৩ | লিখেছেন দময়ন্তী (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৫/২০১০ - ৮:৪৮পূর্বাহ্ন)
কাল দশটা নাগাদ আনন্দবাজারের সাইটে দেখলাম ফ্ল্যাশ নিউজ হিসাবে দিয়েছে৷ সেই থেকে মন ভার হয়ে রয়েছে৷ ছোটবেলাটা কিরকম আস্তে আস্তে চোখের সামনে দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে৷
১০ | লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৫/২০১০ - ১০:২৮পূর্বাহ্ন)
এই মাত্র কিছুদিন আগেই জি-বাংলার লাফটার শো মীরাক্কেলে এসেছিলেন তিনি (তপেন চট্টোপাধ্যায়), বাঘা বায়েনকে (রবি ঘোষ) ছাড়াই। অবশ্য বাঘা বায়েনকে সাথে আনার উপায় আরো আগেই শেষ হয়ে গেছে।
সাতষট্টি বছরের তরুণ গুপী গায়েনকে সেদিন দেখেছিলাম প্রাণশক্তিতে উজ্জ্বল, যেমনটা দেখেছিলাম তারও ত্রিশ বছর আগে। অভিনয় আর লেখালেখির জন্য প্রকৌশলীর পেশাকে বিদায় দিয়েছিলেন বহু আগেই, আর এবার বিদায় জানালেন তার কোটি কোটি ভক্তদের।
মহা-রাআআআ-জা! তোমারে সেলাম, সেলাম!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১১ | লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৫/২০১০ - ১০:৫৪পূর্বাহ্ন)
অসাধারণ ছবি সুজনদা।
....................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
মহারাজা! তোমারে সেলাম,
সেলাম, সেলাম!
মোরা বাংলাদেশের থেকে এলাম।
মোরা সাদা সিধা মাটির মানুষ, দেশে দেশে যাই,
মোদের নিজের ভাষা ভিন্ন আর ভাষা জানা নাই,
মহারাজা, রাজামশাই।
সুজন চৌধুরীকে ধন্যবাদ ছবিটার জন্য... কেমন যেন ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়।
-----------
"সে এক পাথর আছেকেবলি লাবণ্য ধরে"
১৮ | লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৫/২০১০ - ১২:৩৭অপরাহ্ন)
"কারেও যদি ভূতে ধরে
মোদের যেন খবর করে
শুন্ডী দেশের রাজপ্রাসাদে
মোদের ঠিকানায়..
মোরা আসবো দুজনায়
ফিরে আসবো দুজনায়
আবার আসবো দুজনায়
দুজনায়, দুজনায়, দুজনায়..!"
গুপী-বাঘা আছে, থাকবে।
ফিরে ফিরে আসবে বারবার।
~~~~~~~~~~~~~~~~ আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~ আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
২০ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৫/২০১০ - ২:৩২অপরাহ্ন)
আহা,মনটাই খারাপ হয়ে গেলো খবরটা শুনে।'গুপী গাইন,বাঘা বাইন','হীরক রাজার দেশে','গুপী বাঘা ফিরে এলো' কতবার যে দেখেছি,গুনে শেষ করা যাবেনা।গানগুলো এতো ভালো লাগতো,যে টিভি থেকে রেকর্ড করে রাখছিলাম।
সেলাম মহারাজ।ভুলবো না কখনো।
বি:দ্র: সুজন চৌধুরী কে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা ছবির জন্য,ভালো থাকুন।
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো... আহারে কত সুন্দর ছেলেবেলার স্মৃতির যে অংশ এই গুপী আর বাঘা।
ছবিটা আর এইটুকু লেখাটা অনেক সুন্দর আর অনেক মন খারাপ করিয়ে দেয়া।
--------------------------------------------------- আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
গুপী গাইনের সাথে আমার পরিচয় একদম গ্যাদাকালে। বাবা কিনে দিয়েছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর গুপী গাইন বাঘা বাইনের ছবি আঁকা গল্পের বইটা। মনে করতে পারি না, তবে দেবসাহিত্য কুটিরের প্রকাশনা হয়তো। বইয়ের মলাটে সেই বনের ছবি, গাছ থেকে সব ভূত বেরিয়ে আসছে আর গুপী বাঘা ভয়ে কাঁপছে। কতবার যে পড়তাম সে বই। মুখস্ত করে ফেলেছিলাম। পরে যখন একটু বড় হয়ে মুভিটা দেখি , নতুন করে আরেকবার ধাক্কা খেলাম। এতো গল্পের বইয়ের গুপী গাইন! হাঁটছে চলছে, গান গাইছে! কী মজার একটা ব্যাপার!
