সো হোয়াট

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৫/১২/২০১৪ - ১২:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাসা থেকে বের হতে না হতেই মাসুদ করিম সাহেবের কেনা এ্যাপেক্সের নতুন কেডস জোড়া থকথকে গোবরে আটকে গেল। স্ট্রিট লাইটের আলোতে চারপাশ বেশ ভালই দৃশ্যমান তবু কেন যে তিনি গোবর দেখলেন না ঠিক বুঝতে পারছেন না। বরং তার মনে হচ্ছে গোবরের স্তূপ ফেলা হয়েছে তিনি রাস্তায় পা রাখবার পর পরই। আজকের সকালটাই শুভ ছিল না, সেখানে সন্ধ্যা শুভ হবে আশাই করা যায় না। সকালে ঘুম ভাঙতেই তিনি বাম পা’টা নাড়াতে পারছিলেন না। রাতের নির্ধারিত কোনো শারিরীক কসরৎ ছাড়া কি করে পায়ের রগে টান লেগে গেল সেটা তার কাছে এখনো পরিষ্কার না।

তার মত সাতানব্বই কেজি ওজনের মানুষকে নিয়ে যখন নেহার মা পাগলপ্রায় তখনি পা খানা হঠাৎ ঠিক হয়ে গেল। আর অফিসে সেই বাম পা খানা আগে রাখতেই খবর পেলেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ স্যারের এজলাশ থেকে ডাবল মার্ডার কেসের আসামী গাল পোড়া তফু দোতালার বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে পালানোতে তিনি শোকজ খেয়ে বসে আছেন। তারপর সারাদিনে অফিসে সেই কি ঝক্কি! সারাদিনের ছুটোছুটিতে একবার হাঁটতে বের হবেন না ভাবলেন কিন্তু ইদানিং ডায়াবেটিসটা খুব বেড়েছে। প্রোটোকল আর প্রোগ্রামের কারণে ভোর ছাড়া সন্ধ্যায় হাঁটা তার পক্ষে মুশকিল কিন্তু আজ পায়ের কারণে ভোরে হাঁটা হয়নি। আজ কোনো শিডিউলড অনুষ্ঠান না থাকায় এই সন্ধ্যেটা কাজে লাগাতে পারছেন। কিন্তু কপাল দেখো ঠিক সেই বাম পাটাই গোবরে দেবে গেছে।

উপায়ন্ত না দেখে মাসুদ করিম সাহেব আবার বাসায় ঢুকলেন। তাকে দেখে নেহার মা দৌড়ে এল, কি হল? স্বামীর পায়ের দিকে তাকিয়ে উত্তর মিলতেই তিনি পুরাতন কেডস জোড়া এনে দিলেন আর মনে মনে ভাবলেন, ভাগ্যিস শিলার মাকে আজ পুরনো কাপড়ের সাথে জুতোজোড়া দিয়ে দেননি! জুতো পাল্টাতে পাল্টাতে মাসুদ করিম হাঁপিয়ে যান। তার হাতকে পা বরাবর পৌঁছাতে হলে বুক আর পেটের তিন স্তর পেরোতে হয়। মাসুদ করিম পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। শরীর ফিট থাকা চাকরির পূর্বশর্ত থাকলেও বহু বছর হলো একসময়ের ফিট শরীরকে বেকায়দা রকম স্থূলতা কব্জা করে ফেলেছে। তার উপর গত বছর চারেক ডেপুটেশনে ঢাকায় কাজ করে শরীর আরও ভারি হয়েছে। এইবার প্রমোশনের ধাক্কায় মফস্বলে আসতেই হল। মাস চারেক হল তিনি টাঙ্গাইলে বদলি হয়ে এসেছেন।

