১.জয়নব বছর বিয়োনি। দশ বছর হলো ওর বিয়ের। একটা বছরও শান্তি পায়নি জয়নব। নারী শরীরের অনুর্বরতা যেখানে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় সেখানে নিজ শরীরের ধারণক্ষমতায় খুশি না হয়ে সকাল থেকেই নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছে জয়নব। মাঘ মাসের এই অসহনীয় শীতের সাথে শরীরের বেকায়দা অবস্থা জয়নবকে আরও অসহায় করে তুলেছে। এই বছর শরীর আর টিকবে না। গত বছরও এমন মনে হয়েছিল জয়নবের। কিন্তু ওর শাশুড়ি সুফিয়া বেগমের নির্বুদ্ধিতার জন্য সে আবারও বেঁচে গেল। বুড়ি কোথা থেকে যেন তাবিজ কবজ নিয়ে আসে আর পড়া পানি খাওয়ায়!
নাতিতো হয়ই না শুধু জয়নব বুঝি সেই তাবিজের জোরেই টিকে যায়। গেলবারও জয়নব টিকে গেল যদিও বাচ্চাটা টিকল না। এই নিয়ে তিনখানা বাচ্চা আঁতুড় ঘরেই মরে গেল। ঘরে প্রায় সমবয়সী পাঁচ সন্তানের কিলবিলানি সহ্য হয় না জয়নবের। তাই সদ্যোজাত কোনো সন্তানের মৃত্যু এখন আর বিচলিত করে না তাকে। আর দুঃখ করার সময় কোথায় ওর! একটু দম নিতে না নিতেই হাভাতের গুষ্ঠি থালা-মগ নিয়ে চলে আসে, মা খাওন দে...খাওন দে!
উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে জয়নবের পিঠে টান লাগে। পেটের ভেতরের জনও ভাতের জন্য আথালি-পাথালি করছে। জয়নবের শরীর গত বছরই বেশ ভেঙে গেছে। পানি ভাত, শাক আর আলু ছানায় কত টিকে শরীর! তার উপর আবার বছর বছর বিয়োনো! জয়নবের সব রাগ যেয়ে পড়ে শাশুড়ির উপর। আর রাগ উঠলেই জয়নব প্রথমে চোখের সামনে শফু, জরি, মলি, জলি, কলি যেটাকে পায় ধুপধাপ লাগায় ক’ঘা। এখন কাছে পিঠে একটাও নেই। পাঁচ মেয়ে জয়নবের।
জয়নবের বড় মেয়ে শফুর বয়স নয় বছর। ছোটটার বয়স দুই পার হয়নি। নাম কলি। মুখে সব কথা না ফুটলেও ‘খিদা’ শব্দটা ফোটে খইয়ের মত। শফু আর জরি স্কুলে গেছে। ভালোই পড়ে নাকি দুজনে। জয়নব ওইসব বোঝে না। শুধু বিনা পয়সার স্কুল ভেবেই মনের মাঝে স্বস্তি। ছোট তিনটা একসাথে কোথায় গেল? পাশের বাড়ি হাসিদের উঠোনেও তো দেখা যাচ্ছে না। বুকের ভেতর কেমন ধড়ফড় করে জয়নবের। আজকাল শরীরে যেমন কাজের ধকল সহ্য হয় না তেমনি কোনো বিষয় নিয়ে বেশিক্ষণ চিন্তাও সহ্য হয় না। মাথার দু’পাশে দপদপ করতে থাকে। বরাবরের মত সেই অদৃশ্য দপদপানি বাড়তে বাড়তে ধৈর্য্যর বাঁধ ভেঙে যেয়ে তুমুল গর্জন শুরু করে জয়নব। জোরে ডাক দেয়, মলি...ইইই। চিৎকার করতে করতে হাঁফিয়ে ওঠে জয়নব। তবু তিনটার দেখা পাওয়া যায় না।
খানিকক্ষণ পরে উঠোনে কারো ছুটোছুটি শোনা যায়। মায়ের গগণবিদারী চিৎকার শুনে তিনটাই ছুটতে ছুটতে বাড়িতে ঢোকে। ছোটটা পিছনে পড়ে গেছে। মলি, জলি কাছ আসতেই দুই হাতে দুইটার কান ধরে কাছে টানে জয়নব,
-হারামজাদিরা...ডাইক্যা পাড়া মাথায় তুলছি...কই গেছিলি শয়তানের দল...।
-দাদীর লগে ঘাটে গেছিলাম। এহন শাক তুলতাছি। ছাইড়া দেও মা...
