শীতের দুপুর অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক। কিন্তু আরামের মধ্যে বেশি থাকতে সাধ জাগে বলে আরামের স্থায়ীত্বও কম থাকে। এই কঠিন কথাটা বুঝতে রিপনের মাথা খাটাতে হয়নি, বরং কথাটা সে গায়ের চামড়া দিয়ে উপলব্ধি করেছে। তবে এই উপলব্ধি রিপনকে পরিণত না করে আরও কাবু আর ছোট করে ফেলেছে। রিপন অবশ্য বয়স ও লম্বায় ছোটই। তবে নয় বছরের তুলনায় ওর আকৃতি পাঁচ বছরের মনে হয়। সাথিরা ওকে ডাকে বাইট্টা ইপন। কবে যে এই ডাকের শুরু রিপনের মনে নেই।
রিপনের মাথায় অবশ্য খুব বেশি কিছু ধরে না। কিন্তু চোখে ধরে খুব! দোকানের পুরি, শিঙাড়া, প্যাকেটে মোড়ানো চকলেট, কাচের দেয়ালের আড়ালে থরে থরে সাজানো রঙিন খেলনা গাড়ি, হেলিকপ্টার, গিটার। এসব খেলনার নাম রিপনের মোটামুটি জানা। ফাঁক পেলেই সে এস.এস. রোডের খেলনার দোকানগুলোর আশেপাশে ঘুরে আর বড়লোকের গোবদাগাবদা বাচ্চাদের আহলাদী আবদার শোনে। অসময়ে সেসব মনে পড়তেই ওর ছোট্ট বুকের অন্তর্গত বেদনা হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে পড়ে। সেই সাথে মনে পড়ে এখন খেলনার চেয়ে ওমের দরকার বেশি।
রিপনের গায়ে ওর শরীরের সাইজের চেয়ে বড় মাপের একটা আধছেঁড়া সোয়েটার আর ফুল প্যান্ট যার হাঁটুর কাছটা ছেঁড়া। গতকাল বিকালে রাসুর সাথে দৌড়ে পাল্লা দিতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে প্যান্টটা ছিঁড়ে গেছে। এই শীতে এই গরম কাপড় যথেষ্ট নয় তা মা ঠিকই বোঝে। শয়তান ছালাইম্মার চোখ এড়িয়ে রিপনকে কিছু দেওয়া নিশ্চিত বিপদ জেনেও মা চেষ্টার ত্রুটি করে না। এই দুর্দিনে রিপনের কপাল তবু ভাল। কারণ রাতটা অন্তত সে মায়ের ঘরের মেঝেতে কাটাতে পারে।
রিপনের জীবনে বিপত্তির শেষ নেই। তবু শীত আসলেই যেন বিপত্তির ষোলকলা পূর্ণ হয়। রাতটুকু মায়ের গা ঘেঁষে ঘুমোবার আকাঙ্ক্ষায় কি যে ছটফট করে ও! আর শয়তান ছালাইম্মারে দ্যাখ! সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে গপগপিয়ে দুই থালা গরম ভাত খায় আর রাত হলেই মাকে পাশবালিশের মতো ধরে ঘুমায়। একদিন চুপিচুপি রিপন মায়ের পাশে গিয়েছিল। মায়ের শরীর ঘেঁষে শোবার চেষ্টা করতেই কোথা থেকে যেন একটা লাথি তাকে ঘরের এক কোণে ফেলে দিল আর সেই সাথে সমুদ্রের গর্জনে ওর এক কানের ফুটো আরেক কান ভেদ করে গেল, হের লাইগাই তো বিলাইয়ের ছাউ সাথে আনবার চাই নাই, হারামজাদা চৌকিত উইঠ্যা বসছে।
মায়ের কান্না দেখে রিপন ওর ব্যথা ভুলে গিয়েছিল। রিপনের জন্য মা তো আর কম সাজা ভোগ করে না। তবু মাঝে মাঝে মায়ের উপর থেকে সহানুভূতি চলে গিয়ে সীমাহীন ক্রোধে রিপনের বুকে আগুন ধরে যায়, এ্যাতোই যহন দরদ বেটি, বাপে মরতে না মরতেই হাঙ্গা করছোস ক্যান?
