগান্তি আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ব্লগার ষষ্ঠ পাণ্ডব আনহার্ড ভয়েসে কয়েকদিন ধরে হল যাতায়াত করছি এইটা যে সুশীল ছাগু ব্লগ জানা ছিল না, এই ব্লগের সাথে কারা জড়িত বলতে পারবেন কি ?
শুভাশীষ দাশ প্রথম আলো নিয়ে আপনার সমস্যা পরিস্কার হল না। নিচের কথাগুলো আপনার দেওয়া লিঙ্ক থেকে তুলে দিলাম। যুদ্ধাপরাধবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিফেন জে র্যাপের মুখের ওপরে কথাগুলো বলা হয়েছে। পত্রিকা সেটা ছেপেছে। এখানে সমস্যা কোথায়। পরিস্কার করে বললে ভাল হত
হস্তক্ষেপ নয়, আন্তর্জাতিক সমর্থন দরকার: সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সমন্বয়ক সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেছে। কারণ, তারা মনে করে বিন লাদেন সন্ত্রাসী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে হত্যার আদেশ দিয়েছেন, এটা নির্বাহী আদেশ, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। কোনো আদালতে তাঁর বিচারের সুযোগ হয়নি। হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। গাদ্দাফির ছেলে ও নাতিকে হত্যা করা হয়েছে। সাদ্দামের কথা আমরা জানি। এমন শত উদাহরণ দেওয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্র কেবল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়েই হত্যা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ অভিযুক্তদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। সেটা হবে স্বচ্ছ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উপস্থিত থেকে তা দেখতে পারবে, শুনতে পারবে। কিন্তু আমাদের আবেদন, আপনারা হস্তক্ষেপ করবেন না।’
হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক সমর্থন দরকার, কিন্তু কারও হস্তক্ষেপ দরকার নেই। আমাদের অনুরোধ, আপনারা বাংলাদেশকে এই বিচার করার সুযোগ দিন। বাংলাদেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।’
প্রথম আলো সুশীলত্ব বজায় রেখেই কাজ করে। ফলে চট করে নয়া দিগন্ত বা দৈনিক সংগ্রাম ভেবে নেয়া যায় না। প্রথম আলো তাদের গোল-টেবিলে জামাতের নিয়োগকৃত ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডমানকে পর্যন্ত কথা বলার সুযোগ দিয়েছে।
প্রথম আলো কিভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে তার তথাকথিত op-ed কলামিস্টদের ভাড়া খাটায় সেটার কিছু উদাহরণ এই লেখায় আর বাকিগুলো যুদ্ধাপরাধী ও বুদ্ধিজীবী সিরিজে পাবেন।
প্রথম আলো ধুমধাম গোলটেবিল বৈঠক করে এর পূর্ণাঙ্গ বিবরণ তাদের পত্রিকায় ছাপায়। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর করা গোলটেবিল বৈঠককে সংক্ষেপে ছাপানোর প্রয়োজন হলো কেন?
হাসান ফেরদৌসের এই কটা কথা পড়ে কেমন গা গুলিয়ে আসছে।
'কামজ' কিছু দেখতে চাইলে পর্ণো দেখলেই পারেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ দেখতে হবে কেন? বাস্টার্ড
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
প্রথম আলো পাকিদের হালাল করা মিশনে নেমেছে। ওদের এই প্রচেষ্টা ডকুমেন্টেড থাকা দরকার।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