এবার গেটের বাইরে বেরোতেই আরেক বিপত্তি। তিনটি কুকুর আরামে দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে আকাশমুখী হয়ে এক সাথে ডাকছে। আবার এই কু’ডাক কেন বুঝে উঠতে পারেন না মাসুদ করিম। আজ দিনটাই খারাপ। না বের হলেই হতো। হাঁটার গতি ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দেন তিনি। ঘরের বাইরে আসলে শীতের তীব্রতা বোঝা যায়। কিন্তু পৌষের এই শীত তার শরীরের চর্বির পুরু স্তর ভেদ করে তাকে কাবু করতে পারে না। মাসুদ করিমের সামনেই একজন বাবা তার বছর পাঁচেক বয়সের ছেলেকে নিয়ে হাঁটছে। ছোট ছোট পায়ে ছেলেটা বাবার পিছু পিছু হাঁটতে হাঁটতে বাবার সামনে চলে গিয়েছে আর বলছে, ‘বাবা তুমি লাড্ডু-গুড্ডু, আমি ফার্স্ট! আমি ফার্স্ট!’ ছেলেটির বাবা ইচ্ছে করে পিছিয়ে পড়ে কপট ভঙিতে বলছে, ‘আহা আমি হেরে গেলাম, স্পাইডারম্যানের সাথে পারলাম না।’

এইসব আদিখ্যেতা দেখে তার রাগ ধরে যায়। এইভাবে পোলাপান মানুষ হয় না, পোলাপান রাখতে হয় গদামের ওপর। তার মেয়ে নেহা আর ছেলে জোহা তাকে বাঘের মত ভয় পায়। তিনি ঘরে পা দেয়ামাত্রই ঘরের সব গুনগুনানি বন্ধ হয়ে যায়। মাসুদ করিম সাহেব পায়ের গতি বাড়িয়ে বাবা ছেলেকে পিছনে ফেলে আসেন। তিনি সামনে চলে গেলেও ঠিকই শুনতে পান ছেলেটি অসহায়ের মতো বাবাকে বলছে, ‘বাবা, আমি আর ফার্স্ট থাকতে পারলাম না!’ ছেলেটার কচি গলা শুনে খুব মানসিক তৃপ্তি লাগে তার।

হঠাৎ মাসুদ করিম সাহেবের মনোযোগ তার ছায়ার দিকে চলে যায়। তার পায়ে পায়ে লেগে থাকা ছায়ার প্রস্থ দেখে তিনি নিজেই আঁতকে ওঠেন, সর্বনাশ, তাকে দৈত্যের মত লাগছে। পেটটা একটু চেপে নিয়ে হাঁটার গতি বাড়িয়ে দেন। হঠাৎ মনে পড়ে গতকাল পাশের বিল্ডিং এর ডিডিএলজি (ডেপুটি ডিরেক্টর অফ লোকাল গভার্নমেন্ট) সাহেবের ছোট ছেলে এসে তার পেটে খোঁচা দিয়ে বলেছিল, ‘এইটা তোমার পেট?’ তারপর ঠোঁটটা গোল করে বাচ্চাটা বলেছিল, ‘ওওও, তুমিও একটা মানুষ? আমি ভেবেছিলাম দৈত্য!’ বড় অফিসারের বাচ্চা হওয়ায় কষে চড় লাগাতে যেয়েও পারেননি। নাহ্ ওজন তাকে কমাতেই হবে। এইবার তিনি ইউটার্ন নিতেই ছায়া দুটো হয়ে যায়, বাম পাশের ছায়া দুটোকে আবার দুরকম লাগছে।

ছায়ার ছায়াবাজিতে তার মাথা ঝিমঝিম করে। তিনি হাঁটছেন আধা ঘন্টা হয়নি। এখনই বাসায় ফেরা সম্ভব না। সরকারি আবাসিক এলাকার ওভাল শেপ মাঠে তিনি মোটামুটি দশ পাক দেন। আজ মাত্র ছয় পাক হলো। তবে আজ দিনটি তার জন্য অশুভ বিবেচনায় তিনি বাসার দিকে হাঁটা শুরু করলেন। বাসার গেটের অদূরে দুজন লোক দাঁড়ানো দেখেই তার মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে যায়,
-আপনারা এখানে দাঁড়ায় কি করেন? যান, যান।
-কেন ভাই, এখানে দাঁড়ানো নিষেধ নাকি?
একটু খুঁড়িয়ে লোকটা মাসুদ করিমের সামনে চলে আসে। লোকটার বয়স ষাটের কাছাকাছি হবে। স্ট্রিট লাইটের আলোতে লোকটার চোখের আশ্চর্য ঔজ্জ্বল্যকে ঔদ্ধত্য মনে হয় মাসুদ করিমের।
-সাহস তো কম না, পাল্টা প্রশ্ন করেন? এটা সরকারি রেসট্রিকটেড এরিয়া। পাবলিকের হাঁটা নিষেধ।
এইবার পাশের লম্বা মত লোকটি উত্তর দেয়,
-আমরা দুজনেই ডায়াবেটিসের রোগী। হাঁটতে বের হয়েছি। সমস্যা থাকলে চলে যাচ্ছি।

