ভদ্রমহিলার সাথে একবার চোখাচোখি হতেই তিনি চোখ ফিরিয়ে নিলেন। আমাদের এই দৃষ্টি বিনিময় হলো খুব স্বল্প সময়ের জন্য। কিন্ত এর মধ্যেই আমার মনে হলো সেই চোখজোড়াতে দহন আছে, জ্বালাও আছে। আমি দিন পনেরো ধরে রোজ ছাদে উঠছি আর তাকে ঠিক একই জায়গায় একইভাবে বসা দেখছি। বসার ভঙ্গিটি স্থির, নিশ্চল। আমি ছাদের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে দাঁড়াই। মেইন গেটের উপরে কায়দা করে বানানো খাঁচার ফাঁকফোকর গলে বাগানবিলাস গাছটা ছড়িয়ে পড়েছে। গাছটাতে তিন রঙা বর্ণিল ফুলের ঝাঁক। কি করে গাছকে শাসন করে নিজ আয়ত্বে নিতে হয় তা এই বাড়ির মালি ভালই জানে।
আমাদের বাড়িওয়ালার নাম ওসমান গণি। তারেকের কাছে শুনেছি ভদ্রলোক রাজউকে চাকরি করতেন। যদিও বাসা ভাড়া নেবার সময় তিনি তারেককে বলেছেন যে, সার্ভিসে মন না বসায় তিনি বছর দশেক পরেই স্বেচ্ছা অবসরে গেছেন কিন্তু তারেকের ধারণা দুর্নীতির কারণে ওসমান গণি সাহেবের চাকরি চলে গিয়েছে। তা না হলে এই সময়ের মধ্যে ঢাকায় দু’দুটো বাড়ি করা সম্ভব নয়। এই বাড়ি ছাড়াও টঙ্গীর দিকে নাকি ভদ্রলোকের খামারবাড়ি আছে। চার তলা এই বাড়িটির দোতলার পুরো ইউনিট নিয়ে তারা নিঃসন্তান স্বামী-স্ত্রী আর কাজের একজন বয়স্ক মহিলা থাকেন। নিচতলার গ্যারেজ অংশের একপাশের একটা রুমে কেয়ারটেকার হারুণ আর মালি জলিল থাকে।
ওসমান গণি সাহেবের স্ত্রী মিনা ওসমানকে বিকালে ছাদে গেলে দেখা যায়। এই যে আজও মহিলা ছাদের পশ্চিম কোণে চেয়ার পেতে জড় পদার্থের মতো বসে আছেন। এই বাড়িতে উঠেছি মাস তিন হলো। আমি মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ করি। বাড়িওয়ালার বাসায় যাওয়া তারেকের পছন্দ না বলে ভদ্রমহিলার সাথে মিশবার সুযোগ হয়নি। তাছাড়া মহিলা কারো সাথে মিশতে পছন্দ করেন বলে মনে হয় না। মিনিট পনেরো ধরে ছাদে আছি কিন্তু ওসমান সাহেবের স্ত্রী আমার সাথে কোনো কথা বলেননি। এমনকি আর আমার দিকে তাকাননি পর্যন্ত। প্রতিদিনের একই ঘটনা। ভদ্রমহিলা একা থাকতে চাইছেন বলে আমিও তার কাছে ভিড়বার চেষ্টা করিনি।
ছাদ থেকে উঁকি মেরে বাহারি বাগানবিলাস দেখতে ভালই লাগছে। উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের এই অংশটা বেশ ছিমছাম। কোলাহলও কম। চার তলা বাড়ির ছাদ থেকে বেশি দূর অবধি দেখা না গেলেও ছাদের পরিবেশের কারণে বিকেলে ছাদে আসতে বেশ লাগে। তারেক নিম্নিকে নিয়ে পার্কের দিকে গেছে। বাসার ভেতর একা একা লাগছিল বলে আজ তাড়াতাড়িই ছাদে উঠেছি। ছাদে বেশ বড় বাগান। দেয়াল ঘেঁষে ইট সিমেন্ট দিয়ে বানানো বিশাল সাইজের টব আর ড্রামের