• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

চিহ্ন

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৩/১২/২০১৪ - ১:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল সাড়ে নয়টায় লিমা কোর্টের বারান্দায় এসেছে। দুইজন পুলিশ লিমার কাকা আফসারের বাসায় যেয়ে লিমা আর ওর বাবা জয়নালকে এখানে নিয়ে এসেছে। আগের দিনই থানা থেকে পুলিশ যেয়ে বাড়িতে খবর দিয়ে এসেছিল। জয়নাল মিয়ার গত কয়দিনের অস্থিরতার সাথে সেই থেকে যুক্ত হয়েছে ভয়। মেয়েকে নিয়ে কোর্টে জবানবন্দি করাতে হবে! কোর্টে গেলে কী হবে? কী হয়? কী এক অচেনা দুর্ভাবনায় জয়নাল মিয়া সারা রাত বিছানায় ছটফট করেছে! বহু আরাধ্য ধানের শীষের আগমনের সাথে বৈশাখের ঝড়ো বাতাসের আচমকা উপস্থিতিতে যেমন সুখ-দুঃখ একাকার হয়ে যায়, জয়নালের সব অনুভূতি তেমনি একাকার হয়ে গেছে। আরও একটা নিন্দ্রাহীন রাত কাটিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে আকুতি জানাতে জানাতে জয়নাল মিয়া লিমার হাত ধরে কোর্টের বারান্দায় এসেছে।

সদর থেকে জয়নাল মিয়ার বাড়ি প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার দূর। লিমার গ্রামের নাম মৌহার, থানা রায়গঞ্জ। রায়গঞ্জ থেকে সদরে পৌঁছাতে লোকাল বাসে আধা ঘন্টার মত লাগে। আর কোর্ট কাচারির সময় হলে তো কথাই নেই। বাসে জায়গা পাওয়াই মুশকিল। লিমা আর জয়নাল মিয়া তাই গতকাল বিকালেই পুলিশের কথামত সদরে লিমার কাকা আফসারের বাসায় এসে উঠেছে। এল শেপ দোতলা কোর্ট বিল্ডিং এর নিচতলায় লম্বালম্বি বারান্দা। বারান্দার পশ্চিম দিকটায় কোর্ট পুলিশের অফিস আর এই অফিসের সাথেই কোর্ট হাজতখানা। সাথের পুলিশ দুইজন সেই অফিসে ঢুকেছে সেই কখন, এখনো ওদের খবর নেয়নি কেউ। মেয়েকে নিয়ে জয়নাল বারান্দার সামনের দিকে এগিয়ে যায়। জয়নাল মিয়ার মনে ভয়ের বদলে এখন কৌতূহল এসে ভর করেছে।

কোর্ট বারান্দায় কত বয়সী কত রকমের মানুষের যে ভিড় তার ইয়ত্তা নেই। জয়নাল মিয়া লিমার হাত ছেড়ে দেয়। লিমার এসব হট্টগোল ভালো লাগছে না। ওর তলপেটে চাপ চাপ ব্যথা। হাতে ঘড়ি না থাকলেও ও বেশ বুঝতে পারছে প্রায় ঘন্টাখানেক পার হয়ে গেল। তলপেটের ব্যথা থেমে থেমে পাক দিয়ে শরীরের নিম্নাঙ্গে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। ওর পক্ষে আর দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব না। বাবার অনুমতির তোয়াক্কা না করে বারান্দার এক কোণে বসে পড়ে লিমা। মেয়ের দিকে ভ্রুক্ষেপ নেই জয়নালের। সে অবাক হয়ে কোর্ট কাচারির মানুষ দেখছে।

হাজারো মানুষের হাজারো কথা। কোনো কোনো উকিল হুড়মুড় করে কোর্টের ভেতর বের হচ্ছে আর ঢুকছে। বেশ কিছুক্ষণ হলো এক মহিলা এমন বিকট গলায় চিৎকার করছে আর উকিলকে শাপ-শাপান্ত করছে। মিনিটখানেকের মধ্যে দুইজন পুলিশ এসে মহিলাকে টেনে হিঁচড়ে বারান্দা থেকে বের করে দিল। জয়নালের পাশে দাঁড়ানো অল্প বয়স্ক একটা ছেলে এসব দেখে খুব মজা পাচ্ছে। থেমে থেমে খিকখিক করে হাসছে ছেলেটা। জয়নাল মিয়ার দিকে তাকিয়ে হলদেটে দাঁত বের করে সারা মুখ বিস্তৃত হাসি দিয়ে বলল,
-আইছিল সারেন্ডার দিতে। হি হি হি। দিছে... কোর্ট কাস্টডি কইরা। বোঝো ঠ্যালা। চান্দাবাজির মামলা তিন মাসের আগে ছাড়ন নাই।
জয়নাল কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করে,
-আসামী মহিলার কী লাগে? স্বামী নি?
ছেলেটা খুব বুদ্ধিমানের মত ঘাড় নেড়ে উত্তর দেয়,
-হ! আমি এজলাশে ঢুকছিলাম, ম্যাজিস্ট্রার সাব জামিন দেয় নাই। আর বেটির সেই কী তেজ! উকিলেরে গাইল্লানো শুরু করছে।

