৫ | লিখেছেন রেনেট (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৩/২০০৯ - ২:২৩পূর্বাহ্ন)
ওরেরেরেরে
চ্রম সৌন্দর্য হইছে!!!
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
৪০ | লিখেছেন নদী (যাচাই করা হয়নি) (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৩/২০০৯ - ১২:৪৬অপরাহ্ন)
আপনার ছবিটা সত্যি হোক।
এই পাইরেটগুলারে ( "pirates of the carribean" এর অনুসরণে) এইভাবেই রোস্ট বানাতে হবে; এরপর পাকিস্তানী কুকুর বা শিয়াল বা হায়েনা দিয়া খাওয়াইতে হবে। ফায়ারিং স্কোয়াড এদের জন্য যথার্থ নয়। বাংলাদেশী কুকুর দিয়েও এদের খাওয়ানো যাবেনা;বাংলাদেশী কুকুরেরও তো ইজ্জত আছে; এইসব নাপাক খাওয়াইয়া আমাদের কুকুরের পেট নষ্ট করানো ঠিক হবে না। আবার পাকিস্তানী কুকুর বা শিয়াল বা হায়েনা দিয়া খাওয়ানোয় এই পাইরেটগুলার আত্মা শান্তি পাবে। মানবিকতার কারণে, এই শান্তিটুকু তাদের দেওয়া যায়।
(এই বদমাইশগুলারে পাইরেট বললে পাইরেটদেরও অসম্মান করা হয়; পাইরেটদেরও কিছু নৈতিকতা থাকে, বদমাইশগুলার তাও তো নাই এবং ছিল না)
কার্টুন প্রসঙ্গে এ আলোচনাটা না হলেই ভাল হতো। ব্যক্তিগতভাবে আমি সুজন চৌধুরীর কার্টুনের দারুণ ভক্ত। সুজন চৌধুরী নিজে যে অভিমত দিয়েছেন সেটাও গ্রহণযোগ্য।
আমার কথাটা ছিল এই: আমরা আমাদের ঘৃণার পরিতৃপ্তির জন্য বা জীঘাংসার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই না, বিচার চাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধটির প্রতিকারের জন্য। যার পরিণতি শাস্তি। এইসূত্রেই বলেছিলাম, ঘৃণা কোনো রাজনৈতিক অবস্থান নয়, কারণ যুদ্ধাপরাধের প্রসঙ্গটি রাজনীতি-বিযুক্তভাবে বিচার করা হবে খণ্ডিত। তাহলে আমরা দেখব যে, তাদের অপরাধ আইনের চোখে একটি নয় দুটি। তারা কেবল মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধই করেনি, রাজনৈতিকভাবেও তারা স্বাধীন বলে ঘোষিত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধচারণ করেছে। সেকারণে, তাদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক যুক্তি (দেশের অখণ্ডতা রক্ষা বা দেশ ভারতের কাছে চলে যাবে বলে ভয় ইত্যাদি) গ্রাহ্য হতে পারে না।
সাইত্রিশ বছর পর এই লোকগুলো শুধু বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়েই কথা বলতে পারে না, তারা এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা দেশের প্রায় অর্ধেক ভোটারদের ভোট পায়। বিএনপিকে হিসেবের বাইরে রাখলেও, এদের আসন ২টি হলেও ভোট কিন্তু কোটিখানেকের কাছাকাছি। আগের নির্বাচনের থেকে এবারে তাদের ভোটও বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। এদের সঙ্গে বিএনপিপন্থি অংশটাকে যোগ করলে বলতে হয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে আছে দেশের তিন ভাগের এক ভাগ ভোটার। এই এক ভাগ লোককে কি আমরা ঘৃণা দিয়ে নিশ্চিহ্ন করবো? নাকি আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ লড়ব? এটা আমার প্রশ্ন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ আমার বিষয় ছিল না। আমার বিষয় ছিল, তার ধরন। আমার অবস্থান অস্পষ্ট নয়, আমি জামাত-শিবিরের রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করতে চাই, রাজনীতি বলতে আমি সংষ্কৃতিকেও বুঝছি। ঘৃণা দিয়ে সেটা হবে না, বাংলাদেশে এখন যে জামাতবিরোধী চেতনা তরুণদের মধ্যে বিরাজ করছে সেটার কারণ কিন্তু ঘৃণা নয়, গত এক দশকের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। ঘৃণা আমাদের যুক্তি-বুদ্ধিকে আবছা করে দেয়। তার মানে ঘৃণা আমাদের মনে জাগবে না তা নয়। কিন্তু আমরা যেন ঘৃণা দ্বারা চালিত না হয়ে অন্যায়ের প্রতিকারের সঙ্কল্প দ্বারা চালিত হই। কোনো ঘৃণাই যেন আমাদের অন্ধবিদ্বেষী করে না তোলে। যেটা দেখা যায় গড়পরতা পাকিস্তানবিদ্বেষের মধ্যে। আজকে যারা পাকিস্তানে গণতন্ত্রের জন্য, সেনাশাসন ও জারদারির বিরুদ্ধে কিংবা শরিয়া প্রবর্তনের বিরুদ্ধে লড়ছে, তাহলে তাদেরও তো ঘৃণা করতে হয়।
অন্য কিছু না, নাৎসিদের বিচার নিয়ে জার্মান ছবি রিডার দেখার আমন্ত্রণ জানাই।
আর হ্যাঁ, ঘৃণার রাজনীতি অবশ্যই আছে। ঘৃণাকে ঘিরে রাজনীতি আবর্তিত হতে পারে এবং হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ধারার মধ্যে ঘৃণা থাকায় তা পজেটিভ ন্যাশনালিজম নয়। আমরা অপরের বিরোধিতা দিয়ে আত্মরক্ষার জাতীয়তাবাদ দিয়ে শুরু করেছিলাম। সেটা করতে গিয়ে নিজেদের দিক থেকে কেমন বাংলাদেশ হওয়া চাই, তার জন্য কোন ধরনের চিন্তা ও রাজনীতি লাগবে তা ঠিক করতে পারিনি। সেকারণেই আজও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক চরিত্র, জাতীয়তা, নাগরিকত্বের আদল স্পষ্ট নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি ও তার জন্য আন্দোলন আশৈশব ধরে করে আসছি, সশরীরে, ঝুঁকির মধ্যে। আমি তাদের মোকাবেলা করতে চাই রাজনৈতিক ভাবে, সেটাই স্থায়ী ভাবে ওই ধারাকে বিলীন করার কার্যকর পন্থা বলে ভাবি। তাদের বিচার করতে চাই আইনের বলে, যাতে সকল পক্ষই তা মানতে বাধ্য হয় এবং তাদের ফিরে আসবার আর সুযোগ না ঘটে। এবং সাংস্কৃতিকভাবে যুদ্ধাপরাধীদের সংস্কৃতির খপ্পর থেকে জনগণের তিন ভাগের এক অংশকে বের করে আনার সংগ্রাম চালাতে চাই। এই সাংস্কৃতিক রূপান্তর ছাড়া রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে মুক্তিযুদ্ধের কাছাকাছি রাখা সম্ভব নয়।
আমি জানি, আমার এ অবস্থান সম্পূর্ণ গৃহীত হবে না অনেকের কাছে। আমি তাঁদের মতকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু যা সঠিক ভাবি, তা তো আর ত্যাগ করতে পারি না।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
যারা দেশকে সত্যিকার ভালবেসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, ঘৃণা তাদের চালিত করে বলে আমার মনে হয় না। জাতির একটা সন্ধিক্ষণে সবাই সঠিক অবস্থান নিতে পারবে- এমন আশা বাস্তববাদী কেউ করে না। কিন্তু যারা বিপরীত অবস্থানে থেকে তখন ঘৃণ্য অপরাধ করেছে এবং স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরেও তাদের কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা দূরে থাকুক, তাদের অবস্থান যে ভুল ছিল- এটাও স্বীকার করে না- তারা তখন নিজেরাই নিজেদের ঘৃণ্য করে তোলে। আমাদের চাওয়া তো সামান্য- আমরা চাই রাজাকার এবং তাদের তৎকালীন প্রভু পাকিস্তান একাত্তরের কৃতকর্মের জন্য 'সরকারী'ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করুক এবং যারা তখন যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিল- আইনের আওতায় এনে বিচার করে তাদের শাস্তি হোক; পুড়িয়ে মারার কথা তো এখানে আসছে না। পরিবর্তে, যখন আমাদের তাদের পক্ষে সাফাই শুনতে হয়, শুনতে হয় তাদের কাছে 'একাত্তরে তারা কোন ভুল করে নি', 'কোন যুদ্ধাপরাধী নেই','ত্রিশ লক্ষ লোক শহীদ হয় নি', 'কোন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে নি'; যখন এই দেশেই এখনো অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে ভিক্ষা করে জীবন নির্বাহ করতে হয় এবং রাজাকারের লাথি-গলাধাক্কা সহ্য করতে হয় আর যারা ছিল যুদ্ধাপরাধী এখন দেশের মন্ত্রী হয়ে আমাদের প্রভু হয়ে যায়; যখন পাকিস্তানীরা ক্ষমা চাওয়ার কথা ভুলে আমাদেরকে 'আদর্শ মুসলিম ছোট ভাই' হওয়ার সবক দিতে আসে , যখন আত্মসম্মানহীন আরো কিছু নির্লজ্জ খেলাকে রাজনীতির সাথে না মেশানোর পরামর্শ দিয়ে মাঠে পাকিস্তানের পতাকা, 'ম্যারি মি, আফ্রিদি' প্ল্যাকার্ড বহন করে- তখন অক্ষম আমাদের শুধু ঘৃণাই উগড়ে উগড়ে আসে।
স্রষ্টাই বলেছেন- ' যদি ঈমানদার হও, অবিচার দেখে হাতে প্রতিবাদ কর, যদি না পার তবে মুখে প্রতিবাদ জানাও, তাতেও যদি অপারগ হও তবে অন্তর থেকে ঘৃণা কর'। আমাদের হাত-পা বাঁধা, আমাদের মুখ বন্ধ, এখন কি এ অবিচার দেখে ঘৃণাও বন্ধ করতে বলছেন, ফারুক ওয়াসিফ?
