পশ্চিম আফ্রিকার গল্প-৩

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৪/২০১২ - ১১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পশ্চিম আফ্রিকার অতলান্তিক পাড়ের সবুজ দেশ কোত দিভোয়ার। বিশাল একটি দেশ, বাংলাদেশের প্রায় আড়াই গুন বড় কিন্তু লোকসংখ্যা মাত্র ২ কোটি। কোন একক জাতিগোষ্ঠির প্রাধান্য নেই এদেশে, ছেষট্টিটি নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠির ছেষট্টি ভাষা। তাদের আছে নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কার, পার্বণ, উৎসব আর গল্পকথা। তাদের ভাষার লিখিত কোন রুপ নেই, ফলতঃ তাদের সাহিত্যও মৌখিক। যুগ যুগ ধরে মুখে মুখে রচিত হচ্ছে তাদের গল্প-গান-রূপকথা-পুরান। " গ্যয়া " তেমনই একটি জনগোষ্ঠি। দেশের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে তাদের বাস। তাদেরই প্রচলিত নীতি-কথা, রূপকাশ্রয়ী গল্পগুলো ফরাসী ভাষায় সংকলন করেছেন বার্নাদেত বাজো মোনে ( Bernadette Badjo Monnet) " রাতের মিথ্যেগুলি " ( Les Mensonges de la Nuit) গল্পগ্রন্থে। নীচের গল্পটি ওখান থেকেই অনুদিত।

যেমন করে মরদ আর মেয়েমানুষেরা একসাথে থাকা শুরু করল

আজ থেকে অনেক অনেক দিন আগে, মরদ লোকগুলো একটা গ্রামে আর মেয়েমানুষেরা আরেকটা গ্রামে বাস করত অথচ কারুর সাথে কারুর কোন চেনা-পরিচয় ছিলনা। মেয়েমানুষদের গ্রামটি ছিল বিশালকায় এক ফ্রমাজের গাছের ভেতর। প্রতিদিন খুব ভোরে তাদের গ্রামসর্দারনি তাদের জাগিয়ে তুলত, চেঁচিয়ে তাদের প্রাতকৃত্য সম্পন্ন করতে তাগাদা দিত, গৃহস্থালি কাজগুলি শেষ করে ফেলার জন্য, ঝটপট নাশতা তৈরী করার জন্য চাপ দিত এবং সবকিছু শেষ হয়ে গেলে পরে একসাথে মিলে সবাই ক্ষেতের উদ্দেশ্যে রওনা দিত। গাছের পেট থেকে বের হওয়ার জন্য এই রমণীকূল তাদের সর্দারনীর সাথে গলা মিলিয়ে সুরে সুরে গাইত-
" নুন নুন বি নুন বি নুন আইসা নুন সানুন বিস, সাসানুন সানুন।"

ফ্রমাজের গাছের গোড়ায় তখন সাথে সাথেই একটা দরজা খুলে যেত। আর গাছের বাইরে বেরুনোমাত্রই দরজা বন্ধ করার জন্য তারা আবার সুর করে গেয়ে উঠত আরেকটি গান-
" দজো দজো বি দজোবি দজো আইসা দজো সাদজো বিস, সাসা দজো সাদজো। "

দরজা বন্ধ হয়ে যেত আর রমণীকূল নিশ্চিন্তমনে ক্ষেতের দিকে হাঁটা দিত। সন্ধ্যায় ফিরে এসে তারা আবার দুয়ার খোলার গানটা গেয়ে ফ্রমাজের গাছের পেটে ঢুকে পড়ত এবং গান গেয়েই দুয়ার বন্ধ করে দিত।

