১.
আমার মেয়েটা ফ্রকের ফিতে বাঁধতে পারে না, নিজে জামা পড়তেও পারে না। জামা পাল্টাবার সময় হলেই চিৎকার করে, ‘মা, জামা পাল্টে দাও।’ আমি ওকে বকতে বকতে বলি, ‘এত্ত বড় মেয়ে কিছুই পারে না! খালি এই করে দাও, ওই করে দাও।’ মেয়েও পাল্টা রাগ করে গলা উঁচু করে প্রতিউত্তর দেয়,‘ নিজেই বলে আমি বড় হই না, আবার নিজেই বলে আমি বড় হয়ে গেছি!’
আমি ওর অভিমানী মুখের দিকে তাকাই। আমার বুকটা হুহু করে, আমার মেয়েটার এই ফ্রকটাও ছোট হয়ে গেছে। আমি এবার গলার সুর পাল্টাই, ‘শোনো মা, তুমি বড়ই হচ্ছো। এই যে এই জামাটা টাইট হয়ে গেছে।’ তাহামণি এক লাফে আমার পাশে এসে দাঁড়ায়, ‘মা দেখ, দেখ, আমি তোমার বুক পর্যন্ত হয়ে গেছি। তুমি এত্ত ছোট্ট কেন মা? হেহেহে, আমি লম্বা, তুমি খাটো!’
আমি তাহামণির আগ্রহের সুযোগ নিয়ে বলি, ‘মা, এই যে তুমি বড় হচ্ছো, এই যে তুমি পিয়ন ভাইয়ার সাথে স্কুলে যাও, তুমি আর ভাইয়া একা একা থাকো, তুমি কিন্তু সাবধানে চলবে।’ ভাইয়া আর ও মিলে একা হয় কিভাবে সেই বিষয়টা না বুঝতে পেরে তাহামণির চোখ আকাশে উঠে যায়, ‘আমি তো মা সাবধানেই চলি। আমি ভাইয়াকে বলেছি, লাল বাতি জ্বললে থামতে হয়, সবুজ বাতি জ্বললে চলতে হয়, জেব্রা ক্রসিং এ হাঁটতে হয়, রাস্তা সাবধানে পার হতে হয়, রিকশায় সাবধানে উঠতে হয়।’
আমার মামণি পড়া মুখস্থ বলে যায়। মেয়েটা বড় হচ্ছে! এরপর আমি সত্যিই আমার আট বছরের মামণিকে বড় করে তুলবার সাধনায় ব্যস্ত হই। আমার গল্প লেখার সাধনার মতো। আমি শব্দের ভাঁজে ভাঁজে মেয়েকে বলি, কারো কাছ থেকে কিচ্ছু নিবে না, কাউকে শরীরের কোথাও হাত দিতে দিবে না, বুয়ার কাছে জামা পাল্টাবে, একা একা স্কুল গেটের বাইরে আসবে না, আরো কত্ত কি। আমি শুধু না এর বেড়াজালে আমার মেয়ের জগতটা আটকে ফেলি না। আমি ওর অভিধানে কিছু হ্যাঁ বোধক শব্দও ঢুকাতে চাই। আমি ওকে জোরে চিৎকার করতে বলি, আমি ওকে মারতেও বলি, আমি ওকে ছুটতে বলি। আমাকে আর বাবাকে সব কিছু শেয়ার করতে বলি।
মেয়ে এবার বেশ বুঝদারের মতো মাথা নাচায়, ‘ওহ বুঝেছি মা, সেই দিন রাইডসে উঠবার সময় নীলু আপির পিঠে কে যেন হাত দিলো তাই তুমি চিৎকার করে লোকটার জামা টেনে আটকে রেখে বকা দিলে না, সেই রকম। আমি বুঝেছি।’
কোথা থেকে আমার দস্যি ছেলেটা ছুটে আসে, ‘যদি আমার আর আপির গায়ে কেউ হাত দেয় না, আমি কিন্তু স্পাইডারম্যানের মতো এক্কেবারে মেরেটেরে শেষ করে ফেলবো।’
২.