আমরা আমাদের ঘৃণার পরিতৃপ্তির জন্য বা জীঘাংসার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই না, বিচার চাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধটির প্রতিকারের জন্য। যার পরিণতি শাস্তি।
মুশকিল হচ্ছে, এই যুদ্ধাপরাধীরা আমাদের প্রতি একটা ভয়ঙ্কর ঘৃণাকে সম্বল করেই টিকে আছে। আপনি তাদের বিরুদ্ধে মানুষকে রাজনৈতিকভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠিত হতে বলছেন। আপনার মতো একজন সংগঠক ১৯৭১ সালে থাকলে তখনকার পোলাপান যুদ্ধই করতে পারতো না। আপনি তাদের গিয়ে বলতেন, ঘৃণা চরিতার্থ করার জন্য পাকিস্তানী খানসেনাদের হত্যা কোরো না, ন্যায়বিচারের স্বার্থে গুল্লি করো। তারা কনফিউজড হয়ে ক্যাম্প ছেড়ে ভাগতো।
আপনার কথামতো আমরা ঘৃণার শিকার হবো, কিন্তু উল্টে ঘৃণা করতে পারবো না। দেশের ভোটারদের একটা বড় অংশ এই আস্কারা পেয়েই বড় হয়েছে।
অন্যায়ের প্রতিকারের সংকল্প পুরোপুরি ঘৃণা থেকে বিচ্যুত হতে পারে কখনো? যদি পারে, সেটি হবে ঠুঁটো সংকল্প, গান্ধীবাদী নির্লিপ্ততাবাদ। ওতে করে অন্যায়কারীকে ছাড় পাইয়ে দেয়া যায় শুধু।
অন্য কিছু না, নাৎসিদের বিচার নিয়ে জার্মান ছবি রিডার দেখার আমন্ত্রণ জানাই।
নাৎসিদের বিচারের কথা বলছেন, আত্মসমর্পণের সময় সাধারণ মানুষ কিভাবে নাৎসি পান্ডাদের ধরে ধরে ফাঁসি দিয়েছে, সেটা দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাই "ডেয়ার উন্টারগাং" দেখার জন্য।
আগের নির্বাচনের থেকে এবারে তাদের ভোটও বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ।
ভোটার সংখ্যা আগের নির্বাচনের পর কতখানি বেড়েছে? কতগুলি ভুয়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে? গ্রস নয়, নেট হিসাব করুন।
ঘৃণা, ভালবাসা মানুষের মৌলিক আবেগ। প্রায়শই এ দুটো হরিহর আত্মা। ভালবাসি বলেই ঘৃণা করি, ঘৃণা করি বলেই ঘৃণার বিপরীতটাকে ভালবাসি। একবার কারো মধ্যে মধ্যে ঘৃণার আবেগটি বড় হয়ে উঠলে তার প্রক্ষালন করা খুবই কঠিন। অনেকটা সাম্প্রদায়িকতার মতো, স্বল্পে তা মোছে না। একাত্তরের সকল যুদ্ধাপরাধী-ঘাতক-গণধর্ষণকারী (জেন্ডারসাইড) পাকিস্তানী শাসকমহল, দেশে তাদের অনুগত দালালরা, তাদের মদদদাতা আমেরিকা-চীন, বুদ্ধিজীবী হত্যার তালিকা প্রণয়নকারী সিআইএ_ সবার প্রতি ঘৃণা থাকাই স্বাভাবিক। যুদ্ধের মুহূর্তে ঘৃণা না থাকলে হত্যা করা যায় না। তারপরও অদ্ভুত আমাদের জাতীয় মানস, একাত্তর-বায়ান্ন নিয়ে ঘৃণা-ক্রোধের গান বা সাহিত্য কম, দেশপ্রেম-জাতিপ্রেমরসে সিক্ত কাজই বেশি। 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' বা 'মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি' এগুলো খেয়াল করুন।
একাত্তরে আমরা যুদ্ধরত ছিলাম, যুদ্ধের অস্ত্র ছিল আমাদের হাতে। এখন আমরা বিজয়ী। এখন আমাদের অস্ত্র আমাদের রাষ্ট্র তার আইন এবং বিধান। আইন ঘৃণা বা ভালবাসা বোঝে না, বোঝে অন্যায় কী এবং কী তার প্রতিকার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে প্রয়োজনে নতুন আইন করতে হবে, কিন্তু সেটাও কিন্তু প্রতিকার ও ন্যায়বিচারের প্রেমিজে দাঁড়িয়েই হবে। তবু আমি একমত, ''অন্যায়ের প্রতিকারের সংকল্প পুরোপুরি ঘৃণা থেকে বিচ্যুত হতে পারে কখনো?'' পারে না। সেকারণেই সতর্ক থাকা উচিত, একবার যদি ঘৃণার আগ্নেয়গিরি জাগে সহসা সেটিকে ঘুমন্ত করা যাবে না। একটি জনগোষ্ঠী যতই ঘৃণায় ভাসুক, তার ভেতরে মানবিকতার একটি ধারা থাকতে হবে, যেমন ঝড়ের কেন্দ্রে থাকে একটি শান্ত বিন্দু। নইলে সমাজের স্থিতি ও সংহতি ভেঙ্গে পড়ে। সেকারণেই একাত্তরের পরে বিনাবিচারে রাজাকারদের ধরে ধরে মারা হালে বাতাস পায়নি। বিচার আর প্রতিহিংসা এক জিনিষ নয়। বেশি আলো যেমন চোখ অন্ধ করে দেয়, বিশুদ্ধ ঘৃণা তেমনি পথহীন করে দিতে পারে।
আপনি জিজ্ঞেস করেছেন,
''আপনার মতো একজন সংগঠক ১৯৭১ সালে থাকলে তখনকার পোলাপান যুদ্ধই করতে পারতো না। আপনি তাদের গিয়ে বলতেন, ঘৃণা চরিতার্থ করার জন্য পাকিস্তানী খানসেনাদের হত্যা কোরো না, ন্যায়বিচারের স্বার্থে গুল্লি করো। তারা কনফিউজড হয়ে ক্যাম্প ছেড়ে ভাগতো।''
আমাদের মতো লোকেরাই চিরকাল যুদ্ধ করে, আওয়াজের থেকে কাজ বেশি করে। আমার মনে আছে, জাবিতে ভর্তি হওয়ার প্রথম বছরেই শিবির এসেছিল। ভোর রাতে হৈচৈ শুনে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি দল-লীগের বীরপুঙ্গবরা সার বেঁধে পেছনের জমি দিয়ে পালাচ্ছে। দখলদারদের সেন্টার ছিল কামালউদ্দীন হল। ঘুম ভাঙা মাত্রই কিছু না বুঝেই কেডস পরে বাইরে এলাম। দেখি দোতলা-দিন তলার বারান্দায় ভীড়। ছাদে ভীড়। মজা দেখছে। আর ভাসানী হলের পুকুরের ওই পাড়ে বটতলার কাছে শিবিরের ১৫/২০ জন জড়ো হয়েছে। হলের বাইরে তখন আমার মতোই চার-পাঁচজন ফার্স্ট ইয়ার আর ২/৩ জন সেকেন্ড ইয়ারের পোলাপাইন। জড়ো হলাম এবং আমরা ঠিক করলাম, ভাসানীতে ওদের ঢুকতে দেব না। ছাদের দর্শকগুলোকে বললাম, আপনারা ঢিল ছোঁড়েন।
আমাদের হাতে লাঠি। ওদের হাতে কাটা বন্দুক আর ককটেল। তারপরের ঘন্টাখানেক চললো এই সাতজনের সঙ্গে ওদের ১৫/২০ জনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। ওরা ককটেল মারলে আমরা পেছাই। আমাদের ঢিলের তোড়ে ওরা পেছায়। নিশ্চিত ছিলাম, ওরা প্রাণে মারতে গুলি করবে না, করলে করবে হাতে-পায়ে। কারণ লাশ পড়লে ওদের দখলদারি টিকবে না। সেদিন ভাসানী হল দখল আমরা ঠেকিয়ে দিয়েছিলাম।
এরকম চলতে চলতে দেখি কবির সরণীর থেকে মেয়েদের বিরাট মিছিল আসলে। পেছনে ছেলেরাও। সেই দেখে সাহসে আমরা পিচ্চিরা ওদের চরম ধাওয়া করলাম। শুধু ওরাই নয়, শিবিরের আরো বেশ কিছু ক্যাডার ফাঁকা গুলি করতে করতে পেছনের গ্রাম গেরুয়ার দিকে ছুটছে। পেছনে আমরাও। তখন আমাদের সংখ্যা অনেক বেশি। দেখলাম যে, ছাত্রদলের ক্যাডার গিটার বাবু একটা মান্ধাতা আমলের কাটা রাইফেল নিয়ে ছুটছে। দৌড়ে তাকে ধরে ফেললাম। ওদিকে ডাইল সেবনে তার দমের অবস্থা যা-তা দৌড়াতে পারে না আবার এত দূর থেকে গুলি করলে লাগবে না। যতই বলি, আমারে দ্যান। ততই তার আঁতে লাগে আর বৃথা ফায়ার করে। সে এক কাহিনী বটে। ওরা পালায়। ফিরে এসে কামালউদ্দীনের পেছনের দেয়াল টপকে আমাদের গ্রুপের সবাই ঢোকে। কিছু মারামারি হয়। কিন্তু ততক্ষণে গোটা ক্যাম্পাস হল ঘিরে ফেলেছে। ক্যাডারগুলোকে ঢোকানো হলো গেস্টরুমে। গণপিটুনি কিছু পড়েছে বটে। কিন্তু আমার হাত সায় দেয়নি। আমি যুদ্ধের মধ্যে হত্যা করতে পারি কিন্তু পরাজিতকে বিচারের পক্ষে।
পরদিন আমাদের হলের ছাত্রলীগ-দলের ক্যাডারেরা বটতলায় বসে বহুত বীরত্বের উচ্চবাচ্য করছিল। আমার মজাই লাগছিল। আমি বলিনি, ভায়ারা এতক্ষণ কোথায় ছিলেন? কেবল মুচকি হেসেছি। আজকেও আমার সেই হাসিটিই পাচ্ছে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো, আপনার আজকের সেই হাসিটি দিয়ে আপনি তর্কে প্রতিপক্ষকে সবসময় দল আর লীগের খোপে ঢুকিয়ে দেন, যারা প্রচুর আওয়াজ করে এবং কাজ কম করে। যদিও আমার স্বল্পজ্ঞানে বলে, জাহাঙ্গীরনগরে আপনাদের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে প্রচুর আওয়াজ করা ছাত্রলীগের কিলার গ্রুপেরও একটি ভূমিকা ছিলো। আর এ-ও বুঝলাম, সে সময় আপনি যা বীরত্বসূচক কর্মকান্ড করেছেন, তাতে প্রতিপক্ষের প্রতি আপনার মনে কোন ঘৃণা ছিলো না, কেবল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই আপনি ওসব করে বেরিয়েছেন।
এই যে নিজেদের বিজয়ী ভেবে সকল ঘৃণার উর্ধ্বে উঠে বসে থাকা, এ তখনই মানায় যখন আপনি প্রকৃতই বিজয়ী এবং আপনার শত্রুরা নিরস্ত্র ও আপনার বিচারের মুখাপেক্ষী। সে যখন আপনার পেছনে অতর্কিতে হামলার জন্য সশস্ত্র, তখন এই মহানুভবতা খাটে না। আগে জিতুন, তারপর ঘৃণাকে আবর্জনার বাক্সে ফেলবেন। তার আগ পর্যন্ত যতক্ষণ ঘৃণা চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে, তাকে কাজ করতে দিন না কেন? আপনার সেইদিনের বিশ্বযুদ্ধের কমরেডদের কি দলে দলে গিয়ে ঘৃণা ভুলে শুধু ন্যায়বিচারের জন্য ঢিল মারতে বলেছিলেন? বর্ণনায় তো তা মনে হচ্ছে না।
যুক্তি তো ভালই দিচ্ছিলেন হিমু, কিন্তু আমাকে নিয়ে পড়লেন কেন? কোনো সমস্যা? আমি কি আপনাকে কোনো সাহায্য করতে পারি?
জাহাঙ্গীরনগরে আপনাদের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে প্রচুর আওয়াজ করা ছাত্রলীগের কিলার গ্রুপেরও একটি ভূমিকা ছিলো।
অবশ্যই ভূমিকা ছিল। আন্দোলনের বিজয়ের পর এসে ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের মুক্ত পরিবেশে আবার দখলদারিত্ব কায়েম করা। আপনার নিশ্চিত ভুল হচ্ছে। আর আমি তো বলছিলাম শিবির বিরোধী আন্দোলন নিয়ে। জাবিতে ওই কাজে ডান-বাম-আমজনতা সবারই ভূমিকা ছিল। আবার দল-লীগের মধ্যেও তারা ঢুকে ছিল এবং আছে।
ঘৃণা তো থাকবেই, র্ঘণান্ধ না হলেই হলো। আমি কেবল বলতে চাইছি ঘৃণার অস্ত্র যুদ্ধ, আর বিচারের অস্ত্র আইন। আমরা যারা তাদের শাস্তি চাই, তা কি আরেকটা যুদ্ধ করে করব? নাকি আদালতে নিষ্পন্ন করবো বিষয়টা। আদালত যদি গাফিলতি হয়, কেউ বেঁচে যায়, তখন কি আমরাই বেছে বেছে ডার্ক জাস্টিসের লাইনে যাব?
স্থির হয়ে ভাবেন, তাহলে আলোচনা হয়। নইলে যান, আপনারটাই ঠিক।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আপনাকে নিয়ে "পড়বো" কেন বলুন? আমি ঐ ঘৃণামুক্ত রাজনৈতিক অবস্থানের বায়বীয়তা নিয়ে তর্ক করছি আপনার সাথে। আপনি নিজের জীবনের উদাহরণ দিলেন, সেখানেও আপনার কথার সাথে আপনার কাজের সঙ্গতি পেলাম না। সে কথা আপনাকে জানানো যদি আপনাকে নিয়ে "পড়া" হয়, তাহলে দুঃখিত।
বিচারের অস্ত্র আইন, এতে তো কোন দ্বিমত পোষণ করছি না। আমি আগেও একাধিকবার বলেছি, যুদ্ধাপরাধীদের আমরা ধরে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলতে চাই না, বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি করে ফেলে রেখে দিতে চাই না। কিন্তু আপনি এসে আমাকে বসাচ্ছেন বিচারকের আসনে, তারপর বলছেন আমার ঘৃণা থানায় জমা দিয়ে আসতে। আমি বিচারক নই। আমি বিচারপ্রার্থী সংক্ষুব্ধ। এই পার্থক্য যদি আপনি না বোঝেন তাহলে কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে।
আদালত যদি গাফিলতি হয়, কেউ বেঁচে যায়, তখন কি আমরাই বেছে বেছে ডার্ক জাস্টিসের লাইনে যাব?