ছেলেটি আবার খিকখিক করে হাসে। জয়নাল মিয়ারও এখন মজা লাগে। একজন মহিলা পুলিশ এগিয়ে আসছে লিমার দিকে। জয়নাল মিয়া তা দেখে ছুটে যায়।
-ম্যায়ার আমার খাড়াইতে কষ্ট হইতাছে। আর কতক্ষণ লাগবো। ম্যায়ার আমার তলপেটে বেদনা। গায়ে জ্বর। খাওন নাই ঠিকমতন।
মহিলা পুলিশটির পরনে নেভী ব্লু রঙের শাড়ি আর ব্লাউজের বদলে একই রঙের পুলিশী শার্ট। মহিলার মুখে কোন স্নিগ্ধতা নেই। বরং রুক্ষতার ছাপ স্পষ্টতর হয়ে সেই চেহারায় কেমন একটা পুরুষালীভাব চলে এসেছে। পেশাদারী গলায় সে জয়নালকে প্রশ্ন করে,
-রেইপ কেইস না? ভিকটিমরে এখানে বসায় রাখছেন কেন? যেই পুলিশ আনছে সেই তো আপনাদের কোর্ট স্যারের কাছে নিব। কামচোর, বারান্দায় রাইখ্যা ভাগছে। দিমুনে কোর্ট ইন্সপেক্টর স্যাররে নালিশ।

জয়নালের মাথায় দায়িত্ব-কর্তব্যের এত বক্তব্য ঢোকে না। তার মাথার মধ্যে দুইটা শব্দ শুধু পাক খেতে থাকে। রেইপ কেইস! রেইপ কেইস! রেইপ শব্দটা ইংরেজি না বাংলা সে জানে না। কিন্তু শব্দটির অর্থবোধক উচ্চারনের সাথে সাথে তার শরীরে কাঁপন ধরে। যেন তার শীতার্দ্র শরীরে পরিচিত শব্দ গুচ্ছ বরফ কুচির মত আছড়ে পড়ে। জয়নাল মিয়া থই পায় না। সেই যন্ত্রণা এড়াতেই ধীর লয়ে জয়নাল মিয়া উত্তর দেয়,
-রেইপ কেইস না তো। আমার মাইয়ারে তো কিছু করে নাই। নাসির হারামজাদা ধইরা নিছিল। ভাইরা যাইয়া ছুটাইছে।
এইবার মহিলা পুলিশের মুখ পূর্বের বেগ অতিক্রম করে ঝড়ো বেগে ছোটে,
-বুঝছি। আসামী হারামজাদার সাথে আপস করছ তো মিয়া, এখন ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের সামনে মিথ্যা জবানবন্দি দিব ভিকটিম! মিয়া শরম নাই। মাইয়াটারে রেইপ করল! বিচার চাও না? টাকা নিয়া খালাস করাইতে আইছো। শালার গ্রাইম্মা চামার!

ডুবন্ত বাবাকে উদ্ধার করতে লিমা জয়নালের হাত চেপে ধরে। ওর শরীরের চিনচিনে ব্যথা শরীরের নিচের অংশ অতিক্রম করে বুকে এসে আটকে গেছে। তবু বাবার অসহায় মুখে তাকাতেই লিমার ষোড়শী শরীরে কি এক অদৃশ্য শক্তি ভর করে। দীর্ঘ দিনের নির্ঘুম, অভুক্ত শরীরের ক্ষয়িষ্ণুতার ভেতরেও সেই শক্তি আর আবেগের যোগফলে সব অন্ধকার বিলীন হয়ে যায়। বাবার হাত দুইখানা ধরে লিমা গাঢ় স্বরে বলে,
-আমার বাপজানরে মন্দ কইয়েন না আপা!
এরপর লিমা বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে উত্তাপহীন গলায় প্রশ্ন করে,
-বাপজান, সত্যিটা কইয়া দেই?
বাবাকে নিশ্চুপ দেখে লিমার বুক ভেঙে যায়,
-কইনা বাপজান! ওরা যে আমারে ছিঁড়া খাইল। বড় কষ্ট বাপজান! বড় কষ্ট!