জয়নব এখন কোনো উত্তরেই সন্তুষ্ট হবে না, সেই নিয়তই করে রেখেছে। মলি আর জলির পিঠে কষে দু’তিনটা কিল বসায়। নিজেদের দোষের মাত্রা পরিমাপ করতে না পেরে দুই বোনই মায়ের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে। কিন্তু সেই চেষ্টা বৃথা হতেই দুই বোনই কান্না শুরু করে। দুই বোনের এই দুরাবস্থা দেখে কলি চুপ করে আপাত নিরাপদ আশ্রয় বড় ঘরে ঢুকে যায়। মলি এইবার মায়ের উপর রেগে যায়। মায়ের কাছ থেকে শেখা গালি মায়ের উপরই প্রয়োগ করে সে,
-ছাড় হারামজাদি...নাইলে তোর পেটে ঘুষি মারমু...
এতক্ষণের অনুনয়ে যে কাজ হয়নি, এইবার মুহূর্তেই তা হয়ে যায়। জয়নবের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে বিদ্যুতের গতিতে দুই বোন বাড়ির বাইরে চলে যায়। মাতৃত্বের সহজাত সচেতনতায় জয়নবের মনের রাগ চলে যেয়ে আতংক এসে ভর করে। যদি সত্যিই ঘুষি মেরে বসতো! আবার আনমনা হয়ে যায় জয়নব। কিসের এত ভয় তার? তবে কী ছেলে সন্তানের সাধ মরেনি বেহায়া জয়নবের? তবে ছেলে সন্তানের শখ তাহের মিয়ার মিটেছিল তিন মেয়ের পরেই।
কিন্তু সুফিয়া বেগমের সাধ মেটে না। দুপুরের সূর্য হেলবার আগেই নাতনিদের সারি করে বসিয়ে মাথায় তেল লাগান আর বিলাপ করেন, জুম্মাবারে আমরার ব্যাটার হাত ধইরা নামাজ পড়তে যাইবো ক্যাডারে...আমরার আর ব্যাটার কব্বর জিয়ারত করবো ক্যাডারে...শুনে শুনে জয়নবের চেয়ে বেশি রেগে যায় শফু। মাঝে মাঝে নারিকেল তেলের শিশিতে লাথি মেরে দৌড়ে পালায়, তুই মর বুড়ি এহনই...আমি তোর কব্বরে যামু...
মেয়ে দু’টোর সাথে ধস্তাধস্তি করায় কেমন ক্লান্ত লাগে জয়নবের। সকালেই এক পেট খেয়েছে জয়নব। এখনও বেলা বাড়েনি। দুপুরের রান্নাই চড়েনি। সুফিয়া বেগম পুকুর ঘাটে গেছে চাল নিয়ে। ফেরার সময় ক’টা শাক তুলে আনার কথা। শাশুড়ি ফিরলে চুলা ধরাবে জয়নব। তবু সময়ের আগেই অসময়ের ক্ষুধা জয়নবকে অস্থির করে তোলে। ভেতর ঘরে ঢুকেই টিন হাতড়ে কয়েকটা মুড়ির মোয়া পায়। ঠাণ্ডায় মিইয়ে যাওয়া মোয়া চিবোতে চিবোতে জয়নবের দু’চোখ ভরে পানি আসে। কলি মায়ের নীরবতা দেখে দরজার আড়াল থেকে এসে মায়ের গা ঘেঁষে দাঁড়ায়। ওর চোখের ভাষায় ক্ষুধার আকুতি। জয়নব একটা মোয়া মেয়ের হাতে দেয় আর নিজেও কামড় দেয় মোয়ায়। শুকনো মোয়া জয়নবের গলা দিয়ে নামে না। পেটের ভেতরের তোলপাড়ে জয়নবের বুকের ভেতর অভিমান জমতে থাকে। স্বামীর উপর নিষ্ফল অভিমান। মানুষটাও কী বোঝে তাকে? বোঝে খালি চাষ-বাস! চাষার ব্যাটা চাষা!
