দাদুস্কোপ-২

আসছে সপ্তাহে দাদৈতিহাসিকের ঐতিহাসিক মুক্তি ঘটছে।

তার আগে যথারীতি হিমু আর আমি তুমুল খামছা-খামছি করে বেশ কিছু
চরিত্র তৈরী করেছি। সেগুলোকে এইখানে তুলে দিলাম আপনাদের পরামর্শের জন্য।

প্রভাবশালী মহল

প্রভাবশালী মহল

প্রভাবশালী মহল কি কোন ব্যক্তি, নাকি একটা গুহার নাম, তা নিয়ে দ্বিমত আছে। গোষ্ঠী থেকে একটু দূরে, একটা পাহাড়ের এক অন্ধকার গুহা, সেখানে কেউ একজন থাকে। অন্ধকারে তার চোখ আর দাঁত ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ে না। বাইরে গুহার গায়ে নামফলকে লেখা, প্রভাবশালী মহল। অনেকেই সেখানে যাতায়াত করে।

লুচু

লুচু

লুচু বুড়ো। বয়েস আশির কাছাকাছি হলেও চট করে দেখে বোঝা যায় না। চেহারাটা ঘোড়ার মতো, স্বভাবে লুইস। লুচুর যন্ত্রণায় পরস্ত্রীগণ অস্থির। লুচুর বউ রশুনি লুচুকে কড়া টাইটের ওপর রাখে। এমনকি লুচুর গুহার মালিকানাও সে দাবি করে বসে আছে। লুচু যদিও লোকজনের কাছে বলে বেড়ায় যে গুহার মালিক নাকি একমাত্র সে-ই হতে পারে।

হাবু

হাবু

হাবু এক গুহাকুণো চরিত্র। গুহা থেকে বেরিয়ে সে ভুলে যায় তার কী করার কথা। মিনিট দশেকের মধ্যেই সে গুহায় ফেরার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে। তাকে বেশির ভাগ দৃশ্যে দেখা যাবে বিফল মনোরথে গুহার প্যাভিলিয়নে ফিরতে।

সাক্কু

ব্যর্থ শিকারী সাক্কু

বাস রে বাস, সাবাস বীর, ধনুকখানি ধ'রে
পায়রা দেখে মারলে তীর, কাগটা গেলো মরে।

সাক্কু নানারকম পাথুরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিকার করতে যায়, কিন্তু কখনোই লক্ষভেদ করতে পারে না, উল্টে সঙ্গীসাথীকেই ফুঁড়ে দেয়। সাক্কুকে তাই সবাই একটু সন্দেহের চোখে দেখে। সাক্কু মোটামুটি স্বাস্থ্যবান, চুলগুলি লম্বা, বাহুতে পুরোহিত ষুষুর দেয়া অব্যর্থ লক্ষভেদের তাবিজ বাঁধা। সাক্কু মাঝে মাঝে কী একটা বুনো গাছের পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া টানে, আর নানা রকম রহস্যময় কথাবার্তা বলে। তবে সে-ও রামগরুড়ের ছানা, হাসে না মোটেও।

ফুটুল ও খুখু

তারু

গোষ্ঠী-নেত্রী ফুটুল ও তার পুত্রদ্বয়

অত্যন্ত প্রভাবশালী এই নেত্রী হস্তিনী-গতর।
তা হলে কী হবে, তিনি রত্ন-গর্ভা জননী, তাঁর দুই সন্তান তারু এবং খূখূ ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ।তাদের কীর্তি এখনও প্রত্নতাত্বিক গবেষনায় আবিস্কৃত হচ্ছে।

কামু

কামু

সং-পাথর বিশেষজ্ঞ। দাদুদের প্রাচীনতম সং-পাথর তাঁরই রচিত।

ইনু

ইনু

সংস্কারপন্থী কাক-তারুয়া।
মিষ্ট-ভাষী ও শান্তি-প্রিয় ইনু বরাবরই পাথরের গায়ে ফুটনোট লিখে জনসমর্থন চান।

বাকী চরিত্রগুলো আমার পেন্সিলে আটকে গেছে,বের হলেই ছেড়ে দিবো।