লোকটির অপেক্ষাকৃত কোমল গলা শুনে মাসুদ করিম খুশি হন, গদামে কাজ হয়েছে। পরক্ষণেই খুঁড়িয়ে চলা লোকটির গলার আবেগে চমকে যান তিনি,
-আমার দেশের সব রাস্তা দিয়েই হাঁটার অধিকার আমার আছে। আমার মত পাবলিকের কারণেই এদেশের রাস্তা তৈরি হয়েছে কারণ আমি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা।
রাগে মাসুদ করিমের মাথা ঝিমঝিম করে ওঠে। এবার তিনি হুংকার দিয়ে ওঠেন,
- এই হইছে আরেক যন্ত্রণা কিছু বললেই মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা! সো হোয়াট?
আলো আাঁধারির আবছায়ায় অবনত মস্তকে লোক দুটির চলে যাওয়া দেখে মাসুদ করিম তৃপ্তির হাসি হাসেন, যাক গদামে কাজ হয়েছে।

এক সপ্তাহ পর
-এই ব্যাটা সর, সর। বাসার গেটের সামনে কি করিস, সেন্ট্রি সেন্ট্রি! সব কয়টাকে আজ শো কজ করবো।
মাসুদ করিম রাগে কাঁপতে থাকেন। হারামজাদা পাগল দুনিয়ার নোংরা কাপড়-চোপড়ের বস্তা নিয়ে তার বাসার সামনে বসে আছে। তিনি আবার হুংকার করে ওঠেন,
-সর ব্যাটা, ভাগ ভাগ।
-তোর যাওয়া তুই যা তোরে আমি কি করছি?
-কি আবার তুই তোকারি করছিস! হারামজাদা তবেরে
মারতে উদ্যত হয়েও মাসুদ করিম থেমে যান। নাহ পাগলটা বোধ হয় জানে না তিনি কে। তার গায়ে তো আজ ইউনিফর্ম নেই। এইবার গলাটা একটু নরম করে তিনি বলেন,
-এই শালা পাগল তুই জানিস আমি কে?
-কে গা?
-আমি অনেক বড় অফিসার।

পাগলটা এক দলা থুতু তার পায়ের সামনে ফেলে খিকখিক করে হাসতে হাসতে বলে, সো হোয়াট?


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আমাদের দেশে 'রেস্ট্রিকডেট এরিয়া' একটু বেশিই।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

যথার্থ বলেছেন।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নজমুল আলবাব এর ছবি

জেলা সদরে ডিডিএলজি টাইপের কোন পদ থাকে?
মনে হয়, না।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আমার পাশের বিল্ডিং এই ডিডিএলজি থাকেন। এব্রিভিয়েশনে ঘাপলা ছিল, ঠিক করে দিলাম। আবারও কৃতজ্ঞতা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

সত্যি একটা ঘটনা দেখে একটানে লিখে গিয়েছিলাম। এব্রিভিয়েশনে ঝামেলা করেছি। মনোযোগী পাঠকের জন্য কৃতজ্ঞতা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

............ সো হোয়াট!

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

নাথিং!

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

মাসুদ করিমরা গদাম খাইলেও শার্টের হাতা ঝাইরা রাস্তা পার হইতেয় হইতে বলব, গদাম খাইসি তো খাইসি, সো হোয়াট, কেউ তো আর দেখে নাই, আন্ধারেই খাইসি!

সো হোয়াট নিয়ে বেশ মজাই হয়েছিলো-- লেখায়, কথায় আর এক্টিভিটিসে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

===
অপর্ণা মিতু

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

গদাম খাইসি তো খাইসি, সো হোয়াট, কেউ তো আর দেখে নাই, আন্ধারেই খাইসি!

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লাগলো চলুক
ইসরাত

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কৃতজ্ঞতা

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

......... সো হোয়াট?

দেবদ্যুতি রায়

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

হুম ......... সো হোয়াট?