গুপী বললেই আমার মাথায় তপেন চট্টোপাধ্যায় এসে পড়েন, গলা ছেড়ে হাত নেড়ে গান গান। এই লোককে বিদায় দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। গুপী বাঘা উনারা অবসর নিয়েছেন কেবল। হয়তো নতুন অভিযানে আর যাবেন না। তিনি আছেন, বাঘা আছেন, আমাদের সাথে আছেন। থাকবেন চিরকাল।
উনাদের দেখাদেখি আমরা দুবোন কোথাও যাবার সময় বলতাম, "একসাথে যাচ্ছি " এর সঙ্গে আমি, আর আমার সঙ্গে এ!" '
ছোটবেলার প্রিয়রা আস্তে আস্তে সবাই না ফেরাদের দেশে চলে যাচ্ছেন!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার ছোটবেলার সবচেয়ে প্রিয় মুভিগুলোর মধ্যে পড়ে এই গুপী-বাঘা সিরিজ। এখনও মনে আছে, গুপী হারমোনিয়াম নিয়ে বসে তারস্বরে চেচাচ্ছে, আর গ্রামবাসী কানে হাত দিয়ে, মুখ কুচকে ঝারি দিচ্ছে আর, তারপর, "তোরা বড় ভাল ছেলে, কাছে আয়, কাছে আয়, কাছে আয়"।
৩৭ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৫/২০১০ - ১০:০৭অপরাহ্ন)
"তৃতীয় সুর ষষ্ঠ সুর
গুপি চললো বহু দূর..."
গাধার পিঠে চেপে গ্রাম ছেড়ে যাবার সময় গুপীর চোখ মোছার দৃশ্যটা মাথা থেকে যাচ্ছে না... আর আজ পুরো সপ্তক শেষ করে গুপি চলেই গেল... এখন আমাদের চোখ মোছার পালা!
প্রতি বছর আমার আয়ুর সাথে সাথে ঝরে যায় আমার প্রিয় কিছু মানুষ!
আমার মনেই পড়ে না শেষ কবে একটা বছর কাটিয়েছি যে বছরে প্রিয়জন হারানোর বেদনায় বুক ভাঙ্গে নি।
আমার ছোটবেলার স্বপ্নের কান্ডারী, গান গেয়ে বাঘ কে বাগ মানানো,
'দেখো রে নয়ন মেলে' কিংবা 'মোরা দু'জনায় রাজার জামাই', কিংবা 'একি দৃশ্য দেখি অন্য, এ যে বন্য, এ অরণ্য--' কিংবা 'ধরোনা'কো ধরোনা'কো সান্ত্রী মশাই',
কিংবা 'নহি যন্ত্র--' কিংবা বলা যাক তাঁর গাওয়া (এই গানগুলো আসলে তাঁরই গাওয়া হয়ে গেছে সময়ের আবর্তনে, হারিয়ে গেছে মূল গায়ক অনুপ ঘোষালের নাম) সকল গান--আমার শৈশব কৈশোরকে সুরে-বেসুরে রাঙ্গিয়ে দেওয়া গুপী এই বছরে আমার বুক ভাঙ্গার কাজটা শুরু করলেন।
গান গেয়ে গুপী'দা তুমি শুধু আশ-পাশ মানুষ-জন নয়, তুমি সময়টাকেও স্থবির করে দিয়েছ। তাই আমাদের হৃদয় থেকে তোমার মুক্তি নেই, আমাদের স্মৃতি থেকে তোমার নির্বাসন নেই।
গুপী-বাঘা তোমাদের দু'জন কে প্রণাম!