জয়নালের ভেঙে পড়া বোধ যেন অকস্মাৎ জেগে ওঠে। মেয়ের নির্বুন্ধিতায় আঁতকে উঠে সে। ডানহাতে মেয়ের মুখ চেপে ধরে জয়নাল মিয়া। টের পায়। লিমার গায়ে জ্বর। জ্বর তো আসবেই। দিন সাতেক আগে গলুইপাড়া বাঁশঝাড় থেকে মেয়েকে তুলে আনার পর, মেয়ে তার কত বার যে বাড়ির পুকুরে ডুব দিয়েছে তার ঠিক নেই। মেয়ের সেই ছটফাটানি দেখে জয়নালের স্ত্রী খাদিজার সে কি আর্তনাদ! জয়নাল যতই তার মুখ বন্ধ করে ততই খাদিজার অর্থহীন ক্রন্দণে পুকুর পাড়ে উৎসাহী পড়শীদের ভিড় বাড়ে। গতকাল পুলিশ এসে ধমকে গেলে লিমার গোসল বন্ধ করে জয়নাল। এতবার গোসলে শরীর থেকে নাকি রেইপের চিহ্ন মুছে যাবে! শত দুঃখের মাঝে জয়নাল প্রাণ ভরে হেসেছিল কাল। এই চিহ্ন রেখে দিতে হয়! এ নাকি মামলার আলামত!

জয়নালের বোধ বুদ্ধি যখন আবেগ আর নির্বুদ্ধিতার বেড়াজালে ঘোরপাক খাচ্ছিল তখনই তাকে কুশলী নাবিকের মত পথ দেখিয়ে দেয় ওহাব মুন্সী। ওহাব মুন্সী মৌহার গ্রামের জ্ঞানী ও বিচক্ষণ লোক। সারা গ্রামের লোক তার পরিপক্ক চুল-দাঁড়ির কদর করে। জয়নাল মিয়া কোর্ট-কাচারি করছে শুনে বিচলিত হয়ে উঠেছিল ওহাব মুন্সী। মেয়ের পাপের কথা দশ গ্রামে প্রচার হওয়ার আগেই তার চিহ্ন মুছে ফেলার সহজ উপায় হিসেবে বলেছিল, নাসিরের সাথেই লিমার বিয়ে দেওয়ার জন্য। ক্ষণিকের জন্য জয়নাল মিয়া আঁতকে উঠলেও বুদ্ধিমানের মত প্রস্তাবটি হাত পেতে নিয়েছিল। এরপর গ্রাম্য বৈঠকের সফল পরিসমাপ্তি শেষে জয়নাল মিয়া অঙ্গীকার করেছিল যে, নাসিরের সাথেই মেয়ের বিয়ে দিবে। সেই সিদ্ধান্তের সাথে সাথে জয়নালের ঘুমহীন রাত আরও দীর্ঘ হয়ে এসেছে। সভ্যতার মধ্যে থেকে প্রচলিত রীতি অতিক্রম করার দুঃসাহস তার নেই। আর নিয়মতান্ত্রিকতার বেড়াজাল তৈরিতে ব্যস্ত মানুষগুলোকে উপেক্ষা করা তার জন্য আরও অসম্ভব। সেই সাথে সভ্যতার প্রাচীনতাকে যারা ধারণ করে, সভ্যতা বিনির্মাণের গল্প তাদের অজানা থাকবে, সেই বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়ার মত সরলতা জয়নালের মধ্যে বিদ্যমান।

তবু প্রস্থানরত মেয়ের দিকে তাকিয়ে জয়নাল মিয়ার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। তা টের পেয়ে যেন পিছন ফিরে বাবার মুখের দিকে একবার তাকায় লিমা। কোনো সম্ভাব্য নতুন উত্তর নেই সেই মুখে। তাই বাবাকে পেছনে ফেলে অনিচ্ছুক পায়ে এগিয়ে যায় ও। সাথে একজন মহিলা পুলিশ। এখন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিবে ও। তারপর সদর হাসপাতালে যাবে। হয়তো ষোড়শী লিমার শরীরে পাপের চিহ্ন খুঁজে বের করার ব্যর্থ চেষ্টা করবেন ডাক্তার সাহেব। লিমা আবার পিছন ফিরে তাকায়। তার বাবা জয়নাল অবনত মস্তকে দাঁড়িয়ে আছে। লিমার মায়া লাগে মানুষটার জন্য। তার জোয়ান তাগড়া বাবাটা এই কয়দিনেই কেমন বুড়ো হয়ে গেছে। ক্রমশ লিমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। ধীরে ধীরে জলের মোহর জমতে জমতে লিমার চোখের প্রাচীর উপচে যায়।


মন্তব্য

সত্যপীর এর ছবি

আহা বড় মন খারাপের গল্প।

শেষটায় তাড়াহুড়া দেখলাম কি?