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ভালো লাগলো। কিন্তু এখন 'সো হোয়াট' শুনলেই মতিকন্ঠের কথা মনে পড়ে হো হো হো দেঁতো হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

হাহা

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আরো কলম শানাও বোন। তোমার কাছে প্রত্যাশা বহু বেশি!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

এ বড় কঠিন ভার ভাই!

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হ্যাঁ, ঠিক তাই! সার্কাসের মেয়ের মতো দুই পাহাড়ের চূড়োয় দু'প্রান্ত বেঁধে রাখা একটি চিকন রশির উপর দিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে করতে এগিয়ে যাওয়া। মাঝখানে গভীর খাদ, একটু ভুলের মাশুল যে বড় শক্ত!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

দুর্দান্ত প্রতি উত্তর!

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ। চেষ্টা করি। কি আর করা!
আপনার গল্প পাচ্ছি না কিন্তু। ঝুলি থেকে এক আধটা গল্প বের করুন তো। অপেক্ষা করছি।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

Sohel Lehos এর ছবি

লেখা ভাল লাগল। তবে গল্পটা মনে হচ্ছে ইট্টু হাল্কা হয়ে গেছে। উপরের রোমেল ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে একমত। আপনি দারুন লেখতে পারেন আমি জানি হাসি

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দারুণ তো! চলুক

[আগে পড়িনাই, সো হুয়াট? চোখ টিপি ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

হিহি, এখন তো পড়েছেন। আগে পড়েন নাই, সো হোয়াট!

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

আয়নামতি এর ছবি

আপনার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি কিন্তু! সব রকম গল্পেই দেখি আপনি দারুণ সাবলীল চলুক
আবার বলে বসবেন না যেন, ছো ওয়াট! লেখালিখি চলুক।
---
অ:ট:
মানসিকভাবে অসুস্হ মানুষকে কেন আমরা পাগল বলি জানা থাকলে একটু বলবেন প্লিজ?

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ কৃতজ্ঞতা।
মাসুদ করিমের চোখ আর মন দিয়ে আমি গল্পটা বলার চেষ্টা করেছি, তার ব্যবহার করা ভাষা বা তার দৃষ্টিতে আমি বসে থাকা লোকটিকে বর্ণনা করেছি, তারা এভাবেই বলে। বিষয়টা স্পর্শকাতর বলেই বিস্তারিত বর্ণনা না করে অংশটি ছোট রেখেছি।

উহু অফটপিক না, টপিকই। আমি দীর্ঘদিন বিশেষভাবে সক্ষম বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি। দেশে প্রতিবন্ধী, উন্মাদ শব্দের আইনগত ব্যবহার এখনো আইনবিদ বা দেশের আইন চালু রেখেছে। এমনকি উন্মাদ আইনও আছে। ডিসেম্বরে পাবনা মানসিক হাসপাতালে যেয়ে যে চিত্র আমি দেখেছি (চিড়িয়াখানার মতো হাসপাতালের স্টাফদের টাকা দিয়ে মানুষ রোগী দেখতে যাচ্ছে আর কি মজা যে পাচ্ছে!) এসব টপিক নিয়ে লেখার খুব ইচ্ছে। দেখি কবে পারি।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

আয়নামতি এর ছবি

মানসিক রোগী সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা খুব দ্রুত লিখে ফেলবার অনুরোধ থাকলো আপু।
ঘটনা শুনে কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি না সত্যি!

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারন একটি লেখা,খুব সাবলীল উপস্থাপন...........
......আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মাসুদ সজীব এর ছবি

খুব সাধারণ জীবনের সাধারণ ঘটনাকেও আপনি গল্প বানিয়ে বলতে পারেন এটাই বোধহয় আপনার সবচেয়ে বড় গুণ। কি সুন্দর করে প্রাত্যহিক জীবনের সবকিছুকে দৃশ্যকল্পের ফ্রেমে আটকে দেন হাততালি ! আপনার গল্প বলার ভঙ্গিতে মুগ্ধ হচ্ছি দিন দিন। গল্প চলুক, সাথেই আছি। হাসি শুভেচ্ছা নিরন্তর

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ কৃতজ্ঞতা। সাথে আছেন জেনে সাহস পাই। শুভকামনা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।