আদালতের গাফিলতির জন্য আপনার প্রস্তাবিত ঘৃণাহীন রাজনৈতিক অবস্থানে কোন দাওয়াই বাতলে দেয়া আছে, একটু জানান।
আমি আপনার রাজনৈতিক বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করি না (প্রয়োজনে সচলের অতীত পোস্ট ঘেঁটে এ নিয়ে নিঃসন্দেহ হতে পারেন), তাই পরের কথাগুলো বলার আগেই ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখছি, এ কোন বিদ্রুপ নয়, তা না হলে আপনি কেঁদেকেটে একশা করবেন। এই যে শ্রেণী-সংগ্রামের কথা আপনি এ যাবৎ বলে এসেছেন, ওখানে কোথাও কি এই ফুলেল বিচার আর আইনের কথা বলেছেন? নির্যাতিত শ্রমিকশ্রেণীকে কি আপনি আদালতে যেতে উদ্বুদ্ধ করার কথা বলেছেন, নাকি বৃহত্তর গণআন্দোলনের দিকে যেতে বলেছেন? ফুলবাড়িতে এশিয়া এনার্জিকে পাছায় লাথি মেরে বার করা হয়েছিলো কি কোন ঘৃণামুক্ত বিচার-আইনশোভিত রাজনৈতিক অবস্থানের মাহাত্ম্যে?
রাজাকারকে ধরে আগুনের ওপর ঝলসানোর কার্টুন দেখে আপনার এতদিনের বক্তব্যের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে আপনি যে যীশুর বাণী উচ্চারণ করছেন, তা পাঠ করে আমি বিস্মিত। আমি শিখছি, আপনি যে ওয়াজ গ্রীষ্মে করেন, সে ওয়াজ শীতে করেন না। আমার স্বাভাবিক শিষ্টাচার তাই বারে বারে বাংলাদেশের সংবিধানের মতো আক্রান্ত হচ্ছে।
তারপরও অদ্ভুত আমাদের জাতীয় মানস, একাত্তর-বায়ান্ন নিয়ে ঘৃণা-ক্রোধের গান বা সাহিত্য কম, দেশপ্রেম-জাতিপ্রেমরসে সিক্ত কাজই বেশি। 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' বা 'মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি' এগুলো খেয়াল করুন।
অন্য উদাহরনে পরে যাই, আপনার উল্লেখিত গানদুটির একটিই কিন্তু ক্রোধের । আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটির পুরো অংশ যদি শুনে থাকেন তাহলে লক্ষ্য করবেনঃ
'জাগো নাগীনিরা জাগো , জাগো কালবশেখীরা
শিশুহত্যার বিক্ষোভে আজ কাপুক বসুন্ধরা
দেশের সোনার ছেলে খুন করে রুখে মানুষের দাবী
দিন বদলের ক্রান্তি লগনে তবু তোরা পার পাবি
না না খুনে রাঙা ইতিহাসে শেষে রায় দেয়া তারি
একুশে ফেব্রুয়ারী একুশে ফেব্রুয়ারী'
এটাকে কি আপনি ক্রোধ বলবেননা ?
ভাল করে 'জনতার সংগ্রাম চলবে ' , পুর্ব দিগন্তে সূর্য্য উঠেছে' , 'হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ', 'যশোর খুলনা বগুড়া পাবনা ঢাকা বরিশাল নোয়াখালি' , 'আমার প্রতিবাদে ভাষা আমার প্রতিরোধের আগুন' , 'বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ চারিদিকে' গানগুলি শুনে দেখুন। এরকম ১০ টি গান নিয়ে আমরা সেদিন স্বাধীনতার অনুষ্ঠান করেছিলাম যার প্রায় সবই ছিল ক্রোধের। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সবচেয়ে সাড়া জাগানো গান 'জয় বাংলা বাংলার জয়' গানটির এই লাইন গুলি লক্ষ্য করুনঃ
আপনার মতো একজন সংগঠক ১৯৭১ সালে থাকলে তখনকার পোলাপান যুদ্ধই করতে পারতো না
ফারুক ওয়াসিফের সাথে সচলের মডুদের সুসম্পর্ক বিদ্যমান নেই, জানি। উনি অনেক সময় পপুলার অবস্থানের বিরুদ্ধে কথা বলেন - কারন আমি যতটুকু বুঝি, উনি আপাদমস্তক contrarian. সেই হিসাবে ওনার মতামত উনি দিতে পারেন, এবং উনি দেনও নিয়মিত।
কিন্তু তাই বলে এই রকম ব্যক্তিগত পর্যায়ে আপত্তিকর কথা কিছুদিন পর পর তাকে উদ্দেশ্য করে বলা হবে, সেটা দেখতে আর ভাল্লাগে না। প্রতিবাদ করতে শেষমেষ বাধ্য হলাম। বিতর্ক কি পার্সোনাল আক্রমণ না করে একেবারেই করা যায় না? মডুদের এই ব্যক্তিগত খোঁচা মারা বা আঘাত দেয়ার ব্যাপারে আরেকটু সংযত হবার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
ফারুক ওয়াসিফের সাথে সচলের মডুদের সুসম্পর্ক বিদ্যমান নেই, জানি।
আপনি এ জ্ঞান কিভাবে অর্জন করলেন আমি নিশ্চিত নই। কিন্তু কোন পূর্বনির্ধারিত অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে তো আপনার উদ্ধৃত কথাটি বলিনি। ওর পরবর্তী দু'লাইন কোট করলেন না কেন? আর এতদিন সচলে লিখে আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন, মডারেটরের বক্তব্য "সচলায়তন" বা "সন্দেশ" নিকে আসে। আমি হিমু, সচলের একজন ব্লগার। এর মধ্যে মডারেটর, ফারুক ওয়াসিফের সাথে তার বা তাদের সু- বা দুঃসম্পর্ক, ইত্যাদি আপনার স্বকপোলকল্পিত অনুসিদ্ধান্ত, যা অযথাই ব্যাপারটাকে অন্য একটা রং দেয়। আপনি সাধারণ একজন ব্লগারের বক্তব্যে যেভাবে আপত্তি জানাতে পারেন, সেভাবে আপত্তি জানানো যেতো না কি?
তবে কথাটিতে আঘাত হানার উদ্দেশ্য প্রকাশ পেয়ে থাকলে দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে যে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার এসব বলা, সেখানে ফারুক ওয়াসিফের বিবেকুল বাহার গোছের বক্তব্যে কিছুটা বিচলিত হয়ে কথায় স্বাভাবিক শিষ্টাচার কিছুটা বিচলিত হয়েছে বলেই দেখতে পাচ্ছি। আসলেই, এ আমাকে মানায় না। আপনাকে ধন্যবাদ।
@ ফারুক ওয়াসিফ,
যুদ্ধাপরাধীগো পুড়ায় মারার কোনো ইচ্ছা অন্তত আমার নাই, আমি ওগো ধইরা পাছাপুড়ান্তিস্ খেলুম! কিন্তু মারুম না!
পিঠের এমন জায়গায় চুতরা পাতা ডইলা দিমু যেখানে ওগো হাত যায়না!
চুলকানির চটে দাপরাইবো-চাপরাইবো কিন্তু খাউজাইতে পারবোনা!
ঐ দাপরানি-চাপরানি দেইখা আমি তৃপ্ত হবো ! লোক ডাইকা দেখাবো ক্যামনে ওরা যন্ত্রণায় ছটফটায়!!
চুলকানির কুটকটানি গেলেগা আবার চুতরা পাতা ডইলা দিমু!
ওগো আমি মারুম না ! এত সোজা না !!!
দুধ-ছানা-মাখন খেয়ে একেকটা রাজাকারের যে সাইজ, দড়ি দিয়া ঝোলানো বড়ই কঠিন সুজন্দা... দড়িটা ছাইড়া দ্যান, হাত আরাম হোক...
---------------------------------------------
আমাকে ছুঁয়ো না শিশু... এই ফুল-পাখি-গান সবই মিথ্যা!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ফারুক ওয়াসিফ
প্রথমেই বলে রাখি বক্তব্যের সমর্থনে আপনার ভাষার কারুকাজ
আর শিল্প দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ
আপনার কেন এ কথা মনে হলো
'ঘৃনার পরিতৃপ্তি' বা জিঘাংসার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই?
কেউ চুরি করে যখন, সে চোর, অপরাধী। রাগ হয় অনেক।
কেউ যখন খুন করে। সে খুনী। অপরাধী। রাগ হয়। হয় বিস্ময়।
মানুষ মারা এতো সহজ?
ধর্ষন করে যে, ধর্ষক তাকে অনুভুতি জানানোর ভাষা থাকেনা।
চুরি ডাকাতি ধর্ষন দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা গণহত্যা
সব একসাথে চালায় যারা
যারা স্বাধীনতার দুদিন আগে তৈরী করে রায়েরবাজার বধ্যভূমি
যাদের হাত ওঠে মুক্তিযোদ্ধার ওপর এতো বছর পরও
যাদের বাংলাদেশ ঘৃনা বদলানো যায়না ব্যক্তিপ্রেম বা দেশপ্রেম দিয়ে
তাদের আসলে কি করা উচিত?
ঘৃনা নয়? কোন শব্দ দিয়ে তাদের প্রতি অনুভুতি প্রকাশ উচিত জনাব ওয়াসিফ?
কেউ তো বলেনি যুদ্ধাপরাধী বিষয়ে 'রাজনীতি-বিযুক্তভাবে বিচার' করার কথা।
মনের আনন্দে রাজনৈতিকভাবে বিচার করুন। কিন্তু দয়া করে 'রাজাকারদের ঘৃনা করা' এই কথাটার মাঝে রাজনীতি খুঁজবেন না।রাজাকারদের বিচার যখন হবে তখন নিশ্চয়ই সুজন চৌধুরী বা আমি বিচারকের মন্চে থাকবোনা। থাকবেন অন্য কেউ। যারা নিয়মতন্ত্রিক ভাবেই বিচার প্রক্রিয়া চালাবেন। কিন্তু ঘৃনা থাকবেই। ঘৃনার প্রকাশ হবে এরকম কোন কার্টুনে বা ছড়ায়। আপনি যদিও এখানে বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তবু আপনার প্রথম মন্তব্যটা কিন্তু অন্যরকম শুনিয়েছিল।
এদের সঙ্গে বিএনপিপন্থি অংশটাকে যোগ করলে বলতে হয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে আছে দেশের তিন ভাগের এক ভাগ ভোটার। এই এক ভাগ লোককে কি আমরা ঘৃণা দিয়ে নিশ্চিহ্ন করবো? নাকি আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ লড়ব? এটা আমার প্রশ্ন।
আপনিই বলুন কী করা যেতে পারে?
আমার উত্তর ঘৃনা দিয়ে নিশ্চিহ্ন করবো। ফিজিক্যাল অর্থে বলছি না। মানসিক ভাবে তাদের দুর্বল করবো। প্রথম থেকেই যদি এই ঘৃনাটা থাকতো সবার মাঝে আজ তাহলে ভোটের এই অবস্থা দাড়ায় না।আমরা তাদের 'ভালোবাসা' দিয়ে কিংবা ঘৃনা না করে দিয়ে তাদের একটা গ্রহনযোগ্যতা দিয়েছি খুব ধীরে । ক্ষমার পর ক্ষমা দিয়ে তাদের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ আমার বিষয় ছিল না। আমার বিষয় ছিল, তার ধরন। আমার অবস্থান অস্পষ্ট নয়, আমি জামাত-শিবিরের রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করতে চাই, রাজনীতি বলতে আমি সংষ্কৃতিকেও বুঝছি।
শুধু শুধু অন্য প্রসঙ্গ টেনে আনছেন কেন?
রাজাকারদের বিচার আর জামাত-শিবিরের রাজনীতির বৈধতা কাছাকাছি হলেও দুটো অনেকখানিই আলাদা বিষয়।
রাজাকারদের বিচার হোক তো আগে।
তারপর না জামাতের রাজনীতি প্রতিহত করার প্রশ্ন।
ঘৃনা আমাদের যুক্তি বুদ্ধিকে আবছা করে দেয়নি। দিয়েছে তাদেরকে উপেক্ষা করার সাহস। রাজাকারদের ঘৃনা একটা বাঙালির জন্মগত অনুভুতি।আমি এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এমন কাউকে দেখিনি যারা রাজাকারদের ঘৃনা করেনা। কারোটা প্রখর প্রকাশিত কারো ঘৃনা নিস্তব্ধ তারা সবাই অন্ধ হিতাহিত গেয়ান শুন্য?
আচ্ছা শহীদ বুদ্ধিজীবির পরিবারেরা রাজাকারদের ঘৃনা করেন না? তাদের কাছে এই মানবতার অভয়বাণি কেমন শোনাবে?