গানে এই পৃথিবী মাতিয়ে গেছ, এখন গানে স্বর্গ মাতোয়ারা হোক---!!!
সময়কে জয় করা সব গান, ছবি, বহুদিন আরো বেঁচে থাকবেন উনারা।
সুজনদাকে বলতে চাই
"অনেক কথা যাও গো বলে, কোনো কথা না বলে"
আপনার ছোটো পোসট কতো কিছু মনে করিয়ে দিলো।
মন্তব্য
মাত্র ক'দিন আগেই টিভিতে দেখেছিলাম। ভদ্রলোক বাস্তবেও দেখলাম বেশ রসিক ছিলেন।
হীরক রাজ্যের সবাই আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কাল দশটা নাগাদ আনন্দবাজারের সাইটে দেখলাম ফ্ল্যাশ নিউজ হিসাবে দিয়েছে৷ সেই থেকে মন ভার হয়ে রয়েছে৷ ছোটবেলাটা কিরকম আস্তে আস্তে চোখের সামনে দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
'আবার আসবো দুজনায়' বলে গুপীটাও চলে গেলো অজানায়...
আহ হীরক রাজার দেশ...বিদায় গুপী...
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কলকাতার টেলিভিশনে একটা ফান শোতে কিছুদিন আগে দেখেছিলাম তাকে শেষবারের মতো। এই বয়সেও কি ভীষণ রসিকটাই ছিলেন।
গুপী বাঘা ফিরেই গেলো...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মহারাজা তোমারে সেলাম...
এই মাত্র কিছুদিন আগেই জি-বাংলার লাফটার শো মীরাক্কেলে এসেছিলেন তিনি (তপেন চট্টোপাধ্যায়), বাঘা বায়েনকে (রবি ঘোষ) ছাড়াই। অবশ্য বাঘা বায়েনকে সাথে আনার উপায় আরো আগেই শেষ হয়ে গেছে।
সাতষট্টি বছরের তরুণ গুপী গায়েনকে সেদিন দেখেছিলাম প্রাণশক্তিতে উজ্জ্বল, যেমনটা দেখেছিলাম তারও ত্রিশ বছর আগে। অভিনয় আর লেখালেখির জন্য প্রকৌশলীর পেশাকে বিদায় দিয়েছিলেন বহু আগেই, আর এবার বিদায় জানালেন তার কোটি কোটি ভক্তদের।
মহা-রাআআআ-জা! তোমারে সেলাম, সেলাম!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অসাধারণ ছবি সুজনদা।
....................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খারাপ লাগলো
...........................
Every Picture Tells a Story
মহারাজা! তোমারে সেলাম,
সেলাম, সেলাম!
মোরা বাংলাদেশের থেকে এলাম।
মোরা সাদা সিধা মাটির মানুষ, দেশে দেশে যাই,
মোদের নিজের ভাষা ভিন্ন আর ভাষা জানা নাই,
মহারাজা, রাজামশাই।
সুজন চৌধুরীকে ধন্যবাদ ছবিটার জন্য... কেমন যেন ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
"কারেও যদি ভূতে ধরে
মোদের যেন খবর করে
শুন্ডী দেশের রাজপ্রাসাদে
মোদের ঠিকানায়..
মোরা আসবো দুজনায়
ফিরে আসবো দুজনায়
আবার আসবো দুজনায়
দুজনায়, দুজনায়, দুজনায়..!"