ক্রমশ জয়নবের অভিমান রাগে রূপান্তরিত হয়। আর যথানিয়মে সব রাগ গিয়ে পড়ে শাশুড়ির ওপর। কী দরকার আছে বুড়ির এইসব তাবিজ কবজ আনার! মাথার মাঝখানে সিঁথি থেকে খোঁপা বরাবর হাতড়াতে থাকে জয়নব। কোথায় গেল? আজ সাত সকালেই তো বুড়ি জয়নবের মাথায় একখানা তাবিজ গুঁজে দিয়ে পুকুর ঘাটে গেল। পুব পাড়ার কোন পীর বাবার কাছ থেকে সইয়ের মাধ্যমে খুব গোপনে তাবিজখানা আনিয়েছেন সুফিয়া বেগম। প্রতিবারই বিয়োবার সময় এলে কোনো না কোনো তাবিজ গুঁজে দেন সুফিয়া জয়নবের খোঁপায়। খোঁপা বরাবর জয়নব এইবার তাবিজটা খুঁজে পায়। মনের রাগ ঝাড়বার নতুন উপাদান পেয়ে সময় নষ্ট করে না জয়নব। চৌকির কোণে তাবিজটা ছুঁড়ে মারবার পর ওর মনটা শান্ত হয়ে আসে।
২.
আলো যেখানেই যায় পেছন পেছন যায় ওর নাতি। আলোর নাতি সোনা বেশ ফুটফুটে। আলোর কপালটাই বেশ। ছেলের ঘরে এক নাতি আর নাতনি। আর দুই মেয়ের ঘরে তিন নাতি। আলোর সাথে সুফিয়া সই পাতিয়েছেন বহু বছর ধরে। যেদিন বউ হয়ে এই গ্রামে এলেন, তারপর থেকেই তাদের দুইজনের মধ্যে সইভাব। সুখে-দুঃখে দুই জন মানুষ মিলেমিশে এক সাথে চলতে চলতে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছেন তবু আজকাল মনে মনে কেমন একটা হিংসেবোধ সুফিয়ার বুকের ভেতরটা কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। এই যে আলোর নাতি সোনা দাদীর সাথে মনোযোগ দিয়ে শাক তুলছে, এই দৃশ্য তাকে মুগ্ধ করার বদলে বুকের ভেতরে অর্থহীন এক জ্বালা ধরায়।
মলি, জলি ছুটতে ছুটতে দাদীর কাছে চলে এসেছে। মায়ের মার দেবার ঘটনা বিশদ বর্ণনা করতে করতে দু’জনেই আবার কেঁদে ফেলে। নাতনিদের প্রতি দরদে এবার সুফিয়া বেগমের মন দ্রবীভূত হয়ে যায়। বড় তেজ বাড়ছে বেটির! বারোবিয়ানির আবার তেজ! সুফিয়া আপন মনেই বকতে থাকেন আর ভাবেন বাড়ি গিয়ে একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বেন। চট করে উঠে দাঁড়াতে গিয়ে টের পান কোমর ধরে গেছে। সুফিয়া একটু বসে নিয়ে সই এর কাছ থেকে বিদায় নিতে যাবেন তখনই আলো বিবি তাকে পিছু ডাকেন,
-যাওগা সই? আরেকটু শাক তোলো। এই কোণে কতগুলান আতাড়ি-পাতাড়ি শাক আছে। এহনও কারো চোক্ষে পড়ে নাই। আরেকটু নাও। এতজন মাইনষের এইটুকুতে হইবো না তো সই।
সই এর উৎকন্ঠিত মুখ দেখে সুফিয়া আবার বসে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে জবাব দেয়,
-আইজকাল আর আগের লাহান বেলা ধইরা বইয়া থাকতে পারি না। মাজা লাইগা আসে। তাহেরের বাপ মইরা যাওনের পর থেইকা আর জোর পাইনা কিছুতে।
-কী করবা? আমারে ছাইড়াও তো তোমার ভাই আরও আগে দুনিয়া ছাড়লো। এহন এই নাতিডার মুখ চাইয়া বাইচ্যা আছি।
নাতির প্রসঙ্গ আসতেই সুফিয়ার গলায় আবার পুরনো আক্ষেপ অনিবার্য হয়ে ওঠে,
-আমার তো হেই কপালও নাই। মাগীর আবার তেজ বাড়তাছে দিন দিন। বারোবিয়ানি! তাও নাতির সমবাদ নাই।
আলো এবার সইয়ের গা ঘেঁষে বসে। এবার সীমাহীন গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন করে,
-তাবিজখানা দিছিলা?