এভাবেই বহুবছর ধরে শান্তভাবে, ঘটনাবিহীন তাদের জীবন বয়ে যাচ্ছিল।

একদিন মরদদের গ্রামের এক শিকারি বানরের দলের পিছু ধাওয়া করতে করতে গাছ-গাঁয়ের তলায় এসে হাজির হল। বেলা পড়ে আসছিল আর বড় বড় গাছের আড়ালে আর ঘন ঝোপ-ঝাড়ে বিভিন্ন জন্তু-জানোয়ারের আসা শুরু হচ্ছিল। অতএব খালি হাতেই শিকারি মরদটি সেদিনের মত নিজের গ্রামে ফিরে গেল। পরদিন খুব ভোরবেলা, গাছ-গাঁয়ের খুব কাছেই সে এসে ওঁতপেতে রইল গতদিনের দেখা বানরকূলের জন্য। কিন্তু শীঘ্রই সে হতচকিত হয়ে পড়ল এই কথাগুলো শুনে-
“ ঘুম থেকে ওঠার সময় হয়েছে, তাড়াতাড়ি হাত-মুখ ধুয়ে আসো, জলদি!”

একটু পর-
“ সময় হয়েছে এবার ঘর ঝাড়পোষ করার।“

কয়েক মুহূর্ত পর সে আবার শুনল-
“ নাশতা করার সময় এখন, এসো।“

সবশেষে সে শুনতে পেল দুয়ার খোলার মধুর সে গানটি-
" নুন নুন বি নুন বি নুন আইসা নুন সানুন বিস, সাসানুন সানুন।"

সে গাছ থেকে বেরুতে দেখল অপরূপ কিছু প্রাণীকে যারা প্রথম গানটির মতই মধুর আরেকটি গান গেয়ে তাদের গাছ-গাঁয়ের সদর দরজা বন্ধ করল, তারপর কলকল করে হেসে, ঊচ্চস্বরে কথা বলতে বলতে একটা অজানা গন্তব্যের দিকে চলে যেতে লাগল। হতভম্বিত শিকারি মরদটি লুকিয়েই থাকল যতক্ষণ পর্যন্ত না রমণীকূল একেবারে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে গেল। সন্ধ্যায় সে আবার আগের স্থানে ফিরে এল, গানদুটো মনদিয়ে শুনে মুখস্থ করে তারপর বাড়ি ফিরে গেল।

তারপরের দিন, মেয়েরা ক্ষেতে চলে যাবার পর সে আবার এসে হাজির হল আর নিজেই গেয়ে উঠল-
" নুন নুন বি নুন বি নুন আইসা নুন সানুন বিস, সাসানুন সানুন।"

সাথে সাথেই দরজা খুলে গেল, সে ঢুকে পড়ল গাছের ভেতরে। এরপর আবার দরজা বন্ধ করার জন্য গাইল-
" দজো দজো বি দজোবি দজো আইসা দজো সাদজো বিস, সাসা দজো সাদজো। "