শুভাশীষদা, চমতকার বিশ্লেষণ করেছেন। আসলে কি দাদা, এই ন্যাড়াদের কোনো বিশ্বাস নেই। মতিউর রহমান, রুবাইয়াত হোসেন, হাসান ফেরদাউস, জাফর ইকবালরা সব সেই একই গোত্রের। সুপ্রীয় আগাচৌ অবশ্য একটু আলাদা। অনেকেই হতাশ জাফর ইকবালের ব্যাপারে হতাশ। এখানে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। প্রথম আলো যাদের দালালী করে, জাফর ইকবালও সেইসব সাম্রাজ্যবাদী ও বহুজাতিক কোম্পানীদের দালালী করে। প্রথম আলো করে বিগগাপনের মাধ্যমে আর জাফর ইকবাল দালালী করে সেই বিগগাপনের মডেলিং-এর মাধ্যমে। জাফর ইকবালের ব্যাপারে একটু খোজ-খবর নেন তার কর্মস্থল সিলেটে সি এস ই বিভাগে। তিনি তার হেডগিরি বাঁচাতে অনেকের প্রমোশন হতে দেননি। তারা বাধ্য হয়েছেন ঐ ভার্সিটি ছাড়তে। এরকম কমপক্ষে দুজনের কথা জানি। তার একজন খুলনা ভার্সিটিতে গিয়ে অন্যজন ঢাকা ভার্সিটিতে গিয়ে তারা প্রমশনও পেয়েছেন আবার বিভাগের প্রধানও হয়েছিলেন।
শুভাশীষদা, চমতকার বিশ্লেষণ করেছেন। আসলে কি দাদা, এই ন্যাড়াদের কোনো বিশ্বাস নেই। মতিউর রহমান, রুবাইয়াত হোসেন, হাসান ফেরদাউস, জাফর ইকবালরা সব সেই একই গোত্রের। সুপ্রীয় আগাচৌ অবশ্য একটু আলাদা। অনেকেই হতাশ জাফর ইকবালের ব্যাপারে হতাশ। এখানে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। প্রথম আলো যাদের দালালী করে, জাফর ইকবালও সেইসব সাম্রাজ্যবাদী ও বহুজাতিক কোম্পানীদের দালালী করে। প্রথম আলো করে বিগগাপনের মাধ্যমে আর জাফর ইকবাল দালালী করে সেই বিগগাপনের মডেলিং-এর মাধ্যমে। জাফর ইকবালের ব্যাপারে একটু খোজ-খবর নেন তার কর্মস্থল সিলেটে সি এস ই বিভাগে। তিনি তার হেডগিরি বাঁচাতে অনেকের প্রমোশন হতে দেননি। তারা বাধ্য হয়েছেন ঐ ভার্সিটি ছাড়তে। এরকম কমপক্ষে দুজনের কথা জানি। তার একজন খুলনা ভার্সিটিতে গিয়ে অন্যজন ঢাকা ভার্সিটিতে গিয়ে তারা প্রমশনও পেয়েছেন আবার বিভাগের প্রধানও হয়েছিলেন।
আমরা গোত্র চিনি। জাফর ইকবালের ছাত্র, যারা সিএসই বিভাগে চার বছর কাটিয়েছে, এমন পরিচিত মানুষদেরও অভাব নেই। তবে সবচেয়ে বেশি চিনি একটা জাত, যারা চামে-বেচামে জাফর ইকবালকে মীর-জাফর লেখে, জাফর ইকবালের মেয়েটার ছবি নিয়ে নিজেদের শুওর মনের পরিচয় দিয়ে সেটাকে 'বিশ্লেষণ' করে, এবং যেকোনও উপায়ে জাফর ইকবালকে খারাপ প্রমাণ করার জন্য প্রাণপাত করে। কেন করে, সেটাও আমরা জানি। কারণ একজন জাফর ইকবাল 'খারাপ' এটা প্রমাণ করা গেলেই যুদ্ধাপরাধী রাজাকার শুওরের বাচ্চা জামাত-শিবিরের চরিত্র নিয়ে তাঁর লেখাগুলো মূল্যহীন দাবি করা তাদের জন্য সহজ হয়।
না, যাদের নাম লিখেছেন তারা এক গোত্রের নন। একজন মানুষ আলাদা। একজন জাফর ইকবাল আলাদা। এবং তাঁর লেখা পড়েই আমরা মুক্তিযুদ্ধকে চিনেছি, রাজাকারও চিনেছি। রাজাকারের বংশধর শিবির এবং শিবিরমনস্করা যে আমাদের আশেপাশেই আমাদের ঘৃণাভরা থুতু নিয়ে বাস করে, সেটাও তিনিই আমাদের দেখিয়েছেন।
হে , ল্যাঞ্জা ইজ রিয়েলি আ টাফ থিঙ টু হাইড।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আপনার মন্তব্যটি যদি উপরের মন্তব্যকারীর ট্রাক রেকর্ড জানা সাপেক্ষে করে থাকেন তাহলে ভিন্ন কথা, কিন্তু শুধু উপরের মন্তব্যটির উপর ভিত্তি করে যদি করে থাকেন তাহলে জানতে চাইছি কিছু ইস্যুতে জাফর ইকবাল স্যারের বিরোধীতা করা মানেই কি ছাগু হয়ে যাওয়া?