গুপী-বাঘা আছে, থাকবে।
ফিরে ফিরে আসবে বারবার।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
চোখ অনচ্ছ হয়ে এলো।
আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে-আর বলা যাবে কী কখনো?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আহা,মনটাই খারাপ হয়ে গেলো খবরটা শুনে।'গুপী গাইন,বাঘা বাইন','হীরক রাজার দেশে','গুপী বাঘা ফিরে এলো' কতবার যে দেখেছি,গুনে শেষ করা যাবেনা।গানগুলো এতো ভালো লাগতো,যে টিভি থেকে রেকর্ড করে রাখছিলাম।
সেলাম মহারাজ।ভুলবো না কখনো।
বি:দ্র: সুজন চৌধুরী কে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা ছবির জন্য,ভালো থাকুন।
[বিষন্ন বাউন্ডুলে]
খুবই খারাপ লাগছে।
মহারাজা! তোমারে সেলাম........
শ্রদ্ধা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শ্রদ্ধা।
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
সশ্রদ্ধ বিদায়ী সালাম গুপি গায়েনের জন্য।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
''আমার সঙ্গে এ
আর এর সঙ্গে আমি''
_দুই জনেই চলে গেলো আমাদের এ ''হীরক রাজ্য'' ছেড়ে......
"আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে" গাইবার দিন ফুরোলো তবে...
_________________________________________
সেরিওজা
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো... আহারে কত সুন্দর ছেলেবেলার স্মৃতির যে অংশ এই গুপী আর বাঘা।
ছবিটা আর এইটুকু লেখাটা অনেক সুন্দর আর অনেক মন খারাপ করিয়ে দেয়া।
---------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
গুপী গাইনের সাথে আমার পরিচয় একদম গ্যাদাকালে। বাবা কিনে দিয়েছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর গুপী গাইন বাঘা বাইনের ছবি আঁকা গল্পের বইটা। মনে করতে পারি না, তবে দেবসাহিত্য কুটিরের প্রকাশনা হয়তো। বইয়ের মলাটে সেই বনের ছবি, গাছ থেকে সব ভূত বেরিয়ে আসছে আর গুপী বাঘা ভয়ে কাঁপছে। কতবার যে পড়তাম সে বই। মুখস্ত করে ফেলেছিলাম। পরে যখন একটু বড় হয়ে মুভিটা দেখি , নতুন করে আরেকবার ধাক্কা খেলাম। এতো গল্পের বইয়ের গুপী গাইন! হাঁটছে চলছে, গান গাইছে! কী মজার একটা ব্যাপার!
গুপী বললেই আমার মাথায় তপেন চট্টোপাধ্যায় এসে পড়েন, গলা ছেড়ে হাত নেড়ে গান গান। এই লোককে বিদায় দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। গুপী বাঘা উনারা অবসর নিয়েছেন কেবল। হয়তো নতুন অভিযানে আর যাবেন না। তিনি আছেন, বাঘা আছেন, আমাদের সাথে আছেন। থাকবেন চিরকাল।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হুউম।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
মহারাজা, তোমারে সেলাম...
উনাদের দেখাদেখি আমরা দুবোন কোথাও যাবার সময় বলতাম, "একসাথে যাচ্ছি " এর সঙ্গে আমি, আর আমার সঙ্গে এ!" '
ছোটবেলার প্রিয়রা আস্তে আস্তে সবাই না ফেরাদের দেশে চলে যাচ্ছেন!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
শ্রদ্ধা।
দৃশা
আমার ছোটবেলার সবচেয়ে প্রিয় মুভিগুলোর মধ্যে পড়ে এই গুপী-বাঘা সিরিজ। এখনও মনে আছে, গুপী হারমোনিয়াম নিয়ে বসে তারস্বরে চেচাচ্ছে, আর গ্রামবাসী কানে হাত দিয়ে, মুখ কুচকে ঝারি দিচ্ছে আর, তারপর, "তোরা বড় ভাল ছেলে, কাছে আয়, কাছে আয়, কাছে আয়"।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
"তৃতীয় সুর ষষ্ঠ সুর
গুপি চললো বহু দূর..."