সারি। বনসাই, ক্যাকটাস, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ গাছের সাথে সাথে পেয়ারা, বড়ই, আমসহ প্রায় সব ধরনের সিজনাল সবজি আছে ছাদের বাগানে। ছাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গাছগুলো ক্যাকটাসের। কোনোটা ফুলহীন, শাখাহীন, কোনোটা লতানো। আজ দেখছি ক্যাকটাসের চারটি টবে আলাদা চার ধরণের ফুলের শোভা, বেগুণি, সাদা, হলুদ আর গোলাপি হলুদের মিশেল। এদের আকৃতিও ভিন্ন ভিন্ন। কি যে অপূর্ব ফুলগুলো! আমার ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু ছাদে আসবার অনুমতি দেবার সাথে সাথে ওসমান গণি সাহেব গম্ভীর গলায় জানিয়ে দিয়েছেন, গাছে হাত দেওয়া নিষেধ এবং ছাদে বাচ্চাদের আসাও নিষেধ। হয়তো ছাদের বাগানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত রাখার ইচ্ছে থাকলেও তিনি তার স্ত্রীর কারণে পারেন না। যদিও ওসমান গণি সাহেবকে কখনো আমি গাছের পরিচর্যা করতে দেখিনি, ছাদেও দেখিনি। তবে মালি জলিল দিনের বেশিরভাগ সময়ই এই বাগানে কাটায়। ফুলবতী আর ফলবতী গাছগুলোকে দেখে বোঝা যায় এদের প্রতি তার যত্ন আত্তিরের অভাব নেই।
আমি ঘুরে ঘুরে গাছগুলোকে দেখি। কিন্তু কতক্ষণ আর কথা না বলে থাকা যায়। খানিকটা ইতস্তত করে আমি মহিলার কাছে এসে দাঁড়াই। খুব বেশি আলাপচারিতা নেই বলে আমি কোনো সম্বোধন খুঁজে পাই না। আগে যখন দেখা হয়েছে কি বলে ডেকেছি? আপা? না ভাবি? আপাই বোধহয়। ভদ্রমহিলার বয়স তো বেশি না। তবে ওসমান গণি সাহেবের বয়স দেখে ভদ্রমহিলার বয়স আন্দাজ করা মুশকিল। ভদ্রলোকের বয়স প্রায় পঞ্চাশতো হবেই কিন্তু তার স্ত্রীকে খুব বেশি বয়সী মনে হয় না। ভদ্রমহিলা অসুস্থ নাকি? কেমন যেন চোখ বুঁজে আছেন। ক্ষীণাঙ্গী মহিলাটিকে আজ আরও রুগ্ন লাগছে।
সাদামাটা রোগাটে চেহারার মধ্যে তার আশ্চর্য রকমের বড় দুটি চোখ। সেই চোখজোড়ায় কেমন একটা শীতল দৃষ্টি। মহিলা আমার দিকে তাকান। তার চোখেমুখে কথা বলার কোনো আগ্রহ নেই। বরং তার কপাল দু’ভ্রুর মাঝখানে সংকুচিত হয়ে জানান দিচ্ছে, তিনি বিরক্ত বোধ করছেন। আমি কিছু একটা জিজ্ঞাসা করবো ভাবছি কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে তিনি জানতে চাইলেন, ‘আপনি কি তিনতলার ভাড়াটে নিম্নির মা?’ আমি অবাক হই, মহিলা দেখি আমার মেয়ের নামও জানে! তবে এবার আর কথা বলার সুযোগ আমি হাত ছাড়া করি না, ‘হ্যাঁ আপা। আপনাকে ছাদে দেখি, কথা বলবো বলবো করে বলা হয় না। ভাল আছেন?’
‘ভাল আছি, নিম্নি ভাল আছে? আপনার মেয়েটা খুব মিষ্টি।’
আমাকে আরো অবাক করে দিয়ে ভদ্রমহিলা হাসলেন। বাহ্ বেশ মিষ্টি দেখাচ্ছে তো তাকে!