-মা, দাদী বলেছে, এই বাসা নাকি ভাইয়ার। আমি নাকি বড় হলে বিয়ে করে চলে যাবো। আমি কিছুতেই বিয়ে করবো না। আমি বড়ই হবো না। আমি যাবোই না তোমাদের ছেড়ে।
আমি বুঝতে পারি এবার বোঝাপড়াটা একটু অন্যরকম। বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্যই বাবা-মাকে বহু কাকুতি মিনতি করে নিয়ে আসা। তাদের বুঝিয়েছি, আমার মনে ভয়ের বাসা, আমার মামণি যে বড় হচ্ছে! আমার চোখের অনেক জল বিসর্জনের পর নিজের সংসারের মায়া ছেড়ে নাতি-নাতনির মায়ায় তারা গত কয়েকমাস আমার সাথেই থাকছেন। আমি তাহামণির হাত ধরে আম্মার কাছে যাই। বহুকষ্টে গলার যুদ্ধ যুদ্ধ ভাবটা আড়াল করি।
-আম্মা, আপনার ছেলেও আপনাকে ছেড়ে থাকে, আমিও আমার মাকে ছেড়ে থাকি। দুজনেই বিয়ে করে চাকরি নিয়ে দূরেই থাকি। তাহামণিও দূরে যাবে, হয়তো আপনার স্পাইডারম্যানও দূরে যাবে। এই বাসার সব ওদের দুজনের। আপনি বরং তাহামণিকে বুঝান, ওর মেয়েকে পালবার জন্য শেষ বয়সে আমি ওর সাথেই থাকবো। ও যেন শুধু আমাকে ভালবাসে।
আম্মা বিব্রত ভঙ্গিতে আমার দিকে তাকায়। তাহামণি তালি দিচ্ছে।
-কি মজা, মাও বিয়ে করেছে, বাবাও বিয়ে করেছে! দুজনেই দূরে থাকে।
নাতনির কথা শুনে আম্মার মুখে এবার হাসি ফোটে। কোথা থেকে ডাকাত সর্দার এসে বলে,
-সবই দুজনের। এই যে, শুধু এই নীল স্পাইডারম্যানটা কিন্তু আপির না!
৩.
-মা জানো আজ না রানা স্যার আমার গালে চুমু দিয়েছে, আমি দৌড়ে আসছি আর বলেছি, আমাকে চুমু দিবেন না।
-মা, মা, পিয়ন ভাইয়াও না আমার গালে চুমু দিয়ে থুতু লাগিয়ে ফেলছে, আমি বলেছি, আমাকে চুমু দিবেন না, আমার চুলকানি হবে গালে। ডাক্তার বলেছে আমাকে চুমু খাওয়া নিষেধ।
ওদের বাবা হাসছে,
-দেখো দুটোর অবস্থা! দুই বিচ্ছু আসলেই বড় হচ্ছে। ছেলেটাতো একটা বৃটিশ!
-আমি বৃটিশ না, বাবা তুমি আমার নাম ভুলে গেছো, আমার নাম ‘এহসান’।
৪.