ঘৃণা দিয়ে সেটা হবে না, বাংলাদেশে এখন যে জামাতবিরোধী চেতনা তরুণদের মধ্যে বিরাজ করছে সেটার কারণ কিন্তু ঘৃণা নয়, গত এক দশকের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন।
জামাতবিরোধী চেতনার মাঝে কি রাজাকারদের ঘৃনা করার কোন প্রভাব নেই আপনি বলতে চান? শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক পরিবর্তন এতো বড় বিপ্লব ঘটাতে পারে? তার মানে আমাদের তরুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ এবং সংস্কৃতি এতোই বিপরীত মেরুর বিষয়? অদ্ভুত তো।
নাতসীদের বিচার নিয়ে জার্মান ছবি রিডার কোন ছবিটা?
২০০৮ এ মুক্তি পাওয়া স্টিফেন ডালড্রির ছবিটা কি?
হাননা, নাজি যুদ্ধাপরাধী।যে আসলে কোন কারণে নিরক্ষর। নিজামী সাইদী গোলাম আজম এর শিক্ষা বিষয়ক অভিগ্গতা নিয়ে আপনার কোন সন্দেহ আছে কি?
সবচেয়ে বড় কথা সিনেমায় কিন্তু সে হান্না তার ভাগের কারাদন্ড শাস্তি ঠিকই ভোগ করে। বিচারক এবং জার্মানীর জনগন এক্ষেত্রে কোন আপোষ দেখায় না।
ঠিক এই জায়গাতেই আমরা আলাদা মিঃ ওয়াসিফ। দ্য রিডার আর বাংলাদেশের সবচেয়ে বেসিক পার্থক্য হলো আমরা আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দিতে পারিনি। তাদের ঘৃনার বদলে অন্য কোন প্রশ্ন তখনই আসবে যখন তারা তাদের প্রাপ্য শাস্তি মেনে নেবে। আপনাকে আমি উল্টো অনুরোধ করছি সিনেমাটা মন দিয়ে দেখুন আরেকবার। এ নামে অন্য কোন সিনেমা থাকলে অবশ্য আলাদা ব্যাপার।
যেটা দেখা যায় গড়পরতা পাকিস্তানবিদ্বেষের মধ্যে। আজকে যারা পাকিস্তানে গণতন্ত্রের জন্য, সেনাশাসন ও জারদারির বিরুদ্ধে কিংবা শরিয়া প্রবর্তনের বিরুদ্ধে লড়ছে, তাহলে তাদেরও তো ঘৃণা করতে হয়।
আপনি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হবেন, আমি একদম বিশুদ্ধ গড়পড়তা পাকিস্তান বিদ্বেষি। তারা শরীয়া আইনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে জান প্রান লাগিয়ে লড়াই করে যেতে পারেন। আমার শুভকামনা রইলো। কিন্তু পাকিস্তান যতক্ষন হাতজোড় করে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা না চাচ্ছে ততক্ষন তাদের প্রতি ঘৃনা কমার কোন সুযোগ নেই।এ কথা স্পষ্ট করে আগেও বলেছি। এখনো বললাম।
আর হ্যাঁ, ঘৃণার রাজনীতি অবশ্যই আছে। ঘৃণাকে ঘিরে রাজনীতি আবর্তিত হতে পারে এবং হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ধারার মধ্যে ঘৃণা থাকায় তা পজেটিভ ন্যাশনালিজম নয়। আমরা অপরের বিরোধিতা দিয়ে আত্মরক্ষার জাতীয়তাবাদ দিয়ে শুরু করেছিলাম..... সেকারণেই আজও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক চরিত্র, জাতীয়তা, নাগরিকত্বের আদল স্পষ্ট নয়।
আত্নরক্ষার জাতীয়তাবাদ জিনিসটা কি একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?
ঘৃনার রাজনীতি দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিকক চরিত্র, জাতীয়তা নাগরিকত্বের আদল কি ধীরে ধীরে এই রাজাকার এবং তাদের উত্তরসূরীরা বদলে দেয়নি? যে দেশে মন্ত্রীসভায় থাকে রাজাকার, সে দেশে নাগরিকত্বের চরিত্র কেমন হবে বলে আপনি আশা করেন?
বাংলাদেশের জাতীয়তার আজ সেই পতন সেটা কি যুদ্ধাপরাধীদের পূণর্বাসনের পরই বিশাল আসন গেড়ে বসেনি?
অবশ্যই আমাদের রাষ্ট্রে আইন আছে বিধান আছে। বিচার সেই পদ্ধতিতেই হবে। কিন্তু যুদধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় নেয়ার জন্যই এই সম্মিলিত ঘৃনা জাগ্রত থাকা দরকার। না হলে সরকার বা আর কারো দায় পড়েনি মনের আনন্দে রাজাকারদের সাথে হাঙ্গামায় যেতে।
আপনার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে করা আশৈশব আন্দোলন কে সশ্রদ্ধ প্রনতি জানাই।হিমুর মন্তব্যের উত্তরে আপনার স্মৃতিকথা পড়ে চমতকৃত হয়েছি।তাই আমাদের মতো লোকেরাই চিরকাল যুদ্ধ করে, আওয়াজের থেকে কাজ বেশি করে।..... আজকেও আমার সেই হাসিটিই পাচ্ছে
জাতীয় কথা আপনাকে মানায় না।
ফারুক ওয়াসিফ, আপনি আমাদের কী করা উচিত বললেন। রাজাকার/যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃনা করার মাঝে অমানবিকতা খুঁজে পেলেন।একটু কষ্ট করে আমাদের আজকের বাংলাদেশ সম্পর্কে যুদ্ধাপরাধীরা কীভাবে চিন্তা করে বললেন না?
এই সেই দল জনাব ওয়াসিফ যারা আমার বাবা আমার ভাইকে ছুরি দিয়ে বলেছে জবাই বরতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। তুই নিজেই নিজেকে মেরে ফেল।
যারা পাকিপ্রভুদের খুশী করার জন্য সাতবছরের মেয়ের দু পা দুদিকে টেনে ছিড়ে ফেলেছে যৌনাঙ্গ অপরিনত বলে।
আপনি আমি দুজনেই জানি সুযোগ পেলে তারা আরেকবার একই কাজ করার আগে দুবার ভাববেনা।
তারা 'রাজনৈতিক' ভাবে 'মানবিক' ভাবে কোন সমাধানে যাবার কথা চিন্তাও করতে পারেন। হিমুর মতোই জানতে চাইছি, শুধু আমরা কেন? মানবিকতা মাঝে মাঝে কাপুরুষতা হয়ে রা্ষ্ট্রশত্রুকে দুর্বিনীত হবার সুযোগ দেয়।
তাদের প্রতি ঘৃনা থাকবে অপরিমেয় ঘৃনা থাকবে ক্ষোভ থাকবে। মানবতার বাণী দিয়ে যীশু ক্রুশে বিদ্ধ হতে পারেন। আমি পারবো না।
কদিন আগে বেশ কথা হয়েছিল পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে। সেনাবাহিনীর প্রতি তীব্র বিতৃষ্নায় নিহত (এবং শহীদ) সেনা অফিসারের প্রস্ততিতে অংশীদারীত্বের দাবী তোলা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে সেই প্লাটফ্রম থেকে মানবিকতা বোধে সমর্থন দেখে কেন যেন ইমোটিকনের মতো দাঁত বের করে হাসতে ইচ্ছে করছে। যুদ্ধাপরাধীরা জানলে নিশ্চয়ই কৃতার্থ হবেন শহীদ সেনা সদস্যদের স্থান তাদের থেকেও নীচুতে।
ঘৃনিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক।
জয়বাংলা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা মেহের. আপনার আলোচনা মনোযোগ দাবি করে। এখান থেকে আমরা বোধহয় একটা সারসিদ্ধান্তে আসতেও পারবো।
উত্তর দিতে আমার কিছুটা বিলম্ব হবে। অফিসে বসে...তা-ই। ধন্যবাদ।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমি আপনার রাজনৈতিক বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করি না (প্রয়োজনে সচলের অতীত পোস্ট ঘেঁটে এ নিয়ে নিঃসন্দেহ হতে পারেন), তাই পরের কথাগুলো বলার আগেই ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখছি, এ কোন বিদ্রুপ নয়, তা না হলে আপনি কেঁদেকেটে একশা করবেন। এই যে শ্রেণী-সংগ্রামের কথা আপনি এ যাবৎ বলে এসেছেন, ওখানে কোথাও কি এই ফুলেল বিচার আর আইনের কথা বলেছেন? নির্যাতিত শ্রমিকশ্রেণীকে কি আপনি আদালতে যেতে উদ্বুদ্ধ করার কথা বলেছেন, নাকি বৃহত্তর গণআন্দোলনের দিকে যেতে বলেছেন? ফুলবাড়িতে এশিয়া এনার্জিকে পাছায় লাথি মেরে বার করা হয়েছিলো কি কোন ঘৃণামুক্ত বিচার-আইনশোভিত রাজনৈতিক অবস্থানের মাহাত্ম্যে?
হিমুর সাথে সহমত এবং
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আলোচনাটা একই বৃত্তে ঘুরপাক খেলেও একটা এনগেজড সিচুয়েশনে এসে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ সিদ্ধান্ত নিয়েই যেহেতু আছেন, এবং পরিস্থিতি মোটামুটি নো পাসারান (ছাড়ান নাই) সেহেতু আমার কথাটা বলাই শ্রেয়। মনে হয় স্বতন্ত্র পোস্টানোই ভাল।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
মন্তব্য
চ্রম!
জয় বাংলা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
থ্রেংস!
জয় বাংলা!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
দারূণ ছারসেন...!!!
ধন্যবাদ।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ওরেরেরেরে
চ্রম সৌন্দর্য হইছে!!!
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ধন্যবাদ। এমনে কৈরা ওগো পাছাপোড়ান্তিস্ দিতে হৈবো!
জয় বাংলা।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
জাঝা
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
জয় বাংলা।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
জয় বাংলা !
দারুন
ধন্যবাদ। জয়বাংলা।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আহা... এইটা যদি সত্যি হইতো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইহাই সইত্য! এমনে কৈরা দিতে হৈবো!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আজকাল তো সবকিছুতেই কনটেস্ট হয়, তা এই যে চমৎকার Rump Roast রান্না হচ্ছে, তার একটা জব্বর নাম দেওয়ার কনটেস্ট হোক না!
পাকমনপেয়ারের পাছাপোড়া
খাসা নাম!
হেহেহে ! পাপে-পাছাপোড়ান্তিস্ !!! ১টা জোশ খেলা !
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
পাপেপাপো
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জয় বাংলা!!!!!!!!
ওরে!!!!
জয় বাংলা!!!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
জয় বাংলা
জয় বাংলা!
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
জয় বাংলা।
কঠিনের ওপর কঠিন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
জয় বাংলা!
জয় বাংলা!
নো ছাড়োন্তিস্!
পাকিমনের পাছাপোড়ান্তিস্!
শুক্রিয়া (শুভ ক্রিয়া) সুজন'দা
জয় বাংলা!
ধন্যবাদ। জয় বাংলা।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
জয় বাংলা!
জয় বাংলা।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
পুরাই গুল্লি ! আগুনটা পাছার আরেকটু কাছে নিয়া গেলে ভাল হইতো !
---------------------------------
--------------------------------------------------------
জ্বী না! তাইলেতো পুইড়া যাইবো! আমি তো পুড়ামুনা, পুড়ান্তিস্ খেলুম!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ও আচ্ছা !
তয় দেইখা দিলে শান্তি পাইলাম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহা, এমন নধর পাছায় আগুনের ছেকা দিতে আপনাগোর একটুও রহম হইতেছে না... !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হেহেহে !!! নধরই বটে !
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
পুরাই তুফান হইছে!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
স্রেম হইছে।
জি.বি
--------------------------------------------
<ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত> - আমার সিগনেচার
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
জ্রোশ বলছেন।
এস.সি.
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আপনার ছবিটা সত্যি হোক।
এই পাইরেটগুলারে ( "pirates of the carribean" এর অনুসরণে) এইভাবেই রোস্ট বানাতে হবে; এরপর পাকিস্তানী কুকুর বা শিয়াল বা হায়েনা দিয়া খাওয়াইতে হবে। ফায়ারিং স্কোয়াড এদের জন্য যথার্থ নয়। বাংলাদেশী কুকুর দিয়েও এদের খাওয়ানো যাবেনা;বাংলাদেশী কুকুরেরও তো ইজ্জত আছে; এইসব নাপাক খাওয়াইয়া আমাদের কুকুরের পেট নষ্ট করানো ঠিক হবে না। আবার পাকিস্তানী কুকুর বা শিয়াল বা হায়েনা দিয়া খাওয়ানোয় এই পাইরেটগুলার আত্মা শান্তি পাবে। মানবিকতার কারণে, এই শান্তিটুকু তাদের দেওয়া যায়।
(এই বদমাইশগুলারে পাইরেট বললে পাইরেটদেরও অসম্মান করা হয়; পাইরেটদেরও কিছু নৈতিকতা থাকে, বদমাইশগুলার তাও তো নাই এবং ছিল না)
নদী
চাল্লুইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমার বিনীত প্রশ্ন, যুদ্ধাপরাধীদের কি আমরা বিচার করতে চাই, নাকি মধ্যযুগীয় উইচহান্টের মতো পুড়িয়ে মারতে চাই?