-দিছিলাম। মাগীর বড় তেজ। কইলাম, অযু কইরা আসতে। হের পর তাবিজখান দেই...কয় এহন ঠাণ্ডা পানি ছুঁইতে পারমু না! দিলে দ্যান, না দিলে নাই! ঠ্যাকা য্যান আমার!
সইয়ের কাছে নিজের দুর্ভাগ্যের কথা বর্ণনা করতে আর ভালো লাগে না সুফিয়ার। আজকাল সই এর সংস্পর্শে সুফিয়ার অর্ন্তজগতের রক্তক্ষরণ বন্ধ তো হয়ই না বরং সই এর স্নেহময় কণ্ঠে তা বেড়ে যায়। আলো বিবি আর সোনার সাথে বেশি সময় কাটালে স্নেহবাৎসল্যতার একরৈখিক বিচরণ তাকে কাবু করতে করতে শেষ পর্যন্ত স্বার্থপর করে তোলে। নিজের বেদনা আবিষ্কার করেও আলো বিবির কাছে তা প্রকাশ করতে তার ইচ্ছে হয় না তখন। সুফিয়া জানে এই গভীর অর্ন্তদর্শন বোঝবার ক্ষমতা তার সই এর নেই। তাছাড়া আলোর সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে ভয় হয়। যদি তার জীবনের অপ্রাপ্তি থেকে উদ্ভুত গোপন হিংসাবোধ সইয়ের প্রতি আচরণে তাকে ভারসাম্যহীন করে তোলে? তা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে খুঁজতে সুফিয়া শেষ পর্যন্ত বলে ওঠে,
-তোমার ছেলে বউ আর মায়াগোর তো সোনার পেট। না চাইতেই পায়। আর আমারে দেহ... তিনখান সন্তান নষ্ট হয়া এক ছাওয়ালই টিককা রইল। তার ঘরে পুতের খবর নাই। এই নিয়া বউ নয়বার বিয়াইতে লাগছে। কী হয় আল্লাহ মালুম!
সুফিয়া একটানা কথা বলে দম নেয়। সই’য়ের মনের কথা বুঝতে পেরে আলো বিবি তার কাছে আসে। অকৃত্রিম দরদে পিঠে হাত বুলিয়ে সুফিয়াকে আশ্বস্ত করে,
-এই পীর বাবার তাবিজের জোর অনেক। এইবার ফল পাইবাই সই।
আলো বিবির মুখের দিকে তাকিয়ে সুফিয়ার কুঞ্চিত ভ্রু ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। সইয়ের কথা বড় ভালো লাগে সুফিয়ার। দুই সইয়ের ভাবনার দূরত্ব আচমকা কমে আসে। চোখের ভাষাতেই পরস্পরের সাথে সন্ধিপূর্ণ বোঝাপড়া হয় যেন। নাতনিদের হাত টেনে বসান সুফিয়া। সবাই আবার শাক তোলায় মনোযোগ দেয়। ধীরে ধীরে ঝুড়ি ভরে ওঠে। সুফিয়া বেগম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সামনে তাকান। সবুজ জমির অপার সম্ভারের সাথে সাথে তার চোখের সামনে ভবিষ্যতের হিজিবিজি কিছু সুখচিত্র ভেসে ওঠে।
৩.