গাছের ভেতর সে ঘুরে বেড়াতে লাগল এই প্রথম দেখা অদ্ভুত প্রাণীগুলোর গ্রাম, তার বেশ মনে ধরল গ্রামখানি, পরিচ্ছন্ন, গোছানো আর খাবার-দাবারের কোন অভাব নেই এখানে। একটা মুরগি ধরে নিয়ে সে তৎক্ষণাৎ তার মুণ্ডুপাত করল, তারপর পালক আর চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে সে সেটি গলাধঃকরণ করতে লাগল। খাবার শেষ হওয়ার পর সে বাসন-কোসন ধুয়ে, সেগুলো জায়গামত ঠিকঠাক করে রেখে গাছ-গাঁ থেকে বেরিয়ে গেল। রমণীকূল যখন ফিরে এল, তাদের সর্দারনি, যার আবার একটু তুক-তাকও জানা আছে, সাথে সাথেই টের পেল তাদের রাজ্যে অপরিচিত কারো পা পড়েছে। কিন্তু তার সাথীরা কেউ তার কথা বিশ্বাস করল না। তারা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করতে লাগল। তখন সর্দারনি চুপ মেরে গেল, কিন্তু তার সন্দেহ যে শতভাগ ঠিক এ ব্যাপারে সে নিশ্চিত থাকল। দ্বিতীয়বার মরদ লোকটি যখন গাছ-গাঁয়ে এল, একটা সুন্দর মেষ সে পছন্দ করল, তারপর সেটি রান্না করে কিয়দংশ খেয়ে বাকীটুকু সাথে করে নিয়ে সে চলে গেল। সেই একই গ্রাম-সর্দারনি আবারও তার সখীদের বলল যে তাদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ একজন তাদের গাঁয়ে আবার ঢুকেছে। আগের বারের মত এবারও কেউ তার কথা বিশ্বাস করল না, বরঞ্চ তারা হেসে লুটিয়ে পড়ল এবং তার চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে লাগল। তার অনুমানই যে সঠিক এ ব্যাপারে কোন দ্বিধা না থাকায় সর্দারনি অতএব তাদের বলল কারো কোনকিছু খোয়া গেছে কিনা তা ভাল করে দেখে নিতে। একজনের হঠাৎ খেয়াল হল যে তার ভেড়াটা লাপাত্তা। কিন্তু সঙ্গের অন্য রমণীরা বলল যে ভেড়াটা হয়ত সকালে তাদের সাথেই গ্রাম থেকে বের হয়েছিল আর কেউ সেটিকে চোখে চোখে রাখেনি বলে কোন এক ফাঁকে ওটি পালিয়ে গেছে। আর এভাবেই তারা তাদের গ্রামের নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকল। তাই এবারও তারা কেউ তাদের সখীর কথা আমলে নিলনা।

সেদিনের পর থেকে প্রতিদিনই, শিকারি মরদটি মেয়েদের গ্রামে ফিরে ফিরে এসে যা কিছু পেত খেয়ে যেত। দিনে দিনে অভিযোগের পরিমাণও বেড়ে যেতে থাকল। কেউ এটা হারালো, কারও ওটা খোয়া গেল, আর এই চুরি যাওয়ার সাথে সাথে সাহসী এই রমণীদের মাঝে বিরাজ করতে লাগল একটা অজানা ভয়।

আসলে, বেশ কিছুদিন ধরে সেই শিকারি মরদটি আর একা আসছিল না। সে গাছ-গ্রামে নিয়ে এসেছিল নাগরাজ বোয়াকে আর ফলশ্রুতিতে চুরি যেতে লাগল আরও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্যাদি।

সেদিন, নিজেদের প্রাত্যহিক চৌর্যবৃত্তি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরও, নাগরাজ, যার পেটে তখনও কিনা ক্ষুধার আগুন জ্বলছিল,শিকারি মরদটির অগোচরে আবার গাছ-গাঁয়ে ফিরে এল। প্রথমেই সে সাবাড় করল এক প্লেটভর্তি ফুতু, এরপর দুটো মুরগি আর সবশেষে তিনটি খাসি। পেট ভর্তি হয়ে যাওয়ায় সে নড়তেও পারছিলনা, তাই সে চোখ বুজে খাবারটা হজম হয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল।

সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই, রমণীকূল ক্ষেত থেকে ফিরে এল। অভ্যাসবশতঃই তারা গেয়ে উঠল-
" নুন নুন বি নুন বি নুন আইসা নুন সানুন বিস, সাসানুন সানুন।"

হাট করে দরজা খুলে গেল। যখন তারা ভেতরে ঢুকতে যাবে ঠিক তখনই দরজা খোলার শব্দে ঘুম থেকে জেগে ওঠা নাগরাজ বোয়া ভেতর থেকে গেয়ে উঠল দুয়ার আঁটার গান-
" দজো দজো বি দজোবি দজো আইসা দজো সাদজো বিস, সাসা দজো সাদজো। "

সন্ত্রস্ত রমণীকূল তখন বলল, “ সর্দারনি ঠিক কথাই বলেছিল।”
তারা ফের গাইল দুয়ার খোলার গান। দরজা যেই না একটু খুলেছে অমনি আবার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেল ভেতর থেকে কারও উলটো গানটি গাওয়ার কারণে।