মায়ের প্রতি তীব্র অভিমানে চোখে পানি আসে রিপনের। সেই পানি বাইরে আসামাত্রই বাতাসের সংস্পর্শে যেন বরফ হয়ে যায়। শৈত্য প্রবাহের শীতল বাতাস সূক্ষ্ম বরফকুচির মতো ওর গায়ের চামড়া ভেদ করে ঢুকে যাচ্ছে। যেন এখনই রক্তপাত শুরু হবে। ওর পায়ে হাঁটার জোর নেই। এক ইঞ্চি পা সরালে মনে হচ্ছে বাতাস নাচতে নাচতে পায়ের খোলা অংশ জড়িয়ে ধরছে। রিপনের ফাঁটা ঠোঁটজোড়া বিরবির করে ওঠে, ইস্ আইজ কি ঠান্ডার ঠান্ডা! সারা শরীর জুড়ে শীত তির তির করে বয়ে যাচ্ছে। রিপন টের পায় পেট ছাড়া হাত, পা, হাঁটু, বুক, মুখমণ্ডল সব বরফখণ্ডে পরিণত হয়েছে। কি অদ্ভুত না! যেই পেটটা বরফ হয়ে গেলেই ওর সবচেয়ে সুবিধা হতো সেই পেটটার ভেতর কোন ইঁদুরের বাচ্চা থেকে থেকে ছুটোছুটি করছে আর বলছে, ‘বাইট্টা ইপন ছুইট্টা যা।’
মায়ের কাছে গেলেই রিপন একথালা ভাত পাবে কিন্তু সেই ভাতে পেট ভরে যাবার পরেই অবধারিতভাবে লাথি এসে পড়তে পারে সেই আশংকাই বেশি বলে রিপন ওমুখো হচ্ছে না। গতকাল রাতে ঠিকমত ভাত না জুটলেও থাকার জায়গা জুটেছিল। রাতটা ও সালমানের সাথেই ছিল। গতকাল সকালে শয়তান ছালাইম্মার লাথির চোটে সে বমি করে দিয়েছিল। মা উলটে যাওয়া ভাতের থালা দেখে চিৎকার করছিল, ভাত ফেলেন ক্যান? ছাওয়ালডারে লাথ মারলেন ক্যান? না করছেন দিমু না খাওন, তালিই হয়! মায়ের আর্তচিৎকার আরও বেড়ে গেছিল যখন শয়তান ছালাইম্মা তার মায়ের চুলের মুঠি টেনে চিৎকার করছিল, ভাতারখাকি মাগী, আগেরটারে খাইছস, নোলা তো কমে নাই। এহন আমারে খা! আমার কষ্টের কামাই আর দিন রাইত হমুন্দির পুতরে খাওয়াস ক্যা?
ছালাইম্মার প্রশ্ন শুনে রিপন ব্যথা ভুলে গিয়ে কেবল ভাবছিল, ও কি করে শয়তান ছালাইম্মার হমুন্দির পুত হলো? জানতে চাইবে না করে করেও সে তার সবচেয়ে ইয়ার দোস্ত সালমানকে কথাটা বলেছিল। সালমান অন্যদের মতো নয়। ও কখনোই রিপনকে বাইট্টা ডাকেনি। সালমানের এই বিষয়টা ছাড়া আরেকটা বিষয় ওর খুব ভাল লাগে, সেটা হলো ওর মন বাদশা ভাব। সালমানের আসল নাম কিন্তু ফরিদ। সে নিজের নাম পাল্টে সালমান রেখেছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সুন্দর একটা জ্যাকেটও যোগাড় করেছে। সেই জ্যাকেটের চেইন লাগাতে লাগাতে ইন্ডিয়ার নায়ক সালমানের মতো সিনা টান করে দুই পা ফাঁক করে যখন ও দাঁড়ায় তখন রিপনের বেশ লাগে। বন্ধু বলে সালমানকে তার হিংসা হয় না। তবে মনে মনে খুব সাধ জাগে, অমন এক্কান জ্যাকেট যদি পাইতাম!