আমার কাছে তো উপরের মন্তব্যে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। আমি কি কিছু মিস করেছি?
পিপিদা,
উপরের মন্তব্যকারীর মন্তব্যের নিচের অংশ সম্পর্কে আপনার কি মত ?
জাফর ইকবাল স্যার সম্পর্কে এই ভাষায় কারা মন্তব্য করে বলে আপনার মনে হয় ?
মন্তব্যের এই অংশটুকু সম্পর্কেই বা আপনার কি মত ?
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
প্রথম মন্তব্যটি সম্পর্কে আমি বলবো মন্তব্যটা অনেক হার্স।
দ্বিতীয় মন্তব্য সম্পর্কে তো আমি কিছু বলতে পারবো না, কারণ এটা আমার জানার বাইরে। মিথ্যা হলে এর দায় মন্তব্যকারীর, আর সত্যি হলে সেটা তো সত্যি।
এধরনের মন্তব্য যদি ট্রেডমার্ক মন্তব্য হয়ে থাকে, তাহলে তো আমি বলেছিই কোন কথা থাকেনা।
কিন্তু চট করে কাউকে ট্যাগ করাটা আমার কাছে ঠিক মনে হয় না। যদি আমার ধরা ভুল হয়ে থাকে, তো সেটা ধরিয়ে দেন শুধরে নেব। ধন্যবাদ।
এই ট্যাগিঙ আমার ইচ্ছাকৃত, এবং কোনও ধরনের ট্র্যাক রেকর্ড ছাড়া শুধু মন্তব্যটার ভিত্তিতে করা। মন্তব্যের এই ধরণ আমার কাছে যথেষ্ট পরিচিত, মন্তব্যকারী নন। প্রথম আলো, মেহেরজান, পাকিস্তানপ্রীতি এইসব কোনওদিকে না গিয়ে এখানে জাফর ইকবালকে টেনে এনে নাম-প্রমাণবিহীন অভিযোগ করা হয়েছে।
এই কথা, হুবহু একই এবং কিছুটা বিকৃত অবস্থাতেও আমি আগে একাধিকবার পেয়েছি। প্রত্যেকবার আমি অভিযোগকারীদের সাথে ব্যক্তিগত বার্তায় যোগাযোগ করেছি যাতে অপরাধের শিকারদের নাম আমাকে জানানো হয়। প্রতিবারই, সেই অপরাধের শিকারদের চাকরির নিরাপত্তার দোহাই দেখিয়ে আমাকে সেটা জানানো হয় নাই। তারপর আমি শাহজালাল সিএসই-তে পড়া একাধিক মানুষের সাথে যোগাযোগ করি এবং এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে প্রয়োজন হলে আমাকে নাম না জানিয়ে হলেও ঘটনা বিবৃত করতে অনুরোধ করি। প্রতিটি সূত্র থেকেই আমাকে জানানো হয়, তাদের ডিপার্টমেন্টে এরকম ঘটনা সম্পর্কে তাদের অন্তত জানা নাই।
অপ্রমাণিত এই অভিযোগ কেবল ছাগুকূলের পক্ষ থেকে আসায়, এবং দৃষ্টিকটুভাবে অবিশ্বাস্য মিল থাকার কারণে, অনিবার্য স্টিরিওটাইপিঙ আমি করে নিয়েছি।
অবশ্যই না। প্রমাণসহ অভিযোগ করলে আমি অবশ্যই সেটাকে স্বাগত জানাবো। কেউই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। দুঃখজনক, তবে সাধারণত যেসব স্টিরিওটাইপড ছাগু মন্তব্য চিহ্নিত করতে পারি, তারা কখনও প্রমাণ হাজির করে নাই, এখন পর্যন্ত।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ধন্যবাদ।
@manabio
আপনি তাদের নাম বলেন। আপনি যদি প্রমাণ করতে না পারেন, তো দয়া করে আর সচলায়তনে এসে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।
চমৎকার একটা লেখা। এই সময়ে আবারও শেয়ার হওয়াটা জরুরি।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আলুপেপারের আর্কাইভ দুইদিন পরপর গায়েব হয়ে যায়। হাসান ফেরদৌসের ১৩ মে, ২০১১ তারিখে প্রকাশিত লেখাটা আলুর ই-পেপার থেকে সংগ্রহ করে এখানে দিয়ে গেলাম। কারণ হাসান ফেরদৌস আবার হাসাচ্ছে।
নতুন মন্তব্য করুন