কৃষকের ব্যস্তময় দুপুরে ভাত ঘুম ঘুমোবার সুযোগ ঘটে না বলে রাতের ঘুমটা বড় নিরবচ্ছিন্ন হওয়া চাই। সারাদিনের পরিশ্রম তো আর কম না। তাছাড়া শীতের শেষে সরিষা তোলার সময়ে খুব সাবধানী হতে হয়। দিনের বেশকম হলেই সরিষার বীজ ফেটে দানা ঝরে পড়া শুরু করবে। তখন জমিতেই মুখ থুবড়ে পড়বে এত দিনের পরিশ্রম। তাহেরের নিজের যতটুকু জমি তা থেকে সময়মত ফসল পেতে গেলে একটা কামলা লাগালে হয় না। এক কামলার রোজও এখন অনেক। তাই জানু কামলার সাথে নিজের জমিতে নিজেই দিনভর কামলাগিরি করে তাহের। সরিষা ঘরে তুলতে তবু আরও দিন দুই লাগবে। সারাদিনের খাটুনির সাথে পাল্লা দিয়ে পেটে খাবার পড়ে না বলে শরীরের জোরও দিন দিন কমে আসছে। তাই আজকাল ক্লান্তিও খুব তাড়াতাড়ি কব্জা করে ফেলে তাহেরকে। পাশের চৌকিতে তাহেরের পাশে মলি ঘুমিয়েছে। আর জয়নবের দুইপাশে জলি আর কলি। সাত ফিট বাই আট ফিট ঘরে দুইটা চৌকি। পাশের ছোট ঘরে মা, শফু আর জরিকে নিয়ে শোয়।
স্বামীর নিশ্চল শরীর দেখে জয়নব বুঝে যায়, এই ঘুম সহজে ভাঙার নয়। কলি চাপতে চাপতে একেবারে জয়নবের বুকের মধ্যে এসে পড়েছে। শীতের রাতে কলি মায়ের বুক ঘেঁষে শুয়েও স্বস্তি পাচ্ছে না। পুরাতন কম্বলের উপরে মোটা কাঁথা গায়ে জড়ানো থাকলেও মাঝে মাঝেই দুধের নেশায় মায়ের বুকে মুখ ঘঁষছে। জয়নব মেয়ের উদ্দেশ্যকে উপেক্ষা করে ওকে পাশ ফিরিয়ে শুইয়ে দেয়। এরপর শরীরের বেখাপ্পা অংশকে নিয়ে ধীরে ধীরে বিছানা ছেড়ে উঠে বসে। তার সতর্ক চাহনি রাতের নীরবতা আর পাশে শোওয়া ঘুমকাতর মানুষগুলোকে পরখ করে নেয় একবার। গর্ভবতী শরীরের স্বাভাবিক নিয়মে শেষের মাস দু’টিতে বারকয়েক জলবিয়োগের জন্য মাঝরাতে বাইরে যেতে হয় তাকে। কিন্তু জয়নবের আজকের পরিপাটি সচেতনতা রাতের নিস্তব্ধতার কাছেও ভিন্ন অর্থ বহন করে। মনের ভেতর কী এক অপার্থিব ভাবনার ঘূর্ণি পাক খায়। গাঢ় অন্ধকারে বাড়ি ঘরের সাথে পুরো গ্রাম যেন নিঃসাড় পড়ে আছে। মাঝে মাঝে দু’একটা কুকুরের ডাক রাতের নীরবতাকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।
নিজের পরিচিত গণ্ডির ভেতরে অন্ধকারেও অনায়াসেই জয়নব কুপিটা খুঁজে পায়। ম্যাচের কাঠিতে কুপি জ্বলে উঠলে জয়নব কম্পিত দৃষ্টিতে চারপাশের দৃশ্যগুলোকে আরেকবার দেখে নেয়। কুপির আলোয় অন্ধকারে রহস্যময় নকশার সৃষ্টি হয়। চৌকির ধারে একবার হোঁচট খেতে যেয়েও নিজেকে সামলে নেয় জয়নব। তার শরীর কেঁপে ওঠে। এবার ভয় করে জয়নবের। জয়নব যেন খাদের কিনারে দাঁড়ানো। একটু হেললেই নিশ্চিত পতন! কী এক যন্ত্রণাকাতর অনুভূতিতে শরীরটা ভারি লাগে। তবু কী যেন ভেবে নিয়ে শরীরের সাথে সাথে নিজেকে সামলে নেয়। নিয়তিকে নিজ মুঠোতে আনার তীব্র আকাঙ্খায় তার ভয়ার্ত অনুভূতি আবার পরাজিত হয়। এখন জয়নব নিজের ভেতর অদ্ভুত এক অনুভূতির টের পায়। কিন্তু এর পেছনের কারণ সে বুঝতে পারে না। রাতের মতোই এই অনুভূতি যেন প্রগাঢ় রহস্যময়তায় আচ্ছন্ন।
চুপি চুপি চৌকির পশ্চিম কোণে হাঁটু গেড়ে বসে কুপিটা এগিয়ে ধরে জয়নব। কুপির ম্লান আলোতেও তাবিজটা ঠিক চোখে পড়ে। চারপাশে আবার তাকিয়ে জয়নব আস্তে করে মেঝেতে বসে পড়ে। তারপর যেন নিজেকেই ফাঁকি দেয় জয়নব। চুপ করে তাবিজটা তুলে নিয়ে খোঁপার মধ্যে গুঁজে নেয়। ছোট এই কাজটা করতেই জয়নব ক্লান্ত হয়ে যায়। নিজের মাথায় হাত রেখে বারকয়েক আল্লাহ-রসুলের নাম নেয় আর নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায়। বাসনার যে বীজ তার মনের ভেতর রোপিত হয়েছিল, তার পরিচর্যা করে নিতেই মনের ভেতর চলতে থাকা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে যায়। এবার এক ফুঁ এ কুপিটা নিভিয়ে দিয়ে জয়নব চৌকিতে বসে।
কুপি নিভে যেতেই কুয়াশাচ্ছন্ন রাতের রহস্যময়তা আরও বেড়ে যায়।
মন্তব্য
ভালো লাগল!