ঘৃণা কোনো রাজনৈতিক অবস্থান হতে পারে না, যেমন গণহত্যার সমর্থন হতে পারে না কোনো রাজনৈতিক অভিমত।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
উনি একেবারে সরাসরি আক্ষরিক অর্থ নিশ্চয়ই বোঝাতে চান নি।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
অরাজনৈতিক অবস্থান থেকে ঘৃণা হালাল তো? আপনি খালি দেখায় দ্যান কোন জায়গায় খাড়াইয়া ঘৃণা করা যাবে। ঐখানেই খাড়ামু।
অরাজনৈতিক অবস্থান প্রমাণ করতে হৈলে উত্তর দিকে যাইতে হবে...ওদিকে অনেক শীত...
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ফারুক ওয়াসিফ
স্বাধীনতার সাইত্রিশ বছর পর এই ছবির লোকগুলো
বাংলাদেশের জন্ম নিয়ে কথা তুলতে পারে।
কে জানে এরইমধ্যে হয়তো কোন বাণীটানি দিয়ে বসে আছে।
আপনি তাদের প্রতি এই ছবির শিল্পী কিংবা এখানে মন্তব্য করা
মানুষদের ক্ষোভ দেখতে পান না?
দেখতে পান তাদের মধ্যযুগীয় বর্বরতা?
আর আপনি তাদের প্রতি ঘৃনাকে 'রাজনৈতিক' বলার চেষ্টা করছেন কেন?
আপনি কি মনে করেন রাজাকারদের ঘৃনা করা
কোন 'রাজনৈতিক' পাশা খেলা?
এখানে গণহত্যার প্রশ্ন আসছে কোথ্থেকে?
গণহত্যার মতো মানবতাবাদ বোধহয় এই ছবির চরিত্ররাই দেখিয়েছিল
তাদের ঘৃনা করা তথাকথিত 'রাজনৈতিক' লোকজন নয়
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
পূর্ণ সহমত! লও সালাম!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কার্টুন প্রসঙ্গে এ আলোচনাটা না হলেই ভাল হতো। ব্যক্তিগতভাবে আমি সুজন চৌধুরীর কার্টুনের দারুণ ভক্ত। সুজন চৌধুরী নিজে যে অভিমত দিয়েছেন সেটাও গ্রহণযোগ্য।
আমার কথাটা ছিল এই: আমরা আমাদের ঘৃণার পরিতৃপ্তির জন্য বা জীঘাংসার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই না, বিচার চাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধটির প্রতিকারের জন্য। যার পরিণতি শাস্তি। এইসূত্রেই বলেছিলাম, ঘৃণা কোনো রাজনৈতিক অবস্থান নয়, কারণ যুদ্ধাপরাধের প্রসঙ্গটি রাজনীতি-বিযুক্তভাবে বিচার করা হবে খণ্ডিত। তাহলে আমরা দেখব যে, তাদের অপরাধ আইনের চোখে একটি নয় দুটি। তারা কেবল মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধই করেনি, রাজনৈতিকভাবেও তারা স্বাধীন বলে ঘোষিত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধচারণ করেছে। সেকারণে, তাদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক যুক্তি (দেশের অখণ্ডতা রক্ষা বা দেশ ভারতের কাছে চলে যাবে বলে ভয় ইত্যাদি) গ্রাহ্য হতে পারে না।
সাইত্রিশ বছর পর এই লোকগুলো শুধু বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়েই কথা বলতে পারে না, তারা এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা দেশের প্রায় অর্ধেক ভোটারদের ভোট পায়। বিএনপিকে হিসেবের বাইরে রাখলেও, এদের আসন ২টি হলেও ভোট কিন্তু কোটিখানেকের কাছাকাছি। আগের নির্বাচনের থেকে এবারে তাদের ভোটও বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। এদের সঙ্গে বিএনপিপন্থি অংশটাকে যোগ করলে বলতে হয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে আছে দেশের তিন ভাগের এক ভাগ ভোটার। এই এক ভাগ লোককে কি আমরা ঘৃণা দিয়ে নিশ্চিহ্ন করবো? নাকি আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ লড়ব? এটা আমার প্রশ্ন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ আমার বিষয় ছিল না। আমার বিষয় ছিল, তার ধরন। আমার অবস্থান অস্পষ্ট নয়, আমি জামাত-শিবিরের রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করতে চাই, রাজনীতি বলতে আমি সংষ্কৃতিকেও বুঝছি। ঘৃণা দিয়ে সেটা হবে না, বাংলাদেশে এখন যে জামাতবিরোধী চেতনা তরুণদের মধ্যে বিরাজ করছে সেটার কারণ কিন্তু ঘৃণা নয়, গত এক দশকের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। ঘৃণা আমাদের যুক্তি-বুদ্ধিকে আবছা করে দেয়। তার মানে ঘৃণা আমাদের মনে জাগবে না তা নয়। কিন্তু আমরা যেন ঘৃণা দ্বারা চালিত না হয়ে অন্যায়ের প্রতিকারের সঙ্কল্প দ্বারা চালিত হই। কোনো ঘৃণাই যেন আমাদের অন্ধবিদ্বেষী করে না তোলে। যেটা দেখা যায় গড়পরতা পাকিস্তানবিদ্বেষের মধ্যে। আজকে যারা পাকিস্তানে গণতন্ত্রের জন্য, সেনাশাসন ও জারদারির বিরুদ্ধে কিংবা শরিয়া প্রবর্তনের বিরুদ্ধে লড়ছে, তাহলে তাদেরও তো ঘৃণা করতে হয়।
অন্য কিছু না, নাৎসিদের বিচার নিয়ে জার্মান ছবি রিডার দেখার আমন্ত্রণ জানাই।
আর হ্যাঁ, ঘৃণার রাজনীতি অবশ্যই আছে। ঘৃণাকে ঘিরে রাজনীতি আবর্তিত হতে পারে এবং হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ধারার মধ্যে ঘৃণা থাকায় তা পজেটিভ ন্যাশনালিজম নয়। আমরা অপরের বিরোধিতা দিয়ে আত্মরক্ষার জাতীয়তাবাদ দিয়ে শুরু করেছিলাম। সেটা করতে গিয়ে নিজেদের দিক থেকে কেমন বাংলাদেশ হওয়া চাই, তার জন্য কোন ধরনের চিন্তা ও রাজনীতি লাগবে তা ঠিক করতে পারিনি। সেকারণেই আজও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক চরিত্র, জাতীয়তা, নাগরিকত্বের আদল স্পষ্ট নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি ও তার জন্য আন্দোলন আশৈশব ধরে করে আসছি, সশরীরে, ঝুঁকির মধ্যে। আমি তাদের মোকাবেলা করতে চাই রাজনৈতিক ভাবে, সেটাই স্থায়ী ভাবে ওই ধারাকে বিলীন করার কার্যকর পন্থা বলে ভাবি। তাদের বিচার করতে চাই আইনের বলে, যাতে সকল পক্ষই তা মানতে বাধ্য হয় এবং তাদের ফিরে আসবার আর সুযোগ না ঘটে। এবং সাংস্কৃতিকভাবে যুদ্ধাপরাধীদের সংস্কৃতির খপ্পর থেকে জনগণের তিন ভাগের এক অংশকে বের করে আনার সংগ্রাম চালাতে চাই। এই সাংস্কৃতিক রূপান্তর ছাড়া রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে মুক্তিযুদ্ধের কাছাকাছি রাখা সম্ভব নয়।
আমি জানি, আমার এ অবস্থান সম্পূর্ণ গৃহীত হবে না অনেকের কাছে। আমি তাঁদের মতকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু যা সঠিক ভাবি, তা তো আর ত্যাগ করতে পারি না।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ঠিক ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
যারা দেশকে সত্যিকার ভালবেসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, ঘৃণা তাদের চালিত করে বলে আমার মনে হয় না। জাতির একটা সন্ধিক্ষণে সবাই সঠিক অবস্থান নিতে পারবে- এমন আশা বাস্তববাদী কেউ করে না। কিন্তু যারা বিপরীত অবস্থানে থেকে তখন ঘৃণ্য অপরাধ করেছে এবং স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরেও তাদের কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা দূরে থাকুক, তাদের অবস্থান যে ভুল ছিল- এটাও স্বীকার করে না- তারা তখন নিজেরাই নিজেদের ঘৃণ্য করে তোলে। আমাদের চাওয়া তো সামান্য- আমরা চাই রাজাকার এবং তাদের তৎকালীন প্রভু পাকিস্তান একাত্তরের কৃতকর্মের জন্য 'সরকারী'ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করুক এবং যারা তখন যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিল- আইনের আওতায় এনে বিচার করে তাদের শাস্তি হোক; পুড়িয়ে মারার কথা তো এখানে আসছে না। পরিবর্তে, যখন আমাদের তাদের পক্ষে সাফাই শুনতে হয়, শুনতে হয় তাদের কাছে 'একাত্তরে তারা কোন ভুল করে নি', 'কোন যুদ্ধাপরাধী নেই','ত্রিশ লক্ষ লোক শহীদ হয় নি', 'কোন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে নি'; যখন এই দেশেই এখনো অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে ভিক্ষা করে জীবন নির্বাহ করতে হয় এবং রাজাকারের লাথি-গলাধাক্কা সহ্য করতে হয় আর যারা ছিল যুদ্ধাপরাধী এখন দেশের মন্ত্রী হয়ে আমাদের প্রভু হয়ে যায়; যখন পাকিস্তানীরা ক্ষমা চাওয়ার কথা ভুলে আমাদেরকে 'আদর্শ মুসলিম ছোট ভাই' হওয়ার সবক দিতে আসে , যখন আত্মসম্মানহীন আরো কিছু নির্লজ্জ খেলাকে রাজনীতির সাথে না মেশানোর পরামর্শ দিয়ে মাঠে পাকিস্তানের পতাকা, 'ম্যারি মি, আফ্রিদি' প্ল্যাকার্ড বহন করে- তখন অক্ষম আমাদের শুধু ঘৃণাই উগড়ে উগড়ে আসে।
স্রষ্টাই বলেছেন- ' যদি ঈমানদার হও, অবিচার দেখে হাতে প্রতিবাদ কর, যদি না পার তবে মুখে প্রতিবাদ জানাও, তাতেও যদি অপারগ হও তবে অন্তর থেকে ঘৃণা কর'। আমাদের হাত-পা বাঁধা, আমাদের মুখ বন্ধ, এখন কি এ অবিচার দেখে ঘৃণাও বন্ধ করতে বলছেন, ফারুক ওয়াসিফ?