রিপনের প্রশ্ন শুনে সালমান বেশ গম্ভীর গলায় বলেছিল, ইপন তুই বুঝস নাই, হারামজাদায় তোরে গাল পাড়ছে! এই তুচ্ছ ব্যাপারটা রিপন বোঝেনি দেখে একটু লজ্জাতেই পড়ে গিয়েছিল। আসলে ক্ষুধা থাকলে ওর মাথার ভেতরটা কেমন যেন ফাঁকা মাঠের মতো হয়ে যায়। সহমর্মী প্রিয় বন্ধুর মতো সালমান পরক্ষণেই বলেছিল, দাঁড়া ওই হমুন্দির পুতরে দাবাং এসটাইলে সাইজ করন লাগবো। আইজ রাইতে ছালাইম্মা শয়তান ঘুমায় থাকলে ওর ছাগলা দাঁড়ি কাইটা লামু টুপ কইরা, হমুন্দির পুত সকালে উইঠা তর মায়রে জিগাইবো, আমার দাঁড়ি গেল কই? তর মায় কইবো চোরে নিছে।
কাজটা করতে না পারলেও সালমানের কথা মনে পড়ে রিপন শব্দ করে হেসে ওঠে। সেই হাসিতে মনের ভেতরে তোলপাড় হয়। গরীবের জীবনে কষ্টের অভিষেক ঘটে পৃথিবীর মাটিতে পা দেবার পরই। সেই কষ্ট অভ্যস্ততায় পরিণত করতে করতে তারা আবার জীবনের প্রান্তে দাঁড়িয়ে যায়। তবে জন্মের পর থেকে বুদ্ধি হওয়া অবধি কষ্টের কথাগুলো ওর মনে নেই। শুধু মনে আছে, মায়ের জীবনে ছালাইম্মার আবির্ভাবের সাথে সাথে ওর জীবনে কষ্টের শুরু। ছালাইম্মা যেদিন মাকে বিয়ে করলো, রঙিন ঝলমলে শাড়িতে দণ্ডায়মান মাকে দেখে ও নিশ্চিত বুঝে গিয়েছিল, মায়ের ভাগ আর ওর নেই। ঠিক এই মুহূর্তে সেই একই অনুভূতি ওর মনের অপ্রকাশিত অভিমানের বুদবুদ উসকে দেয়।
কে যেন আসছে। রিপন সচকিত হয়ে সামনে তাকায়। ধোঁয়ার কুণ্ডলী ভেদ করে সালমান সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ও হাঁপাচ্ছে।
-কি হইছে, তুই এমনে আইলি ক্যান? তোরে বাড়িত না দেইখা আমি একলাই বাইর হইছিলাম।
সালমান দম নেয়।
-জব্বর খবর আছে। আমি ঘরতন বাইরাইআই শুনলাম, রাইতে ছালাইম্মা ট্রাকের তলায় চাপা পড়ছে।
রিপনের ইচ্ছে করে বন্ধুকে নিবিড় আলিঙ্গনে পিষে ফেলে। সালমানকে জড়িয়ে ধরে রিপন অস্ফুট স্বরে প্রশ্ন করে, হাছাই? কিন্তু উত্তরের অপেক্ষা না করেই রিপন পা বাড়ায়। কুয়াশার রহস্যময়তা ভেদ করে ওর সামনে ভেসে ওঠে মায়ের প্রিয় মুখ। ও যেন স্পষ্ট দেখতে পায়, ঘরের দাওয়ায় ওর অপেক্ষায় মা এক থালা ধোঁয়াওঠা ভাত নিয়ে বসে আছে। মা এখন ওর একার! এই দুনিয়াতে এখন শুধু মা আর ও! মায়ের বুকে পরিব্যাপ্ত সকল উষ্ণতার একমাত্র অংশীদারও ও’ই!