নাম না জানা পাঠকের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
নাম না জানা পাঠকের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
বেশ ভালো লাগলো।
আপনার লিখবার হাত বেশ ভালু! 'জলবাস' পড়েই বুঝেছি আপনি বড় হলে অনেক বড় (লেখিয়ে) হবেন।
'হাঁফিয়ে' শব্দটা কী ইচ্ছেকৃত নাকি আপু? লেখালেখি চলুক। শুভকামনা
প্রিয় আয়নামতি, বড় হতে হতে বুড়ি হয়ে গেলুম! আসলে সাত বছরের বিরতির পর বছরখানেক লেখালেখিতে ফিরে এসেছি। মা হবার পর থেকে আর কিচ্ছুটি হতে চাইনি বা পারিনি। আমি শুধু আমার দুষ্টুনি-মুষ্টুনির মা হয়েই থাকতে চাই। তবে এমন পাঠক পেলে আরও বড় হওয়ার সাধ জাগে! (এখানে একটা সুবিধামত ইমো হবে!) আমি আবার ইমো দেয়া বুঝি না। সবাই কি সুন্দর সব কম্পউটারের কাজ কম্ম বোঝে! আমি শুধু পরনির্ভরশীল। আমার ঘরের লোক একাউন্ট খুলে দেয়, এটা সেটা শেখায়, আবার পিসির সামনে বসে গুবলেট করে ফেলি।
উহু, ইচ্ছে করে কোনো ভুল বানানের জন্ম দেবার সাহস নেই আমার। এটা আমার অসচেতন বানানপ্রমাদ। আমি বলবো না টাইপো। ঐ যে বললাম সাত বছর, এর ভেতর অনেক পেয়ে অনেক হারিয়েছি। তাই আমি লিখতে বসলেই কোলে বাংলা অভিধান থাকে। আলস্য নেই আমার এই একটা কাজে। তবু ক্লান্তি আছে। তাই বানানটা ভুল হয়েছে। আরও ভুল আছে। ঠিক করবো আশা রাখি। স্পেল চেকার আমার পোষায় না। লেখাকে কনভার্ট করলে যুক্তাক্ষর চেঞ্জ হয় সেগুলো ঠিক করতেও ডাকাডাকি কিন্তু বানান শিখায় নো কম্প্রমাইজ।
তবে আশা করছি এমন মনোযোগী পাঠক পেলে আমি আরও মনোযোগী পোস্টদাতা হবো। শুভকামনা আপনার জন্যও।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আমার লেখার প্লটগুলোতে কোনো বৈচিত্র্য নেই আমার মনে হয়। এসব মেয়েদের খুব পুরনো গল্প। তবু ব্যক্তিগত জীবনে ফেস করতে হয় বলে লেখার উপাদান হিসেবে চলে আসে। এসব সঙ্গত কারণে আলট্রাসনোগ্রাফি করাবার পরও কোনোবারই মুরুব্বিদের বলিনি, কে আসছে। আসলে তাবিজ বিষয়টা নিয়ে ব্যক্তিগত কিছু গল্প আছে, কিন্তু তুমি তো জানো স্যাটায়ার বা সাইকো টাইপ লেখা আমার আসে না। তাই অন্যভাবে লিখে ফেললাম।
(তাড়াতাড়ি হাচল-সচল হতে চাইলে ‘আমাদের জলময়ূরেরা’ টাইপের বেশ কটা গল্প দ্রুতই পোস্ট দিয়ে দাও। ইদানিং তুমি অলস হয়ে যাচ্ছ।)
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ভালো লেগেছে লেখনী। জয়নবকে এখানে যেমন ভাবে আঁকা হয়েছে বাস্তবে আরো জয়নব আছে যারা "পোলা" খোঁজে, সুফিয়ারা খোঁজে "নাতি"। কিন্তু কব্বরে বাত্তি দেয়ার জন্য নাতিই কেন হতে হবে - সুফিয়াদের এই আক্রমণ বা তাহেরদের কারণে -- এই চিন্তা থেকে আধুনিক জয়নবরা কি বের হতে পেরেছে আদৌ যে " আমার পোলাই হইতে হইব " ! আশেপাশে অনেককে দেখি পরপর তিন মেয়ে সন্তান হলে যে কোনোভাবেই হোক নারীটাকে ডাইভার্ট হতে হয় বা অপরাধবোধ থেকে তারা পুত্রসন্তান জন্ম দেয়ার জন্য আবার " মা" হতে চান।
অনেক কথা বলে ফেললাম। ভালো থেকো।
===
অপর্ণা মিতু
আপনি দারুণ লিখেন... লেখার মধ্যে একটা ক্লাসিক ধাঁচ আছে...