উত্তম।
সহমত
'''''''''''
তৃপ্তি আমার অতৃপ্তি মোর
মুক্তি আমার বন্ধনডোর
মুশকিল হচ্ছে, এই যুদ্ধাপরাধীরা আমাদের প্রতি একটা ভয়ঙ্কর ঘৃণাকে সম্বল করেই টিকে আছে। আপনি তাদের বিরুদ্ধে মানুষকে রাজনৈতিকভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠিত হতে বলছেন। আপনার মতো একজন সংগঠক ১৯৭১ সালে থাকলে তখনকার পোলাপান যুদ্ধই করতে পারতো না। আপনি তাদের গিয়ে বলতেন, ঘৃণা চরিতার্থ করার জন্য পাকিস্তানী খানসেনাদের হত্যা কোরো না, ন্যায়বিচারের স্বার্থে গুল্লি করো। তারা কনফিউজড হয়ে ক্যাম্প ছেড়ে ভাগতো।
আপনার কথামতো আমরা ঘৃণার শিকার হবো, কিন্তু উল্টে ঘৃণা করতে পারবো না। দেশের ভোটারদের একটা বড় অংশ এই আস্কারা পেয়েই বড় হয়েছে।
অন্যায়ের প্রতিকারের সংকল্প পুরোপুরি ঘৃণা থেকে বিচ্যুত হতে পারে কখনো? যদি পারে, সেটি হবে ঠুঁটো সংকল্প, গান্ধীবাদী নির্লিপ্ততাবাদ। ওতে করে অন্যায়কারীকে ছাড় পাইয়ে দেয়া যায় শুধু।
নাৎসিদের বিচারের কথা বলছেন, আত্মসমর্পণের সময় সাধারণ মানুষ কিভাবে নাৎসি পান্ডাদের ধরে ধরে ফাঁসি দিয়েছে, সেটা দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাই "ডেয়ার উন্টারগাং" দেখার জন্য।
ভোটার সংখ্যা আগের নির্বাচনের পর কতখানি বেড়েছে? কতগুলি ভুয়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে? গ্রস নয়, নেট হিসাব করুন।
ঘৃণা, ভালবাসা মানুষের মৌলিক আবেগ। প্রায়শই এ দুটো হরিহর আত্মা। ভালবাসি বলেই ঘৃণা করি, ঘৃণা করি বলেই ঘৃণার বিপরীতটাকে ভালবাসি। একবার কারো মধ্যে মধ্যে ঘৃণার আবেগটি বড় হয়ে উঠলে তার প্রক্ষালন করা খুবই কঠিন। অনেকটা সাম্প্রদায়িকতার মতো, স্বল্পে তা মোছে না। একাত্তরের সকল যুদ্ধাপরাধী-ঘাতক-গণধর্ষণকারী (জেন্ডারসাইড) পাকিস্তানী শাসকমহল, দেশে তাদের অনুগত দালালরা, তাদের মদদদাতা আমেরিকা-চীন, বুদ্ধিজীবী হত্যার তালিকা প্রণয়নকারী সিআইএ_ সবার প্রতি ঘৃণা থাকাই স্বাভাবিক। যুদ্ধের মুহূর্তে ঘৃণা না থাকলে হত্যা করা যায় না। তারপরও অদ্ভুত আমাদের জাতীয় মানস, একাত্তর-বায়ান্ন নিয়ে ঘৃণা-ক্রোধের গান বা সাহিত্য কম, দেশপ্রেম-জাতিপ্রেমরসে সিক্ত কাজই বেশি। 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' বা 'মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি' এগুলো খেয়াল করুন।
একাত্তরে আমরা যুদ্ধরত ছিলাম, যুদ্ধের অস্ত্র ছিল আমাদের হাতে। এখন আমরা বিজয়ী। এখন আমাদের অস্ত্র আমাদের রাষ্ট্র তার আইন এবং বিধান। আইন ঘৃণা বা ভালবাসা বোঝে না, বোঝে অন্যায় কী এবং কী তার প্রতিকার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে প্রয়োজনে নতুন আইন করতে হবে, কিন্তু সেটাও কিন্তু প্রতিকার ও ন্যায়বিচারের প্রেমিজে দাঁড়িয়েই হবে। তবু আমি একমত, ''অন্যায়ের প্রতিকারের সংকল্প পুরোপুরি ঘৃণা থেকে বিচ্যুত হতে পারে কখনো?'' পারে না। সেকারণেই সতর্ক থাকা উচিত, একবার যদি ঘৃণার আগ্নেয়গিরি জাগে সহসা সেটিকে ঘুমন্ত করা যাবে না। একটি জনগোষ্ঠী যতই ঘৃণায় ভাসুক, তার ভেতরে মানবিকতার একটি ধারা থাকতে হবে, যেমন ঝড়ের কেন্দ্রে থাকে একটি শান্ত বিন্দু। নইলে সমাজের স্থিতি ও সংহতি ভেঙ্গে পড়ে। সেকারণেই একাত্তরের পরে বিনাবিচারে রাজাকারদের ধরে ধরে মারা হালে বাতাস পায়নি। বিচার আর প্রতিহিংসা এক জিনিষ নয়। বেশি আলো যেমন চোখ অন্ধ করে দেয়, বিশুদ্ধ ঘৃণা তেমনি পথহীন করে দিতে পারে।
আপনি জিজ্ঞেস করেছেন,
আমাদের মতো লোকেরাই চিরকাল যুদ্ধ করে, আওয়াজের থেকে কাজ বেশি করে। আমার মনে আছে, জাবিতে ভর্তি হওয়ার প্রথম বছরেই শিবির এসেছিল। ভোর রাতে হৈচৈ শুনে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি দল-লীগের বীরপুঙ্গবরা সার বেঁধে পেছনের জমি দিয়ে পালাচ্ছে। দখলদারদের সেন্টার ছিল কামালউদ্দীন হল। ঘুম ভাঙা মাত্রই কিছু না বুঝেই কেডস পরে বাইরে এলাম। দেখি দোতলা-দিন তলার বারান্দায় ভীড়। ছাদে ভীড়। মজা দেখছে। আর ভাসানী হলের পুকুরের ওই পাড়ে বটতলার কাছে শিবিরের ১৫/২০ জন জড়ো হয়েছে। হলের বাইরে তখন আমার মতোই চার-পাঁচজন ফার্স্ট ইয়ার আর ২/৩ জন সেকেন্ড ইয়ারের পোলাপাইন। জড়ো হলাম এবং আমরা ঠিক করলাম, ভাসানীতে ওদের ঢুকতে দেব না। ছাদের দর্শকগুলোকে বললাম, আপনারা ঢিল ছোঁড়েন।
আমাদের হাতে লাঠি। ওদের হাতে কাটা বন্দুক আর ককটেল। তারপরের ঘন্টাখানেক চললো এই সাতজনের সঙ্গে ওদের ১৫/২০ জনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। ওরা ককটেল মারলে আমরা পেছাই। আমাদের ঢিলের তোড়ে ওরা পেছায়। নিশ্চিত ছিলাম, ওরা প্রাণে মারতে গুলি করবে না, করলে করবে হাতে-পায়ে। কারণ লাশ পড়লে ওদের দখলদারি টিকবে না। সেদিন ভাসানী হল দখল আমরা ঠেকিয়ে দিয়েছিলাম।
এরকম চলতে চলতে দেখি কবির সরণীর থেকে মেয়েদের বিরাট মিছিল আসলে। পেছনে ছেলেরাও। সেই দেখে সাহসে আমরা পিচ্চিরা ওদের চরম ধাওয়া করলাম। শুধু ওরাই নয়, শিবিরের আরো বেশ কিছু ক্যাডার ফাঁকা গুলি করতে করতে পেছনের গ্রাম গেরুয়ার দিকে ছুটছে। পেছনে আমরাও। তখন আমাদের সংখ্যা অনেক বেশি। দেখলাম যে, ছাত্রদলের ক্যাডার গিটার বাবু একটা মান্ধাতা আমলের কাটা রাইফেল নিয়ে ছুটছে। দৌড়ে তাকে ধরে ফেললাম। ওদিকে ডাইল সেবনে তার দমের অবস্থা যা-তা দৌড়াতে পারে না আবার এত দূর থেকে গুলি করলে লাগবে না। যতই বলি, আমারে দ্যান। ততই তার আঁতে লাগে আর বৃথা ফায়ার করে। সে এক কাহিনী বটে। ওরা পালায়। ফিরে এসে কামালউদ্দীনের পেছনের দেয়াল টপকে আমাদের গ্রুপের সবাই ঢোকে। কিছু মারামারি হয়। কিন্তু ততক্ষণে গোটা ক্যাম্পাস হল ঘিরে ফেলেছে। ক্যাডারগুলোকে ঢোকানো হলো গেস্টরুমে। গণপিটুনি কিছু পড়েছে বটে। কিন্তু আমার হাত সায় দেয়নি। আমি যুদ্ধের মধ্যে হত্যা করতে পারি কিন্তু পরাজিতকে বিচারের পক্ষে।
পরদিন আমাদের হলের ছাত্রলীগ-দলের ক্যাডারেরা বটতলায় বসে বহুত বীরত্বের উচ্চবাচ্য করছিল। আমার মজাই লাগছিল। আমি বলিনি, ভায়ারা এতক্ষণ কোথায় ছিলেন? কেবল মুচকি হেসেছি। আজকেও আমার সেই হাসিটিই পাচ্ছে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো, আপনার আজকের সেই হাসিটি দিয়ে আপনি তর্কে প্রতিপক্ষকে সবসময় দল আর লীগের খোপে ঢুকিয়ে দেন, যারা প্রচুর আওয়াজ করে এবং কাজ কম করে। যদিও আমার স্বল্পজ্ঞানে বলে, জাহাঙ্গীরনগরে আপনাদের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে প্রচুর আওয়াজ করা ছাত্রলীগের কিলার গ্রুপেরও একটি ভূমিকা ছিলো। আর এ-ও বুঝলাম, সে সময় আপনি যা বীরত্বসূচক কর্মকান্ড করেছেন, তাতে প্রতিপক্ষের প্রতি আপনার মনে কোন ঘৃণা ছিলো না, কেবল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই আপনি ওসব করে বেরিয়েছেন।
এই যে নিজেদের বিজয়ী ভেবে সকল ঘৃণার উর্ধ্বে উঠে বসে থাকা, এ তখনই মানায় যখন আপনি প্রকৃতই বিজয়ী এবং আপনার শত্রুরা নিরস্ত্র ও আপনার বিচারের মুখাপেক্ষী। সে যখন আপনার পেছনে অতর্কিতে হামলার জন্য সশস্ত্র, তখন এই মহানুভবতা খাটে না। আগে জিতুন, তারপর ঘৃণাকে আবর্জনার বাক্সে ফেলবেন। তার আগ পর্যন্ত যতক্ষণ ঘৃণা চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে, তাকে কাজ করতে দিন না কেন? আপনার সেইদিনের বিশ্বযুদ্ধের কমরেডদের কি দলে দলে গিয়ে ঘৃণা ভুলে শুধু ন্যায়বিচারের জন্য ঢিল মারতে বলেছিলেন? বর্ণনায় তো তা মনে হচ্ছে না।
যুক্তি তো ভালই দিচ্ছিলেন হিমু, কিন্তু আমাকে নিয়ে পড়লেন কেন? কোনো সমস্যা? আমি কি আপনাকে কোনো সাহায্য করতে পারি?
অবশ্যই ভূমিকা ছিল। আন্দোলনের বিজয়ের পর এসে ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের মুক্ত পরিবেশে আবার দখলদারিত্ব কায়েম করা। আপনার নিশ্চিত ভুল হচ্ছে। আর আমি তো বলছিলাম শিবির বিরোধী আন্দোলন নিয়ে। জাবিতে ওই কাজে ডান-বাম-আমজনতা সবারই ভূমিকা ছিল। আবার দল-লীগের মধ্যেও তারা ঢুকে ছিল এবং আছে।
ঘৃণা তো থাকবেই, র্ঘণান্ধ না হলেই হলো। আমি কেবল বলতে চাইছি ঘৃণার অস্ত্র যুদ্ধ, আর বিচারের অস্ত্র আইন। আমরা যারা তাদের শাস্তি চাই, তা কি আরেকটা যুদ্ধ করে করব? নাকি আদালতে নিষ্পন্ন করবো বিষয়টা। আদালত যদি গাফিলতি হয়, কেউ বেঁচে যায়, তখন কি আমরাই বেছে বেছে ডার্ক জাস্টিসের লাইনে যাব?
স্থির হয়ে ভাবেন, তাহলে আলোচনা হয়। নইলে যান, আপনারটাই ঠিক।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আপনাকে নিয়ে "পড়বো" কেন বলুন? আমি ঐ ঘৃণামুক্ত রাজনৈতিক অবস্থানের বায়বীয়তা নিয়ে তর্ক করছি আপনার সাথে। আপনি নিজের জীবনের উদাহরণ দিলেন, সেখানেও আপনার কথার সাথে আপনার কাজের সঙ্গতি পেলাম না। সে কথা আপনাকে জানানো যদি আপনাকে নিয়ে "পড়া" হয়, তাহলে দুঃখিত।
বিচারের অস্ত্র আইন, এতে তো কোন দ্বিমত পোষণ করছি না। আমি আগেও একাধিকবার বলেছি, যুদ্ধাপরাধীদের আমরা ধরে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলতে চাই না, বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি করে ফেলে রেখে দিতে চাই না। কিন্তু আপনি এসে আমাকে বসাচ্ছেন বিচারকের আসনে, তারপর বলছেন আমার ঘৃণা থানায় জমা দিয়ে আসতে। আমি বিচারক নই। আমি বিচারপ্রার্থী সংক্ষুব্ধ। এই পার্থক্য যদি আপনি না বোঝেন তাহলে কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে।
আদালতের গাফিলতির জন্য আপনার প্রস্তাবিত ঘৃণাহীন রাজনৈতিক অবস্থানে কোন দাওয়াই বাতলে দেয়া আছে, একটু জানান।
আমি আপনার রাজনৈতিক বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করি না (প্রয়োজনে সচলের অতীত পোস্ট ঘেঁটে এ নিয়ে নিঃসন্দেহ হতে পারেন), তাই পরের কথাগুলো বলার আগেই ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখছি, এ কোন বিদ্রুপ নয়, তা না হলে আপনি কেঁদেকেটে একশা করবেন। এই যে শ্রেণী-সংগ্রামের কথা আপনি এ যাবৎ বলে এসেছেন, ওখানে কোথাও কি এই ফুলেল বিচার আর আইনের কথা বলেছেন? নির্যাতিত শ্রমিকশ্রেণীকে কি আপনি আদালতে যেতে উদ্বুদ্ধ করার কথা বলেছেন, নাকি বৃহত্তর গণআন্দোলনের দিকে যেতে বলেছেন? ফুলবাড়িতে এশিয়া এনার্জিকে পাছায় লাথি মেরে বার করা হয়েছিলো কি কোন ঘৃণামুক্ত বিচার-আইনশোভিত রাজনৈতিক অবস্থানের মাহাত্ম্যে?