সেদিনের পর থেকে মিনা আপার সাথে আমার বেশ সখ্যতা হয়ে গেছে। অবশ্য এই সখ্যতা জুড়তে নিম্নির ভূমিকাই ছিল বিশাল। আমি আর নিম্নি আপার বাসায় গেলেই তার জোখজোড়া উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। নিম্নির হাত ধরে বেড রুমে নিয়ে যান। নিম্নিকে রাজ্যের জিনিসপত্র বের করে দিয়ে মিনা আপা বেশ তৃপ্ত মুখে তাকিয়ে দেখেন। দু’জন মানুষের জন্য প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসে ঠাসা আপার বেড রুম। ওসমান গণি সাহেবের ফ্লাটে সব দামী দামী আসবাব। চারপাশে পরিপাটি যত্নের ছাপ। আমি যখনই যাই তখনই দেখি কাজের মহিলাটি হাতে একটি ন্যাকড়া নিয়ে বাড়িময় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ওসমান গণি দিনের বেশির ভাগ সময় বাসায় থাকে না। অবসরে যাবার পর থেকে ব্যবসা শুরু করেছেন। মিনা আপা বলে, ‘বাগানের মতো চারদিকে টাকার গাছ লাগায়। সেই গাছের ফল খাওয়ার মানুষ নেই।’ আমাকে বসিয়ে রেখে মিনা আপা বর্ষার যমুনার স্রোতের মতো কথা বলে যান, কখনো আমার সাথে, কখনো নিম্নির সাথে। এতদিন তিনি যেনো মায়াপুরীর গোপন কুঠুরিতে বন্দি ছিলেন। তার চারপাশে ছিল অনুভূতিহীন কুয়াশার জগত। আমাদের পেয়ে সেই কুয়াশার আবরণ ছিঁড়ে সুখ-দুঃখ-আনন্দ বেরিয়ে আসে।
‘শোনো গো নিম্নির মা ছোটবেলায় আমাদের বাড়ি কি জমজমাট ছিল জানো! ’ তারপর বহু বছরের জমানো কথা আপা উজাড় করে দিতে চান, তার ছেলেবেলার গল্প, স্কুল পালানোর গল্প, বিয়ের গল্প। আবার কোনো কোনো দিন শুধু আপার গলায় বেদনা ছাপিয়ে যায়, ‘পঁচিশ বছরের রক্ত মাংস এই পনের বছরে হারাম হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় নিজের চামড়া ছিলে ফেলি, খুবলে তুলে ফেলি মাংস। আজকাল আমার খাওয়া আসে না নিম্নির মা। বিয়ের পর পরই বুঝলাম, আমার হজমে সমস্যা হচ্ছে। শরীরটা দেখো না কংকালের মতো! খালি হাড় আর হাড়! আর আপনাদের গণি সাহেব দিব্যি সব হজম করে ফেলে।’
কথা বলতে বলতে হঠাৎ মিনা আপা থমকে যান। যেনো বোধের এক আশ্চর্য সরোবরে ডুব দেন। হঠাৎ আমার আর নিম্নির উপস্থিতি যখন মনে পড়ে যায় তখন বলে ওঠেন, ‘নিম্নিরমা, তোমার কথা বলো। নিম্নির দুষ্টামির গল্প বলো। বয়স কত হলো ওর? চার?’ তারপর পুরনো সইয়ের মতো আমরা আমাদের প্রাত্যহিক সুখদুঃখের গল্পগুলো বিনিময় করি। আবার কখনো নিম্নির জন্য গাদি গাদি চকলেট নিয়ে আসেন, ‘নাও নিম্নিমণি, এগুলো সব তোমার।’ নিম্নির প্রাপ্তিযোগের আনন্দে আপার চোখজোড়াও ঝলমল করে।
ইদানিং তারেক আমাকে ক্ষেপায়, ‘তোমার বান্ধবীর খবর কি?’ বাসের ফ্লাটের হেনা ভাবি তো একদিন বলেই ফেললো, ভাবি কি করে যে আপনি এই মহিলার সাথে মেশেন! অহংকারী, বদমেজাজী।’ আমি হেনা ভাবিকে কোনো ব্যাখ্যা দেই না। মিনা আপার সাথে মিশে আমি বুঝে গেছি, মানুষের নিঃসঙ্গতারও বর্ণ আছে।
অফিস থেকে এসেই তারেক মেয়ের ঘরে গেছে। সকাল থেকে নিম্নির জ্বর। এখন অবশ্য জ্বর নেমেছে। বিকেলের এই সময়টা চা বানাই, সাথে বাবা বা মেয়ের পছন্দের নাস্তা। দুপুরে মেয়ে বলছিল, ‘মামণি, পিঁয়াজু খাবো।’ ব্লেন্ডারে ডাল ব্লেন্ড করে নিয়েছি। তারেক ফ্রেশ হয়ে নিলেই গরম গরম পিঁয়াজু ভেজে দিবো। তারেক রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে। ওর চোখেমুখে কৌতুক। আমি বুঝতে পারছি, কিছু একটা হয়েছে। আমি প্রশ্ন করার আগেই তারেক বলে ওঠে, ‘ঘটনা শুনেছো?’