..................................................................
#Banshibir.

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

বুঝতে পারছি না, মাস সাতেক আগে লেখা। গল্প লিখে ফেলে রাখি। অনেকদিন পর পর পড়ি, তারপর কারেকশন চলতে থাকে। যেদিন একটু ভদ্রস্থ মনে হয় সেদিন পোস্ট দেই। হয়তো শেষদিকে মনোযোগে ঘাটতি ছিল। আবার ঘষামাজা করবো তবে, দিন যাক।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মরুদ্যান এর ছবি

দু:খ, এই পৃথিবীতে এত দু:খ!!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

হুম। কোর্ট কাচারিতে দুঃখের কান্না বড় বেশি।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মেঘলা মানুষ এর ছবি

দুনিয়াতে দুর্বলের উপর বাহাদুরিই করেছে কেবল সবলেরা। :(

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

যথার্থই বলেছেন।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও একটা রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম। তোমার এই লেখাটার প্রথম পাঠক আমি ছিলাম। বিস্তারিত তাই বললাম না। আশা করি নিয়মিত পড়তে আর লিখতে পারবো। ভাল থেকো বন্ধু।

অপর্ণা মিতু

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

মনোযোগ দিয়ে নিয়মকানুনের খুঁটিনাটি বুঝে নাও। তারপর এক এক করে লেখা পড় আর পোস্ট দাও। তোমাকে সাথে পেলে ভাল লাগবে।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

Sohel Lehos এর ছবি

:( মন খারাপ হল। মাঝে মধ্যে মানুষের বিচার বিবেচনা দেখলে বিস্মিত হতে হয়। যে ছেলেটি একটি মেয়ের পৃথিবীকে লন্ডভন্ড করেছে, তার হাতেই সে মেয়েকে সপে দেয়ার জন্য সমাজের মাথারা উঠে পড়ে লাগে। মান সম্মান বাঁচানো বলে কথা।

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল :)

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

এটাই বাস্তবতা। এমনই হচ্ছে। কাহিনী একঘেয়ে ও জলজ।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

একটা আবেগ থেকে গল্পটা লিখে ফেলেছিলাম। এধরনের আরও লেখা পড়েছি আমি নিজেও। তবু হায় কষ্টগুলো বদলালো না। ৫/৬ বছর পরেও হয়তো আমার মত কষ্ট পেয়ে আবার কেউ একই প্লটে গল্প লিখে ফেলবে। সময় করে সুন্দর মন্তব্য করায় কৃতজ্ঞতা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভাষায়, বর্ণনায় চমৎকার! কাহিনী গতানুগতিক।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

শ্রদ্ধেয় রোমেল চৌধুরী, আপনাকে করা প্রতিউত্তর উপরে চলে গেছে।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

একজন নির্যাতিত নারীকে সমাজে ও রাষ্ট্রে যেভাবে হিউমিলিয়েশনের স্বীকার হতে হয় তাতে আমার সমাজ ও রাষ্ট্রকেই নির্যাতনের পৃষ্ঠপোষক বলে মনে হয়।

অপেক্ষায় রইলাম সেদিনের যেদিন আর কেউ এইসব গল্প লিখবে না। :(

তবে আপনার লেখনী ভালো লেগেছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ কৃতজ্ঞতা। তবু অপেক্ষায় থাকি-

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

তিথীডোর এর ছবি

সেদিন নির্ভয়ার ঐ ডকুমেন্টারিতে রেপিস্টদের উকিল দুটার কথা শোনার পর মাথা ঠাণ্ডা করতে বহুসময় লেগেছে।
আজ পড়লাম এই খবরটা : ঢাকায় কাশ্মিরী ছাত্রী লাঞ্জিত

There is no safe place for a woman..

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

পড়লাম। প্রাসঙ্গিক আইনগুলো দুদিন ধরে পড়ছিলাম এক বন্ধুর জন্য। আইন পড়ে কি হয়? কিচ্ছু হয় না।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।