রাজাকারকে ধরে আগুনের ওপর ঝলসানোর কার্টুন দেখে আপনার এতদিনের বক্তব্যের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে আপনি যে যীশুর বাণী উচ্চারণ করছেন, তা পাঠ করে আমি বিস্মিত। আমি শিখছি, আপনি যে ওয়াজ গ্রীষ্মে করেন, সে ওয়াজ শীতে করেন না। আমার স্বাভাবিক শিষ্টাচার তাই বারে বারে বাংলাদেশের সংবিধানের মতো আক্রান্ত হচ্ছে।
অন্য উদাহরনে পরে যাই, আপনার উল্লেখিত গানদুটির একটিই কিন্তু ক্রোধের । আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটির পুরো অংশ যদি শুনে থাকেন তাহলে লক্ষ্য করবেনঃ
'জাগো নাগীনিরা জাগো , জাগো কালবশেখীরা
শিশুহত্যার বিক্ষোভে আজ কাপুক বসুন্ধরা
দেশের সোনার ছেলে খুন করে রুখে মানুষের দাবী
দিন বদলের ক্রান্তি লগনে তবু তোরা পার পাবি
না না খুনে রাঙা ইতিহাসে শেষে রায় দেয়া তারি
একুশে ফেব্রুয়ারী একুশে ফেব্রুয়ারী'
এটাকে কি আপনি ক্রোধ বলবেননা ?
ভাল করে 'জনতার সংগ্রাম চলবে ' , পুর্ব দিগন্তে সূর্য্য উঠেছে' , 'হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ', 'যশোর খুলনা বগুড়া পাবনা ঢাকা বরিশাল নোয়াখালি' , 'আমার প্রতিবাদে ভাষা আমার প্রতিরোধের আগুন' , 'বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ চারিদিকে' গানগুলি শুনে দেখুন। এরকম ১০ টি গান নিয়ে আমরা সেদিন স্বাধীনতার অনুষ্ঠান করেছিলাম যার প্রায় সবই ছিল ক্রোধের। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সবচেয়ে সাড়া জাগানো গান 'জয় বাংলা বাংলার জয়' গানটির এই লাইন গুলি লক্ষ্য করুনঃ
'আমাদের রক্ত টগবগ দুলছে মুক্তির দৃপ্ত তারুন্যে, নেই ভয় হয় হউক রক্তের প্রচ্ছদপট '
'শাসনের নামে চলে শোষনের সুকঠিন যন্ত্র, বজ্রের হুংকারে শৃংখল ভাংতে সংগ্রামী জনতা অনন্দ্র, আর নয় তিলে তিলে বাঙালীর এই পরাজয়'
এগুলো কি ক্ষোভের প্রকাশ নয় ?
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার মতো একজন সংগঠক ১৯৭১ সালে থাকলে তখনকার পোলাপান যুদ্ধই করতে পারতো না
ফারুক ওয়াসিফের সাথে সচলের মডুদের সুসম্পর্ক বিদ্যমান নেই, জানি। উনি অনেক সময় পপুলার অবস্থানের বিরুদ্ধে কথা বলেন - কারন আমি যতটুকু বুঝি, উনি আপাদমস্তক contrarian. সেই হিসাবে ওনার মতামত উনি দিতে পারেন, এবং উনি দেনও নিয়মিত।
কিন্তু তাই বলে এই রকম ব্যক্তিগত পর্যায়ে আপত্তিকর কথা কিছুদিন পর পর তাকে উদ্দেশ্য করে বলা হবে, সেটা দেখতে আর ভাল্লাগে না। প্রতিবাদ করতে শেষমেষ বাধ্য হলাম। বিতর্ক কি পার্সোনাল আক্রমণ না করে একেবারেই করা যায় না? মডুদের এই ব্যক্তিগত খোঁচা মারা বা আঘাত দেয়ার ব্যাপারে আরেকটু সংযত হবার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আপনি এ জ্ঞান কিভাবে অর্জন করলেন আমি নিশ্চিত নই। কিন্তু কোন পূর্বনির্ধারিত অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে তো আপনার উদ্ধৃত কথাটি বলিনি। ওর পরবর্তী দু'লাইন কোট করলেন না কেন? আর এতদিন সচলে লিখে আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন, মডারেটরের বক্তব্য "সচলায়তন" বা "সন্দেশ" নিকে আসে। আমি হিমু, সচলের একজন ব্লগার। এর মধ্যে মডারেটর, ফারুক ওয়াসিফের সাথে তার বা তাদের সু- বা দুঃসম্পর্ক, ইত্যাদি আপনার স্বকপোলকল্পিত অনুসিদ্ধান্ত, যা অযথাই ব্যাপারটাকে অন্য একটা রং দেয়। আপনি সাধারণ একজন ব্লগারের বক্তব্যে যেভাবে আপত্তি জানাতে পারেন, সেভাবে আপত্তি জানানো যেতো না কি?
তবে কথাটিতে আঘাত হানার উদ্দেশ্য প্রকাশ পেয়ে থাকলে দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে যে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার এসব বলা, সেখানে ফারুক ওয়াসিফের বিবেকুল বাহার গোছের বক্তব্যে কিছুটা বিচলিত হয়ে কথায় স্বাভাবিক শিষ্টাচার কিছুটা বিচলিত হয়েছে বলেই দেখতে পাচ্ছি। আসলেই, এ আমাকে মানায় না। আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলেই আপনি দুঃখ প্রকাশ করছেন, নাকি ’’ফারুক ওয়াসিফের বিবেকুল বাহার গোছের বক্তব্যে’’ আবারো ’'বিচলিত হয়ে কথায় স্বাভাবিক শিষ্টাচার কিছুটা বিচলিত’’ হচ্ছে? দেখা যাচ্ছে, বারবারই তা হচ্ছে।
এভাবে বিচলিত হতে থাকলে তো আমারই আপনার কাছে দুঃখপ্রকাশ করা উচিত।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
@ ফারুক ওয়াসিফ,
যুদ্ধাপরাধীগো পুড়ায় মারার কোনো ইচ্ছা অন্তত আমার নাই, আমি ওগো ধইরা পাছাপুড়ান্তিস্ খেলুম! কিন্তু মারুম না!
পিঠের এমন জায়গায় চুতরা পাতা ডইলা দিমু যেখানে ওগো হাত যায়না!
চুলকানির চটে দাপরাইবো-চাপরাইবো কিন্তু খাউজাইতে পারবোনা!
ঐ দাপরানি-চাপরানি দেইখা আমি তৃপ্ত হবো ! লোক ডাইকা দেখাবো ক্যামনে ওরা যন্ত্রণায় ছটফটায়!!
চুলকানির কুটকটানি গেলেগা আবার চুতরা পাতা ডইলা দিমু!
ওগো আমি মারুম না ! এত সোজা না !!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আঁকন আর কথন সবই তো রূপক বলেই ধরে নিয়েছি।
তবে বিচারের দাবী থেকে সরে গিয়ে নয়।
নদী
নিশ্চয় নয়, বিচার হতেই হবে।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
দুর্দান্তিস
আবার জিগায়!
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সুজন্দা, আপনার অনুমতি ছাড়াই ফেসবুকে ডিসপ্লে পিকচার নিসি এইটা। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেইখেন, আর আপত্তি থাকলে বিনা সংকোচে জানান, তৎক্ষণাৎ ঘ্যাচাং করবো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হুম
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
- জায়গামতো একটা আলবদরীডিম্ব সংযোজন করা যায় না সুজন্দা? তাইলে মনে করেন পাছাপোড়ান্তিসের লগে একটা ফাওফাও সিদ্ধ বয়দাও পাওন যাইতো!
জয় বাংলা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যাইবোনা ক্যা ! তবে ঐটা আলাদা ট্রিটমেন্ট!!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ওখানে লাগানো অবস্থায় বেগুন পুড়তাছে আর আরেকজন ঐটা খাইতাছে জাতীয় কিসু দেখতে মঞ্চায়।
জয় বাংলা
ওরে কঠিন সুজন্দা! কঠিন!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
দুধ-ছানা-মাখন খেয়ে একেকটা রাজাকারের যে সাইজ, দড়ি দিয়া ঝোলানো বড়ই কঠিন সুজন্দা... দড়িটা ছাইড়া দ্যান, হাত আরাম হোক...
---------------------------------------------
আমাকে ছুঁয়ো না শিশু... এই ফুল-পাখি-গান সবই মিথ্যা!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আমি ও ঝুলাইতে চাই
আমার এই ঝুলান্তিসেই ফূর্তি !
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
দ্যাখেন কান্ড!!! পুরান্তিস্ খাইয়া কাদের মোল্লা মলম মাখায়!!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
হা হা হা...
জয় হোক জনতার!
জয় বাংলা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কিছু কমু না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আউগাইযা....
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এসব কিভাবে মাথায় আসে আমি বুঝিনা! আমার দেখা সেরা কার্টুন।
একদিন ধইরা পুরান্টিস হোগা লাল হইনি কেন?
--------------------------------------------
<ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত> - আমার সিগনেচার
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
যতবার দেখি ততবারই : P
জয় বাংলা ...
জয় বাংলা!
জয় বাংলা!!!
...........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আচ্ছা, এইটাকে একটা ইমোটিকন হিসেবে বাজারে ছাড়লে কেমন হয়!
রয়েসয়ে।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
সুজন চৌধুরী, আপনার পেশা কী আমি জানি না, তবে আমার মতে আপনার পুরোদমে কার্টূনিস্ট হয়ে যাওয়া উচিত! এরকম প্রতিভার সবটুকু ব্যবহার না করাটা পাপ!
আর কার্টূন? সে তো, চরম চমৎকার!!!!
ধন্যবাদ দিদি, আমি পুলোকিত।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
বেশি বেশি জোশ হইছে! পুরা মর্মান্তিক!!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
সাবাস !
জয় বাংলা।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
জয় বাংলা! চরম কার্টুন।
___________________________________
স্বপ্ন নয়, - শান্তি নয়, - কোন এক বোধ কাজ করে মাথার ভিতরে!
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
চ্রম
মইত্যা রাজাকার
পোড় ব্যাটা আলুপোড়া হ, নিওরাজাকার গুলার খিদা লাগছে। তাদের খারাপ লাগবে না এই ass fry
দারুন কাজের মনে হচ্ছে..অন্তত আমাদের মুক্তিদের ধরে একটা একটা করে আঙ্গুল কাঁটার থেকে আরামের...
এদের শাস্তিতে উষ্ণ আমেজ আছে...
হাহহাহাহহা........
(জয়িতা)
ফারুক ওয়াসিফ
প্রথমেই বলে রাখি বক্তব্যের সমর্থনে আপনার ভাষার কারুকাজ
আর শিল্প দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ
আপনার কেন এ কথা মনে হলো
'ঘৃনার পরিতৃপ্তি' বা জিঘাংসার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই?
কেউ চুরি করে যখন, সে চোর, অপরাধী। রাগ হয় অনেক।
কেউ যখন খুন করে। সে খুনী। অপরাধী। রাগ হয়। হয় বিস্ময়।
মানুষ মারা এতো সহজ?
ধর্ষন করে যে, ধর্ষক তাকে অনুভুতি জানানোর ভাষা থাকেনা।
চুরি ডাকাতি ধর্ষন দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা গণহত্যা
সব একসাথে চালায় যারা
যারা স্বাধীনতার দুদিন আগে তৈরী করে রায়েরবাজার বধ্যভূমি
যাদের হাত ওঠে মুক্তিযোদ্ধার ওপর এতো বছর পরও
যাদের বাংলাদেশ ঘৃনা বদলানো যায়না ব্যক্তিপ্রেম বা দেশপ্রেম দিয়ে
তাদের আসলে কি করা উচিত?
ঘৃনা নয়? কোন শব্দ দিয়ে তাদের প্রতি অনুভুতি প্রকাশ উচিত জনাব ওয়াসিফ?
