আজকে সকালে আমাকে আবার ভূতে ধরেছে, বেশ ভালো রকম আক্রান্ত।
ব্যাপারটা খুলে বলি --
ছোট-বেলায় খুব ভূত পালতাম আমি, বেশ কয়েকটা ভূত ছিল আমার ইয়া তাগড়াই সব ভূত, পেত্নী, শাকচুন্নী, রাক্ষস, ক্ষোক্ষস, যবন ভূত , মামদো ( মোহাম্মদীয়) ভূত, ব্রম্ম দৈত্য, রাজা ভূত, জলপাই ভূত, প্রজা ভূত, কার্টুনিস্ট ভূত কি না ছিল ? আহারে ! সেইসব দিনগুলা কই যে গেলো ?
যাই হোক আনন্দেই কাটতেছিল সময়, সমস্যা বাধালো ভূতের বয়স । অনেক দিন - মানে কয়েক হাজার বছর একই বয়সে কাটানোর পর হঠাৎ করেই ওঁদের বয়স বাড়তে শুরু করলো !!! আমি ঠিকমতো বড় হওয়ার আগেই ওঁরা সব বুড়ো-টুড়ো হয়ে বাণপ্রস্থে চলে গেল।
গেলো তো ভালো কথা কিন্তু যাওয়ার সময় রেখে গেলো কতোগুলো রাম-ছাগল এ্যালিয়েন !!!!
ঐগুলা অনেকটা পাশের বাড়ীর ত্রিভূজের মতো। ভবিষ্যত থেকে আসে আর ব্যাপক উৎপাত করে। ওদের অতীত বলে কোন ব্যাপারই নাই যা আছে সব ভবিষ্যত - কথাই শুরু করে অনেক অনেক দিন পরের থেকে
- আর আমার মন পরে থাকে সেই অনেক অনেক দিন আগে -- যখন এক দেশে এক রাজা ছিল ( রাজকন্যা তো ছিলই)।
ঐ এ্যালিয়ানগুলো আবার পৃথিবীতে এসে পয়দা করলো একগাদা মিয়ুট্যান্ট তারপর আর দেখে কে ভবিষ্যতের কান্দে চড়ে শুরু হলো সঙ্গম ক্রীড়া, ভবিষ্যত থেকে আসার জন্য ওদের কোনো পিছুটান নাই,
সব খেলাই সামনা-সামনি তার উপর আবার কোনো পরিবার পরিকল্পনা না থাকায় জন্ম নিয়ন্ত্রনেরও কোনো বালাই নাই। পৃথিবীটা ভরে গেল সংকরে। রূঢ় বাস্তবতায় আমি হারালাম ভূত।
এভাবেও চললো বহুদিন অন্তত আজকে সকালে msn-এ লগড ইন হওয়ার আগ পর্যন্ত। কথা হচ্ছিলো আদাবরের আজাদের সাথে-- অনেক পুরাণো কথা
হঠাৎ কে যেন খুব কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো --- মনে পড়ে আমাকে ? বলোতো আমি দেখতে কেমন ?
বহুকালের পরিচিত স্বরে চমকিত হলাম আরে এতো আমার পালিত ভুতের গলার স্বর ওর আবার সামনের দুটো দাঁত না থাকায় স্বরটা খুব আইডেন্টিকাল সব অক্ষরেই ফশ্ ফশ্ করে , ওর যে কত গল্প --
ফোকলা দাঁতে আইসক্রীম খাওয়া থেকে শুরু করে তোতলা ভূতের তেতুল খাওয়ার গল্পেও ওর একটা জরুরী ভূমিকা ছিল।
কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই আর মনে করতে পারলাম না ও দেখতে কেমন ছিল ?
সেই থেকে মনটা খুব খারাপ কিছুতেই ভূতটা ছাড়ছে না।
পাঠকদের কাছে আমার আকুল আবেদন কারো যদি মনে পড়ে ভূতটা দেখতে কেমন দয়া করে মন্তব্যের ঘরে একটু বর্ণনা দিবেন।
দেখি একটা ভূতোস্কোপের এ্যালবাম করা যায় কিনা ?
মন্তব্য
ভুতের চেহারা দেখি নাই। ট্র্যান্সপ্যারেন্ট ভুত।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
কার্টুনিস্ট ভূতও ছিলো? তার চেহারা খানিকটা মনে হয় দেখেছি। যার পরিচয়ে লেখা থাকে লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আরে মজার লেখা!
এই মুহুর্তে তো "গুপী গাইন বাঘা বাইন"এর ভূতগুলোর কথাই মাথায় আসছে শুধু। ভয়ংকর নয় তেমন, ভীষন কালো মুখে সাদা আর নীল দাগের আঁকিবুঁকি, খুব জ্বলজ্বলে চোখ,মাথায় তিনকোনা হ্যাটের মত যেন, সারা দায়ে আলো ঝলমল করছে, মুখ ভর্তি হাসি-যেটা মিষ্টি হাসি না হয়ে বাচচা ভূতূড়ে হয়ে গেছে! গায়ে কালো কাপড়, বা জলপাই রং-ও হতে পারে! ভূতূড়ে হাসি, ভূতূড়ে নাচ। আপাতত এই।
--তিথি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এখন একটু ব্যস্ত আছি, সময় করে আপনাকে আমার একটা ছবি পাঠিয়ে দিব নে। ভুতের প্রোফাইল পেয়ে যাবেন।
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
তিনটি অসাধারন রেটিং এর পর আমি তেমন ভালো না একটি রেটিং দিলাম।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
নতুন মন্তব্য করুন