গাধার পিঠে চেপে গ্রাম ছেড়ে যাবার সময় গুপীর চোখ মোছার দৃশ্যটা মাথা থেকে যাচ্ছে না... আর আজ পুরো সপ্তক শেষ করে গুপি চলেই গেল... এখন আমাদের চোখ মোছার পালা!
ভাই অতিথি লেখক, আপনি তো আমার চোখেই পানি এনে ফেল্লেন....
গুপি চললো বহু দূর...
আমরা কী পারি ২টাকে ফেরত আনতে?
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
"আজ ঘরের বাঁধন ছেড়ে মোরা হয়েছি স্বাধীন"
- এই লাইনটার মানে কেমন জানি বদলে গেল
বিদায় মহারাজা, তোমারে সেলাম
প্রতি বছর আমার আয়ুর সাথে সাথে ঝরে যায় আমার প্রিয় কিছু মানুষ!
আমার মনেই পড়ে না শেষ কবে একটা বছর কাটিয়েছি যে বছরে প্রিয়জন হারানোর বেদনায় বুক ভাঙ্গে নি।
আমার ছোটবেলার স্বপ্নের কান্ডারী, গান গেয়ে বাঘ কে বাগ মানানো,
'দেখো রে নয়ন মেলে' কিংবা 'মোরা দু'জনায় রাজার জামাই', কিংবা 'একি দৃশ্য দেখি অন্য, এ যে বন্য, এ অরণ্য--' কিংবা 'ধরোনা'কো ধরোনা'কো সান্ত্রী মশাই',
কিংবা 'নহি যন্ত্র--' কিংবা বলা যাক তাঁর গাওয়া (এই গানগুলো আসলে তাঁরই গাওয়া হয়ে গেছে সময়ের আবর্তনে, হারিয়ে গেছে মূল গায়ক অনুপ ঘোষালের নাম) সকল গান--আমার শৈশব কৈশোরকে সুরে-বেসুরে রাঙ্গিয়ে দেওয়া গুপী এই বছরে আমার বুক ভাঙ্গার কাজটা শুরু করলেন।
গান গেয়ে গুপী'দা তুমি শুধু আশ-পাশ মানুষ-জন নয়, তুমি সময়টাকেও স্থবির করে দিয়েছ। তাই আমাদের হৃদয় থেকে তোমার মুক্তি নেই, আমাদের স্মৃতি থেকে তোমার নির্বাসন নেই।
গুপী-বাঘা তোমাদের দু'জন কে প্রণাম!
গানে এই পৃথিবী মাতিয়ে গেছ, এখন গানে স্বর্গ মাতোয়ারা হোক---!!!
সময়কে জয় করা সব গান, ছবি, বহুদিন আরো বেঁচে থাকবেন উনারা।
সুজনদাকে বলতে চাই
"অনেক কথা যাও গো বলে, কোনো কথা না বলে"
আপনার ছোটো পোসট কতো কিছু মনে করিয়ে দিলো।
এই দুইজনকে সারাজীবনেও ভুলতে পারবো না।
সালাম
ছোটবেলায় গুপী গাইন- বাঘা গাইন রোজ আমার স্বপ্নে আস্ত
এত খারাপ লেগেছিল জেনে
সাবরিনা সুলতানা
মহারাজ তোমারে সেলাম...
সুজনদা, একটি ইমেইল করতে পারবেন? দরকার পরেছে খুব।
ইতিহাসের মহানায়করা এক এক করে আমাদের আড়ালে চলে যাচ্ছেন। আমাদের উত্তর প্রজন্মের জন্য দু:খবোধ করছি, তারা এ সব গুণী মানুষদের সত্যিই খুব মিস করবে।
গুপী গাইন-----বাঘা বাইন
আমাকে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত উপহার দেয়া আর সত্যি চেনানোর অপূর্ব দিকনির্দেশনায় তোমাদের প্রতি আমার অনেক অনেক শ্রদ্ধা।
নতুন মন্তব্য করুন