এই খুচরো ঘটনাগুলো আমি কেন লিখলাম জানি না। ব্লগের পাঠকরা জানেন আমি শুধু গল্পই লিখি। আমার ব্যক্তিগত জীবনের কথা লিখিনি কখনো। লিখলেও বলতে পারিনি, এই গল্পটা আমার জীবনেরই গল্প। বলতে পারিনি, গল্পের যে মেয়েটি কাঁদছে, এভাবে একদিন আমিও কেঁদেছি। নিজের কান্না লুকোতে লুকোতে আমি বড় হয়েছি।
আমার বাবা-মার শিক্ষা দেয়ায় কোনো কমতি ছিল তা বলবার ধৃষ্ঠতা আমার নেই। আমি এখন অনেক বড়, শুধু আমার বাবা-মায়ের জন্যই। আমার বাবা-মা তাদের সাধ্যের মধ্যে আমার জন্য সব করেছেন। কিন্তু আমি আমার চারপাশে তাদের নিয়েও কি এক অচেনা পথে তবু একাই হেঁটেছি। একা কেঁদেছি আর কান্না থেকে লিখতে শিখেছি আর আমার অন্ধকারের গল্পগুলো প্রাণপনে ভুলে যাবার চেষ্টা করতে করতেই বড় হয়েছি।
এখন এই সময়ে আমার সন্তানদের সুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠবার অনিশ্চয়তা আমাকে অস্থির করে রাখে। আমি ওদের বড় হওয়ায় ওদের সহযাত্রী হতে চাই। আমি চাই আমার সন্তানদের বেড়ে ওঠা ওদের জন্য উপভোগ্য করবার সাথে সাথে ওদের জন্য নিরাপদও করতে।
আমি চাই যতটুকু না জানায় আমি নিজেকে লুকাতে শিখেছিলাম আর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলে পত্রিকার পাতায় লেখা পাঠিয়েছি আর গল্পের মোড়কে নিজের জীবনের গল্প আড়াল করেছি, ঠিক ততটুকু জানায় নিজেকে পূর্ণ করে আমার ছেলে-মেয়ে দুজনেই বলুক, ‘আমরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নই।’
মন্তব্য
ব্যাস্ততার মাঝখানে আপাততঃ এটুকুই বলে যাই সাদিয়া-দিদি, খুব ভাল লেগেছে এ লেখা পড়ে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমিও ব্যস্ত খুব। তবু সচলে ঢোকা সারাদিনের ফুয়েল। ভাল থাকুন।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
সব অভিজ্ঞতাই কি আর শিল্পসম্মত গল্পের আকার পায় ! তাই ঝাপি খোলা কথাগুলো এভাবেই বেরিয়ে আসুক বেশি বেশি করে। অনেক বেশি প্রয়োজন এখন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সহমত
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
‘আমরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নই।’
অসংকোচে প্রকাশ করতে করতেই একদিন পরিবর্তন আসবেই। অন্তত আশা করতে তো দোষ নেই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আশায় থাকি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনার লেখার হাত বেশ। সেইসাথে আপনি একজন মা। ভেবে দেখুনতো তাসনীম ভাইয়ের 'শিশু পালন' সিরিজের মতো করে শিশুদের সেক্স এডুকেশন এবং যৌন নির্যাতন সম্পর্কে কিভাবে সচেতন করা যায় আরও তার উপর একটা সিরিজ করতে পারেন কিনা। অনেকেই এসব বিষয় নিয়ে কিভাবে সন্তানদের সাথে কথা বলবেন সেটা বুঝে উঠতে পারেন না। ইংরেজি ভাষায় অনেক বই আছে এর উপর। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি এবং বাস্তবতার কথা মাথায় রেখে বাংলায় গল্পে গল্পে কি এরকম কোন সিরিজ লেখা যায়?
অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমার এক ফেবু বন্ধু কর্ণফুলির মাঝি আমাকে একটা থিম দিয়েছিল, একটা ছেলে বেড়ে উঠবার সাথে সাথে তার মায়ের সাথে তার দূরত্বের গল্প লিখতে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম, কত সংকোচ লাগছে আমার লেখাটা কনটিনিউ করতে, বয়সন্ধিকালের কত খুঁটিনাটি বিষয় আছে, যা সবাই এড়িয়ে যায়। লিখতে চেষ্টা করছি। তাসনীম ভাইয়ের সিরিজটা খুঁজে নিচ্ছি। এইরকম একটা লেখা লিখবার সময় পাঠ অনেক জরুরি।
(তবে সিরিজের ব্যাপারে আলসেমি কাজ করে। অফিসের ব্যস্ততা, সংসার, বিচ্ছুদুটোর জন্য সময় বের করা, এর মাঝে লেখাটাই আমার বিনোদন। আর বাচ্চারা ঘুমোলে রাতটুকুই আমার লেখার সময়, সময় তাই বেশি লাগে।)
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাচ্চাদের কিভাবে বিষয়গুলো শেখাচ্ছেন সেটা পড়ে মুগ্ধ হলাম। একটা জটিল মেইজের মধ্যে দিয়ে সুক্ষ্ম ন্যাভিগেশন মনে হলো। ব্রাভো!