আমার বন্ধু রাশেদ
সর্বনাশ! ধন্যবাদ।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনার লেখায় মন্তব্য করার জন্য লগিন করলাম। আপনি এতো ভালো কিভাবে লেখেন?
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
কি বলবো বুঝতে পারছি না। কিঞ্চিত বিব্রত। এমন পাঠক খালি দায়িত্ব বাড়ায়।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
বলে কয়ে সমালোচনা করবো বলে মন্তব্য করছি, মনে কিছু নিয়েন না
এই গপ্পের কিছু ডায়লগে দুই-চারটে শব্দ ব্যবহার নিয়ে একটু খটকা লাগলো। যেমন বলছেন মলি আর জলির পিঠে দু’তিনটা কষে চড় বসায়
পিঠে চড় হয় না, কিল/ঘুষি হলে শব্দের যথার্থ ব্যবহার হয়। দ্বিতীয়ত সুফিয়া এবং তার সখি আলোর কথোপকথনে তোমার দুলাভাই ব্যবহার হয়েছে। দুইজন গ্রামের মানুষ কথা বলার সময় ঠিক এমন শব্দ প্রয়োগ করে বলে আমার মনে হয় না। এ জায়গায় যদি বলা হতো তাহেরের বাবা মারা যাওনের পর তাহলে কথোপকথনটা অনেক বেশি সত্যিকার হয়ে ওঠতো।
আপনার গপ্পের হাত বেশ পাকা, দৃশ্যপটগুলো চোখের সামনে সাজাতে পারেন নিপুন দক্ষতায়। লিখতে থাকুন, শুভেচ্ছা নিরন্তর
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
প্রথম লাইনখানা আর মন্তব্যের পরিধি দেখে খুশি হয়ে উঠেছিলাম, আপনার মতো লেখক-পাঠক আমার ভুল ধরিয়ে দিচ্ছে! তার মানে আমি ক্রমশ আপনাদের একজন হয়ে উঠছি। কিন্তু মাত্র এতটুকু!
ভুল ধরবেন বলেই তো আড়াল ভেদ করে ব্লগের প্লাটফর্মে পা রেখেছি। আমি তো শিখছি। এত মনোযোগী পাঠক পেলে লেখকের যতটুকু তৃপ্তি তা আমি পুরোপুরি উপভোগ করি।
হু বাক্যটাতে কিল/ঘুষি করে দিচ্ছি। আর আমার গ্রামের স্বজনদের মুখে দুলামিয়া শুনেছি। সেটাও করে দিলাম।
আমার মত যারা আপাদমস্তক শহরে বড় হয়েছে তার জন্য গ্রামীণ পটভূমিতে লেখা যে কি ভয়াবহ ব্যাপার! অশেষ কৃতজ্ঞতা সজীব ভাই।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
রংতুলির বর্ণিল মন সবকিছু ভাল দেখে। অশেষ কৃতজ্ঞতা। অনন্ত শুভকামনা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
'আপনি এতো ভাল কিভাবে লেখেন?' আমারো একই প্রশ্ন।
আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তর যা লিখছি সব খালি লাফ-ঝাপ করতেছে! আজব তো!
