আয় তোর মুণ্ডুটা দেখি ফুটোস্কোপ দিয়ে- ২৯

সুজন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুজন চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৮/২০১০ - ৩:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Bulbul 01
প্রায় এগারো বছর আগে ২০০০ সালে করা কাজটা, অনেক দরদ দিয়া করছিলাম। ক্রিকেট মাঠে ৪আর৬-এর প্লেকার্ডের উল্টাপিঠে আমাদের বুলবুল আর সুজনের ক্যারিক্যাচার। হঠাৎ পেলাম না খুঁজতেই ! যতটা খুশি হলাম মন খারাপ হলো তারচেয়ে বেশি... ১ পয়সাও পাই নাই! আসলে সময়টাই খুব খারাপ যাচ্ছিলো তখন। টাকা দেয়না দ্যেইখা চাইতে গেলাম, কয় গাভাস্কার খুব তারিফ করছে!!! কপাল!


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এককালে প্রিয় ছিল।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

যতই ল্যাংড়া-কানা-বয়রা-খাটো-লম্বা-মোটা-চিকন হোক,
এগো কান্দেই ভর দিয়া আমাগো ক্রিকেট খাড়াইছে!
হাজার চ্যাত থাকলেও এরা সবাই আমার খবু প্রিয়।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুমম। মনের গভীরের কথাটাই বলছেন। এই কথাগুলোই মনে হয় খুঁজছিলাম।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সুজন চৌধুরী এর ছবি

আরে না, কাজটা হৈছিলো আমার বুদ্ধিতেই,স্পন্সার করছিলো মানে ছাপাইছিলো অন্য ১ প্রতিষ্ঠান,তারাই স্টেডিয়ামে নিয়া বিলাইছিলো, আমারে টাকা তাদেরই দেয়ার কথা ছিলো !
সেই আমলে বোর্ডের অনুমতি লাগতো না।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

দ্রোহী এর ছবি

গাভাস্কার তারিফ করার পর ও টাকা চান? আপনার তো সাহস কম না!

বড় হয়ে আমি সুজঞ্চৌ হমুই হমু।


কি মাঝি, ডরাইলা?

সুজন চৌধুরী এর ছবি

ভাইরে, তখন আমি নব্য বিবাহিত এবং বেকার , গাভাস্কার দিয়া করুম কী!
হ, ঐ বড় হওয়ার আইডিয়াটা খারাপ্না, তবে খেয়াল রাইখেন যাতে গাভাস্কার বাইচা থাকে!


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

স্পর্শ এর ছবি

বালিকাগণ সুজঞ্চৌ বিবাহিত দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
স্পর্শ এর ছবি

হ, বিয়ে করার জন্য ধুগো। আর প্রেম করার জন্য আমি। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আলমগীর এর ছবি

টাকা দিতে পারলাম না। তারিফ করলাম।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

এ্যাঃ আপনে টেকা দিলেই লইতামনি!
তবে তারিফের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসলে সময়টা তখন বেশ খারাপ ছিলো, না হলে মনে রাখতাম না।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কাজ ফুরালে টাকা না দেওয়াটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ, এটা নিয়ে মন খারাপ কইরেন না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুজন চৌধুরী এর ছবি

ভাইরে এই "কাজ ফুরালে টাকা না দেওয়াটা" সবচেয়ে বেশি হয় নিরীহ আর্টিস্টগুলার সাথেই। আসলে ঐ সময়টার জন্যই খারাপ লাগে।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সুজনদা' পেশাগত জীবনে বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মত আমাদের প্রতিষ্ঠানকেও নানা জিনিষ ফেরি করতে হয়। বেশির ভাগ মানুষ জিনিষ নিয়ে দাম দেবার কথা ভুলে যেতে চায়। কেউ কেউ আবার উলটো ঝাড়ি মারেন, "হৈ মিয়া, পঁচা জিনিষ দিছো, এইটা পাল্টায়া ভালা জিনিষ দাও আর আমার যে ক্ষতি হৈছে সেইটা কেমনে পূরণ করবা তা ভাবো"। আসলে উনি জিনিষটা ব্যবহার করেছেন দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে। ওয়ারেন্টি পিরিয়ড শেষ সেই কবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা!

আরো বেশি সমস্যা হয় পরিচিত লোকজন বা আত্মীয়-বন্ধুদের নিয়ে। তারা জিনিষটা নেন, পয়সা দেবার কথা মনেও আনেননা, ফাও সার্ভিস নেন, আবার বাজারে গল্প করেন "পাণ্ডবটা একটা ফাউল, দুনিয়ার পঁচা-ধচা মাল বেচে, আমারে জোর কইরা একটা রাবিশ গছায়া দিছে, পরিচিত মানুষ তাই শর্মে কিছু কইতারিনা"।

সেদিক দিয়ে আপনিতো ভাগ্যবান - গাভাস্কার আপনার তারিফ করেছে (যদিও নিজ কানে শুনতে পান নাই তাই বানিয়ে বললো কিনা তা বুঝতে পারলেননা)।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

বাউলিয়ানা এর ছবি

- চলুক

টাকা দেয়না দ্যেইখা চাইতে গেলাম, কয় গাভাস্কার খুব তারিফ করছে!!!

হো হো হো

রানা মেহের এর ছবি

গাভাস্কার তারিফ করলো তাও আপনি খুশি না?

যান। আমিও তারিফ করলাম দেঁতো হাসি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

একবার দেখেছিলাম এক পিচ্চির হকারের কাছ থেকে পত্রিকা নিয়ে পড়তে পড়তে হাঁটছে দুজন।পিচ্চি টাকার জন্য যাচ্ছে পেছন পেছন। তারা পাত্তা দিচ্ছেনা।
আপনার ওই সময়ের কষ্টের কথা ভেবে খারাপ লাগলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তখন দেখি বুলবুলও অনেক ইয়াং ছিলো। চোখ টিপি

আমি একবার টিউশনির পুরা টাকা পাই নাই, আরেকবার হিসাব নিয়া ঘাপলা করায় টাকাই নেই নাই (দুইবারই ছাত্রী)। আপনি তাইলে আমার লসতুতো ভাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই যে আরেক লসতুতো ভাই হাজির। ১৯৮৯-১৯৯৪ সালের হিসাবে টিউশনী/কোচিং-এ পড়িয়ে আমার লস ত্রিশ হাজার টাকার মত। এবার হিসাব করেন এখনকার হিসাবে টাকার অঙ্ক কততে দাঁড়াবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ন্যান, আমিও প্রশংসা করলাম। আমার প্রশংসা গাভাস্কারের চেয়েও বড় ধর্তারেন, আমি ওর থেইকাও ম্যাচিউরড স্লোয়ার ব্যাটস্ম্যান আছিলাম, একবার ৫৭ বলে অপরাজিত ০১ রান কইরা কলোনীর টেস্ট ম্যাচ ড্র কইরা ফ্যালাইসিলাম...

_________________________________________

সেরিওজা

মুস্তাফিজ এর ছবি

গাভাস্কার আপনার তারিফ করছে!! আপনে মিয়া মিলাদ দেন, আমরা জিলাপি খাই।

...........................
Every Picture Tells a Story

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।