সর্দারনি তখন সবাইকে বলল, “ এবার! এবার তোমরা আমায় নিয়ে হাসি-ঠাট্টা কর।”
হতবিহবল মেয়েমানুষগুলো কোন ইষ্টদেবতার শরণ নেবে তাও বুঝতে পারলনা। বেশ কয়েক বার দরজা খোলার গান গাওয়ার কারণে চাড়া দিয়ে ওঠা প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটানোর জন্য অতঃপর তারা তৈরী হল। হঠাৎ করে কোত্থেকে যেন উদয় হল আমাদের শিকারি মরদটি। সে ঠিকই ধরতে পারল মেয়েদের এই দুরবস্থার কারণ। তাদের সে আবার ধরতে বলল দুয়ার খোলার গানটা। মনে কোন আশা না রেখেই রমণীরা আবার গাইল সে গান-
" নুন নুন বি নুন বি নুন আইসা নুন সানুন বিস, সাসানুন সানুন।"

দরজাটা যথারীতি একটু খুলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল ভিতর থেকে উলটো গানটি গাওয়ার কারণে। ঐ মুহূর্তে মরদ লোকটি রমণীদের তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে দরজাটা ঠেলতে বলল, সাহসী রমণীরা বহুকষ্টে তা করলও। দরজার ফাঁকটা যখন যথেষ্ট পরিমানে বড় হয়েছে, তখন শিকারি মরদ দেখতে পেল নাগরাজ বোয়ার ফুলে ওঠা শরীরটা। গাদা বন্দুকটার একটা গুলিতে ওখানেই খতম করে দিল সে নাগরাজকে আর রমণীকূলও অতএব পারল তাদের গ্রামে ঢুকতে।

কিন্তু এই ঘটনার পর তারা সবাই গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল, ভবিষ্যতে আরও খারাপ কিছু ঘটতে পারে এই আশংকায়। তারা তাদের মুক্তিদাতা শিকারি মরদটির পিছু পিছু নিজেদের সমস্ত কিছু নিয়ে তার গ্রামে এসে হাজির হল সেই রাতেই।

আর এভাবেই মরদ লোকেরা আর মেয়েমানুষেরা একে অপরকে আবিষ্কার করল আর একসাথে বাস করতে লাগল যেমনটি আজও আমরা তাদের দেখে থাকি।


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

চলুক
আফ্রিকার রূপকথা নামের একটা অসাধারণ গল্প সংকলন পড়েছিলাম স্কুলে, এমন মজার বই আর পড়িনি কখনো।

সুমাদ্রী এর ছবি

আফ্রিকা'র কথার শেষ নেই।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সত্যপীর এর ছবি

ভারি চমৎকার। আরো অনেক দিন।

..................................................................
#Banshibir.

সুমাদ্রী এর ছবি

ইচ্ছে আছে আরো কিছু গল্প অনুবাদ করার। ধন্যবাদ।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

লাবণ্যপ্রভা এর ছবি

হাততালি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

বেশ! বেশ! বেশ___

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

খুব ভালো লাগলো,,,,,,,,,,,,,,,

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ধুসর জলছবি এর ছবি

রূপকথা পড়তে সবসময়ই খুব ভাল লাগে। চমৎকার লাগল । চলুক

সুমাদ্রী এর ছবি

রূপকথার আনন্দ চিরকালীন। ধন্যবাদ।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

বেশ ভালো লাগলো গল্পটা! চলুক, সুমাদ্রী চলুক

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সৌরভ কবীর   এর ছবি

চলুক

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

রংতুলি এর ছবি

গল্পটির শিরোনাম দেখে আসলাম। যত দেশ তত গল্প, তারপরেও প্রতিটা গল্পে আছে নিজস্ব সৌন্দর্য।

চমৎকার রূপকথা! চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।