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
প্রতিটা মন্তব্যের পর ঐ ট্যাব বন্ধ করে আবার আসেন
কাজ না হইলে বইলেন, সত্যানন্দ মার্কা তাবিজ দিমুনি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
চেষ্টা করে দেখছি। নইলে সত্যানন্দ মার্কা তাবিজ ধারণ ছাড়া উপায় নাই।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
৫ তারা।
গল্প বলার ধরণ ভাল লেগেছে। প্রায় নির্লিপ্ত ভাবে বলে যাওয়ার এ চল এই গল্পের জন্য চমৎকার কাজ করেছে। নিতান্তই জানা, একান্তই মামুলি জীবন-এর গল্প তাই পড়তে ক্লান্তিকর লাগে নি। তবে, চরিত্রগুলির রূপায়ণে তাদেরকে খানিকটা দূর থেকে দেখা হয়েছে, এই অনুভূতিটা গল্পটা পড়ার ক্ষেত্রে একটা অস্বস্তির বোধ জারি রেখে গিয়েছে।
পরের গল্পের জন্য সাগ্রহ অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
গল্প ভাল লাগল। আপনার গল্প বলার ধরণটা সুন্দর। আমি কিন্তু আপনার "ও ময়ূর, পাখা মেলে দাও" এর পরের পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি
শুভেচ্ছা রইল।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
কৃতজ্ঞতা মনোযোগী পাঠকের প্রতি। মাসুদ সজীব ভাইয়ের উত্তরে বলেছি, আমার মত যারা আপাদমস্তক শহরে বড় হয়েছে তার জন্য গ্রামীণ পটভূমিতে লেখা যে কি ভয়াবহ ব্যাপার! তাই হয়তো ঘাটতি থেকে যায়। আগ্রহ মেটাবার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে। সব সময় পাশে পাচ্ছি, শিখতে পারছি। ভাল লাগছে।
কপাল গল্পের মতো আপনার নতুন লেখা পড়তে চাই।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আরে, অনুপস্থিতির দিনগুলোতে দারুণ আরেকজন গল্প লেখিয়ের আবির্ভাব হয়েছে দেখি! চমৎকার!!
এই গল্পটা দারূন লাগলো। আপনার বাকি গল্পগুলোও পড়ে ফেলবো সময় করে। লেখা চলুক তরতরিয়ে।
____________________________
আমার লেখা পাঠে স্বাগতম প্রোফেসর সাহেব। কৃতজ্ঞতা। আপনার নতুন লেখাও দিয়ে দিন। পড়ে নেই।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনার গল্প লেখার হাত, বিশেষ করে ছোটোখাটো জিনিসের বর্ণনাভঙ্গি আসলেই ঈর্ষনীয়
আপনার মন্তব্য পেয়ে তো ওবিসিটি আরো বেড়ে গেল!
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
অনেক ভালো লেগেছে।
নাম না জানা পাঠকের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনার কাছ থেকে শেখার আছে , শিখছি ।
আমিই তো শিখছি ভাই। ভুলের শেষ নাই। যারা পদচিহ্ন রেখে গেছেন তাদের কাছ থেকে শিখুন। বেশি প্রত্যাশা রাখবেন না আমার প্রতি। আমি বেশি ভার নিতে পারি না।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
অসাধারণ লেখনী..আপনাকে দিয়েই সাহিত্যের অগ্রগতি সম্ভব
...
.....আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ
সমাজের বাস্তব প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে সুন্দর একটি লেখনীর মাধ্যমে....চালিয়ে যান..আপনাকে দিয়েই সম্ভব সাহিত্যের অগ্রগতি......
আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ
অসাধারন একটি গল্প......আপনাকে দিয়েই সম্ভব সাহিত্যের অগ্রগতি.........
আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ
তিনবার ধন্যবাদ।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
এত ভালো কী করে হয়-প্রশ্নটা বাজছেই ভিতরে। আপনি অনন্য।
দেবদ্যুতি
বেশি বলছেন কিন্তু। আপনি কিন্তু দারুণ লিখছেন, আপনার দ্রুত সচলত্ব আশা করছি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনাদের থেকে একটু একটু করে শিখছি, সাদিয়া’পু, একটু একটু করে পরিণত হতে চাইছি রোজ
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
নতুন মন্তব্য করুন