কেউ তো বলেনি যুদ্ধাপরাধী বিষয়ে 'রাজনীতি-বিযুক্তভাবে বিচার' করার কথা।
মনের আনন্দে রাজনৈতিকভাবে বিচার করুন। কিন্তু দয়া করে 'রাজাকারদের ঘৃনা করা' এই কথাটার মাঝে রাজনীতি খুঁজবেন না।রাজাকারদের বিচার যখন হবে তখন নিশ্চয়ই সুজন চৌধুরী বা আমি বিচারকের মন্চে থাকবোনা। থাকবেন অন্য কেউ। যারা নিয়মতন্ত্রিক ভাবেই বিচার প্রক্রিয়া চালাবেন। কিন্তু ঘৃনা থাকবেই। ঘৃনার প্রকাশ হবে এরকম কোন কার্টুনে বা ছড়ায়। আপনি যদিও এখানে বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তবু আপনার প্রথম মন্তব্যটা কিন্তু অন্যরকম শুনিয়েছিল।
এদের সঙ্গে বিএনপিপন্থি অংশটাকে যোগ করলে বলতে হয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে আছে দেশের তিন ভাগের এক ভাগ ভোটার। এই এক ভাগ লোককে কি আমরা ঘৃণা দিয়ে নিশ্চিহ্ন করবো? নাকি আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ লড়ব? এটা আমার প্রশ্ন।
আপনিই বলুন কী করা যেতে পারে?
আমার উত্তর ঘৃনা দিয়ে নিশ্চিহ্ন করবো। ফিজিক্যাল অর্থে বলছি না। মানসিক ভাবে তাদের দুর্বল করবো। প্রথম থেকেই যদি এই ঘৃনাটা থাকতো সবার মাঝে আজ তাহলে ভোটের এই অবস্থা দাড়ায় না।আমরা তাদের 'ভালোবাসা' দিয়ে কিংবা ঘৃনা না করে দিয়ে তাদের একটা গ্রহনযোগ্যতা দিয়েছি খুব ধীরে । ক্ষমার পর ক্ষমা দিয়ে তাদের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ আমার বিষয় ছিল না। আমার বিষয় ছিল, তার ধরন। আমার অবস্থান অস্পষ্ট নয়, আমি জামাত-শিবিরের রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করতে চাই, রাজনীতি বলতে আমি সংষ্কৃতিকেও বুঝছি।
শুধু শুধু অন্য প্রসঙ্গ টেনে আনছেন কেন?
রাজাকারদের বিচার আর জামাত-শিবিরের রাজনীতির বৈধতা কাছাকাছি হলেও দুটো অনেকখানিই আলাদা বিষয়।
রাজাকারদের বিচার হোক তো আগে।
তারপর না জামাতের রাজনীতি প্রতিহত করার প্রশ্ন।
ঘৃনা আমাদের যুক্তি বুদ্ধিকে আবছা করে দেয়নি। দিয়েছে তাদেরকে উপেক্ষা করার সাহস। রাজাকারদের ঘৃনা একটা বাঙালির জন্মগত অনুভুতি।আমি এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এমন কাউকে দেখিনি যারা রাজাকারদের ঘৃনা করেনা। কারোটা প্রখর প্রকাশিত কারো ঘৃনা নিস্তব্ধ তারা সবাই অন্ধ হিতাহিত গেয়ান শুন্য?
আচ্ছা শহীদ বুদ্ধিজীবির পরিবারেরা রাজাকারদের ঘৃনা করেন না? তাদের কাছে এই মানবতার অভয়বাণি কেমন শোনাবে?
ঘৃণা দিয়ে সেটা হবে না, বাংলাদেশে এখন যে জামাতবিরোধী চেতনা তরুণদের মধ্যে বিরাজ করছে সেটার কারণ কিন্তু ঘৃণা নয়, গত এক দশকের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন।
জামাতবিরোধী চেতনার মাঝে কি রাজাকারদের ঘৃনা করার কোন প্রভাব নেই আপনি বলতে চান? শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক পরিবর্তন এতো বড় বিপ্লব ঘটাতে পারে? তার মানে আমাদের তরুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ এবং সংস্কৃতি এতোই বিপরীত মেরুর বিষয়? অদ্ভুত তো।
নাতসীদের বিচার নিয়ে জার্মান ছবি রিডার কোন ছবিটা?
২০০৮ এ মুক্তি পাওয়া স্টিফেন ডালড্রির ছবিটা কি?
হাননা, নাজি যুদ্ধাপরাধী।যে আসলে কোন কারণে নিরক্ষর। নিজামী সাইদী গোলাম আজম এর শিক্ষা বিষয়ক অভিগ্গতা নিয়ে আপনার কোন সন্দেহ আছে কি?
সবচেয়ে বড় কথা সিনেমায় কিন্তু সে হান্না তার ভাগের কারাদন্ড শাস্তি ঠিকই ভোগ করে। বিচারক এবং জার্মানীর জনগন এক্ষেত্রে কোন আপোষ দেখায় না।
ঠিক এই জায়গাতেই আমরা আলাদা মিঃ ওয়াসিফ। দ্য রিডার আর বাংলাদেশের সবচেয়ে বেসিক পার্থক্য হলো আমরা আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দিতে পারিনি। তাদের ঘৃনার বদলে অন্য কোন প্রশ্ন তখনই আসবে যখন তারা তাদের প্রাপ্য শাস্তি মেনে নেবে। আপনাকে আমি উল্টো অনুরোধ করছি সিনেমাটা মন দিয়ে দেখুন আরেকবার। এ নামে অন্য কোন সিনেমা থাকলে অবশ্য আলাদা ব্যাপার।
যেটা দেখা যায় গড়পরতা পাকিস্তানবিদ্বেষের মধ্যে। আজকে যারা পাকিস্তানে গণতন্ত্রের জন্য, সেনাশাসন ও জারদারির বিরুদ্ধে কিংবা শরিয়া প্রবর্তনের বিরুদ্ধে লড়ছে, তাহলে তাদেরও তো ঘৃণা করতে হয়।
আপনি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হবেন, আমি একদম বিশুদ্ধ গড়পড়তা পাকিস্তান বিদ্বেষি। তারা শরীয়া আইনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে জান প্রান লাগিয়ে লড়াই করে যেতে পারেন। আমার শুভকামনা রইলো। কিন্তু পাকিস্তান যতক্ষন হাতজোড় করে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা না চাচ্ছে ততক্ষন তাদের প্রতি ঘৃনা কমার কোন সুযোগ নেই।এ কথা স্পষ্ট করে আগেও বলেছি। এখনো বললাম।
আর হ্যাঁ, ঘৃণার রাজনীতি অবশ্যই আছে। ঘৃণাকে ঘিরে রাজনীতি আবর্তিত হতে পারে এবং হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ধারার মধ্যে ঘৃণা থাকায় তা পজেটিভ ন্যাশনালিজম নয়। আমরা অপরের বিরোধিতা দিয়ে আত্মরক্ষার জাতীয়তাবাদ দিয়ে শুরু করেছিলাম..... সেকারণেই আজও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক চরিত্র, জাতীয়তা, নাগরিকত্বের আদল স্পষ্ট নয়।
আত্নরক্ষার জাতীয়তাবাদ জিনিসটা কি একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?
ঘৃনার রাজনীতি দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিকক চরিত্র, জাতীয়তা নাগরিকত্বের আদল কি ধীরে ধীরে এই রাজাকার এবং তাদের উত্তরসূরীরা বদলে দেয়নি? যে দেশে মন্ত্রীসভায় থাকে রাজাকার, সে দেশে নাগরিকত্বের চরিত্র কেমন হবে বলে আপনি আশা করেন?
বাংলাদেশের জাতীয়তার আজ সেই পতন সেটা কি যুদ্ধাপরাধীদের পূণর্বাসনের পরই বিশাল আসন গেড়ে বসেনি?
অবশ্যই আমাদের রাষ্ট্রে আইন আছে বিধান আছে। বিচার সেই পদ্ধতিতেই হবে। কিন্তু যুদধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় নেয়ার জন্যই এই সম্মিলিত ঘৃনা জাগ্রত থাকা দরকার। না হলে সরকার বা আর কারো দায় পড়েনি মনের আনন্দে রাজাকারদের সাথে হাঙ্গামায় যেতে।
আপনার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে করা আশৈশব আন্দোলন কে সশ্রদ্ধ প্রনতি জানাই।হিমুর মন্তব্যের উত্তরে আপনার স্মৃতিকথা পড়ে চমতকৃত হয়েছি।তাই
আমাদের মতো লোকেরাই চিরকাল যুদ্ধ করে, আওয়াজের থেকে কাজ বেশি করে।..... আজকেও আমার সেই হাসিটিই পাচ্ছে
জাতীয় কথা আপনাকে মানায় না।
ফারুক ওয়াসিফ, আপনি আমাদের কী করা উচিত বললেন। রাজাকার/যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃনা করার মাঝে অমানবিকতা খুঁজে পেলেন।একটু কষ্ট করে আমাদের আজকের বাংলাদেশ সম্পর্কে যুদ্ধাপরাধীরা কীভাবে চিন্তা করে বললেন না?
এই সেই দল জনাব ওয়াসিফ যারা আমার বাবা আমার ভাইকে ছুরি দিয়ে বলেছে জবাই বরতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। তুই নিজেই নিজেকে মেরে ফেল।
যারা পাকিপ্রভুদের খুশী করার জন্য সাতবছরের মেয়ের দু পা দুদিকে টেনে ছিড়ে ফেলেছে যৌনাঙ্গ অপরিনত বলে।
আপনি আমি দুজনেই জানি সুযোগ পেলে তারা আরেকবার একই কাজ করার আগে দুবার ভাববেনা।
তারা 'রাজনৈতিক' ভাবে 'মানবিক' ভাবে কোন সমাধানে যাবার কথা চিন্তাও করতে পারেন। হিমুর মতোই জানতে চাইছি, শুধু আমরা কেন? মানবিকতা মাঝে মাঝে কাপুরুষতা হয়ে রা্ষ্ট্রশত্রুকে দুর্বিনীত হবার সুযোগ দেয়।
তাদের প্রতি ঘৃনা থাকবে অপরিমেয় ঘৃনা থাকবে ক্ষোভ থাকবে। মানবতার বাণী দিয়ে যীশু ক্রুশে বিদ্ধ হতে পারেন। আমি পারবো না।
কদিন আগে বেশ কথা হয়েছিল পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে। সেনাবাহিনীর প্রতি তীব্র বিতৃষ্নায় নিহত (এবং শহীদ) সেনা অফিসারের প্রস্ততিতে অংশীদারীত্বের দাবী তোলা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে সেই প্লাটফ্রম থেকে মানবিকতা বোধে সমর্থন দেখে কেন যেন ইমোটিকনের মতো দাঁত বের করে হাসতে ইচ্ছে করছে। যুদ্ধাপরাধীরা জানলে নিশ্চয়ই কৃতার্থ হবেন শহীদ সেনা সদস্যদের স্থান তাদের থেকেও নীচুতে।
ঘৃনিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক।
জয়বাংলা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সহমত
মোটামুটি আমার সব কথার সারবস্তুও এটাই।
ঘৃণার্হকে যদি প্রেম দেবে, তবে প্রেমার্হকে দেবে কী? (পোয়েটিক তুমি)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা মেহের. আপনার আলোচনা মনোযোগ দাবি করে। এখান থেকে আমরা বোধহয় একটা সারসিদ্ধান্তে আসতেও পারবো।
উত্তর দিতে আমার কিছুটা বিলম্ব হবে। অফিসে বসে...তা-ই। ধন্যবাদ।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হিমুর সাথে সহমত এবং
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা মেহেরকে স্যালুট। (সেনা কায়দায় না, মুক্তিযোদ্ধাদের কায়দায়)
ফারুক ভাই এর সারসিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি...
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হ্যা সারসিদ্ধান্তের অপেক্ষায়
'''''''''''
তৃপ্তি আমার অতৃপ্তি মোর
মুক্তি আমার বন্ধনডোর
'''''''''''
তৃপ্তি আমার অতৃপ্তি মোর
মুক্তি আমার বন্ধনডোর
আলোচনাটা একই বৃত্তে ঘুরপাক খেলেও একটা এনগেজড সিচুয়েশনে এসে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ সিদ্ধান্ত নিয়েই যেহেতু আছেন, এবং পরিস্থিতি মোটামুটি নো পাসারান (ছাড়ান নাই) সেহেতু আমার কথাটা বলাই শ্রেয়। মনে হয় স্বতন্ত্র পোস্টানোই ভাল।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
মন্তব্যগুলো পড়লাম না। :D
পোস্টের কমেন্ট হিসাবে করে গেলাম।
এই পোস্ট এর কন্টেন্ট কই গেল??
নতুন মন্তব্য করুন