কৃতজ্ঞতা, চেষ্টা করবো যতটুকু করতে পারি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
সাবাশ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
শুরুটা নিজেদের মধ্যে করতে হবে। তাহলে আমাদের সন্তানদের জন্য পৃথিবীটা আরো মানবিক হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সহমত
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ছেলেদেরকেও শেখাতে হবে বৈকি! ভাল লাগলো।
ছেলেতো আমারই রক্ত। আমার মেয়ের মতো আমার শরীরেরই অংশ। ওর নিরাপত্তাও আমার কাছে সমান জরুরি। ওর জন্যও তো অন্ধকার ওৎ পেতে থাকে। আমি সেদিন একটা ঘটনা জানলাম (বিচারাধীন), একটা পাঁচ/ছয় বছরের ছেলেকে এক বুড়ো শয়তান ঝোপে নিয়ে যেয়ে ওর এনাল পার্ট দিয়ে----থুথুথু, বলতেও ঘেন্না লাগে।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
১। আগামী প্রজন্মকে নিঃসঙ্ক চত্তে শিরোনামের কথাটা বলবার পরিস্হিতি তৈরিতে আমাদের সবার চেষ্টা এসে মিলুক।
২। তাসনীমভাইয়ের সিরিজটা পড়ে ফেলা হোক এবং উদাসদার প্রস্তাব মতো আলস্যের খেতাপুড়ি বলে লিখতে বসে যাওয়া হোক।
৩। এক্ষেত্রে সাহায্য সহযোগিতা লাগলে সচলভরা খালা/মামা/চাচা/ফুপিরা আছেন, সো জয় বাংলা বলে আগো বাড়ো।
৪। ছেলেমেয়েদের কিভাবে শেখানো হচ্ছে সেটা চমৎকার একটা দৃশ্যকল্পের মধ্যে দিয়ে লেখবার জন্য
সাহস পেলাম। সামনের মাসেই শুরু হবে অনিমেষ আর ওর মা মোহনা চক্রবর্তীর গল্প।
থেঙ্কু আয়নামতি। কিন্তু বাচ্চাদের মতিগতি বোঝা ভার। আমার ছেলেটা যেই মুহূর্তে ধরে ফেলে তাকে শেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, সে ব্লাকমেইল করে বলে, তোমাদের কথা অনেক শুনেছি, এবার এ্যাংরি বার্ডসের কার্টুন দেখতে দাও।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনার শেখানোর পদ্ধতি দুর্দান্ত লাগলো।
আমার মাথা খুব গরম। শেখাবো কী? বকাবকিতেই শেষ
চরম উদাস আর কর্ণফুলির মাঝি যেই বুদ্ধিটা দিয়েছেন, সেটা কাজে পরিনত করুন প্লিজ।
খুব কাজের জিনিস হবে।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মাথা গরম আমারও। আমিও বকি খুব। এরা বাধ্য করে। তবে আজকাল আমার মেয়ে বলে, মা তুমি এইবার হাসপাতাল থেকে ফেরার পর একটু ভাল হয়ে গেছ, কম বকো।
কৃতজ্ঞতা, চেষ্টা করবো। পড়া দরকার। সময় বলতে আমার রাতের ঘুমোবার সময়টুকু। এইটুকুই আমার অবসর।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
শিরোনামটা মারাত্মক লাগলো!
আপনার শেখানোর নিয়মটা দারুন! স্যালুট!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ। দেখি কতদিন পারি। আমাকেও এদের কাছ থেকে বহুকিছু শিখতে হয়। দেরিতে উত্তর দেয়ায় দুঃখিত প্রিয় দুষ্ট বালিকা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
নতুন মন্তব্য করুন