কুয়াশা কমতে শুরু করেছে। আকাশের শরীরে এখন সূর্যমুখীর রঙ। সেই ঝলমলে রঙ সাথে করে রিপন শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে দৌড়াতে থাকে।
(খসড়া, ৬-৮-২০১৫)
মন্তব্য
কিছু কিছু সম্পর্কের উষ্ণতার ভাগ দেয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় যে কারোর জন্যই আর রিপনের ব্যাপারটা আরও অন্যরকম, ওর খুশিটা ছড়িয়ে যাক সমস্ত চরাচর; ছালাইম্মার মৃত্যুতে মায়াকান্নার ভনিতাটুকু নাই বা থাকলো।
‘আকাশের শরীরে এখন সূর্যমুখীর রঙ’-ভালো লাগলো খুব।
দেবদ্যুতি
ধন্যবাদ দেবদ্যুতি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
সাদিয়া আপু অসাধারণ লেখনি। পড়্ছিলাম আর হারিয়ে যাচ্ছিলাম । মনে হচ্ছিল রিপনকে ,তার মাকে,সালমানকে চোখেত সামনে দেখছি। মায়ের কপালে জামাই জুটলেও ,রিপন বাবাহীন রয়েই গেল।
এ্যানি মাসুদ
হুম।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
ধন্যবাদ।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
কী বলা যায় বুঝতে পারছি না আসলে...
------------
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
৫ তারা। (সেটার উল্লেখে অবশ্য কিছু এসে যায় না।)
সাদিয়া-দিদি, গল্পের বিষয়, চল, এগুলো নিয়ে কোন কথাই হবে না। কষ্ট-কথা মন-মুচড়ে এগিয়েছে, ঠিক যেমনটি লেখক চেয়েছেন। শুধু শেষটায় আমি আর একটু এগোনোর কথা ভাবছিলাম।
***
রিপন মার কাছে ফিরে দেখবে রিপনের আনন্দ তার মাকে ছুঁতে পারলনা। ঐ ‘ছালাইম্মার' ফট করে মরে যাওয়াটা মাকে একেবারে দিশাহারা করে দিয়েছে - সংসারের টাকা-পয়সা আসার পথটা তার আবার হারিয়ে গেল। এবার সে কি করেই বা নিজেকে বাঁচাবে, কি করেই বা বাঁচাবে ছেলেকে!। মায়ের এই আচরণে রিপন যে ধাক্কাটা খায় সেটা তাকে ভীষণ শূণ্য করে দেয়। ছালাইম্মা না থেকেও যদি সে মাকে না পায়, তাহলে আর কিভাবে সে মাকে ফিরে পাবে, কোনদিন! সেই সাথে খাওয়া না জোটার সম্ভাবনাটাকেও সে এখন দেখতে পায়। একই সাথে বিপর্যস্ত এবং অভিমানাহত রিপন মার কাছ থেকে সরে আসে।
তারপর রাত গভীর হয়। একসময় রিপনের মা রিপনকে খুঁজে বার করে কোলে করে নিয়ে এসে বিছানায় শুইয়ে দ্যায়। নিজেও পাশে শোয়। রিপন মাকে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে পা সরিয়ে ন্যায়, খেয়াল না করেই, আগের রাতের, তার আগের আরও অনেক রাতের লাথির স্মৃতির প্রতিবর্ত প্রতিক্রিয়ায়। তখন মা তার পা-টা আস্তে করে নিজের উপর দিয়ে টেনে নেয়। খাদের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদুটো একটা স্বস্তিকে আঁকড়ে ধরে - লাথিটা সরে গেছে।
***
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দেবদ্যুতি
খুব সুন্দর বলেছেন। আমি এতদূর বা এভাবে ভাবিনি। আপনার কথামতো আরেকবার গল্পটায় হাত দেয়ার ইচ্ছে থাকলো।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
কেউ যদি আপনার আর কোন লেখা না পড়ে কেবল এই গল্পটাও পড়েন তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন আপনি আসলেই গল্প লেখক। আপনার পর্যবেক্ষণ শক্তি অসাধারণ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনেকবড় প্রাপ্তি এই মন্তব্য। দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
বিষয় গড়পড়তা হলেও আপনার লেখার গুণে গল্পটা ভালো লাগলো।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আপনাকে প্রথমবার যে প্রতউত্তর দিলাম, তা বোধহয় মুছে গেল। অশেষ ধন্যবাদ।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
এটা আগেই পড়েছিলাম। রিপনের অনুভবটা খুব জোরালো এবং গভীর।
অপর্ণা মিতু
নতুন মন্তব্য করুন