পিঁয়াজু তেলে ছাড়তে ছাড়তে আমি জানতে চাই, ‘কি ঘটনা?’
তারেক ফোড়ন কাটে, ‘তোমার বান্ধবীর ঘটনা আর তুমি জানো না! আমি তো ভেবেছি...’
তারেক কথা শেষ করে না দেখে আমার রাগ হয়, ‘বললে বল, না হয় মেয়ের কাছে যাও। ঘরে মেয়ে একা। আমি নাস্তা চা আনছি।’
এবার তারেক রঙিন ট্যাবলয়েডের নিউজ পড়বার মতো করে বলে, ‘তোমার বান্ধবীর কাহিনী। সে এক কান্ড! তাকে তো পাওয়া যাচ্ছে না।’
হাসানের কথা শুনে আমি কেঁপে উঠি। কি বলছে তারেক? আজ আপার সাথে দেখা হয়নি। সারাদিনে নিম্নির খবর নেয়নি আপা। নিম্নির জ্বর। এদিকে বুয়াও আসেনি। মেয়ের সেবা আর ঘরের কাজ করেই দিন কাটছে। আমার মনে পড়ে গতকাল আপাকে কেমন আনমনা দেখলাম। মিনা আপা কাল বলছিল, ‘বুঝলে গো নিম্নির মা, হারামের রুজি খাওয়া হলো দেখেই তো আল্লাহ আর খানেওয়ালা দিল না। আমার রক্তেও হারামির বীজ ঢুকে গেছে। কোন দিন যে কি করে ফেলি ঠিক নেই।’
মুখটা তেতো লাগছে। গরম চা পিঁয়াজু মুখে তুলতে ইচ্ছে হচ্ছে না। কিছুই ভাল লাগছে না। হাসানের কথাগুলো এখনও কানে বাজছে, তোমার বান্ধবী উধাও। সেইসাথে কেয়ারটেকার হারুণও গায়েব। আমাকে মালি জলিল বললো।’
বিষাদ কাটাতে আমি ছাদে উঠি। আজ প্রথমবারের মতো ওসমান গনি সাহেবকে ছাদে দেখে আমি চমকে যাই। বাহারি সব পুষ্পের মাঝে তিনি কেমন অপুষ্পক ক্যাকটাসের মতো দাঁড়িয়ে আছেন।
মন্তব্য
সযতনে বোনা গল্পটি উপভোগ করেছি, যদিও 'সেইসাথে কেয়ারটেকার হারুণও গায়েব।' - এ জায়গায় এসে কিছুটা আশাহত হয়েছি।
ছুটির দিনে - বুনন, চরিত্র চিত্রন, সংলাপ - সব মিলিয়ে উপভোগ্য একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
।।।।।।
অনিত্র
অ-নে-ক-দি-ন পর লিখলে, লেখাটা বরাবরের মতোই চমৎকার তবে মনে হয় হারুণকে গায়েব না করে দিলেও বোধহয়, নাকি? মানে ‘কোনদিন যে কী করে ফেলি’ এই অর্থে হারুণ গায়েব হলে সমস্যা নেই কিন্তু মীনা আপা একলা হারিয়ে গেলেও বেশ হতো না?
দেবদ্যুতি
ভাল লাগল।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
দারুণ!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভালো লেগেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। নেট কানেকশনে সমস্যা থাকায় নিয়মিত বসতে পারছি না আর উত্তর দিতে দেরি হলো বলে ক্ষমা চাচ্ছি। সবাই ভাল থাকুন।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
মানুষ দিন শেষে মানুষ ই। সে ঈশ্বর না। হারুনের একসাথে অন্তর্ধানে আমি কোন বিব্রত বোধ করিনি।
আপনার ভাষা আর বর্ণনার জন্য পড়তে এম্নিতেই ভাল লাগে!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আমি খুব দুঃখিত, আমার সম্মানিত পাঠকদের উত্তর দিতে দেরি হচ্ছে বলে, আসলে বুড়ো হচ্ছি আর কাজের চাপ বাড়ছে । তাছাড়া প্রিয় শহর ছেড়ে নতুন শহরে যাবার তাড়া রয়েছে ঘাড়ে। প্রিয় মরুদ্যান, নিয়মিত পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
নতুন মন্তব্য করুন